নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদ মিনারে ভাঙচুর, পতাকা ছেঁড়া, অ-আ-ক-খ সজ্জিত বর্ণমালা বৃক্ষ ছিন্নভিন্ন করে ফেলা, এসব হবার জন্যই কি গতকাল প্রজন্ম চত্বর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো? শাহবাগের ভাইদের ওপর কি সেই ভুঁতে আছড় করেছিলো? গণজাগরণ মঞ্চে এরকম কিছু নমুনা গতকাল দেখা গিয়েছিলো।
সমাবেশ শেষ, আলটিমেটাম এবং কর্মসূচি ঘোষণাও শেষ। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনতা যখন ৩ ঘণ্টা অতিক্রান্ত পরও প্রজন্ম চত্বর ছাড়ে নি, তখন কি বুঝতে হতো না? জনগণের আন্দোলনকে কেন জনগণের সম্মতি ছাড়া স্থগিত করা হলো? এটি দেশব্যাপী জেগে ওঠা তারুণ্যের চেতনার সাথে অবিচার করা হলো না?
কতটুকু সাফল্য অর্জিত হয়েছিলো যে, আন্দোলন শিথিল করতে হবে? কী পেয়েছি আমরা? ৬ দফার কত দশমিক দাবি পূরণ হয়েছে?
জামাত শিবিরের ভাঙচুর আর মানুষ হতাহত করার চেয়ে কি শাহবাগের মোড়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত রাখা উত্তম নয়?
প্রথমবার যখন মিছিলের সময় ৭ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা হলো, সেদিনই একজন সহব্লগারকে প্রাণ হারাতে হলো। এবারের শৈথিল্যে সারাদেশের গণজাগরণ মঞ্চ আক্রান্ত হলো। নাকি সুরে কথা বলে জনগণের আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না। জনগণের আস্থা নিয়ে ছিনিমিনি খেললে, এর চড়া মূল্য দিতে হবে।
এই দ্বিতীয়বারের মতো শাহবাগে ফিরে আসা হলো। আবারও ফিরে আসার ডাক। এখন আর তাড়াহুড়া নয়। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ সাধারণের জন্য সাময়িক অসুবিধা করবেই। সংগ্রামী জনতা সেটি মেনে নিয়েই ১৭ দিন সঙ্গে থেকেছে। জাগ্রত জনতা এবার আর ঘরে ফিরে যেতে চায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
এম ই জাভেদ বলেছেন: মাইনুল ভাই, সহ মত। শাহবাগ ছেড়ে না গেলে আমাদের জামাত শিবিরের এই তাণ্ডব দেখতে হতোনা।