নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব টেক্টবুক ইসলামি ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হলেও এদেশী বোকো-হারামজাদারা সন্তুষ্ট হবে না

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

এত অল্পতে এরা সন্তুষ্ট হবে?
সব টেক্টবুক ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হলেও এদেশী বোকো-হারামজাদারা সন্তুষ্ট হবে না।

১৯৭১ এ আমলাদের পরামর্শ মত চললে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ তো দূরে কথা শুরুই করাই সম্ভব হত না।
এখন দেখেন অবস্থা .. ক্লাস ওয়ানের শিশু ছেলেমেয়েদের ওড়না ও ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শেখানো হচ্ছে।

স্কুলের বাংলা টেক্টবুক কে ইসলাম ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হল।
সবধর্মের বাচ্চাদের ইসলামধর্ম শিখতে হবে দেখা যাচ্ছে।
ধর্ম সাবজেক্ট ও ধর্ম টেক্টবুক থাকার পরও তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘খলিফা হযরত আবু বকর (রা.)’, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘খলিফা হযরত ওমর (রা.), পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘বিদায় হজ’ ও ‘শহিদ তিতুমীর’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আর দির্ঘদিন প্রচলিত সুকুমার রায়, হুমায়ুন আজাদ, ইত্যাদি ডজনখানেক উদারপন্থি লেখদের জনপ্রীয় প্রবন্ধ কবিতা এমন কি ৭১ এ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দিপ্ত করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বাংলাদেশের হৃদয় হতে' কবিতাটি পর্যন্ত বাদ দেয়া হল।

এই দেশের মানুষ এমনিতেই ধর্মপ্রাণ। এদেরকে আরো মুসলমান বানাতে পাগল হয়ে যাচ্ছে কেন? কার ভয়ে?
এত অল্পতে এরা সন্তুষ্ট হবে? এদের চাহিদা তো অসীম।



* দক্ষিণ এশিয়ার সাধারন মুসলমানরা মনে করে হিন্দুয়ানি লেখা বাদ দেয়া হলে ইসলাম বিপন্নঅবস্থা থেকে রক্ষা পাবে।
দক্ষিণ এশিয়ার কট্টরপন্থি মুসলমানরা মনে করে - মাদ্রাসা শিক্ষা ছাড়া অন্য সব শিক্ষা হারাম।
অতচ মাদ্রাসা ব্যাবস্থা সুধুমাত্র ভারত উপমহাদেশ এলাকায়ই সীমাবদ্ধ। আরব, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইন্দনেশীয় এলাকা, কোথাও মাদ্রাসা নেই।


* পাকি ও আফগান তালেবান মুসলিমরা মনে করে সুধু ইসলামী শিক্ষা (সুধু ছেলেদের) ছাড়া অন্য সব শিক্ষা হারাম। গার্লস স্কুল বা মেয়ে মাদ্রাসা বা যেকোন নারীশিক্ষা হারাম। যে কারনে মালালাকে গুলি করা হয়েছিল।


* আলকায়দা, আইএস, পুর্ব আফ্রিকার আল সাবাব ও মধ্য আফ্রিকার বোকোহারাম।
এরা মনেকরে সুধু নারী শিক্ষা না, যে কোন শিক্ষাই হারাম।
মুসলমানদের যুদ্ধশিক্ষা ছাড়া যে কোন শিক্ষাই হারাম। নবীজি (স) সময়কালে কোন স্কুল-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না, তাই এইসব হারাম। এদের কাছে কোন প্রানীর ছবি আঁকা, ছবিতোলা, ভাষ্কর্য তৈরি করা সহ সকল শিক্ষাই হারাম।
বোকোহারাম শব্দের অর্থই 'শিক্ষা হারাম'।

সুতরাং হাসিনা! লাভ নেই।
স্কুলের টেক্টবুক সবকিছু ইসলামি ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হলেও এদেশী বোকো-হারামজাদারা সন্তুষ্ট হবে না।

* সংযুক্তি -
ওড়না বাদেও
হেফাজতে ইসলামের পরামর্শে বাংলা বই থেকে বিম্পি-জামাতের আরপিত, পরে বাদ দেওয়া ১৭টি গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধের তালিকা প্রকাশ করা হয় যার সবই ২০১৭ সালের বইয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একইভাবে যে ১২টি গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ-নিবন্ধকে নাস্তিক্য বাদী ও হিন্দুত্ববাদী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়, তার সব কটিই বাদ দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, হুমায়ন আজাদও এবার শিকার !
শুরুটা ছিল এমন, বাংলা, ইংরেজিসহ সাধারণ শিক্ষার মূল বিষয়গুলো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তা করতে গিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই থেকে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত জর্জ হ্যারিসনের ঐতিহাসিক ছবিটি বাদ দিতে হয় । সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় লালন শাহের ‘মানবধর্ম’ কবিতা। বাদ পড়ে বিপ্রদাশ বড়ুয়া ও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের গদ্য, জ্ঞানদাশের পদ্যসহ আরও কিছু বিষয় বাদ।

এর আগে তৃতীয় শ্রেণীর আমার বাংলা বই-এর প্রচ্ছদ চিত্রে এক কিশোর হাফপ্যান্ট পরে নৌকা বাইছে, নৌকায় বসে এক কিশোরী শাপলা ফুল তুলছে। মাদ্রাসার বইয়ে এই প্রচ্ছদ পরিবর্তন করে কিশোরকে পায়জামা পরানো, কিশোরীর মাথায় হিজাব দেওয়া হচ্ছে , আর হাফ হাতা জামাটি ফুল হাতা করার কথা জানানো হয় । পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদচিত্রে এক গ্রামীণ নারী পানির কলসি নিয়ে ফিরছেন। তাঁর মাথায় ঘোমটা দেওয়া। পাশে আরেক নারী নদীর দিকে মুখ করে দাঁড়ানো। কিন্তু তাঁর ঘাড়ের পাশ দিয়ে সামান্য পিঠ দেখা যায়।
মাথার ঘোমটা থাকার পরও শিল্পীর আঁকা কলসি হাতে নারীর পিঠের এই অংশটিও শিল্পীর অনুমতি ছাড়াই এডিট করে ঢেকে দেয়া হয়েছে।

‘মানবধর্ম’।
এটি লালন শাহের লেখা। এটা রাখা যাবে না। পরিবর্তে আসে কবি ফররুখ আহমদের পদ্য ‘মেঘ বৃষ্টি আলোর দেশে’।
মংডুর পথে বাদ, মদিনার পথে প্রতিস্থাপন’।
জ্ঞানদাশের পরিবর্তে মুহাম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ পদ্যটি অন্তর্ভুক্ত। ব্রতচারী নৃত্য বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছিল, যা আমলা নিয়ন্ত্রিত স্টিয়ারিং কমিটি ওই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যসূচি থেকে নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের 'লাল ঘোড়া ' নামক গল্প এবং সুকুমার রায়ের 'আনন্দ ' কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র পশুপ্রেমী এবং ফুলকে ভালবাসার অপরাধে!! লাল ঘোড়া গল্পে 'লালু ' নামক পশুটির প্রতি ভালবাসা নাকি মুসলমানদের পশু কোরবানি বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র রয়েছে!! তাছাড়া, ফুলের প্রতি ভালবাসা নাকি ইসলাম বিরোধী!! কিন্তু কালীদাস রায়ের 'অপূর্ব প্রতিশোধ ' কেন বাদ দেওয়া হয়েছে? এই কবিতায় তো ইসলামিক ধ্যান -ধারনা সম্বলিত। তারপরও বাদ দেওয়া হয়েছে!! কারন, হিন্দু কবি -লেখক আমাদের পাঠ্যসূচিতে থাকতে পারবেনা এবং এটাই সত্য যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ক্রিয়ার মাধ্যমে জাতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো।
শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারনে অনেক গল্প -কবিতাই বাদ পড়েছে। যেমনঃ
★সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'মে দিনের কবিতা'।
★রণেশ দাশগুপ্তের 'মাল্যদান' যেখানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
★অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইতে বুদ্ধদেব বসুর 'নদীর স্বপ্ন' কবিতা।
★ নবম শ্রেণীর বাংলা বইতে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পালামৌ' গল্প।

২০১৭ শিক্ষাবর্ষের বইয়ের চেহারা তো মাত্র আমরা দেখছি! .. আরো আসছে।


মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :(

১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এদের কে বুঝিয়ে লাভ হবে না।
প্রকৃত আরব আদী ইসলামে স্কুল মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারাম, শিক্ষাগ্রহনই হারাম।
তারা মনে করে যেহেতু রসুল যুগে ইসলাম আবির্ভাব ও ইসলাম পরবর্তি হাজার বছরে আরব ও অধিকৃত অঞ্চলে কোন বিদ্যাপিঠ বা বিদ্যালয় ছিল না, তাই যে কোন বিদ্যালয় বা মাদ্রাসা হারাম।

