নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক) আপনার ‘লেদারের’ রঙ কি ফর্সা?
আমার এক ফুফাতো ভাইয়ের ইংরেজিতে কথা বলার কঠিন ইচ্ছাশক্তি ছিলো। আমি তখন ষষ্ঠ কি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। কথায় কথায় তিনি আমাকে ইংরেজি জিজ্ঞেস করতেন। ট্রান্সলেশন এবং বাংলা শব্দের ইংরেজি জানার জন্য আমাকে নাস্তানাবুদ করে রাখতেন। এমন কি পড়ার সময়ও আমার পাশে বসে থাকতেন। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। আমি কমপক্ষে দশ বছরের ছোট হবো তার।চক্ষুলজ্জার কারণে অন্যকে এসব জিজ্ঞেস করতেন না। আমি ভয়ে কোন আপত্তিও করতে পারতাম না, কারণ রাগলে খবর আছে। ভীষণ রগচটা; তার বড়ভাইকেও মারার রেকর্ড তিনি ততদিনে করে রেখেছিলেন। সুঠাম দেহী, ফর্সা এবং দীর্ঘাকায়। পড়াশুনা বেশি করতে পারেন নি বিভিন্ন কারণে।
.
তার ইংরেজি বলার পদ্ধতিটি ছিলো বেশ মজার। বাংলা শব্দের ইংরেজিগুলো নিয়ে ‘নিজের মতো’ সাজিয়ে ইংরেজি বাক্য বলা। যেমন, আমি এখন গোসল করতে যাবো। তিনি সকল শব্দেরই ইংরেজি জানেন, শুধু ‘গোসল’ শব্দটি ছাড়া। তো আমাকে তার জিজ্ঞাসার বিষয়টি হলো ‘গোসলের’ ইংরেজি শব্দ কী? ধরুন, আমি তখন বললাম ‘বাথ’।
তিনি বাস্তবিকই এমন একটি পরিস্থিতিতে আছেন। অর্থাৎ, আমাকে অনেকক্ষণ বিরক্ত করার পর আসলেই এবার তার গোসলের সময় হয়েছে। তিনি হঠাৎ বলে ওঠলেন: “আই নাউ বাথ গো!” এই হলো তার ইংরেজি বলার কায়দা! কেমন বুঝলেন? কিন্তু আমি তখন কিছুই বুঝতাম না। মনে করতাম, ওটা ঠিকই আছে। কোন কিছু জিজ্ঞেস করার পূর্বে তার সবচেয়ে প্রচলিত ইংরেজি বাক্যটি হলো, হেলপ ডু। মানে ‘সাহায্য কর!’ জিজ্ঞেস করে জেনে নেবার সুযোগ না হলে বাংলা বাক্যের মধ্যেই তিনি তার সাধ্যমতো ইংরেজি শব্দ জুড়ে দিতেন।
.
পারিবারিকভাবে তাদের সকল ভাই-বোনের ফর্সা ত্বক। পক্ষান্তরে আমাদের বাড়ির সকলেরই গায়ের রং গাঢ়। মা-বাবার গায়ের রঙ শ্যামল হলেও আমরা ভাইবোনদের প্রায় সকলেরই গায়ের রঙ তামাটে। একদিন জিজ্ঞেস করলেন, “আমাকে বল তো, চামড়া শব্দের ইংরেজি কী?” কী উদ্দেশ্যে ‘চামড়া’ শব্দের ইংরেজি চাচ্ছেন আমি তখন বুঝি নি। আমি বললাম ‘লেদার’।
তিনি সাথে সাথে তার বাক্য ডেলিভারি দিয়ে বললেন, “তুই তো জানিস আমাদের পরিবারের সবারই ‘লেদার’ কিন্তু ফর্সা। অথচ, তোর ফুফু (মানে তার মা) কেমন একটি কালো মেয়েকে আমার জন্য দেখেছে। আচ্ছা তোদের ‘লেদার’ এতো কালো কেনো রে?” আমি তো একদম আঁতকে ওঠলাম, কিন্তু হাসলেই খবর আছে! হাড্ডি একটাও আস্ত থাকবে না! কী অভিনব ইংরেজি! ইংরেজরাও তার ইংরেজির মানে করতে পারবে না!
