নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসীমের সন্ধানে

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৭



৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ একটি ঝলমলে রোদ্রকরজ্জল বিকেল।
৪১ নং লাঞ্চ কম্পেক্স, কেপ কেনাভেরাল, ফ্লোরিডা।
উৎক্ষপনের অপেক্ষায় ভয়েজার-১ মাথায় নিয়ে বিশাল টাইটান-৩ রকেট।
কাউন্টডাউন চলছে .. নাইন এইট .. সেভেন সিক্স ফাইভ ফোর থ্রি .. টু .. ওয়ান ... নিস্তব্ধতা ভেংগে গর্জে উঠলো বিশাল টাইটান রকেটের ইঞ্জিন, ধোঁয়ার কুন্ডলি, একই সাথে পা। পাশে লাগানো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দুটি সলিড বুষ্টারের পুচ্ছ থেকে তীব্র অগ্নিধোঁয়া নিয়ে মহাশুন্যে মিলিয়ে গেল টাইটান-৩ সাথে ভয়েজার ১। প্যাসাডোনা কন্ট্রলরুমের তখন শতাধিক বিজ্ঞানি মনিটরের সামনে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে গেছে, ... করতালি, .. আলিঙ্গন।

এরপর ৪১ বছর কেটে গেছে। ভয়েজার-১ । এই প্রথম ও একমাত্র যান যা সৌরজগত এর আকর্শন ভেদ করে দূরবর্তি ইন্টারস্টেলার মিডিয়ামে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। ৮২৫ কিলোগ্রাম ওজনের ভয়েজার-১ আর পৃথিবীর মধ্যকার দুরত্ব এখন প্রায় ১৪ বিলিয়ন মাইল!
'লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ'এর সবচেয়ে বড় উদাহারণ হয়ে ভয়েজার-১ এখনো পৃথিবীর মানুষের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে!







২০১৩ এর মার্চে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেন যে ভয়েজার ১ আমাদের সৌরজগতের সীমানা সফল ভাবে অতিক্রম করে তারকা মন্ডলির দিকে ছুটছে। সৌরজগত থেকে বহুদুর অতিক্রম করে মুল তারকা জগতে প্রবেশ করেছে বলা যায়। কারন তখন সুর্য তার কাছে আকাশের অন্যান্ন তারার মত একটি তারা মাত্র। উপরে শুন্য আকাশ নীচেও, ডানে বামে সুধু চারদিক না সবদিকেই শুন্য আকাশ বা মহাশুন্য। চারদিক, সবদিক ... অসীম শুন্য .. মহাশুন্য, আমাদের গ্যালাক্সি টা বড় দেখা যাচ্ছে, এন্ড্রমিডা দেখা যাচ্ছে, ছোট বিভিন্ন তারকা ঝলমল করছে। আসমান বা জমিন বলতে যা বোঝায় সেরকম কিছুরই অস্তিত্ত এখন আর নেই।






আমাদের সৌরজগত বাইরে তারকামন্ডলী ছাড়িয়ে অসীম দূরত্বে পাঠানো আমেরিকার NASA ও Jet Propulsion Laboratoryর ভয়েজার মিশন একটি উচ্চাভিলাসি প্রোগ্রাম। Voyager 1 ও Voyager 2 । এর আগে পায়োনিয়ার ১ ও ২ একই ধরনের প্রোগ্রাম।
মুলত ইন্টারস্টেলার দূর মহাশুন্যে প্রায় এবসুলুট জিরো তাপমাত্রায় কোন মহাকাশযান, ক্যামেরা যন্ত্রপাতি কেমন কতদিন টেকে, কি কি অবস্থা হয়, সেটা জানার জন্যই।
সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল সুর্যের কঠিন আকর্ষন ভেদ করে সৌরজগত ছাড়িয়ে তারকা জগতে প্রবেশ।
যত শক্তিসালী রকেটই হোক এজাবৎ কোন মহাকাশ যান সুর্যের বা সৌরজগত, সুর্যের দখল ভেদ করা সম্ভব হয় নি। Voyager 2 । এর আগে ১৯৭৩ পায়োনিয়ার ১ ও ২ উচ্চগতি থাকার পরও একসময়ে গতি কমে এসে উল্কার মত অবস্থা হয়, ডিম্বাকৃত প্রদক্ষিন, মানে আবার ফিরে আসে।
একমাত্র Voyager 1 কে সফলভাবে সৌরজগত হেলিওস্ফিয়ার ভেদ করে প্রকৃত ইন্টারস্টেলার স্পেসে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। বিশেষ কৌশলে প্রাকৃতিক শক্তির সফল ব্যাবহার। বৃহস্পতি ও শনির মাধ্যাকর্শন ব্যাবহার করে গতি বৃদ্ধি করে অনেক জটিল অংক, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।
বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের মাধ্যাকর্শনকে কাজে লাগিয়ে ভয়েজার এর গতিও ভয়ানক বেড়েছে, 38,610 MPH বা 62,137 kmph গতিতে তারকা মন্ডলি Ophiuchus এর দিকে ছুটছে। মানব নির্মিত যে কোন যান এজাবৎ এটাই সর্বচ্চ গতি। ৪১ বছর জাবত ছুটছে, কেউ ধরে না ফেললে বা কোন কিছুর সাথে ধাক্কা নাগলে আরো ৬০০-৭০০ বা আরো বেশী বছর ছুটবে।








পায়োনিয়ার, ভয়েজার উৎক্ষেপন, তারকা মন্ডলিতে প্রবেশ চেষ্টা, এছাড়াও নাসার আরো খুচরা কিছু উদ্দেস্য ছিল।
ভয়েজার উৎক্ষেপনের বেশ আগেই ভিন-নক্ষত্রের এলিয়েনদের জন্য (যদি থাকে) তথ্য উপাত্ত দেয়ার জন্য নাসায় কমিটি তৈরী করা হয়।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী / সাইন্সফিকশান লেখক কার্ল সেগান হলেন কমিটির প্রধান। এক বছর ধরে চললো ভীনগ্রহ, ভীন-নক্ষত্রের স্বজনদের জন্য বার্তা তৈরি ও বাছাইয়ের কাজ।
একটি উচ্চ তাপ সহনশীল অতিব শক্ত গোল্ড-প্লাটিনাম সংকরে তৈরি একটি ডিস্ক, যার মধ্য খোদাই করা থাকবে বিভিন্ন ছবি।
আর সাউন্ডের জন্য গোল্ড গ্রামোফোন ডিস্ক। এসব ধাতব ডিস্ক ভয়েজার যান কোন গ্রহে আছড়ে পড়লেও ধাতব ডিস্ক অক্ষত থাকবে। লক্ষাধিক বছর টিকে থাকবে।

সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২ তে গোল্ডেন রেকর্ড রাখা হয়েছে যেটাতে আমাদের পৃথিবী ও মানুষ প্রাণী অস্তিত্ব সম্পর্কে সহজ বর্ণনা দেওয়া রয়েছে।
ভয়েজার কোন না কোন একদিন ভীনগ্রহ, ভীন-নক্ষত্রের কোন না কোন বুদ্ধিমান প্রানীকুল/ এলিয়েনদের হাতে পরবে, এই আশায়
এটি একটি ফোনোগ্রাফ রেকর্ড ডিস্ক যেখানে এলিয়েনদের জন্য মানুষের পাঠানো ম্যাসেজ খোদাই করা রয়েছে। আর গ্রামোফোন রেকর্ড ডিস্কটি সোনার তৈরি আর এতে অনেক টাইপের সাউন্ড এবং ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, যাতে পৃথিবী, মানুষ আর আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এলিয়েনদের বুঝানো যেতে পারে। প্লেটটির গায়ে হাইড্রোজেনের সংকেত একে দেওয়া হয়েছে, যে হাইড্রজেন মহাবিশ্বের সবচাইতে কমন অংশ, যদি কোথাও কোন মানুষের ন্যায় বুদ্ধিমান প্রাণী থেকে থাকে, তারা হয়তো হাইড্রোজেন স্ট্র্যাকচার বুঝতে পারবে। সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন সাউন্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবে। গোল্ড সঙ্কর প্লেটটিকে উচ্চতাপ/হিমশিতল সহনশীল করে কয়েক বিলিয়ন বছর টিকে থাকার মতো করেই তৈরি করা হয়েছে।



ভয়েজারের জন্য ধাতব ডিস্কে বার্তা রেকর্ড হচ্ছে








ভয়েজারের জন্য মানবকুলের বার্তা

শুরু হল ছবি সংগ্রহ ও ভয়েস রেকর্ডিং
৫৫ টি ভাষায় 'হাই' জানানো হলো ।
প্রথম জানালেন, তৎকালিন জাতিসংঘের সে সময়কার মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম। তিনি বললেন, "I send greetings on behalf of the people of our planet. We step out of our solar system into the universe seeking only peace and friendship, to teach if we are called upon, to be taught if we are fortunate."

