নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে ঘটল, ট্রেজারি ডাকাতি, ইতিহাসের বৃহত্তম ফর্জারি

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮




ট্রেজারি ডাকাতি, ইতিহাসের বৃহত্তম ফর্জ ট্রানজেকশান!
আপাতত কোন কনক্লুসানে আসার মত তথ্য-প্রমান বাইরে আসেনি .. সময়ই সব বলবে ...
১৯৯০ দশকে এদেশের বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলো বৃহৎ লেজার খাতা অপসারন করে ব্যঙ্কিং সফটওয়ার ব্যবহার সুরু করে।
৮০র দশকে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আরব বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৫এর দিকে অনলাইনে আসা সুরু করে, ১৯৯৩তে প্রথম বেক্সি ৩০০, বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমে কাজ সুরু আরপিজি-১ আরপিজি-২ ও আরপিজি-৪০০ এডভান্সড লেবেল ল্যাংগুয়েজে। তখন বেসরকারি ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি তৎকালিন আন্তর্জাতিক মানের ছিল। সেখানে বাইরে থেকে সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব হয়নি। কোন বিপর্যয় হয় নি, সুধু ১৯৯৯এর শেষদিকে Y2k আতঙ্ক ছাড়া। ২০০০ এর সুরুতে চেরনোবিল ভাইরাসে লক্ষ লক্ষ হার্ডডিস্ক মুছে গেলেও কোন ব্যাঙ্ক আক্রান্ত হয়নি।

এখানে আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ ইচ্ছাকৃত ভাবে সদ্যতৈরি ভুয়া ব্যাক্তি একাউন্টে অর্থছাড় করেছে।
ফেড ব্যাক্তিগত একাউন্টে এভাবে টাকা ছাড় নজিরবিহীন।
শ্রীলঙ্কান স্টেটব্যাঙ্ক বিশাল এমাউন্ট দেখে ভুইফোড় সিঙহলি এনজিওটির সদ্য তৈরি একাউন্টে কোন দ্বিধা ছাড়াই “স্টপ পেমেন্ট" করে দিয়েছে
ফিলিপিনো স্টেট ব্যাঙ্কও টাকা প্রদানে হ্যাসিটেট ছিল, পরে টুরিজম ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় টাকা ছাড় করলেও ভুয়া একাউন্ট খোলায় রিজাল ব্যঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, ব্যাঙ্ক ব্যাবস্থাপকক/ভাইস্প্রেসিডেন্টকে বিমান থেকে নামিয়ে পলায়ন বন্ধ করেছে।শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোষ দেগুইতোই অপরাধী নন বলে মনে হয়, মাফিয়াচক্র উইলিয়াম ওং খুনের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলিয়েছে । অনেকের সাথে এ কথাই বলেছেন সিনেটর সার্জি ওসমেনা।


রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার রোড শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোস দিগুইতো

চুরির ঘটনা বুঝতে সময় লেগেছে ৫-৬ দিন, এরপর সবাই চেষ্টা করেছে, প্রথমেই দেশের গরীব নাগরিকদের রক্তঘামে অর্জিত বিশাল আমানতের প্রধান তহবিল রক্ষক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর কাছে সাহায্য চেয়েছে। তারা একটুও সহযোগিতা করেনি। এরপর ৮ই ফেব্রুয়ারি ফিলিপিন্সে ফোনে স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ১৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান নিরুপায় হয়ে অর্থ উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে ব্যাংকো সেন্ট্রাল গভর্নর আমান্দো তেতাঙ্গকো জুনিয়রের কাছে একটি চিঠি লেখেন। তিনি এতে বলেন, আরসিবিসিতে পাঠানো যে সুইফট অর্ডার হয়েছে তা ভুয়া। উনি এই ঘটনা জানার সংগে সংগে আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যাতে আর যাতে কোন টাকা খোয়া না যায়। এবং যে টাকা চলে গিয়াছে সেটা উদ্ধারের জোর চেষ্টা চালিয়েছেন। এবং এই ঘটনা মিডিয়াতে প্রচার হলে কোন লাভ হতনা। বরং বড় ধরনের একটা প্যানিক সৃষ্টি হতে পারতো। এই কারনে উনি চেপে গিয়াছিলেন হয়তোবা।

বাংলাদেশের মত গরীব দেশেও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিঙ্গের মাধ্যমে আন্তএকাউন্ট বা আন্তব্যাঙ্ক লেনদেন করতে প্রথম বার পেমেন্ট করতে অনেকগুলো পর্ব পার হতে হয়, সেম একাউন্টে দ্বিতীয় বা পরবর্তিতে আর সেসব লাগে না, সহযেই করা যায়। কিন্তু প্রথম ট্রানজেক্সানে বেনিফিসারি নেম সেভ করতে পিতামাতার নাম, কোন শাখা, কার্ড নং সর্বশেষ লেন-দেন তথ্য জানতে চাওয়া হয়, ইমেল ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়, উত্তর দিতে দেরি হলে বা ভুল লিখলে একাউন্টই লক হয়ে যায়। কিন্তু এই বিশাল ব্যাঙ্ক ফেড কোন ভেরিফিকেশন বা ফোন করেনি।

বাংলাদেশের সরকারি বিদেশী পেমেন্ট সাধারনত সোনালী জনতা ও অগ্রনীব্যাঙ্কের বৈদেশিক বানিজ্য শাখার মাধ্যমে পরিশোধ করে এছাড়া, HSBC, CITi bank NA তো আছেই। বাংলাদেশে বড় কয়েকটি বিদেশী ব্যাঙ্ক HSBC, CITiBANK NA ইত্যাদি আছে, যারা সুধু করপরেট আন্ত-ব্যাঙ্ক টাকা মুভ করায়। এরা অল্প কয়েকটি সুনির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত বড় কর্পরেট গ্রাহক ছাড়া অন্য কারো সাথে লেনদেন করে না।ভুইফোড় এনজিও বা ব্রিফকেস কম্পানীর একাউন্টে ট্রানজেক্সান এক্সিকিউট কখনোই হবে না, সিস্টেম বারড। আর ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর মত রাষ্টিয় ব্যাঙ্ক সিস্টেম বার নাল। বিশ্বাস করা যায়?
এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?

বাংলাদেশ সরকারি বড় রাষ্ট্রীয় পেমেন্ট আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর মাধ্যমে পরশোধ করে, সর বড় গ্রহিতাই সুপরিচিত যেমন - বৃহত্তম পেমেন্ট দেয়া হয় এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু)র মাধ্যমে। বাংলাদেশ সরকারি বড় রাষ্ট্রীয় কেনা কাটা আকুর গ্যারান্টিতে বাকিতে কিনে, পরে প্রতিমাসে বা দু-তিন মাস অন্তর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু)কে ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে। এটাই বাংলাদেশের বৃহত্তম এককালিন পেমেন্ট যা মাঝে মাঝে ১০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
আর অন্যান্ন বিদেশী রাষ্ট্র, বা রাষ্ট্রিয় মুল্য পরিশোধ তো আছেই, যেমন -

চীন বা রাশীয়ার বাকিতে কেনা অস্ত্রকেনা কিস্তি পরিষোধ
ইরানী বা সৌদি তেল কম্পানীকে মুল্য পরিশোধ
সৌদি তেল কম্পানীকে ফার্নেস ওয়েল কেনার অগ্রিম পেমেন্ট
বিশ্বব্যাঙ্ক, জাইকা এডিবির সুদের কিস্তি পরিশোধ
২০০৯ এ কেনা বোইং জেট বিমান কেনার কিস্তি পরিশোধ
কোরিয়ান রেল কম্পানীর ঋন পরিশোধ।

ফেডের বাংলাদেশী পেমেন্ট রিকোয়েস্ট প্রায় সবই সুপরিচিত বড় গ্রহিতা,
কিন্তু এখানে আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এত সিধা ক্যান? কোথাকার কোন জুয়ারী চিঙ্কু নতুন তৈরি একাউন্টে ডলার চাইলো আর দিয়া দিল। এত বিশাল বিলয়ন ডলার এমাউন্ট চাইল আর ফস করে দিয়া দিল,
মাত্র ১ বিলিয়ন থেকে ২৮ বিলিয়ন ডলারে উত্তির্ন বাংলাদেশের বিশাল রিজার্ভ, দেশের গর্ব আর অহঙ্কারের ব্যাপারটিকে কারা ধ্বংশ করে দেশটিকে পথের ভিকিরি বানাতে চাচ্ছে। কারা?

এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি বলেই আপাতত মনে হচ্ছে। দেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটি অচল করে ফেলাই তাদের মুল কাজ ছিল বলে মনে হচ্ছে। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে এদেশী ব্যাঙ্কের সন্দেহভাজন কেউই পলাতক নেই। আত্নসাতে সরকারি দলের কেউ জরিত বলে মনে হয়না। আপাত এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সন্দেহজনকরা ম্যানিলার জুয়ারী, চীনা মাফিয়াদের সাথে কোন সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে না, তারা ১ মাস সময় পেয়েছিল, ভেগে যেতে। যায় নি।

নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের সাইবার সিক্যুরিটি সিস্টেম নিসন্দেহে পেন্টাগনের চেয়েও উন্নত। তারাই একমাত্র সঠিক টা বলতে পারে, ট্রাঞ্জেকশান টাইমে প্রকৃতই কি হয়েছিল। সেখানে এবং এখানে কারা কারা ছিল? ট্রাঞ্জেকশান পাস কোড বা সুইফট কোড কোন ব্যাক্তি বা ব্যক্তিরা জেনারেট করেছিল? সাধারন টেলিফোনে ম্যানুয়ালী ভেরিফিকেশন করা হয়েছিল কি না? হয়ে থাকলে কনভাসেশন রেকর্ড থাকার কথা। এই রেকর্ড হারিয়ে ফেললেও ফেড ও সুইফটস অফিসে অবস্যই থাকার কথা। ফেড (ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিউইয়র্ক) কেন নিশ্চুপ? কেন সহযোগিতা করছে না?
দেশে বা বিদেশে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা উঠাতে , বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে , এক এ্যাকাউন্ট থেকে আরেক এ্যাকাউন্টে বেশী টাকা ট্রাসফার, এমনকি ক্রেডিট কার্ডে বেশী টাকার বাজার করলে ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে ম্যানুয়াল পারসন টু পারসন ফোন করে বা ভেরিফিকেশন কোডে নিশ্চিত হয় টাকাটা কি আমিই পাঠাচ্ছি/খরচ করছি কি না । এবং যেখানে টাকাটা যাচ্ছে তাকে আমি চিনি কিনা ? এটা ক্রস চেকিং, সারা বিশ্বেই ব্যাঙ্কে এই নিয়ম । আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?
কোথায় কোন ক্যাসিনো না জংগিদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । এমনকি ম্যানিলাতে অবৈধ লন্ডারিং ফাঁস, এরপর ব্যাপক বিতর্ক শৃষ্টি হলেও সে ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো পাচটি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া একটি এ্যাকাউন্টে বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়? শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।


ইতিহাসের বৃহত্তম জালিয়াতির ঘটনার পরও নির্লিপ্ত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুই লাইনের দায়সারা বিবৃতি


একটা ভয়ংঙ্কর ব্যাপার, রিজার্ভ অর্ধেক খালি করার বদমতলব।
আসলে মার্কিন প্রশাসনে সাম্রাজ্যবাদি কোন শক্তিশালি মহল স্টেবল হাসিনা সরকারকে আনস্টেবল করতে বিরুদ্ধে জেনেশুনেই এ ধরনের ফরমায়েসি কান্ড করিয়েছে কিনা তা আমাদের ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। নাকি তারা আমাদের দেশকে তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করছে ? নইলে ফেডারেল ব্যাংক কেন তাদের দায়িত্ব এডিয়ে যাচ্ছে ? বিশ্বের বৃহত্তম ফর্জারি কান্ডে অন্তত নিজেদের দায়মুক্তির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি নিজেদের দেশের নেট বিশেষজ্ঞদের ব্যাবহার করছে না। এত বড় ঘটনার পরও নিজেদের সারভারে খুজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেনা কেন?


