নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা ...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭




নিম্ন আদালতই মুল আদালত।
বিচারপ্রার্থি রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চআদালত হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন। এরপরও রায়ে সন্তুষ্ট না হলে সুপ্রিমকোর্ট এপিলেট ডিভিশন ফাইন্যাল। তবে উচ্চআদালতে আপিলে কোন পুনবিচার হয়না। সুধু রায়টির নথি খুটিনাটি খতিয়ে দেখে কোন ভুল-ত্রুটি আছে কি না দেখা হয়।

আদালত বা বিচারক কোন আইন তৈরি করে না, করতে পারে না।
দেশের মালিক রাজা, সেনাপ্রধান, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী না।
এটা প্রজাতন্ত্র, রিপাবলিক। পিপলস রিপাবলিক। দেশের, রাষ্ট্রের নাগরিকরা প্রজা নন। দেশের মালিক।
আইন তৈরি করে মুলত দেশের নাগরিকরাই। নাগরিকরা নতুন একটি আইন করতে জনমত তৈরি করে, জনপ্রতিনীধিরা এক্সপার্টদের সাহায্যে একটি আইন তৈরি করে সংসদে উত্থাপন করে, দিনের পর দিন আলোচনা হয়। খুটিনাটি ত্রুটি সংসোধন হয়, এরপর ভোটে পাস হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করলে তারপর গেজেট নোটিফিকেশন হলে সেটি একটি আইনে পরিনত হয়।

একসাগর রক্তের বিনিময়ে নাগরিকরা দেশটিকে শত্রুমুক্ত করেছিল, নেতাকেও মুক্ত করে আনা হয়, যুদ্ধাপরাধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়। মাল্টিপল ধর্মের সহবস্থানে একটি সুন্দর সংবিধান রচনাও করা হয়।
নাগরিকরা দেশটিকে পরিচালনা করার জন্য প্রতি ৫ বছরের জন্য কিছু লোক নির্বাচিত করে, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে তাদেরকে সবাই মিলে খরচ (কর) দেয়। নির্বাচিত সংসদরা দেশ পরিচালনার জন্য সংবিধান, মন্ত্রিসভা, রাষ্ট্রপতি গঠন করে। দেশের মালিক জনগনকে সেবা দিতে রাষ্ট্রপতি আমলা, কামলা, সেনা পুলিশ নিয়োগ দেয়। আদালত গঠন করে, বিচারকও নিয়োগ দেয়। রাষ্ট্রপতি সবসময়ই সংসদ নেতার পরামর্শমত কাজ করেন। এটাই নিয়ম।
জনস্বার্থে আইন তৈরি করে সুধু দেশবাসি নিয়জিত জাতীয় সংসদের সদস্যরা। এইজন্য তাদের বলাহয় ল মেকার।
আদালত বা বিচারক কোন আইন তৈরি করতে পারে না। আদালত সুধু বিচারপ্রার্থিদের বিচার করে এবং আইন ও সংবিধানের হেফাজত করে।

কোন নাগরিক যদি মনে করে কোন তাদের প্রতিনিধী সাংসদদের তৈরি কোন একটি আইন সংবিধান বিরোধী বা জনস্বার্থ বিরোধী, আদালতে আর্জি জানালে আদালত সংবিধান যাচাই করে যদি দেখে এই আইন সংবিধান বা জনস্বার্থ বিরোধী, তাহলে বিচারক আইনটিকে অবৈধ বলে রায় দিতে পারে। তবে এটির পরিবর্তে অন্য কোন আইন বা পুর্ববর্তি কোন আইন প্রতিস্থাপন করতে পারে না। আইন তৈরি, মেরামত, প্রতিস্থাপন করবে সুধু লমেকাররা ও তাদের নির্দেশমত রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত পাবলিক সার্ভেন্ট, আমলারা। বিচারক সুধু বলবে আইনটি বৈধ না অবৈধ। ব্যাস।

মুল ব্যাপারটি হচ্ছে সংসদ বেআইনি কিছু করলে আদালত থামাবে, আর আদালতের কেউ বেআইনি ভাবে শৃক্ষলা ভংগ করলে, অপরাধে লিপ্ত হলে সংসদ হস্তক্ষেপ করবে, ব্যাবস্থা নিবে। আইন ও সংবিধান ভারসাম্য অটুট, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে সব সভ্যদেশে এটাই নিয়ম।

সাধারনত আদালতে বিচারক বিচার করতে পক্ষপাতিত্ত করেন না।
যদি বিচারকের কোন আত্মীয় বা ঘনিষ্ট কেউ বিচার প্রার্থি থাকলে যেই বিচারক মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন, বা বিব্রত হন। পক্ষপাতিত্ত এড়িয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এটাই সার্বজনিন একটা নিয়ম।




ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মামলায় বিচারকরা একটি পক্ষ, মামলাটিও বিচারকদের স্বতঃপ্রণোদিত।
যেখানে মামলায় বিচারকরা একটি পক্ষ, তাদের ক্ষমতা,স্বার্থ, রিজিক জরিত,
যদি বিবাদি পক্ষ নিজেরাই বিচারক হয়ে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে হয় .. সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিতভাবেই ব্যাহত হয়।

মামলাটির আসামি (বিবাদি) পক্ষ নিজেরাই যদি হয় বিচারক, তার উপর মামলাটিও স্বতঃপ্রণোদিত। এক্ষেত্রে মামলাটি ভিন্ন স্থানে একটি স্পেশাল ট্রাইবুনাল গঠন করে পেষনে ভিন্ন বিচারক নিয়োগ দিয়ে পৃথক এলাকায় বিচার হওয়া উচিত ছিল। বা মামলাটি উম্মুক্ত গণআদালতে হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল।

কোন নাগরিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মনে করেনি, কোন নাগরিক আর্জিও জানায়নি। কিন্তু তবুও বর্তমান প্রধান বিচারপতি নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় সংসদের তৈরি একটি আইন অবৈধ ঘোষনা করে দিয়েছেন। স্বজাতি ৭ বিচারকও এটি সমর্থন করেছেন। এরা এসব করেই খান্ত হয় নি, সম্পুর্ন এখতিয়ার বহির্ভুত ভাবে পুর্বের বাতিল করা কাউনসিলকে পুনস্থাপন করেছেন। সুধু তাই না, তার রায়ে পুর্বে বাতিল হওয়া সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কয়েকটি ধারা ইচ্ছামত টেম্পারিং করে ইমপ্লিমেন্ট করেছেন। পরে তারহুরা করে বাতিল হওয়া সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউনসিল গঠন করেছেন, দ্রুত একটি সভাও করে ফেলেছেন।
যা সম্পুর্ন হটকারি বেআইনী ও সম্পুর্ন এখতিয়ার বহির্ভুত।

সংসদে ষোড়শ সংশোধনী যখন সংসদে পাস হয়, ৯৬ অনুচ্ছেদের ২,৩ ও ৪ দফা বাহাত্তরের সংবিধানের পুর্বের মত অবিকলই ভাবেই রাখা হয়েছিল।
আদালতে কোন আইন বাতিল কররার পর সংবিধানের পুরববর্তি কোনো ধারা আপনাআপনি বসতে পারে না। সংসদে একটি বিল এনে বসাতে হয়।
যে কারণে যখন ষোড়শ সংশধোনী আনা হয়েছিল সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছিল, ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ (সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন ও এর দায়িত্ব) ও ৮এর পরিবর্তে দফা ২, ৩ ও ৪ প্রতিস্থাপিত হবে।

কিন্তু এখন ষোড়শ সংশধোনী বাতিল রায়ে বলা হল দফা ২ থেকে ৭ পর্যন্ত প্রতিস্থাপিত হবে, অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, দফা ৮ (স্বেচ্ছায় পদত্যাগ) কে সচেতন ভাবেই 'নেই' করে দেয়া হল সংবিধান থেকে।




তবে কি বিচারপতিদের স্বাভাবিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগটি ইচ্ছে করেই বাতিল করা হল?

