নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিলখানা হত্যাকান্ডের ৮ বছর

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২



এই বিদ্রোহ পুর্বপরিকল্পিত ছিল,
তবে এজাবৎ বিভিন্ন তদন্তে এবং সেনা তদন্তে বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে জওয়ানদের নানা ক্ষোভের কথা বলা হলেও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য বা কারন স্পষ্ট হয়নি। বিদ্রোহ পরিকল্পিত হলেও হত্যাকান্ড মোটেই পুর্ব পরিকল্পিত ছিলনা।
অল্প কয়েকজন হটকারি বিদ্রোহী সৈনিক এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল।
সুপরিকল্পিত নাসকতা হলে ৫৭ জনকে হত্যার পর বাকি বন্দি ১০০ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন কারনই ছিলনা।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে আনাড়িদের মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করে দুইদিন সময় নষ্ট করত না।
ফালতু নিগোসিয়েশন করে আরো একদিন সময় নষ্ট করে আনাড়ির মত ধরা পরত না।
খুনিদের নেতা সহিদ,সেলিম, হাফিজ ও ডিএডি তৌহিদ সহ সকল খুনিই ধরা পরেছে। অভিযুক্ত মাত্র একজন পলাতক।
আর ১৯ জন সাধারন বিডিআর সদস্য পলাতক বা নিখোজ।
বিচার শেষ হয়েছে। ওপেন আদালতে শুনানি হয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনা হয়েছে।
বাহিরের বা অন্য কারো প্ররচনা-ষড়যন্ত্র থাকলে এতদিনে তা প্রকাশ হতই।। ফাঁসির আসামি মৃত্যুর আগে কখনোই কথা লুকিয়ে মিথ্যে বলে নিজের জীবন বিপন্ন করে না, করবে না।
বিচার শেষ হয়ে রায় হয়েছে। ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হলেও বেকোসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন। আরো কয়েকটি সম্পুরক মামলা চলছে, মামলা উচ্চাদালতেও যাবে।
কোন ষড়যন্ত্র বা নেপত্থে কেউ থাকলে এতদিনে তা প্রকাশ পেত। সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।

এ নিয়ে কয়েক বছর আগে এই ব্লগে আমার ৩টি ধারাবাহিক লেখা পড়ুন।

কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে.?

বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি

জেনারেল সাকিলের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, কিছু সত্য বেরিয়ে আসা

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"অল্প কয়েকজন হটকারি বিদ্রোহী সৈনিক এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। "

-তা'হলে ১৫২ জনের ফাঁসী, প্রায় ৩০০ জনের জেল, কয়েক হাজারের চাকুরী যায় কিভাবে?
৩০ লাখের জন্য ৬/৭ জনের ফাঁসী; ৭২ জনের জন্য ১৫১ জনের ফাঁসী; মোটামুটি ফাঁসী ফাঁসী খেলা?
-এই বিচার আবার করার দরকার।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই বিচার আবার করেও লাভ হবে না। কারন বেচে যাওয়া সেনা কর্তারা প্রতিশোধপরায়ন হয়ে আদালতে অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা সাক্ষ দিয়েছিল, প্রয়জনে আবার দিবে।
সেলিম, হাফিজ, শহিদুল সহ চার-পাঁচ জন খুনি, আর ১০-১২ জন সহযোগী।
এই ১৫-২০ জন খুনি বাদে সকল বিডিআর সদস্য নির্দোষই ছিল।
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শহিদ সহ গুটিকয় সৈনিকই দরবার হলের জানালার ফাঁক দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষন করছিল, একপর্যায়ে কিছু হটকারি সৈনিক স্টেজে দাড়িয়ে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের উপর কয়েক পশলা গুলি করে। ১৫০ জন অফিসারের ভেতর ৫০ জনের গায়ে গুলি লাগে, ময়নাতদন্তকারি ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী বেশীরভাগই স্বল্প আহত হয়ে রক্তক্ষরনে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
বাকি বেঁচে যাওয়া শতাধিক অফিসারদের উপর আর কোন আক্রমন হয়নি। ২য় দিন খাদ্য সংকট দেখা দিলেও আটক অফিসারদের পর্যাপ্ত খাদ্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিমকহারাম সেই অফিসাররা আদালতে এসব অস্বীকার করে।
হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ার পর তাদেরকে অস্থির ও সিদ্ধান্তহীনতা দেখা গেছে। তবে পরবর্তিতে তারা আর কোন হত্যাকান্ড ঘটায়নি।
মুক্তি পেয়ে সেনা অফিসারেরা প্রথম যে বক্তব্য দিয়েছিলো পরবর্তিতে তারা সরে আসে। দরবার হলে এগিয়ে বক্তব্য দিতে আসা নিরস্ত্র দুজনকে অস্ত্রধারি বলে আদালতে। অনেক বেশী মৃত্যু হওয়ার কারনে তাদের পক্ষে শাক্ষিরা ভয়ে আদালতে আসতে পারেনি। তাই যা হওয়ার তাই হয়েছে। ১৫২ জনের ফাঁসী, প্রায় ৩০০ জনের জেল।


