নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোক্ষম প্রমান পাওয়ার পরও যদি শাস্তি দেয়া না যায় এ জাতির পরিনতি এমনই থাকবে

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৫



মুল হোতাদের ছেড়েদিয়ে ভাঙ্গা মটরসাইকেলের পিছে ছুটলে কোন লাভ আছে?
জংগীদের অর্থায়ন, হুকুমদাতা আর আইনি সহায়তা দানকারি বড় লিঙ্কগুলোকে জামাই আদরে মুক্ত রাখলে জংগিদমন কিভাবে হবে?
জামিনে মুক্ত সাকিলা গত বছর ধরাপড়ার পরপর জবানবন্দিতে বলেছিলেন, মামলা পরিচালনার জন্য তিনি টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু মামলায় জামিন না হওয়াতে টাকা ফেরত দেন। চট্টগ্রামের উসমান আমিন নামের এক মক্কেল শাকিলাকে মামলা চালাতে টাকাগুলো দিয়েছিলেন। পরে তিনি ঢাকার মনিরুজ্জামান নামের (হামজা ব্রীগেড নেতা) এক ব্যক্তির একাউন্টে টাকা ফেরত দেন। মনিরুজ্জামানকে শাকিলা চেনেন না।
মক্কেলের টাকা চট্টগ্রামে মক্কেলকে না দিয়ে কেন ঢাকায় হামজা ব্রীগেডের জঙ্গি মনিরুজ্জামানের একাউন্টে দিলেন, তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
আদালতের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’-এর জন্য সংগৃহীত কোটি কোটি টাকার মধ্যে এই আইনজীবীর মাধ্যমে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত মনিরুজ্জামানসহ কয়েকজন জঙ্গির স্বীকারোক্তিতে ব্যারিষ্টার ফারজানা ও অর্থের মুল জোগানদাতা হিসেবে দুবাইয়ের নাগরিক আল্লামা লিবদির নাম জানা যায়।
জঙ্গি ফান্ডে টাকা আসছে দেশ-বিদেশ থেকে, এঞ্জিয় নামে বা মালবাহি কন্টেইনারে .. দেদারসে .. ধরাপরে দুএকটি।
এরকম মোক্ষম প্রমান পাওয়ার পরও যদি শাস্তি দেয়া না যায় এ জাতির পরিনতি এমনই হতে থাকবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২২

রাফা বলেছেন: এটাই বাস্তবতা...আরো ভালো করে পর্যবেক্ষন করেন ।দেখবেন কত অসঙ্গতি আমাদের কাজ কর্মে।
তনু হত্যাকান্ডের পর ভিকটিমেরই চরিত্র হণনের প্রচেষ্টা লক্ষনিয়।আর বিপরীতে মিতু হত্যার পরে কি দেখতেছেন?

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, পদে পদে অসঙ্গতি।

তবে হামজা হউক আনসারুল, আইএস বা আলকায়দা সব রসুনের কোয়া একই জাগায়।
কারন এই অর্থ রিসিভার মনিরুজ্জামান ও নব্য গার্মেন্টস মালিক এনামূল হক, এদের মাধ্যমেই জঙ্গি একাউন্টে টাকা গেছিল।
এরাও বাংলাভাইদের মত ছাত্র অবস্থায় শিবিরের রাজনিতিতে ছিল ও বহুদিন জামাত নেতা হিসেবে ছিল।

১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত ভয়ঙ্কর নিশ্চিত জঙ্গি অর্থায়নকারি লিঙ্ক হাতে পেয়েও তাকে ছেড়ে দেয়া দুর্ভাগ্যজনক।
কাক কাকের মাংশ খায় না, সে ভিআইপির সন্তান ও নামী আইনজিবী হওয়াতে আদালত তাকে রিমান্ড পর্যন্ত মঞ্জুর করে নাই।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা পর্যন্ত সম্ভব হয় নাই।
এমনিতেই জঙ্গি-সন্ত্রাসি মুল হোতাদের টিকির সন্ধানও পাওয়া যায় না, দুএকটি যা পাওয়া যায় তাকেও যদি জিজ্ঞাসাবাদ না করেই যদি ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে সন্ত্রাস নির্মুল হবে কিভাবে?

কিছুদিন আগে এরচেয়ে কম তথ্যপ্রমানে, ধরা পরার মাত্র ৩ মাসের ভেতরে সিঙ্গাপুর জঙ্গি অর্থায়নের জন্য অভিযুক্ত করে ছয় বাংলাদেশির মধ্যে চারজনকে দোষি সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়েছে। যার শাস্তি ১০ বছর জেল ও ৫ লক্ষ ডলার(s) জরিমানা।
ইন্দোনেশীয়াও কিছুদিন আগে এরচেয়ে কম তথ্যপ্রমানে ৩ জঙ্গিকে ফাসি দিয়েছিল।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৩

