নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার সাথে কার তুলনা?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০১৮ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রিপোর্টটি বা জরিপটি কারা করলো?
সেই ইকোনমিষ্ট যারা গত ৭-৮ বছরজাবত যুদ্ধাপররাধী ও যুদ্ধাপররাধী সমর্থকদের পক্ষে বাংলাদেশ বিরোধী শত শত ফরমায়েসি রিপোর্ট করে গেছে।
ইকোনমিষ্ট নিজেও করেনি, দক্ষিন আফ্রিকার জোহানসবার্গ/কেপটাউন ভিত্তিক থার্ডপার্টি মারফত করে থাকে, দেখলাম। তাদের কেউ বাংলাদেশে এসে জরিপ করে নি। ভিন্নভিন্ন টুরিষ্ট/ট্রভেল এজেন্সি ও আউটসোর্সিং মারফত উপাত্ত সংগ্রহ। মুলত শহর কতটা টুরিজম/বিজনেস বান্ধব, সেটারই একটা দায়সারা তালিকা। এদের চিফ দক্ষিন আফ্রিকার নাগরিক হলেও সম্ভবত পাকি বংশ।


তালিকা প্রস্তুতকারক চিফ এনালিষ্টগন


বাংলাদেশী পত্রিকা বাদে পৃথিবীর কোন পত্রিকায় এই টেবিল রিপোর্টটিকে গুরুত্ব দেয়া তো দুরের কথা, ছাপেই নি।
বাংলাদেশী মিডিয়া ছাপবেই, কারন পাবলিক খাবে।
আনফরচুনেটলি হতভাগ্য জাতির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দেশের অবমাননাকর অসম্মানজনক খবর পেলে উল্লসিত হয়।
শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ফরমায়েসি নেতিবাচক খবর নিয়োমিত দেয়, BBC DW CNN শুধু তারাই এই তালিকা নিয়ে লাফালাফি করছে।

বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব এই রিপোর্টটিকে সাংঘাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এই রিপোর্টটির কিছু গুরুতর ত্রুটি তুলে ধরেন এই নগরবিদ।
তার মতে, এই মূল্যায়নের মুল ভিত্তিটি ত্রুটিপুর্ন। নগরের জনঘনত্ব ও জনমিতিকে বিবেচনায়ই নেয়া হয় নি। এসব না থাকাটা রিপোর্টটিকে সাংঘাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। রিপোর্টটি আরও সর্বাঙ্গীন এবং সার্বিকতা নির্ভর হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মূল্যায়ন নির্ণয়কগুলো সাংঘাতিক ভাবে একপেশে। একটা শহরের মূল প্রাণ হচ্ছে মানুষ, রিপোর্টে মানুষ সংখা বিবেচিত হয় নি। জনমিতি জনঘনত্ব, জনমানুষের পারস্পরিক সহমর্মিতা, পারিবারিক বন্ধন, সাংস্কৃতিক বিন্যাস। এসব বিষয় বিবেচিত হয়নি, রিপোর্টে নেই।

কার সাথে কার তুলনা?
মেলবোর্ন পার স্কোয়ার কিলোতে মানুষ কত ? মাত্র 490
ঢাকা তার চেয়ে শতগুন - 46,997

ধরা যাক সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মানুষ হচ্ছে ১০০ জন, তার বিদ্যমান অবকাঠামোতে যে গুণগত অবস্থা, ঢাকা্র দুর্বল অবকাঠামোতে শতগুন বেশী ১০ হাজার জন মানুষের ক্ষেত্রে সেই গুণগত মান কিভাবে আশা করে?।
বরং পারফরমেন্স বিবেচনায় ঢাকায় সমসংখক ১০০ মানুষ হলে অনেক অনেক ভালো পারফরমেন্স করতে পারতো।
এই ফ্যাক্টরটি এই রিভিউ ও এনালাইসিসে সম্পুর্ন ভাবে অনুপস্থিত।




ইকবাল হাবিব আরও বলেন। বাংলাদেশ তথা ঢাকার মানুষের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অসম্ভব রকম হাই। একটা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার নাগরিকদের দুর্যোগ কালে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা। দুবছর আগের বিরামহীন নৈরাজ্য আগুনসন্ত্রাস, তাবেলা হত্যা, বিদেশী হত্যা, গত বছর যে হিসেবে এই জরিপ হয়েছে সেই বছর পৃথিবীকে নাড়া দেয়া হলি আর্টিসানের পরের বছর যেভাবে ঢাকার ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা সংস্কৃতি, উৎসব, সবাই যেভাবে সবকিছু ঘুরে দাঁড়িয়েছে- তা সত্যি অবিশ্বাস্য কল্পনাতীত। প্রশংসনীয়।
ইকোনমিষ্টের তথাকথিত জরিপে সেই তুলনায় ওইখানেও আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।

ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইইইউ) ‘গ্লোবাল লিভবেলিটি ইনডেক্সে’ ঢাকার পিছিয়ে পড়ার পেছনে দুর্বল অবকাঠামো নীতিমালা ও অনুশাসনের ঘাটতিকে অন্যতম কারণ বলছেন বিশিষ্ট স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, গণপরিবহন ও গণপরিসরের ক্ষেত্রে আমাদের নীতিমালা, অনুশাসন এই দুটোকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় আমরা পিছিয়েছিা।

স্থপতি ইকবাল হাবিব এক সাক্ষাৎকারে ঢাকাকে তুলনা করেছিলেন মায়ের সঙ্গে। সেই মা তিনি নিজে সব সহ্য করে সন্তানদের অন্নের অভাব হতে দেন না।

তিনি বলেছিলেন, অবকাঠামোগত, পর্যটন বা বিনিয়োগ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবছর ঢাকাকে নিকৃষ্ট শহরের উপাধি দেওয়া হয়।
তবে আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, জনসংখ্যার এত বিপুল ঘনত্ব নিয়েও সচল ও সফল শহর হিসেবে টিকে আছে ঢাকা।
স্বল্প আয়তনের রাজধানী সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। সারা দেশের সব নাগরিক কোনো না কোনোভাবে ঢাকানির্ভর। কেউবা স্বপ্নের খোঁজে, কেউ বা জীবিকার প্রয়োজনে, কেউবা উন্নত জীবনের খোঁজে এই শহরে ঠাঁই নেয়।
অকৃপণ ঢাকার তাতে কোনো বিরাম নেই।