আছে বাংলা ভাষাও। বাংলাদেশের সামরিক শাসকদের অবহেলায়, নাসার আহবানে সাড়া না পেয়ে পশ্চিম বাংলার একজন কন্ঠ দিয়েছেন সুব্রত মূখার্জি। তিনি বলেছেন 'নমস্কার, বিশ্বের শান্তি হোক।'

পাঠানো হলো বৃষ্টির শব্দ, বাতাসের শব্দ, হাসির শব্দ। হেসেছিলেন কার্ল সেগান নিজেই।
পাঠানো হলো পাখির ডাক, ঝিঝি পোকার ডাক।

দুই ভয়েজারের সাথে পাঠানো হলো ৯০ মিনিট দীর্ঘ গান এবং সুর। এর মধ্যে ছিলো সাড়ে তিন মিনিটের একটি ভারতীয় সুরও।

ভিনগ্রহের স্বজনদের জন্য পাঠানো হলো আরো অনেক কিছু।




ছবি ১১৬টি। এর মধ্যে আছে আমাদের ডিএনএর ছবি, হাঁড়ের ছবি,পাখির ছবি, সূর্যদয়ের ছবি, সূর্যাস্তের ছবি, বৃক্ষ বনভুমি, নারী পুরুষের জননাঙ্গের ছবি, মিলনের ছবি! খাওয়ার ছবি, পান করার ছবি, শিশুকে স্তন পান করানোর ছবি!
যুদ্ধ আর অস্ত্রের ছবি স্থান পাওয়ার কথা থাকলেও একটি নেগেটিভ মেসেজ যেতে পারে বিধায় যুদ্ধাস্ত্রের ছবি আর দেয়া হয় নি।

লক্ষকোটি বছর পর হয়তবা এমন একটা সময় আসবে, যখন ভয়েজারকেই মানব প্রেরিত এক এলিয়েন যান হিসেবে চিহ্নিত করবে ভিন-নক্ষত্রের এলিয়েন রা, বুদ্ধিমান হয়ে থাকলে সহযেই বুঝবে কোথা থেকে এসেছে। এসব নিয়ে হয়তো লেখা হবে বিভিন্ন কল্পকাহিনী।

ভয়েজার ১ এর পর অবস্য ভয়েজার২ পরে পায়োনিয়ার ১০ পাইয়োনিয়ার ১১ একই ধরনের ছিল। তবে ভয়েজার ২ সপ্তাহ আগে লাঞ্চ করা হলেও ভয়েজার ১ অপেক্ষাকৃত বেশী গতিতে সবচেয়ে দূরে যেতে পেরেছে। শনি, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস গ্রোহের মাধ্যাকর্ষন কাজে লাগিয়ে এক্সিলারেশন বৃদ্ধি করে সৌরজগত ও তারকামন্ডলি অতিক্রম করতে পেরেছে।
জেপিএল অবস্য পরে মঙ্গল ও শুক্র গ্রহ মিশনেও অনেক যান পাঠিয়েছিল।

বিপুল গতিতে ছুটে চলা ভয়েজার গতি বাড়ানোর জন্য বৃহষ্পতি গ্রহকে অতিক্রম করানো হয়েছে ১৯৭৯ সালে। যাত্রাপথে সে আমাদেরকে পাঠিয়েছে বৃহষ্পতির ছবি। আমরা দেখেছি দানবগ্রহ বৃহষ্পতির বুকে ১৮৮ বছর ধরে বয়ে চলেছে এক দানবঝড় - দ্যা গ্রেট রেড স্পট। এই ঝড়ের আয়তন তিনটা পৃথিবীর সমান!

ভয়েজার-১ শনি গ্রহ অতিক্রম করানো হয়েছে ১৯৮০ সালে। ভয়েজার জানিয়েছে শনিকে প্রদক্ষিণ করছে আরো অনেকগুলো বরফের তৈরী চাঁদ!


১৯৮৮ সালে সৌরজগত সীমানা পার হয়ে যাবার পর ভয়েজার আর ছবিতুলে ব্যাটারি অপচয় করে নি।
ভয়েজার তাঁর সর্বশেষ ছবিটি তুলেছিলো ১৯৯০ সালের ভালোবাসার দিবসে। অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারিতে।
সর্বশেষ এই ছবিটি ভয়েজার তুলেছিলো সেই কার্ল সেগান নামক একজন খেয়ালী বিজ্ঞানী ও সাইন্সফিক্সান লেখকের বিশেষ অনুরোধে। নাসা ও জেপিএল ভয়েজারের ব্যাটারি নষ্ট করতে চায় নি, এরপরও অনেক অনুরোধের পর শেষবারের মত ভয়েজারের ক্যামেরা পৃথিবীর দিকে তাক করা হয়।
অসংখ ক্ষুদ্র তারার (সুর্য) সাথে ছোট্ট একটি বালুকনা সদৃস্য পৃথিবী। কোনটা যে আমাদের পৃথিবী বোঝাই মুশকিল।


ভয়েজারের তোলা শেষবারের মত পৃথিবীকে গুডবাই বলা তাঁর সর্বশেষ ছবি। তীর চিহ্নিত স্থানে পৃথিবী।


ভ্রমণের টাইমলাইন:

৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৭: ভয়েজার ১ এর যাত্রা শুরু। এর ১৬ দিন আগে রওনা দেয় ভয়েজার ২। দুটো যানই এখন সৌরজগতের বাইরে। তবে ভয়েজার ২ পিছিয়ে পরেছে, একই অবস্থা হয়েছিল ১৯৭৩ উৎক্ষেপিত পায়োনিয়ার ১ ও ২, উচ্চগতি থাকার পরও হেলিয়োস্ফিয়ার অতিক্রম করতে সক্ষম হয় নি।

জানুয়ারি ১৯৭৯: ভয়েজার ১ বৃহস্পতি প্রদক্ষিন করে। বৃহস্পতি গ্রহের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি এটি পৃথিবীতে পাঠাতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতি গ্রহে ঝড়ের ছবি এবং ভিডিও পাঠায়। যখন এটি বৃহস্পতির একদম কাছে থাকে তখন পৃথিবী থেকে এর দুরত্ব প্রায় দুই লাখ মাইল।

নভেম্বর ১৯৮০: দুটো প্রোবই বৃহস্পতির মহাকর্ষ অতিক্রম করে শনির দিকে এগিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এসব করা হয় ভয়েজারের গতি বৃদ্ধি করার জন্যই। এক সময়ে ভয়েজার ১ শনির কাছাকাছি অবস্থান করে। এসময় এটি শনির রিংয়ের গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারনা দেয় এবং এর রিমোট সেন্সরগুলো শনির পৃষ্ঠ এবং গ্যাস জায়ান্ট টাইটান(শনির একটি উপগ্রহ) সম্পর্কে গবেষণা করতে থাকে।
চিত্র:ভয়েজার ১ এর তোলা শনি গ্রহের ছবি।

১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ এ ভয়েজার ১ ১৯৭৩এ উৎক্ষেপিত পাইওনিয়ার ১০ কে অতিক্রম করে এবং সবচেয়ে দুরবর্তী মানুষ নির্মিত বস্তু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যায় এবং তখনও সেটি প্রতি সেকেন্ডে সতেরো কিলোমিটার বেগে যাত্রা অব্যাহত রাখে।


২০১২ এর শেষের দিকে ভয়েজারের চারপাশের আবহাওয়াতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে থাকে। এতে বোঝা যায় সুর্যের হেলিওস্ফিয়ার প্রভাব শেষ, কসমিক উইন্ড শুরু। ২০১৩ এর মার্চে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেন যে এটি আমাদের সৌরজগতের সীমানা সফল ভাবে অতিক্রম করে তারকা মন্ডলির দিকে ছুটছে।






সেপ্টেম্বর ২০১২ তে নাসা নিশ্চিত করে যে এটি ইন্টারস্টেলার মিডিয়ামে প্রবেশ করেছে।
ইন্টারস্টেলার মিডিয়াম হলো দুইটি নক্ষত্রের আকর্ষনের বাইরে মহাশুন্য, অসীম ..।
তবে একদম ফাঁকা না, বিচ্ছিন্ন ছুটন্ত চার্জড পার্টিকেল, কসমিক রে .. ইত্যাদি আছে। এসব পৃথিবীতে আসতে পারেনা, সোলার উইন্ডের কারনে। সব প্রমান ভয়েজার ১ দিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত কি হবে?

