নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিনন্দন ডলি বেগম

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৪



কানাডার প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিজয়ী হলেন ডলি বেগম।

বৃহস্পতিবার কানাডায় প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে স্কারবোরো-সাউথইস্ট প্রভিন্স আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়ে মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট MPP হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি।

বিদ্ঘুটে হেজাবে .. কালো বস্তায় ভেতর টরন্টো ও কানাডার কট্টর রক্ষনশীল সাউত এশিয়ান ও অন্যান্ন উদার বাংগালী কমুনিটি।
কালো বস্তার নেতাফেতারা অনেকেই ইসলাম পন্থি মৌলবাদি। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বঙ্গগবন্ধু খুনিও আছে... এরা অনেক বড় বড় মসজিদেরও হর্তাকর্তাও ... পাকিস্তানী ভারতীয়রাও অনেক ..



এর ভেতরে উজ্জ্বল একজন ডলি বেগম।

স্কারবোরো-সাউথইস্ট প্রভিন্স। এই অঞ্চলটির রাজনীতিতে অভিবাসিদের প্রভাব তেমন নেই। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কর্তৃত্ব করছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু এবার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি জয় লাভ করেছে। কঠিন পরিবেশের ভেতর নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডলি বেগম। কানাডার দৈনিক টরোন্টো স্টারের খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।

স্কারবোরো-সাউথইস্ট আসনের ৬৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে দেখা গেছে, ডলি বেগম তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। সর্বশেষ খবরে তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৫১ ভোট। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিসি পার্টির প্রার্থী গ্যারি এলিস পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯২ ভোট।

ডলি বেগম স্কারবোরোতে ‘কমিউনিটি ওয়ার্কার’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার এই পরিচিতি নির্বাচনে জয়লাভ করতে ভূমিকা রেখেছে। তিনি স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলন ‘হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেইন’ এর প্রধান সমন্যয়কারি। পাশাপাশি স্কারবোরো হেলথ কোয়ালিশনের কো-চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান।

খুব বাল্যকালেই তিনি বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাড়ি জমান। সেখানে উচ্চশিক্ষা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
পরে যোগ দেন নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিতে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় আসেন।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো খবর

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডলি বাঙালি জাতির মুখ উজ্জল করেছেন, আমাদের ও ইমিগ্রান্টদের গৌরবান্বিত করেছেন।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১১

নাহিদ০৯ বলেছেন: বিদ্ঘুটে হেজাবে .. কালো বস্তায় কথাগুলো একটু বেশি কট্টর মনে হলো। যদিও এগুলা লিখার জন্য বাহবা পাওয়ার মানুষ এর অভাব হবে না মন্তব্যে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি কি এর ভেতর লন্ডন, নিউইয়র্ক, টরন্টো গেছিলেন?
দেখবেন কাল বস্তা আপনার কাছে বিদ্ঘুটে লাগে কি না।

আমার চোখে বিদ্ঘুটে লাগে।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: খুবই ভালো খবর।
ডলি বেগমকে আমার অভিনন্দন।
তিনি তার যোগ্যতা বলেই নির্বাচিত হয়েছেন।
এখানে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশীদের কোন ভূমিকা নাই।
বাংলাদেশ বা বাংলাদেশীদের গর্ব করার কিছু নাই।
তার পূর্বপুরুষ বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডলির জন্ম বাংলাদেশেই।
বাংলাদেশ বা বাংলাদেশীদের গর্ব করার মত অনেক্কিছুই আছে।
দেড়-দুই কোটি এদেশী বাংগালী বাইরে থাকে। বাংগালীরা সুযোগ পেলে বাইরে যাবেই।

বাংলাদেশে ঘণবসতি কতটা প্রকট?
পৃথিবীর সমস্ত লোকজনকে ধরে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দিলেও বাংলাদেশের মত ঘণবসতি হবে না।
এত অল্প জাগায় এত মানুষ কাজ কোথায় পাবে? কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে মানুষ বিদেশ যাচ্ছে।

ধনী মুসলিম দেশগুলো নিম্নমানের কাজ দিলেও, মানুষকে রেসপেক্ট করে না, বেতন আটকে রাখে। নির্জাতিত হলেও মামলা করতে দেয় না। কোন মহিলা সেদেশে কাজে গেলে পাশবিক নির্জাতন করে। দির্ঘদিন থাকতে দেয় না। নাগরিকত্ত তো দুরের কথা।

কিন্তু ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা (আমেরিকা-কানাডা), অষ্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড ও জাপানের মত সভ্য দেশগুলো ফ্রীসেক্সের দেশ হলেও বাংগালী মহিলারা কাজ সেরে রাত ১টায় একা বাসায় ফিরলেও পথে বা কর্মস্থলে কেউ নির্জাতন করে না, কেউ ভয় পায় না।