হ্যা পরিকল্পিতভাবে সেটাই করা হয়েছে। ( হয়তো সাম্ভাব্য কোন সেনাশাসক যাতে জোড়পুর্বক বন্দুকের মুখে পদত্যাগ করাতে না পারে)
এখন প্রশ্ন হল, সাধারন অবস্থায় বিচারপতিরা তাহলে পদত্যাগ করবেন কী করে? ষোড়শ সংশোধনী বাতিল, দফা টেম্পারিঙ্গের পর বিচারপতিদের ওই সুযোগ তো নেই।
যে কোনো নাগরিকেরই চাকরি ছাড়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। সংবিধানের ৩২ ধারামতে আইনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। এছাড়া আমাদের সংবিধানেই সাংবিধানিক পদগুলোকে স্বাধীন ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। মেয়াদের আগে কেউ তাকে বর্খাস্ত করতে পারবে না, । তবে ব্যাক্তিগত কারনে কীভাবে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়া যায় সেটা বলা আছে। যেমন,

সংবিধানের অনুচ্ছেদ

১১৮এর দফা ৬ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ ৩ নির্বাচন কমিশনার ,
১২৯এর দফা ৩ অনুযায়ী মহা হিসাব-নিরীক্ষক,
১৩৯এর ৩ অনুযায়ী (PSC) পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সভাপতি,
মানবধিকার কমিশন চেয়ারম্যান,
দুর্নিতি দমন কমিশন - দুদক চেয়ার ম্যান।
ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন চেয়ারম্যান। ইত্যাদি

এসব সাংবিধানিক পদ কে মেয়াদ শেষের আগে বর্খাস্ত করা যায় না। তবে ‘রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করিয়া স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন।’ একই কথা ৯৬এর দফা ৪, পরে ৮এ এবং ষোড়শ সংশোধনীর পর আবার দফা ৪এ স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল।

কিন্তু নাপিতের হাতে ধারালো কাঁচি দিয়ে নিজের মনমত কাটতে দিলে যা হয়, তাই হল।

আইনত বিচারকরা এভাবে টেম্পারিং করতে, আরোপিত করে পুনর্বহাল, এসব করতে পারে না। অসম্ভব ব্যাপার। এটা পারে সুধু আইনপ্রনেতারা, সংসদে বিল আনতে হয়। একটি পাস করে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর, তারপর গেজেট নটিফিকেশন হলে এরপর সেটা আইনে পরিনত হয়। আইনে সংবিধানে এটাই নিয়ম।
সিনহা গং উলংগভাবে ব্যাক্তিস্বার্থে কায়েমি স্বার্থবাজদের স্বার্থে অসিম ক্ষমতা পেতে নির্বিচারে যাচ্ছেতাই ভাবে জনস্বার্থ পদদলিত করেছেন। তার কঠিন বিচার হওয়া উচিত।

এছাড়াও রায়ে এই বিচারপতি দেশের মালিকদের প্রতিনিধী সাংসদদের অবৈধ, বিতর্কিত, ইমম্যাচিউর্ড বলেছেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের সুরে জাতির জনককে নিয়েও অবজ্ঞাসুচক মন্তব্য করেছেন। ২২৬ পৃষ্ঠা থেকে ২২৯ পৃষ্ঠায় তাঁর এই পর্যবেক্ষণ বিধৃত হয়েছে। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যেমন, দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণ, দুর্নীতি পরিস্থিতি, অকার্যকর সংসদ, স্বাস্থ্যখাতের অবনতি, জনপ্রতিষ্ঠানসমূহকে মেধাশূন্যকরণ, প্রশাশনিক অব্যবস্থাপনা, অপরাধের পরিবর্তিত ধরন, নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যর্থতা, নিয়ন্ত্রণবিহীন আমলাতন্ত্র, নির্বাহী বিভাগের ঔদ্ধত্য ও অদক্ষতা ইত্যাদি।

তাহলে মাননীয় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তাঁর মতে, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোনো কিছুই আশাব্যঞ্জক নয়। তবে হ্যাঁ, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে ২২৯ পৃষ্ঠায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি লিখেছেন:


তিনি স্পষ্ট ভাবে সচেতন ভাবেই বললেন -‘কোনো জাতি বা কোন দেশ কোনো একক ব্যক্তিকে দিয়ে স্বাধীন হয় না, মানে "কোন একক ব্যাক্তি দ্বারা বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নি"
৯০ দশকে ছাত্রদল বা ছাত্রশিবিরের প্রতিটি সমাবেসে মুজিবকে অসম্মান করতে এই বাক্যটি বার বার শোনা যেত। এখনো ফেবু-ব্লগে ছাগুদের স্ট্যাটাস-মন্তব্যে প্রিয় স্লোগান এটাই। সেই ছাগু স্লোগানটিই রায়ে সংযোজন করে দিলেন সিনহা বাবু।

মুক্তিযুদ্ধ মুল নেতৃত্ত কোন পর্যায়েই একাধিক ব্যক্তির হাতে ছিলনা।
বঙ্গবন্ধুর সমপর্যায়ের বা কাছাকাছি সমপর্যায়ের কোন নেতাও ছিলনা। এখনো নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের যোগদানের শপথবাক্যে "বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্তে" কথাটি প্রথম লাইনেই ছিল। এমনকি জিয়াউররহমানও ২৭ সে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা দেয়ার সময় বলেছিলেন ঘোষনা দিচ্ছি - "অনবি হাফ অব গ্রেট লিডার বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান"
তিনি সচেতন ভাবেই তথাকথিত নিরোপেক্ষ নামের কুশীলদের অনুকরনে ব্যালেন্স করতে মুজিবের একক নেতৃত্ত ভুলে "ফাউন্ডিং ফাদার্স" নামে নতুন একটি শব্দ যোগ করলেন। পাঠক খেয়াল কইরা - ফাদার নয় "ফাদার্স"! আমেরিকার মত সেভেন ফাউন্ডিং ফাদার্স! নিরোপেক্ষতার নামে মুজিবকে পাশে ঠেলে বাকি ফাদারগুলা কারা? জীয়া, মোশতাক, ভাষানী, রব, গোলামআজম?

ষড়যন্ত্র স্পষ্ট ভাবে দৃশ্বমান!

