নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন কবিকে হাতে লাঠি বা বন্দুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় না

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৮

কিছু ব্যতিক্রম বাদে দেশের সকল কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পী, চিত্রকর, ভাস্কর, চারু শিল্পী .... এরা সবাই প্রগতিশীল মনের অধিকারি, যুদ্ধাপরাধ বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক। এটাই সত্য।
কবি সৈয়দ শামসুল হকের বেশীরভাগ কবিতাই বাংলাদেশকে নিয়ে, দেশপ্রেম নিয়ে , দেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে, দেশের স্থপতিকে নিয়ে।
উনি ছিলেন প্রগতির ধারক এবং বাহক। ছিলনা বাড়ী-গাড়ীর অর্থসম্পদের লোভ। মৃত্যুর পুর্বমুহুর্ত পর্যন্ত সত্য আদর্শে অবিচল ছিলেন।

একজন কবিকে হাতে লাঠি বা বন্দুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় না, তাদের অগ্নিঝরা কবিতার ছন্দ আর মানবতার প্রবাদবাক্য গুলি বন্দুকের গুলির চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাবান, এটা বুঝতে চায় না পাকিপ্রেমি ছাগুসমর্থকরা। পাকিস্থানের প্রেমে অন্ধ একটি গোষ্ঠি তার লেখায় আহত হবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
তাই এখন ওরা দখলদার পাকি সামরিক জান্তার একটি বানোয়াট প্রেসনোট ও নামের তালিকা দেখিয়ে ওনাকে নিজেদের পক্ষের লোক বলে দাবি করছে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: হাই রে বাঙ্গালি কবিদের কবিতা নিয়ে ও রাজনীতি !!!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দখলদার খুনিদের অযুহাত, প্রেসনোট বিশ্বাস করতে হবে?
এরা বেশিরভাগই কোলকাতায় বলেছিলেন তাদের না জানিয়ে এই তালিকা করা হয়েছিল, অনেকেরই সাক্ষর ছিল না। তালিকায় অনেক নিহত বুদ্ধিজিবীর নামও আছে। এসব পৃথিবীর কেউই বিশ্বাস করেনি। অবস্য পাকিপ্রেমীদের কথা আলাদা।

১৯৮৭ সালে এই বিষয়ে সাপ্তাহিক বিচিন্তা একটি রিপোর্ট করেছিলো।
সেখানে ১ জুলাই সংখ্যায় কবি তালিম হোসেন বলেছিলেন : সম্ভবত ১৪ মে ১৯৭১, দুজন লোক আসেন আমাদের ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় একটি বিবৃতি নিয়ে। দুজনই পরিচিত, একজন রেডিওতে চাকুরীরত হেমায়েতউদ্দিন, অন্যজনের নাম মনে পড়ছে না। তারা যে বিবৃতির কপি নিয়ে এসেছিলেন তাতে সবার নাম লেখা ছিলো, কিন্তু সাক্ষর ছিলো না। দু'জনই আমার পরিচিত এবং আমাকে সম্মান করতেন। আমি ওদের বললাম, সবার সাক্ষর নিয়ে আসুন তারপর সাক্ষর দেব। তারা বলেছিল অন্য কপি নিয়ে বিভিন্ন জনের সাক্ষর সংগ্রহ করা হছে। অবশ্য পরদিন তারা আবার এলো, কয়েকজনের সাক্ষর দেখে অনিচ্ছা সত্তেও সাক্ষর দিই।
তখন এমন অবস্থা ছিল যে সাক্ষর না দেওয়া আর মৃত্যু পরোয়ানায় সাক্ষর দেওয়া সমান কথা।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হয়তো বা তখনকার ব্যাখ্যা এভাবেই দেয়া যায়। কিছুদিন আগে একটা লেখা পড়েছিলাম পচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর রেডিওতে হত্যাকারীদের প্রশংসা করে গান বাজানো হয়। গানগুলো লিখেছিলেন খান আতাউর রহমান। এখন কেউ এটা বিশ্বাস করবে খান আতাউর রহমান আওয়ামী বিরোধী ছিলেন?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গান লিখলেও খান আতা সেভাবে আওয়ামী বা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিলেন না।
আসল কথা হচ্ছে কয়েকজন বাদে সবাই প্রানের ভয়ে বা অবরুদ্ধ অবস্থায় বিপাকে পড়ে পাকিদের সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
হানাদার খুনিদের প্রেসনোট, পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা বিশ্বাস করা বোকামি। ৫৫ জনের তালিকা করেছিল হানাদার পাকি জান্তা।
এরা বেশিরভাগই বলেছিলেন তাদের না জানিয়ে এই তালিকা করা হয়েছিল, অনেকের সাক্ষর জোরপুর্বক নেয়া হয়েছিল অনেকেরই সাক্ষর ছিল না। তালিকায় অনেক নিহত বুদ্ধিজিবীর নামও আছে। যদিও এসব প্রপাগান্ডা পৃথিবীর কেউই বিশ্বাস করেনি।
জাহানার ইমামও তার বইয়ে বলেছেন -
"এখন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের ধরে তাঁদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর কুটকৌশল শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী যে বেয়নেটের মুখে সই দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই"।
একাত্তরের দিনগুলি - জাহানারা ইমাম।

