নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত মামলা থাকতে এই ফালতু মামলায় ফেসে গেল

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

গতকাল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মামলাটির পুনঃতদন্তের আবেদন জানিয়ে খালাস দাবি করেন।
একই দিনে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি মৃত্যৃদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত নূর হোসেন মামলা বাতিল ও খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।
বাঁচার কোন উপায় না থাকলে এমনটাই হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা।

এত মামলা থাকতে এই ফালতু মামলায় এত গুরুত্ব দেয়ার কি আছে?
আসলে “পচা সামুকেই ঠ্যাং কাটে”
এটি একমাত্র মামলা যা কনভিক্ট করতে উকিল সাহেবদের খুব একটা কষ্ট করা লাগে নি।
কারন প্রমান হাতের কাছেই। ট্রাস্টের তহবিলের সমুদয় অর্থ ব্যক্তি নামে কাটা চেকের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে আত্মসাৎ করার ট্রান্সফার স্লিপ, চেক বই, স্বাক্ষর করা চেক সহ সকল প্রমান পাওয়া গেছে। ব্যাঙ্কগুলোতেও সকল ডকুমেন্ট অক্ষত আছে। অল্প টাকা বিধায় বিপুল ক্ষমতার বলয়ে থাকা আত্মসাতকারিরা টাকা সরানোর সময়ে তেমন সতর্ক ছিলনা বলেই মনে হয়। ভেবেছিল “আমাদের একাউন্টের টাকা আমরা নেব এতে কার বাপের কী”!

এই মামুলি মামলাটিতে তাদের বাঘা বাঘা ব্যারিষ্টাররা হিমশিম খেয়ে এখন সাফ বলে দিয়েছে, – “এই মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই”।
তারা মামলাটি বিলম্বিত করতে ৯ বছরে একাধিক বার উচ্চ আদালতে গিয়ে রিট করেছে, বেঞ্চের পর বেঞ্চ বদল, বিচারক বদল, আবার বিচরক বদল। এত করেও এই অর্থমামলাটি থামাতে বা বেশী বিলম্বিত করতে পারেনি। রাষ্ট্রপক্ষও তাদের সব আবদার মিটিয়ে বার বার বেঞ্চ বদল বিচারক বদল করেছে, অকারন সময় প্রার্থনার দাবি মেনে নিয়েছে বার বার। এখন মামলা রায়ের পথে

মুল ঘটনা।

১৯৯১ সালের ৯ জুন এক সৌদি প্রিন্স নাম গোপন রেখে ১২ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার বাংলাদেশের যে কোন এতিমখানার জন্য দান করেন। তৎকালিন পি এম এটি কোন চালু এতিমখানায় না পাঠিয়ে নিজেরাই একটি এতিমখানা বানানোর ব্যাবস্থা করেন।
১৯৯১-৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়। যার চলতি হিসাব নম্বর ৫৪১৬। এই এ্যাকাউন্টে ১৯৯১ সালের ৯ জুন এক সৌদি দাতার পাঠানো ইউনাইটেড সৌদি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের ডিডি নম্বর ১৫৩৩৬৭৯৭০ মূলে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ইউএস ডলার যার মূল্য ততকালীন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা অনুদান হিসেবে জমা হয়। ১৯৯১ সালের ৯ই জুন থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া সোনালী ব্যাংকের উক্ত একাউন্টে জমাকৃত এই অর্থ কোনো এতিমখানায় প্রদান করেননি।
এই সময়ের মধ্যে তারেক রহমান ‘সমাজ সেবার ব্রত’ নিয়ে আরাফাত রহমান ও মমিনুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে Trust Act, 1882 এর ধারা ৬ এর বিধান অনুযায়ী জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট গঠন করেন। যদিও এই ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়ায় আরাফাত রহমানের কোন সাক্ষর না থাকায় তাকে এ মামলায় আসামী করা হয়নি। ১৯৯৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলশান সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ট্রাস্টের নাম নিবন্ধন করা হয়। যার ঠিকানা হিসেবে সেনানিবাসের ৩ শহিদ মঈনুল রোডের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। এ সময় তারেক রহমানকে দি অথর বা দি সেটেলর অব দি ট্রাস্ট (ট্রাস্ট সৃষ্টিকারী) নিয়োগ করা হয় এবং মমিনুর রহমান এই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হন।

অভিযোগ অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের প্রথম ৫০ লক্ষ টাকা (ব্যক্তিনামে) কাজী সলিমুল হকের নামে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের একাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা হয়। অভিযোগে আরো বলা হয়, এই শাখায় কাজী সলিমুল হকের নামে ট্রন্সফার করে পরবর্তীতে ২ কোটি টাকার আরো দু’টি এফডিআর খোলা হয়। যা তিনি নিজ নামেই ট্রান্সফার করেন। এছাড়া ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ছেলে সৈয়দ আহমেদের নামে একটি ১ কোটি টাকা এবং দুজনের যৌথ নামে আরেকটি ১ কোটি টাকার এফডিআর খোলেন কাজী সলিমুল হক। এদের মধ্যে সৈয়দ আহমেদ এখন মৃত। এই দুই এফডিআর থেকে গিয়াস উদ্দিন আহমেদের এফডিআরে ট্রান্সফার হয়। এর কিছুদিন পরই গিয়াস উদ্দিন আহমেদ তার এফডিআরের এক কোটি টাকা ভেঙে ৫০ লাখ টাকার ২টি এফডিআর করেন। এরপর আবার সেই এফডিআর ভেঙ্গে শরফুদ্দিনের একাউন্টে ৬টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করেন। পরে শরফুদ্দিন আহমেদ ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা তুলেন।
কোন ক্যাশমেমো, ভাউচার, চুক্তিনামা, ইনভয়েস ছাড়া ব্যক্তিনামে এই ২,১০,৭১,৬৪৩ টাকা হস্তান্তরের নামে আত্নসাতই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ভ্যালু।