গতকাল ইকোনমিষ্টের রিপোর্টের পর বলেন, করাচি, নায়রোবি, কিংসাসা, সানসালভাদর বা পেশোয়ারের চেয়ে ঢাকা কখনই এসব ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কথা নয়। নেই। আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ঢাকা পিছিয়ে নেই দাবি করে তিনি বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে মানুষ প্রায় ৪৭ হাজার। একটা মানুষ গ্রামথেকে খালীগায়ে লুঙ্গি পড়ে ঢাকায় উপস্থিত হলে সরকারি সুবিধা বা ভাতা ছাড়াই তার জীবন জীবিকার যে সুবিধা এবং যোগান সেটা এই ঢাকা শহর সফলভাবে দিতে সক্ষম। দিয়ে যাচ্ছে। অন্য দেশের শহরে সরকারি সাহায্য ছাড়া একজন টিকতে পারা অসম্ভব।
বাংলাদেশে ও ঢাকায় এলাকার লোক গ্রামের লোক, জেলার লোক হিসেবে ভাতৃবন্ধন।
আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা, পারিবারিক বন্ধন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অন্য শহরের চেয়ে পিছিয়ে থাকা নয়, দরিদ্র ঢাকা অন্যান্ন শহরের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে।

তিনি বলেন এত জন ঘনত্বের পরেও এই শহরের আমাদের তুলনামূলক অবস্থা ও এইসকল উপাত্ত সার্বিক বিবেচনা করলে তালিকা ফালিকা সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাবে।

* পত্রিকা ও টিভিতে বিশিষ্ট স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিবের বক্তব্যের আলোকে আমার এই লেখা।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১২

নতুন বলেছেন: হুম... এই রেটিং যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো তবে ঠিক ছিলো।

এখন আয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাই এটা ভুল...

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আওয়ামীলীগ কখনো বিদেশী দালাল নির্ভর ফরমায়েসি রিপোর্ট নির্ভর রাজনিতি করে নি।
গুজবভিত্তিক ফটোসপ নির্ভর মুখোশধারি, ভুয়া ব্যান্ডেজধারি, ব্লাডব্যাগ বহনকারি ভুয়া জার্সি, সেলিব্রিটিদের মিথ্যাচার নির্ভর রাজনীতি করে নি। শাহাবাগ গনজাগরনেও ভুয়া জার্সি, সেলিব্রিটিদের মিথ্যাচার নির্ভর করতে দেখা যায় নি।

ভন্ডামি মিথ্যার উপর ভর করে কখনও কেউ জয়লাভ করেনি, করবেও না।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার সকল নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রোপাগণ্ডাভিত্তিক লেখাগুলোর মতোই এটিও একটি। এক্ষেত্রে ব্লগের কেউ পুলিৎজার পুরষ্কার পেলে আপনার ধারে কাছেও কেউ থাকার কথা না। ;)

তবে আপনার প্রশংসা করতে হয় এই কারণে যে আপনি প্রিয় ঢাকার এই অবমাননা মেনে নিতে পারছেন সে জন্য। কী ভালোবাসা!। আমিড়িকাতে বসে থেকে ঢাকার জন্য আপনার এই হাউমাউ করে ডুঁকরে কেঁদে উঠা দেখে আমারও দুচোখ ছলছল করছে। (আমার এটা ডাহা মিথ্যা কথা বা প্রোপাগণ্ডা :P )

আপনি বলছেন বাংলাদেশী পত্রিকা বাদে পৃথিবীর কোন পত্রিকায় এই টেবিল রিপোর্টটিকে গুরুত্ব দেয়া তো দুরের কথা, ছাপেই নি।। আবার বলছেন শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ফরমায়েসি নেতিবাচক খবর নিয়োমিত দেয়, BBC DW CNN শুধু তারাই এই তালিকা নিয়ে লাফালাফি করছে।। পৃথিবীর সেরা নিউজ সাইট কোনোগুলো তাহলে। হাকা ভাই কি তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন নাকি। আমিতো রয়টার্স, গার্ডিয়ান থেকে শুরু করে বিশ্বের তাবৎ বড় বড় পত্রিকাতে এই রিপোর্ট দেখতে পেলাম। লিংক দিব নাকি।

কার সাথে কার তুলনা?
মেলবোর্ন পার স্কোয়ার কিলোতে মানুষ কত ? মাত্র 490
ঢাকা তার চেয়ে শতগুন - 46,997
-- ফাঁদে পা দিলেন। এটাই তো উনারা বলছে। এত অল্প জায়গায় এত লোক বাস করলে তো লিভাবিলিটি থাকার কথাই নয়। সেটাই রিপোর্টে তুলে ধরেছে। আপনি রিপোর্টের খুঁৎ না ধরে একবারও কি ভেবে দেখেছেন যে ঢাকাতে পার স্কয়ারে এত লোকের বাস কেন? কেন ডিসেন্ট্রালাইজ করা হচ্ছে না সবকিছুকে? কেন শিল্প কারখানাকে চট্টগ্রাম, খুলন, বগুড়া থেকে ঢাকামুখী করা হচ্ছে? কেন সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই ঢাকা থেকে এসব বাইরে নিয়ে যাওয়ার?

আর আপনি যেগুলো বরাবরের মতো উল্টাপাল্ট যুক্তি দেখিয়েছেন সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। কিন্তু গাধা পিটিয়ে কে কবে হালচাষ করতে পেরেছে?
অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। যা খারাপ তা খারাপ বলে সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ পাওয়া যায় তা নিয়ে লিখুন। তাতে দেশ ও দশ সকলেরই উপকার হবে।

শুভকামনা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

প্রিয় ঢাকার এই অবমাননা মেনে নিতে পারবো কিভাবে ?
পৃথিবীর যেকোন সিটির চেয়ে ঢাকা আমার প্রিয়। সেটা স্বভাবিক।

ঢাকা ভাল না খারাপ সেটা ভিন্ন বিষয়।
এটা মনস্তত্তের ব্যাপার। জাতীয়তাবোধের ব্যাপার। দেশপ্রেমের ব্যাপার। কটাক্ষ করার বিষয় নয়।
পৃথিবীর কোন দেশই নিজেদের বদনাম অসম্মান মেনে নেয় না। মেনে নিতে পারে না। ব্যাতিক্রম বাংলাদেশে।

২০১৩ শেষের দিকে নিউইয়র্কের এক ভারতীয় সুন্দরী কনসাল গৃহকর্মি নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার ও লাঞ্ছিত হয়েছিলেন।
কনসাল দেবযানির গৃহকর্মি নির্যাতনের সত্যতা থাকলেও সকল ভারতীয়রা একযোগে দেবযানির পক্ষ নিয়েছিল।
ভারতে এমনিতেই বিভিন্ন ভাষা, জাতি, কলহপুর্ন রাজনীতি। কিন্তু জাতীয়তাবোধের ব্যাপারে সবাই এক।
সকল বিরোধী দল, কট্টর ধর্মিয় গোঠিগুলোও ছাত্রসমাজ তো আছেই। দেবযানির পক্ষে রাজপথে মিছিল আর মিছিল।
দিল্লির আমেরিকান এম্বেসি রাস্তা পাহারারত পুলিশরা পর্যন্ত প্রতিবাদি হয়ে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল।
ভারতের সকল মিডিয়া প্রায় অন্ধ ভাবেই দেবযানির পক্ষে মাসের পর মাস সোচ্চার ছিল।
ফিলিপিনসেও এরুপ একটি ঘটনায় দেশটির সবপক্ষই এরুপ প্রতিবাদি হয়েছিল।
নিউইয়র্কে আদম, চাটগাইয়া, নোয়াখাইল্লারা পর্যন্ত নিজ জেলার বদনাম সহ্য করেনা, জেলা ভাল না মন্দ সেটা ভিন্ন ব্যাপার।

দেবযানি বাংলাদেশী কনসাল হলে কি অবস্থা হত, একবার ভেবে দেখেছেন?
মানুষ মিডিয়া কেমন বিভক্ত হতো, নাকি সম্পুর্ন উল্টোটাই, উল্টো দেবজানিকেই? একবার কল্পনা করে দেখুন?

