নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে অর্থ পাচার

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২১



কিভাবে অর্থ পাচার হয়?
১০ বছরে মাত্র ৭৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।
আৎকে ওঠার মতই খবর।

অর্থমন্ত্রী মাল সাহেব হয়তো বলবেন, এইটা তো কোনো টাকাই না। সামান্য কয়টা টাকা!
শুশিলরা বলবে কালটাকা পাচার হচ্ছে।
বিরোধীরা বলবে সরকারি দল লুট করা টাকা পাচার করছে।

আসলে ঘটনা কি?

আপনি বিদেশ থেকে যত ইচ্ছা ডলার আনতে পারেন, পকেটে করে আনেন, ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে আনেন, ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নে .. ইত্যাদি।
এয়ারপোর্ট বা ব্যাঙ্কে ডলারের সুত্র বৈধ না অবৈধ, কেউ কোন প্রশ্ন করবে না।

কিন্তু বৈধ ভাবে আপনি ৫ ডলার দামের একটি বই, বা ১ ডলার দামের কোন পন্যের দামও পাঠাতে পারবেন না।
ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ১ ডলারও স্বজনদের বা বন্ধুদের গিফট পাঠাতে পারবেন না।
সুধুমাত্র বৈধ ভিসা ও কনফার্ম টিকেট থাকলে হাতখরচ হিসেবে অল্প কিছু ডলার/ইউরো, তাও পাসপোর্টে এন্ডোর্স করে নিতে হবে।

অন্য সব দেশে এত কঠিন নিয়ম নেই, সুধু বাংলাদেশেই এই নিয়ম।

দ্রুত বাড়ন্ত অর্থনীতির দেশেটির বাইরে দেড় কোটি প্রবাসী, লেনদেন কি হবে না?
হচ্ছে তো চোখের সামনেই।
আমার নিকটাত্নিয়, স্থায়ী আমেরিকা প্রবাসী। বাড়ী বিক্রি করলেন ৮ কোটি টাকায়। শর্ত ছিল টাকা পেমেন্ট হবে আমেরিকায়ই।
নিশ্চিতই পাচার। কিন্তু কিছু বললে বলবে - "টাকা কি তর বাপের"?

ব্যাবসায়ীরা কি সব এলসি বাদে অন্যভাবে পে করবে না?
ব্রীফকেস ব্যাবসায়ীদের কথা বাদ দিলাম।
বার্মার সাথে মাছ, পিয়াজ-রসুন আমদানি বেশিরভাগই নন ব্যাঙ্কিং চ্যানেল। বৈধ ব্যাবসা। কিন্তু এটা পাচার হিসেবেই গন্য হবে।

বড় গার্মেন্টস কাঁচামাল ইমপোর্টের ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং
আপনি বিদেশ থেকে ১০০ কোটি টাকার জিনিস কিনবেন বলে ইনভয়েস করলেন। আসলে আপনি কিনলেন ২০ কোটি টাকার জিনিস।
কারন তার জরুরি ৮০ কোটি টাকা বাইরে দরকার, চাইনিজ মোবাইলের লট আনবেন।
তাহলে গেল কত? মাত্র ৮০ কোটি টাকা পাচার হলো।

বৈধ ব্যাবস্থা না থাকলে মানুষ বিকল্প খুজবেই।
আরো ব্যাবস্থা আছে।
গার্মেন্টস বা অন্যান্ন এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে মেলা সুযোগ আন্ডার ইনভয়েসিং:
আপনার ৫০ লাখ টাকার জিনিস রপ্তানি করার কথা। কিন্তু আপনি নয়ছয় করে ২০ লাখ টাকার ইনভয়েস দেখালেন। আর মাল পাঠালেন ৫০ লাখ টাকার। দেশ থেকে মাল গেল ৫০ লাখ টাকার। দেশে ঢুকলো ২০ লাখ টাকা। বিদেশে থেকে গেল কত? মাত্র ৩০ লাখ টাকা।

হাতের কাছে সেসব সুযোগ না থাকলে আছে হুন্ডি।
আপনি বিদেশ থেকে মাল কিনলেন কিন্তু বিদেশে পেমেন্ট করলেন বিদেশ থেকে। দেশে কিন্তু রেমিট্যান্স ঢুকলো না। কত ঢুকলো না তা ডিপেন্ড করে আপনি কত কোটি টাকার মাল কিনলেন। টাকা আপনার, দরকার আপনার। তবু হিসেবে এটা পাচার।

আবার দেশে হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করে বিদেশে মাল পাঠিয়ে দিলেন। হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধিত টাকার অংক রাষ্ট্র জানে না। এটা অবস্য বৈধ ভাবেই আনা যেত, তবে ডলারের রেট একটু কম পাওয়া যেত।
তাই কাজটা এমনভাবে করলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আপনার কিছুই টের পেল না। কামের কাম কী হলো? দেশে রেমিট্যান্স ঢুকলো না। কিন্তু দেশের টাকায় (হুন্ডি) পরিশোধ হলো। ব্যাপারটা কী বোঝা গেল!