মাদ্রাসা ব্যাবস্থা মুলত উপমহাদেশ ভিত্তিক। (ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ আর পুর্ব আফগান)
মোগল আমলে পার্শিরা পার্শি ভাষায় পরে উর্দু ভাষায় মাদ্রাসা ব্যাবস্থা চালু করে, উপমহাদেশের বাইরে কোথাও মাদ্রাসা ভিত্তিক মাদ্রাসা ব্যাবস্থা নেই। (বর্তমানে অবস্য অন্যান্ন দেশে ভারত-পাকিস্তানের কিছু লোক নিউইওর্ক লন্ডনে মাদ্রাসার মত কিছু তৈরি করছে, আফ্রিকার দুএকটি উন্নত দেশেও হয়েছে সেটা ব্যাতিক্রম)

প্রকৃত আরব মুসলিমরা (সালাফি-ওহাবি ইত্যাদি) এখনো শিক্ষাগ্রহনকে হারাম মনে করে।
মধ্যপ্রাচ্যের আলকায়দা, আইসিস, তালেবান। পুর্ব আফ্রিকার আল সাবাব ও মধ্য আফ্রিকার বোকোহারাম। এইসব আরব এলিমেন্টরা কট্টরপন্থি ইসলাম সবদেশে চালু করার ব্যাবস্থা করে যাচ্ছে।

এরা মনেকরে সুধু নারী শিক্ষা না, যে কোন শিক্ষাই হারাম।
এদের কাছে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ সবই হারাম।
শিল্প, সাহিত্য, কবিতা ছড়া, সঙ্গিত, চারুকলা টিভি মুভি, কোন প্রানীর ছবি আঁকা, ছবিতোলা, ভাষ্কর্য তৈরি করা, ফটোগ্রাফি সহ সকল শিক্ষা-সংস্কৃতি হারাম। বোকোহারাম শব্দের অর্থই 'শিক্ষা হারাম'।
পাকিস্তানি তালেবানরা অবস্য একটু উদার, শুধু নারী শিক্ষা হারাম, বালক মাদ্রাসা চলতে পারে।
বাংলাদেশের কট্টরপন্থিরা অবস্য আরেকটু উদার, নারী শিক্ষা ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত এলাও।
তবে দেশে কোনদিন কট্টরপন্থি আদি আরব ইসলাম চালু হলে এদের উদারতাও বিলুপ্ত হবে। মাদ্রাসা-স্কুল সবই বিলুপ্ত হবে।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই থিসিস লেখার কারণে লেখককে এগ নো-বেল দেওয়া হলো !

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন দেখেন অবস্থা .. ক্লাস ওয়ানের শিশু ছেলেমেয়েদের ওড়না ও ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শেখানো হচ্ছে।

ওড়না ইসলামী পোষাক এ আয়াত আপনি কোথা থেকে নাযিল ক রলেন!
অনেকের মতে, ওড়না পড়লে মেয়েদের শালিনতা রক্ষা পায় এই যা।

ওড়না বিষয়টা নিয়ে প্রথম চুলকানী ও সাম্প্রদায়িক ঊস্কানি কিন্তু তথা কথিত মুত্র মনারাই দিয়েছে।

আর,
র-তে = রথ টানা, পড়লে শিশুড়া সাম্প্রাদায়িক হবে, ব্রেন ওয়াস করা হবে।

শহিদ তিতুমীর’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শহীদ তিতুমীর ছিলেন ইংরেজ বিরোধী ভারত বষ (রেফ) স্বাধীনতাকামী একজন সিপাহশালারর। তিনি ইসলামের সিলেবাসের কেউ না। তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আইডল, অত্যাচারিত হিন্দু জমিদারদের জম। এখানেই আপনাদের ঘা লেগেছে।

মুক্তমনা হউন ঠিক আছে। কিন্তু আড়ালে কোন ধ+র+ম কামী হলে "ভূতের মুখে রাম রাম" অবস্হা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওড়না ইসলামী পোশাক, আমি কোথায় বললাম? দেখান তো?
স্কুলের টেক্টবুক যা আছে সবকিছু ইসলামি ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হলেও এদেশী বোকো-হামজাদারা সন্তুষ্ট হবে না।
এটাই সত্য।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

পাবেল মাহমুদ সিজান বলেছেন: কিছুটা সত্য

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবকিছু ইসলামি ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হলেও এদেশী বোকো-হামজাদারা সন্তুষ্ট হবে না।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
অাপনার যদি ওড়নাই অাপত্তি থাকে অাপনার পরিবারকে ওড়া পরিহারের নির্দেশ দিয়েন।

বাংলাদেশ ৯০ ভাগ (নাম ধারি সহ) মুসলমান সেখানে রথ দিলে সমস্যা নাই। ওড়না দিলে সমস্যা।

যে যতো দালালি করতে পারবে সেততো বড় মুত্রমনা বুদ্ধিপরজীবি হবে।

বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিরা এই সম্প্রতি নষ্টে পরিকল্পিত কাজ করছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওড়নায় কোন অাপত্তি থাকার কথা না।
কিন্তু ক্লাস ওয়ানের ৫-৬ বছরের ছেলে ও মেয়েদের ওড়না ও ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শেখানো কোন কারনে?

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ওড়না যদি ইসলামী পোষাক না হয় তাহলে ওড়না নিয়ে এত চুল্কানি কিসের?
ওড়না পড়লে মেয়েদের শালীনতা রক্ষা পায় এতে মুত্র মনাদের অতৃপ্ত চোখ পরিতৃপ্ত হয় না! এখানেই মূল সমস্যা।
ওড়না তোদের ভাল লাগেনা ঠিক আছে, তাহলে তোদের ঘরের মহিলাদের ওড়না ছারা রাস্তায় চলা ফিরা করুক তাতে কেউ বাধা দিবে না। অনেকে ওড়না ছারা চলাফিরা করছে তাদের কেউ বাধা দিচ্ছেও না।

এমনিতেই দেশের মানুষ ভাল নেই। তারপর আবার তোদের চুল্কানিতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি কি বাংলাও বুঝেন না? না বুজ্ঝাই খালি খাউজানো সুরু করছেন।

ক্লাস ওয়ানের মেয়েদের কথা না হয় বাদই দিলাম। ৫-৬ বছরের ছেলেদেরও ওড়না ও ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শেখাতে হবে?

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ক্লাস ওয়ানের মেয়েদের কথা না হয় বাদই দিলাম। ৫-৬ বছরের ছেলেদেরও ওড়না ও ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শেখাতে হবে?

একটা শিশু যখন বুঝতে শিখে তখন থেকে সে দেখে তার মা- বোনরা ওড়না পড়ছে। এই ওড়না কেন পড়ছে তা জানতে তার বইয়ের শানেনূজুল পড়ে পড়ে শিখতে হয়না। সে আস্তে আস্তে শিখে যায়।

মানে, এটা স্বাভাবিক প্রকিয়া, অন্তর্নিহিত জিনিষ বলে কিছু নেই।

এটার ভিতর যে অন্তর্নিহিত জিনিষ থাকে সেটা আমাদের শিশুরা জানতে পেরেছে ২০১৭ সালের শুরুতে, কিছু মানুষের মুত্র দোষ আর চুল্কানির কারনে।

একটা জিনিষ মাথায় থাকা দরকার, সেটা হল শিশুরা যখন মায়ের দুধ খাচ্ছে তখন মায়েরা ওড়না ফাক গলিয়ে খাওয়াচ্ছে, তখন শিশুদের অন্তর্নিহিত জিনিষ চোখে পড়ে না। আর বইতে ওড়না পড়লে ওড়নার অন্তর্নিহিত জিনিষ শিশুড়া আবিস্কার করে ফেলে!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আচ্ছা ওড়না প্রসংগ বাদ।
আপনি তো অন্তত ছাগু না, ছাগু সমর্থকও না।
আপনি কি এই সরকারের সম্প্রতি এই পাঠ্যপুস্তক সমুহকে ইসলামিকরন সমর্থন করছেন?

