নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২১

দেশের কোন বিচারককে বর্খাস্ত করা কঠিন,
আনৈতিক কাজ, এমনকি পাগলামি সুরু করলেও হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ব্যবস্থা অনেক কঠিন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংসদে একটি বিল পাস হয়।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী। কোন হইচই নেই, এই সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়। যা আগে সামরিক সরকারগুলো বিচার বিভাগে খবরদারি করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তৈরি করেছিল। এই বিলে সেই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাদ দেওয়া হয়। এরপর সরকার বিরোধি দলগুলো তেমন কোন উচ্চবাচ্চ না করলেও এই ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নয়জন আইনজীবী রিট আবেদন করেন। ৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে সরকারের কাছে জানতে চান, ষোড়শ সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না। প্রায় সোয়া এক বছর পর গতকাল ওই রুলের শুনানি শেষ হলো।গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর শুনানির মূল বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাহাত্তরের মূল সংবিধানে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে যেসব বিধান যুক্ত করা হয়েছিল, সেগুলো পরিবর্তন করাই ছিল সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষোড়শ সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্য। এই সংশোধনের মধ্য দিয়ে বাহাত্তরের সংবিধান ফিরে এসেছে। মাহবুবে আলম বলেন, মূল কথা হচ্ছে, আমরা সামরিক ফরমানমুক্ত সংবিধান চাই। বাহাত্তরের সংবিধান ছিল দেশের মানুষের সম্পদ। এর পেছনে ছিল ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
গতকাল রুল শুনানির চূড়ান্ত দিনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

রিটের শুনানিতে বিচারকরা একটু বিপাকেই পরে গেছিলেন, মনে হয়। কারন বিচারকরাও এই মামলায় একটি অঘোষিত একটি পক্ষ।
তাই এই নাজুক বিষয়ে মতামত নিতে ৫ জন অভিজ্ঞ সংবিধান বিষারদদের অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়গ দেয়া হয়। ইতিমধ্যে এরা চারজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর মতামত নিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁরা হলেন ড. কামাল হোসেন, এম আমীর-উল ইসলাম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহমুদুল ইসলাম আদালতে তাঁর মত দিতে পারেননি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তিনি মারা যান। রায়ে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামতই প্রাধান্য পাবে, এটাই নিয়ম।
রায় ঘোষণার জন্য ৫ মে দিন নির্ধারণ করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার এই রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়।

টাইমলাইন

৭২–এর সংবিধান
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল
১৯৭৫
চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে অপসারণের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়
১৯৭৭
সামরিক আদেশে অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে দেওয়া হয়
১৯৭৯
পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবিধানে যুক্ত হয়
২০১০
আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে অনুমোদন দেন
২০১১
পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাহাত্তরের সংবিধানের অনেক বিষয় ফিরিয়ে আনা হলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাদ পড়েনি
২০১৪
ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাদ দিয়ে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়।


অ্যামিকাস কিউরিদের মতামতের আলোকেই এই মামলাটির রায় হবে। যদিও অ্যামিকাসরা প্রায় সবাই শুশিল। ঘোষণার জন্য ৫ মে দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।


তবে এই দেড় বছরে কোন বিচারক বোআইনি বা অনৈতিক কাজ করলেও এই ক্ষমতার প্রয়োগ হয়নি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৫

বিজন রয় বলেছেন: লাভ?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে এটার দরকার ছিল না।
বিচারকরা এজাবৎ সরকারকে বিপাকে ফেলেনি, সরকারও বিচারব্যাবস্থায় হস্তক্ষেপের প্রয়জন হয়নি।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: সরকার নিজেই নিজের বিপদ।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিচারকরা এজাবৎ সরকারকে বিপাকে ফেলেনি, কয়েকজন বেতাল করলেও মিডিয়া ও সরকারের দক্ষ লোকেরা দক্ষতার সাথেই সামাল দিয়েছে।
ক্ষমতাসিন হাসিনাকে রঙ্গহেডেড বলার পরও হাসিনা সেই বিচারকের বিরুদ্ধে কিছুই করেনি, এতদিনে সবাই ভুলেও গেছে ।
এখন সরকার নিজেই নিজের বিপদ ডাকছে। এই মামলা বিলম্বিত করা বা না চালানোই উচিত ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.