এখন বাংলাদেশী পাকিপ্রেমীরা আবর্জনা থেকে তোলা এই পাকি তালিকা দেখিয়ে পাকি ফায়দা হাসিল করছে।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

" একজন কবিকে হাতে লাঠি বা বন্দুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় না, তাদের অগ্নিঝরা কবিতার ছন্দ আর মানবতার প্রবাদবাক্য গুলি বন্দুকের গুলির চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাবান, "

-শুনেন, চাষীর ছেলে, ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্টের সৈনিক, দরিদ্র পরিবারের ছাত্ররা যদি জাতির জন্য যুদ্ধ করতে যায়, কবি, লেখক, প্রফেসর, শিক্ষককে যুদ্ধ করতে হবে, কিংবা রনাংগণে থেকে জাতিড় সন্তানদের পথ দেখাতে হবে।

'৭১ সালে, ১ জন কবি, ১ জন সাহিত্যিক বা ১ জন প্রফেসর রনাংগনে যায়নি। আমি তাদের লেখায় লাথি মেরে, ব্লগের সাহিতয় পড়ি; কে কি লেখেছে তাতে কইছু আসে যায় না, যারা যুদ্ধে যায়নি, তারা কবি, লেখক বা বুদ্ধিমান মানুষ নন; ওরা নন্দলাল।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনাকে জ্ঞ্যনী লোক বলে জানতাম।
সুধু অস্ত্রসস্ত্র, যুদ্ধজয় আর এলাকা দখল করলেই একটি রাষ্ট্র হয়ে যায় না। আরো কিছু লাগে।
ইরাকে আইএস ও সিংহলি তামিল টাইগাররা অনেক অস্ত্র নিয়ে প্রায় সব এলাকা দখল করেছিল, কিন্তু লাভ হয়নি, এলাকা হয়েছে। রাষ্ট্র হয়নি। দখলকৃত এলাকার পতন হয়েছে।
মুজিবনগর সরকার, রাজনীতিক, মিসেস ইন্দিরাগান্ধী স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে রাজনৈতিক ও বিশ্বজনমত তৈরি করতে বিপুল অবদান রাখেন। কবি, লেখক, গীতিকার, শিল্পী, আর স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের গান যেভাবে দেশবাসি ও মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধজয়ে বিপুলভাবে উদ্দিপ্ত করেছিল, এসব না থাকলে দেশ এত দ্রুত দেশ স্বাধীন হত না। বাংলাদেশ কখনো এত দ্রুত সফল রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভুত হতে পারত না।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৫