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: হাসান কালবৈশাখ,




আপনার লিখা পড়লাম, খুব ভাল লিখনি শক্তি।
তবে আপনার তথ্যে কিছুটা গড়মিল রয়েছে,

সবধর্মের বাচ্চাদের ইসলামধর্ম শিখতে হবে দেখা যাচ্ছে।
ধর্ম সাবজেক্ট ও ধর্ম টেক্টবুক থাকার পরও তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘খলিফা হযরত আবু বকর (রা.)’, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘খলিফা হযরত ওমর (রা.), পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘বিদায় হজ’ ও ‘শহিদ তিতুমীর’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
। দেখেন ভাই, এখানে আবুবকর(রাঃ) উমর (রাঃ) বিদায় হজ্জ ও তিতুমীর এর শিরোনামে লিখা গল্পগুলো পড়লে বাচ্চারা ইসলাম ধর্ম শিখে ফেলবে এমনটা ভাবা সত্যি কঠিন। এখান থেকে বাচ্ছারা ইসলামিস্ট হয়ে যাবে? আফসোস এই দু-একটা গল্প দেওয়ায় আপনারাদের মত সুশীলরা এত চিন্তিত?
সত্যি বলতে,
আপনারা এবং তাহারা সবাই হয়তো মনে করেন, দু-একটি গল্পই ইসলাম কায়েম করে ফেলবে!
অথচ আদৌ তা নয়।
অনুরোধ থাকবে, ঐ পাঠগুলো পরে দেখার জন্য।

দক্ষিণ এশিয়ার কট্টরপন্থি মুসলমানরা মনে করে - মাদ্রাসা শিক্ষা ছাড়া অন্য সব শিক্ষা হারাম।
অতচ মাদ্রাসা ব্যাবস্থা সুধুমাত্র ভারত উপমহাদেশ এলাকায়ই সীমাবদ্ধ। আরব, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইন্দনেশীয় এলাকা, কোথাও মাদ্রাসা নেই।

এখানে আপনার অসম্পূর্ণ জানার কিছুটা ভূল ধারনা প্রকাশ মাত্র।
আপনি জানেন না হয়তো, আজকাল মাদ্রাসার ছাত্ররা কলেজ ভার্সিটি অধ্যয়ন করত উচ্চ জ্ঞান লাভ করে দেশের সেবা করছেন।
আরব দেশগুলোর স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিগুলোতে ইসলামের পূর্ণ শিক্ষাই দেওয়া হয়ে থাকে সুতরাং সেখানে আলাদা করে মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষার প্রয়োজন নেই।
মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য এলাকাগুলোতে অনেক মাদ্রাসা রয়েছে, (আশা করি গুগলের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে ভালভাবে খোঁজ খবর নিবেন)

আলকায়দা ও আফ্রিকার আল সাবাব, মধ্য আফ্রিকার বোকোহারাম। এরা মনেকরে সুধু নারী শিক্ষা না, যে কোন শিক্ষাই হারাম। মুসলমানদের যুদ্ধশিক্ষা ছাড়া যে কোন শিক্ষাই হারাম। নবীজি (স) সময়কালে কোন স্কুল-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না, তাই এইসব হারাম। বোকোহারাম শব্দের অর্থই 'শিক্ষা হারাম'।
এখানে আপনার জানার বিশাল শুন্যতা রয়েছে! আশা করি যেনে নিবেন। শুধু বোকো হারামের অর্থটাও তুলে ধরতেছি, বোকো হারাম এর শাব্দিক অর্থ আমেরিকান শিক্ষা হারাম। কিন্তু তারা আজকাল মনে করে আমেরিকান সব কিছুই হারাম।

আমাকে ভূল বুঝবেন না!
কোন বাতিল সম্প্রদায় সম্পর্কে না জেনে (তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা খুব কঠিন, তেমনি কোন বাতিল সম্প্রদায় সম্পর্কে না জেনে ) অন্যের কথা মত নিজের মধ্যে বিশ্বাস জন্মানো যেমন অন্ধতা ঠিক তেমনি কোন জাতি সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে অন্ধ ভাবে অনুসরণ করাও চরম বোকামি।
ঈশ্বর আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান লাভের সুযোগ দিন, এটাই কামনা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি বুঝে বলছে তো!
বোকো হারাম অর্থ শিক্ষা হারাম। এই কারনে ওরা ছাত্র সহ সব স্কুল হোষ্টেল ধ্বংশ করছে।
আর আপনি বলছেন বোকো হারাম এর অর্থ আমেরিকান শিক্ষা হারাম। তাহলে এরা কোন কারনে ছাত্র সহ গ্রামের সব স্কুল হোষ্টেল ধ্বংশ করছে কেন? নাইজেরিয় গ্রামে আমিরিকান পদ্ধতির স্কুল আছে?
"তারা আজকাল মনে করে আমেরিকান সব কিছুই হারাম"।
নিজেরা গুলির খোসাটাও বানাতে পারে না। তবে আমেরিকান মেশিনগান, গুলি এইসব হালাল।
আমেরিকান ফেবু-টুইটারে কল্লাকাটা ছবি ভিডিও পাঠানো হালাল।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মাদ্রাসা ব্যাবস্থা সুধুমাত্র ভারত উপমহাদেশ এলাকায়ই সীমাবদ্ধ।
আরব দেশসমুহ, মধ্যপ্রাচ্য, তুরষ্ক, এশিয়া মাইনোর(প্রাক্তন সোভিয়েট মুসলিম প্রদেশ সমুহ) আফ্রিকা, ইন্দোনেশীয় এলাকা, মালয়েশীয়া কোথাও মাদ্রাসা নেই। চ্যালেঞ্জ!

তবে জামাতি ঘাটি লন্ডন ও নিউইয়র্কে বাংগালী এলাকায় কিছু মাদ্রাসা হয়েছে।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :-B আপনি কি এই সরকারের সম্প্রতি এই পাঠ্যপুস্তক সমুহকে ইসলামিকরন সমর্থন করছেন?

আমি ধর্মপুস্তক ছাড়া ইসলামিকরন সমর্থন করিনা আবার নাস্তিক-করন সমর্থন নেই। আমি চাই স্বাভাবিক প্রকিয়া। আগে আমাদের দেশে এত নাস্তিক্যবাদ যেমন ছিল না আবার জঙিবাদের প্রকটও এত ছিল না।

জামাত্যা ছিল যা জাতি অন্য চোখে দেখত।

যখনি নাস্তিকতা অতি প্রকট পেল তার প্রতিক্রিয়া হিসবে জঙিবাদ দ্রুত মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। মানে, আপনি ইট মারছেন জবাবে পাটকেল ফিরত আসছে।

বিশাল জন সংখ্যাকে আপনি শিক্ষা, চিকিতসা, মানব সম্পদ উন্ননের বাইরে রেখে আপনি নতুন কিছু জাহির করে চিল্লানি শুরু করবেন, "আসুন আমরা মুক্ত মনা হই" আর জনগণ তা শুনে আপনাদের পিছনে লাইন ধরবে, এটা ভাবা বোকামী।

আগে মানুষ কে শিক্ষা দিন, মানুষ নিজে থেকে আধুনিক হবে, তার আসল ঠিকানা খুজে নিবে। এর জন্য মুক্ত মনা হওয়ার কোন দরকার নেই।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫১

অ রণ্য বলেছেন: যে দেশে পড়াশোনা জানা, শিক্ষিত মানুষগুলোর আলোচনা বা তর্কের ভাষা এমন
সে দেশের পাঠ্যপুস্তক আর কত ভাল হতে পারে??
আপনারা যেভাবে কথা বলছেন বা তর্ক করছেন, তা দেখে আমার সত্যিকার অর্থেই ভীষণ লজ্জা বোধ হচ্ছে
আলোচনা বা তর্ক করার অর্থ এই নয় যে নিজের অবস্থান থেকে নিচে নেমে আসব!!!

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

অ রণ্য বলেছেন: আপনারা যার যত খুশি খিস্তি খেউড় করতে থাকুন...
শুধু একটা তথ্য দিয়ে রাখি, ৮০ সাল বা তার আগে যারা এই দেশে জন্মেছেন, তারা অন্তত আর কিছু না হোক
অসাধারণ টেক্সট বুক শিক্ষা জীবনে পেয়েছেন, যা এখনকার মতো এমন ভুলে ভরা, প্রশ্নবিদ্ধ বা পক্ষপাত দুষ্ট নয়।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



হাসান কালবৈশাখী,
আমাদের সকলেরই সাধারন শিষ্টাচারপূর্ন আচরনে অভ্যস্ত হওয়া উচিৎ নয় কি?

দয়া করে চিন্তা করে দেখুন- আপনার এই পোস্টের শিরোনাম- সব টেক্টবুক ইসলামি ধর্মপুস্তক বানিয়ে ফেলা হলেও এদেশী বোকো-হারামজাদারা সন্তুষ্ট হবে না -এ ব্যবহৃত বাক্যটিতে "এদেশী বোকো-হারামজাদারা" -এই 'হারামজাদারা' কথাটি দিয়ে যাদের প্রতি ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, তারা কি আসলেই এই নিকৃষ্ট অভিধায় ভূষিত হওয়ার উপযুক্ত? এবং সক্ষমতায় কুলালে প্রমান করে দেখান, যাদেরকে আপনি এই জঘন্যতম উপাধিতে ভূষিত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন, সত্যিই তারা 'হারামজাদা'। আর যদি তাতে সক্ষম না হন, তাহলে একটি দেশের গোটা জনসংখ্যার ৮০/৯০ ভাগের নামে মিথ্যে অপবাদ দেয়া এবং তাদেরকে অশ্লিল অভিধায় ভূষিত করার প্রতিকার কী হতে পারে বলে আপনার ধারনা?