মুজিব হত্যার পর দুই যুগব্যাপি অপপ্রচার ইতিহাস বিকৃতি ও ধর্মান্ধতা জাতির একটি অংশের ব্রেনওয়াশ হয়ে জাতীয়তাবোধ বিভক্ত হয়ে গেছে।
কিছু বিভক্ত মানুষের দেশপ্রেম এখন আর বাংলাদেশ নয়। মরুভুমির একটি দেশে, এমনকি হানাদার দখলদারদের দেশে।
অনেকের দেশপ্রেম আফগানিস্তানের জঙ্গলেও।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রয়টার্স আবার পত্রিকা হলো কবে?

এই সব বাল-ছাল ডাটা নিয়ে কে পরে থাকে!
উচু তালিকার অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা, জাপানের বা ডেনমার্কের কোন জাতীয় পৃন্টেড পত্রিকায় প্রথম পাতায় মাতামাতি দেখেছেন?
তন তন্ন করে খুজলে অর্থনিতিক পত্রিকার ভেতরের পাতায় ছোট হিসেবে থাকবে হয়তো।

আর নীচু তালিকায় বাংলাদেশ বাদে আর কোন দেশে জাতীয় পত্রিকায় প্রথম পাতায় দেখেছেন?
ভেতরের পাতায়ও পাবেন না।
সিরিয়া, আলজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, নাইজেরিয়া? মাতামাতি ওরা করবে না, নিশ্চিত থাকেন।
ওরা বর্বর, নিজেদের ভেতর গৃহযুদ্ধ থাকলেও নিজ রক্তের সাথে বেইমানি করে না। করবে না।
বর্বর হলেও ওদের দেশে বাংলাদেশের মত এত বেশী সংখক শিক্ষিত মীরজাফর নেই।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ব্লগার আখেনাটেন এর মন্তব্যে আমার অনেক কথাই উঠে এসেছ। তাই আর কিছু বললাম না। তাছাড়া হাকা ভাইকে এসব বলেও তেমন লাভ নেই।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আখেনাটেন ফাকেরটনের উপর ভরসা না করে নিজস্য ব্রেনে একটু ভাবুন।

ঢাকা প্যারিস বা জুরিখের মত টুরিষ্টবান্ধব বা ব্যাবসাবান্ধব নয়, কাছের ব্যাঙ্কক বা দিল্লির কাছাকাছিও নয়।
এটা দিবালকের মত সত্য।

আচ্ছা ঢাকা কি যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাবুল, করাচি বা মোগাদিসুর মত বসবাস অযোগ্য?
ঢাকার জমির দাম কত? ক্ষেত্রবিশেষে ঢাকার জমির দাম নিউইয়র্কের চেয়েও বেশী। কি মধু আছে ঢাকায়?

প্রবাসি অনেক বাংলাদেশী দেখেছি ছেলেপুলেদের সক্ষম করে বুড়োবুড়ী দেশে ফিরে গেছেন।
লোভনীয় সোসাল সিকুরিটি ভাতা, বয়স্ক ভাতা, ডিসেবিলিটি ভাতা ফেলে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে/ভাড়া করে থাকেন, ফুটপাতে হাটেন, টং দোকানে চা খান।
কিসের টানে?

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

সাগর শরীফ বলেছেন: আমাদের জন্মহার আর জনসংখ্যার ঘনত্ব অন্য সব উন্নতদেশগুলোর থেকে বেশী, এইটাই কি দোষ করে ফেললাম আমরা!
আর আমাদের ঢাকা বসবাসের উপযুক্ত না, রিপোর্টটি যারা করেছেন তাদেরকে কাবুল, করাচী, গাজা অথবা নাইরোবি, মোগাদিসুর রাজপথে দুইদিন ছেড়ে দিতে হয়!
কয়েকশ মানুষের ভ্রমণের স্থান নয়, কয়েক কোটি মানুষের রুটি রুজির শহর ঢাকা! এসব বিষয় তাদের রিপোর্টে কেন আসেনা ভাই?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই মরার দেশ আমার না আই হেইট পলিটিক্স বাট .. লাভ ফ্যাসিস্ট (সাইলেন্টলি)
কিছু নতুন প্রজন্ম - কি আবস্থা।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট টি আমার পছন্দ হইছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকা আপনার পছন্দ জানি, নইলে মাছ বাজারে হাইট্টা এরপর রাইতে পোষ্ট দিতেন না।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নতুন বলেছেন: হুম... এই রেটিং যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো তবে ঠিক ছিলো।

এখন আয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাই এটা ভুল।




আমি আর বলার কিছু খুঁজে পেলুম না।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: হাকা ভাই,
ঢাকার আপনার যেমন প্রিয় শহর তেমনি আমার কাছেও ভালো লাগার শহর। যেখানে থাকি সেখানের উপর একটা মায়া তো থাকেই। বিদেশী বন্ধুরা কেউ কেউ যখন বলে-

তোমাদের দেশে এত মানুষ কেন ?
রাস্তায় এত ময়লা আবর্জনা হাটাচলা করো কিভাবে ?
তোমাদের দেশ এত নোংড়া কেন ?

তখন খুব খারাপ লাগে। আমাদের শহর নিশ্চয়ই সিডনি নয়। আমাদের হিউজ পপুলেশন, এই দেশে এত জনসংখ্যা যে আসলে কিভাবে চলে আসলো আর ওদের দেশে অত কম লোক কেন সেকথা বাদ দেই- যদি কোন শহরে এত লোক থাকে সেই শহর অবশ্যই বসবাস করার উপযুক্ত নয় ! অথচ দিনকে দিন ঢাকার লোক বাড়ছে- কমছে না। এখন যদি ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি স্কোয়ার কিলোতে ৪৭ হাজার হয় আগামী দশ বছরে এর দ্বিগুন হবে।
এত লোক থাকলে এমনেই সেই শহর চাপ নিতে পারবে না।

কি নেই ঢাকাতে ? সাউন্ড পলিউশন, ওয়াটার পলিউশন, এয়ার পলিউশন ! জ্যাম ! জলাবদ্ধতা- ময়লা আবর্জনা --
দোষ তো আমাদের ! কেন আমরা ঢাকায় থাকি ! এত লোক মরতে কেন ঢাকায় থাকে ?
নগর পরিকল্পনাবীদেরা দশ বছর ধরে বলেই যাচ্ছেন ঢাকাকে ডিসেন্ট্রালাজড করতে হবে; করছে না কেন ?
একটা স্টেপও কেন নিচ্ছে না ?