এসব সভ্য দেশগুলো আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করতে দেয়, স্কলারশিপ দেয়, চাকুরি দেয়, নাগরিকত্ব দেয়।
অবৈধভাবে আসলেও টেম্পরারি পারমিট দেয়, কিছুদিন চাকরি করতে দেয়।
এভাবে প্রায় ১কোটির বেশী বাংলাদেশী সেসব দেশে মোটামুটি স্থায়ী ভাবে নাগরিকত্ব নিয়ে কমবেশী ভালভাবেই আছে। দেশে টাকা পাঠায়।
এখন সেখানে এই সব কর্মজীবীদের দুএকজন প্রতিনিধি সেই দেশের রাজনীতিতে বড় একটি স্থান পেলে কারো গাত্রদাহ হবে কেন? লাভ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদেরই হবে। তারা আরো বেশী অত্নিয়স্বজন বন্ধুবান্ধব তাদের দেশে নিতে পারবে।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গতকাল খবরটি আমি ঢাকার একি পত্রিকায় পড়েছি। অবশ্যই একটি অসাধারণ ব্যাপার। আমি খুশী। তার সাথে দেখা হলে আমি তাকে সালাম জানাতাম। আপনি সম্ভব হলে আমার সালাম তাকে পৌছে দেবেন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:০২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কালই পেলাম খবরটি সত্যি এটা মন ভাল করা খবর।

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ তারেক ভাই

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম খবর মনকে শান্তি দেয়।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
এরকম খবর মনকে শান্তি দেয়।
তবে কিন্তু কিছু দুঃখবাদি (স্যাডিষ্ট) মানুষের মনে শান্তি দেয় না মনে হয়।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: খবর টা ভাল
"তবে বিদ্ঘুটে হিজাব" কথা টা ভাল লাগেনি।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খবর টা ভাল বললেন, এজন্য ধন্যবাদ।

হেজাব বিদ্ঘুটে অবস্যই।

ইসলামে প্রধানত লজ্জাস্থান ঢাকার কথা বলা হলেও এখন কিছু প্রবাসী ললনাদের প্রধান লজ্জাস্থান মনে হচ্ছে মাথা আর চুল।
এই গরমের ভেতর প্রথমে মাথায় ২-৩ পরত কালো কাপড়, প্রাইমার।
(এই প্রাইমার আবার কপালের দিকে দেখা যেতে হবে ডাবল হেজাবী নিশ্চিতের জন্য)
.. এরপর বারোহাত শাড়ীর সমান দামী কাপড় মাথায় পেচানো হচ্ছে, তার উপরে চকমকি পাথর।
এরপর মুখে ঠোটে চোখে মুখে গাড়ো পেইন্ট! 'রিক্সার পেছনে পেইন্ট করতেও মনেহয় এত রঙ খরচ হয় না'।
নিম্নাংগ আবার টাইট, টাইটফিট ট্রাউজার/প্যান্ট।

এইসব স্টাইলিশ পর্দা কি কোরান-হাদিসে আছে?

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: ডলি কে আবারো অভিনন্দন জানাই। কারন সে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি।

ডলির জন্ম বাংলাদেশে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সে এখন কানাডার নাগরিক। সে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে কানাডার নাগরিকদের ভোটে। সে কিন্তু বাংলাদেশীদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়।

সে তার দেশের পার্লামেন্টে তার নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করবে। সে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রতিনিধি নয়।

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে এই কথা বলার পর, গর্ব করার মত কি আছে তাহা বর্ণনা না করে, পরবর্তীতে যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে কানাডা এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির প্রশংসা করেছেন। আমি আপনার এই সমস্ত বক্তব্য সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত।

বাংলাদেশ গর্ব না করে আফসোস করতে পারে। বাংলাদেশ আফসোস করে বলতে পারে, এমন একটা লোককে আমরা আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারলাম না। সে আমাদের দেশ থেকে চলে যে কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে কানাডার জনগণের প্রতিনিধি হয়ে সেদেশের জনগনের সেবা করছে। আফসোস! আফসোস!

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে কানাডার নাগরিকদের ভোটে। সে কিন্তু বাংলাদেশীদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়।

