নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ রাখলো ফেসবুক।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০৫



প্রথমবারের মতো তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিল ফেসবুক।
ফেবুর একটি অফিসিয়াল সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট থেকে এ খবর পাওয়া গেছে। ফেসবুক মুলত একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের সরকার অনেক সময় ফেসবুকের কাছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করে। লোকবল কম থাকার পরও স্বচ্ছতা, জননিরাপত্তা ও জনস্বার্থে ফেসবুক কিছু কিছু একাউন্ট তথ্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে জানায় বা প্রয়জনে পাবলিক করে।

দেখা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ফেবু কতৃপক্ষকে ১২টি অনুরোধ পাঠিয়েছিল। এসব অনুরোধে মোট ৩১ জন সন্দেহজনক ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ফেসবুক জানাচ্ছে, এসব অনুরোধের ১৬.৬৭ শতাংশ অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুকের এ সংক্ষিপ্ত উপাত্তে আরও বলা হয়, গত জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৫ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) অনুরোধে ৪টি কনটেন্ট বন্ধ করতে বলা হয়েছিল, সেসব অনুরোধের ১০০% মেনে ৪টি কন্টেটই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে কখনই তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে পাঠানো সরকারের কোন অনুরোধ আমলে নেয়নি ফেবু কতৃপক্ষ।

তবে ২০১৫ সালের এ মেয়াদকালে সরকারের পাঠানো অনুরোধের সংখ্যা ছিল অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি। ফেসবুকের উপাত্তে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬টি সময়কালের কথা উল্লেখ আছে। আগের ৫ বার সরকার মোট ১৬টি অনুরোধের মাধ্যমে ৩৭টি অ্যাকাউন্ট স¤পর্কে তথ্য চেয়েছিল। অথচ, সর্বশেষ অর্থাৎ ২০১৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের ৬ষ্ঠ সময়সীমাটিতে সরকার মোট ১২টি অনুরোধের মাধ্যমে ৩১টি অ্যাকাউন্ট তথ্য চেয়েছিল।


এর আগে ২০১৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে, বিটিআরসি’র প্রবল অনুরোধে তিনটি গ্রুপ/পেইজে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছিল ফেসবুক। তখন বলা হয়, ওই পোস্টগুলোতে যুদ্ধাপরাধ বিচার, রাষ্ট্রের সমালোচনাকে নিষিদ্ধ করে প্রণীত স্থানীয় আইন লঙ্ঘণ হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল বিটিআরসি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি চাঞ্চল্যকর সাকা-মোজাহেদ ফাঁসির দুদিন আগে নিরাপত্তার অজুহাতে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়। এরপর পরের মাসে নতুন দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত জনপ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিমের উদ্দ্যগে ৬ই ডিসেম্বর ফেসবুকের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সিঙ্গাপুরে আরো একদফা বৈঠক হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বৈঠক শেষে বলেছিলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অবশেষে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এ বৈঠকের দুয়েকদিন পরই বাংলাদেশে পুনরায় ফেসবুক চালু করে দেয়া হয়েছিল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: এখন কি হবে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার - আমার কিছুই হবে না। ঘুমান।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: যে ফেসবুককে কোন সরকার লেজ দিয়েও পোছেনা, তাদেরকে জামাই আদরে খাইয়ে দাইয়ে ' অনুরোধ' করে এ সরকার যে 'মহত্ব' দেখিয়েছে, তা রক্ষা না করলে তো অভাগা বাংলাদেশকে একেবারে 'ইগনোর' করা হয়। দেশের মান ইজ্জত রাখার জন্য জুকারবার্গকে ধন্যবাদ।

কিন্তু এ নিয়ে আওয়ামী দালালদের লাফালাফি দেখে লজ্জাই লাগছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফেসবুককে কোন উন্নত দেশের সরকার লেজ দিয়েও পোছেনা। কারন দরকার হয়না।
কারন সেইসব দেশের সরকারের হাতে যেসব প্রযুক্তি ও ডাটা আছে ফেবুর নির্মাতাদের কল্পনাতিত। ফেবু নিজেই যা জানেনা, তারা সেটা জানে। ওরা জার্মান চ্যান্সেলারের ইমেল পর্যন্ত হাতাতে পারে।
আমাদের সরকার গরিব নিরুপায়। তাই তাদেরকে জামাই আদরে খাইয়ে দাইয়ে ' অনুরোধ' করে।
অযথা লজ্জাপেয়ে কান্নাকাটি করে লাভ হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.