ম্যানিলার আদালতে অভিযুক্ত ব্যাঙ্কাররা।

আর সবশেষে আমাদের নিজেদের দোষটাও খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।
কার অপরাধের শাস্তি কে পায়! ডঃ আতিয়ার রহমান ছিলেন এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ট গভর্নর। একজন ক্লিন ব্যক্তি।
লোভ, ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির পেছনে উনি কখনো ছিলেন না, কেউ বলে অপবাদ দিতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ যখন দায়িত্ব নেয় তখন রিজার্ভ ছিল ১ বিলিয়ন। আর ডঃ আতিয়ার রহমানের সুসম পরিচালনায় এখন সেই রিজার্ভ ২৮-২৯ বিলিয়নের ওপর .... সেই রিজার্ভ তিনি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন, এখনই বলা যায় না।

এবারের ইস্যুতে অর্থমন্ত্রীর কথাগুলো একদম অসংলগ্ন। এই হারামির বাচ্চা নিজে জিয়ার প্রডাক্ট, এরশাদের মুত্রপান করেছে পুরো মেয়াদ। সে কোন কালেই আওয়ামীলীগের পক্ষে ছিলনা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ড: কিবরিয়া গ্রেনেডহামলায় নিহত হলে নিরুপায় হাসিনা এই নিমকহারামকে কোষাগারের দায়ীত্ব দেন। এই আবালটা ঘটনার কোন তদন্ত হওয়ার আগেই মিডিয়ার সামনে এসে অতিয়ুর স্যারের বিরুদ্ধে বিষোদঘার করেছেন। অথচ বিনা তথ্যপ্রমানে তাকেই মিডিয়ার সামনে চোর বলছেন। অন্য একদিন এও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো দায় নেই। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’ অর্থাৎ, আগপিছ না জেনেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
এই বানচ্চোত অর্থমন্ত্রী সরকার কে বিপাকে ফেলতে একবার বলেছিলেন, ৪০০০ কোটি কোন টাকাই না। যদি ৪০০০ কোটি টাকা ওনার কাছে কিছুই না হয়ে থাকে, তাহলে মাত্র কয়েকশত কোটি টাকা নিয়ে এত উত্তেজিত হওয়াটা অন্তত ওনার সাজেনা। মনে হয় আগে থেকেই ড. আতিউর রহমান স্যারকে সহ্য করতে পারছিলেননা। এই মাদার োদ মাল এর আগে ব্যক্তিগত ফালতু কারনে শুদখোর ইউনুছের বিরুদ্ধে একহাত নেয়, আর শেখ হাসিনার কান ভারি করে অকারনে খেপিয়ে তুলে। হতে পারে এই শুধখোরটা প্রত্যাশানুরূপ ওনাকে তোয়াজ করে চলছিলেননা। কি দরকার ছিল? সে শুদ খেলেও তো নারীবান্ধব এন্টিফান্ডামেন্টাল পলিসি ছিল তার মুলনীতি, মুলত সে বছকে বছর হাসিনা পলিসি প্রতিষ্ঠা করছিল, আর শুদ কি ইউনুসে একাই খায়? আবেদে সহ আরো শতাধিক মাইক্রোক্রেডিট এনজিও খায় না?



যাই হোক ভবিস্যতে আরো বড় বিপর্যয় সামনে আছে।
তবে আপাত এই টাকাগুলো বাংলাদেশ ফেরত পাবে। সময়ের ব্যাপার সুধু।
ফিলিপিনো স্টেট ব্যাঙ্ক এই বড় টাকা ব্যাক্তিএকাঊন্টে প্রদানে অস্বিকৃতি জানিয়েছিল, পরে ফিলিপিনস টুরিজম ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় করিয়ে নেয় দুর্বৃত্ত্বরা, তবে কোন সমস্যা হলে স্থানীয় ব্যাঙ্ক সমুদয় টাকা ফিরিয়ে দিবে এই শর্তে। বহুল আলোচিত সুন্দরি আরসিবিসি’র জুপিটার স্ট্রিট শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোষ দেগুইতো আদালতে বলেছেন মাফিয়া চক্র খুনের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলিয়েছে এবং অর্থ ছাড় করিয়েছে।
ম্যানিলার কাছে মাকাতি শহরের সিটি প্রসিকিউটর অফিসে ৬ পৃষ্ঠার অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে জালিয়াতি হয়েছে। তারা টাকা উত্তোলন ও অন্যান্য ডকুমেন্ট বানিয়েছে। এসব ভুয়া ডকুমেন্ট বিভিন্ন লোকের তৈরি। এর সঙ্গে ট্রুথ ভেরিফায়ার সিস্টেমের একটি রিপোর্টও জমা দেয়া হয়েছে। এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এরা স্বাক্ষর ভেরিফিকেশন করে থাকে। আরসিবিসি গত ১৭ই মার্চ এ রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিনেটে। ৫ই ফেব্রুয়ারি দুই কোটি পেসো উত্তোলনের যে স্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে তা জাল। ওইদিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আরসিবিসির জুপিটার শাখায় স্থানান্তরিত হয়। এদিনই ওই শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। এ কাজ করতে উইলিয়াম সো গোর নামে ভুয়া ডলার লেনদেনের একটি নতুন একাউন্ট খোলা হয়। তাতেই জমা হয় ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এই অর্থ রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেম মানি একচেঞ্জ পেসোতে রূপান্তরিত করে। তারপর তা অন্যান্য একাউন্টে জমা হয়। এখান থেকে অর্থ চলে যায় ক্যাসিনোতে ‘কৃষ্ণ গহ্বরে’।
এই মামলা চালু থাকলেও অভিযুক্ত স্থানিয় ব্যাঙ্ক ফিলিপিনো স্টেটব্যাঙ্ককে টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য, ব্যঙ্কিং আইনে তাই বলে। ব্যাঙ্ক অর্থ সঙ্কুলান নাহলে বা দিতে ব্যার্থ হলে তার ইনস্যুরেন্স কম্পানী দিবে। সব ব্যার্থ হলেও ফাইনাল রিএসুরেন্স অফিস 'লয়েডস' দিবে। দিতে হবেই।
টাকা ফিরিয়ে দেয়ার পুর্বে বাংলাদেশকে একটি ফর্মাল মামলা করতে বলা হবে। এটাই নিয়ম।
বিশ্বব্যাপি কঠিন মানিলন্ডারিং আইনে অপরের টাকা হজম করা এত সহজ না।

তথ্য সুত্র
ফিলিপিনো দৈনিক দা ইনকোয়ারার।
প্রথম আলো ২০১৬
ফেবু বন্ধুদের স্ট্যাটাস/মন্তব্য।

সুত্র সংযোজন ২১-০৪-২০১৬
তিন মাসের মধ্যে পুরো অর্থ ফেরত দেবে ফিলিপিনস সরকার

তথ্য সংযোজন ০৪-০৫-২০১৬
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে সুইফট ট্রাঞ্জেক্সান রিকোয়েষ্ট, গভীর রাতে ১২টার পর হয়েছে। এত রাতে কোন অফিসারই ব্যাঙ্কে ছিল না, থাকার কথাও না। অর্থাৎ ভিন্ন কৌশলে হ্যাক হয়েছে অবস্যই। ফিলিপিনো তদন্তে হ্যাক হওয়া অর্থে বাংলাদেশের কারও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভের টাকা চুরি ঠেকানো সম্ভব না হলেও, টাকা বেহাত হওয়া থামানো গেছে।
রাষ্ট্র যথা সময়ে ব্যাবস্থা নিতে না পারলেও পরে যোগাযোগ করে প্রয়জনীয় প্রতিনিধী পাঠিয়ে "স্টপ পেমেন্ট" করে টাকা বেহাত হওয়া থামানো গেছে। টাকা আংশিক ফেরত এসেছে, বাকিটা ফিলিপিনস রাষ্ট্রিয় হেফাজতে আছে। হ্যাকিং করে নেয়া সব টাকাই ফিরে আসবে।

রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়টি নিয়ে ১০ মে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এর সাথে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নিউইয়র্ক ফেড ও সুইফটের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই মিটিংটি হবে। বৈঠকে অংশ নিতে ৮ মে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে গভর্নরের। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ওই বৈঠকে অংশ নেবেন।
চুরি যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চুরির ঘটনায় কার কতটুকু কার দায়দায়িত্ব তা নিয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশ মনে করে, এ ঘটনায় নিউইয়র্ক ফেড ও সুইফটের দায় রয়েছে। অন্যদিকে সুইফট ও নিউইয়র্ক ফেড একাধিকবার বলেছে যে তাদের কোনো দায় নেই। দুর্বলতা বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফেড নিউইয়র্ক ও বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফটেরও কিছু দায়দায়িত্ব রয়েছে। একটা চক্রান্ত অবস্যই ছিল। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে সুইফট ট্রাঞ্জেক্সান রিকোয়েষ্ট, গভীর রাতে ১২টার পর হয়েছে। এত রাতে কোন অফিসারই ব্যাঙ্কে ছিল না, থাকার কথাও না। অর্থাৎ ভিন্ন কৌশলে হ্যাক হয়েছে অবস্যই। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে ফিলিপিনো তদন্তে হ্যাক হওয়া অর্থে বাংলাদেশের কারও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা।
রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফেড নিউইয়র্ক ও বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফটের কোন ভাবেই দায় এড়াতে পারে না। রিজার্ভের অর্থ স্থানান্তরে সুইফটের বার্তা ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া আদেশ পাঠানো হয়েছিল, বড় বড় এমাউন্ট চলে যাচ্ছে দেখার পরও ম্যানুয়াল ক্রসচেকিং/ভিরিফিকেশন করে নি।
এই ৩৫টি ট্রাঞ্জেকশান রিকোয়েষ্ট মোট 9.5 বিলিয়ন ডলার (রিজার্ভ প্রায় অর্ধেক খালি করে ফেলার মত ভয়াবহ চক্রান্ত) ৩৫টির ভেতর ৩০টি আদেশ আটকে দিয়েছিল সুইফট। যদি ৩০টি আদেশ আটকানো সম্ভব হয়, তবে প্রথম পাঁচটি আদেশ কেন ছেড়ে দিল সুইফট? কেন আটকানো গেল না? এ ক্ষেত্রে আমানত রক্ষক ফেড নিউইয়র্ক ও সুইফটের গুরুতর গাফলতি ছিল, তারা কোনভাবেই তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।

সংযোজন ১০-০৫-২০১৬
ইচ্ছাকৃত ভাবেই সুইফট নিয়োজিত ঠিকাদার কর্মিরা সার্ভার আপডেট করতে এসে 'হ্যাকিং সুবিধা' স্থাপন করে রেখেছিল।
ডাকাতদের সাথে সুইফট নিয়োজিত ঠিকাদার কর্মিদের সম্পর্ক থাকতেও পারে, কারন পরে ওদের একজন ফিলিপিনো আইটি টেকনিশিয়ান ম্যানিলাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে খুন হয়েছিল।