আপনি এতটা নেতিবাচক কেন?
উনি অন্টারিও প্রদেশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটের মাধ্যমেই জয়লাভ করেছেন।
বাংলাদেশ অবস্যই গর্ব করবে। বাংলাদেশী পত্রিকাগুলো তাই ফলাও করে এই সংবাদ ছাপিয়েছে। অনেক পত্রিকা প্রথম পাতায় ছবি সহ এই সংবাদ দিয়েছে।
প্রথম আলো লিখেছে -
"একজন বাঙালির এই বিজয়ে উল্লসিত কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরা। টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ডানফোরথ এলাকায় বেরিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিজয় মিছিল। স্থানীয় বাংলাদেশিরা মনে করছেন, প্রথম কোনো বাংলাদেশি কানাডার পার্লামেন্টে বসবেন। হবেন কানাডার এমপি। খুব সহজেই তাঁর কাছে সুখ-দুঃখের কথা বলা যাবে। ডলি কানাডা সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রবাসীদের হয়ে দাবি-দাওয়া পৌঁছে দেবেন।
ডলি বেগমের নির্বাচনীর প্রচারণার স্লোগান ছিল, ‘আমাকে নির্বাচিত করুন, আমি আপনাদের আশাহত করব না।’ ডলির এই বিজয়ে কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন এখানকার বাংলাদেশিরা।" (প্রথম আলো ০৮ জুন ২০১৮)

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: ভালো খবর

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: মোবাইল থেকে আপলোড করা খুবই অসুবিধা। একই বক্তব্য তিনবার পোস্ট হয়ে গেছে। দয়া করে পরের দুটো মুছে দিন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হ্যা, দিলাম। ধন্যবাদ।

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: অভিনন্দন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যাঁরা বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা সকলে মিলে একটা অ্যালায়েন্সের মত করে যদি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কিছুটা ভব্যতা-সভ্যতা শেখাতেন, কিছুটা জগনণমূখী করতে পারতেন তো আমাদের খুব উপকার হতো।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
ডলির আগে গতবছর বৃটেনের সাধারন নির্বাচনে বাংলাদেশী বাংগালী রুশনারা, টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

হাঙ্গামা বলেছেন: জ্বী ভাই আমরা গর্বিত।
তা ডলি এখন বাংলাদেশ চিনে তো?
মানুষ যখন হীনমন্যতায় ভোগে, যখন কোন ব্যাক্তিগত অর্জন থাকেনা এবং নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে বসে তখন অপরের সাফল্য প্রচার করে আত্বতৃপ্তি লাভ করতে চায়।
যারা ওখানে জন্ম বা বেড়ে ওঠে ওখানের পরিবেশে থেকে সাফল্য পায় তাদের নিয়ে আমাদের গর্বিত হওয়ার কিছু নেই...
যাদের নিয়ে এই লাফ ঝাপ দেয়া হয় তাদের ঐ যায়গার পৌছানোর পেছনে আমার বা আমাদের দেশের যেমন ভুমিকা নাই তেমনি বাংলাদেশের কোন বিষয়ে ও তাদের কোন ভুমিকা নাই। শুধু বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এইটা নিয়াই আমরা কেউ কেউ আত্মশ্লাঘা লাভ করতে চাই। এতে তার বা দেশের কারোই কিছু যায় আসে না। তাহলে কেন এই লম্ফঝম্ফ?

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডলি এখন বাংলাদেশ চিনে তো?

সারদিন কাষ্মির, আফগান আর সিরিয়া নিয়ে পরে থাকলে জানবেন কিভাবে?
বিদেশীদের নিয়ে গর্বিত হওয়ার কিছু নেই...? এত স্যাডিষ্ট মেন্টালিটি?
গলাকাটা আইসিস, আলকায়দার সমর্থনে, এরদোগানের বিজয়ে গর্বিত হওয়ার সময়ে এই কথা খেয়াল থাকেনা?
রসুলুল্লাহ শেষ নবি ঘোষনা করা নাহলে এতদিনে এদেশী কিছু স্যাডিষ্টরা কশাই এরদোগানরে এতদিনে নবী ঘোষনা করে ফেলতো।
সিরিয়ান শিশু নিয়ে ফটোশপের কথা নাহয় বাদই দিলাম।

১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এ বিজয়ে প্রবাসী বাঙালিদের উপর কি প্রভাব পড়তে পারে বলে আপনার মনে হয়?

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

একজন বাঙালি ডলি বেগমের বিজয়ে উল্লসিত কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরা।
টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিজয় মিছিলও হয়েছে।
গতবছর বৃটেনের সাধারন নির্বাচনে বাংলাদেশী বংসদভব রুশনারা, টিউলিপ সিদ্দিক ও রূপা হক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এসব বিজয়ে বৃটেন ও কানাডায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের তরুণদের প্রেরণা জোগাবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: হাস্যকর কিছু মন্তব্য দেখে বিরক্ত ও ক্লান্ত। প্রথমত কাউকে অভিনন্দন জানাতে পয়সা লাগে না তারপরেও কতো কার্পণ্য। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কেউ বিশ্ব রাজনিতিতে জায়গা করে নিয়েছে এতে আমার রান্না ঘরের শ্রী নাও বাড়তে পারে কিন্তু বাংলাদেশি হিসেবে গর্ব করতে পারার অহংকার তো আছে। আমরা যদি ভারতের দিকে তাকাই দেখবেন তাদের উন্নতির পেছনে বিশ্ব রাজনিতিতে তাদের বংশোদ্ভূত লোকদের প্রভাব যথেষ্ট। বিশ্ব রাজনিতিতে ভারতিয়দের অবস্থান অনেক উপরে, সামনে আমেরিকার প্রসিডেন্ট নির্বাচনে কোন ভারতীয় প্রতিদন্দি হলে অবাক হবেন না। আর যদি আমেরিকার প্রসিডেন্ট হয়ে যান ভেবে দেখুন ভারতের অবস্থান কোথায় ঠেকবে। ভারতিয়রা যে খুব বেশি সভ্য বা ভব্য তা কিন্তু না, বিশ্ব বাজারে ভারতীয় পন্য যতো না গুনের জন্য সমাদৃত তার থেকে বেশি এই প্রবাসি ভারতীয় রাজনীতিবিদদের গুণকীর্তন এর ফসল।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।