আসলে ভয়েজারের ভবিষ্যত সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা যায় না। সৌরজগত পাড়ি দেয়ার পর এটির গন্তব্য অজানার উদ্দেস্যে, লক্ষকোটি বছর পরে কোথায় যেয়ে যে পড়ে কেউই জানে না।
এর অবশিষ্ট রকেট প্রপেলেন্ট ও ইঞ্জিনগুলো এখনও সক্ষম আছে। নাসা ইচ্ছে করলে এখনো এর গতিপথ চেইঞ্জ করতে পারে, তার দরকার হবে না। তবে ব্যাটারি বাচাতে সবগুলো ক্যামেরা বন্ধ করতে হয়েছে। এটি হয়তো আর দুই তিন বছর নাসার কাছে তথ্য প্রেরন করতে পারবে।

২০২৫ সাথে এর জ্বালানি ও ব্যাটারি সম্পুর্ন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু গতি (38,610 MPH বা 62,137 kmph) ভ্রমণ অব্যাহত থাকবে। যেহেতু মহাকাশে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার কথা না।

বিপদজনক এষ্ট্রয়েড বেল্ট সীমানা অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। কোনো ধরনের জোতিস্ক বা মহাজাগতিক কনার সাথে এর সংঘর্ষের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এটি নির্দ্বিধায় এগিয়ে যেতে থাকবে অনন্তকাল পর্যন্ত। এটি এখন যেই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেই গতিতে আমাদের নিকটবর্তী আরেকটি স্টেলার সিস্টেম প্রক্সিমা সেন্চুরাইতে পৌছতেও এর সময় লাগবে প্রায় ৭৪ হাজার বছর!!!





ভয়েজার ১ সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নগুলো কিছুদিন আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে জেপিএল ও নাসার সায়েন্টিস্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারদের করা হয়েছিলো।

১। ভয়েজার কি এখনো পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম?

হ্যা সক্ষম, ২০২০ পর্যন্ত সক্ষমতা থাকার কথা। এখনো সব যন্ত্রপাতি এখনো চালু আছে। তবে ১৯৯০ সালের পর এর ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

২। কেন ক্যামেরাগুলো বন্ধ?

সোলার সিস্টেমের হেলিওস্ফেয়ার অতিক্রম করানো একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এর আগে pioneer 1 pioneer 2 ও Voyeger 1 এই লাইন অতিক্রম করাতে ব্যার্থ হয়েছিলাম
হেলিওস্ফেয়ার অতিক্রমের সময় বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে আসা আধানযুক্ত কনাগুলো (charged particle) ও ইন্টার স্টেলার ওয়েভ সনাক্ত করার জন্য ও পৃথিবীর সংগে যোগাযোগ বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পাওয়ার এবং মেমোরি রাখার জন্য এর ক্যামেরাগুলো ছবি তোলা বন্ধ করে দেয়া হয়।

৪। কবে নাগাদ ভয়েজারের পাওয়ার পুরোপুরি শেষ হবে?

২০২০ সাল পর্যন্ত এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিগুলো চালিয়ে রাখা যাবে। তথ্য পাঠাতে পারবে। ২০২৫ সাল নাগাদ ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ায় এর সবগুলো যন্ত্র সম্পুর্ন বন্ধ হবে। তবে গতি আগের মতই সেকেন্ডে ১৭ kmph গতিতে এগোতে থাকবে।

৫। যাত্রাপথে ভয়েজারের গতির কি কোনো পরিবর্তন হবে?

না! এটি বর্তমানে যেই গতিতে আছে (38,610 MPH বা 62,137 kmph, সেকেন্ডে ১৭ kmph গতিতে ) ইনার্শিয়ার কারনে কোন জালানি ছাড়াই আরো লক্ষ কোটি বছর এই গতিতেই এগিয়ে যেতে থাকবে। এখন আলফা সেঞ্চুরির দিকে ছুটছে। একসময় আমাদের গ্যলাক্সি ছাড়িয়ে দূর গ্যালাক্সির দিকে যেতে থাকবে ... ..




কিছু তথ্য এখানে পাবেন
Astrophysical Journal

** অনেক ছোটকালে একটি ম্যাগাজিনে ভয়েজার মিশনের কথা শুনে খুব উৎফুল্ল হয়েছেলাম, পরে এব্যাপারে ভিষন আগ্রহী হয়ে বিভিন্ন বই, আর্টিকেল সংগ্রহ করা শুরু করি, খোজখবর নিচ্ছিলাম, তখন 'ভিনগ্রহের মানুষ' নিয়ে বিভিন্ন কল্পকাহিনী, সাইন্সফিকশান পড়তাম, তাই ভয়েজার মিশন নিয়ে ভিষণ উৎসাহি ছিলাম, পরে বড় হয়ে একসময় ভুলেই গিয়েছিলাম।
এখন ভাবলাম কিছু লেখা দরকার, ভয়েজার নিয়ে ব্লগে বা পত্রিকায় খুবই সামান্যই আলচিত, ডিটেইল কিছই নেই।
আমার মনে হয়েছে নাসার চন্দ্রাভিজানের পর এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন সফল একটি মিশন। আমার মতে মানবজাতীর বিশাল সাফল্য।
কিন্তু দেশি-বিদেশী মিডিয়াতে ভয়েজার নিয়ে খুব একটা সিরিয়াস দেখলাম না।
তাই ভাবলাম আমার কিছু লেখা উচিত।


আপডেট এপ্রিল ২৩, ২০২৪ প্রথম আলো

নভোযান ভয়েজার–১ সফটওয়্যারজনিত ত্রুটির কারণে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফ্লাইট ডেটা সিস্টেমে ত্রুটির কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

ফ্লাইট ডেটা সিস্টেমের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে ভয়েজারের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও সেন্সরের তথ্যাদি জানা যায়। সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়া ভয়েজার–১ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কয়েক মাস ধরে নানা চেষ্টা করা হয়। বেশ কয়েক মাসের প্রচেষ্টার পরে ত্রুটি সারানো গেছে। আবারও পৃথিবীতে প্রকৌশলবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য পাঠানো শুরু করেছে ভয়েজার–১।
এখন ভয়েজার–১ আন্তনাক্ষত্রিক মহাকাশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করছে। ২০১২ সালে সৌরমণ্ডলের এলাকা ছেড়ে যায় নভোযানটি। গত বছরের নভেম্বর থেকে যোগাযোগ নিয়ে ত্রুটি দেখা যায়। ২০ এপ্রিল ভয়েজার–১ থেকে সাড়া পান নাসার বিজ্ঞানীরা। ভয়েজার–১ মহাকাশযান তার অনবোর্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেমের অবস্থা সম্পর্কে ব্যবহারযোগ্য তথ্য–উপাত্ত পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে। এখন বিজ্ঞানসংক্রান্ত তথ্য পাঠানোর ত্রুটি ঠিক করার কাজ চলছে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে ভয়েজার প্রকৌশল দল কাজ করছে ত্রুটি নিয়ে। ফ্লাইট ডেটা সাবসিস্টেমে (এফডিএস) বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিষয়ক ডেটা প্যাকেজ আকারে জমা হয়।

পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথম সাড়া দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত নাসার ভয়েজার–১ দলের সদস্যরা
নভেম্বরে এফডিএস মেমোরির একটি অংশের একক চিপ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই চিপে এফডিএস কম্পিউটারের সফটওয়্যার সংকেত রয়েছে। সেই চিপের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সংকেতের ক্ষতির ফলে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ডেটা ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হয়। ভয়েজার–১ পৃথিবী থেকে এত দূরে যে সেখানে মেকানিক পাঠিয়ে মেরামত করা যাবে না।

সংকেত অন্য কোথাও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তেমন জায়গা ছিল না। প্রয়োজনীয় সংকেত কয়েক ভাগে ভাগ করে এফডিএসের বিভিন্ন জায়গায় সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ১৮ এপ্রিল এফডিএস মেমোরি থেকে নতুন তথ্য পাঠানো হয়। একটি বেতারসংকেত ভয়েজার–১ যানে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ২২ ঘণ্টা সময় নেয়। খুব স্বাভাবিকভাবে পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি মাইল দূরে সংকেত আদান-প্রদানে সময় লাগবেই। মিশন ফ্লাইট দল ২০ এপ্রিল মহাকাশযানের উত্তর পায়। পাঁচ মাস পরে প্রেমিকার চিঠি পাওয়ার মতো আনন্দে ভাসে ভয়েজার দল।

৪৬ বছরের বেশি আগে চালু করা ভয়েজার মহাকাশযানটি ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও দূরবর্তী মহাকাশযান। আন্তনাক্ষত্রিক অনুসন্ধান শুরুর আগে ভয়েজার আমাদের সৌরমণ্ডলের সব এলাকা পার হয়ে ছুটে যায় দিগন্তের পথে।

সূত্র: নাসা। আপডেট অংশটি প্রথম আলো ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ০০ তে প্রকাশিত


মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩০

সনেট কবি বলেছেন: মহাচমৎকার পোষ্ট। তবে সবটা পড়িনি। ঘুমে ঢুলু ঢুলু।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবারই পড়া উচিত। অনেক কষ্ট করে লিখেছি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
⭕ আমি কোথায়?
ধানমন্ডি ঢাকা

⭕ সেটা আবার কোথায়?
ঢাকা বাংলাদেশ, সাউত এশিয়াতে।

⭕ এশিয়া কোথায়?
৭৯২৬ মাইল ব্যাসের একটি গ্রহ পৃথিবীতে।

⭕ পৃথিবী গ্রহ কোথায়?
উত্তর: নয়টি ছোট বড় গ্রহ সহ ৩০০কোটি মাইল ব্যাপী বিস্তৃত সৌরজগতে।

⭕ সৌরজগৎ কোথায়?
এক হাজার কোটি সৌরজগৎ নিয়ে গঠিত ৫.৭ট্রিলিয়ন বা ৫৭০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০ মাইল ব্যাপী মিল্কিওয়ে নামক একটি গ্যালাক্সিতে।

⭕ এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কি?
এরকম কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার গ্যালাক্সির সমন্বয়ে গঠিত ৪বিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল বা ৪০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০মাইল ব্যাপী গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে!

⭕ গ্যালাক্সি ক্লাস্টারটা আবার কোথায়?
এরকম কোটি কোটি ক্লাস্টার নিয়ে গঠিত সুপার ক্লাস্টারে।

⭕ এই সুপার ক্লাস্টার আবার কোথায়?
অনেক গুলো সুপার ক্লাস্টার নিয়ে গঠিত সুপার ইউনিভার্স।

⭕ সেটা কি রকম?

আপাতত নলেজে এটাই মহা-বিশ্বের একটা স্ট্রাকচার।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দারুন লেখা
.....................................................................................

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৪

নতুন বলেছেন: যেই কাহিনি লিখলেন সেটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য.....

কিন্তু মানুষ এই রকমের ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছে.... :)

কিন্তু আমার মনে হয় না ভীন গ্রহের প্রানীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে,,,, দুরত্ব একটা বড় বাধা ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যোগাযোগ নাই বা হোক,
লক্ষ বা কোটি বছর পর ভীন গ্রহের-নক্ষত্রের কেউ না কেউ জানবে পৃথিবী নামের একটি সুজলা সুফলা গ্রহ ছিল, সুন্দর মনের বিজ্ঞানমনষ্ক কিছু মানুষ ছিল, টিকে থাকার চেষ্টা ছিল .....

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্টে অনেক ইন্টারেষ্টিং বিষয় স্হান পেয়েছে, ভালো

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক ছোটকালেই এসব বিষয় আমার কাছে ভিষণ ইন্টারেষ্টিং ছিল ..

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩১

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



প্রিয়ে নিয়ে রাখলাম, কিছু পড়েছি বাকিটা সময় করে পড়ব।
আমাদের স্যাটেলাইট এখন কি অবস্থায় আছে?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।

ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
গতমাসে বঙ্গবন্ধু-১ এর মাধ্যমে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার হয়। এখন হতে বাংলাদেশ টেলিভিশন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সবকিছু সম্প্রচার করবে। অন্য কোনো স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
অক্টোবরে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাণিজ্যিক সম্প্রচারে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী কোম্পানি বাংলাদেশ কমিউনেকশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।
ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট হতে ব্রডকাস্ট সুবিধা নিতে সবগুলো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
তবে সবটা বুঝতে পারিনি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
খুব সহজ ভাষায় লিখেছি, বাংলায়। আপনি আরেকবার পড়ুন।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