বিচারপতি সিনহার এসবের পেছনে বড় একটি কারন আছে, তার এই রায়ের পেছনে স্বাধীনতা বিরোধী (বিম্পি-জামাত-জঙ্গি) ব্যাকিং আছে। এটা আগেই প্রমানিত হয়েছিল। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মোটেই কোন ক্লিন ম্যান না।

দেলু সাঈদীর ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে দেখা যায়, সাঈদীকে আপিলবিভাগের দু বিচারকের একজন সায়েদিকে প্রদত্ত সাখ্য-প্রমান দেখে ফাঁসির আদেশ দিলেও দ্বিতীয় বিচারপতি সেই সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দ্বিমতের কারনে বেচে যায় সায়েদি।
আলোচিত ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলায় বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার রায়ে এক নিঃশ্বাসে বলেছিলেন যে, যেই এজাহারে সাঈদীর ছেলে আদালতে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছেন, সেটি সন্দেহাতীতভাবে একটি ভুয়া দলিল। তিনি (বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) বলেন ইব্রাহিম কুট্টি বিষয়ে আসামিপক্ষ যে ফটোকপি দাখিল করছে সেটিও ভুয়া প্রমানিত, ওই দলিলটি আমরা সন্দেহাতিতভাবে ভুয়া বলে মনে করি। তবে সব ঠিক থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষ এসব সঠিকভাবে প্রেজেন্ট করতে ব্যার্থ হয়েছে, তাই বেনিফিট অব ডাউট সাঈদী পেতে পারে।

২০১৫ প্রথমদিকে দিকে সাকা-মুজাহিদ ফাইন্যাল রায়ের আগে এই প্রধান বিচারপতি একাধিকবার লন্ডন সফর করে, ফালতু কারনে। ফালতু নামসর্বস্য বিয়ানিবাজার .. মৌলবিবাজার নামসর্বস্ব কিছু সমিতির মিটিংগে ভাষন .. ইত্যাদি তুচ্ছ কারনে মামলাজট পেন্ডিং রেখে এই প্রধানবিচারপতির বার বার এহেন লন্ডন সফর সবার বিস্ময়ের শৃষ্টি করে। আসলে মিটিং ছিল স্বাধীনতা বিরোধী (বিম্পি-বুদ্ধিজীবি+বংগবন্ধু হত্যাকারি পলাতক চক্র+জামাত+জঙ্গি) একটি শক্তিশালি টিমের সাথে। হুকা সহ শাকা পরিবারের সাথে আরেকটি পৃথক মিটিংও হয়েছিল নিগোসিয়েশন, সাকা-মুজাহেদের রায় উলটে দেয়া হবে, বিনিময়ে পদ, গোপন একাউন্টে ডলার .. আরো কিছু থাকতে পারে। হুকা সহ শাকা পরিবারের সাথে ঢাকায়ও প্রকাস্য দিবালকে আলোচনা হয়েছিল।

লন্ডন সফর প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “লন্ডনে মৌলভীবাজার ও সিলেটের ছাত্রদের একটি সংগঠন আছে। তারাই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশি সমাজে মৌলভীবাজার ও সিলেটের লোক বেশি। তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা টিকেটও দিতে চেয়েছে।

লন্ডনের কিছু স্থানীয় সাংবাদিক এই বিচারপতির অনৈতিক গোপন মিটিঙ্গের কথা দুতাবাসের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়েছিল, সরকার তেমন গা করেনি, মিডিয়াতেও হাল্কাভাবে এসেছিল। তবে সাকা-মোজাহেদ রায়ের সপ্তা খানেক আগে এই বিচারপতি আবার সকল মিডিয়ার অগোচরে আবার লন্ডন সফরে ফ্লাইট কনফার্ম করেন। মাত্র কদিন আগে বিতর্কিত সফর থেকে ফিরে আবার লন্ডন?
হ্যা লন্ডন। টেলিফোনে কথা ফাস হয়ে যায়। সব ফাইন্যাল হবে সরাসরি কথা বলে।

গোপন সুত্রে দৈনিক জনকন্ঠে স্বদেশ রায় এনিয়ে বিস্তারিত নিবন্ধ লেখে - প্লিজ হাসিনা, কিছু একটা করুন ... রায় ছিনতাই হচ্ছে! বিচারপতি সুরেন্দ্রকে এখনি থামান। তার লন্ডন যাওয়া বন্ধ করুন।
আসলে হাসিনার বাপেরও ক্ষমতা নেই সুরেন্দ্রর গায়ে টোকা দেয়ার, সাংবিধানিক পদ।

তবে জনকন্ঠে স্বদেশ রায়ের নিবন্ধে বেশ আলোড়ন শৃষ্টি হয়েছিল, টকশোতেও বিভিন্ন দিন আলোচনা হয়েছিল। তার লন্ডন সফর, লন্ডনে মিটিং হলেও প্রবল জনমতের চাপে রায় পাল্টাতে সাহস পান নি সিনহা বাবু। হয়তো তাদেরকে বুঝিয়েছেন, "পরে পুষিয়ে দেয়া হবে"।

পরে পুষিয়ে দিয়েছেন, দিচ্ছেন -


১। ২০১৬ প্রথমদিকে - যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল ভবন থেকে সমগ্র টাইবুনালটি উচ্ছেদ নোটিস - শালার ট্রাইবুনালই রাখুম না।
অতচ এই ব্যাপারটি আলোচনার ভিত্তিতে ভিন্ন একটি বিকল্প স্থান নির্ধারন করার পর সুন্দরভাবে অনুরোধ করা যেত। কিন্তু তা না করে আবার আক্রোশের সাথে দ্বিতীয় উচ্ছেদ নোটিস জারি করে। বিকল্প স্থান জাহান্নামে যাক!

২। উপর্যপরি উচ্ছেদ নোটিস ও স্বতঃপ্রণোদিত রুলজারি করে ৪ যুগের বেশী পুরাতন সরকারি সড়ক ভবন দখল, এটাকে জবরদখল বলা যায়। পদ্মাসেতুর ফাইল্পত্র তচনচ, সেতুর কাজ ৬ মাস পিছিয়ে গেছিল।
ভবনটি এখনো ৩-৪ বছর জাবত খালি পরে আছে। রাষ্ট্রের কাজ বিঘ্ন করতে আকারন আক্রোস।

৩। কাউকে না জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের মুখে একটি মুর্তি স্থাপন করে। মুলত সরকারে বিরুদ্ধে মৌলবাদি দলগুলোকে খেপিয়ে তোলার জন্যই।
৪। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেই খান্ত হন নি, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, সংসদকে অবৈধ বলেছেন, যুদ্ধাপরধীদের সুরে বংগবন্ধুকে অবমাননা করে রায়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।
৫। এই সরকারকে অবৈধ ঘোষনা করে "সুয়োমোটো রুল জারি" (এটা পেন্ডিং আছে)
২০১৫ শেষের দিকে তাবেলা সিজার হত্যার পর সব বিদেশি চলে যাওয়া, খেলাধুলা বন্ধ, বিদেশীদের ফ্যাক্টরি বন্ধ হতে সুরু করা .. সরকার যখন নাস্তানাবুদ তখন এই সরকারকে অবৈধ ঘোষনা করে সুয়োমোটো রুল জারির গুজব ব্যাপকভাবে সর্বত্র প্রচারিত হতে থাকে।
কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র দ্রুততার সাথে সবকিছু সামলে আতঙ্ক দূর করতে সক্ষম হলে সুয়োমোটো রুল জারির আর সাহস পায়নি সিনহা বাবু।

৬। সর্বশেষ আঘাত - ষোড়শ সংশোধনী বাতিল।

আরো আসছে ...