কিছু স্যাডিষ্ট মানসিকতার মানুষ।
অভিনন্দন জানাতে পয়সা লাগে না তারপরেও কতো কার্পণ্য, সুধু কার্পণ্য না সরাসরি ডিনাই।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

প্রথমকথা বলেছেন: অভিনন্দন।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি যদি জন্ম থেকে বা ছোট বয়স থেকেই কানাডা বা উন্নত দেশে থেকে ঐ পরিবেশে বেড়ে উঠেন এবং সাফল্য পান তাহলে সেটাতে আপনার জন্মভূমির কোন অবদান থাকার কথা নয়। আপনি যেহেতু বাংলা ব্লগিং করেন এবং বাংলাদেশী একটা রাজনৈতিক দল সমর্থন করেন তাহলে বোঝা যায় আপনি পরিণত বয়সে কানাডায় গিয়েছেন। এখন আপনি কোন সাফল্য পেলে আমরা অবশ্যই বাংলাদেশী হিসেবে গর্ব অনুভব করব।
অফ টপিক - ডলি বেগম, আনোয়ার চৌধুরী, রুশনারা আলী, টিউলিপ-এর মত সাফল্য মধ্যপ্রাচ্যেও থাকলে ভাল হত। তাহলে ইন্ডিয়ান, পাকি রা জানত আমাদেরও মেধা আছে। অতিরিক্ত নিম্ণ শ্রেণীর পেশায় জড়িত থাকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীদের শিক্ষা ও আধুনিকতায় পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে মনে করে অনেকে...

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছোট বয়স থেকেই কানাডা বা উন্নত দেশে থেকে ঐ পরিবেশে বেড়ে উঠা এবং সাফল্য পেলে সেটাতে আপনার জন্মভূমির কোন অবদান থাকার কথা নয়।

কথাটা ভুল। অন্তত ডলি বেগম এধরনের মত ধারণ করেন না। উনি এতটা নিমকহারাম না। উনি গতকাল যা বললেন -

ডলি বলেন, নির্বাচনে আমি অভিভূত হয়েছি মতভেদ ভুলে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধতা দেখে।
এ বিজয় আমার নয়; সকল বাঙালি, সকল বাংলাদেশির বিজয়। তিনি সকল অভিবাসী বাঙালি ভোটাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
(ইত্তেফাক ৮জুন-১৮)

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

সুমন কর বলেছেন: অভিনন্দন !! শুভেচ্ছা রইলো.....

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ ভাই।

একজন স্বজাতীয় বাংগালী দেশের বাহিরে সাক্সেসফুল হলে শুভেচ্ছা .. ধন্যবাদ বা দিতে বা অভিনন্দন জানাতে পয়সা লাগে না।
তারপরেও অনেকে অনিচ্ছুক, অনেক বলার পর দিতে কত কতো কার্পণ্য, কয়েকজন তো সরাসরি ডিনাই।

১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: জনাব আপনাকে নিয়ে লেখা একটি সনেট পোষ্ট করলাম। একটু দেখে দিবেন।

১৯| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অভিনন্দন!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৫৩

রাকু হাসান বলেছেন: অভিনন্দন ............

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।

২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

সূচরিতা সেন বলেছেন: অভিনন্দন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেরিতে হলেও অভিনন্দন জানানোর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি প্রশ্ন করেছেন, "আপনি এতটা নেতিবাচক কেন?"
এটা একটা উত্তরসূচক প্রশ্ন। উত্তরসূচক প্রশ্নের সঠিক উত্তর হয় না।
আপনার প্রশ্নটা যদি এমন হত, "আপনি ইতিবাচক না নেতিবাচক?"
সেই ক্ষেত্রে আমার উত্তর আমি ইতিবাচক।
যা সত্য নয় তাকে অস্বীকার করা নেতিবাচকতা না।