সর্বোপরি বলতে চাই, ভাই- পৃথিবীতো থাকার জায়গা নয়। এখানে আপনি আমি যে ধর্মেই থাকি না কেন, কিংবা কোন ধর্ম ফলো করি বা নাই করি, আমাদের এই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবেই। 'হাসান কালবৈশাখী' নামের নিকটি এক দিন স্থবির হয়ে যাবে। 'নতুন নকিব' এক সময় থেমে যাবে। আমরা হারিয়ে যাব। আমাদের কথাগুলো, আমাদের আচরন, আমাদের স্মৃতি হয়তো কিছু দিন মানুষের মাঝে জাগরুক থাকবে। তো, এই অল্প সময়ের ক্ষুদ্র জীবনে কথা দিয়ে, ব্যথা দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়ার মধ্যে স্বার্থকতা কোথায়?

কথায় আছে না, এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন। ভাই, আসলেই আমাদের কি এমন মহত মহান জীবন গঠনে ব্রতি হওয়া উচিৎ নয়?

দেশের জন্য, মানুষের জন্য, জাতির জন্য আমাদের কিছু করনীয় রয়েছে। আপনার মত মেধাবীদের সেই দিকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। ক্ষুদ্র চিন্তা, মতামতের ভিন্নতা, নানান ধর্মের পার্থক্য- এগুলো ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে চলতে হবে। ধর্মওয়ালা, ধার্মিককে আমি যদি গালি দেই, প্রতি উত্তরে তিনিও তো আমাকে গালি দিবেন। ভদ্রতার খাতিরে তার মুখে গালির জবাবে একই রকম অশ্লীল শব্দ উচ্চারিত হতে না দেখলেও গালি খেয়ে তার চৌঁচির অন্তর নিশ্চয়ই আহত হবে।

আবার আপনি ধার্মিক মানুষ। আপনার ভেতরে যদি সত্যিকারের ধার্মিকতা থেকেই থাকে, তাহলে আপনি ধর্ম যিনি পালন করেন না তাকে গালি দিয়ে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে নিজের ধার্মিকতা জাহির করবেন- এটা কোন ভাবেই প্রকৃত ধার্মিকতা নয়।

এ ক'টি কথা- আপনাকে নিতান্তই যদি কোন কষ্ট দিয়ে থাকে সে জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করছি।

ভাল থাকবেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার মন্তব্য অনেক পরে আমার চোখে পড়ল।
প্রকৃত মুসলিম দাবিদার মধ্যপ্রাচ্যের আলকায়দা, আইসিস, পুর্ব আফ্রিকার আল সাবাব ও মধ্য আফ্রিকার বোকোহারাম।
এরা মনেকরে সুধু নারী শিক্ষা না, যে কোন শিক্ষাই হারাম।
এদের কাছে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ সবই হারাম।
শিল্প, সাহিত্য, কবিতা ছড়া, সঙ্গিত, চারুকলা কোন প্রানীর ছবি আঁকা, ছবিতোলা, ভাষ্কর্য তৈরি করা, ফটোগ্রাফি সহ সকল শিক্ষা-সংস্কৃতি হারাম।
বোকোহারাম শব্দের অর্থই 'শিক্ষা হারাম'।

আর এদেশী বোকোহারামজাদারা (তেতুল মোল্লারা) অবস্য একটু উদার। বালিকাদের ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত অনুমোদন দেয়।
এইসব তেতুল মোল্লারা একটি দেশের গোটা জনসংখ্যার ৮০/৯০ ভাগ কখনোই না।
বাংলাদেশেও না, নাইজেরিয়াতেও না।

২০০৮এ একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও এইরকম বিপুলসংখক ভোটারের উৎসবমুখর ভাল একটি নির্বাচন আর হবে কিনা সন্দেহ। সেই ভোটে তেতুল পন্থিরা ১% ভোটও পায়নি। তেতুল সমর্থক বিম্পি-জামাত অবস্য ৩৮% পেয়েছিল। ৮০/৯০ ভাগ কখনোই না।

আর আপনি এসব হারামজাদাদের মধ্যে পড়েন না কারন আপনার প্রফাইলে দেখলাম নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা। নিজেও কবিতা-গল্প লিখছেন।
তাহলে কেন আমার লেখায় কষ্ট পাবেন?
ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



''হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আর এদেশী বোকোহারামজাদারা (তেতুল মোল্লারা) অবস্য একটু উদার। বালিকাদের ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত অনুমোদন দেয়।
এইসব তেতুল মোল্লারা একটি দেশের গোটা জনসংখ্যার ৮০/৯০ ভাগ কখনোই না।
বাংলাদেশেও না, নাইজেরিয়াতেও না।''

-এদেশী বোকোহারামজাদা কিংবা তেতুল মোল্লা বলে যাদের অতিশয় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন, বিনীতভাবে বলছি- যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে পরকালে কঠিন জবাবদিহী করতে হবে। তাই সময় ক্ষেপন না করে এসব থেকে অনুতপ্ত অন্তরে ফিরে আসুন। কারন, যাদের প্রতি এসব কথা আরোপ করছেন আসলে (আমরা ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে না পারলেও সত্যটাকে স্বীকার করলে বাস্তবতা তো এটাই যে) প্রকৃতপক্ষে তারাই সঠিকভাবে ধর্ম পালনকারী। প্রকৃত ধর্মপ্রান তারাই, ভাই।

আর যদি, আপনি অমুসলিম কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে বিনীত অনুরোধ করব- যতটুকু সম্ভব আপনার ধর্ম আঁকড়ে থাকুন। আর যাচাই করুন, আসলে আপনি নিজে কতটুকু ফলো করতে পারছেন। নিজ ধর্মের কিংবা অন্য ধর্ম পালনকারী লোকদের পিছে অনর্থক লাগতে যাবেন কেন?

ভাল থাকবেন।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব...... যারা তেতুল্লাহদের মুসলমান মনে করে তারা তা মনে করতে পারে কারন তেতুল্লাহরা আল্লাহ কোরান হাদিস বিশাষ করে, তবে কোরান না মেনে হাদিস বেসি মানে। তারা অনেকটা আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি ফেতনার অন্তর্ভুক্ত। তারা বোকাহারামের মতই। তারা ইসলাম ধর্মে বিকৃত ব্যখা করে যেমন।

দেশে এখন মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে উত্তেজনা চলছে। বিষয়টির সঙ্গে হেফাজতিরা ইসলামকে জড়িয়ে ফেলেছে। তাই চলুন আমরা সূত্র ধরে দেখি এ ব্যাপারে কোরান, হাদিস, সিরাত (ইবনে হিশাম ইবনে ইবনে ইসহাক), তারিখ আল তারারি ও অন্যান্য দলিল কী বলে।

প্রথমেই তিনটে শব্দ বুঝে নেওয়া যাক: প্রতিমা, ভাস্কর্য ও মূর্তি। প্রতিমা হল মানুষ যার আরাধনা উপাসনা করে, ইহকালে-পরকালে মঙ্গল চায়, ভুলের ক্ষমা চায় ইত্যাদি। ভাস্কর্য্য হল মানুষসহ কোনো প্রাণী বা কোনো কিছুর মূর্তি যাকে মানুষ রাখে সম্মান দেখতে বা সৌন্দর্য্য বর্ধন করতে, যার মানুষ আরাধনা বা উপাসনা করে না। এবারে অন্যান্য দলিলের দিকে তাকানো যাক, সেখানে আমরা দেখব হযরত মুহাম্মদের (সা.) বাড়িতে মূর্তি ছিল তাঁর সম্মতিক্রমেই। সব দলিলের শেষে আমরা কোরানে যাব এবং দেখতে পাব আল্লাহর নির্দেশেই এক পয়গম্বরের প্রাসাদে ভাস্কর্য ছিল।

কোরানে যাওয়ার আগে প্রথমেই হাদিস ও অন্যান্য দলিল। কাবাতে রাসূল (সা.) লাত, মানাত, উজ্জা, হোবল, ওয়াদ ইত্যাদির প্রতিমা ভেঙেছিলেন, এগুলোর আরাধনা করা হত বলে। ভাস্কর্য ও মূর্তির বিপক্ষে কিছু হাদিস আছে, কিন্তু সাধারণত বিপক্ষের দলিলে আমরা ব্যক্তির নাম ও ঘটনার বিবরণ পাই না, যা পক্ষের হাদিসগুলোতে পাই। পার্থক্যটা গুরুত্বপূর্ণ।

(ক) সহি বুখারি ৮ম খণ্ড হাদিস ১৫১:
আয়েশা বলিয়াছেন, আমি রাসুলের (সা.) উপস্থিতিতে পুতুলগুলি লইয়া খেলিতাম এবং আমার বান্ধবীরাও আমার সহিত খেলিত। যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমার খেলাঘরে প্রবেশ করিতেন, তাহারা লুকাইয়া যাইত, কিন্তু রাসুল (সা.) তাহাদিগকে ডাকিয়া আমার সহিত খেলিতে বলিতেন।