কে ত ন বলেছেন: আমার কিছু প্রশ্ন আছেঃ
- ভয়েজার ওয়ান এখনও ওর্ট ক্লাউড পার হতে পারেনি। অর্ট ক্লাউড তো সৌরজগতেরই একটা অংশ। তাহলে সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়েছে এমন দাবি করছেন কি করে?
- ভয়েজার টু কে তো একই সময়ে ছাড়া হয়েছে এবং এর গতিবেগ ওয়ানের চেয়ে বেশি, তাহলে সেটি কেন এত দূর যেতে পারেনি?
- যে ডিস্কে শব্দগুলো রেকর্ড করা হয়েছে, এলিয়েনের কাছে বাজিয়ে দেখার মত মিডিয়া কি প্রেরণ করা হয়েছে?
- মহাকাশযানের শক্তির উৎস হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ। ভয়েজারেরা যেখানে আছে, সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছেনা। তাহলে এই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে কি করে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সর্বশেষ হচ্ছে প্লুটোর কক্ষপথ। এপর্যন্ত মুল সৌরজগত এলাকা।
এরপর হেলিওস্ফিয়ার শেষ সীমানা, এরপর কুইপার বেল্ট। এসবও সৌরজগত প্রভাবিত।
এই বেল্ট পার হলেই সুর্য তথা সৌরজগত আকর্ষন প্রভাব শেষ বলা যায় । এরপর বিশাল এলাকা নিয়ে Oort Cloud
এটা কোন মেঘ বলা যায় না, শুন্যতা বলা যায়। কিছুই নেই, পরমানু বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেক দূরে দূরে ছরিয়ে থাকা কনা পার্টিকেল। সুর্যের আকর্ষনে এলাকা ছাড়িয়ে যেতে পারছে না। এটাই ওর্ট ক্লাউড এলাকা।
বিশাল এলাকা নিয়ে ওর্ট ক্লাউড। কিন্তু ৬৩ হাজার কিলোমিটার পার আওয়ার গতিতে চলা ১ টন ওজনের ভয়েজারের জন্য ওর্ট ক্লাউড কোন বাধা নয় মোটেই। তবে এই গতিতে চললেও Oort Cloud বেল্ট পার হতে ৩০০ বছর লেগে যাবে ভয়েজার ওয়ানের।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৯৭৩ এ লাঞ্চ করা pioneer 1 ও pioneer 2 ব্যার্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভয়েজার মিশন শুরু
ভয়েজার টু নিয়ে নাসা বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা অনেক বেশী ছিল।এটাকেও Voyager 1 এর মত শনি ও বৃহষ্পতির আকর্ষন কাজে লাগিয়ে গতি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল।
সম্ভবত অঙ্কে ভুল বা অজ্ঞাত কারনে Voyeger 2 যৌরজগত ছাড়িয়ে যেতে ব্যর্থ হয়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডিস্কে যে শব্দগুলো রেকর্ড করা হয়েছে তা সাধারন ফোনোগ্রাফ/গ্রামোফোন প্রযুক্তি।
তখন মাত্র কম্প্যাক্ট ডিক্স প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে, কিন্তু ব্যাবহার-বাজারজাত শুরু হয় নি।
সংগত কারনেই কম্প্যাক্ট ডিক্স দেয়া হয় নি, ভিগ্রহের মানুষ মানুষের চেয়ে কম বুদ্ধিমান হলে CD ডিকোড করতে পারবেনা,
কিন্তু ফোনোগ্রাফ পারবে।
ফোনোগ্রাফ/গ্রামোফোন প্রযুক্তি অতি সাধারন নন ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি, বিদ্যুতশক্তি বিহীন সলিড সাউন্ড রেকর্ড। মানবকুল সেই ১৮৮৭ সাল থেকে ব্যাবহার করতো। বাংলাদেশে বলা হত কলের গান।
বাংলাদেশে এখনো অনেকের বাসায় এই গ্রামোফোন ডিভাইস দেখা যায়।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেশিরভাগ মহাকাশযানের শক্তির উৎস হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সহ সকল কমার্শিয়াল স্যাটেলাইটের শক্তির উৎস সোলার প্যানেল, সৌর বিদ্যুৎ রিজার্ভ রাখতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নিকেল-ক্যাডমিমাম বা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এসবের আয়ু ১০-১৫ বছর।
কিন্তু নাসার ইন্টার প্ল্যানেটারি মহাকাশ যানগুলোর জন্য দরকার ৫০ + বছর মেয়াদী ব্যাটারি।
নাসা ব্যাবহার শুরু করে নিউক্লিয়ার ব্যাটারি, সোভিয়েট রাশিয়াও তাদের মহাকাশ যানে নিউক্লিয়ার ব্যাটারি ব্যাবহার করতো।
নাসা আরো উন্নত মানের RTG (Radioisotope Thermoelectric Generator) ব্যাটারি ডেভোলপ করে।
Pioneer 10, Pioneer 11, 2 Voyeger 1, 2। নাসার সোলার প্রবগুলো Galileo, Ulysses, Cassini, New Horizons, মঙ্গল অভিযান Mars Science Lab, ভাইকিং-১ ভাইকিং-২ এবং মহাকাশে স্থাপিত হাবল টেলিস্কোপ।
সব ক্ষেত্রেই ৫০ + বছর মেয়াদী RTG নিউক্লিয়ার ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বিজ্ঞানের বিষ্ময় !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিজ্ঞানের বিষ্ময় ! হ্যা সেটাই।
মানব জাতির পক্ষে এই প্রথম কিছু 'বাস্তব নন ইলেকট্রনিক বার্তা', যা আমাদের সোলার সিস্টেম ছাড়িয়ে তারকা গ্যালাক্সির দূর মহাকাশে ... লক্ষ-কোটি বছর ধরে চলবে ... .. কেউ না ধরে ফেলা পর্যন্ত।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাইন্স ফিকশন বিশেষ করে এস্ট্রোনাটস আর স্পেস নিয়ে কাহিনীগুলো আমার ভালো লাগে। আপনার লেখা পড়তে পড়তেই মনে ভাসছিল কোন ভিনগ্রহবাসী আসলেই এই ডিস্ক পেয়েছে আর বার্তা পুনরুদ্ধার করছে! অনেক কিছু তথ্য প্রথমবারের মত জানা হল...

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সাইন্স ফিকশন পড়তে ভালই লাগে বিশেষ করে বাস্তব সাইন্স ফিকশন।
ভৌতিক-অবাস্তব সাইন্স ফিকশন ভাল লাগে না।

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভিনগ্রহে চলে যেতে পারলে কেমন হতো?
পোষ্ট ভালো ছিলো। +++++

০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন।
তবে ভিনগ্রহে যাওয়া কঠিন কিছু না।
৫-১০ বছরের ভেতর নাসা পৃথিবীর কাছের মঙ্গলগ্রহে প্রথম মানুষ দির্ঘদিন থাকার মত ব্যাবস্থা নিয়ে পাঠানোর প্রকৃয়া চলছে।

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেউ বলেনি মহাবিশ্ব জয় করা সহজ, কেউ বলেনি মহাবিশ্ব তোমাকে আলিঙ্গন করবে। তবে এটা ঠিক এই মহাবিশ্বেই আমাদের জীবনের সূচনা, এবং তাতেই আছে আমাদের বেঁচে থাকার সীমাহীন আধার। শুধু দরকার প্রজ্ঞা আর সাহস


অসম্ভব সুন্দর লেখছেন ভাই

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ উদাসী স্বপ্ন ভাই।

স্কুলে থাকতে একটি ম্যাগাজিনে ভয়েজার মিশনের কথা শুনে খুব উৎফুল্ল হয়েছেলাম,
পরে এব্যাপারে খুব আগ্রহী হয়ে বিভিন্ন বই, আর্টিকেল সংগ্রহ করা শুরু করি, খোজখবর নিচ্ছিলাম, তখন 'ভিনগ্রহের মানুষ' নিয়ে বিভিন্ন কল্পকাহিনী, সাইন্সফিকশান পড়তাম, তাই ভয়েজার মিশন নিয়ে ভিষণ উৎসাহি ছিলাম, পরে বড় হয়ে একসময় ভুলেই গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছে নাসার চন্দ্রাভিজানের পর এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন সফল একটি মিশন। আমার মতে মানবজাতীর বিশাল সাফল্য।

কিন্তু দেশি-বিদেশী মিডিয়াতে ভয়েজার নিয়ে খুব একটা সিরিয়াস দেখলাম না। ভয়েজার নিয়ে ব্লগে বা পত্রিকায় খুবই সামান্যই আলোচিত, মুল ব্যাপার টা বা ডিটেইল কিছই নেই।

তাই ভাবলাম বাংলায় আমার কিছু লেখা উচিত। অনেক কষ্ট করে লিখেছি,
কিন্তু এরপরও সামু কতৃপক্ষ আমার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয় নি, 'বাস লেন জানজট' নিয়ে লেখাটিও দেয় নি।
কি জানি হয়তো এ সব লেখা সেই এলিটদের পাতায় যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে নি।

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দেশ যে ১০-১২ বছর নাই হইয়া যাবে এটা নিয়াও পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি নাই এখনো। অথচ প্রতিক্রিয়া অলরেডি শুরু হইয়া গেছে। বাংলাদেশ তো পরে, কলকাতাও নাকি থাকবে না।
তো এই কাংলাদেশীদের কাঙ্গালুদের নিয়ে বলার কিছু নাই। দেশটা আমাদের অসাধারন ছিলো, সারা পৃথিবীর মধ্যে অনন্য কিন্তু জাতী হিসেবে আমরা ছিলাম জুলুদের থেকেও নিকৃষ্ট।

এরকম লেখা আরও লেখেন।

আমার আর বাংলা ভাষায় এসব লিখতে ইচ্ছে করে না

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১০-১২ বছর না, মোটামোটি ৫০ বছরে খুব ধিরে ধিরে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে পৃথিবীর অনেক নীচু অঞ্চলের মত বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা সমুদ্র তলে ডুবে যাবে। রামপাল না হলেও সব ডুবে যাবে। সুন্দরবনও বিলুপ্ত হবে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ফলাফল হতে এই লক্ষণ এখনই দেখতে পাচ্ছেন । তাই আমাদেরকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে
এই ভয়াবহ দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য । দুই ভাবে তা করা যায়,

১) পৃথিবীরসব দেশ মিলে এক সাথে কার্বন এমিশন গ্রিন হউস গ্যাস কমানোর মাধ্যমে,

২) বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত হওয়ার মধ্য দিয়ে, রাষ্ট্রের অর্থনীতিক সামর্থ্য দিয়ে ।

