![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছাত্ররাজনীতির ঘৃন্য চেহারা দেখেছি বহুকাল ধরে। খুন, লাশ, দখল, পাল্টা দখল, বন্দুকবাজি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, চুলাচুলি, সিট দেয়ার জন্য নেতাদের মেয়ে সাপ্লাই, অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা, অবিলম্বে হল ত্যাগের নির্দেশ এই তো দেখে এসেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন কলেজে বছরের পর বছর ধরে ছাত্ররাজনীতির নামে। নিজেদের আসল পরিচয় হারিয়ে ক্ষমতা দখল আর ক্ষমতা রক্ষায় রাজনৈতিক দলের গোলামগিরির নিকৃষ্ট ছাত্ররাজনীতির সাথেই আমাদের পরিচয় এতকাল ধরে। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বড় বড় কলেজগুলো আজো এই কলঙ্কিত ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা হয়ে আছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নষ্ট এ ছাত্ররাজনীতির বিপরীতে আজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেখিয়ে দিল সত্যিকারের ছাত্ররাজনীতি কী এবং কাকে বলে। নিছক নিজেদের স্বাথে সংঘবদ্ধ হয়ে যাওয়া এবং বৃহত্তর স্বাথে দাবি আদায় করার জন্য মরণপণ প্রতিজ্ঞা করে । এর জন্য নেতা লাগেনা, কর্মী লাগেনা, বন্দুকের ভয় দেখিয়ে হলের গেট বন্ধ করে মিছিল করতে বাধ্য করা লাগেনা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের।
ধন্যবাদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এই আন্দোলনে কোন না কোন পর্যায়ে শরীক হয়েছে তাদের সবাইকে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরেকটি ধন্যবাদ পাবে যদি- তাদের নিয়ে তাদের মালিকরা যে অতি ব্যবসা এবং লুটপাট করছে তার বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে। অতিরিক্ত টিউশন ফি আদায়ের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তাদের এভাবে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা উচিত বলে আমি মনে করি।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
মামু১৩ বলেছেন: "অতিরিক্ত টিউশন ফি আদায়ের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তাদের এভাবে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা উচিত বলে আমি মনে করি। "---এইবার আসল জায়গায় এসেছেন। এই উপলব্ধি যাতে কার্যকর না হয়, সে জন্য সময় মত আন্দোলনকে থামানো হয়েছে। অতিরিক্ত টিউশন ফি-এর আন্দোলন এত সহজ হবে না। বহিষ্কার, রাস্তায় গুলি করা হবে। সরকারের, সমাজের অনেক কর্তা ঐ ব্যবসায় জড়িত। এই আন্দোলনে যদি সফল হন, তাহলেই জাতি আপনাদের সম্মান করবে।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
মন মণষা বলেছেন: @মামু১৩: ভাই, ওদেরকে জাতীর বাইরে ভাবছেন কেন? যত টুকু হয়েছে তাতেই জাতী সম্মান বোধ করছে। এটলিষ্ট আমরা বলতে পারছি যে আমরা অহিংশ আন্দোলন করেও দাবী আদায় করতে পারি...যে টুকু অর্জন অন্তত সে টুকু এপ্রিসিয়েট করুন...
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
Bangladeshi Moinul বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত হতে পারছি না।
অবশ্যই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এ আন্দোলন প্রশংসনীয়।
কিন্তু ঢালাওভাবে আপনি যে ছাত্ররাজনীতির অপব্যাখ্যা করলেন তা কিন্তু ঠিক না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাত্ররাজনীতির কারণে খারাপ হয়েছে, কথা সত্যি, কিন্তু সে খারাপ কাজের তুলনায় ছাত্ররাজনীতির ভাল দিক অনেক বেশি। আপনি শুধুমাত্র খারাপ দিকটাই দেখেছেন, কারণ এদেশের সংবাদ মাধ্যম বা সুশীলেরা আপনাকে তা ই দেখিয়েছে। আমি ছাত্ররাজনীতিকে খুব কাছ থেকে দেখে আসছি গত কয়েকবছর থেকেই। ছাত্ররাজনীতির বহু ভাল কাজ আমি দেখেছি, যা কিনা কখনোই সংবাদ মাধ্যমে আসে না। আর যা ও দুই একটা আসে, তাও খুব ভাল ভাবে প্রচারও করা হয় নাই। আমি দেখেছি, আমার হলের পুকুর পাড়ে অশ্লীল ভাবে বসে থাকা কপোত কপোতীদের শ্লীলতা আনার জন্য বুঝিয়ে বলতে গেলেও তারা ছাত্র রাজনীতির উপরই দোষারোপ করেন। আবার সংবাদ মাধ্যম গুলো তো আরও আগেই শুরু করে এ অপপ্রচার। সমাজে (সমাজের কথা না বলতে চাইলে বলব, কারও ঘরের দরজার সামনে) শ্লীলতা আনার জন্য কাজ করা, এইটা কি ভাল কোনো উদ্যোগ নয় কি?? গতকাল সকালবেলায়ও আমার হলের ছাত্র নেতা ভাইয়েরা হলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়ে সেটা সম্পন্নও করেছে। কই সংবাদ মিডিয়ায় তো সে খবর আসে না কোনোদিন!! এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট বাতিল করার জন্য গত শনিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভাইয়েরাই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছে জোড় গলায়। কই? ছাত্রলীগের এ গুণগান তো গাইল না কেউ!!! আসলে আমরা কোনো একজনকে ধরে ধরে শুধু নিচে নামাইতেই জানি। তার প্রসংশা করার কথা চিন্তাই করি না। চলেন আমরা খারাপ কাজের নিন্দা না করে, বরং সেগুলো থেকে কিভাবে উত্তরণ করা যায় তার পরামর্শ দেই ঠান্ডা মাথায়। আর অপর ভাইকে কিছুটা হলেও প্রশংসা করি, এতে তার ভাল কাজের স্পৃহা বাড়বে। একচেটিয়া ছাত্ররাজনীতির দোষ বলাও কিন্তু ঠিক না। এটা আমাদের মাথায় থাকা উচিত।