২৯ জুলাই ২০১৫ সাকা চৌধুরীর রায় ঘোষণার পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনকণ্ঠ সম্পাদক ও নিবন্ধের লেখক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি করে। জনকন্ঠে স্বদেশ রায়ের নিবন্ধ রায়ের অনেক আগে ছাপা হলেও রুলটি রায়ের আগে জারি করার সৎসাহস দেখাতে পারেন নি এই বিচারপতি।


সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ সহ কিছু বিচারপতি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে ফারুক-ডালিম জিয়াউর রহমানের সামরিক ফরমান অত খারাপ কিছু না বরং ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী (বাকশাল) ছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।
তার তুলনায় সামরিক সরকারের আরোপিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে সংসদথেকে ‘অধিকতর স্বচ্ছ’ পদ্ধতি বিবেচনায় আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনীর মামলার রিভিউতে তা মার্জনা করেছিলেন।
তাতো বলবেনই
আজীবন সামরিক সরকারদের তল্পিবাহক হিসেবে সব সামরিক ফরমান মেনে চলেছেন, টু সব্দ করেন নি বরং বার বার সামরিক সরকারগুলোর পুতুল রাষ্ট্রপতি হতে একটুও দ্বিধা করেন নি।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এর জন্ম হয়ে ছিল ৭৫ হত্যাকান্ড পরবর্তি একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে সংসদের অনুপস্থিতিতে।
বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি ৭২ এর মুল সংবিধান অনুযায়ী সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সংসদের হাতে এবং ৭৫ সালের রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির হাতে থেকেছে।

কিন্তু যখন জিয়াউর রহমান খুনে মেজরদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে জিয়া তখন চিফ মার্শালল এডমিনিষ্ট্রেটর তখন তৎকালীন পুতুল রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোঃ সায়েম সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন, এটা ১৯৭৬ সালের ৮ নভেম্বর। ঠিক তখন একটা সংকট সৃষ্টি হয়, দুজন 'বেয়াদব' বিচারক অপসারনের প্রয়জনিয়তা দেখা দেয়। তখন তো বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা তো সংসদের হাতে! আর সংসদই তো নেই বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা কোথায় থাকবে? এই সংকট নিরসনের জন্য জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২৯ নভেম্বর এক সামরিক ফরমান জারি করেন এবং উক্ত ফরমানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। ফলে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করা হয়। দুই বিচারককে ৭৬ সালেই বর্খাস্ত করেছিল জিয়া। ৭৭ এ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্খাস্ত করা সেই দুই বিচারককে ফাইন্যাল বর্খাস্ত দেখানো হয়।

আমাদের বুঝতে হবে যে, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ এর জন্ম রহস্য কি, কেন এবং কোন স্বার্থে। যখনই অগণতান্ত্রিক সরকার অবৈধ পথে ক্ষমতা দখল করেছে তখনই সংসদ তার কার্যক্রম হারিয়েছেন আর তখনই ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ এর মত জিনিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এর আর একটা বড় প্রমাণ ডঃ ফখরুদ্দীন আহমেদ এর সেনা সমর্থিত সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অধ্যাদেশ, ২০০৮। কারণ তখনও সংসদ জীবিত নেই। অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলের ফলে যে সংকট সৃষ্টি হয় তা থেকে উত্তরণের জন্য মুলত অস্থায়ী ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ কিন্তু যখন সংসদ ব্যবস্থা ফিরে আসল তখন তো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল স্বাভাবিক ভাবেই তার কার্যকরিতা হারানোর কথা। বিচারক অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে বা সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সংসদের হাতে এমনিতেই চলে যাওয়ার কথা। তাই ষোড়শ সংশোধনী সংসদে আনার প্রয়োজনীয়তাই ছিল না! বাতীলের প্রশ্নও তাই ওঠে না। আমার মতে সামরিক ফরমানের মত আবর্জনা লাথি দিয়ে দূর করা দরকার ছিল। কিন্তু নবনির্বাচিত আওয়ামী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পরের মাসেই বিডিয়ার বিদ্রোহে অনেকটাই বিপর্যস্ত। পরে সাম্রাজ্যবাদিদের দাপটে অনেক কিছুই ছাড় দিয়ে চলতে হয়েছে।

কিছু মতলবি শুশীল মত দিচ্ছে সাংসদরা অশিক্ষিত আনকালচার্ড, দুর্নিতিবাজ
বিচারপতিরা এলিট সম্মানী লোক। জজদের বিচার জুডিশিয়াল কাউন্সিলে জজরাই করবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

বিচারকরা কি দোষি স্বজাতী বিচারকের বিচার নিরপেক্ষতার সাথে করতে পারে?

বিচারকরা সবাই কি ক্লিন?
এজাবৎ হতে গোনা দুএকজন জজ বিচ্ছিন্ন ভাবে বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কি হয়েছিল? দেখা যাক কিছু ফিরিস্তি -

১। ২০০৫ এ সদ্য হাইকোর্টে প্রমোশন পাওয়া এক বিচারপতির এল এল বি সনদ জাল প্রমানিত হলে প্রধান বিচারপতি তাকে নিষ্ক্রিয় বা সাময়ীক বর্খাস্ত করেন। জাল সনদদের কপি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। পরে তাকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিচারে সম্মুখিন না করে বিচারক তার বর্খাস্তআদেশ অবৈধ ঘোষনা করে চাকুরিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।, আদালতের রায়ে বলা হয়, জালসনদের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। পত্রিকায় এব্যাপারে কিছু লেখালেখি করলে সেই পত্রিকার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা রুল জারি হবে।
পরে ২০০৭ এ তত্তাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলে সেই জাল সনদের জজসাহেবকে আর খুজে পাওয়া যায় নি।

২। ২০১১র দিকে উত্তরবংগ থেকে আগত একটি ব্যক্তিগত কার পুলিশ চেকপোষ্টে পুলিশ তল্লাসি করতে গেলে সাদা টিশার্ট পরা আরোহী নিজেকে জজসাহেব বলে পরিচয় দেয়, কিন্তু সাহসি পুলিশ অফিসার গাড়ীর হুড খুলে দেখে কার্টুনে ফেনসিডিল, আসলে গাড়ী বোঝাই হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়। সব টিভি, সব পত্রিকায় প্রথমপাতায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।
কিন্তু আদালত সেই জজসাহেবকে বেকসুর খালাস, মামলাটিও খারিজ করা হয়। ও এনিয়ে পত্রিকায় কোনকিছু লেখালেখি করা যাবেনা বলে রুল জারি করেছিল।

৩। মাত্র কদিন আগে এক বিচারপতির ড্রাইভার জানজট এড়াতে রাস্তার উল্টোদিকে বেপরোয়া গতিতে জিপ চালিয়ে ফিরছিল, সেরাটন মোড় ঘুরতে এক মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ হয়। মোটরসাইকেলে আরোহি গুরুতর আহত হয়েছিল।
বিচারপতির ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারপতির ড্রাইভারকে সরাসরি খালাস দিয়ে দেয়া হয়, মামলাটিও 'নেই' করে দেয়া হয়েছিল।