(খ) সহি আবু দাউদ বুক ৪১ হাদিস নং ৪৯১৪:
বিশ্বাসীদের মাতা আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন, যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাবুক অথবা খাইবার যুদ্ধ হইতে ফিরিলেন তখন বাতাসে তাঁহার কক্ষের সামনের পর্দা সরিয়ে গেলে তাঁহার কিছু পুতুল দেখা গেল। তিনি [(রাসুল (সা.)] বলিলেন, “এইগুলি কী?” তিনি বলিলেন, “আমার পুতুল।” ওইগুলির মধ্যে তিনি দেখিলেন একটি ঘোড়া যাহার ডানা কাপড় দিয়া বানানো হইয়াছে এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহা কি যাহা উহার উপর রহিয়াছে?” তিনি উত্তরে বলিলেন, “দুইটি ডানা।” তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ডানাওয়ালা ঘোড়া?” তিনি উত্তরে বলিলেন, “আপনি কি শোনেননি যে সুলেমানের ডানাওয়ালা ঘোড়া ছিল?” তিনি বলিয়েছেন, ইহাতে আল্লাহর রাসুল (সা.) এমন অট্টহাসি হাসিলেন যে আমি উনার মাড়ির দাঁত দেখিতে পাইলাম।”

(গ) সহি মুসলিম – বুক ০০৮, নং ৩৩১১:
আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন যে আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁহাকে সাত বৎসর বয়সে বিবাহ করিয়াছিলেন (যদিও অন্য রেওয়াতে আমরা পাই ছয় বছর: হাসান মাহমুদ) এবং তাঁহাকে নয় বৎসর বয়সে কনে হিসেবে তাঁহার বাসায় লইয়া যাওয়া হয়, এবং তাঁহার পুতুলগুলি তাঁহার সাথে ছিল এবং যখন তিনি দেহত্যাগ করিলেন তখন তাঁহার বয়স ছিল আঠারো।

(ঘ) সহি মুসলিম – বুক ০৩১ নং ৫৯৮১:
আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন যে তিনি আল্লাহর রাসুলের (সা.) উপস্থিতিতে পুতুল লইয়া খেলিতেন এবং যখন তাঁহার সঙ্গিনীরা তাঁহার কাছে আসিত তখন তাহারা চলিয়া যাইত। কারণ তাহারা আল্লাহর রাসুলের (সা.) জন্য লজ্জা পাইত। যদিও আল্লাহর রাসুল (সা.) তাহাদিগকে তাঁহার কাছে পাঠাইয়া দিতেন।

সহি বুখারির ব্যাখ্যা শুনুন। হাদিসটার ফুটনোটে ‘ফতহুল বারি’র লেখক ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর উদ্ধৃতি: “পুতুল ও একই রকম ইমেজ অবৈধ কিন্তু ইহা বৈধ করা হইয়াছিল তখন আয়েশার (রা.) জন্য। কারণ তিনি ছিলেন ছোট বালিকা, তখনও তিনি বয়স্কা হননি।” (ফতহুল বারি, পৃষ্ঠা ১৪৩, ১৩ খণ্ড)

নবী (সা.) পুতুল বৈধ করেছিলেন এটাই আসল কথা। কী কারণে করেছিলেন সেটা ইমামের জানা সম্ভব নয়। কারণ তিনি রাসুলের (সা.) ৮০০ বছর পরের হাজার মাইল দূরে মিসরের লোক, রাসুলের (সা.) সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি। ওটা তাঁর ব্যক্তিগত মত মাত্র।

এবারে আরও কিছু সংশ্লিষ্ট দলিল।

তখন কাবার দেয়ালে ৩৬০টি মূর্তি (বুখারি ৩য় খণ্ড – ৬৫৮) ও অনেক ছবির সঙ্গে ছিল হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবিও। উদ্ধৃতি দিচ্ছি, “রাসুল (সা.) হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবি বাদে বাকি সব ছবি মুছিয়া ফেলিতে নির্দেশ দিলেন।” (সিরাত (ইবনে হিশাম/ইবনে ইশাক-এর পৃষ্ঠা ৫৫২)

এবারে সাহাবি ও খলিফারা।

দুনিয়ার প্রায় এক চতুর্থাংশ জয় করেছিলেন মুসলিমরা। সবই অমুসলিমের দেশ এবং সেখানেও নিশ্চয়ই অনেক প্রতিমা-ভাস্কর্য ছিল, সেগুলোর তো সবই ভেঙে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানেও আমরা তেমন দলিল পাই না। ৭১০ সালে হিন্দু রাজা দাহিরের দেশ সিন্ধু জয় করার পর কয়টা মূর্তি ভেঙেছিলেন মুহম্মদ বিন কাশেম? ভাস্কর্য-মূর্তি তো দূরের কথা কোনো প্রতিমাও ভেঙেছেন বলে জানা যায় না।

রাসুলের (সা.) অজস্র ছবি স্বচক্ষে দেখতে চাইলে ইরানে চলে যান। দেখবেন দেয়ালে ঝুলানো সুদৃশ্য কার্পেটে আছে মা আমিনার কোলে শিশু নবী (সা.), সাহাবি পরিবেষ্টিত নবীজি (সা.), আসমানে বোরাখে উপবিষ্ট নবীজি (সা.) ইত্যাদি।

গুগল করলেই পেয়ে যাবেন– সবই কাল্পনিক ছবি অবশ্য– হাজার বছর ধরে আছে ওগুলো। ইরান এখন তো শিয়া দেশ, কিন্তু ৭৫০ সালে আব্বাসিরা দখল করার আগে পর্যন্ত ওটা সুন্নি উমাইয়াদের রাজত্ব ছিল।

এবারে সাম্প্রতিক কাল। ছবি তো ছবি, নবীজির (সা.) আট ফুট উঁচু, ১০০০ পাউণ্ড ওজনের মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যও ছিল দীর্ঘ ৫৩ বছর। ১৯০২ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ২৫ নং স্ট্রিট ম্যাডিসন এভিনিউতে অবস্থিত ম্যাডিসন পার্কের মুখোমুখি নিউইয়র্ক আপিল বিভাগের কোর্ট দালানের ছাদে। ইতিহাসের আরও নয়জন আইনদাতাদের সঙ্গে নবীজির (সা.) আট ফুট উঁচু মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যও রাখা ছিল সসম্মানে।

গুগলে ‘এ স্ট্যাচু অব মুহাম্মদ’ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। মুসলিম সমাজ ও দেশগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওটা সরানো হয়েছে। এখন ইতিহাসের বাকি নয়জন আইনদাতার ভাস্কর্য রাখা আছে। কোর্টের ভেতরের দেয়ালে ওই দশজনের সঙ্গে তাঁর ভাস্কর্য এখনও আছে কি না জানি না। ওটার ছবি এখনও আছে কি না জানি না।

কোরান-রাসুল (সা.)-সাহাবি-খলিফা-সাম্প্রতিক কাল তো অনেক হল, মধ্যপ্রাচ্যের কী খবর? হাঙ্গামা করার আগে বাংলাদেশের ইমামদের ভেবে দেখা দরকার কেন মধ্যপ্রাচ্যের ইমামেরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে নন। সৌদি আরবেও বহু ভাস্কর্য আছে। গুগল করুন ‘স্ট্যাচু ইন মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ কিংবা ‘স্ট্যাচু ইন সৌদি আরব’– রাস্তার মোড়ে মোড়ে উটের, কবজি থেকে হাতের আঙুলের, মুসলিম বীরদের এবং আরও কত ভাস্কর্য। সেখানকার মওলানারা জানেন কোরান ও রাসুল (সা.) সুস্পষ্টভাবে প্রতিমাকে নিষিদ্ধ করে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে বৈধ করেছেন। তাই তাঁরা মুসলিম বিশ্বে অজস্র মূর্তি ও ভাস্কর্যকে অস্বীকৃতি জানাননি।

এবারে কোরান। কোরানে সুস্পষ্ট বলা আছে: (ক.) মূর্তিপূজা শয়তানের কাজ (মায়েদা ৯০) এবং (খ.) “এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ?” (আম্বিয়া ৫২)।

অর্থাৎ কোরানের নিষেধ মূর্তিপূজা, উপাসনা-আরাধনা-ইবাদত সম্পর্কে। কারণ, মূর্তি স্রষ্টার অংশীদার অর্থাৎ শরিক হয়ে দাঁড়ায়। এটাই মানুষকে মুশরিক বানায়। তাহলে যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না, যে মূর্তি সৌন্দর্য্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সে ব্যাপারে কোরান কী বলে? এখানে আমরা অবাক হয়ে দেখব কোরান সুস্পষ্ট ভাষায় ভাস্কর্যের অনুমতি দেয়। উদ্ধৃতি:

“তারা সোলায়মানের (আ.) ইচ্ছানুযায়ী দূর্গ, মূর্তি, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত।” (সুরা সাবা, আয়াত ১৩)