ঢাকা বসবাসের অযোগ্য কততম সেটা বড় কথা না- এই শহরের জনগণের জীবনযাত্রার মান নিচে নামতে নামতে এত নেমে গেছে যে কেউ আর এখন এটাকে কিছু মনে করছে না, অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকায় সাউন্ড পলিউশন, ওয়াটার পলিউশন, এয়ার পলিউশন ! অসহনিয় জ্যাম ! .. .. হতে পারে,
কিন্তু তাইবলে ঢাকা কি যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাবুল, দামেষ্ক বা মোগাদিসুর মত বসবাস অযোগ্য?

আচ্ছা। না হয় মানলাম ঢাকা কাবুলের চেয়েও জঘন্য,
তাই বলে পত্রিকায় প্রথম পাতায় ছাপিয়ে দল বেধে উল্লাস করা, এসব কিসের লক্ষন?
পৃথিবীর দেড়শো তালিকার বাংলাদেশ বাদে আর কোন দেশের লোকাল পত্রিকায় দেখেছেন এসব বালছাল তালিকা নিয়ে লাফালাফি?
আবার কিছু মানুষ হাস্যকর ভাবে আওয়ামীলীগ-বিএনপি টেনে আনছে। ছাগলের রক্ত!

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও মাঝে মাঝে ভাবি এত সমস্যার পরও তো আমরা মল ত্যাগ করলে সেটা রাস্তায় ভেসে ওঠেনা। এত কিছুর পরও তো ময়লাগুলো প্রতিদিন দূরে চলে যায়। এত সমস্যার পরও ২ কোটি মানুষের জন্য কারেন্ট, পানি সব ঠিক থাকে। ঝামেলাকে সমস্যা মনে করতনা জনগণ যদি সুশাসন থাকতো, দুর্নীতি কম হত...

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ও.. তা হলে এটা একটা রাজনৈতিক ব্যাপার ..

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকার কোন শহর কি টপ টেনে আছে??? নাই......,,,,,কেন??? আমেরিকার শহর কি মেলবর্ন এর চেয়ে বেশী বাসযোগ্য নয়???


যারা এই লিস্ট বানিয়েছে তারা বোধ হয় মনে করে বোমার মাঝে ই বসবাস করা ভাল...। যে শহরে দিনে তিনটা বোমা ফুটে...প্রতি শুক্রবারে বোমা ফুটা শহর ও ঢাকার চেয়ে বেশী বাস যোগ্য মনে করে...কাবুল, করাচী, লিবিয়া, ইয়েমেন, বাগদাদ, মালি, সুদান (যেখানে বাংলাদেশীদের শান্তি রক্ষা করতে হয়) বেশী বাসযোগ্য ঢাকার চেয়ে???

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিপোর্টি করেছে মুলত লন্ডন ভিত্তিক কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, নিজেরাও করেনি, দক্ষিন আফ্রিকার আরেকটি ফার্মকে দিয়ে।
বাংলাদেশ বাদে বিশ্বের কোন দেশই এই গুরুত্বহীন বিষয়টিকে নিয়ে হা হুতাস বা উল্লাস করেনি।

তালিকার প্রথম দশে স্থান না পাওয়াতে আমেরিকার কোথাও আক্ষেপ দেখলাম না, ফালতু একটি তালিকাকে কোন পত্রিকায় গুরুত্ব দেয় নি, ছাপে নি। অতচ
ওয়াশিংটন, সানফ্রানসিস্কো টেক্সাসের ছোটশহর অষ্টিন সব ক্যাটাগরিতে তালিকার প্রথম দিকে থাকার যোগ্য।

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: কলাবাগান এবং কালবৈশাখি যে একই ব্যক্তির মাল্টি নিক আজকে কনফার্ম হইলাম =p~ । এনিওয়ে আপনার ব্লগিং খুব উপভোগ্য । বাঙ্গালীর জীবনে বিনোদনের বড় অভাব।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার প্রতিউত্তরের শ্রী দেখে ছোটকালে আমার এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। উনি বলতেন শিক্ষিত দুই প্রকার: সুশিক্ষিত ও কুশিক্ষিত। এর প্রমাণ এখন মাঝে মাঝেই পাই চারপাশের পরিবেশ থেকে। যাহোক মূল কথায় আসি।

আমি বিতর্ক পছন্দ করলেও কুতর্ক পছন্দ করি না। আপনার প্রতিউত্তরে মনে হচ্ছে আপনার দ্বিতীয়টা খুব আপনজন। বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ আর ইউএস'র দেবযানী নাটকের তুলনা। হা হা হা। এই দেবযানী নিয়েও যা লিখেছেন সেখানেও ডাহা কিছু মিথ্যাকথা। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই যে সেসময় আমিও ভারতেই অবস্থান করছিলাম। উনাকে হেনস্তা করা বেশিরভাগ ভারতীয় ন্যাশানালিস্টরা মেনে নেয় নি। কিন্তু উনার অপরাধের জন্য সব পত্রিকায় উনাকে সমালোচনায় ধুয়ে (একটি নমুনা, মন্তব্যগুলো পড়ুন; অারো দেওয়া যায়) দিয়েছে।
এই সব অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটি এই পোস্টের বিষয়বস্তুও নয়।

এবার ঢাকার বাসযোগ্যতা আর ইআইইউ এর রিপোর্ট নিয়ে আসি। অাপনি তুলনা দিয়েছেন ঢাকা কেন তালিকার শেষ থেকে দ্বিতীয়? কেন করাচী, নাইরোবি নয়?