কালোটাকা বৈদেশিক লেনদেনের নামে পাচার।

দেশে এমন সুদিন আসেনি যে কাল টাকা থাকবে না।
তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী সাইফুর, খালেদা জিয়া, হাসিনার দলের অনেকেই কাল টাকা সাদা করেছেন।
অর্থাৎ রাজনিতিকদের, আমলাদের কালটাকা থাকে। এটাই সত্য।

কালোটাকা বৈদেশিক লেনদেনের মাধ্যমে খুব সহজেই পাচার করার বহুত পদ্ধতি আছে।
এছাড়াও আছে।

আপনি কত টাকা পাচার করবেন? হুন্ডির দালালদের কাছে সেই টাকা দিয়ে দেন। যে দেশে টাকা পাচার করতে চান, সেখানে আপনার প্রতিনিধি দালাল থেকে পাওয়া কোড নম্বরটি ঠিকমত বললেই ওই পরিমাণ টাকা বিদেশে আপনার প্রতিনিধির হাতে ঠিকই চলে যাবে।
পাচার, অবস্যই।

আর ড্রাগ স্মাগলার, ভদ্র স্মাগলার, সীমান্তের গরু ব্যাবসা বৈধ অবৈধ সবই পাচার হিসেবে গন্য।

বৈধ লেনদেন ব্যাবস্থা না থাকলে মানুষ বিকল্প উপায় খুজবেই।
বেশী আৎকে ওঠার কিছু নেই।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০২

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: কথা ১০০% সত্য।
আমরা সবাই এইটা করি এবং মানি, যতদিন না পর্যন্ত কোন বৈধ ভাল উপায় আসছে এভাবেই চলবে।
আর আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে এইগুলান পানি ভাত বিষয়।
মুল্যবান পোষ্ট। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি আমার নিজস্যভাবে যেটা অবজার্ভ করি, সেটাই লিখি।
এরপরও চাঁদগাজিরা বলবে "দালাল"।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বৈধ ভাবে ব্যাংকিং আর বন্দরে লেনদেন করতে গেলে মার্জিন ঠিক রাখতে পারবে না ব্যবসায়ীরা। এটা সত্যি। তাই সহজ করা উচিত ব্যবসার লেনদেন...

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আর বছর পাচেকের ভেতর কাগজি মুদ্রা বিলুপ্ত হবে আসা করছি।
এর মধ্যে যদি কোন বড় যুদ্ধ বা বিপর্যয় না হয় কাগজি মুদ্রার জায়গায় স্থান নিবে ইলেক্ট্রনিক মানি।
ইতিমধ্যেই ইলেক্ট্রনিক পেমেন্টে ৫০% বেশী ট্রানজেক্সান হচ্ছে।
কাগজি মুদ্রার বিলুপ্তি পৃথিবীর ইতিহাসকে পাল্টে দিবে। অবৈধ লেনদেন সম্পুর্ন বিলুপ্ত হবে। কারন সব লেনদেন বাই নেইমে হবে। অবৈধতে কেউ সাহস পাবে না।

কাগজি মুদ্রার বিলুপ্তি শুধু মুদ্রার বিলুপ্তি নয় এর ফলে একটি দেশের অর্থ, সম্পদ, পুঁজির ডেফিনেশনই পালটে যাবে।
তবে শালার বাংগালী আবার কোন ২ নম্বরি বুদ্ধি বাইর কইরা ফালায় সেটাই চিন্তা।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
তবে কথা হলে বৈধ পথটা সহজ করলে অবৈধরা তাদের পথটাকে
আরো সহজ করে নিবে খুব সহসাই , ছলের কলের অভাব হয়না ।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ এম এ আলী ভাই।
আমি অর্থনীতি কম বুঝি। আপনার কাছে আরেকটু ডিটেইল মন্তব্য আশা করছি।

৪| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: জানলাম অনেক তথ্য।
ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশীরা এখনও যানজট দূর করতে পারেনি আর বন্দরের তথা অন্য সেক্টরের দুর্নীতি দূর করা তো অনেক দূরের চিন্তা। ই-টেন্ডার শুরু করার পর টেন্ডারবাজি কমেছে কিনা জানি না...

০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যানজট কিভাবে দূর হবে?