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: ১৯৭১ এ হক সাহেব যে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছিলেন জানা আছে? নাহলে একটু জেনে শুনে মতামত দেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটা দখলদার পাকি সামরিক জান্তার প্রপাগান্ডার অংশ।
হানাদার খুনিদের প্রেসনোট বিশ্বাস করা বোকামি। ৫৫ জনের তালিকা করেছিল হানাদার পাকি জান্তা।
এরা বেশিরভাগই বলেছিলেন তাদের না জানিয়ে এই তালিকা করা হয়েছিল, অনেকের সাক্ষর জোরপুর্বক নেয়া হয়েছিল অনেকেরই সাক্ষর ছিল না। তালিকায় অনেক নিহত বুদ্ধিজিবীর নামও আছে। যদিও এসব প্রপাগান্ডা পৃথিবীর কেউই বিশ্বাস করেনি। এখন বাংলাদেশী পাকিপ্রেমীরা এই পাকি তালিকা দেখিয়ে ফায়দা হাসিল করছে।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার বান্ধব অন্জন ঝনঝন দের মত লোকেরা নতুন করে ইতিহাস রচনা করবে..কয়দিন পরে ইতিহাস রচনা করবে যে গোলাম আযমের ডাকে দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছিল

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এসব পাকি প্রপাগান্ডা পৃথিবীর কেউই বিশ্বাস করেনি।
বুদ্ধিজীবি হত্যা ধারাবাহিক ভাবেই অব্যাহত ছিল, ১৬ই ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত চলছিল।
এখন বাংলাদেশী পাকিপ্রেমীরা, ছাগু সমর্থকরা ডাষ্টবিন থেকে নেয়া পাকি তালিকা দেখিয়ে ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

সজীব মোহন্ত বলেছেন: পাকিস্তানের জাতীয় পশুদের জ্বলবেই। এ আর নতুন কি!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাকিস্তানের জাতীয় পশুদের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশী পাকিপ্রেমীদের জ্বালাটা বেশী।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমি সাধারণত এইসব বিতর্কিত পোস্টে মন্তব্য করিনা। তবে, আপনার কমেন্ট দেখে করলাম।

আপনি এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন। অনেকটাই বিভ্রান্তি কেঁটে যাবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার ভেতর আপনার বা লেখক দরবেশ মিয়ার মত বিভ্রান্তি নেই।
আপনি এই পোষ্টকে বিতর্কিত বলে আপনার অবস্থান জানিয়ে দিলেন। আর কিছু বলতে চাইনা।
দরবেশের পোষ্টে ছাগুদের ও গয়েশ্বরের বক্তব্যকে সমর্থন করে গেলেও তার অনেক উদাহরন আমার পোষ্টকে সমর্থন করে।
তার মুল বক্তব্য হচ্ছে কয়েকজন বাদে অনেকেই প্রানের ভয়ে বা অবরুদ্ধ অবস্থায় বিপাকে পড়ে পাকিদের সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

জাহানার ইমামও বলেছেন -
"এখন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের ধরে তাঁদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর কুটকৌশল শুরু হয়েছে। আজকের কাগজে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর নাম দিয়ে এক বিবৃতি বেরিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কোন টিচার, রেডিও টিভির কোন কর্মকর্তা ও শিল্পীর নাম বাদ গেছে বলে মনে হচ্ছে না। বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী যে বেয়নেটের মুখে সই দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই যে বিবৃতি তাঁদের নামে বেরিয়েছে, সেটা যে তারা অনেকে না দেখেই সই করতে বাধ্য হয়েছেন তাতেও আমার কোন সন্দেহ নেই।"
একাত্তরের দিনগুলি - জাহানারা ইমাম।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এখন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের ধরে তাঁদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর কুটকৌশল শুরু হয়েছে। আজকের কাগজে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর নাম দিয়ে এক বিবৃতি বেরিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কোন টিচার, রেডিও টিভির কোন কর্মকর্তা ও শিল্পীর নাম বাদ গেছে বলে মনে হচ্ছে না। বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী যে বেয়নেটের মুখে সই দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই যে বিবৃতি তাঁদের নামে বেরিয়েছে, সেটা যে তারা অনেকে না দেখেই সই করতে বাধ্য হয়েছেন তাতেও আমার কোন সন্দেহ নেই।