আমি শতভাগ নিশ্চিত আপনি রিপোর্টি না পড়েই আরেকজনের কথার উপর ভিত্তি করে এই ফালতু আপনার ট্রেডমার্ক প্রোপাগণ্ডাভিত্তিক
চাটুকারীতামূলক পোস্টটি দিয়েছেন। এই পোস্ট কোনো অ্যাঙ্গেলেই দেশপ্রেমের কারণে দেন নি।

প্রথমেই আসি এই ইনডেক্স কীভাবে তৈরি হয়। এটি পাঁচটি মাপকাঠির উপর বেসিস করে তৈরি: নিচে তিনটি শহরের (ঢাকা, লাগোস, করাচী) কোন মাপকাঠিতে কত নম্বর পেয়েছে তা দেওয়া হল: (এই শহর তিনটি র‌্যাঙ্কিং এ নিচ থেকে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ...ওভারঅল স্কোর: ঢাকা: ৩৮/১০০; লাগোস: ৩৮.৫/১০০; করাচী: ৪০.৯/১০০;)

১। স্ট্যাবিলিটি [ ঢাকা: ৫০ লাগোস: ২০ করাচী: ২০ ]
২। হেলথকেয়ার [ ঢাকা: ২৯.২ লাগোস: ৩৭.৫ করাচী: ৪৫.৮ ]
৩। কালচার অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট [ ঢাকা: ৪০.৫ লাগোস: ৫৩.৫ করাচী: ৩৮.৭ ]
৪। এজুকেশন [ ঢাকা: ৪১.৭ লাগোস: ৩৩.৩ করাচী: ৬৬.৭ ]
৫। ইনফ্রাস্ট্রাকচার [ ঢাকা: ২৬.৮ লাগোস: ৪৬.৪ করাচী: ৫১.৮ ]

এখন উপরের ঐ ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করলে কি দেখা যায়? ঢাকা স্ট্যাবিলিটিতে অন্য দুটি শহর থেকে যোজন যোজন এগিয়ে কারণ ঢাকাতে টেররিস্টদের আনাগোনা এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোতে অনেক পিছিয়ে। আবার শিক্ষাতে ঢাকা লাগোস থেকে কিছু এগিয়ে থাকলেও করাচী থেকে অনেক পিছিয়ে।

সবগুলো ক্রাইটেরিয়া পাইল আপ করে ঐ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যা বিশ্বের তাবৎ বড় বড় গণমাধ্যম বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন, সিনহুয়া থেকে শুরু করে বেশিরভাগ দেশের প্রথম সারির পত্রিকাই এ নিয়ে ছোট-বড় রিপোর্ট এসেছে।

এই অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাতেই ঢাকার অবনমন। এটা আপনার অামিড়িকা বসে থেকে টিনের চশমা পরে দেখতে পাওয়ার কথা না। এটা পায় যারা ঢাকা শহরে বাস করে। যারা দিনে দুইবার ঢাকার রাস্তায় চলাফেরা করে। যারা অসুস্থ হলে ঢাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগী নিয়ে যায়। যারা শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠান খুঁজতে হয়রান হয়ে যায়। তারপরও চিন্তা কোয়ালিটি এজুকেশন পাবে তো। এটা ঢাকার ৯০ ভাগ মানুষের কাহানি।

ভারতে গতবছর প্রায় সোয়া দুলক্ষ রোগী গেছে চিকিৎসার জন্য। কোয়ালিটি এজুকেশনের জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে (আপনি নিজেও পাড়ি দিয়েছেন)। অবকাঠামো সহ ঐসব মাপকাঠির তথৈচব অবস্থার কারণে উচ্চবিত্তরা কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়াতে বেগম পাড়া বানাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে। আপনি নিজেও হয়ত তাদেরই একজন। এরাই আবার নিজেদের স্বঘোষিত দেশপ্রেমিকের ঝাণ্ডা উড়ায় কীবোর্ডে ঝড় তুলে।


যখন কিছু লিখবেন বা বলবেন তা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই লেখার চেষ্টা করবেন। আর অাম্রিকায় বসে নিজেকে মনে মনে মহা দেশপ্রেমিক ভেবে প্রাসঙ্গিকতা বিহীন প্রতিউত্তর অন্তত আমার মন্তব্যে করবেন না। আমি ব্লগের অন্য অনেক গাড়ল ব্লগারের মতো নই যে আপনার এই সব গার্বেজকে মূর্খের মতো হজম করে নিব। :D

আমরা এত কিছুর পরেও এই প্রিয় শহরেই বাস করছি। নিজে খাচ্ছি। অারো দশজনের খাওয়ার সংস্থান করছি।

মিঃ হাকা আমিড়িকা বসে থেকে আপনি ঢাকার বাসযোগ্য হওয়ার জন্য কি করছেন? X(

আপনার গার্বেজ লেখা ও প্রতিমন্তব্যের অারো অনেক কিছুই তথ্যগত ও মিথ্যা প্রচারণা তুলে ধরা যায়। এত সময় হাতে নেই।

এরপরও বলব বিদেশে আছেন ওখানেই ভালো থাকুন। ঢাকা নিয়ে আপনাদের মতো স্বঘোষিত পলাতক দেশপ্রেমিকের না ভাবলেও চলবে।

শুভকামনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কুতর্ক পছন্দ করি না বলে দুটি কমেন্টে কতগুলো কু কথা বলেছেন, হিসেব করেছেন।

কুশিক্ষিত, গার্বেজ, ডাহা মিথ্যাবাদি, পলাতক, গাধা, এমনকি হাজার কোটি টাকা পাচারকারি পর্যন্ত বলেছেন।
ব্লগের মত উম্মুক্ত ফোরামে অকথ্য গালাগাল করার অধিকার কে দিল আপনাকে?
আমি কি কোথাও কাউকে ব্যক্তি আক্রমন করেছি, নোংড়া অকথ্য ভাষা ব্যাবহার করেছি?

আমার এই পোষ্টটি ছিল - সেই ইকোনমিষ্ট রিপোর্টের বিরুদ্ধে যারা গত ৭-৮ বছরজাবত ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ বিরোধী শত শত ফরমায়েসি রিপোর্ট করে গেছে।
ঢাকার মেয়র ও নগর সংস্লিষ্ট এক্সপার্টগন এই তালিকা ত্রুটিপুর্ন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ড. ইকবাল হাবিব এই রিপোর্ট/তালিকাতে জনঘনত্ব ও জনমিতিকে বিবেচনায় না নেয়াতে সাংঘাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর তালিকায় নাগরিকদের ডিজাষ্টার সার্ভাইভাল সক্ষমতাও বিবেচিত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মূল্যায়ন নির্ণয়কগুলো দৃষ্টিকটুভাবে ভাবে একপেশে, প্রত্যাখ্যানযোগ্য।

আফ্রিকার সংঘাতপুর্ন দেশগুলোতে যেখানে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও স্বাস্থসেবা দিতে শান্তিরক্ষী পাঠায় আশ্চর্যজনক ভাবে সেসব 'বোকোহারাম-জাদা নগর' কেও ঢাকার চেয়ে বেশী স্থিতিশিল, ঢাকার চেয়েও ভাল স্বাস্থসেবা দেখিয়ে ঢাকাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দেয়া হয়েছে।