ট্রাস্ট আইনের বিধি মোতাবেক যে কোন ট্রাষ্টকে অনেকটাই আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়, খরচ করতে অনুমোদন লাগেনা, তবে ভাউচার লাগে। অডিট হয় তবে ট্রাস্টিকে কারো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে কাজ করতে হয় না। তবে এত স্বাধীন না যে কোন ব্যাক্তি নামে কোটি কোটি টাকা দিয়ে দিবে।

অরফানেজ ট্রাস্টে বিশেষ মানুষের বা বিশেষ শ্রেণীর (এতিম-দুস্থ, সংখালঘু, ধর্মিয়, বা প্রতিবন্ধি ইত্যাদি) কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়। যদি ট্রাস্ট কর্তৃক ট্রাস্টের শর্তাবলী কিংবা ট্রাস্ট আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বড় ধরনের আর্থিক বা অন্যান্য অনিয়ম করা হয়, তাহলে বেনেফিশারি অর্থাৎ ঐ বিশেষ শ্রেণী (এতিম-দুস্থ পক্ষ) এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র দেশের সকল এতিম-দুস্থদের অভিবাবক। সঙ্গত কারনেই ২০০৮ এ রাষ্ট্রপক্ষের আইনানুগ সংস্থা দুদক রাষ্ট্রের পক্ষে ২,১০,৭১,৬৪৩ টাকা “আত্মসাৎ” এর অভিযোগ এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, ও মামলা দায়ের করে।

অল্প টাকা বিধায় শাস্তি হবে মামুলি জরিমানা অল্পকিছুদিন জেল।
এতিমদের টাকা আত্নসাত অনৈতিকতার নিকৃষ্ট উদাহরন থেকে যাবে অনেকদিন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পুরোটা পড়লাম এবং দুঃখ পেলাম। অপরাধ প্রমাণ হলে কঠিন শাস্তি প্রদান জরুরী।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শেষ পর্যন্ত এতিমের টাকা মেরে খাওয়া! এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় প্রদান ঠিক নয়। রাঘব বোয়ালেরা বুঝুক জালে আটকা পড়লে কেমন লাগে!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
একজন মতাবলম্বি হয়েও অন্যায়কে ছাড় দেন নি। খুব ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রতি উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। মত হবে ন্যায়ের জন্য অন্যায়ের জন্য নয়।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

md.zahir uddin বলেছেন: এত মামলা থাকতে এই ফালতু মামলায় ফেসে গেল...
কারন একমাত্র এই মামলাতেই খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ব্যাপক বেইজ্জত করা যাবে সহজেই.....
তাতে আওয়ামীলীগের সাপও মরবে লাঠিও ভাংগবে না......
অন্যদিকে আছেন ডঃমুহাম্মদ ইউনূস সাহেব বিদেশীদের কাছে সরকার ধরা খাইলেই উনাকে বিনা পয়সায় ব্যাপক বেইজ্জত করা যায়...
দুঃখ একটাই এত্ত এত্ত উন্নয়নের সাফাই তারপরও বিষদগার করা, বেইজ্জত করা আওয়ামীলীগ ছাড়তে পারলো না..
যেন সকল সফলতা আমার আর সকল বিফলতা তোমার নীতি.....

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: চোরের আবার ইজ্জত?

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জামাতী, বিম্পি এই সমস্ত দোষ থেকে মুক্ত নয়।


৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বাংলার জামিনদার বলেছেন: সাজা হোক।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৯১ সালের জন্য এই টাকা কম টাকা নয়, ১ মিলিয়ন ২ ৫৫ হাজার ডলার; এর জন্য ৪০/৫০ বছর জেল হওয়া সম্ভব।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডেষ্টিনি, হলমার্ক, বিসমিল্লার তুলনায় এই টাকা খুবই মামুলি।
তবে ডেষ্টিনি, হলমার্ক, বিসমিল্লার মালিকেরা শিকের ভেতরে এখনো। অল জমিজামা ফ্যাক্টরি ক্রোকড।
কিন্তু এতিমখামা মামলার আসামিরা শিকের বাইরে এখনো।
আমেরিকা হলে ৪০/৫০ বছর জেল হওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু এটা বাংলাদেশ। ২ বছর জেল হবে।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা - আবার আদালত পরিবর্তন।

স্টাফ রিপোর্টার | ১৭ মে ২০১৭, বুধবার
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি বকশী বাজারে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালত থেকে বিশেষ জজ আদালত-৫ এ স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও ফারহানা শারাফাত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুদকের পক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন পর্যায়ে ছিল।

এর আগেও আবেদনের পর খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ১৫ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুনরায় এই মামলা স্থানান্তরে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত পরিবর্তনের এই আবেদনটি আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে গত ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়েছিল। সেই খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এই রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

মামলার একদম শেষ পর্যায়ে রায় বিলম্বিত করতে বার বার আদালত পরিবর্তনে ম্যারাথন আবেদন চলছে ... চলবেও ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.