নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী ব্যাঙ্ক ১ নং যেভাবে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২২

গরুর গোস্তে আল্লাহু লেখা বা এক হিজাবি মুমিনার মোনাজাতের দৃশ্য, হাজার না, লাখের উপর লাইক।
এরা কারা? সবাই ধার্মিক? মোটেই না। প্রফাইল চেক করলেই দেখবেন এইসব আবাল বেশিরভাবই পর্ন সাইট ভিজিটার বা চটি মেম্বার।
এদের জিজ্ঞেস করলে বলবে 'এসবে লাইক দেয়াতো সোয়াবের কাজ'।
ইসলামি ব্যাঙ্কও জনগনকে বুঝায় সাধারণ ব্যাংকে টাকা রাখা গুনাহর কাজ। ইসলামিব্যাঙ্কে সোয়াব। এমনকি সাধারণ ব্যাংকে চাকরি করাও কবিরা গুনাহ। এ কারণে অনেক সাধারন ব্যাংকারই নিদারূন মনোকষ্টে ভোগেন এবং উপায় না পেয়ে চাকরিও ছাড়তে পারেননা।

আমরা জানি যে ইসলামে সুদকে হারাম করা হয়েছে। কিন্তু কোরান হাদিস পড়লে বুঝা যায় সেটা ছিল আসলে গরিবের উপর আপতিত অতি উচ্চ হারের মহাজনি সুদ, যা সে সময়ে অনেক নিরিহ লোকদের সর্বশান্ত করে দিত। সেই প্রথাকে হারাম করা হয়েছিল সঙ্গত কারনেই।
কিন্তু আধুনিক প্রচলিত অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার মামুলি সুদের সাথে ইসলামের বিরোধ থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবুও সুদ হারাম এই যুক্তিতে কিছু ধার্মিক নামের আবালদের চেতনা পুজি করে কিছু ইসলামি বুদ্ধিজীবি ইসলামি ব্যাংকের আইডিয়া ফেঁদে বসেছে। মূলত ইসলামি ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংক এর মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই, শুধু কাগজে কলমে একটু কারসাজি করে সুদকে মুনাফা/মুদারাবা আর ঋণকে ব্যবসা বলে এটাকে ইসলামি ব্যাংক বলে চালানো হয়। যেমন আপনি সাধারণ ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে ৮% সুদে বছর শেষে পাবেন ১০৮ টাকা। আর ইসলামি ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে তারাও ৮% লাভের গ্যারান্টি দেবে, আর বলে দেবে ব্যাংকের লাভ হলে আপনি আরও বেশি পাবেন (লসের কথা বলেনা)। বছর শেষে দেখা যায় ইসলামি ব্যংকের লাভ সাধারণ ব্যাংকের সুদের মত সেই ৮% এর মতই থাকে।

আবার ধরুন সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিছু করলে বা কিনলে আপনাকে ১৫% সুদ দেয়া লাগে। ইসলামি ব্যাংক থেকে টাকা পেলেও আপনাকে সেই ১৫% ই সুদের মত মুদারাবা দেয়া লাগবে তবে তারা এর মাঝে শুধু একটু কায়দা করবে। সেটা হল আপনি যদি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ১ টি গাড়ী বা কিছু কিনতে চান তাহলে আপনাকে ইসলামি ব্যাংকের মালিকানায় ইসলামি ব্যাংকের টাকায় গাড়ীটির কিনে চালাতে হবে। পরে ১৫% লাভ হিসেবে কিস্তিতে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেই গাড়ীটির মালিকানা আপনি নিজের নামে করে নিতে পারবেন।