আপনি লিখেছেন, "উনি অন্টারিও প্রদেশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটের মাধ্যমেই জয়লাভ করেছেন।"
এখানে আইনগত এবং তথ্যগত ভুল হচ্ছে, "প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটের মাধ্যমেই জয়লাভ করেছেন।"
কোন "প্রবাসী বাংলাদেশির" কানাডার নির্বাচনে ভোট দেয়ার আইনগত অধিকার নেই।
১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সের কানাডার নাগরিকরাই কেবল মাত্র ভোট দিতে পারে।

আপনি আরো লিখেছেন, "বাংলাদেশ অবশ্যই গর্ব করবে।"
বাংলাদেশ কেন গর্ব করবে এটা আমার বোধগম্য নয়। কারণ যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি কানাডার নাগরিক এবং কানাডার নাগরিকদের ভোটই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।

একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মানুষ যখন কানাডার নাগরিক হয় তখন তিনি এই মর্মে শপথ নেন যে:
“I swear (or affirm) that I will be faithful and bear true allegiance to Her Majesty Queen Elizabeth II, Queen of Canada, her heirs and successors, and that I will faithfully observe the laws of Canada and fulfill my duties as a Canadian citizen.”
এখানে কয়েকটা শব্দ বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করুন, "faithful", "true allegiance", "laws of Canada" এবং "duties as a Canadian citizen"
এখন বাস্তবে এই শব্দগুলি প্রয়োগ করে দেখেন:
ধরেন বাংলাদেশের সাথে কানাডার কোনো বিষয়ে বিরোধ হচ্ছে, যুদ্ধের কথা বাদই দিলাম।
তখন ডলি বেগমকে "faithful" থাকতে হবে "Her Majesty Queen Elizabeth II, Queen of Canada, her heirs and successors" দের প্রতি। তাকে বাংলাদেশের প্রতি "faithful" হলে চলবে না। এতে শপথ এবং আইন ভঙ্গ হবে।
তাকে "true allegiance" (আনুগত্য) দেখতে হবে ঐ দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি। বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য দেখাতে পারবে না।
তাকে "laws of Canada" (কানাডার আইন) মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশের আইন না।
তাকে "duties as a Canadian citizen" দায়িত্ব পালন করতে হবে কানাডার নাগরিক হিসাবে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে না।

আপনি লিখেছেন, "বাংলাদেশী পত্রিকাগুলো তাই ফলাও করে এই সংবাদ ছাপিয়েছে। অনেক পত্রিকা প্রথম পাতায় ছবি সহ এই সংবাদ দিয়েছে।
প্রথম আলো লিখেছে -" ইত্যাদি।
কোন পত্রিকা তো বাইবেল না বা পত্রিকার কোথাও কোন বেদ বাক্য না।
পত্রিকাতে হয় আপনার মত কেউ লেখে অথবা আমার মত।

নেটিভ আমেরিকান (রেড ইন্ডিয়ান)রা ছাড়া কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাকি সব মানুষ কোন না কোন দেশ থেকে এসে বসতি স্থাপন করেছে।
যেমন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব পুরুষ ফ্রান্স থেকে এসেছেন। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পূর্ব পুরুষ আয়ারল্যান্ড থেকে এসেছেন। এইজন্য ফ্রান্স বা আয়ারল্যান্ডের মানুষ গর্বে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছে না।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


ডলির জন্ম বাংলাদেশে, উনি এখন কানাডার নাগরিক হলেও বাংলাদেশী নাগরিকত্ত ত্যাগ করেন নি।
আর ডলিবেগম নিজেই বলেছেন কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরাই তাকে ভোট দিয়েছেন, জিতিয়েছেন।

আপনার গাত্রদাহ কোন যাগায় বুঝতে পারলাম না।

আপনার হয়তো জানা নেই কানাডা বাংলাদেশ উভয়দেশের আইনে ডুয়েল সিটিজেন এলাউড।
উনি কানাডার পাসপোর্টে দেশে এলে তার - 'নো ভিসা রিকোয়ার্ড' স্ট্যাটাস।

আর আপনি বলছেন তাকে শুধুমাত্র আনুগত্য দেখতে হবে শুধুমাত্র কানাডার স্বার্বভৌমত্বের প্রতি।
বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ভালবাসা দেখাতে পারবে না।
তা কানাডা সরকার কি বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের টাকা পাঠানো বন্ধ করেছে। নাকি বাংলাদেশে যাওয়া আসা সম্পদের মালিক হওয়া বন্ধ করেছে? নাকি বাংলাদেশের জয়ে বাংলাদেশের পতাকা দেখানো নিষিদ্ধ করেছে?