৪। বিচারপতি জয়নুল আবেদীন একজন অবসরপ্রাপ্ত জজ ।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিএনপি সরকারের 'জজমিয়া তদন্ত' চলছিল। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে দেয়া হয়েছিল রিপোর্ট উনি দিয়েছিলেন, তৎকালিন হাওয়াভবনের মনমত সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য দিয়ে। বলতে গেলে,
বিএনপি সরকারের হুবুহু ফরমায়েশী তদন্ত রিপোর্ট তিনি দিয়ে গেছেন।
এবং এরপর তিনি পুরষ্কৃত হয়েছিলেন, লাভবান তিনি দুর্নীতির মাধ্যমেই।
সেই দুর্নীতির তদন্ত করতে গেছিল দুদক,
দুদক চেয়ারম্যান প্রধান বিচারপতির মতই স্বাধীন একটি সাংবিধানিক পদ। ৫ বছর মেয়াদের আগে কেউ বর্খাস্ত করতে পারে না।
গ্রেনেড হামলার মামলাটিও এখন শেষ পর্যায়ে। দুদক চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আদালত রেজিষ্টারের কাছে অফিসিয়াল ভাবে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেখানে এই প্রধান বিচারপতি সিনহা হস্তক্ষেপ করলেন। প্রধান বিচারপতি চিঠি দিয়ে জানালেন "জয়নুল আবেদীনের কোন তদন্ত করা যাবে না"। বিচার বিভাগ নিজেরাও তদন্ত করবে না। চিঠিতে বলা হয়েছে তার তদন্ত বা বিচার করাই যাবে না কারণ তিনি অনেক রায় দিয়েছেন। কেউ রায় দিলেই বিচার করা যাবে না, এটা কোন ধরনের কথা। তিনি কি পয়গম্বর না নবী, যে বিচার করা যাবে না? তিনি এ চিঠিতে লিখলেন কীভাবে? এটা তো সম্পূর্ণ সংবিধানকে অবহেলা করা, সংবিধান লঙ্ঘন করা। আমরা জানি আইন সবার জন্য সমান। আমাদের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী"।
বিচারকগণ কি তাহলে আইনের ঊর্ধ্বে?
তদন্ত হতো, তদন্তে কোন আলামত পাওয়া গেলে, আদালতে বিচার শুরু হলে তারপর ওনি কিছু বলতে পারতেন। কিন্তু তদন্তই করা যাবে না প্রধান বিচারপতি হয়ে তিনি কীভাবে বলেন। দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়া, রক্ষা করা প্রধান বিচারপতির কাজ হতে পারে না।

স্বজাতী বিচারকের বিচার, অর্থাৎ নিজেদের বিচার নিজেরাই কি করতে পারে?

না, পারে না।
ট্রাকচালক সমিতি যেভাবে চালকের অন্যায় দেখেও দেখতে পায় না, বিচারকরাও আদালতে ইচ্ছে থাকলেও নিজেদের বিচারে পক্ষপাতিত্ব এড়াতে পারে না। সামান্য ড্রাইভার-চাপরাশিদের অপরাধে চোখ বন্ধ রাখে, এরা করবে নিজেদের বিচার? ন্যায়বিচার!

বাংলাদেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজকর্ম বাংলায় হয়। কিন্তু উচ্চআদালত বাংলাকে সরাসরি অবজ্ঞ্যা করে।
ভাল ইংরেজী জানার পরও কারো পক্ষেই ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় পড়ে ভালভাবে বোঝার উপায় নেই! এত কঠিন ভাষায় লেখা। স্কল আইনি ডেফিনেশন বাংলা ভাষায় আছে, ইংরেজির চেয়েও ভালভাবে আছে। বাংলার মত এত সমৃদ্ধ উন্নত ভাষা থাকার পরও এহেন অনাচার, একজন বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য লজ্জার। উচ্চ আদালত এই অনাচারটি করে আসছে স্বগৌরবে! এই এলিট নামের গোচরণ ভূমিতে বাংলা ভাষার চর্চা রীতিমত অচ্ছুত! অথচ বিচারপ্রার্থি-আসামী,জজ, ব্যারিষ্টার সব পক্ষই বাংলাভাষি। অথচ হতভাগ্য বিচারপ্রার্থি রায় পড়ে কিছুই বোঝে না। টাকার বান্ডিল বোগলে নিয়ে আবার উকিলের অফিসে যাওয়া। এই উচ্চআদালতের এলিট বিচারকদের জানা উচিত তোমাদের বেতন, ভাতা, রুটি, রুজি আসে প্রান্তিক কৃষক/শ্রমিক/মেহনতি মানুষের ঘর্মাক্ত শ্রমের ফসল থেকে! একজন দিনমজুরের ১৫টাকায় কেনা একটি পাউরুটির ৩টাকা ভ্যাট থেকে, এত দেমাগ কিসের?

প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে ও বক্তব্যে এখতিয়ার বহির্ভুত অনেক কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে কথা বলেন। তিনি মত দেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে এবং কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনভাবে না হতে পারলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গ্রহণযোগ্য সংসদ প্রতিষ্ঠা হয় না।
এসব উনি বলার কে? রায়ের সাথে ইসির কি সম্পর্ক?
এ রায়ে সংসদকে অকার্যকর (dysfunctional) বলেছে। সংসদ সদস্যদের ‘ইমম্যাচিউরড’ বলা হয়েছে।
এমনকি ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, বিম্পি-জামাতের সুরে সেটাকেও ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলা হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ত্রুটিপুর্ন বলেছেন।
এ ছাড়াও রায়ে আরো অনেক ‘আপত্তিকর’ বিষয় আনা হয়েছে। আদালত বিচার্যের বাইরে গিয়ে অপ্রসাংঙ্গিক আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন।

২০০০ সালের সুরুতেও আওয়ামীলীগের শেষ বছরে জজসাহেবরা এখনকার মত শুশিল সহায়তায় মতলবি বিটলামি সুরু করেছিল।
বহুপ্রতক্ষিত বংগবন্ধু হত্যামামলার আপিল শুনানি করতে তালবাহানা, মাসের পর মাস কালক্ষেপন, সিরিয়াল মেনে আসতে পরামর্শ!
এরপর সুরু হল শুনানি সুরুর আগে জজসাহেব 'বিব্রত' ... পরে পরবর্তি জজও 'বিব্রত' ... এরপর শুনানি করতে সরাসরি অস্বীকৃতি। বিক্রুদ্ধ আওয়ামী সমর্থকরা লাঠিমিছিল করলেও আওয়ামী সরকার সেই ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপনকারি জজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি, এদের কালক্ষেপনে আওয়ামীলীগের টার্ম শেষ হয়ে গেছিল। জামাত-বিম্পি সরকারের আমলেও এই জজসাহেবরা শুনানি করতে কোন প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। এদের অনাচারের কারনে বংগবন্ধু হত্যামামলা ১০ বছর পিছে পরে গেছিল।
এরপরও পরে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী সরকার সেই ইচ্ছাকৃত কালক্ষেপনকারি বেয়াদব জজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি, বরং পদন্নতি সাভাবিক গতিতেই হয়েছে। এমনকি তাদের দুজনকে প্রধান বিচারপতি হতেও কোন বাধা দেয়া হয়নি।

