নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় বড়ই আনমনা........

এম এম কামাল ৭৭

উত্তরণের পথে..

এম এম কামাল ৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের আন-অফিসিয়াল নাস্তা ..........

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫





আমি একটা অফিসের আই.টি বিভাগে কাজ করি। চার তলা ভবনের চতুর্থ তলায় দুইটি বিভাগে মোট কর্মরত ১৮ জন। হাসি আনন্দের মাঝে কেটে যায় আমাদের অফিস সময়। আমাদের আই.টি শাখার কাজ গুলো রুটির মাফিক এবং এক ঘিয়েমি টাইপের। তবে কারো ডাটা এন্ট্রি বা প্রসেসিং এ ভুল হলে এর ফলাফল অনেক দুর পর্যন্ত গড়ায়। কাজ করতে করতে ১১টা/ সাড়ে ১১ টার দিকে পেটটা খিদায় একটু মোচড় দিয়ে উঠে। ক্ষুধা পেটে কাজ ঠিক মত আগায় না, পিয়ন বাদে আমরা সবাই মিলে একটা ফান্ড তৈরী করলাম। ফান্ড ম্যনেজমেন্টের দায়িত্বে একজন থাকলেন, আমাদের টেবিলে সময় মত হালকা নাস্তা চলে আসলো। যাক একটা সমস্যার সমাধান হলো। বিভিন্ন অফিসে অফিসিয়ালি নাস্তা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের অফিসে না থাকায় নিজেদেরই ব্যবস্থা করে নিতে হয়েছে।



এই কথা যখন লিখছি তখন আমার পুরানো অফিসের কথা মনে পড়লো। সেই অফিসের পরিসর অনেক ছোট ছিল, তবে এমন নাস্তার পাশাপাশি কোন কোন দিন বোনাস নাস্তার ও ব্যবস্থা হতো। বিশেষ করে আমাদের আপারা এই বিষয়ে অগ্রগামী ছিল। আমরা ছেলেরা পিছিয়ে থাকতাম।



অনিমা আপা পূজার সময় নাড়ু, বাতাসা, মিষ্টি, দই কত কিছু আনতেন। বেচারা বাসে আসতেন আর বড় টিফিন বাটিতে করে কত কষ্ট করে এসব আনতেন। এখন ভাবলেও কেমন অবাক লাগে। মৌসুমী আপার বাড়ি মেহেরপুর, তিনি আনতেন আম, কাঠাল, মিষ্টি। শায়লা আপা অনেক গুলো পায়েশ রান্না করে আনতেন। আমাদের ভাই থাইল্যান্ড বা চীনে গেলে বিদেশী ফল ও জুটতো। সাহিদা আপা তার এলাকার স্পেশাল রস মালাই নিয়ে আসতেন। এ ছাড়া তার হাতের নুডুলস্ রান্না ছিল অসাধারন। নাস্তার কিছু উদ্ভট এক্সপেরিমেন্ট ও তিনি করতেন। একদিন করলেন কলিজা ভুনা দিয়ে মুড়ি মাখা, সাথে শসা আর টমেটো কুচি। ওহ্ সেই স্বাদ যেন এখনো মুখে লেগে আছে। এর পর তিনি সবাইকে কফি খাওয়ানো শিখালেন। সবার এমন নেশা হলো যে এর জন্য আমরা আলাদা বাজেট রাখতে শুরু করলাম।



এগুলো বেশ কিছুদিন আগের কথা, তার পরও মনে হয় এইতো সেই দিনের ঘটনা। আসলে ছোট ছোট স্মৃতি মানুষের সম্পর্ককে অটুট রাখে। যে আপাদের নাম বললাম তারা এখন বিভিন্ন অফিসে, আমিও বদলী হয়ে গুলশান অফিসে চলে এসেছি। তারা সবাই ভাল আছেন।



বর্তমান গুলশান অফিসের মুন্নী আপা নিহারী, পরটা আর নুডুস্ রান্না করে নিয়ে আসেন। অসাধারন টেস্ট। শরীফুন্নেসা আপা বিভিন্ন ফল নিয়ে আসেন। জেসমিন আপা পায়েস, পিঠা নিয়ে আসেন। এই তো কিছুদিন আগে তার একটা ডি.পি.এস এর মেয়াদ পুর্ন হওয়ার খুশিতে ইগলু আইসক্রিম খাইয়েছেন। এক ঘিয়েমি কাটানর জন্য আমরা এখন জন্মদিন পালন শুরু করেছি।



চল্লিশ এর মধ্য বয়সি থেকে ২৫ বছরের নুতন যুবক সবাই আমরা অফিস টাইমটা এনজয় করছি। একই সাথে লক্ষ্য রাখি যেন কাজের কোন ক্ষতি না হয়। একজনের সাথে অন্য জনের বোঝা-পড়া অনেক চমৎকার। সুখ খোঁজার জন্য আমরা কত দুরই না যাই, কিনবা কত কিছুই না ভাবি, সুখ আনন্দ যে একেবারে আমাদের হাতের নাগালে তার সন্ধান কত জনই বা করি? আমাদের এই পরিবারের জন্য সবাই দোয়া করবেন।