এরকম দৃষ্টান্তের অভাব নেই আমাদের চারপাশে।
.
.
দুই) ঈদ তো গেলো, কী কী ‘মার্কেটিং’ করলেন?
এটি একটি বহুল প্রচলিত মিসইউজ অভ ইংলিশ, যা কেবল বাংলাদেশী শিক্ষিতদের মধ্যে পাওয়া যায়। কত সুন্দর একটি বাংলা শব্দ কেনাকাটা। তা ব্যবহার না করে ইংরেজি ভাষার বারোটা বাজাতে আমাদের খুবই ভালো লাগে। যারা বাজারজাতকরণ বিষয়টি নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়া করেন, অর্থাৎ ‘মার্কেটিং’ এর ছাত্ররাও এ ভুলটি থেকে মুক্ত নয়। আহারে, আমরা যদি সত্যিই সকলে ‘মার্কেটিং’ করতাম, তাহলে ভিনদেশি বিজ্ঞাপনে আমাদের টিভি আর বিলবোর্ডগুলো ভরে থাকতো না! যা হোক, কেনাকাটা অর্থে ইংরেজি শব্দটি হবে ‘শপিং’।
.
আসসালামু আলাইকুমের পরিবর্তে আজকাল ‘গুড মর্নিং/আফটারনুন/ইভনিং/নাইট’ ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষ শুভেচ্ছার প্রচলন বেড়ে গিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার সুবাদে আমাকেও গুড মর্নিং গুড আফটারনুন ইত্যাদি শুনতে হয় এবং শুনাতেও হয়। আমার এক সহকর্মী যাকে সম্প্রতি একটি পৌর এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে, সাধারণত ‘আদাবই’ বলে। অন্তর্মুখী টাইপের ছেলে: সামনাসামনি তাকাতেই লজ্জায় মরে, কথা বলবে কী! এযুগের ছেলে তো! ওর সম্পর্কে আমার একটু কৌতূহল বেশি হবার কারণ হলো, মজা পাই! সেদিন প্রধান অফিসে এসেছে শুনলাম কিন্তু তার দেখা পেলাম না সারাটি দিন। হঠাৎ বিকালে চা-বিরতিতে দেখলাম পেছন ফিরে চা পান করছে। কী ব্যাপার অমুক বাবু কেমন আছেন? ‘স্যার ভালো আছি’ মুখ ফিরিয়েই উত্তর। মুখ ফিরে উত্তর দেওয়াতে একটু বিস্মিত হলেও কিছু বলি নি, গুরুত্বও দেই নি। পরে জানতে পারলাম, আমাদের এই বাঙালি বাবুটি সম্প্রতি ফ্রেন্চ-কাট নিয়েছেন তার দাড়িতে! হঠাৎ মুখমণ্ডলে এই পরিবর্তন আনার ফলে অফিসে ইতোমধ্যে অনেক হাসাহাসির আসল ঘটনাটি ঘটলো সেদিন বিকেলে। মানে সন্ধায়। অপরিচিত নাম্বার দেখে সাথে সাথে কল রিসিভ করলাম। ওদিক থেকে ‘গুড নাইট’ বলে শুভেচ্ছা জানালেন আমাদের বাবুটি! কণ্ঠ বুঝতে না পেরে আমি আবার ‘হেলো’ বললাম। এবারও উত্তর এলো, গুড নাইট, স্যার। বলুন আমি এর কী উত্তর দেবো! এরপর যা বললো, তার সারমর্মটি হলো: সেদিন অফিসে সে ভালোভাবে কথা বলতে পারে নি, তার মুখে দাড়ি ছিলো এজন্য! দাড়ি রাখা তার কাছে একটি লজ্জার বিষয়!
.