আমি সম্মানিত বিচারকদের স্বাধীন ভাবে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে।

তবে ওনারা যে ব্যক্তিগত ও সামগ্রিক ভাবে নৈতিক মান দণ্ডের ক্ষেত্রে সততার প্রমাণ দিতে হবে।
দুর্ভগ্যজনক ভাবে এজাবৎ সেই সততার একটি নিদর্শনও দেখাতে পারেন নি।
এদের কার্যকলাপে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা, বিচার বিভাগকে আলোকিত না করে কলুষিত করছে। আর এমন কিছু বিচারক যারা নৈতিক মানদণ্ডের ক্ষেত্রে অসৎ তাদের অপসারণের ক্ষমতা বিচারপতিদের হাতে তথা ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ এর হাতে দিলে, কাউন্সিল যে সঠিক ভাবে ন্যায়বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে অক্ষম তা মোটামটি ভাবে নিশ্চিত।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সেখানে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ সুপ্রিম অথোরিটি ভোগ করবেন কি ভাবে?
আমরা জানি আমাদের সংসদ এখনো সেই মানে পৌছুতে পারেনি, অনেক সাংসদই দুর্নিতিবাজ। এরপরও এই প্রতিষ্ঠানকে বাচিয়ে রেখেই দুর্নিতিবাজদের দূর করতে হবে।
যথেষ্ট পরিপক্বতার অভাবের কারণে সংসদকে যদি এই সামান্য বিচারপতিগণের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া না যায়, তাহলে তো কিছুদিন পর বলতে পারবে এই অপরিপক্ক সংসদকে দেশ শাসনের অধিকার অব্যাহত রাখতে দেয়া যায় না?

এটা তো শুধু বিচারপতিদের অপসারণের বিষয় না, এটাতে অনেক বিষয় জড়িত আছে। আমি বা আমরা জনগণ, আমাদের জন্য আমাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা মহান সংসদে একটা বিল পাশ হল কিন্তু মাননীয় উচ্চ আদালত নির্বিচারে তা পদদলিত করল। তাহলে আমরা জনগণ, আমাদের ক্ষমতা কার হাতে থাকল? মতলবি কিছু বিচারকের কাছে কি অসহায়ত্বে পরিণত হল না জনগনের সংসদ তথা আইন বিভাগ! এটা তো হতে পারে না। আমরা জনগণ আমাদের আত্মসম্মানের বিষয় জড়িত এটাতে।
আমরা আমাদের ক্ষমতা কেন রাষ্ট্রিয় কিছু হটকারি কর্মচারীদের হাতে রাখতে যাব?
আদালত আইন ও সংবিধানের হেফাজতকারী। কোন ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না ঘটে সেই বিষয়টা সম্মানিত বিচারপতিরা জনগণের পক্ষে দেখাতে পারেন, সতর্ক করতে পারেন, পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু একজন বিচারপতি সম্পুর্ন বেআইনি ভাবে কায়েমি স্বার্থবাজ স্বাধিনতা বিরোধীদের কাছে সুবিধা নিয়ে আইনের কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা ছাড়া নির্বিচারে বাতিল করতে পারেন না। আর কোন ধারা টেম্পারিং বা আরোপিত-বিয়োজিত করার তো কোন অধিকার, এখতিয়ার তো আইনে নেই। ক্ষমতা তাকে কিছু দিয়েছি, অসিম ক্ষমতা দেয়া হয়নি।

যেহেতু রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সবার ঊর্ধ্বে। তার অনুমোদন ছাড়া কোন বিল আইনে পরিণত হয় না। তাহলে আপনি সুপ্রিম কোর্ট সেই বিল বাতিল করে পুর্বব্যাবস্থা স্থাপন করে প্রকাস্য ডাকাতি করার অধিকার দিল কে? সুপ্রিম কোর্ট আপনি জনগনের প্রয়জনে তো রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। আপনি কি সংসদ বা রাষ্ট্রপতির চেয়েও বড়? জনস্বার্থ থেকেও বড়?

এখন সুপ্রিম কোর্ট বা তার বিচারপতিগণ বলতে পারেন, সংবিধান আমাদেরকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। তাহলে আমরাও বলব, বাতিল বলার অধিকার দেয়া হয়েছে, কোন কিছু স্থাপন অধিকার দেয়া হয়নি। সংবিধান এটা জনগণের, জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা সৃষ্ট, জনগনে সুবিধার্থে রাষ্ট্রের একটি জীবন বিধান।
আইন আমাদের প্রয়োজনে আমাদের তৈরি, আমরা জনগণ আমাদের স্বার্থে আমাদের গঠিত সংসদের মাধ্যমে সংবিধানের ধারা সংশোধন বা সংযোজন করতে পারব। অবস্যই পারবো। আপনার ডাকাতির, অপকর্মের, ঘুশ খাওয়ার বিচারও হবে। অপেক্ষা করুন।



সর্বশেষে ফেবু থেকে লুৎফর রহমান রিটনের একটি ছড়ার অংশ (এডিটেড) দিয়ে শেষ করি -



মজিবররে মাইনা নিতে কষ্ট?
ল্যাঞ্জা তোমার দেখতে আছি পষ্ট...

তখন তুমি করতা কিসের চাকরি?
বিহারীগো দোকানটাতে কাটতে হইত লাকড়ি!
করাচীতে বিহারীগো সেলুনটাতে নিত্য
চুল কাটিয়া করতে হইত পেশোয়ারী নৃত্য।
হোটেল বয়-এর চাকরি পাইতা বাসন-কোসন মাজতা
বিহারীগো হোটেলটাতে 'হাঁসকো আণ্ডে' ভাঁজতা!

খুব বড়জোর হইতা একটা পেশকার।
বুঝতা তখন স্বাধীন বাংলাদেশটা কার...


লুৎফর রহমান রিটন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাইকোর্ট আইন করে না, আইনে ভুল থাকলে সেটা নিজের থেকে বলতে পারে।
হাইকোর্ট ভুলের সংশোধনের জন্য নির্দেশ দিতে পারে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।

কোন নাগরিক যদি মনে করে কোন তাদের প্রতিনিধী সাংসদদের তৈরি কোন একটি আইন সংবিধান বিরোধী বা জনস্বার্থ বিরোধী, আদালতে কেউ আর্জি জানালে আদালত সংবিধান যাচাই করে যদি দেখে এই আইন সংবিধান বা জনস্বার্থ বিরোধী, তাহলে বিচারক আইনটিকে অবৈধ বলে রায় দিতে পারে।

তবে এটির পরিবর্তে অন্য কোন আইন বা পুর্ববর্তি কোন আইন প্রতিস্থাপন করতে পারে না। আইন তৈরি, মেরামত, প্রতিস্থাপন করবে সুধু লমেকাররা ও তাদের নির্দেশমত রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত পাবলিক সার্ভেন্ট, আমলারা। বিচারক সুধু বলবে আইনটি বৈধ না অবৈধ। ব্যাস।