আপনি বলছেন- সে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে কানাডার নাগরিকদের ভোটে। সে কিন্তু বাংলাদেশীদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়।

অতচ ডলিবেগম নিজেই বলেছেন কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরাই তাকে ভোট দিয়েছেন, জিতিয়েছেন।
প্রথম আলোও লিখেছে -
"একজন বাঙালির এই বিজয়ে উল্লসিত কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরা।
আপনার গাত্রদাহ কোন যাগায় এখনো বুঝতে পারলাম না।

২৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "ডলির জন্ম বাংলাদেশে"
এই কথা শতভাগ সত্য। তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছোটবেলায় তাঁর আব্বা-আম্মার সাথে কানাডাতে চলে যান এবং কানাডার অন্টারিও প্রদেশের স্কারবরোতে বসবাস করতে থাকেন।
তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টো থেকে গ্রাজুয়েট হন এবং ডেভেলপমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং প্ল্যানিং এর উপর ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন।

আপনি বলেছেন, "উনি এখন কানাডার নাগরিক হলেও বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন নি।"
আপনার এই তথ্যের কোন সূত্র আপনি উল্লেখ্য করেন নাই।
তাছাড়া এই তথ্যের কোন আইনগত ভিত্তি নাই। "true allegiance" এর আইনানুগ সংজ্ঞা হচ্ছে "পূর্ণ আনুগত্য" আর "পূর্ণ আনুগত্য" এর ব্যাখ্যা হয়েছে একটা একক আনুগত্য।

আপনি লিখেছেন, "আর ডলি বেগম নিজেই বলেছেন কানাডা প্রবাসী বাঙালিরাই তাকে ভোট দিয়েছেন, জিতিয়েছেন।"
এই কথা প্রাসঙ্গিক ক্রমে সত্য। কিন্তু পূর্ণ সত্য হচ্ছে, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শুধু বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানরাই ভোটার না। বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর ভোটার আছেন। ওই নির্বাচনী এলাকায় আমেরিকা মহাদেশের ৭.২% , ইউরোপের ৪.২%, আফ্রিকার ৯.৮%, এবং এশিয়া মহাদেশের ৭৮.৭ % মানুষ ভোটার। তার মধ্যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ১৫.৩%, এই এলাকাতে ফিলিপিনোদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এশিয়া মহাদেশের বিপুল সংখ্যক ভোটার বিশেষ করে ফিলিপিনোরা তাকে প্রচুর ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানদের সমাবেশে "কানাডা প্রবাসী বাঙালিরাই তাকে ভোট দিয়েছেন, জিতিয়েছেন।" এই কথা বলে থাকতে পারেন। কিন্তু নিশ্চয়ই সবখানে এই কথা বলেন না। বললে ভবিষ্যতে শুধু বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানদের ১৫.৩% ভোট পাবেন। এতে জেতা যাবে না।

আপনি বলেছেন, "আপনার গাত্রদাহ কোন যাগায় (sic) বুঝতে পারলাম না।"
যেহেতু আমার কোন গাত্রদাহ নাই, তাই এর কোন কারণ খুঁজে পাবেন না।
যা নাই তা খুঁজলে কখনো পাবেন না।

আপনি লিখেছেন,"আপনার হয়তো জানা নেই কানাডা বাংলাদেশ উভয় দেশের আইনে ডুয়েল সিটিজেন এলাউড।"
আমি বিনয়ের সাথে আপনাকে জানাচ্ছি যে এই সংক্রান্ত সবগুলি আইন সম্পর্কে আমি অবহিত।
প্রথম আইনটা হচ্ছে ১৯৫১ সালের ২ নম্বর আইন যার শিরোনাম The Citizenship Act, 1951; এই আইনের ১৪ ধারা অনুসারে বিদেশি কোন রাষ্ট্রের "allegiance" বা আনুগত্যের ঘোষণা দিলেই বাংলাদেশী নাগরিকত্ব চলে যাবে।
তারপর ১৯৭২ সালের ১৪৯ নম্বর আইন (The Bangladesh Citizenship (Temporary Provisions) Order, 1972 (President's Order) দ্বারা ১৯৫১ সালের আইনের কিছু পরিবর্তন করা হয়। এই আদেশের ২খ বিধিতে বলা হয় ওই ব্যক্তি যদি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব নেয় সেই ক্ষেত্রে আবেদন করলে বাংলাদেশের যৌথ নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

কানাডার আইনেও যৌথ নাগরিকত্বের বিধান আছে। তবে যৌথ নাগরিকদের কিছু বাধা নিষেধ আছে। এখন ডলি বেগম কানাডার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করে নাগরিকত্ব নেয়ার সাথে সাথে ১৯৫১ সালের সিটিজেনশিপ আইনের ১৪ ধারা মতে তারা বাংলাদেশী নাগরিকত্ব চলে গেছে। এখন অটোমেটিক তার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব হবে না। তাকে ১৯৭২ সালের নাগরিকত্ব আদেশের ২খ বিধান মতে আবেদন করলে বাংলাদেশ তাকে যৌথ নাগরিকত্ব দিতে পারে। তিনি সেই আবেদন করেছেন কি না সেটা আমার যান নাই।

