নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতু প্রকল্প ষড়যন্ত্রের সেই কুশলীবরা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪



একজন নোবেলজয়ী সম্মানিত ব্যক্তি যে ফালতু কারনে কত নীচে পারে ...

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প ষড়যন্ত্রের কুশলীবরা
যারা হাসিনাকে বেকায়দায় ফেলতে বাংলাদেশের গলায় ছুরি চালাতে দ্বিধা করে নি।

নোবেলজয়ীর সম্মানকে পুজিকরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি মহল সাম্রাজ্যবাদি চক্রের সাথে মিলে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কানাডিয় আদালতে একটি শক্ত মামলা দায়ের হয়েছিল।

কিন্তু ২০১২র শেষে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জুয়েলিকের অবসরের পর নতুন নন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কিম এই মিথ্যা ফরমায়েসি মামলা নিয়ে তেমন গতি নিয়ে অগ্রসর হতে চান নি বলেই মনে হয়।
কারন বিশ্বব্যাঙ্ক সেতুতে মাত্র 1.2 বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ বাতিল করেছিল। পরে অনান্য সেক্টরে এরচেয়ে বেশী বিলিয়ন ডলার ফান্ডিং করে যাচ্ছে।






লন্ডন বিএনপি-জামাতের একটি অনুষ্ঠানের শেষে সম্মানিত নোবেলজয়ী, পাত্রে সবাব না, পিওর মিনারেল ওয়াটার। ।


২০১১ সালের এপ্রিলে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি হয়।
সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দরপত্রে অংশ নেওয়া এসএনসি-লাভালিনের সঙ্গে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক ২০১২ সালের ২৯ জুন পদ্মা সেতুতে ঋণচুক্তি বাতিল করে।
সরকার বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারন করে এবং সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে ওএসডি করে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে পুনরায় সম্পৃক্ত হতে রাজি হয়েছিল।
তবে আবার অজ্ঞাত কারনে আবার পিছিয়ে যায় বিশ্বব্যাঙ্ক। নানা টানাপড়েনের পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শেষ পর্যন্ত সরকারই বিশ্বব্যাংককে 'না' বলে দেয় এবং নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সেতুর নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে।



কানাডার দ্য স্টার পত্রিকা গতকালের রায় নিয়ে যা লিখেছে -

তদন্তকারি কর্মকর্তারা আদালতে স্বীকার করেন যে, ‘ওয়্যাটেপ’ প্রমাণ ছাড়া তার কাছে আর তেমন কোনো প্রমাণ নেই, যার ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিদের যৌক্তিকভাবে অভিযুক্ত করা যায়।
আদালত এর আগেই ২০১৪র শেষে রায় দিয়েছিলেন যে, আরসিএমপির এক কর্মকর্তা অভিযুক্ত ওইসব ব্যক্তির ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা কথোপকথনে আড়ি পেতে পাওয়া যে তথ্য হাজির করেছেন তার যথার্থতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কারা কাহাদের এইসব কথপকথন রেকর্ড করেছে অনেকবার তলবের পরও কিছু জানা যায় নাই। তাই ফোনে আড়ি পেতে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ নাকচ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে আরসিএমপির এই ফালতু তদন্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়। বিচারক ইয়ান নর্ডেইমার তার রায়ে লিখেছেন, ইনফরমেশন টু অবটেইন (আইটিও)তে পাওয়া যেসব তথ্য হাজির করা হয়েছে তা আন্দাজ (স্পেকুলেশন), পরচর্চা (গসিপ) ও গুজব (রিউমার)। এসব ট্র্যাশ ছাড় কিছুইনা। দুর্নিতির নুন্যতম প্রমাণ উপস্থাপনে কিছুই করা যায় নি। ওইসব রিউমার ও স্পেকুলেশন দিয়ে মামলা চলতে পারে না।
Toronto Star Fri., Feb. 10, 2017





ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাঙ্কের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জুয়েলিকের সাথে নাটের সেই গুরু।





রবার্ট জুয়েলিকের সাথে তৎকালিন আমেরিকান সেক্রেটারি অব স্টেট - হিলারি ক্লিন্টন।


নাটকের এদেশী কিছু নাট্যকার কলাকুশলীগন, ক্যাপশান দেয়ার দরকার নেই।
এই কাহিনী নিয়ে কত টন নিউজপ্রিন্ট? .. টকশোতে কতশত ঘন্টা এয়ারটাইম অপচয় হয়েছে তার হিসেব অবস্য এখনো করা হয় নি।















মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

চৌধুরী মাহবুব বলেছেন: বাংলােদেশর মত উন্নয়নশীল দেশে যদি করাপশন হয় তাহেল সেদেশের উন্নয়ন বাধঁগ্রস্থ হয়।জনগেনর ভাগ্য বন্দি হয়ে যায় রাঘব বোয়ালদের মুঠোয়। অারো চাই শকুনদের বহুতল ভবন, গাড়ি অার উচ্চাখাংকায় নিভে যায় গরিবের ভাগ্য। করাপশন দুর করার যদি ইচ্ছা থােক তাহলে ঢোল বাজাতে হয়না। তথ্যপ্রযুিক্তর অবাধপ্রসারের সময়ে কামান দাঘাতে হয়না প্রতিটি সরকারী দপ্তরে সিসিটিভি ক্যামরা বসালে সমাধান হয়ে যায়। যেমন , ভুমি অফিস, থানা, বন্দর এলাকা, বি অার টি এ , অাদালত এসব এলাকায় ক্যামরা বসালে করাপশন অনেক কমে যায়। মােঝ মাঝে জাটিকা অভিযানে পেপার নিউজে করাপশন দুর হবেনা। অারো সহজে দুর হয় যদি দকরাপশন বিরোধী হটলাইন চালু ো অভিযোগ অামলে নেয়।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলােদেশর মত উন্নয়নশীল দেশের সব করাপশন দূর হয়ে যাবে সেই সুদিন এখনো আসেনি।
তবে অনেক কমে এসেছে। দুর্নিতীতে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত একটানা ৫ বছর চ্যাম্পিয়ান থাকার পর আস্তে আস্তে কমে আসছে। ১ থেকে বর্তমানে ৩২ ধাপ উন্নতি হয়েছে।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্য চাপা থাকেনা, চাপা রাখা সম্ভব না।


ভালো পোষ্ট। সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে এগিয়ে যাক প্রিয় বাংলাদেশ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সত্য চাপা থাকেনা, চাপা রাখা সম্ভব না। মামলাটি ছিল মতলবি, একটি প্রভাবশালি মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
এই মামলার মাত্র ৪ জন সাক্ষি ছিল।
উকিলের কাছে এদের নাম জানতে চাইলে বলা হয়, দুজনের নাম আমি এখনো জানি না, আর বাকি দুজনের নাম বলা যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.