নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম মেহেদী হাসান

এম। মেহেদী হাসান

আম জনতার কাতারের লোক আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র হওয়ায় টুকিটাকি লেখি আর কি

এম। মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেবে নিন কি লিখছেন?

১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার যত গুলো আইন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম আইন হলোঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬।
---------------------------------
এই আইনের ৫৭ ধারাটি যদি মাথায় না রেখে আপনি কিছু প্রকাশ করেন তার ফল কি হতে পারে এক বার দেখে নেয়া যাকঃ

ধারা ৫৭ঃ
(১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি
১ [ অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
---------------------------------
আইনটির ইন্টারপ্রিটেশনে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করার নিয়ম রয়েছে। এবং এই আইনের আওয়ায় কোনো মামলায় এখন পর্যন্ত জামিন দেয়া হয় নি।
তাই কি লিখছে একবার হলেও ভেবে নিন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ৫৭ ধারা মুক্তকন্ঠকে গলা টিপে ধরার এক পন্থা।
৫৭ ধারা বাতিল চাই

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৪

এম। মেহেদী হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এটা সংবিদানের অনুচ্ছেদ ৩৯ এর পরিপন্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.