২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইর সাথে সহমত

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: ২৭১ জন খালস পেয়েছে কাগজ কলমে ... তারা এখন ও জেলে আছে এবং যা মনে হচ্ছে থাকবে ।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এতটা সরল নয়, আরো সময় লাগবে সত্য জানতে। আর্মির রিপোর্ট কই? ফেসবুকে যে অফিসারদের বক্তব্য পাওয়া যায় সেগুলোর যুক্তিখন্ডন সরকার কখনো করেনি। আরো অনেক গোঁজামিল তো আছেই পক্ষে বিপক্ষে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্যাপারটা একদম সরল এমনটা দাবি করিনি কখনো।
পক্ষে-বিপক্ষের কথা উঠছে কেন?
কিছুলোক অবস্য সেনাবাহিনীকে নিজস্ব দলীয় মনভাবাপন্ন ভেবে অনেক কিছুর স্বপ্ন দেখে, কিন্তু স্বপ্ন আর সত্য হয় না।

সেনাবাহিনী ২০০৯ এ নিজস্বভাবে আলাদা তদন্ত করেছিল।
রিপোর্ট পাবলিক করা না হলেও পরে আদালতে জমা দেয়া হয়েছিল।
পরবর্তিতে এই রিপোর্ট ইন্টারনেটে ফাসও হয়ে ভাইরাল হয়ে গেছিল, তদন্তে এম্পি তাপসের দেখা হওয়ার ঘটনা যা তাপস আগেই বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিল।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টের কিছু ব্যাপারের সাথে তিব্রো ভাবে দ্বিমত পোষন করছি! আপনি পোস্টটা শুরু করেছেন এটা বলে যে- 'এই বিদ্রোহটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত!'

আবার এক জায়গায় বললেন- পরিকল্পিত নাসকতা হলে ৫৭ জনকে হত্যার পর বাকি বন্দি ১০০ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন কারনই ছিলনা। সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে আনাড়িদের মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করে দুইদিন সময় নষ্ট করত না।

এখন আপনি কি বুঝতে পারছেন, যে আপনার নিজের এই দুইটা বক্তব্যই পরষ্পর সাংঘর্ষিক? আপনার কাছে একটা জিজ্ঞাসা, আপনি পূর্বপরিকল্পিত আর সুপরিকল্পিতর মধ্যে কতটুকু পার্থক্য বোঝেন? পূর্বপরিকল্পনা মাফিক কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলে সেটা যে সুপরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যায় সেটা কি আপনি জানেন?

এখন ঠিক কি কারণে বিদ্রোহীরা কিছু অফিসারকে হত্যা করে বাকিদেরকে বাঁচিয়ে রাখে সেটা আমি বলতে পারবো না! তবে আনাড়ির মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করেছে, এটার সাথেও প্রচন্ডভাবে দ্বিমত আছে!