রাতমজুর বলেছেন: পুলিশের এতদিনের ইনএকটিভিটির ফল এইসব। এখন গায়ে হাত পড়ছে তাই নড়েচড়ে বসার চেষ্টা করতেছে। কতদূর পারবে কে জানে।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত বিপুল জনবহুল দেশে পুলিশের এক্টিভিটি অনেকটা ইনএকটিভিটির মতই।
পুলিশ ঠিকভাবেই চার্জশিট দিয়েছিল। কিন্তু কাক কাকের মাংশ খায় না।
আমার ধারনা বিম্পি-আম্লিগের উকিলরা সম্মিলিত ভাবেই স্বজাতির একজনকে বাচাতে মামলায় জামিন বিরোধিতা করে তেমন জোরালো বক্তব্য রাখেনি।
প্রথমআলো সাকিলা মুক্তির খবরটিতেও সুধু আসামি পক্ষের বক্তব্যই ছাপলো।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

নতুন বলেছেন: আমাদের ভন্ডামীর সাইডইফেক্ট এই গুলা...

পুলিশকে ক্ষমতার দাপটে কাজ করতে দেওয়া হয়না। আর পুলিশ নিজের জন্য দূনিতি করে...

এই দুইটা এক হলে সব রকমের অপকম` করে টাকা বা ক্ষমতার মাধ্যমে পার পাওয়া সম্বভ আমাদের দেশে।

কয়েক দিন আগেই আমাদের এখানের এক খুনিকে ফাসি থেকে রেহায় দিলেন রাস্টপতি... টাকা + ক্ষমতায় দেশে বৈধ ভাবেই ফাসি থেকে মাফ পাওয়া যায় এখন....

পুলিশ যদি একটিভ থাকতো তবে এই বাবুলের স্ত্রী হত্যার দুই একদিন পরেই যদি গোটা দশের ক্রশফায়ার দিতো তবে খুনিরাও একটা ম্যাসেজ পাইতো.... X((

০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুল হোতা, জংগীদের অর্থায়নকারি ও হুকুমদাতাদের না ধরে সুধু মাঠপর্যায়ের চুনোপুটিদের ধরে ক্রশফায়ার দিলে কোন লাভ নেই।
সুধু ক্রসফায়ার কোন সমাধান নয়।

০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব ভন্ডামি নয়।
জঙ্গি অর্থায়নে ৯ ব্যক্তি ও পাঁচ প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন, সমকাল

দেশে-বিদেশে জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮টি ব্যাংকের ৩৭টি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এর মধ্যে ৩০টি জব্দ করা হয়। এসব অ্যাকাউন্টের স্বত্বাধিকারী ৯ ব্যক্তি। এ ছাড়া ব্যবসার আড়ালে জঙ্গি অর্থায়ন করছে—এমন পাঁচটি প্রতিষ্ঠানও চিহ্নিত করা হয়েছে। জঙ্গি অর্থায়নে চিহ্নিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য বা তাদের মাধ্যমে স্বার্থসংশ্লিষ্ট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পর্যালোচনামূলক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। গত ১৯ মে ২০১৬, ১২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের অনুলিপি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে এ ঘটনায় স্পেনে পলাতক সন্দেহভাজন একজনকে আইনের আওতায় আনতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশের ইন্টারপোলের প্রতিনিধিকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত অন্তত চারজনের ঠিকানায় যোগাযোগ ও টেলিফোন করে তাদের পাওয়া যায়নি।