এক্ষেত্রে কেউ আদালতে কেউ আর্জি জানায়নি।
সিনহা বাবু স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নিজেই আদালতে এটি বাতিল করে দিয়েছেন।
অনধিকার চর্চা করে পুর্ববর্তি আইন স্থাপন করেছেন। সুধু তাই না, স্থাপনের আগে ধারা টেম্পারিঙ্গও করেছেন।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৬

অালপিন বলেছেন: আপনাদের মতো কিছু লোক দেশে আছে বলেই মানুষের অভাব-অভিযোগের সীমা-পরিসীমা নেই। আপনাদের মতো লোকদের ঝেঁটিয়ে দেশ থেকে বিতাড়ন করতে পারলে সাধারণ জনগণ অন্তত নিজেদের মতো করে বাঁচতে পারত।

রাজাকাররা যেমন ঘরের শত্রু বিভীষণ সেই একাত্তর থেকে, তেমনি আপনারাও জনগণের কাছে কালকেউটে। জনগণ না পারছে আপনাদের মারতে জীববৈচিত্রের ধ্বংস হবে ভেবে, না পারছে পুষতে কেটে দেন যদি। এক আজব চিড়িয়া আপনারা। জয় বাংলা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কালকেউটে?
সিনহা বাবু অবসরে গেলেও এখনো অনেক অনেক কালোকেউটে। অনেক আবর্জনা।

বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া একটি নাম, এক অজানা অধ্যায়!
সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগের চার জন বিচারপতি সর্ব সম্মত হয়েছিলেন যে, "ছয় ছয় টি অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান হওয়ায় কাদের মুল্লাহকে সম্ভব হলে ছয় বার করে ফাসীর দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার হুকুম দেয়া যেতো!" কিন্তূ জনাব ওয়াহাব মিয়া অন্য ধারনা পূষণ করলেন, ৫টি তে কাদের মুল্লাকে নিঃশর্ত মুক্তি, এবং অন্যটিতে ট্রাইবুনালের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে টেনে টেনে দিলেন যাবজ্জীবন!

দেলোয়ার হোসাইন সাইদীকে তিন জন বিচারপতি যাবজ্জীবন ঘোষণা করেছিলেন, একজন দিলেন মৃত্যু দন্ড! কিন্তূ এখানেও জনাব ওয়াহাব সম্পূর্ণ ভিন্ন! ধর্ষণ, খুন, লুটতরাজ, ধর্মান্তর, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা.. সব অপরাধের পুরস্কার স্বরূপ সাইদীকে দিলেন বেকসুর খালাশ!
আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ এবং পত্রিকা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন একদা হাইকোর্ট, পরবর্তীতে ওয়াহাব মিয়া হাইকোর্ট এর ওই আদেশ স্থগীত করে দেন এবং বিএনপির বর্জনের পরেও ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন হওয়ায় উদ্যেগ প্রকাশ করেন!
এই সমস্ত মানুষদের জন্যই নিভৃতে কাঁদে বিচারের বাণী! মনে আছে প্রজন্ম টি এইচ খানের কথা? বিএনপির রাজনীতিবিদ আইনজীবী, জামাতের একনিষ্ঠ প্রেমিক, মৃত্যুর আগেও যিনি সেবা করছিলেন বিএনপি জামাতি জোটকে! সেই টি এইচ খানের এককালের সহকারী আজকের এই বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া! ওস্তাদের আদর্শে বিশ্বাসী, রাজাকার আদর্শ লালনকারী!

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো এই উচ্চ পর্যায়ের ছাগু ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্ট এর আপীল বিভাগে থাকবে, এমনকি হতে পারে প্রধান বিচারপতি!

দয়াকরে ওয়াহাবের মত কালকেউটে ব্যাক্তিদের দিকে নজরদারী বাড়ান,
প্রয়জন হলে সংসদের বিচারক অপসারনের ইমপিচ ক্ষমতা প্রয়োগ করুন,
চিহ্নিত মৌদুদীবাদী গোষ্ঠীদের ঝেটিয়ে বিদায় করুন।
এবং ৭১ এর চেতনাধারী আরো কিছু বিচারক আপিল বিভাগে নিয়োগ করুন| তখন আর কোনো কুখ্যাত ব্যাক্তি নিঃশর্ত মুক্তি পাবেনা, সংখাগরিষ্ঠতার অজুহাতে ও কেউ ফাসির দড়ি থেকে বাচতে পারবেনা| আমাদের কষ্ট, ত্যাগ ও আন্দোলনের ফসল এভাবে বিচারক নামধারী কিটের কারনে নস্যাত হবে তা কোনভাবেই কাম্য নয়! অবিলম্বে হস্তক্ষেপ চাই, ৭৫ এর আবর্জনা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫১

কাউয়ার জাত বলেছেন: Government of Bangladesh and others: Appellants. =Versus=
Advocate Asaduzzaman Siddiqui and others: Respondents.
জাজমেন্টের শুরুতে এটা উল্লেখ আছে। তাহলে আপনি কোথায় পেলেন যে, কেউ আদালতে কেউ আর্জি জানায়নি।
সিনহা বাবু স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নিজেই আদালতে এটি বাতিল করে দিয়েছে?
আইন বোঝেন নাকি বোঝার ভান ধরেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
Asaduzzaman Siddiqui - কে এই লোক?
সে কি আদালতে বলেছে ষোড়শ সংশোধনীর কারনে সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে?
সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রমান না করতে পারলে রিট তখনই খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা।

সে যদি সত্যই মামলা বা আর্জি জানিয়ে থাকতো সে রায়ের পর V চিহ্ন দেখাতো, সাফাই গাইতো।
এখানে রায়ের পর প্রতিদিনই সাফাই গাইছে সিনহা বাবু নিজেই।
এখন আপনি নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞেস করুন Asaduzzaman এর পেছনে কে?

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পারফেক্ট ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

সাধে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বলেননি, আমরা এখন পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশে বাস না করে জাজেস রিপাবলিক অব বাংলাদেশে বাস করছি।

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
এই বিচার বিভাগ যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারেন, তাহলে একাধিক মামলায় তারা সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দেন কিভাবে? পার্লামেন্টের গৃহীত ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেন কোন্ শক্তিতে? বর্তমান প্রধান বিচারপতিই-বা কিভাবে বিরোধী দলের চাইতেও শক্ত ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন?

সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দিতে গিয়ে পাকিস্তান আমলে জাস্টিস মুর্শেদের এবং জেনারেল এরশাদের আমলে বিচারপতি কে. এম. সোবহানের কী পরিণতি ঘটেছিল বিচারপতি সিনহা তা নিশ্চয়ই জানেন।
বর্তমান সরকারের আমলে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: বিচারপতি সিনহার যে জন্মের সমস্যা আছে, এটা যখন তাকে নিয়োগ দেয়া হয়, তখন বলেননি কেন? তাকে প্রধান বিচারপতি করার সময় আপনার মত দালালদেরকে তো ধুতি খুলে ধেই ধেই করে নাচতে দেখা গেছে। এখন কোমরের উপর বাড়ি পড়েছে বলে বিচারপতির জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে টান টান খেলা হচ্ছে, তাই না! হায়রে হিপোক্রেসি!

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি প্রমান করলেন আপনি মানুষ না, আওয়ামীলীগ!