বিদ্রোহের পর যে লাশগুলোকে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে আপনি আনাড়ির ছাপ কই পাইলেন আমি বুঝতে পারলাম না! বরং সেখানে তো যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার ছাপ দেখতে পাচ্ছি! আচ্ছা আপনার কাছে একটা প্রশ্ন- 'প্রতি আধাঘন্টায় যদি একটা করে লাশ দাফন করা হয়, তাহলে ৫৭জন মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করতে ঠিক কতটা সময় লাগতে পারে বলেন তো?'

সেখানে গনকবর দেওয়া বা লাশকে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়াটা কি বুদ্ধিমানের কাজ না?

তাছাড়া আপনি এক নাম্বার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যেটা বললেন, সেটা পড়ে মনে হল সেদিন আপনি দরবার হলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন! সত্যি করে বলেন তো, আসলেই ছিলেন্নাকি? B:-)

১৫০ জন অফিসারের ভেতর ৫০ জনের গায়ে গুলি লাগে, ময়নাতদন্তকারি ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী বেশীরভাগই স্বল্প আহত হয়ে রক্তক্ষরনে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।

- বাকি সাতজন কি তাইলে হার্টএ্যাটাকে মারা গিয়েছিল নাকি? তাছাড়া স্বল্প আহত হইছিল এটা কই পাইছেন? আপনি নিজেই বললেন, বিদ্রোহীরা এলোপাথাড়ি গুলি করছিল! তো এলোপাথাড়ি গুলি কারো গায়ে লাগলে যে সেটা শরীরের যেকোন স্থানে লাগতে পারে, সেটা কি আপনি জানেন! তাছাড়া উদ্ধারকৃত লাশের বেশিরভাগেরই যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে তাদের মাথা এবং বুকে গুলি লাগে! তো মাথায় আর বুকে গুলি লাগলে বুঝি তাকে স্বল্প আহত বলে? বিষয়টা জানতাম না, জেনে ভাল লাগলো! তবে সেদিন যে কাউকে কাউকে জীবিত কবরও দেওয়া হয়েছিল সেটা কি আপনি জানেন?

২য় দিন খাদ্য সংকট দেখা দিলেও আটক অফিসারদের পর্যাপ্ত খাদ্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নিমকহারাম সেই অফিসাররা আদালতে এসব অস্বীকার করে।

- আহা, বড়ই সৌন্দর্য! তা ভাইজান তাদেরকে সেদিন কি খাবার দেওয়া হয়েছিল একটু কি বলবেন? না মানে বিষয়টা জেনে রাখতাম আর্কি! নিশ্চই ঢাকার কোন অভিজাত হোটেল থেকে কাচ্চিবিরিয়ানি দিয়েছিল? একচুয়ালি অফিসাররা তো আর খারাপ কিছু খাইতে পারে না নাকি?

এই ধরনের ফালতু তথ্য কই পাইছেন আপনি? বিদ্রোহীদের যদি এতই দরদ থাকে তাহলে পূর্বের ৫৭ জন অফিসারদেরকে হত্যা করছিল কেন তারা? পরের ১০০ জন অফিসার নিশ্চই নির্দোষ ছিল, তা না হলে তাদেরকে এত জামাই আদর করা হবে কেন? তো পূর্বের অফিসাররা কি এমন দোষ করেছিল যে তাদেরকে অকারণে হত্যা করা হয়েছিল?

এমনিতে বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভিন্ন ভিন্ন ধারনার সৃষ্টি হয়ে রয়েছে! তার উপরে যেচে আর এমন কোন ফালতু জিনিস আবিষ্কার কইরেন না, যার কোন ভিত্তি নেই! কারণ মানুষ আপনাদের মত লোকেদের কাছ থেকে এমন সব ফালতু ধারনা শুনতে শুনতে আপাতত বিরক্ত হয়ে গেছে! সুতরাং এবারের মত খেমা দেন.....!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কি লিখেছি?
ব্লগে এত ভাল লিখেন অতচ আপনি কি বাংলাও বোঝেন না?

আমি সুরুতেই স্পষ্টভাবে বললাম এই বিদ্রোহ পরিকল্পিত ছিল, কিন্তু হত্যাকান্ড মোটেই পুর্ব পরিকল্পিত ছিলনা।
আপনি বেকুবের মত বলেফেললেন দুইটা বক্তব্যই পরষ্পর সাংঘর্ষিক! আশ্চর্য!

