নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যথেষ্ঠ ডাটা সহ নিখুত পুর্বাভাস থাকলেও ঝড়ের গতিপথ হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে

৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:০১


সেন্টমার্টিন ভোর ৬টার দিকের ছবি।

আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান Joint Typhoon Warning Center (JTWC)
জাপানের আবহাওয়া উপগ্রহ Himawari-8
আমেরিকার হাওয়াই রাজ্যে অবস্থিত Pacific Disaster Center

কয়েক ঘন্টা আগে এদের পুর্বাভাস ছিল চট্টগ্রাম-ফেনির মাঝামাঝি বা সুধু চট্টগ্রামের উপর দিয়ে উপকুল অতিক্রম করবে।
কিন্তু না। আবহাওয়া, প্রাকৃতিক ব্যাপারসেপার যথেষ্ঠ ডাটা সহ নিখুত সাইন্টিফিক পুর্বাভাস থাকলেও ঝড়ের গতিপথ হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
সেটাই হয়েছে।

এজাবৎ প্রাপ্ত সর্বশেষ খবর অনুযায়ী কক্সবাজার জেলা জুড়ে আঘাত করলেও মোরা সর্বচ্চ মুল আঘাতটি হেনেছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ ভোর পাঁচটায় প্রথম আলোকে বলেন,
ভোর চারটার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার। তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ বেশি।
এবার মোরার আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকায় সবচেয়ে বেশী।
চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দরে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলিযোগাযোগ এখনো অব্যাহত আছে দেখা যাচ্ছে।



তবে এই ঘুর্নিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি ছিল অভুতপুর্ব, নজিরবিহীন বলা যায়।
সাম্ভাব্য আক্রান্ত “উপকূলীয় এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিতে আগেই জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।” সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুদিন আগেই ছুটি বাতিল ও ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল।



দুর্যোগকালীন নিরাপত্তায় আগেই গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিকেল টিম। সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় থাকা ৪১৪টি ইউনিট। ৬ হাজার ১০ জন প্রশিক্ষিত তরুন স্বেচ্ছাসেবক।
এ ছাড়া পৃথকভাবে তৎপর থাকবে রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী। সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতে জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবর রহমান চৌধুরী, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, এনজিও ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভার পর আগেই জেলার উপকূলীয় এলাকায় চলছে সতর্কতামূলক মাইকিং ও প্রচার। এতে ঘূর্ণিঝড় আঘাতহানার আগেই পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরে আসতে বলা হচ্ছে।
অনেক এলাকার কিছু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে জোরপুর্বক সরিয়ে নেয়া হয়। কিছু "মানুষ আল্লাহ ভরসা বলে কিছু হবেনা" তাদের কে বন্দুক লাঠিপেটার ভয় দেখিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর, আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা বাড়ীঘরে ফিরতে সুরু করেছে। এখনপর্যন্ত মৃতের খবর পাওয়া না গেলেও মৃতের সংখা সীমিত থাকবে বলে আমার ধারনা।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো জানতে পেরে। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ স্থান বিশেষে ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার পর্যন্ত মাপা সম্ভব হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ভাটার সময় আঘাত হানে। এই কারণে জলচ্ছাসের উচ্চতা কম ছিল। ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়েছে।

২| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ঘূর্ণি ঝড়ের খব আগে কিভাবে পাওয়া যায়? আমার খুব শখ একটা ১০ নম্বর সিগন্যালের দিন সেন্ট মার্টিনে কাটানো

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেন্টমার্টিনে থাকলে প্রান হারানোর ব্যাপক সম্ভাবনা।

কক্সবাজারের সমুদ্র পারের পোক্ত একটা হোটেলে থাকতে পারেন।
১০ নং সিগনেলে প্রশাসন বা হোটেল কতৃপক্ষ কোন মতেই থাকতে দিবে না।
হোটেলের ম্যানেজারের সাথে বন্ধুত্ব করবেন, বশ করবেন। হাজার দুই টাকা দিবেন চা খাইতে।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ! সাথে থাকার জন্য।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপডেট জানানোর জন্য ।
দোয়া করি অাল্লা আমাদেরকে সর্বপ্রকার বিপদমুক্ত করুন।
ঘুর্ণীঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রইল সহনুভুতি
ঘুর্ণীঝড় মোকাবেলায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাকরী
সকলের প্রতি রইল একাত্মতা ও তাঁদের কর্মের
সহিত সংহতি প্রকাশ করছি ।
শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই।

আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ব্যবস্থা হলেও ৪ লাখ ৬৮ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।
নিহতের এজাবৎ প্রাপ্ত সংখ্যা ৬। বাড়বে।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কালবৈশাখী,
ধন্যবাদ, জানায় জানানোয়।

ভাল থাকবেন।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নকিব ভাই।
৪ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই হয়েছিল। তাদের জন্য রাতে খাবারের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছিল।
কিন্তু কিছু মানুষকে সেহেরির ব্যাবস্থা না থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখলাম টিভিতে।
যেখানে জান বাচানো ফরজ সেখানে কিসের রোজা?

আমার জানা মতে সফরে (ট্রাভেল) থাকলে, দুর্গম এলাকায় থাকলে বা অসুস্থ থাকলে রোজা আবশ্যিক নয়।
আপনার কিছু জানা থাকলে বলেন।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২২

কলাবাগান১ বলেছেন: সরকারের দক্ষ তৎপরতায় অনেক লোক আশ্রয়স্হলে নিয়ে আসাতে ঘুর্নিঝড় মোরায় জানের ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই বলে প্রতীয়মান।

প্রথম আলো বেশী ব্যস্ত ছিল কোন এলাকার লোকজন কে সরকার আশ্রয়স্হলে পারে নাই (রামগতি) সেই খবর নিয়ে।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকারের দক্ষ তৎপরতায় ও জনগনের সহযোগিতায় ক্ষয়ক্ষতি খুবই সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।
যেখানে ১৯৯১ চট্টগ্রাম নোয়াখালী তে ও ১৯৯৪ সালে উরির চরে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ বেশি।
১৯৯১ তে সেই ঝড়ে ৪ লক্ষাধিকের বেশী প্রাণ হারিয়েছিল।
পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকলে যে কোন বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। এটাই প্রমাণিত।

তবে সরকারের মন্ত্রীদের অবহেলা খুব চোখে লাগে।
মহাবিপদের সময় দুর্যোগমন্ত্রী বিদেশ সফরে। তার তাৎক্ষনিক প্রোগ্রাম ক্যানসেল করে ফিরে আসা উচিত ছিল।
তবে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থেকেও ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে নিয়ে সব ইউনিটের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছিলেন, নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ৬ নং এর প্রতিউত্তর পড়ে ক্ষয়ক্ষতির ভয় কিছুটা কমলো।
আল্লাহ্ সবাইকে হেফাজত করুক।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ

৮| ৩১ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: প্রথম আলোর নতুন সুর (কম ক্ষয়ক্ষতির কারন)- আইলা আর সিডর হেকে ও কম শক্তিশালী ছিল মোরা....তারপর ও স্বীকার করবে না সরকার এর যথেস্ট সচেতনায়/ব্যবস্হায় মানুষজনকে আশ্রয়স্হলে আনাতে জানের ক্ষতি কম হয়েছে।

৯| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



''আমার জানা মতে সফরে (ট্রাভেল) থাকলে, দুর্গম এলাকায় থাকলে বা অসুস্থ থাকলে রোজা আবশ্যিক নয়।
আপনার কিছু জানা থাকলে বলেন।''

-অসুস্থতা কিংবা ভ্রমনজনিত কারনে রোজা আবশ্যক থাকে না। তাদের দু'জনকেই (অসুস্থ ব্যক্তি এবং ভ্রমনকারী) পরবর্তীতে ভেঙ্গে ফেলা রোজাগুলো সুযোগ পেলেই আদায় করে নিতে হবে। তবে দুর্গম এলাকায় যদি খাবার পানীয় ইত্যাদির অভাব না থাকে, তবে কেউ ইচ্ছে করলে রোজা রাখতে পারেন। খাদ্য পানীয়র অভাব দেখা গেলে এসব ক্ষেত্রেও পূর্বোক্ত হুকুম প্রযোজ্য।

শুভ কামনা আবারও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.