গত বছর আগস্ট থেকে নভেম্বর। এই চার মাস সুইফটের টেকনিশিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে কাজ করে। সুইফট সার্ভারের সঙ্গে তারা আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) নামে আরেকটি সার্ভারকে সংযুক্ত করে। নিয়ম অনুযায়ী সুইফট সার্ভারে আরেকটি সার্ভার আইপির সংযোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে সেখানে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের একটি আইপির সংযোগ দেয়। এতে সুইফট সার্ভারের সঙ্গে ব্যাংকের ৫ হাজার সাধারণ কম্পিউটারের সংযোগ এক হয়ে যায়। এমনকি ওই সার্ভারে কোনো ধরনের ফায়ার ওয়াল বা ম্যানেজেবল সুইচও বসানো হয়নি। যাবার সময় সেই রিমোট একসেসটি চালু রেখেই চলে যান তারা। এসব কারণে তদন্তকারী সংস্থা বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি বলছে, সুইফটের টেকনিশিয়ানরা এটা ইনটেনশনালি করেছে বলে তাদের মনে হয়েছে।

সুইফট সার্ভার অরক্ষিত রাখার দু’মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিং হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে ইতিমধ্যে সুইফটের ৮ কারিগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে চিঠি দিয়েছে সিআইডি। একই সঙ্গে বিষয়টির বিস্তারিত জানতে সুইফটের প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তার সঙ্গে ব্যাংকের কয়েকজন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শাহ আলম বলেন, "আমরা সুইফটের টেকনিশিয়ানদের মারাত্মক কিছু অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি"।

এই সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সুইফটের কর্মীরা নিজেদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি বলেই দৃশ্যত মনে হচ্ছে। এ কারণে, এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুইফট মেসেজিং ব্যবস্থায় বাইরে থেকে প্রবেশ সহজ হয়ে যায়। সিআইডি সূত্র জানায়, ব্যাংকের সার্ভারে এসব সংযোগ ঘটানোর পর এর দুর্বলতার দিকগুলো যাচাই করার দায় সুইফটের। কিন্তু তারা তা করেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাক অফিস অব দি ডিলিং রুমের যেসব কম্পিউটার থেকে অর্থ ট্রান্সফারের জন্য অটো মেসেজ প্রদান করা হয়, সেসব কম্পিউটারে একটি করে ইলেকট্রনিকস চিপস লাগানো থাকে। সাধারণত দিনের কাজ শেষে সেই চিপস খুলে রাখার কথা। চিপস রাখার জন্য ব্যাংকে আলাদা সুরক্ষিত ভল্টও রয়েছে।
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাক অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুইফটের কারিগররা তাদের চিপস না খোলার পরামর্শ দিয়ে গেছে। এজন্য তারা চিপসটি ২৪ ঘণ্টাই কম্পিউটারে লাগানো অবস্থায় রাখতো। চিপসটি যথাযথভাবে খুলে ভল্টে রাখা হলে অর্থ ট্রান্সফারের জন্য বার্তাটি যেত না। এসব কারণেই তারা সুইফটের কারিগরদের সন্দেহ করছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথম দিকে সুইফট যেমন শক্তভাবে তাদের কোনো অবহেলা বা দুর্বলতা ছিল না বলে জানিয়েছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ধরিয়ে দেয়ার পর তাদের স্বর এখন নরম হয়েছে। এই সন্দেহজনক বিষয়টি জানতে ইতিমধ্যে ৪-৫ জন দক্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বেলজিয়ামে সুইফটের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছেন। সেখানকার টপ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে অর্থ উদ্ধার নিয়ে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান ও সুইফটের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, তারা সন্দেহভাজন হিসেবে সুইফটের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে তারা কেন এমন কাজ করেছে তার একটা জবাব পাওয়া যাবে। এই কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সুইফটের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, সুইফট কর্মীর ভুল বা অবহেলা শনাক্ত করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাক অফিস, ফরেন রিজার্ভ বিভাগ ও আইটি বিভাগের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহেল বাকি বলেন, আমরা কিছু লোকের ইচ্ছাকৃত 'হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্র' তৈরি করে দেয়ার কিছু সূত্র পেয়েছিা।
সুত্র - মানবজমিন ১০-০৫-২০১৬


তথ্য সংযোজন ০৭-০৯-২০১৮

বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে উত্তর কোরিয়ার এক হ্যাকার জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সনি করপোরেশন ও ২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে ‘ওয়ানাক্রাই র‌্যানসমওয়্যার’ সাইবার আক্রমণের দায়ে পার্ক জিন হিয়ক নামে ওই উত্তর কোরীয়র বিচার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির বিচার দপ্তর বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করে বলেছে, পার্ক ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায়ও জড়িত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার দপ্তরকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স এই তথ্য জানানোর পাশাপাশি বলেছে, পার্কের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগ নিলেও নিজেদের এই নাগরিককে উত্তর কোরিয়া বিচারের জন্য ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুই দেশের মধ্যে অপরাধী হস্তান্তরের কোনো চুক্তিও নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের প্রতিক্রিয়া জানতে রয়টার্স জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো উত্তর পায়নি।
ভবিষ্যতে সাইবার আক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যেই আগের ঘটনাগুলোর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ।
পার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি লাজারাস গ্রুপ নামে একটি হ্যাকার দলের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। তাদের লক্ষ্যবস্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে পার্ক যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনে সাইবার আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ইতোমধ্যে পার্ক এবং তিনি যে চীনা কোম্পানিতে কাজ করেন সেই চোসান এক্সপোর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
view this link

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

বিজন রয় বলেছেন: বিরাট পোস্ট।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এডিট করে ছোট করছি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি সারা বিশ্বেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
তবে একটি ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ জরিত ছিলনা, কারন গভীর রাতে ব্যাঙ্কে কেউ থাকার কথা না।
এফবিআই তদন্তে উঃ কোরিয়ার রাষ্ট্রিয় কিছু হ্যাকারের নাম এসেছে, বাংলাদেশের বা ব্যাঙ্কের কারো নাম আসেনি। বাংলাদেশের কেউ জরিত তেমন কোন ইংগিতও করা হয় নি। বাংলাদেশের কেউ লাভবানও হয় নি।
যেভাবে উ.কোরিয়াতে মুদ্রা নিয়ে গেছে টাকা সবটা ক্যাশ করা অসম্ভব।
অর্থাৎ এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারা নিজেরা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি, একটি বিদেশী ফরমায়েসে দেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটি অচল করে ফেলাই তাদের মুল কাজ ছিল।
এটা নিশ্চিতই একটি সাম্রাজ্যবাদি রাজনৈতিক ফরমায়েসেই করেছিল এই হ্যাকিং
একরাতে শতাধিক ট্রাসফার রিকোয়েষ্ট করা হয়েছিল, কিন্তু ভুলভাল ভাবে করায় ৫টি বাদে বাকি গুলো কাজ করেনি।
শত শত ট্রাসফার রিকোয়েষ্ট করে বাংলাদেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটিকে পথের ভিকিরি বানিয়ে ফেলাই তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার মনে হয় পোস্টের ভেতরের কিছু অযাচিত ভাষা যদি আপনি প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে পোস্টটির গ্রহনযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে। ক্ষোভ প্রকাশের জন্য গালি নয়, সাধারন ভাষাতেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা যায়।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পোস্টের ভেতরের কিছু আপাত অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিলাম।
আমি কখনো কাউকে গালি দেইনা, গালি বের হয়ে যাওয়ার জন্য দু:খিত, মুছে দিব।

ভাল থাকবেন কাল্পনিক ভাই, নববিবাহিত জীবন সুখের হউক।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট ছোট করার দরকার নেই হাসান ভাই! তথ্যভিত্তিক পোস্ট এমন বড় হওয়াটা ভাল। যাদের পড়ার দরকার তারা ঠিকই পড়বে, বড় হলেও!

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ, সাহসী সন্তান। সাহসি মন্তব্য করার জন্য।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা ,রিজার্ভ কেলোংকারি ধামাচাপা দেয়ার আরেকটা মুগ্ধ করা কৌশল!!!

আওয়ামী লীগের কৌশলে আবারো মুগ্ধ হলাম!!!

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?
কোথায় কোন ক্যাসিনো না চিঙ্কুদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । এমনকি ম্যানিলাতে অবৈধ লন্ডারিং ফাঁস, এরপর ব্যাপক বিতর্ক শৃষ্টি হলেও সে ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো পাচটি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া এ্যাকাউন্টেও ইতিহাসের বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছে।
এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?
শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।
আসলে মার্কিন প্রশাসনে সাম্রাজ্যবাদি কোন শক্তিশালি মহল স্টেবল হাসিনা সরকারকে আনস্টেবল করতে বিরুদ্ধে জেনেশুনেই এ ধরনের ফরমায়েসি কান্ড করিয়েছে কিনা তা আমাদের ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। নাকি তারা আমাদের দেশকে তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করছে ? নইলে বিশ্বের বৃহত্তম ফর্জারি কান্ডে ফেডারেল ব্যাংক কেন তাদের দায়িত্ব এডিয়ে যাচ্ছে ?

কুশিল ক্যু সবগুলোই ব্যার্থ হওয়াতে এখন আসছে শুশিল ক্যু' কে কোন পদ পাবে সেটারও আয়োজন চলছে ..
শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র অবস্য আগেই সুরু হয়ে গেছে, GSP বাতিল দিয়ে সুরু, এয়ারপোর্ট কালো তালিকা, প্রধান বিচারপতিকে ঘুশ দিয়ে বস কর্রে বড় অচলবস্থা তৈরি, বিদেশী হত্যা ...... আরো বড়টা আসছে।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

হাসান নাঈম বলেছেন: ঘটনা যাই ঘটুক - আমাদের বড় দুর্ভাগ্য যে সংবাদটা পেতে হয়েছে বিদেশী পত্রিকা থেকে।
যদি ঐ পত্রিকা বিষয়টি প্রকাশ না করত - তাহলে হয়ত আমরা কোন দিনও এত বড় জালিয়াতির খবর জানতেই পারতাম না!

কথায় বলে চোরের সাত দিন - গেরোস্থের এক দিন।
একটা জালিয়াতি ধরা পরেছে - এ'রকম আরো কত জালিয়াতি প্রতিনিয়ত হচ্ছে আল্লাহই ভাল জানেন।
হয়ত সেগুলি পরিমানে ছোট, চোরেরা হয়ত সেখানে আরো সাবধান - তাই ধরা পরছে না।
সুতরাং এই ঘটনায় দৃস্টান্তমুলক স্বাস্তির ব্যাবস্থা করা খুবই জরুরী যাতে আর কেউ এপথে যাওয়ার চিন্তাও করতে না পারে।

কিন্তু আমাদের সরকার এবং মুখচেনা বুদ্ধিজীবিরা এক আতিউর রহমানকে বলির পাঠা বিনিয়ে বিষয়টা হালকা করে ফেলতে চাইছে তাতে অপরাধী কেউ ধরাই পরে কী না সেটাই সন্দেহ - দৃস্টান্তমুলক স্বাস্তিতো বহু দুেরের ব্যাপার।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুখের কথার দাম নেই। কাজ কি হচ্ছে, সেটাই দেখার বিষয়।
হলমার্ক, ডেস্টিন্‌ যুবকের হোতারা একনো জেলে আছে। তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
এই তহবিল তসরুপকারিরাও বাঁচবে না।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার মনে হয় পোস্টের ভেতরের কিছু অযাচিত ভাষা যদি আপনি প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে পোস্টটির গ্রহনযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে। ক্ষোভ প্রকাশের জন্য গালি নয়, সাধারন ভাষাতেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা যায়।
সহমত।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

কামের কথা কন!! বলেছেন: আপনার পোস্টে প্লাস

বটম লাইন হল এই টাকা ফেরত চাই আর যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ল্যাংটা করে চাপকানও হোক। এবং সেই বেইমান গুলোর পারসোনাল সম্পদ ক্রক করে তা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রিজার্ভ এর সিকুইরিটি সিস্টেম আরও স্টং করা হোক।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকান ব্যাঙ্ক টাকা ছাড় করলেও ফিলিপিনো স্টেট ব্যাঙ্ক এই বড় টাকা ব্যাক্তিএকাঊন্টে প্রদানে অস্বিকৃতি জানিয়েছিল,
পরে ফিলিপিনস টুরিজম ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় করিয়ে নেয় দুর্বৃত্ত্বরা,
শর্ত হল, কোন সমস্যা হলে স্থানীয় ব্যাঙ্ক সমুদয় টাকা ফিরিয়ে দিবে এই গ্যারান্টিতে।
টাকা ফিরিবেই।
বিশ্বব্যাপি কঠিন মানিলন্ডারিং আইনে অপরের টাকা হজম করা এত সহজ না।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১

রাশেদ রাহাত বলেছেন: ++++++++ দিলাম

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪০

পাকাচুল বলেছেন: এখনো পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের কোন যোগসূত্র খুজে পাওয়া গেল না এই ঘটনার সাথে?