অল্পকিছু হটকারি মারমুখি বিদ্রোহী হত্যাকান্ড ঘটায়। হত্যাকান্ড ও লাশলুকানো সবকিছুতেই আনাড়িপনা আর বিশৃক্ষলার ছাপ। হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ার পর তাদের ভেতর অস্থিরতা ও সিদ্ধান্তহীনতা দেখা গেছে। পরবর্তিতে তারা আর কোন হত্যাকান্ড ঘটায়নি। বাসা লুন্ঠন ও অপ্রিতিকর কান্ডগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়। বিদ্রোহের নেতৃত্ত্বেও বিশৃক্ষলা দেখা গেছে। খুনিরা বোকার মত জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে সাধারন ক্ষমার দাবী জানাচ্ছিল, অতচ জানেও না যে অর্ধশতাধিক হত্যাকান্ডের পর সাধারন ক্ষমা কিভাবে সম্ভব।
পরিকল্পিত নাসকতা হলে খুনিরা হাজারিবাগের ওয়াল টপকে সকালেই পালিয়ে যেত। (এদিক দিয়ে অনেকেই পালিয়েছিল)
না পালিয়ে ৫৭ লাশ লুকাবে কেন? এসব লুকানোর জিনিস? যা কয়েকঘন্টার ভেতর বের করে ফেলেছে আর্মড পুলিশ।
দুদিন অপেক্ষা করল কি কারনে? কব্বর পাহারা দিচ্ছিল?
আপনি অবস্য আপনার চোখে "যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার ছাপ দেখতে পাচ্ছেন"

আটক অফিসারদের পর্যাপ্ত খাদ্য দেয়া হয়েছিল। একথা বেচে আসা এক অফিসার পরদিন টিভি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, আমার নিজ কানে শোনা।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩১

মুজিব আলম বলেছেন: আওয়ামী আবালিয় লেখা। আপনারা পারেনও বটে। আপনি যে একনিষ্ঠ আওয়ামী লিগার, এই ব্লগের সবাই জানে। পিলখানা নিয়ে আপনাদের না লিখাই ভাল, আপনারা ছাড়া এটা কেউ খাবেনা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবকিছুর ভেতর আওয়ামী-বিম্পি?
বুঝিনা বিএনপির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সমর্থেকেরা সেনাবাহিনীকে নিজদলীয় সম্পদ ভাবে কি করে?
কতটা ইম্যাচুরিটি থাকলে এমনটা হয়!!
নির্লজ্জ বেহায়া বিএনপির আসল রূপ কারো চোখে পরে না।
বিডিআর সেনা হত্যা নিয়ে মায়াকান্না দেখালেও সেনা হত্যাকারি খুনিদের রক্ষা করতে সব চেষ্টাই করে গেছে বিএনপি নেতারা, এখনো করছে।

বিএনপি-জামায়াতের যেসব আইনজীবি বিডিআর হত্যা মামলার দন্ডিত আসামীদের পক্ষে আদালতে লড়াই করছেন তাদের তালিকা:-
১. ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
২. এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা
৩. ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ।
৪. এডভোকেট মোঃ জয়নুল আবেদীন, বিএনপি নেতা, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।
৫. এডভোকেট টি এম আকবর, বিএনপি নেতা ও বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।
৬. এডভোকেট এস এম শাহজাহান, জামাতপন্থী এবং যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর অন্যতম আইনজীবি।
৭. এডভোকেট মোঃ আমিন, বিএনপি-জামায়ত জোট আমলের পাবলিক প্রসিকিউটর।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: চাইলে আপনার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ ভাবে দেওয়া যায়! কিন্তু দেবো না তার কারণ, আমি যদি এখান থেকে শুরু করে কেয়ামত পর্যন্তও আপনাকে বুঝাই; তাহলে আপনি বুঝবেন না! আর যারা কোন কিছু না বুঝেই বিচারের আগে তালগাছের দাবি করে বসে থাকে, তাদের সাথে অযথা বাক্য ব্যয় করে শুধু সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কোন লাভ নাই!

