নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী। শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার এবং নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার জন্য কাজ করি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে কৌতূহলী।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজপুত্রদের আবির্ভাব ও প্রত্যাবর্তন আমাদের জন্য কী নিয়ে আসছে? মাঈনউদ্দিন মইনুল।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

বঙ্গভূমির রাজপুত্ররা হাঁটিহাঁটি পা পা করে আসতে শুরু করেছেন। কেউ এসেছেন, কেউ আসবেন। কারও আবির্ভাব, আবার কারও প্রত্যাবর্তন। এরই মধ্যে আলোচনা সমালোচনা মূল্যায়ন বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক ধামাধরাদের মধ্যে, কে আগে শুভেচ্ছা জানাবে, এ নিয়ে। রাজবংশ অনুযায়ি তারা একে অন্যের প্রতিপক্ষ। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু না হলেও, বাকি কিছু নেই। একপক্ষের নেতা বললেন, আমাদের যুবরাজ রাজনৈতিক দিক দিয়ে অন্যজনের চেয়ে অনেক এগিয়ে। অন্যপক্ষের এক নেত্রী বললেন, আমাদের যুবরাজ তো অশিক্ষিত নন অথবা তার কোন দুর্নামও তার নেই। তাদের আলোচনা থেকেই বুঝা যাচ্ছে, একজনের শিক্ষা কম, এবং অন্যদের অভিজ্ঞতা কম। এই ‘কম কম’ নিয়ে জাতি কোথায় যাবে এবার?



রাজনৈতিক নেতারা হলেন জাতির পথপ্রদর্শক। অতএব, যুবরাজদের সম্পর্কে তাদের মন্তব্য যদি জনগণ গ্রহণ করে, তবে আপাতদৃষ্টিতে কেউই রাজনীতির মাঠে বিচরণ করার উপযুক্ত নন। অভিজ্ঞতা যার আছে, তার দুর্নামও আছে এবং তা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা সমর্থিত। তিনি বঙ্গভূমিতে ‘অলটারনেটিভ পাওয়ার হাউজের’ কুখ্যাত প্রবর্তক, যিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি না হয়েও নির্বাচিত সাংসদ এবং মন্ত্রীদেরকে নাকে রশি লাগিয়ে ঘুরিয়েছিলেন। তাছাড়া দশমাংশ বা বিজলি বাতির খুঁটির কথা নাই বা বললাম।



অন্যদিকে অনভিজ্ঞ যুবরাজ ‘আমার কাছে তথ্য আছে’ শীর্ষক বক্তৃতা দিয়ে ইতিমধ্যেই ‘অনভিজ্ঞতার’ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফেলেছেন। শুনতে পাচ্ছি, তিনি সুদূর আম্রিকা থেকে এক অধ্যাপক নিয়ে আসতেছেন, আসন্ন নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা করার জন্য। কেউ কেউ বলছেন, তিনি তার পিতৃভূমি থেকে নির্বাচন করবেন। বিগত নির্বাচনে তিনি নেপথ্যে থেকে পরিচালনা দিয়েছেন, এবার পরিচালনা দেবেন সামনে থেকে! ‘সামনে’ আর ‘পেছনে’ কিন্তু দু’টি বিপরীত বিষয় – কার্যকারিতাও বিপরীত হবার সম্ভাবনা আছে! তার বিষয়ে আর কোন তথ্য না থাকায় এর বেশি মূল্যায়ন করা অবিচার হবে।



ওদিকে নির্বাচন কমিশন তার গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তৃত্ব নিজ হাতেই ছেঁটে দিয়ে নিরপেক্ষ জনতার মনে সৃষ্টি করেছে বিভান্তি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্যাখ্যা হলো, এটি নাকি থাকলেও ব্যবহার করার সুযোগ নেই। বাড়িতে বন্দুক থাকলে, তার ব্যবহার না করলেও নাকি উপকারীতা অনেক। কথাটি বললেন, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসেন। তাহলে কী হতে যাচ্ছে এই বঙ্গভূমিতে? একে তো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, তার মধ্যে আবার ক্ষমতাহীন নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে একটা ধোঁয়াটে ভবিষ্যত আমাদের সামনে পড়ে আছে!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তার আনারী বক্তব্য নিয়েও কথা ওঠেছে। তার বিদেশী বধু তার জৌলুস বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে তার যোগ্য বধু ছিলনা!!!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “ বাংলাদেশে তার যোগ্য বধু ছিলনা!” -হাহাহাহা


শুভেচ্ছা জানবেন সেলিম আনোয়ার ভাই :)

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: রাজপুত্রদের আগমন এনেছে নতুন সম্ভবনা । বিশেষ করে পত্রিকা, টকশো , কার্টুনিস্ট, রসিক সমাজ এবং কলাম লেখকদের জন্য অফুরন্ত টপিকস ! B-) B-)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: =p~ =p~ B-) :P

দারুণ বলেছেন, প্রিয় আদনান শাহরিয়ার!

শুভেচ্ছা জানবেন!

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মুর্খ দেশের শিক্ষা অভিজ্ঞতা বিহীন জনগণের জন্য শিক্ষা অভিজ্ঞতা বিহীন রাজপুত্রদেরই প্রয়োজন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কথা ঠিক :)

ধন্যবাদ *কুনোব্যাঙ*

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সব মিলিয়ে একটা ধোঁয়াটে ভবিষ্যৎ আমাদের সামনে পড়ে আছে" - সে ভবিষ্যৎটা এতদিনে অতীত হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে আরেকটা অধিকতর ধোঁয়াটে ভবিষ্যৎ আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ভাগা দেশের কপালে একটা জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার বুঝি স্থায়ীভাবেই লেখা হয়ে গেল!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক দিন পর এমনিতেই সামুতেই পদচারণা। স্বাভাবিকভাবেই পুরাতন পোস্টে কিছু মন্তব্য। স্বাভাবিকভাবেই সেটি খায়রুল আহসান নামের একজন সর্বভূক পাঠক এবং বিদগ্ধ লেখক। আমি ধন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.