জ্বি - আমি এটাই বলছিলাম।

অন্যরা যখন সৈয়দ শামসুল হককে এই স্বাক্ষরের কারণে অপরাধি করছে - তখন আপনি তাদেরকে গালাগাল না করে জাহানারা ইমামের এই কথাটা বলে দিতে পারেন।

সবকিছুরই গালিগালাজ ব্যতিত একটা সমাধান আছে। গালিগালাজ করে আপনি খুব বড় ভক্ত তা প্রমাণ করতে পারছেন না।
আপনার ভিউ যেটাই হোক - আচরণটা মূখ্য।

নিজের মনগড়া কিছু না বলে এইসব ক্ষেত্রে অকাট্য সূত্রগুলো দিন। বিতর্কিত কিছুই সৃষ্টি হবে না।

অন্তত একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে সমালোচনা এবং তর্ক হওয়াটা কাম্য না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা, একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে সমালোচনা এবং চরিত্রহনন তর্ক এসব কাম্য হতেপারে না।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

দরবেশমুসাফির বলেছেন: দরবেশের পোষ্টে ছাগুদের ও গয়েশ্বরের বক্তব্যকে সমর্থন করে গেলেও

আমি যেখানে গয়েশ্বর রায়ের বক্তব্য আমার পোস্টে ভুল প্রমাণ করলাম সেখানে আপনি বলছেন আমি তার বক্তব্য সমর্থন করেছি!!!!???

বাংলা পড়া কি ভুলে গেছেন ভাই?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সরি ভাই, আপনাকে এভাবে অপবাদ দেয়াটা ঠিক হয়নি।
আপনার লিখাটি আবার ভালভাবে পড়লাম। অনেক পরিশ্রম করে ভাল লিখেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে আপনার এই মন্তব্যে মনটা খারাপ হল।
"সেসময়ের বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশ ( প্রায় ৪০% ) অর্থের লোভে পাক সরকারেরই তাবেদারি করেছিলেন"।
আপনার পোষ্টে কিছু বইয়ের উদাহরন দিয়ে আইউব সামরিক জান্তা সরকারের কিছু কুটকৌশল তুলেধরা হয়েছে

তবে বুদ্ধিজীবিদের এভাবে ঢালাও অপবাদ দেয়াটা অন্যায়, তারা ওদের প্রতারনার শিকার, আর গবেষনা, উপাত্ত সংগ্রহ, পুস্তক রচনা ইত্যাদির জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ গ্রহন অন্যায় কিছু নয়। পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এসবের জন্য বড় ফান্ড বরাদ্দ থাকে।
আর তখন তো নবগঠিত পাকিস্তান আমাদের দেশ, নতুন স্বপ্ন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে লিখলে অন্যায় দেখিনা। বাংলার স্বাধীকারের বা ভাষা আন্দলনের বিরুদ্ধে লিখলে ভিন্ন কথা, সেরকম কেউ করেন নি অবস্যই। তখনকার সময়ে বেগম সুফিয়া কামালও ১৪ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের পত্রিকার ক্রোড়পত্রে কবিতা পাঠাতেন, তাহলে কি কবি সুফিয়া কামালকেও পাকি দালাল বলবেন?

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার মনে হয়, প্যালেস্টাইনের মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আপনি বড় ধরণের কিছু একটা অবদান রাখতে পারবেন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শান্তিচুক্তির পর প্যালেস্টাইন অনেক আগেই স্বাধীন হয়ে গেছিল প্রায়। কিন্তু তারা স্বাধীনতা চায়নি।
শান্তিচুক্তি প্যালেস্টাইনের সব অংশ মেনে নিলেও গাজার চরমপন্থি জঙ্গি হামাস সমগ্র ইসরাইলের বিলুপ্তি ছাড়া কোন শান্তিচুক্তি হবে না বলে হুঙ্কার দেয়। উষ্কানিমুলক চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। এখনো চালাচ্ছে।
কেউ যদি স্বাধীনতা না চায় তারে কেমনে স্বাধীনতা গেলাবেন।

