![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরেন্দ্রনাথ বড় ঘরের সন্তান ছিল। উচ্চ শিক্ষার জন্য সে কলিকাতা এসেছিল। বাসনা ছিল একদিন বিলাতে যাবে । কিন্তু ঘটনাক্রমে সে কলিকাতায় এসে আর্থিক দুর্গতির মুখোমুখি হয়। তার এক বন্ধু পরামর্শ দিল ব্রজবাবু জমিদারের কাছে গেলে একটি গতি হতে পারে।
কাজের সন্ধানে সুরেন্দ্রনাথের ব্রজবাবু জমিদার বাড়ি যাবার ঘটনার একটি চমৎকার বিবরন রয়েছে বড়দিদি উপন্যাসে। গত ছয় বছর ধরে বিএনপির আন্দোলনের হাকডাক আর গতিপ্রকৃতি দেখে আমার কলেজ জীবনে পড়া সেই বিবরনের কথা মনে পড়ল।
বিবরনটি নিম্নরূপ
সুরেন্দ্রনাথ ফটকের কাছে আসিল। একবার দাড়াইল, আবার পিছাইয়া গেল, আবার ফিরিয়া আসিল-আবার গেল। সেদিন আর কিছু হইলনা। পরদিনও ঐরূপ করিয়া কাটিল। দুই দিন ধরিয়া সে ফটকের নিকট উমেদারি করিয়া তৃতীয় দিবসে সাহস সঞ্চয় করিয়া ভিতরে প্রবেশ করিল। সম্মুখে একজন ভৃত্য দাড়াইয়া ছিল। সে জিজ্ঞাসা করিল, “কি চান?”
“বাবুকে---”
“বাবু বাড়ী নেই।”
সুরেন্দ্রনাথের বুকখানা আনন্দে ভরিয়া উঠিল। একটা নিতান্ত শক্ত কাজের হাত হইতে সে পরিত্রান পাইল। বাবু বাড়ী নাই! চাকরির কথা, দু:খের কাহিনী বলিতে হইলনা। ইহাই তাহার আনন্দের কারণ। তখন দিগুন উৎসাহে ফিরিয়া গিয়া, দোকানে বসিয়া, পেট ভরিয়া খাবার খাইয়া, খানিক্ষন সে মনের আনন্দে ঘুরিয়া বেড়াইল, এবং মনে মনে রীতিমত আলোচনা করিতে লাগিল যে, পরদিন কেমন করিয়অ কথাবার্ত্তা কহিতে পারিলে তাহার নিশ্চিত একটা কিনারা হইয়া যাইবে।
পরদিন কিন্তু উৎসাহটা তেমন রহিলনা। বাড়ীর যত নিকটবর্ত্তী হইতে লাগিল, ততই তাহার ফিরিয়া যাইবার ইচ্ছা হইতে লাগিল। ক্রমে ফটকের কাছে আসিয়া একেবারে সে দমিয়া পড়িল-পা আর কোন মতেই ভিতরে যাইতে চাহে না! আজ তাহার কিছুতেই মনে হইতেছেনা যে, সে নিজের কাজের জন্যই নিজে আসিয়াছে-ঠিক মনে হইতেছিল, যেন জোর করিয়া আর কেহ তাহাকে পাঠাইয়া দিয়াছে।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০১
প্রফেসর মরিয়ার্টি বলেছেন: রূপকের মাধ্যমে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
আনোয়ার ভাই বলেছেন: হা হা হা । দারুন।