আমার মুল বক্তব্য এসব ছিল না।
এই ফালতু নেগেটিভ জিনিষ নিয়ে এত লাফালাফি কেন?
এই সব আজেবাজে ডাটা নিয়ে কে পরে থাকে!
এই ডাটা করা হয়েছে সিলেক্টেড কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপদের জন্য, যা তাদের বার্ষিক মার্কেটিং পলিসি তৈরিতে সহায়তা করবে।
ইকোনমিষ্ট একটি অর্থনিতিক পত্রিকা, এ খবরকে গুরুত্ব দিয়েছে অন্যন্ন অর্থনিতিক পত্রিকা। কোন জাতিয় পত্রিকায় ছাপাহলেও তা থাকবে ভেতরের অর্থনিতি পাতায়, ছোটভাবে। এই ব্যবসায়ী গ্রুপদের জন্য করা মার্কেটিং পলিসিতে বাংলাদেশ থাকার কথা না। ইকোনমিষ্ট পত্রিকার সেই বাংলাদেশ বিরোধী চক্র কৌশলে তালিকায় বাংলাদেশ ডাটা টেম্পারিং করেছে।

সিএনএন ও বিবিসি গ্লোবাল নিউজ চ্যানেল। সেখানে সব খবরই থাকে।
গার্ডিয়ানও গ্লোবাল, পৃথিবীর প্রতিটি দেশ নিয়ে আলাদা ডেস্ক, আলাদা এডিটর বিশাল ব্যাপার।
রয়টার্স, এএফপি, সিনহুয়া কোন পত্রিকা নয়। এগুলো ইন্টারন্যাশানাল নিউজ এজেন্সি, এখানে ছোটবড় দুনিয়ার সকল খবরই থাকবে। খবর বিক্রি করে।

আমার মুল প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ বাদে এই তালিকার আর কোন দেশে পত্রিকার (পৃন্টেড) প্রথম পাতায় এই তালিকা দেখেছেন?
(cnn bbc Reuters কথা বলছি না)
আই মিন তালিকায় বঞ্চিত নগরের স্থানীয় প্রধান প্রধান পৃন্টেড পত্রিকায়? বা প্রধান লোকাল টিভি নিউজ চ্যানেলে?
ঐসব দেশের পত্রিকার ভেতরের পাতায় খুজলেও পাওয়া যাবে না, কনফার্ম। আর ঘন্টার পর ঘন্টা টকশো? প্রশ্নই আসে না।

আর প্রথম দশে স্থান না পাওয়া বঞ্চিত আমেরিকানরাও এই গুরুত্বহীন বিষয়টিকে নিয়ে হা হুতাস বা উল্লাস করেনি।
তালিকার প্রথম দশে স্থান না পাওয়াতে আমেরিকার কোথাও আক্ষেপ দেখলাম না,
ফালতু একটি তালিকাকে কোন পত্রিকায় গুরুত্ব দেয় নি, ছাপে নি। অতচ যে কোন বিবেচনায় ক্যাপিটেল সিটি ওয়াশিংটন, সানফ্রানসিস্কো ও টেক্সাসের ছোটশহর অষ্টিন সব ক্যাটাগরিতে তালিকার প্রথম দিকে থাকার যোগ্য।

সিরিয়া, আলজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, নাইজেরিয়া? খুসিতে বা দু:ক্ষে মাতামাতি ওরা করবে না।
বাংলাদেশের মত একদল বেইমান মিরজাফর সেখানে নেই। নিশ্চিত থাকেন।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

সাগর শরীফ বলেছেন: কিছু নতুন প্রজন্ম - কি আবস্থা।
নতুন প্রজন্ম এখন কোটাবিরোধী আর নিরাপদ সড়কের দাবীতে অান্দোলনে ক্ষ্যান্ত দিয়েছে। দেশে এখন ফ্যাসিসম চলছে কিনা! ডেমোক্রেসি তো এখন এখানে নামেমাত্র।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোটা ব্যাবস্থা যেটা আছে সেটা থাকা না থাকা সমান।
এখনকার কোটা বলতে যা আছে 'অন্যান্ন মেধাবীদের সাথে সমান জিপিএ নিয়ে একই প্রশ্নপত্রে সমানপাল্লা দিয়ে আসতে হয়।
যা কোটা না থাকলেও ওরা ইজিলি পারতো।
এই বালের কোটা থাকলেই কি আর না থাকলেই কি।

কোটা সংস্কার হলে আমার দাবি থাকবে ৫% বা ১০% যাই দেক সেটা যাতে সংরক্ষিত থাকে।
অর্থাৎ কোটা পুরন না হওয়া পর্যন্ত বার বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
তাদের জন্য আলাদা সহজ পরিক্ষা, পৃথক প্রশ্নপত্র। কম জিপিএ, স্বতন্ত্র সিথিল মুল্যায়ন পদ্ধতি চাই।
শুধু সরকারি সেক্টর নয়, বেসরকারি সেক্টরেও অল্পকিছু কোটা সংরক্ষিত থাকা উচিত।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রিপোর্ট অতিরঞ্জিতই মনে হইয়াছে ! তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা হইতে উহা উড়াইয়া দেওয়া যাইতেছে না ! ঢাকার ডেন্সিটি, জলাবদ্ধতা, জ্যাম, অব্যাবস্থাপনার যন্ত্রনা মেরিকায় বসিয়া উপলব্ধি করা যাইবে না ! তবে দ্বিতীয় অবশ্যই নহে !!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দ্বিতীয় অবশ্যই নহে।
একদম সঠিক কথা।

আফ্রিকার সংঘাতপুর্ন অসভ্য দেশগুলোতে যেখানে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও স্বাস্থসেবা দিতে শান্তিরক্ষী পাঠায় আশ্চর্যজনক ভাবে সেসব বোকোহারামজাদেরও ঢাকার চেয়ে বেশী স্থিতিশিল, ঢাকার চেয়েও ভাল স্বাস্থসেবা দেখিয়ে ঢাকাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দিয়েছে।
ইকোনমিষ্ট পত্রিকার সেই বাংলাদেশ বিরোধী চক্র কৌশলে তালিকায় বাংলাদেশ ডাটা টেম্পারিং করেছে।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: অনুসরণ করা হইল.......

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজন জ্ঞানী মানুষ অনুসরণ করছে! ... ধন্য .. ধন্য ...

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার বান্ধব ঢাবিয়ান এর যুগান্তরী আবিস্কার...আপনি আর আমার নিক নাকি একই ব্যক্তি...এই লোক কোটা, নিরাপদ রাস্তা আন্দোলনের সময় ঘন্টায় ঘন্টায় পোস্ট মিছিলে ট্রাক তুলে দিয়েছে, চোখ তুলে নিয়েছে, রগ কেটে দিয়েছে, হাসিনার উপর গা্ড়ী তুলে দেওয়ার আহবান, সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহবান, শেষমেষ মিলিটারীকে উসকে দিয়ে পোস্ট করে দেখে যে কোন ফায়দা (রাজাকারের গাড়ীতে আবার পতাকা) হয় নাই...তাই এখন আসছে নতুন থিয়োরী নিয়ে...