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিম্পি-জামাত ছাড়া দেশে আর কোন অশুভ শক্তি নেই?
ওদের গুরুরা বইসা বইসা আঙ্গুল চুষে?

এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারা নিজেরা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি , আমি নিশ্চিত।
দেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটি অচল করে ফেলাই তাদের মুল কাজ ছিল বলে মনে হচ্ছে।
এরপর আসছে সুয়োমটো। সুপ্রীম কোর্ট এই সরকারকে অবৈধ ঘোষনা করে রুল জারি করবে, সুধু একটা মোক্ষম ক্ষেত্র/সময় খুজছে গুরুরা।

১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: এভাবে বের হওয়ার পরই রাজাকার বান্ধবরা আছে কিভাবে হাসিনার ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা তোলা যায়।

আজকের আমাদের সময় তে বিস্তারিত লিখা আচে কোথা থেকে খোঠায় সে ডলারগুলি গেল
Link for dollar trail

এভাবে বের হওয়ার পরই রাজাকার বান্ধবরা আছে কিভাবে হাসিনার ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা তোলা যায়।

আজকের আমাদের সময় তে বিস্তারিত লিখা আচে কোথা থেকে খোঠায় সে ডলারগুলি গেল
Link for dollar trail

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই পত্রিকায় অনেক কিছু এড়িয়ে গেছে
আন্ত ব্যাঙ্ক যে কোন বড় ফান্ড ট্রাসফার, ক্রসড চেক, বা নগদ বড় লেনদেন কার্যকর হতে কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের অনুমদন লাগে।
সারা বিশ্বেই এই নিয়ম। এনালগ কালেও এই নিয়ম ছিল।
শৃলঙ্কার কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক একটি ফালতু এনজিওতে বিশাল পাহাড় সমান এমাউন্ট ট্রাসফার দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। তারা তাৎক্ষনিক বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয় ভুয়া। তারা সুধু পেমেন্ট বন্ধ করেনি, পুলিশও পাঠিয়েছে । কিন্তু একাউন্ট মালিক খুজে পায় নি।

ফিলিপিন্স কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্কও প্রথমেই টাকা ছাড় করেনি, দ্বিধায় ছিল। পরে সংগবদ্ধ মাফিয়া দল ফিলিপিনো টুরিজম উন্নয়ন ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় করিয়ে নেয় দুর্বৃত্ত্বরা, শর্ত হচ্ছে কোন সমস্যা হলে স্থানীয় ব্যাঙ্ক চাহিবা মাত্র একাউন্টহোল্ডারদের হাজির করবে বা সমুদয় টাকা ফিরিয়ে দিবে।

১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জনগনের অর্থ লোপাটের ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম নয় ! বাংলাদেশে এই নিয়ে দুই দুইবার শেয়ার কেলেঙ্কারীতে, হলমার্ক-ডেসটিনির লুটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে, যার কোনো সুরাহা আজও হয় নি ! কোনো সরকার যদি চোরকে এই ভাবে প্রতিবারই পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় তবে এই রকম লুটপাট চলতেই থাকবে

১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২২

পাকাচুল বলেছেন: লেখক বলেছেন:
এরপর আসছে সুয়োমটো। সুপ্রীম কোর্ট এই সরকারকে অবৈধ ঘোষনা করে রুল জারি করবে, সুধু একটা মোক্ষম ক্ষেত্র/সময় খুজছে গুরুরা।

সুয়োমটো জারি করলেই কি সরকার মানবে? সুয়োমটো তালিম করে কে? সরকার, তাই না?

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশের রিজার্ভ/তহবিল শুন্য
কোন দেশই ভিসা দিচ্ছে না।
একের পর এক খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হচ্ছে, এখন খেলাই বন্ধ।
বৈদেশিক বানিজ্য থেমে আসছে ...
গার্মেন্টস কলকারখানা ধিরে ধিরে বন্ধ হতে হতে ...
বেকার অভুক্ত লোকের সংখা বাড়ছে ...

এরপর সুয়োমটো জারি হলে কি সরকার মানার না মানার কি আছে ... দৌড়ায়াই তো কুল পাইবো না।

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

আরইউ বলেছেন: ভাই থামেন! মনে হচ্ছে কোন দলীয় প্রেসনোট পড়ছি, একতরফা ফালতু কন্সিপিরেসি থিওরি। ১০০/১,০০০/১০,০০০ টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে যান, কোন ভেরিফিকেশন লাগবেনা। বাংলাদেশের যে পরিমান টাকা খোয়া গেছে তা ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংক অব নিউ য়ার্কএর কাছে ঐ ১,০০০/১০,০০০ টাকার মতই, এটা ওদের কাছে কোন বড় এমাউন্ট না।

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: পড়লাম কিন্তু ব্যংকিং বিষয়টা কম বুঝি। :)

২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্যাঙ্কিং আমিও বুঝি না, কলকব্জার মানুষ।
তবে এখানে ষড়যন্ত্র চলছে বুঝা যায়। আমি আমার ধরনাটাই বলছি। তদন্ত শেষ হলে সব জানা যাবে।
ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

আবু শাকিল বলেছেন: পোষ্টে গালি যথার্থ মনে হইছে।
মাল বেটা ইংলিশে গালি দিতে পারলে আমি কেন তাহাকে বাংলায় শালার পুত বলে গালি দিতে পারব না??
গালির জন্য স্যালুট ভাই।
টাকা ফেরত চাই।
বিম্পি,আম্লীগ,জামাত, আতিউর কাওরে চিনি না।
টাকা ফেরত চাই।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টাকা ফেরত আসছে এটি পড়ুন - view this link

১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?

তারা ক্রস চেক করেনি এটা কিভাবে নিশ্চিত? যদি সত্যিই ক্রস চেকিং না করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের লোকজনকে প্যাচানোর কি দরকার? যেহেতু জোহা সাহেবের "ভেতর থেকে ম্যাসেজ গেছে" কথাটা মিথ্যা(?)

আচ্ছা আইটি বিশেষজ্ঞ জোহা সাহেবের কোন খবর পাইছেন?

২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাইত ১২টার পর অন্ধকারের ভেতর কিসের ক্রসচেকিং? জ্বিন-ভুতের সাথে "ভেতর থেকে ম্যাসেজ গেছে"
গভীর রাতে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের অফিসাররা অফিসে বসে থাকে?

এটা যদি বাংলাদেশ না হয়ে ভারত বা দ: কোরিয়া হইতো তাইলে দেখতেন আম্রিকান ব্যাঙ্করে কেমনে থাবড়াইয়া সিধা করে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জোহা আইটি বিশেষজ্ঞ হইলো কবে?
ক্যান্টনমেন্টে ভিতর আবাল কিছু অফিসারের পিসির হার্ডি পরিবর্তন করে উইন্ডোজ লোড দিতে পারলেই আইটি বিশেষজ্ঞ?

সে না জেনেই বেশি কথাবার্তা বলছিল। তবে তাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানাই।

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: এই ট্যাহা দেশে আইব, সময়ের ব্যাপার মাত্র এইডা আপ্নেরে কে কইল? দুই চারটা মানুষের চাকরি যাইব ফিলিপাইনে, এরপর সব ঠান্ডা। কয়জন ৪-৫ বছর জেল খাটতে পারে বড়জোর, ফিলিপাইনের আইন ব্রিটিশরা বানায় নাই রে ভাই, এত কড়া না। ওই ট্যাহা কৃষ্ণগহবরে চইলা গ্যাছে।

চোখে মুখে আপ্নেরা সবকিছুতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সন্ধান পান আর পশ্চিমা, পাকি, জামাতি ষড়যন্ত্র দেখেন। এইবার ক্ষ্যামা দেন ভাই।জালিয়াতিরে জালিয়াতি হিসেবেই দেখেন। যেইখনে কেচোই নাই সেইখানে অজগর খুঁজতে যাইয়েন না। চক্রটা খুব মেধাবী ছিল। তিনদেশের ছুটির হিসাব আর সিস্টেমের দুর্বলতারে ভালই কামে লাগাইছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হইল মেসেজ প্রিন্ট নেয়ার প্রিন্টার আর ওয়ার্ক স্টেশন ঝামেলা করতেছে দেখার পরেও আইটির লোকেগো আত্মা উইড়া যায় নাই। কি অসাধারণ নিয়োগ দিয়া রাখছে ভাই। ডাটা সেন্টার নিয়া অনেকদিন ধইরা কাম করি, সুইফটের ওয়ার্ক স্টেশনের কোনো ব্যাকআপ নাই শুইনাই তো আমি স্পীকার হইয়া গেলাম। এইডা ক্যামনে সম্ভব? পাসওয়ার্ড চেঞ্জ হইছে জানুয়ারিতে। ওরা এমন সেন্সিটিভ সিস্টেমের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করার আর রেগুলার লগ চেক করার সাধারণ ব্যাপারগুলাই তো করে নাই। কারা কাম করে ওইখানে? এইখানে ঘাপলা হইব না তো উগান্ডায় হইব? ওগোর সিস্টেমও নিশ্চয়ই আমাগো চেয়ে ভাল। যখন আপ্নের কাছে প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ আছে তখন আপ্নের সিকিউরিটি আর প্রিভেন্টিভ মেজার তো এই লেভেলের আবাল মার্কা হওনের কথা না।

আতিউর রহমান ঠিক কাম করছিলেন না জানাইয়া। জানাইলে এর তার প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে এমন হইত যে যেই কয়ডা ট্যাহা ফেরত আইছে ওইগুলানও পাওন যাইত না। উনি খালি পিএম রে জানাইতে পারতেন। এক্কেবারে না জানানোটা ভাল হয় নাই।

কন্সপিরেসি থিওরি কপচায়া ফেডারেল রিজার্ভের উপর দষ চাপায়া লাভ নাই। এরপর এম্নে এম্নেই জামাত, আল কায়েদা, ক্লু ক্যাক্স কান, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, শিবসেনার উপর দোষ ট্রান্সফার কইরা দিবেন। ফেডারেল রিজার্ভে প্রতিদিন যত হাজার হাজার রিকয়েস্ট আসে, ওইখানে এই ১-২ কোটি ডলার কোন ব্যাপারই না। ১০ কোটি ডলার কিন্তু একদিনের একই সময়ের একটা রিকোয়েস্টে ট্রান্সফার হইয়া যায়নাই। সুইফট ব্যবহার করার কারণই হইল আন্তঃরাস্ট্রীয় ব্যাঙ্কিংগ দ্রুততর করা। এইখানে ফিরতি কনফার্মেশন দেওয়ার পরেই টাকা ছাড়বে এমন কিছু নাই। আইন দিয়া ফেডারেল রিজার্ভরে ধরতেও পারবে না। দিনে বাংলাদেশেরই এমন অনেক ফান্ড এদিক সেদিক যায়। সরাসরি রিকুয়েস্ট গেলে কনফার্মেশন ম্যান্দেটরি নাকি জিগায়া দেখেন কাউরে। উত্তর হইল, না। আর এই সামান্য ব্যাপারটা মাল সাহেবও জানেন না। এইডারে আমি একটা শিক্ষা হিসেবেই মনে করি।

দয়া কইরা সুফটের সবকিছুর একটা মিরর রাখুক, আইপিএস (ইন্ট্রুশন প্রটেকশন সিস্টেম) অথবা ইউটিএম (ইউনিফাইড থেট ম্যানেজমেন্ট) এর মত এই জমানার বেসিক নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এপ্লায়েন্স গুলাও আছে নাকি কেডা কইব? দুইদিন লাইগা গেছে বুঝতে, প্রিন্ট বাইর করনের লাইগা প্রিন্টার অন করতে। হোয়্যার ডু উই স্ট্যান্ড?