বিদ্রোহ পরিকল্পিত ছিল, অথচ হত্যাকান্ড পরিকল্পিত ছিল না! তাহলে হত্যাকান্ডটা কি দূর্ভাগ্যজনক ভাবে হইছিল? সেদিন দরবার হল শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সৈনিকরা হট্টগোল আরম্ভ করে, আর তারপরেই শুরু করে এলোপাথাড়ি গুলি করা!

তো এই কয়েকমিনিটের মধ্যে হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটছিল যে বিডিআর-এর সাধারণ সিপাই'রা হঠাৎ ভায়োলেন্ট হয়ে তাদের সিনিয়রদেরকে হত্যা করার খেলায় মেতে ওঠে?

তাছাড়া দরবার হলে অস্ত্রহাতে প্রবেশের কোন অনুমতি নেই সেটা কি আপনি জানেন? তাহলে সেদিন হঠাৎ এত অস্ত্র কই পাইছিল তারা? অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করছিল? কিন্তু সেটা তো আরো পরে! প্রথমদিককার অস্ত্র গুলা কইত্থন আসছিল?

তাছাড়া উদ্ধার অভিজানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন শাহনাজ-এর বক্তব্য শুনছিলেন? উদ্ধারকৃত এসএমজি গুলোর সিলিং এবং বাইনোকুলার গুলা দেখছিলেন? যে গুলো আমাদের আর্মিরা ব্যবহার করে না, এমনকি বিডিআরও না! তাইলে সেগুলো আসছিল কোথা থেকে?

এভাবে হাজারটা উদাহরণ পেশ করা যায়! এখন এর পরেও কি আপনি বলবেন, সেদিনকার হত্যাকান্ডটা পরিকল্পিত ছিল না?

আটক অফিসারদের পর্যাপ্ত খাদ্য দেয়া হয়েছিল। একথা বেচে আসা এক অফিসার পরদিন টিভি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, আমার নিজ কানে শোনা।


- হুম, খুব সুন্দর! মাশাআল্লাহ্ সৃষ্টিকর্তা আপনার এবং আপনার কানের হায়াৎ দারাজ করুক! তো সেই অফিসারের নামটা কি একটু বলবেন ভাই? না মানে একটু স্মরণ করে দেখেন তো মনে পড়ে কিনা?

সেদিন উদ্ধার হওয়ার পরপরই লেঃ কর্নেল কামরুজ্জামান, মেজর মোকাররম আরো দু'একজনকে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে দেখেছিলাম! কিন্তু কই তাদের কাউকে তো বলতে শুনিনি তাদেরকে খাবার দেওয়া হয়েছিল?

আরো বরং উদ্ধার হওয়া সেনা অফিসারের কয়েকজন আত্মীয় স্বজন বলছিল তারা এই দুইদিন একদম না খাওয়া অবস্থায় বাথরুমে লুকিয়ে ছিল! তাইলে এখানে আপনার বক্তব্যটা হাও ফানি হয়ে গেল না?

যাউকগা, আপনার সাথে আর তর্ক করার ইচ্ছা বা আকাংখা আমার নাই! কেন নাই সেটা প্রথমেই বলে দিয়েছি! সুতরাং আপাতত হ্যাপি ব্লগিং.....!!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হত্যাকান্ড সুধু অপরিকল্পিত ছিল না। ছিল পদে পদে সিদ্ধান্থহিনতা অস্থিরতা আর বিশৃক্ষলা।
bdnews24.com এ সেদিন কিছু অফিসারের বক্তব্য দেখুন।
সকাল ৯-১০টার ভেতর হত্যাকান্ড ঘটে, এরপর কারো বক্তব্যে আর কোন হত্যার কথা জানা যায় নি।

দরবার হলে উপস্থিত মেজর ইশতিয়াক আহমেদ খান তার প্রাণে বেঁচে যাওয়ার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ওদের মধ্যে নেতৃত্ব ছিল না বললেই চলে। একদল এসে বলতো মেরে ফেলবো, পরক্ষণেই আরেক দল এসে তাদের থামাতো।