নবীজি (সা.) মূর্তি-ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেটা কোরানের ওই আয়াতের বিরুদ্ধে যেত, সেটা সম্ভব নয়। আরাধনা করলে সেটা হয় প্রতিমা আর না করলে হয় ভাস্কর্য (মূর্তি)। ইসলাম প্রতিমার বিরুদ্ধে, ভাস্কর্য ও মূর্তির বিরুদ্ধে নয়।

আদি থেকে মানুষ স্রষ্টা খুঁজেছে, সূর্য-চন্দ্র থেকে শুরু করে পশু-পাখিকে, এমনকি নিজেরাই মূর্তি বানিয়ে আরাধনা করেছে। যে হযরত মুসা (আ.) মানুষকে সেই একমেবাদ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা বাছুরের মূর্তির আরাধনা করেছে। যে ঈসা (আ.) মানুষকে সেই একমেবাদ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা তাঁর তো বটেই, তাঁর মায়েরও (মাতা মেরি) মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। যে গৌতম বুদ্ধ স্রষ্টার ধারণা ত্যাগ করে কর্মফলের কথা বলেছেন, তাঁর অনুসারীরা তাঁর মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। এখানেই ইসলামের আপত্তি: ইসলাম আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক বা অংশীদার করার ঘোর বিপক্ষে।

তাই হয়তো অতীত বর্তমানের কিছু ইমাম সরাসরি মূর্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিমা ও ভাস্কর্যের পার্থক্য উপেক্ষা করছেন। ইমামেরা প্রতিমার বিরুদ্ধে বলুন অসুবিধা নেই, কিন্তু ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেটা কোরান-রাসুলের (সা.) বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হয় কি না, তাঁরা ভেবে দেখতে পারেন। কারো দরকার হলে উপরোক্ত সূত্রগুলোর কপি দেওয়া যেতে পারে।
হেফাজত বোকাহারাম

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মূর্তিওয়ালা আল্লামাদের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে!!!!

এ আর ১৫,
আপনি আবার এখানেও বাম হাত ঢুকিয়ে দিলেন? শুনুন, ভাই, আপনার কাছে হলেও গুগল মুগল আমাদের কাছে কখনও শরীয়তের দলিল নয়। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা দূর প্রাচ্য যেখানকার ইমাম আয়িম্মার রেফারেন্সই দেন না কেন, আমরা কুরআন হাদিস ফলো করি। ভাস্কর্য আর মূর্তি যে একই জিনিষ, ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করেই যে এক সময় পূজার প্রচলন শুরু হয়, এগুলোর অসংখ্য ঘটনা পূর্ববর্তী জাতিগুলোর ইতিহাস অধ্যয়ন করলে অবগত হতে পারবেন।

আপনার কথামত, ভাস্কর্য যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমোদিত কিংবা এতই প্রিয় জিনিষ হয়ে থাকবে তাহলে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে তিনি তাঁর অসংখ্য ভাস্কর্য পৃথিবীর কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিতেন। নাউজুবিল্লাহ। বরং স্পষ্ট ভাষায় তিনি উচ্চারন করেছেন- "বুয়িসতু লিকসরিল আছনাম'' অর্থাৎ আমাকে প্রেরন করা হয়েছে মূর্তি ধ্বংসের জন্য।

মূর্তি ভাস্কর্য যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমোদিত কিংবা এতই প্রিয় জিনিষ হয়ে থাকবে তাহলে জগতের শ্রেষ্ঠতম মানুষ তাঁর সাহাবা খলিফা চতুষ্টয়ের অসংখ্য ভাস্কর্য পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কথা। অর্ধ পৃথিবীর শাসক হযরত উমারের একটি ভাস্কর্যও আরব আজমের কোথাও জায়গা পেল না?

ছল চাতুরি আর কত কাল?
আর কত চালাকি?
আর কত চাও আঁধার রাতি
আলোর কত বাকি?

মিথ্যে ছেড়ে মূর্তি ছেড়ে
রবের পথে আসো,
পাথর পাষান বৃক্ষ অসাড়
রবকে ভালবাসো।

ভ্রান্তি জালে জড়িয়ে তুমি
যাচ্ছো শুধুই বাতিল চুমি
সত্য থেকে অনেক দূরে
এমনি করে অনেক ঘুরে
লাভ কি বলো- 'এ আর'?

সত্যটাকে আঁকড়ে বুকে
সুখের সময় কিংবা দু:খে
মহান রবের হুকুম মত
চলতে থাক অবিরত
অনেক তোমায় পেয়ার।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পবিত্র কোরান ও বিভিন্ন হাদিসের আলোকে ছবি বা মুর্তির ব্যাপারে যা বোঝা যায় -

মুর্তির ব্যাপারে রসুল (স) মুলত বলেছেন -
তার কোন ছবি বা প্রতিকৃতি যাতে তৈরি করা না হয়, কারন পরে মানুষ আল্লাহ এবাদত না করে তার মুর্তিকেই আরধনাকরা সুরু করতে পারে। যেমন করেছিল যিশু খ্রীষ্ট, গৌতম বুদ্ধ, মক্কায় আল-লাত, আল-উজ্জা্র অনুসারিরা।

আদি থেকে মানুষ স্রষ্টা খুঁজে গেছে,
সূর্য-চন্দ্র, পর্বত, পশু-পাখিকে, এমনকি নিজেরাই অজ্ঞাত কাউকে মূর্তি বানিয়ে আরাধনা করেছে্।
হযরত মুসা (যিশু খ্রীষ্ট) মানুষকে সেই একমে বা দ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা বাছুরের মূর্তির আরাধনা করেছে।
ঈসা (আ.) মানুষকে সেই একমে বা দ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা তাঁর মুর্তি, ক্রুশবিদ্ধ মুর্তি, এমনকি তাঁর মায়েরও (মাতা মেরি) মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। যে গৌতম বুদ্ধ স্রষ্টার ধারণা ত্যাগ করে কর্মফলের কথা বলেছেন, তাঁর অনুসারীরা পরে তাঁর মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে।
এখানেই মুলত ইসলামের আপত্তি: ইসলাম সর্বশেষে আবির্ভুত হওয়ায় পুর্ববর্তি নবি অনুসারিদের ভুলত্ররুটি থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছে। রসুল (স) স্পষ্টভাবে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক বা অংশীদার করার ঘোর বিরোধী ছিল। মুর্তি বিরোধীতা মুলত একারনেই।
এছাড়া অন্য ছবি, অঙ্কিত পোর্ট্রেট, মুর্তি ইত্যাদি নিরুৎসাহিত করতে দেখা গেছে, তবে কোথাও নিষিদ্ধ করেনি।
নিষিদ্ধ করা হলে স্পষ্টভাবে কোরানে লিপিবদ্ধ থাকতো।
মক্কা বিজয়ের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছবি ও মুর্তির ব্যাপারে ছাড় দিতে দেখা গেছে। কাবা ঘরে শতশত মুর্তি ধ্বংশ করা হলেও কাবার দেয়ালে ৩৬০টি মূর্তি ও অনেক ছবির সঙ্গে ছিল খোদাই করা হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবিও। “রাসুল (সা.) হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবি বাদে বাকি সব ছবি মুছিয়া ফেলিতে নির্দেশ দিলেন।” (বুখারি ৩য় খণ্ড – ৬৫৮ ও সিরাত ইবনে হিশাম/ইবনে ইশাক-এর পৃষ্ঠা ৫৫২)

সব হাদিস অবস্য বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না। কারন হাদিস লেখা সুরু হয়েছিল নবিজির মৃত্যুর ৩০০ বছর পর। বিদায় হজে রসুলুল্লাহ হাদিস অনুসরন না করে সুধু কোরানকেই ফলো করতে বলেছেন। এই কারনে হজরত আবুবকর ও ওমর সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। এরপর ৩০০ বছর পর মিশরে হাদিস লেখা সুরু হয়।
৬টি জেনারেশনে ইসলামের বিভিন্ন অনুসারিরা নিজেদের মধ্যে হানাহানি বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহে বহুধা বিভক্ত হয়েগেছে।
শিয়া, সুন্নি হানাফি, সালাফি, মালেকি, হামবলি, সুফি, কাদিয়ানি, হাক্কানি, ওহাবি ইত্যাদি ৭৩ ভাগে বিভক্ত। সবাই তালগাছের মত সুধুমাত্র নিজেদের মতবাদই সঠিক পথ বলে মনে করে। উপধারায় বিভক্ত উপ-অনুসারিরাও আছেন। আমাদের দেশে দেওবন্ধি, চরমনাই, মাইজভান্ডারি, মাওদুদীবাদী, জাকেরপন্থি, দেওয়ানবাগী ইত্যাদি।

এরপরও গায়েরজোরে বলবেন হাদিস মানতেই হবে। ঠিক আছে মানলাম।
কিন্তু হাদিস ছবি-মুর্তির বিপক্ষে যেমন আছে পক্ষেও তো আছে।