ব্যাপারগুলা হইছে এক যুগ আগের কামের পরিকল্পণা দুইযুগ পরে করার মত। এই দ্যাশে এরলাইগা আর কোনো বিমানবন্দর হইব না, মেট্ররেলে ইন্ডিয়ার দশ বছর আগে চালু হইলেও আম্রা এখনও শুরুই করিনাই। ওগ থাইকাও তো আম্রা ২০ বছর পিছাইয়া রইছি। হোয়্যার ডু উই রিয়েলি স্ট্যান্ড?

২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইডা কি কইলেন?
ফেডারেল রিজার্ভের উপর দুষ চাপায়া লাভ নাই!

ক্যান? দেশের গরীব নাগরিকদের রক্তঘামে অর্জিত বিশাল আমানতের প্রধান তহবিল রক্ষক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’।
আমরা তাকে ফি দিচ্ছি টাকা নিরাপদে রাখার জন্য। আমাদের ভুল হলেও তারা ধরবে, আমানত রক্ষায় ক্লায়েন্ট কে সর্বচ্চ সহযোগিতা দিবে।

১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: আমাদের ভুল হইতেছে সন্দেহ কইরাই তো ওরা জানতে চাইছিল, নাইলে বাকী ট্যাকাও যাইতো।

সুইফটরে নরমাল ব্যাঙ্কিং এর লগে গুলাইয়া ফালাইতেছেন আপ্নে। সুইফট নিজেই একটা অথেন্টিকেশন। এমন না যে একখান চেক লইয়া গেলেন আর ওইডা নিয়া একাউন্টে দেয়া মুবাইল নাম্বারে ফুন কইরা জিগাইল আপ্নেই চেকটা দিছেন নাকি। এইখানে আপ্নে নিজেই কইতাছেন অরে ট্যাকা দিয়া দাও, অলরেডি অথেকটিকেটেড মাধ্যম যা আপ্নে ছাড়া আর কারও কাছে থাকারই কথা না তা দিয়া আপ্নে ইন্সট্রাকশন দিতাছেন, ওইটা ওরা সন্দেহ ছাড়াই ছাইড়া দেয়ার কথা। তাও ভাল সন্দেহ হইছিল, নাইলে পুরাই গেছিল। আবারও কই, অন্যরে দুষ দিয়া লাভ নাই। চ্যাটের বালও ছিড়া যাইব না। নিজের ঘাপলা আম্রা অন্যের উপর চাপাইয়া না দেই, নিজের সিস্টেম ঠিক করি আগে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি না জেনেই কথা বলছেন।

আমি আগেই বলেছি সুইফট সেন্ড কারি কম্পুটার গুলো সা্ধারন উইন্ডোজ পিসি না। উইনিক্স।
একাধিক ব্যাক্তি কয়েকটি টার্মিনালে বসে লম্বা ইউনিক্স কোড লিখতে হয়। ভিন্ন হাইস্পিড লাইন। তবে তাদের বড় ট্রানজেকশনে ম্যানুয়ালি ট্রেজারি ম্যানেজার বা সমপর্যায়ের কাউকে ফোন করে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল।
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে রাত ১২টার পর গভীর অন্ধকারের ভেতর সুইফট কোড এক্সিকিউট হয়েছে। এটা উভয় পক্ষের বক্তব্যে উঠে এসেছে।
এখানে আমানতের প্রধান তহবিল রক্ষক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ চরম দায়িত্ত্বহীন কাজ করেছে সম্মানিত ক্লায়েন্টের স্বার্থ রক্ষা করতে সম্পুর্ন ব্যার্থ হয়েছে।

আর আবাল বাংগালি সব দুষ নিজের ঘাড়ে নিতে চাইতেছে কেন বুঝি না।

১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: আপ্নেই না বুইঝা আবজাব লেখছেন।

সিএসই থিকা গ্রাজুয়েশন করছি বহু বছর আগে। গত দশ বছর ধইরা এই লাইনে। আমারে ইউনিক্স বুঝাইতে হইব না। তাইলে ব্যাপারটা হইয়া যাইব বাপেরে ছো দন কি এইডা বুঝানোর মতন।

লিনাক্স মেশিন হইলেই টার্মিনালে বইসা কমান্ড টাইপ কইরাই সব কাম করতে হইব কেডায় কইছে আপ্নেরে? গ্রাফিকাল মোড দেখছেন নাকি দেখেন নাই? আর সুইফটের মতন হেভি প্যাকেজের কাম কেউ লাইনের পর লাইন খালি টাইপাইয়াই করতাসে, রিকু পাঠাইতাসে, অথেন্টিকেশন জানাইতেছে এইডা ভাবতেই হা হা লু খু গা ঝু গে =p~

আপ্নের পুরা পোস্ট নিয়া পরে আবার আসমু। আমিও বুঝতাছিনা কিছু মাকুন্দা পাব্লিক কিছু হইএই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী হয়া যায় কেন। ঘাপলা হইলে ঘাপলা যাতে আর না হয় ঐ ব্যবস্থা না কইরা ঘাপলা ঘামাচাপা দিতে লুঙ্গি আন্ডি সব খুইলা ঢাকা শুরু কইরা দেয়। দুর্বলতাগুলান এর লাইগাই যেইখানে ছিলো ওইখানেই স্ট্যাটিক হইয়া থাইকা যায়।

২০| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: এখানে আমেরিকান কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ ইচ্ছাকৃত ভাবে সদ্যতৈরি ভুয়া ব্যাক্তি একাউন্টে অর্থছাড় করেছে।


ইচ্ছাকৃতভাবে করছে? রিকুয়েস্ট গেছে কোইত্থিকা? নাকি এই রিকুও ফেড নিজেই পাঠাইছিল বইলা দাবী করবেন? সদ্য তৈরী একাউন্ট ভুয়া নাকি ভুয়া না এইডা ভেরিফাই করার কাম কি ফেডের? ওগো কাম হইল পেমেন্ট ওর্ডার অথবা ট্রান্সফার রিকোয়েস্ট অথেনটিক নাকি এইটা দেখা। আর যেহেতু অথেকটিক মাধ্যমেই ইন্সট্রাকশন গেছে তাই তারা সেইটাই করছে যা তাগো করার কথা। এরপর সন্দেহ হইলে বাকীগুলা আটকাইয়া মেসেজও দিছে যেইটা বাঙালি দেখছে অনেক পরে। আমাগো সিস্টেমও কি ওরাই দেইখা দিব? বুইঝা কথা কন তো?


ফেড ব্যাক্তিগত একাউন্টে এভাবে টাকা ছাড় নজিরবিহীন।


ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা ছাড় নজিরবিহীন এইডা পাইলেন কৈত্থিকা? টাকা পাঠাইতে কইছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ওরা ট্রান্সফার করছে অথেনটিক দেইখাই। ব্যক্তিগত একাউন্টে ক্যান টাকা আইল এত এইডা দেখার কাম নিজ দেশের ব্যাঙ্কের। ওইডা ফিলিপাইনের ব্যাঙ্ক করে নাই। ওইডা ওগো ঘাপলা হইছে যেইটা ধরতে পাইরা সর্বোচ্চ লেভেলের তদন্ত কমিটিও করছে। ফেডের দোষ কই পাইলেন এইখানে?

শ্রীলঙ্কান স্টেটব্যাঙ্ক বিশাল এমাউন্ট দেখে ভুইফোড় সিঙহলি এনজিওটির সদ্য তৈরি একাউন্টে কোন দ্বিধা ছাড়াই “স্টপ পেমেন্ট" করে দিয়েছে। ফিলিপিনো স্টেট ব্যাঙ্কও টাকা প্রদানে হ্যাসিটেট ছিল, পরে টুরিজম ভিত্তিক উদার মুদ্রানীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শর্তযুক্ত আংশিক ছাড় টাকা ছাড় করলেও ভুয়া একাউন্ট খোলায় রিজাল ব্যঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, ব্যাঙ্ক ব্যাবস্থাপকক/ভাইস্প্রেসিডেন্টকে বিমান থেকে নামিয়ে পলায়ন বন্ধ করেছে।শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোষ দেগুইতোই অপরাধী নন বলে মনে হয়, মাফিয়াচক্র উইলিয়াম ওং খুনের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলিয়েছে । অনেকের সাথে এ কথাই বলেছেন সিনেটর সার্জি ওসমেনা।

এইখানেই আসল জায়গায় আইছেন। শ্রীলঙ্কা ঠিক কাম করছে, ফিলিপাইনে জালিয়াতি হইছে ভয় দেখাইয়া আর পরিকল্পিতভাবে। দোষ যদি দেখেন তাইলে ব্যক্তি কিংবা চক্র লেভেলে চইলা যায়। আলটিমেটলি কোন ব্যাঙ্কেরও দোষ দিতে পারবেন না। ধরেন, বাংলাদেশের কোন ব্যাঙ্কের পুরা শাখার ম্যানেজার এবং বাদবাকী কর্মচারী মিইলা কয়েককোটি টাকা নিজ ব্যাঙ্কের ভুয়া চেকের মাধ্যমে ছাড় কইরা দেশ ছাইড়া ভাগল। এইখানে দোষ ব্যাঙ্কের হবে না ওই ব্যক্তি বিশেষের? ব্যাপারটা ওইরকমই হইছে।

২১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৯

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: চুরির ঘটনা বুঝতে সময় লেগেছে ৫-৬ দিন, এরপর সবাই চেষ্টা করেছে, প্রথমেই দেশের গরীব নাগরিকদের রক্তঘামে অর্জিত বিশাল আমানতের প্রধান তহবিল রক্ষক ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক’ এর কাছে সাহায্য চেয়েছে। তারা একটুও সহযোগিতা করেনি। এরপর ৮ই ফেব্রুয়ারি ফিলিপিন্সে ফোনে স্টপ পেমেন্ট অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ১৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান নিরুপায় হয়ে অর্থ উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে ব্যাংকো সেন্ট্রাল গভর্নর আমান্দো তেতাঙ্গকো জুনিয়রের কাছে একটি চিঠি লেখেন। তিনি এতে বলেন, আরসিবিসিতে পাঠানো যে সুইফট অর্ডার হয়েছে তা ভুয়া। উনি এই ঘটনা জানার সংগে সংগে আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যাতে আর যাতে কোন টাকা খোয়া না যায়। এবং যে টাকা চলে গিয়াছে সেটা উদ্ধারের জোর চেষ্টা চালিয়েছেন। এবং এই ঘটনা মিডিয়াতে প্রচার হলে কোন লাভ হতনা। বরং বড় ধরনের একটা প্যানিক সৃষ্টি হতে পারতো। এই কারনে উনি চেপে গিয়াছিলেন হয়তোবা।