জন্মদিন পালন নিয়ে অভিজ্ঞতা আর একদিন লিখবো।



সালেহ্ ভাই এর জন্মদিনেঃ





তার জন্য সামান্য উপহারঃ





মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১

কাউসার রানা বলেছেন: শুভ জন্মদিন সালেহ্ ভাই। আর সবাইকে খুব সুখী মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সালেহ্ ভাই এর জন্ম দিন গত ২৩ তারিখে পালন করেছি। আগামী মাসে ৩ জনের জন্ম দিন। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

সািহদা বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন । আপনার লিখাটা পড়ে আমার চোখে কোণে পানি চলে এসেছে। অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে এসেছে। আমার সব চেয়ে প্রিয় বান্ধবীদের কথা মনে পড়ছে। লিখতে গিয়ে ওদের সাথে কথা বললাম ভালো আছে সবায়।

অবশ্য আমি এখন যে অফিসে আছি এখানে শুধু রবটের মত কাজ করতে হয় আগের মত এখানে সেই পরিবেশ নেই। মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই নাস্তা নিয়ে আসি। আজ নাস্তা হলো “ চানাচুর জাল মুড়ি” ।

আসলে কাজের চাপে অনেক সময় সবায় প্রিয় মানুষদেরকে ভুলে যায়

কাউকে ভুলে থাকার জন্য সব থেকে বড় ১টা উপায়
হচ্ছে নিজেকে কাজের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখা, কিন্তু
সত্যি কি নিজেকে ব্যস্ত রাখলে প্রিয়
মানুষটাকে ভূলে থাকে যায়..?


ভালো থাকবেন। আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমি মন থেকে চাচ্ছি ইস যদি আগের সেই সময় ফিরে যেতে পারতাম !!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন:
এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে কি যে ভাল লাগছে। আপা কাজের চাপ তো থাকবে, সেই ফাঁকেই আপনার বান্ধবীদের খোজ নিবেন। দেখবেন নিজেকে একা মনে হবে না। একটু চেষ্টা করলেই আমরা কাজের পরিবেশ অনেক সুন্দর করতে পারি। সহকর্মীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি। অফিসটাকে তখন বন্দীশালা, বা নিজেকে রোবট ও মনে হবে না। আপনাদের জন্য দোয়া করছি। ভাল থাকবেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: বাহ্ চমৎকার লাগলো আপনার এই কাজের পরিবশে দেখে।

আসলে এভাবে কাজ করলে অফিসে থাকতে ইচ্ছে করে, আমার অফিসেও পরিবেশ ভালই, তবে ঠিক এরকম নয়।

আপনার অফিস গুলশান কোথায় ?

আমার অফিস গুলশান-০১ এ।

আমার কাজও আইটি বিভাগে :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: আমার অফিস গুলশান-০১ এ। বিদুৎ অফিস ’ডেসকো’ চলে আসুন এক দিন। কথা হবে, আড্ডা ও হবে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ, এস.কে.ফয়সাল আলম ভাই।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত সুন্দর করে সব লিখেছেন ...
আমার ও খুব ইচ্ছে করছে এখন আমার ছেড়ে আসা কলিগ দের নিয়ে লিখতে ,সবচাইতে ছোট হবার কারনে কি পরিমান আদর যে পেতাম ।বিশেষ করে আমার প্রথম মা হবার সময়টা তে আমি উনাদের এতখানি যত্ন পেয়েছি বলার না।
দূরে চলে এসছি কার সাথেই তেমন করে যোগাযোগ নেই ,কিন্তু মনের মণিকোঠায় ঠিক রয়ে গেছেন সবাই ।

নস্টালজিক হলাম ভাল ও লাগলো :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: আপা আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো। আমরা দিনের একটা বড় সময় অফিস কলিগদের সাথে কাটাই। আমাদের পরিবেশটা আন্তরিক হলে কত কিছু সহজ হয়ে যায়। আপনার নিজের কথাও লিখেছেন, আপনার সহকর্মীদের প্রতি আমার সম্মান রইল। ভাল থাকুন সব সময়।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

জিউরানা বলেছেন: ভালো লাগলো...

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১০

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

না পারভীন বলেছেন: পবিত্র ঈদুল আযহার ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আপনার জীবণ --- ঈদ মোবারক কামাল ভাই । :) অনেক সুন্দর একটা ঈদ হোক ।।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: নিজেকে অনেক সম্মানিত েবাধ করছি। আপা আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

এহসান সাবির বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাই!

১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: অনেক দেরীতে উত্তর দিলাম, তার পরও অনেক অনেক শুভেচ্ছা এহসান সাবির ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.