শিক্ষিত সমাজে অনেকেই ‘গোসিপ’ শব্দটিকে বেশ আরামসে সব জায়গায় ব্যবহার করেন। তারা মনে করেন এর অর্থ হলো, আড্ডা দেওয়া বা গল্প করা। তাই নিজের সখ লেখতেও অনেকে গোসিপ বা গোসিপিং শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি যে কত বড় ভুল, তা তারা জানেন না।
.
সহব্লগাররা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে আরও দু’একটি যোগ করে দিন! এরকম আরও অনেক ভুলই আছে, যা এমুহূর্তে মনে পড়ছে না সব। কিন্তু ভাষা যেহেতু বহমান নদীর মতো – ভাষার চেয়ে ‘ভাষীর’ গুরুত্ব বেশি। বহুল ব্যবহারের শক্তি দিয়ে ভুলই একসময় স্থায়ি হয়ে যায়। অভিধানে বিকল্প হিসেবে উল্লেখ করে ভুলকেই দেওয়া হবে অনুমোদন, যা পরবর্তি প্রজন্মের কাছে পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে।
.
.
____________________________________________________
পরিশিষ্ট:
১) সন্ধা বা রাতে প্রথম দেখায় সাক্ষাৎ হলে ‘গুড ইভনিং’ বলতে হয়। সন্ধা অথবা রাতে এমনটি বিকালেও বিদায় হলে, সেক্ষেত্রে ‘গুড নাইট’ বলা যায়।
২) আড্ডা দেওয়া বা গল্প করা বলতে চাইলে ‘হ্যাং আউট’ বলা যায়। কিন্তু কখনও ‘গোসিপ/গোসিপিং’ বলা যায় না। গোসিপ বা গোসিপিং এর মানে খুবই নেতিবাচক, অর্থাৎ ‘কারও পেছনে বদনাম/দুর্নাম করা’ অথবা আড়ালে কথা বলা।
৩) দৈনন্দিন প্রয়োজনে ‘কেনাকাটা’ বুঝাতে শপিং বলা যায়, যদি ইংরেজি বলতেই হয়। ‘মার্কেটিং’ শব্দটি একেবারেই ভিন্ন অর্থ বহন করে। এর অর্থ হলো ব্যবসায়িক লাভের জন্য সেবা বা পণ্যের বাজারজাতকরণ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে এতো দীর্ঘ একটি মন্তব্যের পূর্বে লেখাটি একবার পড়তে হতো আপনার
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় তুলে এনেছেন !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ, অভি ভাই
শুভেচ্ছা অফুরন্ত।
৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪২
টুম্পা মনি বলেছেন: “আই নাউ বাথ গো!”
াহাহা অনেক ভালো লাগল। খুব প্রাঞ্জল লেখা। অবশ্য আপনার লেখা বরাবর প্রাঞ্জল। চিন্তার খোড়াক থাকে। শুভকামনা লেখকের জন্য।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বিশাল বড় প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, টুম্পা মনি। আপনাদেরই জন্য লেখা, আপনাদেরই জন্য ব্লগার হওয়া।
শুভেচ্ছা জানবেন
৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৮
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: মইনুল ব্রাদার, রাইটিং গুড
আই প্লাস ডু। আই মোর গুড ইংলিস টক ক্যান।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা, বুঝলাম। কঠিন ইংলিশ আপনি সহজেই শিখে ফেলেছেন
অনেক ধন্যবাদ, প্রিন্স হেক্টর ভাইকে।
৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৩
C/O D!pu... বলেছেন: ভালো লাগলো... তবে কাহিনী কম লিখে পরিশিষ্টের মতো করে আরও পয়েন্ট যোগ করলে ভালো হতো...
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমার লেখাগুলো খুব সিরিয়াস হয়ে যায়।
শুধুই মজা করার জন্য এই লেখাটি।
ধন্যবাদ, দিপু ভাই মন্তব্যের জন্য
৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
গোর্কি বলেছেন:
-এগুলো আমাদের মজ্জাগত হয়ে গেছে।
-সিন্দাবাদের ভূত কবে নামবে, বলা মুশকিল।
-পোস্ট পড়ে মজা পেলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: একটা মজা করর চান্স নিলাম
আরও কত মজাদার বিষয় আছে সমাজে....