বাংলাদেশের মত গরীব দেশেও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিঙ্গের মাধ্যমে আন্তএকাউন্ট বা আন্তব্যাঙ্ক লেনদেন করতে প্রথম বার পেমেন্ট করতে অনেকগুলো পর্ব পার হতে হয়, সেম একাউন্টে দ্বিতীয় বা পরবর্তিতে আর সেসব লাগে না, সহযেই করা যায়। কিন্তু প্রথম ট্রানজেক্সানে বেনিফিসারি নেম সেভ করতে পিতামাতার নাম, কোন শাখা, কার্ড নং সর্বশেষ লেন-দেন তথ্য জানতে চাওয়া হয়, ইমেল ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়, উত্তর দিতে দেরি হলে বা ভুল লিখলে একাউন্টই লক হয়ে যায়। কিন্তু এই বিশাল ব্যাঙ্ক ফেড কোন ভেরিফিকেশন বা ফোন করেনি।


ফেড ব্যাঙ্ক একটূও সহযোগিতা করে নাই এইটা ভুল তথ্য। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক জানলো ক্যামনে তাইলে? আর কোন তথ্য ওদের মাধ্যমে পাইতে গেলে কি কি পাইতে পারেন আপ্নে? ট্রান্সফার রিকোয়েস্ট আর কোথায় আসলেই ট্রান্সফার হইছে সেইটা। সেই সাথে সময় আর আনুসাঙ্গিক কিছু ইনফরএশন। এইগুলা কি জানানো হয়নাই? ব্যাঙ্ক ১ থাইকা ট্রান্সফার হইলো ব্যাঙ্ক ২ তে, ২ থাইকা ৩ আর ৩ থাইকা ৪ এ। ব্যাঙ্ক ২ দেখবেযে একাউন্টে আসছে তা ভ্যালিড কিনা, ১ দেখবে না। ২ এর পাঠানোটা ৩ দেখবে, ৩ এরটা ৪। ফেডের তাইলে ঘাপলাটা কুথায় কন দেখি? ৫-৬ দিন পর চিঠি পাঠাইলেন আরসিবিসি পাঠানো অর্ডার ভুয়া। কিন্তু ওই অর্ডার তো অথেনটিক ছিল। ভুয়া কইতাছেন কারণ পাঠানোর কথা ছিল আপ্নের কিন্তু আপ্নে না পাঠায়া অন্য কেউ পাঠায়া দিছে অগোচরে স্বীকৃত মাধ্যমেই। ওরা জানবে ক্যামনে যে ভুয়া ছিল? এইসব ট্রান্সফারে টাকা চইলা যায় এরপর নির্দিস্ট ব্যাঙ্ক ভেরিফাই কইরা দ্যাখে টাকা ছাড় করা যাইবো নাকি। যথাযথ ডকুমেন্ট কিংবা তথ্য না দিলে টাকা ব্যাঙ্ক ছাড়ে না। এইখানেই হইছে আসল জালিয়াতি। আমিতো যারা এই কাম করছে তাগো স্যালুট জানাই নিখুঁত পরিকল্পনার লিগা। ওরা সিস্টেমে আগেই ঢুইকা বইসা বইসা দেখছে ক্যামনে কি হয়, কি হইলে আটকানোর চান্স নাই যেহেতু সুইফট অটোমেটেড অথেনটিকেশন প্রসেস। তিন দেশের সরকারী ছুটির ফায়দা নিছে সব ব্যাঙ্কের যেকোন একশন যাতে বাধ্যতামুলকভাবে দেরী করান যায়। এরপর ফিলিপাইনের দুর্বল ব্যবস্থার ফায়দা লইছে। যেইখানে টাকা দিয়া সিস্টেম করা গেছে করছে আর প্রয়োজনে জানের ভয় দেখাইছে। কাহিনীতে সব এলিমেন্ট আছে। হলিউডি সিনেমা হয়া যাইব। দেখবেন ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যানের মতন সিনেমা বাইর হইয়া গেছে। সেই সুবাদে বাংলাদেশের নাম জানব সবাই।

আতিয়ার সাহেবের সততা নিয়া কুনু সন্দেহ নাই। তয় উনি রাস্ট্রীয় শক্তির সুবিধা লইতে পারতেন। পিএম এর লগে যেহেতু উনার ডাইরেক্ট এক্সেস আছে উনি তারে জানাইয়া আরেকটু আগে কিছু করলেও করতে পারতেন। কিন্তু তাইলেও ফলাফল একই থাকত মনে হয়। কারন ট্যাকা ওই অল্প কয়দিনেই হারায়া গেছিলো। আর উনিও কইলাম ফেডের লগে আর বার্তা কথা চালাচালি করেন নাই। ক্যান করেন নাই? কারণ উনি জানেন ওগো দিয়া কিছু করনের নাই। যা করতে পারবে ফিলিপাইন আর অন্য কুনু ব্যাঙ্কে যদি যাইয়া থাকে তারা।

২২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: এত বিশাল বিলয়ন ডলার এমাউন্ট চাইল আর ফস করে দিয়া দিল,

বিলিয়ন কততে হয় জানেন তো?

২৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

জেব্রা মাস্টার বলেছেন: দেশে বা বিদেশে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা উঠাতে , বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে , এক এ্যাকাউন্ট থেকে আরেক এ্যাকাউন্টে বেশী টাকা ট্রাসফার, এমনকি ক্রেডিট কার্ডে বেশী টাকার বাজার করলে ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে ম্যানুয়াল পারসন টু পারসন ফোন করে নিশ্চিত হয় টাকাটা কি আমিই পাঠাচ্ছি/খরচ করছি কি না । এবং যেখানে টাকাটা যাচ্ছে তাকে আমি চিনি কিনা ? এটা ক্রস চেকিং, সারা বিশ্বেই ব্যাঙ্কে এই নিয়ম । আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?

কোথায় কোন ক্যাসিনো না জংগিদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । এমনকি ম্যানিলাতে অবৈধ লন্ডারিং ফাঁস, এরপর ব্যাপক বিতর্ক শৃষ্টি হলেও সে ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো পাচটি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া এ্যাকাউন্টেও ইতিহাসের বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়? শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।


আবার কইলাম, নির্দেশটা যখন আপ্নেই দিছেন তখন স্বাভাবিক প্রসিডিউরে আপ্নেরেই জিগানোর কথা না যে আপ্নেই পাঠাইছেন নাকি। অথেনটিকেশনটা যেহেতু অটোমেটেড এবং আপ্নের হাতেই, তাইলে ২,৪,৫ মিলিয়নের মত সামান্য এমাউন্টের জন্য সন্দেহ না হইলে আটকানোর কথা না। যখন সন্দেহ হইছে তখনই জানতে চাইছে। নাইলে বাকী ৩০ টা রিকুও মিট কইরা দিত।

শ্রীলঙ্কার ভুয়া একুন্টে ইতিহাসের বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠাইয়া দিছে! ১-২ কোটি ডলার রে আপ্নের ইতিহাসের বৃহত্তম এমাউন্ট মনে হয়? ইতিহাস কি নিজে বানাইতাছেন নাকি মিয়া?

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে সুইফট ট্রাঞ্জেক্সান রিকোয়েষ্ট, গভীর রাতে ১২টার পর হয়েছে। এত রাতে কোন অফিসারই ব্যাঙ্কে ছিল না, থাকার কথাও না। অর্থাৎ ভিন্ন কৌশলে হ্যাক হয়েছে অবস্যই। ফিলিপিনো তদন্তে হ্যাক হওয়া অর্থে বাংলাদেশের কারও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলনা।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভের টাকা চুরি ঠেকানো সম্ভব না হলেও, টাকা বেহাত হওয়া থামানো গেছে।
রাষ্ট্র যথা সময়ে ব্যাবস্থা নিতে না পারলেও পরে যোগাযোগ করে প্রয়জনীয় প্রতিনিধী পাঠিয়ে "স্টপ পেমেন্ট" করে টাকা বেহাত হওয়া থামানো গেছে। টাকা আংশিক ফেরত এসেছে, বাকিটা ফিলিপিনস রাষ্ট্রিয় হেফাজতে আছে। সব টাকাই ফিয়ে আসবে।
এক পয়শাও বেহাত হবে না। নিশ্চিত থাকেন।

২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩২

খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন

জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২

আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।


মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।

নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।

২৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিএনবিসি, ওয়াশিংটন। ২-জুন-২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ডলার লোপাটের ঘটনায় 'ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক' এর ভুমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি।
ওই অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে নিউ ইয়র্ক ফেড কিভাবে কাজ করেছিল তা খতিয়ে দেখবে প্রতিনিধি পরিষদের সায়েন্স কমিটি। এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডাডলির কাছে একটি চিঠি পাঠান হাউজ সায়েন্স কমিটির চেয়ারমেন লামার স্মিথ। এতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট সংক্রান্ত ‘সকল নথিপত্র ও বার্তা আদান-প্রদানের দলিল’ চেয়ে পাঠিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক ফেড সুইফট সিস্টেমের ওপর কি ধরনের পর্যবেক্ষণ করেছে সেটাও জানতে চেয়েছে কমিটি। এছাড়াও, নিউ ইয়র্ক ফেডের নিজস্ব তদন্তের অগ্রগতি জানতে একটি ব্রিফিংয়ের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ফেডের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কোনো পর্যালোচনা হয়ে থাকলে সে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে। ১৪ই জুন অপরাহ্নের মধ্যে এসব নথিপত্র দাখিলের সময় বেঁধে দিয়েছে হাউজ কমিটি।

০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের জেনারেল কাউন্সেল টমাস ব্যাক্সটার নিউ ইয়র্কের ডেমোক্রেট দলীয় কংগ্রেস উইমেন মিজ ক্যারোলিন মেলোনিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারিতে যখন সাইবার চোরদের কাছে অর্থ পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে তারা অনুরোধ পেয়েছিল, এরপর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ও ৫ই ফেব্রুয়ারি উভয় দিনে এর উদ্দেশ্য জানতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কোন জবাব এসেছিল কিনা তা বলে নি ফেড।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মেলোনি এবং টম কারপার, মার্কিন সিনেট হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির শীর্ষ এই ডেমোক্রাটরা ইতিমধ্যে নিউ ইয়র্ক ফেডের কাছে নানা বিষয় জানতে চেয়েছেন। এ সপ্তাহে দি হাউস সায়েন্স কমিটি ফেডকে এক পত্রে জানিয়েছে যে তারা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ফেব্রুয়ারির যে তারিখে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে সেদিনটিতেই নিউ ইয়র্ক ফেড প্রাথমিকভাবে এ ধরনের ৩৫টি জাল অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই তথ্য নিউ ইয়র্ক ফেডের একজন রয়টার্সের কাছে স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ফেড কেন পরে ওই ধরনের অনুরোধের ৫ টিতে সাড়া দিয়েছিল, কোন সন্তোষজনক জবাব এখনো দেয় নি

২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

রাফা বলেছেন: টাকা সরানোটা মূল কাজ নয়।হাসিনার সরকারের বারোটা বাজানোই মূল উদ্দেশ্য ছিলো।