'নো ভিসা রিকোয়ার্ড' যৌথ নাগরিক না হয়েও, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করার কারণেও পাওয়া যায়। অর্থাৎ যৌথ নাগরিকরাও পায় আবার যৌথ নাগরিক না কিন্তু বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে সে ও পায়।

আনুগত্যের শপথ কি ভাবে নিতে হয় তা আমার আগের পোস্টে (২২ নং পোস্টে) কানাডার আইন থেকে হুবহু কপি পেস্ট করে দিয়েছি।
"true allegiance" বলতে আইনগত ভাবে কি বুঝায় তা আমি আগের পোস্টে (২২ নং পোস্টে) উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করেছি।
"ভালবাসা" আর "true allegiance" এক জিনিস না। আপনি নাগরিক না হয়েও কোন দেশকে ভাল বসতে পারেন।
"টাকা পাঠানো" আর "true allegiance" এক জিনিস না। নানান কারণে মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে টাকা পাঠায়।
"পতাকা দেখানো" আর "true allegiance" এক জিনিস না। ইন্ডিয়া যখন বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলো, তখন হাজার হাজার বাংলাদেশী ইন্ডিয়ার পতাকা হাতে ঢাকায় মিছিল করেছে।

সব শেষে আবার বলেছেন, "আপনার গাত্রদাহ কোন যাগায় এখনো বুঝতে পারলাম না।" (একই কথা পুনরুল্লেখ করেছেন)
আমি ইতোমধ্যে এর উত্তর দিয়েছি।
আবারো বলছি, যেহেতু আমার কোন গাত্রদাহ নাই, তাই শুধু এখন না, কখনই বুঝতে পাবেন না।
যা নাই তা বুঝা যায় না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যৌথ নাগরিক না হয়েও, ইভেন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ না করলেও বিভিন্ন কারণেও 'নো ভিসা রিকোয়ার্ড' ও যৌথ নাগরিকত্ত সম স্ট্যাটাস পেয়ে যায়। প্রবাসি বাংলাদেশী নাগরিকরা।
পিতামাতার অধিকার (পুরাতন পাসপোর্ট দেখিয়ে) বলে পায়। ৩য় বাংগালী জেনারেশনও পায়। বাংলাদেশের ও কানাডার উদার মনভাবের কারনে পেয়ে যায়।

আমার মুল বক্তব্যও সেটাই।
একজন বাঙালির এই বিজয়ে উল্লসিত কানাডাপ্রবাসী বাঙালিরা ও বাংলাদেশীরা।
বিপুল ঘণবসতির বাংলাদেশের নাগরিক ডাইভার্শান একটা বাস্তবতা। দেড়কোটি বাংগালী বাংলাদেশের বাহিরে থাকে। এরা কেউই চীনা বা আফ্রিকানদের মত মুল দেশকে ভুলে যায় নি।

রানার ব্লগও কমেন্টে বলেছে
আমরা যদি ভারতের দিকে তাকাই দেখবেন তাদের উন্নতির পেছনে বিশ্ব রাজনিতিতে তাদের বংশোদ্ভূত লোকদের প্রভাব যথেষ্ট। বিশ্ব রাজনিতিতে (ইউরোপ, এএনজেড, প্যাসিফিক ও উঃ আমেরিকা) ভারতিয়দের অবস্থান অনেক উপরে, শুধু রাজনীতি না অর্থনীতিতেও।
বিশ্বে কর্পোরেট সিইও উৎপাদনে ভারত অন্যতম শীর্ষ স্থানে, গুগল, জেনারেল মোটরস, উবার প্রভৃতি আমেরিকার বড় বড় সব কর্পরেট প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পদে ভারতীয়রা। ভারতীয় অর্থনীতিতে রাজনীতিতে তাদের অর্থ অবদান রাখছে। কেউ নেতিবাচক ভাব দেখাচ্ছে না। ভারত ও বাংলাদেশের মার্কিন বা কানাডিয়ান সিটিজেন অনেকেই দীর্ঘদিন মুলদেশে বসবাস করছেন, ব্যাবসা করছেন। আপনার তথাকথিত "true allegiance" কারনে এজাবৎ কোন প্রবাসী সিটিজেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, বা নাগরিকত্ত বাতিল হয়নি। true allegiance শপথবাক্যের অনেকগুলো ফর্মালিটির মধ্যে একটি কাগুজে বাক্য মাত্র। ওসব কাগজেই সীমাবদ্ধ।

অনুরুপ ভাবে বাংলাদেশের প্রবাসিরাও বিভিন্ন ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কমবেশী অবদান রাখছে, চেষ্টা করছে বা ২য় জেনারেশন বাংলাদেশীরা মুল দেশে কিছু অবদান রাখার চেষ্টা করছে। বা করবে।

আপনার কোন 'গাত্রদাহ নাই' শুনে ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।


২৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০১

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


১. নো ভিসা রিকোয়ার্ড No Visa Required (NVR) সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য;

(ক) ৩ ধরণের মানুষ "নো ভিসা রিকোয়ার্ড" অনুমোদন পায় --

i. কোন বাংলাদেশী SAARC ভুক্ত দেশ ছাড়া অন্য কোন বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে;

ii. বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণকারী কোন বাংলাদেশীর সন্তান, সেই সন্তান বিদেশে অথবা বাংলাদেশে যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন;

iii. বাংলাদেশী অথবা বিদেশী নাগরিকত্ব গ্রহণকারী কোন বাংলাদেশীর বিদেশী স্বামী অথবা স্ত্রী।

(খ) "নো ভিসা রিকোয়ার্ড" মাল্টিপল ভিসার মত একটা অনুমোদন পত্র। পাসপোর্টের মেয়াদ পর্যন্ত এই অনুমতির মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

২. "দেড়কোটি বাংগালী বাংলাদেশের বাহিরে থাকে।" এটা কোন নেতিবাচক বিষয় না। অভিবাসন মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। অর্থনীতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক নানা কারণে মানুষ অভিপ্রয়াণ বা দেশান্তর করে। এমন কি কোন কারণ ছাড়াও এক উন্নত দেশ থেকে আরেক উন্নত দেশে মানুষ অভিপ্রয়াণ করে। যেমন উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ফ্রান্সের জনগোষ্ঠীর শতকরা ৫ ভাগ ব্রিটিশ, ৪ ভাগ জার্মানস, ৮ ভাগ পর্তুগিজ, ৫ ভাগ স্প্যানিশ অভিবাসী ইত্যাদি।

৩. মূল দেশকে ভুলে যাবে না আঁকড়ে থাকবে? ভুলে গেলে কতটুকু ভুলে যাবে আর আঁকড়ে থাকলে কতটুকু আঁকড়ে থাকবে? বিষয়টা স্পর্শকাতর। এটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অনুভূতির ব্যাপার। অধিকাংশ বাংলাদেশী প্রবল ভাবে আঁকড়ে থাকে। এটা বাংলাদেশিদের জাতিগত প্রবণতা। ফলে বাংলাদেশিরা যে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বসবাস করছে, সেই দেশের সংস্কৃতি, রাজনীতি বা ক্ষমতা বলয়ের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না। তাই অভিবাসন বিরোধীরা বলছে এদেরকে ইমিগ্রেশন ভিসা দেয়া যাবে না কারণ তারা আমাদের দেশকে ভাল তো বাসেই না বরং ঘৃণা করে। তারা তাদের মূল দেশকেই ভাল বসে।

৪. আপনি একজন ব্লগারের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। আমি আগেই এই মন্তব্য পড়েছি। সূত্র বিহীন এলোমেলো কথামালা। এই কথা সত্য ইন্ডিয়ানরা ইউরোপ আমেরিকাতে অনেক বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের জীবনী পড়লে দেখা যায় তার ওই দেশের মূল স্রোতধারার সাথে মিশে গেছে। কেউ উন্নতি লাভ করলে সেটাকে নেতিবাচক ভাবে দেখার কোন সুযোগ নাই। অথবা নেতিবাচক ভাবে কেন দেখবে?

৫. ইন্ডিয়ান বা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কোন মার্কিন বা কানাডার নাগরিক মূলদেশে বসবাস করে ব্যবসা করলে অসুবিধা কোথায়?

৬. আপনি লিখেছেন, "আপনার তথাকথিত "true allegiance" কারণে এযাবৎ কোন প্রবাসী সিটিজেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, বা নাগরিকত্ব বাতিল হয়নি। true allegiance শপথবাক্যের অনেকগুলো ফর্মালিটির মধ্যে একটি কাগুজে বাক্য মাত্র। ওসব কাগজেই সীমাবদ্ধ।"

"true allegiance" শব্দটা আমার তথাকথিত শব্দ না। এটা কানাডার আইন। আমেরিকার নাগরিকত্বের শপথ তো আরো কঠিন। এখানে প্রাসঙ্গিক না বলে উল্লেখ করলাম না। একটা পবিত্র শপথ বাক্যকে যদি কেউ একটা "ফর্মালিটি" বা "কাগজে সীমাবদ্ধ" বিষয় মনে করে তাহলে নীতি নৈতিকতা বলে আর কিছু থাকবে না। মানুষ আর মানুষকে বিশ্বাস করবে না।

৭. "আপনার কোন 'গাত্রদাহ নাই' শুনে ভাল লাগলো।"

আমার যে কোন গাত্রদাহ নাই এটা আমার লেখা পড়ে আপনি বুঝতে পারেন নাই। আমার কাছ থেকে শুনে আপনার ভাল লাগছে। তাও ভাল।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.