সেনা সদরে শনিবার রাতে সেনা বাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ হোসেইনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মেজর ইশতিয়াক বলেন, "আমি দরবার হলের পিছনের দিকে ছিলাম। মূল হত্যাকাণ্ড দেখতে পাইনি। তার আগেই দরবার থেকে বেরিয়ে আসি।"

তবে মুল হত্যাকাণ্ড ওই সময়ই ঘটেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে পরে জানতে পেরেছি যে বিডিআর মহাপরিচালককে মেরে ফেলা হয়েছে। এ সময় আমি লুকিয়ে ছিলাম।"

মেজর ইশতিয়াক বলেন, "আমি দরবার হল থেকে বের হয়েই দৌড়াতে থাকি। তখন এক সৈনিক বললো- স্যার আপনাদের মেরে ফেলবে। আমার বাসায় আসেন দেখি কি হয়।" বাসায় একরাত ছিলাম, সকালে আমি আবার বেরিয়ে যাই। বের হওয়ার পর একজন বিডিআর সদস্য আমার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে বলি- আমি মেজর ইশতিয়াক। আমাকে টানা-হেঁচড়া করো না, এখানেই গুলি করো, আমি এখান থেকে নড়ব না। কিন্তু তিনি বলেন- আপনি গতকাল বেঁচে গেছেন আপনি মরবেন না, তিনি আমাকে আরেকটি দলের হাতে তুলে দেন। তারা আমাকে কোয়ার্টার গার্ডে নিয়ে যায়।"

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল সালাম বলেন, "দরবার হলে ১৬০ জনের মতো কর্মকর্তা ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাপরিচালক যখন বক্তব্য দিচ্ছেন, এর কিছুক্ষন পর বাদানুবাদ সুরু হয়, এক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর অস্ত্র হাতে বাম দিক দিয়ে কয়েকজন দরবার হলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। আমি বাইরে বের হলাম। এ সময় বিডিআর সদস্যরা আমাকে ঘিরে ধরে। পরে তারা আমাকে তাদের কোয়ার্টারে নিয়ে যায়।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই কয়েকমিনিটের মধ্যে হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটল যে বিডিআর-এর সিপাই'রা হঠাৎ ভায়োলেন্ট হয়ে ওঠে?

আসলে সেদিন সকালে সত্যই কি ঘটেছিল তা হয়তো আর কোনদিনও জানা যাবেনা।
বেচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শি সেনা কর্মকর্তাদের টিভি তে বক্তব্যে স্টেজে বাকবিতন্ডা ও এক পর্যায়ে সাকিলের এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষনের কথা উঠে আসে। কিন্তু পরে অনেক লাশ দেখার পর তাদের বক্তব্য পালটে যায়। লাশ দেখার পর আর কোন সৈনিকের বক্তব্য এজাবৎ কেউ ছাপেনি।
পরবর্তিতে তাদের সবার বক্তব্যে দরবার হলের প্রথম দিকের ঘটনা গুলো অস্পষ্ট রেখে শেষের দিকে সৈনিকদের আসন ত্যাগ করে পরে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এসে এলোপাথারি গুলিবর্ষনের কথাই বার বার বলা হয়েছে। আদালতে তাদের বক্তব্যে আরো অতিরঞ্জিত বানোয়াট ছিল। বলেছিল একদম সামনে এসে সবাইকে লাইনে দাড় করিয়ে গুলি করেছে!

কিন্তু সেদিন ২৬ তারিখের যুগান্তর, মানব জমিন, নয়া দিগন্ত, আমার দেশ প্রভৃতি পত্রপত্রীকাগুলোতে কিছু বেঁচে যাওয়া BDR সদস্য, দুজন বেঁচে আসা সেনা কর্মকর্তা যারা সেদিন দরবার হলের প্রত্যক্ষদর্শি। তারা বিস্তারিত বর্ননা দেন। বর্ননা তে অতিরঞ্জন ছিল, খন্ড খন্ড বিবরন গুলো বিশ্লেষন করে আসল সত্যই কি ঘটেছিল সেটা বোঝা মুসকিল। এরপরও যা বোঝা যায়-