আতিউর রহমানের উচিত ছিলো ব্যাপারটা জানার সাথে সাথে হাসিনাকে ইনফর্ম করে একটা সরকারি প্রেসনোট দেওয়া সবার জন্য।সাধারণ মানুষের টাকা ,তাই তাদের জানার অধিকার অবশ্যই আছে।স্বচ্ছতার জন্য এখন আর সংবাদ গোপন রাখার যুগ নয় এটা।এমনকি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জনিত কোন ঘটণাও নয় এটা।উনি ভুল করার মাশুল দিয়েছেন।

আর আমাদের অর্থমন্ত্রী এতটাই অথর্ব কি বলতে হবে আর কি বলতে হবেনা সেটাই জানেন না তিনি।

পোষ্ট ভালো হইছে,ধন্যবাদ।

২৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এফবিআই তদন্তে উঃ কোরিয়ার রাষ্ট্রিয় কিছু হ্যাকারের নাম এসেছিল, বাংলাদেশের বা ব্যাঙ্কের কারো নাম আসেনি।
বাংলাদেশের কেউ জরিত তেমন কোন ইংগিতও করা হয় নি। বাংলাদেশের কেউ লাভবানও হয় নি।

রয়টার তখন খবর করেছিল - এফবিআই তদন্ত রিপোর্টে "রিজার্ভ চুরিতে একটি রাষ্ট্র তথা উঃ কোরিয়া জরিত"
কিন্তু বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো চতুরতার সাথে হেডলাইন করেছিল - "রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্র জরিত" - এফবিআই রিপোর্ট
ভেতরের খবরে অবস্য ছোট করে লেখা এফবিআই তদন্তে উঃ কোরিয়ার রাষ্ট্র জরিত।
হাস্যকর ভাবে পত্রিকার হেডলাইন দেখেই রিজভি সাহেব সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসেছিলেন।

সুইফট ও ফেডের সে দিনের ভুমিকা রহস্যময়।
'ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক' এর সেই ভুমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি।
তদন্তে জানা গেছিল ফেব্রুয়ারির যে তারিখে (৪ ফেব্রুয়ারী) টাকা চুরির ঘটনা যখন ঘটে তখন বাংলাদেশে গভীর রাত। কম্পিউটার রুমে কেউ থাকার কথা না। চোরাই পাসওয়ার্ডে উঃ কোরিয়া থেকে সে সময়টিতেই নিউ ইয়র্ক ফেড দেড় শতাধিক সুইফট কোডে ট্রাঞ্জেকশান অনুরোধ পেয়েছিল। সব রিকওয়েষ্ট কার্যকর হলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যেত।
প্রাথমিকভাবে এ ধরনের প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হয়েছিল, কারন ভেরিফিকেশন তথ্যে অমিল পাওয়ায়।
পরের ৫ টি রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়াতে টাকা ছাড় হয়েছিল।
এরপর বাকি আরো শতাধিক রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়ার পরও টাকা দেয় নি, মানে শাটডাউন করেছিল। অতচ মাঝের ৫টিতে টাকা ছেড়ে দিল। কেন দিল? কোন জবাব নেই।

প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরইতো সকল একাউন্ট ট্রাঞ্জাকশান বন্ধ করে দেয়ার কথা। বা অটো শাটডাউন হওয়ার কথা।

কেন দিল জবাব নেই সুইফটটের ও ফেডের! দায়িত্বহীন অবহেলা দেখে মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্যকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছিল।

২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শেখ আনোয়ার (অফিসার- বিআইবিএম)
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিং। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। জানা যায়, এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার কয়েকটি হিসাব থেকে চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে। পরে ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। বাকি দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ডলার আরসিবিসির ট্রেজারিতে এবং অর্থ উদ্ধারে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, দৈনিক প্রথম আলো) প্রথম পৃষ্ঠায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অদক্ষতা ও অবহেলায় অর্থ চুরি’ শিরোনামে, সরকারি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির ‘অপ্রকাশিত’ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যা বিভ্রান্তিকর।

কারণ, এফবিআইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা রিজার্ভ হ্যাকিংয়ে বাংলাদেশের কারও যুক্ত না থাকার কথা বার বার বলা হলেও প্রতিবেদনে তা গোপন করা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে রিজার্ভ হ্যাকিংয়ে যুক্ত থাকা উত্তর কোরিয়া ভিত্তিক তিনটি হ্যাকিং গ্রুপের ওপর সর্বশেষ যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে, সে তথ্যটিও প্রতিবেদনে নেই। ওয়াকিবহাল সূত্র মতে, রিজার্ভ হ্যাকিং নিয়ে জনমানুষের মনে সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসা রয়েছে: যথা, সাবেক গভর্নর বিষয়টি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কেবল প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং সরকারিভাবে হলমার্কের মতো প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি ফাঁস কেন করেননি? তিনি কি সময়ক্ষেপণ করে হ্যাকারদের পালাতে সাহায্য করেছেন? থানায় কেন মামলা করেননি? ইত্যাদি।

জবাবের আগে গুরুত্বপূর্ণ মজার একটি তথ্য জেনে রাখা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি উঁচুমানের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট গভার্নেন্সের নিয়ম-নীতি যথাযথ দক্ষতায় অনুসরণ ও প্রয়োগ করা হয়। ২০০৩ সালের আইনে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যাতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিধি মোতাবেক এই প্রতিষ্ঠান সরকারের অংশ নয়। তাই হ্যাকিংয়ের ঘটনা জানা মাত্রই প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে নিজস্ব উদ্যোগ ও উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় সময় ব্যায় করতেই পারেন। এদিক থেকে বলা যায়, সরকারকে তাৎক্ষণিক জানানোর বাধ্য-বাধকতার অবকাশ নেই। সাবেক গভর্নর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রয়োজনীয় হয়রানির হাত থেকে বাঁচাতে স্বভাব সুলভ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। কারণ রিজার্ভ হ্যাকিংয়ে সংশ্লিষ্ট ফেডারেল রিজার্ভ। ফৌজদারী চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাসীর মতো মামুলি ঘটনা না হওয়ায় স্থানীয় থানা-পুলিশের পক্ষে আদৌ তাৎক্ষণিক কিছু করা কি সম্ভব ছিলো? সময়ের বিবর্তনে বিষয়টি সত্য ও নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। সাবেক গভর্নর একা চাপ নিয়ে তাঁর নিরাপরাধ কর্মীদের বাঁচিয়েছেন। যাতে তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে। তার স্থলে অন্য কেউ হলে ঠিকই কর্মকর্তাদের কাউকে ফাঁসিয়ে নিজে বেঁচে যেতেন। অথচ তিনি শুরু থেকেই আতঙ্ক না ছড়িয়ে, ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে বিরোধে না গিয়ে, যৌথভাবে কাজ করে অর্থ উদ্ধারের কৌশল অবলম্বন করেন। ফিলিপাইন সরকারের অনুরোধ, অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি এবং জুয়াড়িদের নির্বিঘ্ন গ্রেপ্তার নিরাপদ করার জন্য গোপনীয়তা অত্যাবশ্যক ছিল। না হলে অপরাধীরা সতর্ক হয়ে পালাতে পারতো। এই কৌশলগত গোপনীয়তা রক্ষার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ধরা পড়ে হ্যাকার। হ্যাকড অর্থের একটি অংশ ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়। সাবেক গভর্নর নিজে বহুবার এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা গণমাধ্যমে দেয়ার পরও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সত্যিই হতাশাজনক।

এ কথা স্বীকার করতেই হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চৌকস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিযাত্রার অন্যতম অগ্রপথিক। তার সাফল্য বিশ্বজোড়া। গভর্নর থাকাকালে ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তি’র মাধ্যমে উন্নয়নের বাস্তবভিত্তিক দুরন্ত এবং দুর্দান্ত সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবায় এনে তার উদ্ভাবনী শক্তির অনন্য স্বাক্ষর রাখেন। তার কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ অর্থনীতি, সবুজ বিপ্লব বা গ্রিন ব্যাংকিং, স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য তার প্রোডাক্ট স্কুল ব্যাংকিং (বর্তমানে জমা ১,৪৯৪ কোটি টাকা), ছাড়াও ১০ টাকার অ্যাকাউন্ট, নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ, নতুন উদ্যোক্তাদের এসএমই ঋণ, সিএসআর ইত্যাদি নামে ব্যাংকিং সেক্টরের চলমান শত শত সফল ও সৃজনশীল প্রোডাক্ট আর্থিক সেক্টরকে সমৃদ্ধ করেছে।

তার সময়ে প্রবর্তিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কথাই ধরা যাক। যার গ্রাহক এখন ৫ কোটি ২৬ লাখ। দেশে প্রতিদিন ১,২০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয় শুধু এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। ঠিক একইভাবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থান ও সেবা প্রাপ্তির এক অনন্য নজির স্থাপিত হয়। সাবেক গভর্নরের ইতিবাচক কর্মের ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। সার্বিক অর্থনীতি, ব্যাংকিং সেক্টর, আমানত সংগ্রহ, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হয়ে যায়। মোট আমানতের পরিমাণ বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয় এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়। ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে প্রায় আড়াই হাজার নতুন শাখা খোলে। এক কথায় নীরব অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটে যায়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার সময় দেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার। তার আমলে ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। চাট্রিখানি কথা? এসবই তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে। শুধু কি তাই? মানবিক ব্যাংকিংয়ের জীবন্ত কিংবদন্তী ড. আতিউর রহমান ‘সিএসআর’ নামে ব্যাংকিং খাতের অর্জিত মুনাফার একটি অংশ জনকল্যাণে ব্যয় করার কড়াকড়ি নিয়ম চালু করেন। ফলে আজ ব্যাংকগুলোর স্কলারশিপ নিয়ে গ্রামগঞ্জের হাজার হাজার সুবিধা বঞ্চিত, দরিদ্র শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। যা বাংলাদেশে তো নয়ই, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এর আগে ঘটেনি। তার একনিষ্ঠ প্রায়োগিক প্রচেষ্টায় ব্যাংকিং সেক্টর দ্রুত আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির (বিকাশ, ক্রেডিট কার্ড, এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ইত্যাদি) সফল রূপান্তর ঘটে। ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার ঘটার পর, প্রযুক্তির নতুন বিপত্তি– সাইবার হ্যাকিংয়ের ট্র্যাজেডির শিকার হন গুণী ও মেধাবী এই মানুষ। এ ব্যাপারে অর্থনীতির নিবিড় বিশ্লেষক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ-এর খোলামত : ‘আমার পর্যবেক্ষণ হলো, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির খুব দ্রুত ও ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বলা হয়, যে বিষয় যত দ্রুত সম্প্রসারণ হয়, তাতে তত বেশি গলদ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়। আমাদের দেশেও তাই হয়েছে। এক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির উন্নতির পাশাপাশি এর ব্যবস্থাপনা ও নজরদারিতে পেশাগতভাবে উচ্চতর দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে যদি নিয়োজিত করা না যায়, তাতে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।’ (সমকাল: চৈত্র ১৪২২, তদন্তের আগে বেফাঁস মন্তব্য ঠিক নয়: সাক্ষাতকারে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ)। তিনিও পত্রিকাটির সাম্প্রতিক ওই প্রতিবেদনকে ‘দুর্বল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে বিব্রত ব্যাংকিং সেক্টরের পেশাদার ব্যক্তিবর্গ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করে জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত নয় যেটা এফবিআই এর তদন্ত রিপোর্টে এসেছে। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের রিপোর্টেই রয়েছে যে, ফেড নিয়ম না মেনেই ট্রানজেকশন ক্লিয়ার করেছে, যেটা অনুচিত ছিল। তার মানে কী? দুর্বলতা ছিল ফেডের। ফিলিপিনের রিজাল ব্যাংকে এতগুলো টাকা গেল, যেটা ধরা পড়লো না? এর মানে কী? ওই ব্যাংকের দুর্বলতা ছিল। সেজন্য তাদের শাস্তিও হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংক এ ক্ষেত্রে ভিক্টিম। দায়ী নয়।

