নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোর হলুদ সন্ত্রাস চলছেই

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৩



আবারো প্রথম আলোর হলুদ সন্ত্রাস।

শিরনামে লেখা - ‘মালালার ওপর হামলার ঘটনাটি আগেই লেখা’
শিরনাম দেখে অনেকের কাছেই সত্য মনে হবে।
অর্থাৎ মালালা ঘটনা সাজানো, এবং এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিনত।
প্রথম আলো ২৩-০৫-২০১৭


পাকিস্তানের তালেবান সমর্থক তেহরিক-ই-ইনসাফের জনৈক সাংসদ 'মুসারাত আহমাদজেব' মৌলবাদ সমর্থক একটি ফালতু পত্রিকায় বলেন, "মালালার পুরো ঘটনাটি বিবিসির জন্য আগেই লেখা"। পরে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাজানো হামলা সাজানো হয়।

উর্দু পত্রিকার নামটিও সেই রকম, 'দৈনিক উম্মা'!

উর্দু দৈনিক উম্মাতে এক সাক্ষাৎকারে মুসারাত বলেন, মালালা নাকি লিখতে জানত না, মানে লেখাপড়া জানতো না!
‘মালালার ওপর হামলার ঘটনাটি নাকি আগেই লেখা হয়।’ যদিও এর সমর্থনে কোন প্রমান দেয়ার চেষ্টা করেন নি।
কারন তিনি হয়তো ধরে নিয়েছেন একজন সাংসদ যা বলবে সেটাই চিরসত্য। আর কোন ব্যাখ্যার প্রয়জন নেই।
সোয়াতে যখন তাঁর মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়, তখন কোনো নাকি গুলি পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরে পেশোয়ারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে পরীক্ষায় তাঁর মাথায় গুলি ধরা পড়ে।’
আসলে সোয়াতের প্রতন্ত অঞ্চলের সেই চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল সেখানে সিটি স্ক্যান মেসিন থাকার কথাই না।

আরো নতুন কাহিনী যোগ - মালালাদের বাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক তিন মাস প্রশিক্ষণ দেন।

যদিও এই সব নতুন কাহিনীর সমর্থন সুচক কোন সুত্র বা ব্যক্তি-রেফারেন্স দেননি, অর্থাৎ এটি সুধু তার নিজের কথা।
প্রথমআলো কথিত 'দৈনিক উম্মা' থেকেও খবরটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করেনি, বা ভিন্ন সুত্র থেকেও এই নতুন দাবীর সমর্থনে কিছু খোজার চেষ্টা করেনি।
রেডিমেড সর্টকাট ব্যাবস্থায় তালেবান সাংসদ মুসারাতের টুইটারের স্ট্যাটাস (টুইট) থেকেই হুবুহু মেরে দিয়েই ... চাঞ্চল্যকর হেডলাইন!
এবং প্রতিষ্ঠিত সত্যের মত একটি খবর!
পরদিন ২৪/৫/২০১৭ পর্যন্ত সর্বাধিক পঠিত তালিকার ১নম্বরে।

সোয়াতের সেদিনের মুল ঘটনা -

বাংলাদেশী (তেতুল) মোল্লারা মেয়েদের ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত অনুমদন দিলেও পাকি তালেবান মোল্লারা শিশুমেয়েদের যে কোন শিক্ষাগ্রহন হারাম মনে করে, তাই তালেবান প্রাধান্য এলাকায় একের পর এক গার্লসস্কুল গুলোকে বিষ্ফোরনে উড়িয়ে দেয়া সুরু হয়, ভয়ে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হতে থাকে।, এনিয়ে দেশব্যাপি বিতর্ক সুরু হলে পাকি সরকার বাকি স্কুলগুলোকে পুলিশ ও প্যারামিলিটারি বাহিনী দিয়ে পাহারা দেয়া সুরু করে। এরপর অল্প অল্প ছাত্রী স্কুলে যাওয়া সুরু করে।



মালালাদের স্কুলে ৫-৬ জন যেত, মালালার উৎসাহেই। ব্লগে সেরকমই লিখেছিল।
পরে তালেবানরা খবর পেয়ে মালালার বাস থামায়, ফাঁকা গুলি করতে করতে ড্রাইভারকে চড়-থাপ্পর দিয়ে জিজ্ঞেস করে "মালালা কোন হ্যায়"। ড্রাইভার চিনতোনা, ছাত্রীরা কানফাটানো গুলির সব্দে কান চেপে কাদছিল, সাবমেসিনগানের নলের মুখে একজন চিনিয়ে দেয় মালালাকে। এরপর একপসলা গুলিবর্ষন। মালালার বুকে গলায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়, পাসের দুই ছাত্রীও আহত হয়।
মালালার আঘাত গুরুতর ছিল, মাথার খুলির একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল।