ইসলামি ব্যাংকগুলো যে আমানত ফরম দেয়, তা মূলত সাধারণ ব্যাংকের ফরমের কপি। শুধু নাম আলাদা। তিনি বলেন, ইসলামি ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত মূলধন নয়, দায় হিসেবে দেখানো হয়। মুদারাবা আমানত মানে লাভ হলে সেই হারে লভ্যাংশ আর লস হলে সেই হারে ক্ষতির অংশ কেটে আমানত কম হওয়ার কথা, আশ্চর্য হচ্ছে এজাবত ইসলামি ব্যাঙ্কগুলো গ্রাহককে লোকসানের ভাগ চাপায়নি। অন্যান্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক যেভাবে গ্রাহককে সুদ দেয় ইসলামি ব্যাঙ্কগুলো সেই হারেই দিচ্ছে আরবি ভাষায় মুদারাবা নামে।
ইসলামি ব্যাংকগুলো এখন ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে। ইসলামী নামও দিয়েছে একটা 'খ্যাদমা'। পরিচালিত হয় আমেরিকান সুদি প্রতিষ্ঠান ভিসা / চেস ব্যাঙ্ক। এ কার্ড শরিয়া অনুমোদন করে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেনা কেউ কারন নামটাতো আরবী। ইসলামি ব্যাংকগুলো শুধু খ্যাদমা ক্রেডিট কার্ড চালুই করেনি, তারা সুদভিত্তিক ব্যাংকের চেয়ে বেশি কার্ড ফি (সুদ) নেয়। অর্থ স্থানান্তরেও ইসলামি ব্যাংকএ বেশি ফি দিতে হয়।
ঈদের আগে বা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তারল্য সংকটে উচ্চসুদে ঋন নিতে/দিতে হয়, ইসলামি ব্যাংকও কলমানি মার্কেট (আন্তব্যাংক ঋণ) থেকে কমবেশী ঋণ নিচ্ছে/দিচ্ছে। এই সব নির্ভেজাল সুদও ওদের কাছে ইসলামসম্মত ও হালাল।



ইসলামি ব্যাঙ্ক অন্যান্ন সাধারন ব্যাঙ্কের মত প্রচলিত অর্থনীতির খাতে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করছে।
তৈরি পোশাক শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও ইসলামী ব্যাংক কাপড়, সূঁচ, সুতা, বোতামসহ আনুষাঙ্গিক সবকিছু আমদানি/ এলসি ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে বিনিয়োগ। বাংলাদেশের ৬৫টি স্পিনিং মিলে প্রচলিত আর্থিক নিয়মেই বিনিয়োগ করেছে ইসলামী ব্যাংক। উইভিং, নিটিং, ডাইং ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাকশিল্পের সব খাতে রয়েছে ওদের বিনিয়োগ। সবকিছুতেই প্রচলিত মার্কেটিং পলিসি আলোকেই, বেসরকারি খাতের মোট সার আমদানির ৬৫% আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।

বর্তমানে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সহ বিদেশি শেয়ার রয়েছে ৫৮ শতাংশ। আইসিবির বড় ধরনের শেয়ার রয়েছে। ৬০ হাজার সাধারণ শেয়ার হোল্ডার ছাড়াও বিদেশীও আছে। আমেরিকার জেপি মর্গান-এর মতো বড় সুদি প্রতিষ্ঠানও এখন ইসলামী ব্যাংকের বড় একটি শেয়ার হোল্ডার। ১০০% হালাল।

প্রথমেই বলেছিলাম গরুর গোস্তে আল্লাহু লেখা বা এক হিজাবি মুমিনার মোনাজাতের দৃশ্য, লাখের উপর লাইক।
দেশের সহজ সরল আবুল মানুষদের ইসলাম হালাল ব্যাঙ্কিং ও সোয়াবের লোভে ফেলে এ ব্যাংকে ৮০ লাখের বেশি একাউন্ট হোল্ডার!
এক হাজার দু’শো কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনে আবুল গ্রাহকদের পাছা মেরে ব্যাংকে বর্তমানে মোট আমানত রয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশের মোট ৪৭টি ব্যাংকের যে হিসাব আছে তার সাড়ে ১২ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকের একার।

তাই বুঝতেই পারছেন যে কেমনে হইলো ১ নম্বর। যদিও প্র্যাক্টিক্যালি সাধারণ ব্যাংক আর ইসলামি ব্যাংকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।

সুত্র - view this link

বিআইবিএমের সেমিনার

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :#) 'আপ্নেরা খাইলে পাপ আমরা খাইলে মাপ'

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হারাম হালাল, পাপ পুন্য এসব কালের সভ্যতার প্রয়োজনে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
ক্রীতদাশ ব্যাবসা ক্রীতদাশ প্রথা এক সময় হালাল ও সেকালের অর্থনীতির অংশ ছিল।
এখন কোন শাস্ত্রে লেখা না থাকলেও বর্তমানে ক্রীতদাশ প্রথা হারাম।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