প্রথম উপায়ে (কার্বন এমিশন কমানো) উদ্যোগ, যা ১৯৯০ সনে নেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে ।
১৯৯০ সালের উদ্যোগের মত ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনের মাধ্যমে নেওয়া উদ্যোগ আংসিক সফল। তাহলে আমাদের কাছে একটিই পথই খোলা আছে অর্থাৎ দ্রুত উন্নত হওয়া যাতে আমাদের হাতে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সম্পদ থাকে । এই ক্ষেত্রে আমাদের উন্নত বিশ্বের উন্নয়নের ইতিহাস অর্থাৎ শুধুমাত্র অর্থনীতিক লাভকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে ।
আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যা ও দক্ষীনাঞ্চল ডুবেযাওয়া বিবেচনায় রাখলে এ যুক্তি আরও দৃঢ় হয় যে, শুধুমাত্র উন্নয়ন ও অর্থনীতিক সামর্থ্য অর্জন আমাদের একমাত্র প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।
পানি তো হটাৎ বাড়বে না, বছরে ইঞ্চি ইঞ্চি করে বাড়বে
রাষ্ট্রের সামর্থ থাকলেই পর্যায়ক্রমে উচু মাটির বাধ দিয়ে সমুদ্র লেভেল উথ্যান সামাল দেয়া সম্ভব হবে।
ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

গরল বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট, অনেক কিছু জানলাম, প্রযুক্তি যেহেতু অনেক উন্নত হয়েছে এখন তাই প্রতি দশ বছরে এরকম একটা করে যান মহাশুন্যের দিকে পাঠানো দরকার।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
প্রতি দশ বছরে এরকম একটা করে যান মহাশুন্যের দিকে পাঠানো দরকার।

কিন্তু ২০০৮ বিশ্বমন্দার পর অন্যান্ন সংস্থার মত নাসাও তহবিল সংকটে পরে, ধারাবাহিক শাটল প্রগ্রামও বন্ধ করে দিতে হয়।
আসলে সমগ্র পৃথিবীর ফান্ড নিয়ে মানবজাতীর জন্য বড় মহাকাশ সাইন্স ফান্ড তৈরি করা দরকার।

১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: ⭕ আমি কোথায়?
ধানমন্ডি ঢাকা

⭕ সেটা আবার কোথায়?
ঢাকা বাংলাদেশ, সাউত এশিয়াতে।

⭕ এশিয়া কোথায়?
৭৯২৬ মাইল ব্যাসের একটি গ্রহ পৃথিবীতে।

⭕ পৃথিবী গ্রহ কোথায়?
উত্তর: নয়টি ছোট বড় গ্রহ সহ ৩০০কোটি মাইল ব্যাপী বিস্তৃত সৌরজগতে।

⭕ সৌরজগৎ কোথায়?
এক হাজার কোটি সৌরজগৎ নিয়ে গঠিত ৫.৭ট্রিলিয়ন বা ৫৭০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০ মাইল ব্যাপী মিল্কিওয়ে নামক একটি গ্যালাক্সিতে।

⭕ এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কি?
এরকম কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার গ্যালাক্সির সমন্বয়ে গঠিত ৪বিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল বা ৪০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০মাইল ব্যাপী গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে!

⭕ গ্যালাক্সি ক্লাস্টারটা আবার কোথায়?
এরকম কোটি কোটি ক্লাস্টার নিয়ে গঠিত সুপার ক্লাস্টারে।

⭕ এই সুপার ক্লাস্টার আবার কোথায়?
অনেক গুলো সুপার ক্লাস্টার নিয়ে গঠিত সুপার ইউনিভার্স।

⭕ সেটা কি রকম?

আপাতত নলেজে এটাই মহা-বিশ্বের একটা স্ট্রাকচার।


সুপার ইউনিভার্স !!! B:-) বাপরে বাপ........... এইসব অবিশ্বাস্য তথ্যগুলি মানুষকে নাস্তিকতা থেকে আস্তিকতার দিকে ঠেলে দিতে বাধ্য করবে। এইগুলি আপনা-আপনি তৈরী হওয়া সম্ভব নয় কোন সুপরিকল্পিত কর্মকান্ড ছাড়া। নিশ্চয়ই এর পিছনে জড়িত আছে অসম্ভব বুদ্ধিসম্পন্ন কোন সত্ত্বার সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য, চিন্তাধারা ও কর্মপদ্ধতি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইগুলি আপনা-আপনি তৈরী হওয়া সম্ভব নয়, কোন সুপরিকল্পিত কর্মকান্ড ছাড়া। নিশ্চয়ই এর পিছনে জড়িত আছে অসম্ভব বুদ্ধিসম্পন্ন কোন সত্ত্বার সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য,

আপনার ধরনা ভুল

হকিং সাহেব এব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা করে গেছেন।
প্রকৃতি ও মহাবিশ্ব গঠিত হতে কোন ঈশ্বরের দরকার হয়নি।

বিশ্বভ্রমান্ড প্রাকৃতিক নিয়মে এলোমেলভাবেই চলছে।
বিগব্যাং হয়ে ডিসইন্ট্রিগেটেড হয়েছে, পরবর্তিতে আবার কেন্দ্রিভুত হয়ে আবার মহাবিষ্ফোরন ... ছায়াপথ হয়েছে, সৌরযগত হয়েছে। আবার সব কেন্দ্রিভুত হবে আবার বিগব্যাং ... এখনো চলমান। প্রকৃতির নিয়মেই চলছে। কোথাও ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ প্রয়জন হয়নি

সৌরজগতের গ্রহগুলোর মাত্র একটি ঠান্ডা হওয়ার পর অনেক বিশৃক্ষলা একটি গ্রহ চলন্ত উল্কার সাথে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়ে এস্ট্রয়েড বেল্ট হয়ে ঘুরছে।
দৈবক্রমে একটি গ্রহ সঠিক সাইজ ও সুর্যদুরত্ত থাকায় অনেক পরে এই গ্রহটি পানি ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ গ্রহে পরিনত।
এরপর প্রানের আবির্ভাব
এসব ঘটনা গুলো প্রকৃতির সাধারন নিয়মেই ঘটেছে।
পরবর্তিতেও প্রাকৃতিক কর্মকান্ডে এপর্যন্ত ঈশ্বরের কোন হস্তক্ষেপ হয়নি বলে মনে হয়।

এর পর বাকি ব্যাপারগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই ডেভোলপ করছে। এজাবৎ বড় কোন অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়নি। কারো হস্তক্ষেপ দৃশ্বমান নেই।

বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিরামহীন গবেষনা এখনো চলছে, মানুষ এখুনি সবকিছু জেনে ফেলবে সেই সুদিন এখনো আসেনি।
তবে এজাবৎ এটা নিশ্চিত যে প্রকৃতির উপর কেউ হস্তক্ষেপ করছে না।
বিবর্তন সহ অন্যান্ন প্রাকৃতিক ব্যাপারগুলো নিয়ে বিজ্ঞানিদের মধ্যে কিছু টেকনিক্যাল টার্ম ছাড়া মুল ব্যাপারটি (বিবর্তন) নিয়ে খুব একটা বিতর্ক নাই।
এজাবৎ প্রাপ্ত মাটিখুড়ে পাওয়া প্রাচিন কংকাল, জিবাষ্ম গুলো প্রাকৃতিক স্বাভাবিক বিবর্তনগুলো সমর্থন করে।

শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে এমাইনো এসিড+পানি
তারপর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব
এরপর এমিবা
তারপর স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।
মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। বহুভাগে বিভক্ত বিলুপ্ত হয়ে .. একটি প্রজাতি প্রায় ২০ লাখ বছর আগে হোমোসেপিয়েন্সের মত প্রানীর আবির্ভাব। ধর্মহীন সমাজহীন ভাবেই ...

আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয় পায়, ভাবে কেউ কিছু করছে কিনা। কিছু চতুর বুজুর্গি দেখায়। কিছু সমাজপ্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়। এরপর সমাজ গোত্র বড় হয়, গোত্রের মাস্তান চতুররা নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, একজন তো নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! এভাবেই মুলত মানব মননে ঈশ্বরের আবির্ভাব।

বড় ধর্মগুলোর উদ্ভব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র সেদিন, দেড় হাজার বছর আগে।

তবে এটা সত্য যে সভ্যতা ও সমাজগঠনের সুরুতে ধর্মের একটা ভুমিকা ছিল, দরকার ছিল। ধুর্মের প্রয়জনিয়তা এখনো আছে। থাকবে।
কোন বিভেদ হাঙ্গামা না করে যার যার ধর্ম নিরবে পালন করে যাওয়া উচিত। আংশিক পালন বা পালন না করতে চাইলেও সমস্য নেই।
বেশির ভাগ ধর্মিও পুস্তক গুলো বিজ্ঞান এবং বিবর্তন এর ব্যাপারে খুবই অস্পস্ট, এ ব্যপারে না না ভাবে ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব।
বিশ্বাসে কোন যুক্তি খাটেনা। তাই ধর্ম থাকবে, ঈশ্বরও থাকবে।

বিজ্ঞান বিজ্ঞানের গতিতেই চলছে এবং চলবে।

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অবশেষে পৃথিবীর ন্যায় পানি সমৃদ্ধ জীবন উপযোগি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আমাদের গ্যালাক্সিতেই। তবে বহুদুর ...

GJ 357 system, located 31 light-years away in the constellation Hydra.
Astronomers confirming a planet candidate identified by NASA’s Transiting Exoplanet Survey Satellite subsequently found two additional worlds orbiting the star. The outermost planet, GJ 357 d, is especially intriguing to scientists because it receives as much energy from its star as Mars does from the Sun.
Credits: NASA’s Goddard Space Flight Center


০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এছাড়াও আরো কিছু পাওয়া গেছে।


NASA’s Transiting Exoplanet Survey Satellite (TESS) has discovered three new worlds -- one slightly larger than Earth and two of a type not found in our solar system orbiting a nearby star. The planets straddle an observed gap in the sizes of known planets and promise to be among the most curious targets for future studies.

TESS Object of Interest (TOI) 270 is a faint, cool star more commonly identified by its catalog name: UCAC4 191-004642. The M-type dwarf star is about 40% smaller than the Sun in both size and mass, and it has a surface temperature about one-third cooler than the Sun’s. The planetary system lies about 73 light-years away in the southern constellation of Pictor.

The innermost planet, TOI 270 b, is likely a rocky world about 25% larger than Earth. It orbits the star every 3.4 days at a distance about 14 times closer than Mercury orbits the Sun. Based on statistical studies of known exoplanets of similar size, the science team estimates TOI 270 b has a mass around 1.9 times greater than Earth’s.

০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এখন সময়টা বিগব্যাং হওয়ার পর 'এক্সপ্যান্ডিং কাল' চলছে, মাঝারি কাল অবস্থায়।
এতে গ্যালাক্সিগুলো কেন্দ্র থেকে ও পরস্পর থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। আরো বিলিয়ন বিলিয়ন বছর বিস্তার হবে, এরপর একসময় থামবে।
এরপর আবার কেন্দ্রমুখি গতি শুরু হবে, বিলিয়ন বিলিয়ন বছরে কেন্দ্রমুখি সব কাছাকাছি বিন্দুতে মিলিত ও আরেকটি বিগব্যাং হওয়ার অনেক আগেই সুর্য সহ তারকাগুলো নিভে যাবে, গ্যালাক্সিগুলোর তারকাগুলোও নেভা শুরু করবে।

অগ্যাত বড় কোন অঘটন না ঘটলে সুর্য ও পৃথিবী আরো ১ বিলিয়ন বছর এভাবেই থাকবে। মানব জাতী বেচে থাকবে। থাকার কথা।
কারন মানুষ মাত্র ১৫০ বছরে যে পরিমান বিজ্ঞান ও টেকনলজি রিসোর্স অর্জন করেছে, এই গতিতে চললে আগামি এক হাজার বছরের ভেতর মানুষ প্রায় অসীম সক্ষমতা অর্জন করবে। ২-৩ হাজার বছরের ভেতর মানুষ ইন্টারস্টেলার চলাচল ডালভাতের মত সহজ হয়ে যাবে। হয়ে যাবে ইন্টারস্টেলার ও ইন্টারপ্লেনেটরি বসতিও,
মিলিয়ন বছরে ব্লাকহোল বাইপাস ইত্যাদি প্রকৃতিক শক্তিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনার সক্ষমতা অর্জন হয়ে যাবে বলেই মনে হয়। ১ বিলিয়ন বছরে ক্যাপাবিলিটি কতটুকু কি হবে ... .. ধারনা করা যায় না ...

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আপডেট ৭ ই নভেম্বর ২০১৯

By Robert Lee Hotz (WSJ)
Nov. 4, 2019 11:00 am ET
The Voyager 2 probe signaled its passage into interstellar space with a cascade of data from beyond the planets, where the cold breath of stars envelops the solar system, NASA scientists reported Monday.

It was a moment 42 years in the making.

When the National Aeronautics and Space Administration launched the spindly spacecraft in 1977—one in a pair of star-bound Voyager probes—Jimmy Carter was president, Apple Computer had just been incorporated, and snow fell in Miami for the first time in memory.

Originally designed to visit Jupiter and Saturn, the probe was never meant to go so far, the scientists said. By doing so, researchers were able to get rare firsthand reports about the limits of the sun’s protective shield, the heliosphere, which blocks most damaging cosmic rays from interstellar space, gaining knowledge that overturns some long-held assumptions.

In five technical papers about the milestone published in the journal Nature Astronomy, mission scientists and engineers detailed the exotic collision of superheated solar winds and frigid currents of interstellar space in a zone where the sun’s protective bubble of influence fades away.

That solar boundary, called the heliopause, is created by intersecting magnetic fields, streams of cosmic rays from deep space and bursts of charged atomic particles from the sun.

When the hotter but more tenuous material of solar particles plows into the cooler, denser substance of the space between the stars, it creates a bow wave like the prow of a speeding sailboat approximately 11 billion miles from the sun, the scientists said.

“There was a time 50 years or so ago when people thought that the solar wind would get gradually whittled away or dissipated as it propagated into interstellar space,” said physicist Edward Stone, Voyager’s project scientist at the California Institute of Technology. “In fact, there is a very, very sharp boundary there.”

বিস্তারিত এখানে

view this link

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
Researchers at the University of Iowa report that the spacecraft Voyager 2 has entered the interstellar medium (ISM), the region of space outside the bubble-shaped boundary produced by wind streaming outward from the sun. Voyager 2, thus, becomes the second human-made object to journey out of our sun's influence, following Voyager 1's solar exit in 2012.

In a new study, the researchers confirm Voyager 2's passage on Nov. 5, 2018, into the ISM by noting a definitive jump in plasma density detected by an Iowa-led plasma wave instrument on the spacecraft. The marked increase in plasma density is evidence of Voyager 2 journeying from the hot, lower-density plasma characteristic of the solar wind to the cool, higher-density plasma of interstellar space. It's also similar to the plasma density jump experienced by Voyager 1 when it crossed into interstellar space.

"In a historical sense, the old idea that the solar wind will just be gradually whittled away as you go further into interstellar space is simply not true," says Iowa's Don Gurnett, corresponding author on the study, published in the journal Nature Astronomy. "We show with Voyager 2—and previously with Voyager 1—that there's a distinct boundary out there. It's just astonishing how fluids, including plasmas, form boundaries."