বাসড্রাইভার বাসসহই কাছের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয়, পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে পেশোয়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল CMH এ চিকিৎসা দেয়া হয়। সারা পাকিস্তান জুড়ে স্কুলে তীব্র বিক্ষোব ও নিন্দা সুরু হয়। তালেবান জঙ্গীরা আবারও হুমকি দেয় আবারও মালালা-কে হত্যার চেষ্টা চলবে, মালালা-র হত্যা না হওয়া পর্যন্ত তারা হামলা চালিয়ে যাবে।

গুলিবিদ্ধ মালালার সেদিনের সংবাদে আমি একটুও অবাক হইনি। কেন অবাক হবো বলুন তো?
এ তো কোনও পুরাতন ঘটনা নয়..এতো অনেক পরিচিত ঘটনা আমাদের কাছে। খুব বেশীদিনের কথা তো নয়, যখন বাংলাদেশের এক কিশোরী হাওয়া পড়াশুনা করতে চেয়ে স্বামী নামক পশুর দ্বারা হাতের আঙুলগুলি শিলপাটায় ছেচে দেয়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ পাকিস্তানের মালালার সাথে বাংলাদেশের হাওয়ার পার্থক্য কোথায়?
না কোনও পার্থক্য নেই। যেন হাওয়া নামক কিশোরী আজ মালালা নাম ধারণ করেছেন। খোজ করলে আরো অনেক ছোটবড় হাওয়া দেখা যাবে।


এরপর বিশ্বব্যাপি শিক্ষার কারনে মালালার মত নিরিহ শিশুবাচ্চাদের উপর নৃসংস হামলার ব্যাপক সমালোচনা সুরু হলে মোল্লারা আবার ভোল পালটে ফেলে। বলা সুরু করে এরকম কিছু ঘটেনি, এসব "সবই পশ্চিমাদের সাজানো ঘটনা"।

এরা অবস্য লাদেনকেও দেশে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে তাকে সাজানো চরিত্র বলতো,
লাদেন হত্যার পরও বলেছিল এটাও সাজানো নাটক।
পরে অবস্য লাদেনকে হারিয়ে ফুসতে থাকে। বলেও প্রতিশোধ নেয়া হবে।
প্রতিশোধ অবস্য কিছু নিয়েছিল টিকাদানকারিদের হত্যা করে।
আমেরিকা এক দুতাবাস কর্মির সহায়তায় লাদেনকে দেয়া টিকার সিরিঞ্জটি সংগ্রহ করে সিরিঞ্জের মাথায় লেগে থাকা বডি ফ্লুইড থেকে ডিএনএ ম্যাচিং করে প্রকৃত লাদেনকে নিশ্চিত আইডেন্টিফাই করা হয়েছিল।
পাকিস্তান সরকার অবস্য একধাপ এগিয়ে টিকাদানকারি সরকারি সংস্থা প্রধান ডাক্তারকে লাদেন হত্যা সহযোগিতা করার সুষ্পষ্ট অভিযোগে দির্ঘ জেলদন্ড দিয়েছিল। আর জঙ্গিরা সুরু করেছিল তান্ডোব।