মুর্তির বিরুদ্ধে যেহাদ সুরু করেছেন, ছবির বিরুদ্ধে করছেন না কেন?
মুর্তিতো মাত্র আদালতে স্থাপিত হচ্ছে। ছবি-ভিডিও অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত ও চালু।
মাত্র একটা মুর্তির জন্য আন্দোলন না করে ছবি বিহীন পাসপোর্ট মাধ্যমে হালাল হজ আন্দোলন সুরু করে দেন।
এরপর চলচিত্র, টিভি, ভিডিও নিষিদ্ধ করুন। ছবিহীন ফেসবুক, চিত্রবিহীন সংবাদপত্র চালুর জন্য আন্দোলন করুন।
সুধু মুর্তির বিরুদ্ধে আধা-মাধা আন্দোলন মানি না মানবো না।

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিবের জন্য আমার ব্লগে লিখা নিচের লেখাটি পোষ্ট কোরছি ---------
সেদিন এক ব্লগে মুর্তি বিষয়ক এক বিতর্কে একটা মন্তব্য সবার জন্য শেয়ার না করে পারছি না । বিষয় ছিল রাস্তার পাশে কোন মনুমেন্ট বা মুর্তি রাখা নাকি শিরক করা( যদি পুজা নাও করা হয়) । তারা দাবি করছে ঐ সব মুর্তি শুধু দেখলেই বাই ডিফ্লট শিরক করা হয়ে যাবে এইটা নাকি সহি হাদিস বুখারী মুসলিম ও অন্যান হাদিস বইয়ে আছে । তাকে জনৈক ব্যক্তি সুরা সাবার ১২ এবং ১৩ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বল্লো নবী সোলেমান (রা) সময় তার ইচ্ছায় আল্লাহ নগর ব্যপি ভাস্কর্য জিনদের দিয়ে তৈরী করিয়েছিলেন ---- ৩৪-১৩ তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ। ---- তখন তিনি দাবি কোরলেন মুর্তি নাকি ভাস্কর্য নহে । তাকে এনসাইকোপিডিয়া থেকে রেফারেন্স নিয়ে দেখানো হোল কিন্তু তিনি অনড় বোলছেন সহি হাদিসে আছে রাস্তার পাশে মুর্তি থাকলে শরিক করা হয়ে যাবে তার পর তিনি সুরা আম্বিয়ার ৫২তম আয়াতের উদ্ধৃতি দিলেন কিন্তু সেখানে রাস্তার পাশে মুর্তি থাকলে পুজা না করলে ও বাই ডিফল্ট শরিক করা হবে কিছু বলা হয় নাই ।
তার পর যে উত্তর ঔ ব্লগার সাহেব দিলেন সেটা না পোড়লে অনেক কিছু মিস কোরবেন , একটু পড়ুন জবাব টা প্লীজ -----

সুরা আনম্বিয়ার ৫২ তম আয়াতের যত ইংরেজি অনুবাদ দেখলাম সব খানে ইমেজ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু বাংলাতে লেখা হয়েছে মুর্তি । এই আয়াতে মুর্তিকে বা ইমেজকে পুজার কথা বলা হয়েছে । সুতরাং মুল জিনিসটা হোল পুজা করাটা এবং এই পুজা করাটা হারাম এবং শুধু মুর্তি কেন কোন কিছুকেই পুজা করা হারাম । পুজা না করলেও যে মুর্তি বা পুজার আইডল হারাম হবে এমন কোন কথা কোরানের কোন আয়াতে লেখা নাই কিন্তু ৩০০ বৎসর পর লিখা হাদিসে নাকি বলা হয়েছে পুজা না করা হোলে ও মুর্তি হারাম । এই হাদিস মানলে গোটা জীবনটা যে হারাম হয়ে যায় । কি ভাবে দেখুন নিচে ।
১) মুর্তি পুজা করা হারাম সুতরাং মুর্তি পুজা না করেও মুর্তি দেখা বা রাস্তা ঘাটে থাকা হারাম এবং শেরেকি ।
২) সুর্য পুজা করা হারাম (সুর্যদেব ) -- সুতরাং দিনের বেলা ঘর থেকে বেড় হওয়া হারাম , সুর্যালোকের নিচে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ।
৩) চন্দ্র পুজা করা হারাম (চ্ন্দ্রদেবী) --- সুতরাং চাদের আলোয় যাওয়া হারাম , রোজা ঈদের চাদ দেখা হারাম ।
৪)গাছ পুজা হারাম সুতরাং গাছ লাগানো বা গাছ দেখা হারাম
৫)আগ্নি পুজা হারাম সুতরাং আগুন দিয়ে রান্না করা ,মোমবাতি হারিকেন জ্বালানো হারাম
৬)গরু পুজা হারাম সুতরাং গরু পোষা , গরুর মাংস খাওয়া এবং গরুর দুধ খাওয়া হারাম ।
৭) শিব লিঙ্গ পুজা করা হারাম সুতরাং পুরুষের দেহে লিঙ্গ থাকা হারাম ও শেরেকি !!!
সুতরাং ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস মানতে গেলে কি হয় দেখতে পাচ্ছেন । আল্লাহ সব জানেন তাই তিনি কোরানের আয়াতে বোলেছেন মুর্তি বা অন্য কোন এনটিটিকে পুজা করা হারাম । পুজা বিহিন ভাস্কর্য বা মুর্তি বা অন্য কোন এনটিটিকে হারাম বলেন নি ।

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



হাসান কালবৈশাখী,
ধৈর্য নিয়ে লম্বা উত্তর দেয়ায় কৃতজ্ঞতা! আপনার সর্বশেষ মন্তব্যের উত্তর যদি লিখতে হয় আমার মোটামুটি রেফারেন্সসহ উদ্ধৃতি দিতে হবে। সব কিছু ম্যানেজ করতে একটু সময় লাগতে পারে।

ভাল থাকবেন।

আর 'এ আর ১৫' -এর জন্য বিশেষ উপহার আমার কষ্ট করে বানানো ক'লাইন-

ছল চাতুরি আর কত কাল?
আর কত চালাকি?
আর কত চাও আঁধার রাতি
আলোর কত বাকি?

মিথ্যে ছেড়ে মূর্তি ছেড়ে
রবের পথে আসো,
পাথর পাষান বৃক্ষ অসাড়
রবকে ভালবাসো।

ভ্রান্তি জালে জড়িয়ে তুমি
যাচ্ছো শুধুই বাতিল চুমি
সত্য থেকে অনেক দূরে
এমনি করে অনেক ঘুরে
লাভ কি বলো- 'এ আর'?

সত্যটাকে আঁকড়ে বুকে
সুখের সময় কিংবা দু:খে
মহান রবের হুকুম মত
চলতে থাক অবিরত
অনেক তোমায় 'পেয়ার'

শুভ কামনা অন্তহীন।

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিবের জন্য নিচের বিষয় গুলো অনুসরন করা তার ঈমাণী দায়িত্ত।।।

১) মুর্তি পুজা করা হারাম সুতরাং মুর্তি পুজা না করেও মুর্তি দেখা বা রাস্তা ঘাটে থাকা হারাম এবং শেরেকি ।
২) সুর্য পুজা করা হারাম (সুর্যদেব ) -- সুতরাং দিনের বেলা ঘর থেকে বেড় হওয়া হারাম , সুর্যালোকের নিচে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ।
৩) চন্দ্র পুজা করা হারাম (চ্ন্দ্রদেবী) --- সুতরাং চাদের আলোয় যাওয়া হারাম , রোজা ঈদের চাদ দেখা হারাম ।
৪)গাছ পুজা হারাম সুতরাং গাছ লাগানো বা গাছ দেখা হারাম
৫)আগ্নি পুজা হারাম সুতরাং আগুন দিয়ে রান্না করা ,মোমবাতি হারিকেন জ্বালানো হারাম
৬)গরু পুজা হারাম সুতরাং গরু পোষা , গরুর মাংস খাওয়া এবং গরুর দুধ খাওয়া হারাম ।
৭) শিব লিঙ্গ পুজা করা হারাম সুতরাং পুরুষের দেহে লিঙ্গ থাকা হারাম ও শেরেকি !!!

১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:


এ আর ১৫ বলেছেন:
@@নতুন নকিবের জন্য নিচের বিষয় গুলো অনুসরন করা তার ঈমাণী দায়িত্ত।।।

১) মুর্তি পুজা করা হারাম সুতরাং মুর্তি পুজা না করেও মুর্তি দেখা বা রাস্তা ঘাটে থাকা হারাম এবং শেরেকি ।
২) সুর্য পুজা করা হারাম (সুর্যদেব ) -- সুতরাং দিনের বেলা ঘর থেকে বেড় হওয়া হারাম , সুর্যালোকের নিচে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ।
৩) চন্দ্র পুজা করা হারাম (চ্ন্দ্রদেবী) --- সুতরাং চাদের আলোয় যাওয়া হারাম , রোজা ঈদের চাদ দেখা হারাম ।
৪)গাছ পুজা হারাম সুতরাং গাছ লাগানো বা গাছ দেখা হারাম
৫)আগ্নি পুজা হারাম সুতরাং আগুন দিয়ে রান্না করা ,মোমবাতি হারিকেন জ্বালানো হারাম
৬)গরু পুজা হারাম সুতরাং গরু পোষা , গরুর মাংস খাওয়া এবং গরুর দুধ খাওয়া হারাম ।
৭) শিব লিঙ্গ পুজা করা হারাম সুতরাং পুরুষের দেহে লিঙ্গ থাকা হারাম ও শেরেকি !!!@@

আমাদের কথা:

প্রথমেই অনুরোধ করছি, আপনার লেখার প্রতি যত্নবান হোন। এত বানান ভুল থাকলে সেই লেখা পড়ার ইচ্ছে থাকে না। জবাব তো পরের কথা!