Phys.org NOVEMBER 4, 2019
view this link

১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হাসান কালবৈশাখী ভাই,
করেছেন কি? আপনি তো বিশাল ব্যাপার তুলে ধরেছেন।
দুই তিনবার পড়তে হবে একবার পড়ে সব বুঝা যাবে না। সাথে সকল মন্তব্য আর উত্তরও।
ধন্যবাদ নিন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।
ছোটকালে স্কুলে থাকতে এষ্টোনমি, নাসার মহাকাশ অভিযান, সোভিয়েটদের স্পেসে অভিযান ইত্যাদিতে প্রচুর আগ্রহ ছিল।
একসময় অনেক বইপুস্তক সংগ্রহ করেছিলাম।
ভাবলাম এখন আমার কিছু লেখা উচিত। ধন্যবাদ।

১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:

আপনার লেখাটি বড় হলেও অনেক তথ্য বহুল।
সবটা লেখেই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।
খুব ভাল লিখেছেন।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ আলী আকন্দ ভাই।
কষ্টকরে লেখাটি পড়েছেন। ভাল লাগলো

১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

হাসান রাজু বলেছেন: আমি শিহরিত ।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।

২০| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: অন্য একজনের পোষ্টে আপনার লিঙ্ক দেখে ডুকলাম। অসাধারন বিষয়। আমারো এই নিয়ে দুই পর্বের এক লেখা আছে। আমার খুব পছন্দের টপিক। লেখায় ভালো লাগা জানবেন হাসান ভাই।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ শের শায়রী ভাই।
আপনার ব্লগে পোষ্টে দুই পর্বের লেখাটি খুজে পেলাম না। লিঙ্ক দিলে ভাল হয়।

২১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি যতই পড়ছিলাম ততই বিস্মিত হচ্ছিলাম !!!
এখন ঝিম মেরে বসে আছি।
পোস্টটি প্রিয়তে রাখলাম!

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভয়েজার নিয়ে আরো একটি পোস্ট পড়ছিলাম ফেইসবুকে অনেক আগে। ঐটাও খুব তথ্যবহুল লেখা ছিল। আপনার মন্তব্য গুলোর উত্তর বেশ ভালো লেগেছে।

২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অসাধারণ বিষয়। চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন।বিস্ময়কর !! সত্যিই বিস্ময়কর।

পোস্ট প্রিয়তে ++

২৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ৪০ বছর আগে আমি ঢা বি'র শেষ পর্বে । খুব আগ্রহ নিয়ে সংবাদ পত্রিকা পড়তাম এই রেকর্ডকৃত ডিস্ক নিয়ে যাতে বাংলা ভাষাও যুক্ত আছে । ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞানের এইসব কার্যক্রম বড্ড বেশি টানত কিন্তু গ্রুপ গড়ে উঠত না বরং ০০৭ বা ছায়াছবি অথবা মস্কো পন্থী গ্রুপ ছিল কিন্তু বিজ্ঞান মনস্ক গ্রুপ একদম কম । এখন অফুরন্ত সুযোগ নেটে । নাসার মেম্বার আমি । মঙ্গল নিয়ে এক দুটো পেইন্টিং পরিকল্পনা করেছে আকব বলে ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ আজিজ ভাই।
আমি বেরশিক বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও আপনের সাথে আমার মিল আছে।
মঙ্গল নিয়ে পেইন্টিং পরিকল্পনা করেছেন শুনে খুব ভাল লাগলো।

২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। পোস্ট প্রিয়তে++

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ দেয়ালিকা বিপাশা।
কবি হয়েও কাটখোট্টা বিজ্ঞানের পোষ্ট পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল ও সুন্দর পোস্ট। অনেক শ্রম দিয়েছেন এটার পিছনে।

ভিনগ্রহ বাসীদের পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার পাশাপাশি জীনদের ভাষায় শুভেচ্ছা জানানো উচিত ছিল। কোন জবাব হয়তো আসত এতদিনে !!!:)

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ। লম্বা লেখাটি পড়ে দেখার জন্য।
আর জীনতো মর্তেই থাকে, ইনসানের উপর আছর করে।

২৭| ২২ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছিলেন! প্রায় চার বছর পর এসে এই পোস্ট পড়ে থ' হয়ে গেলাম!
পোস্টের এক-চতুর্থাংশ পড়েই মাথা ঘোরা শুরু হয়েছিল। কিছুটা আত্মস্থ হবার জন্য ভাবলাম, যাই, নীচের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো একটু পড়ে দেখি, অন্যান্যদের কী অবস্থা! ১ নং মন্তব্যের দ্বিতীয় প্রতিমন্তব্যটি পড়ে তো মাথাটা এখন বনবন করে ঘুরছে। তাই আপাততঃ ক্ষান্ত দিচ্ছি, আবার পরে এসে পুরোটা পড়বো।
"কী ঘর বানাইলাম আমি শূন্যেরই মাঝার" - বিজ্ঞান বা সৌরজগত স্টাডি না করেও চিরকালের জন্য আমার অন্তঃস্থ একটা ভাবনা মাঝে মাঝে আমার মননে ভেসে ওঠেঃ শূন্যের মাঝে আমাদের বসবাস, শূন্যপানেই পলে পলে ছুটে চলেছি!
আপনার এ পোস্টের আমি ১১০০তম পাঠক হয়ে রইলাম। ১৯তম প্লাস দিয়ে গেলাম, যদিও এ পোস্টে আরও অনেক বেশি প্লাস আসা উচিত ছিল। দ্বাদশতম "প্রিয়" তালিকায় তুলে রাখা পাঠক হিসেবে চিহ্ন রেখে গেলাম।

২৮| ২২ শে জুন, ২০২২ সকাল ৭:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তাই ভাবলাম আমার কিছু লেখা উচিত" - বিজ্ঞানের একজন ছাত্র এবং অনুরাগী চিন্তক হিসেবে আপনি অসাধারণ একটি দায়িত্ব পালন করে গেছেন এ পোস্ট লিখার মাধ্যমে। আপনাকে অভিনন্দন!
ভয়েজার-১ ৬২০০০+ কি.মি/ঘণ্টা গতিতে গত ৪৫ বছর ধরে ছুটে চলেছে, এবং "কেউ ধরে না ফেললে বা কোন কিছুর সাথে ধাক্কা না খেলে আরও ৬০০-৭০০ বছর বা তারও বেশি বছর ধরে চলবে" - এ কথাটা পড়ে মাথায় চিন্তা আসে, এ গতির শেষ কোথায়, গন্তব্যই বা কোথায়? শেষ মেষ সবই কি শূন্যে?
তাপের উচ্চতম ও নিম্নতম মাত্রাকে সহনশীল করে গড়া ভয়েজার ১&২ এর গোল্ড-এলয়ে সংরক্ষিত/রেকর্ডকৃত এ জগতের মানুষের বাণী ও বৈজ্ঞানিক সংকেতসমূহ (যা কয়েক বিলিয়ন বছর অক্ষত থাকবে বলে আপনি উল্লেখ করেছেন) হয়তো আমরা গতায়ু হবার কোটি কোটি বছর পরে হলেও, কোন উন্নত বুদ্ধিসম্পন্ন এলিয়েনের হাতে পড়বে এবং তারা এ জগতের মানুষের সাথে সেতুবন্ধন গড়তে উদ্যোগী হবে, বিস্ময়কর এ কথাটা ভাবতেও শিহরিত হই, সেই সাথে উল্লসিতও। এগিয়ে যাক মানুষের অগ্রযাত্রা, বিস্ময় পরাভূত হোক মানুষের নিরন্তর ঔৎসুক্যের কাছে, অনন্ত অধ্যবসায়ের কাছে!

২৯| ২২ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের জন্য ভয়েজার-১ এর ছবি পাঠানোর সক্ষমতা থাকার কথা ছিল ২০২০ পর্যন্ত। এখন তো ২০২২, এখন কী অবস্থা?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সরি খায়রুল আহসান ভাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যগুলো অনেক দেরিতে নজরে এলো।
সৌরযগত ঘিরে বিশাল এলাকা নিয়ে অদৃশ্ব ওর্ট ক্লাউড। একচুয়ালি এটি ক্লাউড নয়, অনু পরমানুর চেয়েও ছোট ছোট কিছু পার্টিকেল কিন্তু ৬৩ হাজার কিলোমিটার পার আওয়ার গতিতে চলা ১ টন ওজনের ভয়েজারের পার্টিকেল সেন্সর আছে। পার্টিকেল সেন্সর দিয়ে ভয়েজারের গতি অব্যাহত আছে কি না জানা যায়, ৪৭ বছর পরেও ব্যাটারি এখনো টিকে আছে, ডাটা পাঠাতে পারছে তবে এই
63k KMPH গতিতে চললেও Oort Cloud বেল্ট পার হতে আরো ৩০০ বছর লেগে যাবে ভয়েজার ওয়ানের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.