দ্য ডন জানায়, করাচির বিভিন্ন স্থানে চারজন এবং পেশোয়ারে একজন পোলিও নিরোধকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পাকিস্তানে পোলিও-র প্রকোপ মহামারি আকারের।
খবরে বলা হয়, নিহতদের সবাই জাতিসংঘ WHO পোলিও প্রতিরোধ কার্যক্রমের একটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাগির আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি প্রদেশের সর্বত্র পোলিও নিরোধ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রথম হামলা হয়েছিল করাচির লানধি এলাকায়। এখানে দুর্বৃত্তরা একদল পোলিও নিরোধকর্মীর ওপরে হামলা চালায়। এ সময় ওই দলের দুজন নারীকর্মী মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনার কোন প্রত্যক্ষদর্শী নেই।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে করাচির ওরাঙ্গি এলাকার রাজা তানভির কলোনিতে। এখানেও একদল পোলিও নিরোধকর্মীর ওপরে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। দলনেতা চিকিত্সক শফিক জানান, একজন নারীকর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় একজন পুরুষকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
করাচির মোচকো এলাকার মোহাম্মদ খান কলোনিতেও একই রকম আরেকটি হামলা হয়। এখানেও এক নারীকর্মী মারা যান। অপর এক পুরুষকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গুল নাজ বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পোলিও নিরোধকর্মীদের ফোন করে হুমকি দিয়েছিল। কর্মীরা যাতে পোলিও অভিযানে সাহায্য না করে, সেজন্যই এ হুমকি।
পেশোয়ারে পোলিও টিকা প্রদান প্রকল্পের দুই কর্মীর ওপরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী গুলি চালান। পেশোয়ারের পুলিশ কর্মকর্তা জাভেদ খান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দুই বোনের একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আরেকজন চিকিত্সাধীন আছেন।
এরপর পেশোয়ারের গাদাপ এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় এক পোলিও নিরোধকর্মী মারা গিয়েছিলেন।

মালালা ঘটনা বা লাদেন ঘটনা যদি সাজানো নাটকই হয়ে থাকে স্কুলে হামলা করছিস কেন? টিকাওলিদের মারছিস কেন?

আর ধুর্ত 'প্রথম আলো' পাকিস্তানের ছোট একটি মৌলবাদি দলের এক সাংসদের রাজনৈতিক বক্তব্যটিকেই 'ধনান্তরি সত্য' বলে সার্টিফিকেট দিয়ে দিল।



প্রথআলোর সেই খবরের লিঙ্ক - মালালার ঘটনাটি আগেই লেখা ...!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: মালালা যে সত্যি সত্যিই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল তা পাগলেও বিশ্বাস করবে। যারা করে না তারা কেন করে না তা রহস্য?

আর আপনি যে অভিযোগ তুলেছেন তা মনে হয় খুব একটা ধোপে টিকবে না। আমাদের মতি ভাইয়ের পত্রিকা বাছবিছার না করে দাদাদের কাছ থেকে ধার নিয়ে নিউজ ছেপে দেয়। শুনেছি এ নিয়ে নাকি চুক্তি-টুক্তিও আছে। এ জাতীয় যত নিউজ পড়বেন প্রথম আলোতে তা হয় টাইমস অব ইন্ডিয়া বা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বা এনডিটিভি বা হিন্দুস্থান টাইমস ইত্যাদির টুকলিফাই।

ঠিক এই খবরটাও ভারতের ঐ সব পত্রিকায় সাড়ম্বরে ২২শে মে প্রকাশিত হয়েছিল। ওখান থেকেই মেরে দিয়েছে আমাদের মতি ভাই পরের দিন।

২| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০২

বেনামি মানুষ বলেছেন: মালালা যখন গুলিবিদ্ধ হয় তখন সে কোন ক্লাসে পড়তো?

২৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - সিক্সে সম্ভবত।

৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:১৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: প্রথম আলোর উপর থেকে অনেক আগেই বিশ্বাস উঠে গেছে।

৪| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৪৮

জেন রসি বলেছেন: মালালাকে নিয়ে যদি কোন রাজনীতি হয়ে থাকে তবে সেটা পরে হয়েছে। অর্থাৎ সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর।

২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা, সেটাই।
রাজনীতি পরে হয়েছে।
আর নোবেল শান্তি পুরষ্কার নিয়ে বিতর্ক আগেই ছিল। এখন আরো বেশী।

৫| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

খরতাপ বলেছেন: মালালাকে স্কুলে যাবার জন্য গুলি করা হয়েছিল - এ কথা পাগলেও বিশ্বাস করবেনা। পুরো ঘটনাই সাজানো। মালালাকে যেখানে গুলি করা হয়েছিল, জায়গামত লাগলে স্পট ডেড হওয়ার কথা। কিন্তু মরল তো না-ই, সারা বিশ্বে ইসলাম নারীর শিক্ষা লাভে কতটা বাধা - সেটা বুঝিয়ে নোবেল পর্যন্ত হাতিয়ে নিল। কেউ এসব মূর্খদেরকে সেই বিখ্যাত হাদিসটার কথাও শুনাল না "ত্বলাবাল ইল্মি ফারিদাতুন আলাল কুল্লি মুসলিমিন ওয়া মুসলিমাতুন"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.