১২ বছর ধরে এই ব্লগে একই নিকে...। কলাবাগান একবার ব্লক হওয়াতে কলাবাগান১ নামে ব্লগ খুলি...কলাবাগান ব্লগের পাসওয়ার্ড ও মনে নাই....

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাবিয়ানের কথা বলছেন?
তার মন্তব্যে জবাব দেয়ার প্রয়জন বোধ করিনি।

উনি রাজাকার বান্ধব সমস্যা না , ব্লগে তো অজস্র রাজাকার সাবক। কিন্তু উনি এককাঠি উপরে।
উনি খাটি পাকি সমর্থক রাজাকার।

তার রিসেন্ট পোষ্টে (পাকি বন্দনামুলক) বলে "দলকানারা আসবেন না"
করছিস পাকি বন্দনা এর ভেতর আবার দল-ফল কি?

কমেন্টে এক কানাডা প্রবাসি লিখেছে "৪৭ বচ্ছর ধরে বেড়ে ওঠা উলুবনে মুক্তা ছড়ালেন কেন ???"

কি ভয়ঙ্কর কথা!
নিজ দেশ বাংলাদেশকে উলুবন আর পাকির বাচ্চা ইমরান মুক্তা?

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: কুশিক্ষিত--- শিক্ষিত তবে শিক্ষার সকল প্রকার গুণ বিবর্জিত। :(
গার্বেজ –-- আবর্জনা মানে যা ডাস্টবিনে নিক্ষেপযোগ্য। যার কোনো মূল্য নেই। অবশ্য এখন গার্বেজ থেকেও বিদ্যুৎ, সার উৎপাদন হচ্ছে। ;)
ডাহা মিথ্যাকথা –- জেনে শুনেও যেখানে মিথ্যা তথ্যের সমাহার করা হয়। আর এটা যিনি করেন তিনি...
পলাতক দেশপ্রেমিক –- যিনি বিরাট (ব্লগার রাজিব নুরের ভাষায় ‘এক আকাশ দেশপ্রেম’) দেশপ্রেম বুকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে সুখে (নাকি অসুখে) দিনযাপন করেন আর দেশের জন্য মায়াকান্নাতে বুক ভাসিয়ে ফেলেন। (মুখে ফেনা তুলে প্রকৃত প্রবাসীরা এটা বলেন না; উনারা নানারকম কাজেই তার সাক্ষর রাখেন)
গাধা-- শত পিটিয়েও যাদেরকে দিয়ে কখনও হালচাষ করানো সম্ভব হয় নি। X(

আপনি উপরের শব্দগুলোকে বলছেন অকথ্য ভাষায় গালাগাল (স্ল্যাং)। :) এটাও কি একটা ডাহা মিথ্যাকথা বা প্রোপাগণ্ডা নয় (এ জিনিস ভাইজান আপনার জিনে বিল্ড ইন হয়ে গেছে; এ থেকে আপনার সহসা মুক্তি নেই মনে কয় :P )। এই ব্লগের কয়জন বিশ্বাস করবে ওগুলো অকথ্য ভাষায় গালাগাল।

তাহলে চারিত্রিক বদগুণ কোনগুলো। কোনটা নোংরা স্ল্যাং আর কোনটা চরিত্রের খারাপ দিক এ নিয়ে ব্লগে ওয়ার্কশপের আয়োজন করতে হবে দেখছি।

আর এইগুলো কোন ভদ্ররনোক লোক লিখেছেন----বাল-ছাল; ফাকেরটন; অন্য আরো মন্তব্যে ও লেখায় নিশ্চিতভাবেই এরচেয়েও ভয়ঙ্কর নোংরা আবর্জনা পাওয়া যাবে।

আর আপনার এই গার্বেজ লেখা নিয়ে কোনো প্রকার আলোচনার কিছু নেই। আমার দ্বিতীয় মন্তব্যেই সব বলা আছে।

এমনিতেই চারিদিকে মানুষ নানারকম মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে। কেউ যদি এসব করেই সুখ খুঁজে পায়, তাহলে আমি বলার কে? জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। আমিন।

নিরন্তর শুভকামনা মহান দেশপ্রেমিকের পদতলে। !পিরিয়ড!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনাকে কিছু বলে লাভ হবে না।
আপনি বদ্ধ উম্মাদ হয়ে গেছেন!
আপনার মানসিক চিকিৎসা দরকার!

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




পোস্ট করেছি: ৩৩০টি
মন্তব্য করেছি: ৮৯৫৩টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৬০০৪টি
ব্লগ লিখেছি: ৭ বছর ১১ মাস



আপনার ব্লগ পরিসংখ্যান ভালো লেগেছে!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
একজন নামী কবি আমার মত একজন সাধারন ব্লগারের প্রতি এখনো মনোযোগ ধরে দেখেছেন।
খুব ভাল লাগছে।
ঈদ মোবারক! ভাল থাকবেন।

১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

নিজ দেশের অবমাননা দেখে যারা হাসে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে উহারা যেন নিজের মায়ের বেদনার্ত মুখ দেখেও হাসে!

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কিছু উম্মাদ ইন্টেলেকচুয়াল নামক প্রাণী মাটির গভীর তলদেশ হতে শহরে আগমন করেছে যারা লন্ডনে বসে ঢাকা’র মান নিয়ে থিসিস করে, আফ্রিকার এইড্স মহামারীর দেশে বসে বাংলাদেশের চিত্র কল্পণা করে গল্প ফাদে আর তা মিডিয়াতে ছাপা হয় - আর আমাদের দেশের জাতমুর্খ্য সাংঘাতিক সাম্বাদিক সাংবাদিকগণ পেটপুড়ে সেই অখাদ্য - সুখাদ্য হিসেবে ভোজন করে !!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একদম সঠিক ভাবে আমার মনের কথাটিই তুলে ধরলেন।
ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই।

২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার কথায় যুক্তি আছে।
তবে এটাও ঠিক ঢাকা এখন আর বসবাসের জন্য যোগ্য নয়।
এখানে থেকে মানুষ কমানো দরকার।
এখান থেকে স্থাপনা কমানো দরকার।
ঢাকা এতো মানুষ আর কলকারখানার বোঝা বইতে পারছে না।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকা এখন আর বসবাসের জন্য যোগ্য নয়। একথা একদমই মানতে পারছিনা।
বসবাসের অযোগ্য হলে ঢাকার বাড়ীওয়ালারা সব ভাতে মরতো। ঢাকা আকর্ষনীয় বলেই বাড়ীওয়ালারা বছর বছর ভাড়া বাড়ায়।

ঘানার ফুটবলার সনি নর্দ, কোলকাতায় ভাল অফার পেয়েও কম টাকায় ঢাকা এসেছেন।
সাক্ষাতকারে বলেছেন ঢাকা শহর আমার প্রিয়, তাই আসলাম।
ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হলে উনি কি বলতেন 'আই লাভ ঢাকা'?