যানবাহন মোটামুটি নির্বিঘ্ন চলাচলের জন্য রাস্তা দরকার ২০-২৫%
ঢাকায় আছে ৭-৮% তাও লেন মার্কিং নেই, যত্রতত্র পার্কিং, হকারদের দখলের কথা বাদই দিলাম।

আমেরিকার ডালাস বা অর্লেন্ডো শহরে রাস্তা-হাইওয়ে আছে ৩০% এর উপর।
রাস্তা সাদা হলুদ মার্কি করা, সিসি ক্যামেরা গাইডেড সিগনেল ব্যাবস্থা। নিয়মের বাইরে চলার উপায় নেই, আইন ভঙ্গ করলে ৩০০ ডলার জরিমানা। এরপরও সেখানে পিক আওয়ারে জানজট।

৬| ০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

জেন রসি বলেছেন: “It is well enough that people of the nation do not understand our banking and monetary system, for if they did I believe there would be a revolution before tomorrow morning.” Henry Ford

সিস্টেম কিভাবে কাজ করে, কাদের স্বার্থে কাজ করে আর সেখানে মানুষ কিভাবে দিনের পর দিন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে ম্যানুপুলেটেড হয় এটা মানুষ বুঝলেও তেমন কিছু করতে পারবে বলে মনে হয়না। তার সেলফ ইন্টারেস্ট হচ্ছে সারভাইব করার চেষ্টা করা। সিস্টেম এমন ভাবে কাজ করে যে অধিকাংশ মানুষ সে চেষ্টার বাইরে আর কোন কিছু চিন্তা করারও সময় পায়না।

০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এতটা হতাস হওয়ার কিছু নেই।
সারভাইব করার চেষ্টা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি
রাষ্ট্র, লমেইকার ও কর্পোরেট সমন্নিত ভাবেই সিস্টেম তৈরি করে। কর্পোরেটদের সুধু লাভের চিন্তা ছাড়াও আরো কিছু জিনিষ মাথায় রাখতে হয়।
কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্রব্যমুল্যের চেয়ে শ্রমের মুল্য, শ্রমের মর্যাদা দিন দিন কম-বেশী হলেও বাড়ছে।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

লেখা পাগলা বলেছেন: রাজনীতির মাঠ চুরদের হাত ধরে বেশ জমে উঠছে । ;)
তবে শালার বাংগালী আবার কোন ২ নম্বরি বুদ্ধি বাইর কইরা ফালায় সেটাই চিন্তা। =p~

০৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজনীতির মাঠ চোর? সেটা আবার কি?

হত্যা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দলছুট চোরচোট্টা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে নতুন দল তৈরি।
এ ধরনের অথর্ব, জামাতি লেজুরবৃত্ত্বি করা বিরোধীদল থাকলে সুধু মাঠ নয় লুঙ্গিও হারাতে হবে।

৮| ০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

জেন রসি বলেছেন: হতাশা ব্যাপারটা আপেক্ষিক। সেটা আমার বা আপনার অবস্থান থেকে একরকম ভেবে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও লাভ নেই। আপনি যা যেভাবে দেখেছেন তা লিখেছেন। কিন্তু এই দেখাটা অনেকেই অনেক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারে। একজন মালিকের সারভাইবাল আর একজন শ্রমিকের সারভাইবাল ত আর একরকম হবেনা। সেসবও বুঝতে হবে!

০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হতাশা ব্যাপারটা আপেক্ষিক, সত্য।
আমি মালিকপক্ষের কেউ নই। অন্য সবার মত আমিও একজন শ্রমজীবি।
আমার অবজারভেসন, ধারনা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনা মোটেই। সুধু মতামত শেয়ার করি।

শ্রমের মর্যাদা দিন দিন কম-বেশী হলেও বাড়ছে, আমার দৃষ্টিতে।
তাজরিন ও রানাপ্লাজা ঘটনার পর শত শত গার্মেন্টেস বন্ধ হয়ে গেলেও অবশিষ্ট কারখানার পরিবেশ অনেক ভাল হয়েছে।
৬০% ফ্যাক্টরি এখন মার্কিন স্ট্যান্ডার্ডে কমপ্লায়েন্স। নতুন কারখানা করতে হলে সেই স্ট্যান্ডার্ড না মেনে উপায় নেই।
সিমেন্ট ও স্টিলমিলের মত ভারি শিল্পেও ৫০% নারীশ্রমিক কাজ করছে, হ্যা, সম্মানের সাথেই।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া হতদরিদ্র শিক্ষানবিস হেল্পারও পেস্লিপে বেতন পাচ্ছে, আগেরমত কর্মঘন্টা চুরি হচ্ছে না।
৮-৯ বছর আগে এতটা কেউ কল্পনাও করে নি।

তবে এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে আসে নি। আরো অনেক রাস্তা বাকি।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

রাফিন জয় বলেছেন: ঐ মিয়াঁ, 'সুশীল' বানান ভুল করার অধিকার কে দিছে? ৫৭ ধারা মাস্ট!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.