ওবায়দুল কাদেরের ছায়াবানী লিখে গেলেন! যখন যুক্তি তর্ক শেষ হয়ে সত্য সামনে আসে এবং শক্তিশালী েকান যুক্তি আর অবিশষ্ট থােকনা তখনই ব্যক্তি আক্রমনের মতো নীচুতা শুরু করে হিংসুক লোকেরা .. তাই করছেন আপনারাও!

আপনার বিশাল রামায়নের সত্য নিজেই নিজেকে লূকিয়ে রেখেছেন বা মিথ্যা বলছেন।

দেশের মালিক জনগণ বলছেন। জনগনে নির্বচানের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচন করেন বলছেন।

চলমান সংসদ কি নির্বাচিত? হ্যা বা না ! নো ত্যানা প‌্যাচানি?
১৫৪সিট যে সংসদে অনির্বচািত বা জনগণের প্রতিনিধিত্বহীন সেই সংসদ সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা রাখে কি?
সেই সংশোধন বৈধ কি? জনগণের মতের প্রতিফলন কি?

যেখানে সংসদই অনির্বচিত লোকদের দিয়ে চলছে সেখানে আপনার বাকী রামায়ন অন্তসার শূন্য!
সরকারের খুদকুড়ো খেলে খায়রুল হকের মতো অন্ধ চামচামী অনেক লেখরকারও করছেন, ছড়াকারেরা করছেন বিবেক এবং আত্মার দায়হীন। যুগে যুগে এরকম হয়েছে - কিন্তু মহাকালে তা কিন্তু দালালী, চাটুকারীতা হিসেবেই চিহ্ণিত হয়েছে।

মিনিমাম সুস্থতায় ভাবতে শিখুন। আত্মার কাছে প্রশান্তি পাবেন। আর যদি খোরপোষের দায় হয়, তো চালীয়ে যান! ;)

বিচার বিভাগের রায়ে আপত্তি থাকা মানে এই না বিচারককে ব্যক্তিগত অপমান করা!
বিচার বিভাগকে ধ্ভংসের পথে নেয়া
বিচারকের দরজায় লাথি মারা!( যা আগেও করেছেন আপনাদের দলের লোকেরা এবং হুমকিও দিচ্ছেন)

এগুলো সবি স্বৈরাচারিতার চিহ্ণ।
আপনারা আইনের পথেই হাটতে পারতেন। বিভিউ করান।
যুক্তি তর্ক পেশ করেন।
সংবিধানের প্রতি, বিচার বিভাগের প্রতি নূন্যতম সম্মানটুকু রেখে
আইনের পথেই কথা বলুন! তবেই না বোঝা যেত আপনাদের ষংবিধান প্রীতি, আইনপ্রীতির যথার্থতা।

একন যা করছেন তা তালগাছবাীদের আচরণ। হুমকি, ধামকি, খা্য়ালাম, ছিড়ালাম, চইলা যা,
৬ মাস পরে কি করবি? দেইখা লমু!
এসব ভাসঅ কোন সুস্থ, বিবেকবান, আইনের প্রতি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষৈর মূখ থেকে আসতে পারে না।

অথচ প্রতিদিনই এইরকম নোংরা বিষে জাতিকে জর্জরিত করছেন! ছিঃ


২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চলমান সংসদ কি নির্বাচিত?

১০০% নির্বাচিত। ১০০% বৈধ।

বিপক্ষে কোন কোন প্রার্থি না থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী বলা হয়, এবং তার স্ট্যাটাস অন্যান্ন নির্বাচিতদের মতই 'নির্বাচিত সাংসদ'। এদেশে ও বিশ্বের সকল দেশেই এই আইন।

ভোটার উপস্থিতি কম ছিল সত্য।
আসন ভেদে ভোটার উপস্থিতি ১০% থেকে ৭০% ছিল, পুরনো ঢাকার লালবাগ আসনে স্বতন্ত্র হাজিসেলিম - মোস্তাফাজালাল, ও সোনারগা এলাকায় ৭০% টার্নআউট .. তীব্র প্রতিদ্বদিতা হয়েছিল, সরকারি দলের মন্ত্রীরা পরাজিত হয়েছিল।
আমার ধারনা সারা দেশে গড়পতা ২০% মত মানুষ ভোট দিয়েছে।
৮০% মানুষ নির্বাচনে ভোট দেয় নি। কিন্তু ৮০% মানুষ অনাস্থা জানিয়েছে, বা ৮০% মানুষ বিম্পি-জামাত সমর্থক ভাবলে এটা আহাম্মকের স্বর্গের স্বপ্ন।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারন মুলত প্রতিদ্বন্দ্বীতা বিহীন নির্বাচন।
আওয়ামীলীগ ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেশীর ভাগ আসন পেয়ে অলিখিত ভাবে ভোটের আগেই সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়ে গেছে। কারচুপির অভিযোগ করাও বোকামি, শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই কারচুপির প্রশ্নই আসে না।
বাকি ভোটঅনুষ্ঠান না করা হলেও ১০০% ভাগ বৈধ সরকার গঠন সম্ভব ছিল।
আওয়ামীলীগ অলরেডি জয়ী তাই ভোটার উপস্থিতি সঙ্গত কারনেই কম।

এছাড়াও ভোটার কম আসার কারন বিম্পি-জামাতের গুন্ডাদের প্রকাস্যে ভোটার হত্যার হুমকি, প্রিজাইডিং অফিসার হত্যার হুমকি, দু-শতাধিক ভোটকেন্দ্র জালিয়ে দেয়া হয়েছিল একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে নৃসংস ভাবে হত্যাও করেছিল।
ভোটার সঙ্গত কারনেই কম। এরজন্য ১০০% ভাগ দায়ী ফ্যাসিস্ট খুনি বিম্পি-জামাত।
কিন্তু মুর্খের দল বিম্পি ভেবে বসে আছে ভোট না দিয়ে ৮০% মানুষ অনাস্থা জানিয়েছে।

বিপুল সমর্থক থাকার পরও এ ধরনের অথর্ব, জামাতি লেজুরবৃত্ত্বি করা মুর্খদল থাকলে দেশ, সংসদ এরকমই হবে।

বিম্পি-জামাত কখনোই জনপ্রিয়তায় আওয়ামীলীগের কাছাকাছি ছিলনা। এখনো নেই। ৯০ সালের পর তত্তাবধয়ক দ্বারা প্রতিটি নির্বাচনে আসন কম পেলেও প্রতিটি পর্বে টোটাল ভোট আওয়ামীলীগ বেশি পেয়েছিল।

২০০৮এ একটি পরিশোধিত ভোটার লিষ্ট, ছবিসহ ভোটার তালিকার মাধ্যমে এজাবৎ সবচেয়ে কম সহিংসতায় একটি উৎসবমুখর একটি নির্বাচন হয়েছিল। দেশবাসি মনেহয়ে আর এত ফেয়ার নির্বাচন আর দেখবে বলে মনেহয় না।
সেই নির্বাচনে বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি যুদ্ধাপরাধী, মুজিব হত্যাকারিদের সাথে মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা পক্ষের ভোটের পার্থক্য স্পষ্ট।
সত্যকার জনপ্রিয়তার স্থায়ী স্ট্যান্ডার্ড সেটাই।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: বাংলাদেশে একই বিচার নাকি কয়েকবার হওয়ার রেকর্ড আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.