অংশ নেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, প্রিয় গোর্কি
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
একুশে২১ বলেছেন: চমৎকার লেখা।
প্রথম মন্তব্যকারীকে মাথায় নিয়েননা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, একুশে২১
শুভেচ্ছা জানবেন!
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
রিয়ান৯১১ বলেছেন: মজাই মজা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মজা পাবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকবেন!
৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: খুবই মজার পোস্ট। ভালো লাগলো।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: প্রিয় খেয়াঘাটকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১০
খেয়া ঘাট বলেছেন: ঢাকার হাজ্বি সেলিমের এক প্রাইমারী স্কুল পড়ুয়া এক বন্ধু এখানে থাকেন। উনার ভুলভাল ইংরেজি'র কয়েকটি নুমনা দেখেন-
একদিন উনি বললেন- সোমবার একটু হসপিটাল যাবো, ডাক্তারের সাথে একটা আপার্টমেন্ট আছে। ( বলতে চাইছিলেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট)।
একদিন ওনার বাসায় ফিরছি। পাশেই উনার গ্যাস স্টেশন। মনে করলাম , ভাইয়ের সাথে একটু দেখা করেই যাই।- উনি বাইরে আসলেন-। বললেন-
আরে তুমি দেখি পুরা কনফার্টিবল গাড়ি কিনে ফেলেছো( কনভার্টিবল)
এটা হলো সবচেয়ে মজার-
এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে রাতের বেলা সবাই বসে আছি।
কথা প্রসংগে উনি বললেন- বাড়ীর দাম খুবই কমতাছে।চিন্তা করছি এবার ভালো একটা কনডম কিনে ফেলবো। (কনডো)
এরকম শত শত কাহিনী আছে।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপার্টমেন্ট একটি বহুল প্রচলিত ভুল। অনেকে জব কন্ট্রাক্ট বা ইমপ্লয়মেন্ট/ এপয়ন্টমেন্ট লেখারকে নির্দ্বিধায় এপার্টমেন্ট লেটার বলে চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু ধরছেন তো মরছেন! আপনার চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করবে। এটি তো শুধুই ইংরেজি জানার বিষয় নয়, একজন মানুষ সচেতন হলেই এগুলো জানা হয়। (উপরে প্রথম জনের মন্তব্য দেখলে বুঝতে পারবেন, উনি কত আহত হয়েছেন আমার এই লেখায়।)
আপনার শেষেরটি পড়ে হাসতে হাসতে শেষ ভাই....মাঝখানেরটিও কম নয়!
১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২০
খেয়া ঘাট বলেছেন: এবার একেবার শিক্ষিত খুব উচ্চ শিক্ষিত মানুষের কিছু সচরাচর ভুল দেখেন-
কিছু কথোপকথন- ( বিভিন্ন জনের সাথে)
ভাই রবিবারের প্লান কি?
জবাবঃ চিন্তা করছি একটু ফিলা মার্কেট যাবো ( বলতে চাইছেন ফ্লী মার্কেট)
শুনেছি ভাই, এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, ঘটনা কি ভাই?
আরে ভাই বলবেন না, ডেকালব কাউন্টির স্কুল ভালো না। (Dekalb) মাঝখানে এল আছে তাই বলছেন ডিকালব, আসলে হবে ডিক্যাব ।
কোথায় যাচ্ছেন ভাই?
একটু ফার্মাস মার্কেটে যাবো। কিছু ফিলেট ফিস কিনবো। বলতে চাইছেন ফিলে ফিস কিনবেন।
এবার একটা কৌতুক- শুধুই কৌতুক । আশাকরি কেউ অন্যভাবে নিবেন না।
এক ভাই এক নোয়াখালির ভাইকে বলছেন- আপনার নাকি ভালো ইংরেজি বলতে পারেন না ।
নোয়াখালীর ভাই বলছেন-
দ্য ফিফল অফ নোয়াখালি কেন স্ফীক ভেরি ফ্রফার ইংলিশ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা! আরও কিছু হাসির খোরাক যোগ করলেন!