কর্মকর্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ছোট করতে পারেন না।’

ব্যাংকারদের অভিমত, ‘সাইবার হ্যাকিংয়ের পর সাবেক গভর্নরের পদত্যাগ করা নিতান্তই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি যদি সে সময় পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক না ছাড়তেন তাহলে রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের সমস্ত অর্থ তিনি ঠিকই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হতেন। বিলম্বে হলেও সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক তার দেখানো পথে হেঁটে সফলভাবে ১৫ মিলিয়ন অর্থ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়।’

সমালোচকদের মতে, ড. আতিউর রহমানের বড় অপরাধ প্রগাঢ় দেশপ্রেম। দেশের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে তাঁর অনমনীয় ভূমিকা বাংলাদেশের মানুষ এর আগেও দেখেছে। বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অসত্য ধুয়ো তুলে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নে অসম্মতি জানায় এবং সরকারের শীর্ষস্থানীয় মহল থেকে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাংকের অর্থ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব’; তখন সাবেক এই গভর্নরই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে দৃঢ়কণ্ঠে উচ্চারণ করেন, ‘আমাদের নিজস্ব অর্থায়নেই এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব।’ ড. আতিউর রহমানের আরও বড় অপরাধ, নিঃশর্ত সততা, পেশাদারিত্ব এবং প্রশাসনিক গুণাবলী। অর্থাৎ তিনি শুধু নিজে সৎ তা কিন্তু নয়। তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং শুভানুধ্যায়ীদের সততার ব্যাপারে বরাবরই তিনি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে। ফলে তার কার্যকালে তার নাম ব্যবহার করে কেউ বাংলাদেশ ব্যাংক তো দূরের কথা, বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তার, দালালি, ঘুষ-দুর্নীতি ইত্যাদি করেছে এমন বদনাম আজ পর্যন্ত তাঁর ঘোরতর শত্রুরাও দিতে পারেনি। তাঁর সৃজনশীল উদ্ভাবনী আইডিয়া, সহজাত নেতৃত্বগুণ, গণমুখী চরিত্র এবং জনসংযোগের কারণে এখনো তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশি-বিদেশী গণমাধ্যম, লেখক, কবি-সাহিত্যিক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ের নীতি-নির্ধারক এবং জাতিসংঘের অর্থ বিভাগের সঙ্গে তার রয়েছে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকিং সেক্টরে তার উদ্ভাবনীমূলক নানামুখী ভূমিকা প্রতিদ্বন্ধীদের হৃদয়-মন ও মস্তিষ্কে প্রতিহিংসার আগুন জ্বেলে দেয়। তাছাড়া পদ্মা সেতু বিষয়ে তার প্রস্তাবনা, নীতি তৎকালীন সময়ে বিশ্বব্যাংকের প্রভাব বিস্তারকারী, অনুগত সংশ্লিষ্ট মহলকে অসন্তুষ্ট করেছিলো। আর তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ জোট গড়ে উঠে। পরবর্তীতে এ জোটই তার সমালোচনায় মুখর এবং তার পদত্যাগে উল্লসিত হয়ে বড় বড় চক্রান্তের জাল তৈরি করে এবং দৈব দুর্ঘটনার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে।’

এদিকে পত্রিকাটির প্রতিবেদন নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানামুখী প্রশ্ন। সরকারীভাবে প্রকাশের আগে আগ বাড়িয়ে কেবলমাত্র ওই পত্রিকায় প্রকাশের উদ্দেশ্যই বা কি? নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে দূরভিসন্ধিমূলক ও দেশদ্রোহী কর্মতৎপরতার অংশ হিসেবে দেখছেন। কে না জানে, ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের ব্যক্তিত্বের সংঘাত দীর্ঘদিনের। জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা এম শহিদুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন: ‘তদন্ত কমিটির সঙ্গে ড. আতিউর রহমানের কিছু ব্যক্তিগত সংঘাতের কারণে উদ্ভূত রিপোর্টে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে ফিলিপাইনে যে মামলা রয়েছে তা দুর্বল হয়ে যাবে।’ আইন বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য: ‘এধরনের খবর বিচারাধীন মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম, এতে চুরি যাওয়া বাকি অর্থ ফেরত পেতেও সমস্যা হতে পারে।’ প্রখ্যাত সাংবাদিক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবদুল কাদিরের পুত্র নাদিম কাদির বলেন, ‘এর আগেও শ্রেণিবদ্ধ সরকারি দলিল ফাঁসে যারা জড়িত তারা এখনো দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে এভাবেই কাজ করছে। ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের যেখানে এই চুরির অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, সেখানে এই রিপোর্ট ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্ক রয়েছে কীনা তদন্ত করে দেখা দরকার।’ সাবেক সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তদন্ত রিপোর্ট ফাঁসের সঙ্গে জড়িতরা দেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন-অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতার পরিপন্থী কাজ করেছেন। এ ধরণের রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চয়ই যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন কমিটির রিপোর্ট বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রতিবেদনের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।’ উল্লেখ্য, বেশ ক’টি মামলায় লন্ডনে পলাতক, সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের জন্য ড. আতিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশিষ্ট্য প্রকৌশলী, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ী করে ভিত্তিহীন গুজব, মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/57926

২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি সারা বিশ্বেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
তবে একটি ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ জরিত ছিলনা, কারন গভীর রাতে ব্যাঙ্কে কেউ থাকার কথা না।
এফবিআই তদন্তে উঃ কোরিয়ার রাষ্ট্রিয় কিছু হ্যাকারের নাম এসেছে, বাংলাদেশের বা ব্যাঙ্কের কারো নাম আসেনি। বাংলাদেশের কেউ জরিত তেমন কোন ইংগিতও করা হয় নি। বাংলাদেশের কেউ লাভবানও হয় নি।

রয়টার তখন স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করে খবর করেছিল - এফবিআই তদন্ত রিপোর্টে "রিজার্ভ চুরিতে একটি রাষ্ট্র তথা উঃ কোরিয়া জরিত"
কিন্তু প্রথমআলো সহ কয়েকটি কাগজ চতুরতার সাথে হেডলাইন করেছিল - "রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্র জরিত" - পত্রিকার ভেতর এমন ভাবে এটা সেটা কাহিনী তুলে বিশাল লম্বা রিপোর্ট ..ভাল ভাবে না পড়লে বোঝার উপায় নেই যে রাষ্ট্রটি বাংলাদেশ না উত্তর কোরিয়া।




হাস্যকর ভাবে প্রথমআলোর এই হেডলাইন দেখেই রিজভি সাহেব সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসেছিলেন।

'ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক' এর সেই ভুমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি।
তদন্তে জানা গেছিল ফেব্রুয়ারির যে তারিখে (৪ ফেব্রুয়ারী) টাকা চুরির ঘটনা যখন ঘটে তখন বাংলাদেশে গভীর রাত। কম্পিউটার রুমে কেউ থাকার কথা না। সে সময়টিতেই নিউ ইয়র্ক ফেড বাংলাদেশ থেকে দেড় শতাধিক সুইফট কোডে ট্রাঞ্জেকশান অনুরোধ পেয়েছিল। সব রিকওয়েষ্ট কার্যকর হলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যেত।
প্রাথমিকভাবে এ ধরনের প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হয়েছিল, কারন ভেরিফিকেশন তথ্যে অমিল পাওয়ায়।
পরের ৫ টি রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়াতে টাকা ছাড় হয়েছিল। এরপর শতাধিক রিকোয়েষ্টে কাজ হয় নি, নিরাপত্তা অটোলক এক্টিভ হওয়ার কারনে। কিন্তু মাঝের ৫ টি ট্রাঞ্জ্যাকশান কেন ছাড় দিল? কোন জবাব দিতে পারেনি ফেড ও সুইফট

প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরইতো সকল একাউন্ট ট্রাঞ্জাকশান বন্ধ করে দেয়ার কথা। বা অটো শাটডাউন হওয়ার কথা।
এরপর বাকি আরো শতাধিক রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়ার পরও টাকা দেয় নি, মানে শাটডাউন করেছিল। অতচ মাঝের ৫টিতে দিল।
কেন দিল জবাব নেই সুইফটটের ও ফেডের! দায়িত্বহীন অবহেলা দেখে মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্যকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।


কোথাকার কোন ক্যাসিনো না চিঙ্কুদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা একাউন্ট হোল্ডার ভেরিফাইড কি না তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । সেই ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো ২টি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া এ্যাকাউন্টেও বিশাল দুটি এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছিল।
এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?
শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।
পরে এফবিআই কিছু তদন্তে জানা যায় চুরি যাওয়া টাকার ফাইনাল ডেষ্টিনেশন ম্যানিলার জুয়ার ক্যাসিনো হয়ে উ.কোরিয়া।
এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ লাভবান হয়নি, ইলেকট্রনিক মানি, তাই উত্তর কোরিয়ারও কেউ লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।

এটা নিশ্চিতই রাজনৈতিক ফরমায়েসেই করেছিল এই হ্যাকিং
একরাতে শতাধিক ট্রাসফার রিকোয়েষ্ট করে বাংলাদেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটিকে পথের ভিকিরি বানিয়ে ফেলাই তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল।
আসলে তৎকালিন মার্কিন প্রশাসনের একটি শক্তিশালি মহল স্টেবল সরকারকে আনস্টেবল করে পতন ঘটাতেই সুপরিকল্পিত ভাবে ভেনিজুয়েলার মত তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে বাংলাদেশে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করেছিল কুচক্রিরা।

বাংলাদেশ মার্কিন আদালতে অলরেডি একটি অর্থ মামলা দায়ের করেছে। ক্ষতিপুরন সহ বাকি টাকা ফেরত না পাওয়ার কোন কারন নেই।

২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যেভাবে উ.কোরিয়াতে মুদ্রা নিয়ে গেছে টাকা সবটা ক্যাশ করা অসম্ভব।
অর্থাৎ এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারা নিজেরা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি, একটি ফরমায়েসে দেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটি অচল করে ফেলাই তাদের মুল কাজ ছিল।
এটা নিশ্চিতই একটি সাম্রাজ্যবাদি রাজনৈতিক ফরমায়েসেই করেছিল এই হ্যাকিং
একরাতে শতাধিক ট্রাসফার রিকোয়েষ্ট করে বাংলাদেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশটিকে পথের ভিকিরি বানিয়ে ফেলাই তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল।
আসলে তৎকালিন মার্কিন প্রশাসনের একজন শক্তিশালি পার্সন স্টেবল সরকারকে আনস্টেবল করে পতন ঘটাতেই সুপরিকল্পিত ভাবে ভেনিজুয়েলার মত তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে বাংলাদেশে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার 'ক্ষেত্র' তৈরি কাজে ব্যবহার করেছিল কুচক্রিরা।
কিন্তু এত অর্থ চুরি করেও কোন বড় ক্ষতি করতে পারেনি উদিয়মান বাংলাদেশের।
বিএনপি-জামাতের রেখে যাওয়া ৫ বিলিয়ন রিজার্ভ বর্তমানে ৪৬ বিলিয়ন ডলার, প্রতিমাসেই বাড়ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.