ঢাকা ভাল না খারাপ সেটা ভিন্ন বিষয়।
এটা মনস্তত্তের ব্যাপার। জাতীয়তাবোধের ব্যাপার। দেশপ্রেমের ব্যাপার। কটাক্ষ করার বিষয় নয়।
পৃথিবীর কোন দেশই নিজেদের বদনাম অসম্মান মেনে নেয় না। মেনে নিতে পারে না।
ব্যাতিক্রম বাংলাদেশে।

পৃথিবীর কোন দেশের পত্রিকা বা মিডিয়া এই তালিকা নিয়ে লাফালাফি করেনি,
প্রথম পাতা তো দুরের কথা ভেতরের পাতায়ও ছাপেনি, টিভি নিউজে স্থান পায় নি।
ব্যাতিক্রম শুধু বাংলাদেশে।

২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

প্রামানিক বলেছেন: এই সব মুখস্থ জরীপ অনেক সময় বাস্তবতার সাথে মিল থাকে না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
আপনি সঠিক বলেছেন।
এই সব মুখস্থ জরীপ বাস্তবতার সাথে মোটেই মিলেনা।


আফ্রিকার সংঘাতপুর্ন অসভ্য দেশগুলোতে যেখানে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও স্বাস্থসেবা দিতে শান্তিরক্ষী পাঠায়,
আশ্চর্যজনক ভাবে সেসব অসভ্য অঞ্চলকেও ঢাকার চেয়ে বেশী নিরাপদ / স্থিতিশিল, ঢাকার চেয়েও ভাল স্বাস্থসেবা দেখিয়ে ঢাকাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দিয়েছে।

ঢাকা খারাপ বা অনিরাপদ হলে লাখ লাখ বিদেশী এদেশে চাকুরি নিয়ে বসবাস করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যেতে পারতো?

২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

বিলুনী বলেছেন: দৈনিক ইনকিলাবে আজকে প্রকাশিত নিন্মের সংবাদ বিবরণীটি পাঠ করে ইকনমিষ্ট সহ এ ব্লগের মন্তব্যদানকারীদের অনেকেই
জোহান্সবার্গকে কত নম্বরে স্থান দিবেন জানতে ইচ্ছে করছে । মধু কবির বিখ্যাত কবিতার চরনের ভাবগাম্ভির্যতার আবহে বলতে ইচ্ছে করে
বঙ্গেতে জন্মে যারা দিবানিশি
শুধু কচলায় বঙ্গের নিন্দাবাণী
তাদের জন্মের নির্ণয় না জানি ।


ডাকাতের গুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি নিহত
ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ডাকাতের গুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় আবারো এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। মো. ইসমাইল হোসেন (৩২) নামে এ প্রবাসীর বাড়ি কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার পানকরা গ্রামে।
গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সিটিতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায, ইসমাইল ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকা যান। শুক্রবার ইসমাইলের দোকানে ডাকাতরা আকস্মিক হামলা চালায়। বাবার সামনেই তার ছেলেকে গুলি করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় অচেতন হয়ে পড়েন নিহতের বাবা আবুল কালাম।
জানা যায়, ইসমাইল দীর্ঘ আট বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ইলিয়াসবেগ ইলেকট্রনিক্সের দোকান পরিচালনা করে আসছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। নিহত হওয়ার দুই ঘণ্টা আগেও ইসমাইল তার মায়ের সঙ্গে শেষ কথা বলেছেন।
নিহতের ছোট মামা মামুনুর রশিদ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোবাইল ফোনে ভাগিনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ স্থানীয় থানায় রাখা হয়েছে। দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায়ই ডাকাতরা বাংলাদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

https://www.dailyinqilab.com/article/149422 /ডাকাতের-গুলিতে-দক্ষিণ-আফ্রিকায়-বাংলাদেশি-নিহত

এক তরফা ভাবে ফেব্রিকেটেড তথ্যমালার উপর ভিত্তি করে বিদেশীদের উদ্দেশ্যমুলক প্রপাগান্ডায় গা না ভাসিয়ে ঢাকাকে কিভাবে আরো সুন্দর তিলোত্তমা নগরীতে পরিনত করা যায় যে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গঠনমুলক আলোচনা করা যেতেই পারে , আর সে ধরণের আলোচনা সবসময়ই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য । ব্লগে অযৌক্তিকভাবে কাওকে হেয় করে কথামালা কখনো কাম্য হতে পারেনা ।

সিমীত সম্পদ নিয়ে সল্প পরিসরের ঢাকা মহনগরীতে প্রায় ২ কোটি মানুষ যেমন করে শান্তিময় জীবন যাপন করছে তা পৃথিবীর অন্যকোন দেশ এই মহৃর্তে পারবে বলে ধারনাই করা যায়না । সে হিসাবে বাংলাদেশ ও ঢাকা মহনগরী পৃথিবীর সকল বোদ্ধাদের নিকট হতে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে , শুধুমাত্র বিশেষ উদ্দেশ্য প্রনোদিত কিছু মানুষ কখনো এটা চাইবেনা , তাই বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক কথাগুলিকে তারা আরো অযৌক্তিক কথামালায় পেচিয়ে পেচিয়ে প্রচার প্রপাগান্ডায় মত্ত হবে । দেশের মানমর্যাদার বিষয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে চিন্তা ভাবনা ও কাজ করুক এটাই সকলের কাম্য ।

আরো একটি কথা না বললেই না হয় , বর্তমানে দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে বিদেশে অবস্থান করছেন বিবিধ স্টাটাসে । তবে তাদের সকলেই যার যার সাধ্যমত দেশের সাথে যোগাযোগ রাখছেন , কঠীন পরিশ্রমলব্দ আয় হতে সাধ্যমত রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন দেশে, যা নীজের আত্মিয় স্বজনসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগছে । তাই প্রবাসে বসবাসকারী কোন একজনকে তার দেশ প্রেম নিয়ে কটাক্ষ করলে তা সকল প্রবাসীর গায়েই কাটা সম ফোটে , কথাটা অনেকের মনে রাখলে সকলের জন্য ভাল হয় । তবে প্রবাসে বসে যারা দেশের বিপক্ষে যড়যন্ত্রে ও নিন্দায় লিপ্ত থাকে তাদের কথা আলাদা, দেশ তাদের জন্য সবসময়ই বসবাসের অযোগ্যই থাকবে , তা না হলে রাজনৈতিক আশ্রয় মিলবে কিভাবে!!!!!!

ধন্যবাদ যৌক্তিক লেখাটির জন্য ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ। সবকিছু খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.