সকালে দরবার হলে পুর্ব নির্ধারিত BDR DG সাকিলের বক্তব্য সুরু করার কিছুক্ষন পরই উত্তেজনা বাগ-বিতন্ডা। স্মারকলিপি কেন দেয়া হয়নি, UN মিশনে সব বাহিনী গেলেও বিডিআর না নেয়া, অপারেশন ডালভাত, সপিং মলের হিসাব। সিমান্তের চোরাই মাল আটকের-লুন্ঠনের ভাগ আফিসার সৈনিক অনুপাত ৮৯:১১ কেন? ৬০:৪০ চাই। বেশ হইচই একটা হট্টগলের সুত্রপাত। উচ্চস্বরে কিছু ধমকের সব্দ।
এরপর ডিজি সাকিল এভাবে হৈচৈ না করে একজনকে সামনে এসে বক্তব্য দিতে বলেন। সামনে একজনের যায়গায় দুজন এসেছিল বলে জানা যায়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে একজন জোয়ান কে স্টেজের উপরে দেখাযায়,
সে … হুমকির সুরে কিছু একটা বলে এবাউট টার্ন করে চলে যেতে চায়। একজন অফিসার খপ করে ধরে ফেলে, বলে “কি বলছ পাগলের মত” অপমানিত ডিজি শাকিলের হাতে পিস্তল। হট্টগোলের ভেতর স্টেজের সৈনিকটি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। একরাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দের সাথে দ্বিতীয় জোয়ান ভয়ে দরবার হলের কাঁচের জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায় জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পরা সৈনিকটির নাম কাজল বলে জানা যায়। অফিসারদের ফেবুতে আপলোড করা সেদিনের কিছু ছবিতে কাজলের হাতে কোন অস্ত্র দেখা যায় নি। কামরুজ্জামানের প্রথমদিকের টিভি বক্তব্যে কাজলের হাতে কোন অস্ত্র ছিল কি ছিলনা কিছুই বলা হয়নি, (সে অস্ত্রধারি হয়ে থাকলে অবস্যই উল্লেখ হত) জেনারেল শাকিলকেও নিরস্ত্র এবং কাজলের জ্ঞান হারানো অকারন ইচ্ছাকৃত বলা হয়েছিল।
কিন্তু পরে বেচে যাওয়া অফিসারদের আদালতে বক্তব্যে কাজল ও অপর সৈনিকটিকে সাবমেশিনগান হাতে শসস্ত্র বলা হয়েছে। জে: শাকিল নিরস্ত্র এবং কোন গুলি করে নি বলা হয়েছে।

স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ডিজি শাকিল অকারনে ফাঁকা গুলিবর্ষন করলে পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়। সাধারন সৈনিকরা সাভাবিক ভাবেই ভুল বোঝে যে লুটিয়ে পরা সৈনিকটি বুঝি শাকিলের গুলিতেই মারা গেছে।

এরপরের ঘটনা ভয়াবহ।
সৈনিকেরা দরবার হলে ত্যাগ করার পর বাইরে ব্যাপক গুজব ছড়িয়ে যায় যে জেঃ সাকিল এক সৈনিক কে গুলিকরে হত্যা করেছে। (২৬ ফেব্রুয়ারী মানবজমিন পত্রিকায়ও সাকিলের গুলিতে এক সৈনিক নিহতের কথা উঠে আসে)
এর পর সংগবদ্ধ হয়ে অস্ত্রাগার রক্ষীকে মারধর করে চাবি কেড়ে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বের করা, ভিন্ন আরেকটি গোলাবারুদের গুদাম থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন তুলে নেয়া। একটি দল দরবার হলের দিকে যায়, এর পর প্রথম গুলিবর্ষনের শব্দ, অটোমেটিক রাইফেলের, ব্রাস ফায়ার। কিছু হটকারি বিদ্রোহীদের এলোপাত্থারি গুলিতেই ১৬২ জন অফিসারের ৫৭ জনের গায়ে গুলি লাগে।
view this link

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই। - জাতি প্রতীক্ষায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.