আসাদুজ্জামান সুমন বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :#) 'আপ্নেরা খাইলে পাপ আমরা খাইলে মাপ'


হা: হা: হা: হা:

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

শিখণ্ডী বলেছেন: সহমত। ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ কোন কেরামতিতে নয়, মানুষ নেকী কামানোর উদ্দেশ্যে সেখানে টাকা রাখে। তাদের ধাপ্পাবাজী বুঝলে আসত না। অবশ্য এটাও সত্য অন্য ইসলামী ব্যাংকগুলো সেভাবে মার্কেটং করতে পারেনি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধাপ্পাবাজী করে অন্য ইসলামী ব্যাংকগুলো প্রথমদিকে ভাল ব্যাবসা করলেও ইসলামীব্যাঙ্কের মত সেভাবে আগ্রাসি মার্কেটং করতে পারেনি।
বিদেশী BCCI ও আল-বারাকা ব্যাঙ্ক ইসলামের নামে ওদের চেয়ে ভাল ব্যাবসা করছিল।
কিন্তু ওরা কলাম্বিয়ার মাদক ব্যাবসার টাকা, আফগান-তালেবান, আফগান মাদক, আলকায়দার অর্থায়নে এসব ব্যাঙ্কের চ্যানেল ব্যাবহার করে টাকার পাহাড় বানাচ্ছিল।
কিন্তু ধরা খেয়ে জরিমানা দেয়ার পর এইসব ব্যাঙ্ক লাল বাতি জালাতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশে বড় কোন অপরাধ না করলেও BCCI ও আল-বারাকা ব্যাঙ্ক বাংলাদেশী শাখাও বন্ধ হয়ে যায়। এই সব গ্রাহক টেনে নেয় ইসলামীব্যাঙ্ক।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

জগতারন বলেছেন:
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :#) 'আপ্নেরা খাইলে পাপ আমরা খাইলে মাপ' =p~

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষকে অশিক্ষিত রেখে ইস্ট ইনডিয়া কোম্পানীর মতই জামাত, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ব্যবসা করছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি সুযোগ পাইলেই বলেন মজিবর আমাদের কে অশিক্ষিত বানিয়ে রেখেছিল।
কথা তো ঠিক না।
৭২এ পশ্চিম পাকিস্তানে শিক্ষার হার বাংলাদেশের হারের প্রায় দ্বিগুন ছিল।
বর্তমানে শিক্ষার হার সহ বেশীরভাগ অর্থনৈতিক সুচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক অগ্রগামি।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"৭২এ পশ্চিম পাকিস্তানে শিক্ষার হার বাংলাদেশের হারের প্রায় দ্বিগুন ছিল।
বর্তমানে শিক্ষার হার সহ বেশীরভাগ অর্থনৈতিক সুচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক অগ্রগামি। "

-আমরা পাকিস্তান থেকে ভালো থাকতে চাইনি; আমরা চেয়েছিলাম, বাংগালী হিসেবে আমরা ভালো থাকতে চাই। আমাদের শুরু ছিল বিশাল, ১৯৭১ সাল ছিল বিশাল, মানুষ নিজের থেকে মাতৃভুমির জন্য যুদ্ধ করেছে; ১৯৭২ সালে মানুষকে নিজের থেকে জাতির জন্য কাজ করতে দেয়ার দরকার ছিলো, শেখ সাহেব নিজের কমবুদ্ধিমত্তার কারণে সেই প্রবাহকে বন্ধ করে দিয়েছেন। শেখ সাহেব আজীবন বাংগালীর নেতা থাকবেন, তবে উনার অদক্ষতার জন্য আমরা অভিস্ঠ পথে এগুতে পারিনি।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