তবুও সংক্ষেপে দু'চার কথা না বললেই নয়-

আপনি তো সেই পুরনো তার ছেঁড়া আল্লামা!! একই কথা, একই বিষয়ে কত বার কতভাবে বুঝানোর পরে আপনার মূর্তি পুজার খাহেশ মিটবে? আগেই বলেছিলাম (অন্য পোস্টে), মূর্তি ভালো লাগলে আপনি আপনার পকেটে কয়েকটা রেখে দেন। কিন্তু অন্যদের শিরকে উদ্বুদ্ধ করার দু:সাহস দেখাতে যাবেন না। কে শোনে কার কথা? কথায় আছে না? 'চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।' সেইরকম 'পাঁচ সের চাল দিয়ে হলেও' আমার কথা উপরে রাখবই। কিংবা 'বিচার মানি তালগাছ আমার' -স্বভাব পরিবর্তন হয় না।

এ আর ১৫ এর অবস্থাও মনে হয় সেরকমই।

১। সুর্য, চন্দ্র, গাছ এবং গরু এগুলো আল্লাহর সৃষ্টি জীব। এগুলো মানুষের কল্যানের জন্য, মানুষের প্রয়োজন পূরনের লক্ষ্যে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন। এগুলোকে পূজা করার জন্য নয়।

২। মূর্তি, শিব লিঙ্গ, কিংবা অগ্নি ইত্যাদি মানুষ নিজ হাতে বানাতে কিংবা এর আকৃতিতে পরিবর্তন পরিবর্ধন আনতে পারে। এগুলো বানানোর ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। মূর্তি শিব লিঙ্গ এগলো বানানো হয় অর্চনা পূজার জন্য। সুতরাং, মূর্তি শিব লিঙ্গ আর সুর্য, চন্দ্র, গাছ এবং গরু এগুলোর সৃষ্টিগত পার্থক্য যে বুঝতে অক্ষম তার মত নির্বোধের সাথে কথা বলা নিরর্থক।

ছোট্ট ছড়াটি আপনি পড়েছিলেন?

২০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন --- সুর্য,চন্দ্র,গাছ এবং গরু আল্লাহর সৃষ্ঠি জীব !!!!!!!!!!! ------- সুর্য ও চাদ হয়েছে জীব !!!!!!!!!
নাট বল্টু গুলি বোধ হয় সব গেছে !!!!!
তিনি তেতুল্লাকে মমিন প্রমাণ করতে চান এবং আমি দেখিয়েছি দলিল থেকে পুজাহীন মুর্তি ইসলামে গ্রহন যোগ্য এর পক্ষে হাদিস আছে এবং কোরানের আয়াত ৩৪-১৩ এর সাপোর্ট আছে কিন্তু কিছু হাদিস আছে যা দাবি করে যে সমস্ত এনটিটিকে পুজা করা হয় সে গুলোকে পুজা না কোরলেও সামনে থাকলে দেখা হারাম ও শেরেকি । ওনারা ঐ হাদিসগুলো মানেন কিন্তু কোরানের আয়াত ৩৪-১৩ কে মানেন না । মানি তেতুল হুজুর নতুন নকিবরা---আল্লাহ মানেন কোরান মানেন না কিন্তু হাদিস মানেন ।
ঐ হাদিস গুলো যে গুলো বলে পুজা না কোরলে ঐ এনটিটি গুলো অবলোকন করা বা সামনে থাকলে শেরেকি করা হয় ----- সে গুলো যে কতখানি অবাস্তব ও মিথ্যা হাদিস সেটা প্রমাণ করার জন্য ঐ ৭টা পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে ।ঐ হাদিস অনুযায়ি এখন মুর্তি সুর্য চাদ আগূন গরু পুরুষের যৌন অঙ্গ সব কিছুই হারাম ও শেরেকি হয়ে যায় সেটা বোঝার মত বিদ্যা বোধ হয় তেতুল পন্থিদের নেই।
তেতুল পন্থি নকিব দাবি করেছি আমি নাকি মানুষকে শেরেকি করার আহবান জানিয়েছি ----- কোথায় এবং কোন লেখা সেটা আমি বোলেছি সেটা তেতুল নকিবকে প্রমাণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি । আমি আমার দ্বিতীয় পোষ্টিং এ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছি ঐ হাদিস গুলো বেসলেস কারন সেটা মানতে গেলে চন্দ্র সুর্য তারা আগুন যৌনাঙ্গ সব কিছুই হারাম হয়ে যায় । তেতুল নকিব দাবি করেছেন তেতুল্লারা নাকি মমিন মুসলমান , আমি তো দেখালাম তেতুল্লারা আল্লাহ মানে কোরান মানে না ( যেমন ৩৪-১৩ নং আয়াত মনে না ) কিন্তু অবাস্তব কিছু হাদিস মানে । এই গুলো বুঝি মমিন মুসলমান হওয়ার গুনাবলি ???

২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



@@এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন --- সুর্য,চন্দ্র,গাছ এবং গরু আল্লাহর সৃষ্ঠি জীব !!!!!!!!!!! ------- সুর্য ও চাদ হয়েছে জীব !!!!!!!!!
নাট বল্টু গুলি বোধ হয় সব গেছে !!!!!@@

এ আর ১৫,
--দোস্ত!, আমনে একটা বলদ নাকি? আমনারে তো আগেই কইছিলাম বানান টানান দেইখ্যা দুইখ্যা লেইখ্যেন! কি কইছিলাম না? আবারও তো আমনে লিখছেন- 'নাট বল্টু'। 'নাট বোল্ট'ও চিনেন না? 'বোল্ট' রে 'বল্টু' বানান আবার আকাশ বাতাস কাঁপাইয়া পন্ডিতি জাহির করেন! আমনে আমার কেমন যে দোস্ত!

আর হুনেন দোস্ত! চন্দ্র সূর্যরে জীব কইয়া না হয় আমি একখান মহাভারত অশুদ্ধ কইরাইলাইছি, হ্যাতে কী এমুন দোষ অইল? জীব না কইলেও হ্যাগোরে স্রষ্টার গড়া 'সৃষ্টি' 'মাখলূক' তো কইবেন!! না হেইডাও কইতে রাজি না? না, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি যেমন আমনে বানাইতে পারেন, চন্দ্র সূর্যরেও নিজের সৃষ্টি দাবি করতে চান?

দোস্ত! আপনি রাগ কইরেন না!! আর কাউরে না দিলেও এই ব্লগে আমনার বিভিন্ন লেখায় আমনার হৃদয়ের যেই আকুল আঁকুতি দেখতাছি, তাহা দেইখ্যা আমগোর আর সইয্য অয় না। আমনারে ইসপিশিয়াল পারমিশন একখান দেওয়া হইল! আমনে ইচ্ছা কইরলে আপাতত: এই কাজগুলান অনায়াসে করিতে পারিবেন-

এক. ভাস্কর্য নাম দিয়া চালাইয়া দিবেন!!!! তামাম বিশ্বকে মূর্তি দিয়ে সয়লাব করার লাইগ্যা জান ফেদা কসরত চালাইতে পারিবেন!!!! ভাস্কর্য নাম প্রদান কইরা মূর্তির আরাধনা আরম্ভ কইরতেও আমনে পারমিটেড!!!! (নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক)।

দুই. বিশ্বব্যাপী, বিশেষ কইরা মুসলিম দেশগুলানে 'ভ্যালেন্টাইনস ডে' 'লাভ ডে' 'কিস ডে' 'হ্যাগ ডে' 'টাচ ডে' 'বদমাশি ডে' ইত্যাদি ফষ্টি নষ্টি যত দিবস ফিবস আছে, সবগুলানরে আবশ্যকীয়ভাবে পালনের সরকারি নির্দেশনা জারি করানোর জন্য জান পরান কুইরবান কইরতে পারেন। (নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক)।

দোস্ত আপাতত: আমনে এই মহান কাজগুলোর আঞ্জাম দিতে থাহেন। হেরপরে আপনার লাইগ্যা নতুন বিষয় কি সিলেক্ট করন যায়, হেইডা আমরা সময়মতন পর্যালোচনা কইরা দেহুম নে।

কী দোস্ত, এহন খুশি অইছেন তো???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.