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭

অতৃপ্তচোখ বলেছেন:

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশবাসি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে কেন?
দেশের সকল কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পী, চিত্রকর, ভাস্কর, চারু শিল্পী .... এরা সবাই প্রগতিশীল মনের অধিকারি, সরাসরি যুদ্ধে যায় নি, বন্দুক হাতে নেয় নি, তার কি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক ছিল না?
কবিকে শিল্পীকে হাতে লাঠি বা বন্দুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় না, তাদের অগ্নিঝরা কবিতার ছন্দ আর মানবতার প্রবাদবাক্য গুলি বন্দুকের গুলির চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাবান, এটা বুঝতে চায় না পাকিপ্রেমিরা।

ঢাকায় অনেকেই চাকুরি ছেড়ে বাচাকাচ্চা নিয়ে অনিশ্চিত গন্তব্যে অতিবিপদসংকুল সীমান্ত পার হতে পারেনি, গ্রামও নিরাপদ ছিলনা, সে তুলনায় ঢাকাই সবচেয়ে নিরাপদ ছিল। কারন কেউ নিশ্চিত না ৯ মাসে স্বাধীন হবে না ৯ বছর লাগবে।
যুদ্ধে না গেলেও সবাই মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ছিল, অনেকে মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে যোগ দিয়ে, নিজের গাড়ী দিয়ে অস্ত্র নিয়ে কম্বাটে অংশগ্রহনও করেছে।


সুধু অস্ত্রসস্ত্র, যুদ্ধজয় আর এলাকা দখল করলেই একটি রাষ্ট্র হয়ে যায় না। আরো কিছু লাগে।
ইরাকে আইএস ও সিংহলি তামিল টাইগাররা অনেক অস্ত্র নিয়ে প্রায় সব এলাকা দখল করে রেখেছিল বছরের পর বছর, কিন্তু লাভ হয়নি, এলাকা হয়েছে। রাষ্ট্র হয়নি। একসময় দখলকৃত এলাকার পতন হয়েছে।

বন্দুক দিয়ে সবকিছু হয় না।
মুজিবনগর সরকার ও আওয়ামীলীগ নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী, সেক্টর করে যুদ্ধ পরিচালনা আর অন্যদিকে রাজনৈতিক ও বিশ্বজনমত তৈরি করতে বিপুল অবদান রাখে চলছিল। আর কবি, লেখক, গীতিকার, শিল্পী, আর স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের গান যেভাবে দেশবাসি ও মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধজয়ে বিপুলভাবে উদ্দিপ্ত করেছিল, এসব না থাকলে দেশ এত দ্রুত দেশ স্বাধীন হত না। বাংলাদেশ কখনো এত দ্রুত সফল রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভুত হতে পারত না।

১২| ২৬ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শাহরিয়ার কবির

শাহরিয়ার কবির কখনোই ব্যবসায়ী বা সাপ্লাই ঠিকাদার ছিলেন না।
১৯৭১ এ একজন সাধারন সাংবাদিক ছিলেন দৈনিক বাংলায় (দৈনিক পাকিস্তান) পরে দৈনিক বাংলার সহযোগী সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করেছেন। মুরগীর আড়তে উনি কখনোই ছিলেন না।
আচ্ছা ধরে নিলাম ১৯৭১এ পাকি হানাদারদের ভালবেসে সাংবাদিকতা ছেড়ে শাহরিয়ার সাহেব মুরগীর আড়তে কাজ নিলেন।
কিন্তু আমার জানামতে পাকি মিলিটারি খাদ্যতালিকায় মুরগী আইটেম কখনোই ছিলনা, পুর্ব পাকিস্তানেও ছিল না, এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ৯০ সাল পর্যন্ত সেনা খাদ্যতালিকায় মুরগী আইটেম রাখা হয়নি। যে কোন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হতে পারেন। "পাকি ক্যান্টনমেন্টে মুরগী সাপ্লাই" - সম্পুর্ন ফালতু কথাবার্তা।
প্রশাসনে ঘাপটিমেরে থাকা জামাতি-হেফাজতি চক্র পরিকল্পিত ভাবেই পাঠ্যপুস্তকে মোল্লাবাদি আইটেম ও ইচ্ছাকৃত ভুল সংযোজন করে তাদের বোকোহারামি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এনিয়ে সুধু শাহরিয়ার না দেশের সবাই সব মহলই সোচ্চার।