শুধু এটুকু ভাবেন, উনি সরকার প্রধান না থাকলে, উনাকে হত্যা করে সিআইএ ক্ষমতা দখল করতে পারতো না; উনাকে হত্যা করলেও সরকার থেকে যেতো, সরকারের কাউকে হত্যা করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো না।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @লেখক, আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত নই। ব্র্যাক, ডাচ-বাংলা,ইসলামী ব্যাংক এগুলোতে পাচটি একাউন্ট আছে আমার। ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে জেপিমরগ্যান থেকে আসা রেমিট্যান্স-এর ক্ষেত্রে ইসলামীর ব্যাংকের মত অন্যগুলোতে সার্ভিস পাইনি। কেউ আমার আত্মীয় হয় না, যেচে পড়ে বাড়তি টাকা দেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিলনা । সেই সাথে আছে ডাচবাংলার অখাদ্য ব্যবহার। ডাচ-বাংলার মত ব্যাংক সুইফট কোড ব্যবহার করে একটি। সেখানে ইসলামী বাংকের প্রত্যেকটি এডি ব্রাঞ্চের আলাদা আলাদা কোড রয়েছে। বলুন তো কোন টাতে টাকা তাড়াতাড়ি আসতে পারে? তাদের সার্ভিস চার্জ মাত্র ১১৫ টাকা ছিল।
যাদের সার্ভিস ভাল তারা ভাল ব্যবসা করবে। ইসলামী বাংকের অথোরিটি্ও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, তারা পুরোপুরি শরিয়া মানেনা্ । এখন তো ভেংগে চুরে দেমা লুটে পুটে খাই্ ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রেমিট্যান্স-এর ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রতিটি ব্যাংকেই দ্রুত ও ভাল সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি সরকারি তফসিলি ব্যাঙ্কেও উত্তম সার্ভিস দিচ্ছে।
আপনার সার্ভিস চার্জ মাত্র ১১৫ টাকা। পুবালী ব্যাঙ্ক সহ অনেক ব্যাঙ্ক সার্ভিস চার্জও নেয় না।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

বাংলার জামিনদার বলেছেন: যতদিন আবাল বাংগালী থাকবে ততদিন ইসলামী জজবার নামে ব্যাবসা বন্ধ হবেনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুদ হারাম এই যুক্তিতে কিছু ধার্মিক নামের আবালদের চেতনা পুজি করে কিছু ইসলামি বুদ্ধিজীবি ইসলামি ব্যাংকের আইডিয়া ফেঁদে দিয়েছিল।
মূলত ইসলামি ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংক এর মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই, শুধু কাগজে কলমে একটু কারসাজি করে সুদকে মুনাফা/মুদারাবা আর ঋণকে ব্যবসা বলে এটাকে ইসলামি ব্যাংক বলে চালানো হয়। যেমন আপনি সাধারণ ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে ৫% সুদে বছর শেষে পাবেন ১০৫ টাকা। আর ইসলামি ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে তারাও ৫% লাভের গ্যারান্টি দেবে, আর বলে দেবে ব্যাংকের লাভ হলে আপনি আরও বেশি পাবেন (লসের কথা বলবেনা)। বছর শেষে দেখা যায় ইসলামি ব্যংকের লাভ সাধারণ ব্যাংকের সুদের মত সেই ৫% এর মতই থাকে।
আবার ধরুন সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিছু করলে বা কিনলে আপনাকে ১৫% সুদ দেয়া লাগে।
ইসলামি ব্যাংক থেকে ঋণ নিলেও আপনাকে সেই ১৫% ই সুদের মত মুদারাবা দেয়া লাগবে।
ইসলামি ব্যাংকগুলো যে আমানত ফরম দেয়, তা মূলত সাধারণ ব্যাংকের ফরমের কপি। শুধু আরবি ভাষায় নাম আলাদা। ইসলামি ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত মূলধন নয়, দায় হিসেবে দেখানো হয়। মুদারাবা আমানত মানে লাভ হলে সেই হারে লভ্যাংশ আর লস হলে সেই হারে ক্ষতির অংশ কেটে আমানত কম হওয়ার কথা, আশ্চর্য হচ্ছে এজাবত ইসলামি ব্যাঙ্কগুলো গ্রাহককে লোকসানের ভাগ চাপায়নি। অন্যান্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক যেভাবে গ্রাহককে সুদ দেয় ইসলামি ব্যাঙ্কগুলো সেই হারেই সুদ দিচ্ছে যাষ্ট আরবি ভাষায় মুদারাবা নামে।
https://www.somewhereinblog.net/blog/mmdhw/30176981

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

জেন রসি বলেছেন: ধর্মকে টুল বানিয়ে ব্যবসা করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.