সম্প্রতি দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার হলেও অর্থায়ন ও মদদদাতারা চিহ্নিত হন না—এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একসঙ্গে জঙ্গি অর্থায়নের ঘটনায় এত সংখ্যক হিসাব নম্বর ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে শিগগিরই জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সমকালের হাতে আসা প্রতিবেদনে দেখা যায়, জঙ্গি তৎপরতায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অর্থ লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য এতে তুলে ধরা হয়েছে। যেসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে তারা হলেন—আবুল হাসনাত, পেশা ব্যবসায়ী। ঠিকানা
মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি। হাসনাতের ন্যাশনাল আইডি কার্ড নম্বর—৪৭৯৮৫১৭২৩০৬১৭। এ তালিকায় আছেন রাজশাহীর গোদাগারীর বাসুদেবপুরের নাহিদউদ্দোজা মিয়া, হাসনাতের ছেলে সাইফুল হক সুজন, আতাউল হক, খুলনার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, নওরীন ইসলাম, আঞ্জুমানারা, মমতাজ বেগম ও সেলিনা রহমান। আবুল হাসনাতের বিভিন্ন ব্যাংকে ছয়টি হিসাব নম্বর রয়েছে। তার ছেলে আতাউল হকের পাঁচটি, হাসনাতের ঘনিষ্ঠ নাহিদউদ্দোজার সাতটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠানকে জঙ্গি অর্থায়নের জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলো হলো—আইটিএস সলিউশন লিমিটেড। এর স্বত্বাধিকারী হলেন
মো. নাহিদউদ্দোজা, ওয়াকিলুর ইসলাম ও কে এম আরমান ইমতিয়াজ। তাদের কার্যালয়ের ঠিকানা ১৬ পুরানা পল্টন গ্লোরিয়ানা ভবন।
আরও চারটি প্রতিষ্ঠান হলো—এভাতার টেকনোলজিস, আলিফ বায়োফুয়েল, আইব্যাকসটেল ইলেকট্রনিক্স ও আইব্যাকস লিমিটেড। এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আবুল হাসনাত ও তার স্বজনরা সম্পৃক্ত। আলিফ বায়োফুলের নামে ৬০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়। যা শেষ পর্যন্ত আটকে দেওয়া গেছে।
যেসব হিসাব নম্বর জব্দ করা হয়েছে সেগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তাজুল ইসলামের কারওয়ানবাজার শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০১১৬-১২২-০০০৭৪৫১৯। একই ব্যক্তির মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ০০১৪-০৩১০০৬৯০৯৭ হিসাব নম্বরটিও জব্দ করা হয়। এই হিসাব নম্বরে ২০১৫ সালের ৮ জুন থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা জমা হয়েছে। যার মধ্যে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। হিসাব নম্বরে জমা করার অর্থের মধ্যে ৫৯ লাখ টাকা নগদ ও বাকি অর্থ বেতন-ভাতাদি বাবদ ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা হয়।
নাহিদউদ্দোজার ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ১১৭১০১০১৭০৭৯১ হিসাব নম্বর জব্দ করা হয়েছে। এই হিসাব নম্বরে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৮ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। আইব্যাকস টেল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আরও দুটি হিসাব নম্বর খোলা হয়। যাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিটেন্সের মাধ্যমে ৬০ দশমিক ১৮ লাখ টাকা জমা হয়। হিসাবটিতে নগদ অর্থে জমা দেন নাহিদউদ্দোজা ও সিলেটের জনৈক জামিল আহমেদ চৌধুরী। ওই হিসাব থেকে বিভিন্ন সময় আবুল হাসনাত টাকা তুলেছেন। এ ছাড়া টাকা তুলেছেন আতাউল হক, জাহাঙ্গীর, মশিউর রহমান, আনিসুর রহমান, মামুনুর রশিদ, মাহাবুবুল হক, কালাম, মুন্না, হোসেন আহমেদ, মিঠু, মাহি, মো. আলী, আবু হানিফ, অজিত বুব, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তবে ওই টাকা তারা কোথায় ব্যবহার করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ইইএফ ইউনিট থেকে জানা যায়—আইব্যাকসকে ইইএফ থেকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মঞ্জুর করা হয়। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আবুল হাসনাতকে ইউরো-বাংলা এগ্রো ফিশারিজকে চেয়ারম্যান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকে তার ২০৫০৩১৬০২০০৫৭৯৮০৮ হিসাব নম্বরে ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ লাখ ৭ হাজার টাকা জমা হয়। সমপরিমাণ অর্থ তিনি উত্তোলন করেন। এ ছাড়া আবুল হাসনাতের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি হিসাব নম্বরে ২০১১ সালের ২২ মে থেকে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এক কোটি এক লাখ ২০ হাজার টাকা জমা হয়। তার মধ্যে ৮২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা তুলেছেন তিনি।
জানা গেছে, আইব্যাকস লিমিটেডের একটি হিসাব নম্বরে বিদেশ থেকে ৮৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আসে। যা বর্তমানে ওই হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, এক সময় আবুল হাসনাতের দুই ছেলে সাইফুল হক সুজন ও আতাউল হক সবুজ যুক্তরাজ্যে থাকতেন। সেখানে থাকার সময় তারা উগ্রপন্থি আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর ২০১১ সালের পর তারা দেশে ফেরেন। বর্তমানে সবুজ স্পেনে রয়েছেন। বিশ্বের কয়েকটি দেশে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের নামে জঙ্গি অর্থায়ন সংগ্রহ করছেন বলে সবুজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তার বাবা ও দুই ভাইসহ কয়েকজন পুলিশের তদন্তের আওতায় রয়েছেন। তাদের বিভিন্ন সময় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাইফুল হক সুজন বিদেশে জঙ্গি তৎপরতায় নিহত হন বলে তথ্য আছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গি অর্থায়নে অনেক গ্রুপ জড়িত। তাদের শেকড় গভীরে। টিএফআইতে বিভিন্ন সময় জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উগ্রপন্থিদের অর্থায়নের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার হাফেজ সালাহুল ইসলামকে বিভিন্ন দফায় টিএফআইতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে তিনি জানান, কক্সবাজারে মাদ্রাসার নামে অনুদানের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে অর্থ আনা হয়। ওই অর্থের বড় অংশ জঙ্গি ও উগ্রপন্থিদের হাতে গেছে। শুধু নিজেদের মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা, ব্যাংক ডাকাতি, ছিনতাই নয়; জঙ্গিরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে দেশে-বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করছে। অনেক ক্ষেত্রে উগ্রপন্থিদের অপারেশনের অর্থ ব্যয় ছাড়াও পরিবারের অনেক সদস্যকে মাসিক ভিত্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে চাঁদা দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.