কিছু লোক অবস্য শাহরিয়ার, জাফরইকবাল বা শাহাবাগ আনন্দলনকারিদের দুচোখে দেখতে পারে না। এদের অপছন্দের কারন অষ্পষ্ট। মুল কারনটা কখনো উচ্চারন করে না
একবার বলে ফ্রী বিরানি খাইত ... আবার বলে মুরগী সাপ্লাই দিত .. গাঞ্জা খাইতো .. ইত্যাদি অষ্পষ্ট কথাবার্তা। মুল কারনটা (দাড়ীওয়ালাদের ঝুলানোর সফল আন্দোলন) কখনোই বলে না। কথাভিন্ন প্রসংগেও তাদেরকে অকারনে গালাগাল করবে।
আসলে ফ্রী বিরানী-ফিরানি ব্যাপার না।
একমাত্র তাদের কারনেই গা ঝাড়া দিয়ে যুদ্ধাপরাধ আইন নতুন ভাবে সংশোধন করে ধারা যোগ করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
যার দারা ওদের বাবা ছাগুচিফদের ঝুলানো সম্ভব হয়েছিল।
নইলে নামমাত্র শাস্তি দিয়ে ছাড়া পেয়ে যেত খুনিগুলো।
তাই ছাগুদের প্রচন্ড গাজ্বালা, কোন যুক্তি না পেয়ে অকথ্য গালাগাল করে, বিরানি বিরানি করে গাজ্বালা মিটায়।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু চিহ্নিত আলবদর তালেবান সমর্থক সৈয়দ শামসুল হক, শাহরিয়ার কবির, মুহম্মদ জাফর ইকবাল তথা শাহাবাগ আনন্দলন সমর্থকদের দুচোখে দেখতে পারে না। এদের অপছন্দের কারনটা স্পষ্ট। কিন্তু মুল কারনটা কখনো উচ্চারন করে না,
প্রধান অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করেনি কেন?

৭ কোটি দেশবাসি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে কেন?
দেশের সকল কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সঙ্গীত শিল্পী, চিত্রকর, ভাস্কর, চারু শিল্পী .... এরা সবাই প্রগতিশীল মনের অধিকারি, সরাসরি যুদ্ধে যায় নি, বন্দুক হাতে নেয় নি, তারা কি মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক ছিল না?
কবিকে শিল্পীকে হাতে লাঠি বা বন্দুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় না, তাদের অগ্নিঝরা কবিতার ছন্দ আর মানবতার প্রবাদবাক্য বন্দুকের গুলির চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাবান, এটা বুঝতে চায় না পাকিপ্রেমিরা।

ঢাকায় অনেকেই চাকুরি ছেড়ে বাচাকাচ্চা নিয়ে পায়ে হেঁটে অনিশ্চিত গন্তব্যে অতিবিপদসংকুল সীমান্ত পার হতে পারেনি, আমার পিতামাতাও পারেনি। গ্রামও নিরাপদ ছিলনা, সে তুলনায় ঢাকাই ছিল অনেকটা নিরাপদ। কারন কেউ নিশ্চিত না দেশ ৯ মাসে স্বাধীন হবে না ৯ বছর লাগবে।
যুদ্ধে না গেলেও সবাই মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ছিল, অনেকে মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে যোগ দিয়ে, নিজের গাড়ী দিয়েছিল, অস্ত্র নিয়ে কম্বাটে অংশগ্রহনও করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.