আমি কোন্ একটি লেখায় খাবারের বিষয়ে বলেছিলাম: “সবচেয়ে স্বাধীনভাবে খাবার হোটেলও আছে। আপনার ইচ্ছেমতো যতখুশি তত যা খুশি তা খেতে পারেন।”
একজন মন্তব্যকারী বলে ওঠলেন: “ওহ আমি বুঝেছি, আপনি বাফেট-এর কথা বলছেন।” কেউ এটিকে বুফেটও বলেন। যেমন ক্যাফে’কে কাফ বলেন। অথচ ‘বুফে’ হবার কথা।
এগুলোর শেষ নেই। বাংলায় কিছু আছে: দম্পতিকে দম্পত্তি, সম্মানকে সন্মান বলা এমনকি লেখেও।
আমারও হয়তো ভিন্ন শব্দে এরচেয়েও বেশি ভুল হয়
১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: াহাহাহা প গে ।।
দ্য ফিফল অফ নোয়াখালি কেন স্ফীক ভেরি ফ্রফার ইংলিশ।
লেখা ভাল পাইছি , বলতে গেলে অনেক কাহিনী যার মাঝে নিজে ও কিছু থাকে তাই অফ গেলাম :!>
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমি কেবল নিজের জানা বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। যা জানি না এরকম অনেক বিষয়ে আমারও ভুল থাকতে পারে। আলোচনা করলে অন্যের অজান্তেই ভুলগুলো কাটিয়ে ওঠা যায়। মানুষ মাত্রই ভুল, কিছু মনে করার নেই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম
১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সরেস লেখা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা জানবেন!
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: খুব বেশি শুনি- আনলিগাল
আরেকটা আনলজিকাল
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: যেটা লজিকেল নয়, সেটা আনলজিকেল হলেই উত্তম! কী বলেন?
কেন আনএলাউ বা আনকমপ্লিটও তো শুনেন!
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হা: হা: ব্যপক মজা পাইলাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মজা পেলেন, তাই আমিও মজা পেলাম।
শুভেচ্ছা জানবেন, মহামহোপাধ্যায়
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: প্রথম দিকে পড়ে মজা লাগছিলো , সত্যি কথা বলতে কি আমরা না পারি বাংলা সুন্দর করে বলতে না পারি ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ হতে । আর ছবিটা চমৎকার হয়েছে ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “সত্যি কথা বলতে কি আমরা না পারি বাংলা সুন্দর করে বলতে না পারি ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ হতে।”
-দারুণ বলেছেন। খাঁটি কথা।
অনেক ধন্যবাদ, আদনান শাহরিয়ার! আপনার মন্তব্যগুলোতে অনেক প্রেরণা আছে।
১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১
আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, কোচ এর বদলে কোচার ....কুক এর বদলে কুকার...গাইড এর বদলে গাইডার কিন্তু চলে
বুঝছি, আপনার কাছে ইংরেজির তালিম নিতে হবে
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কে কার কাছ থেকে অবশেষে তালিম নেয় সেটা ভারচুয়ালি বুঝা কঠিন।
মজার পোস্টটিতে আপনার পদচারণা পড়েছে জেনে আমি আনন্দিত।
১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
ড. জেকিল বলেছেন: ব্যাপক মজার আর শেখার মতো পোস্ট।
মডেল কে মডেলার বলা হয় অনেক সময়ই, এবং অনেকেই বলে থাকে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
“মডেলকে মডেলার”
মজার পোস্টে ডক্টর জেকিলকে স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো। পরের লেখা গুলি পড়ে মনেহল, আপনার ফুফাত ভাই আপনার ছাইতে অনেক ভাল। আপনি কি বুঝাতে ছাচ্ছেন????আপনার কি মনেহয় এখানে সবাই আপনার ফুফাত ভাই??আপনি অনেক ইংরেজি জানেন বুঝতে পারলাম,এখানে না শিখিয়ে আপনার ফুফাত ভাইকে শিখান।আপনি ও শিখতে পারবেন, আপনার ফুফাত ভাইও শিখবে।