নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাদিন একটি বিষয়ে আলোচনা হলো। পত্রিকায়ও কিছু কিছু প্রকাশ পেয়েছে। রাতে এসে দেখলাম, বিভিন্ন চ্যানেলে তা প্রধান সংবাদ হয়েছে। বিভিন্নভাবেই তাদের কথোপকথন শুনলাম। একজন ক্ষিপ্ত, আরেকজন বিক্ষিপ্ত! একজন রেগে আছেন, অন্যজন রাগ সামলে কথা বলছেন। সেই এরশাদের আমল থেকে ২৭ অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত রাজনীতির ধ্বনিচিত্র! গতকালের কথা বলছি। একটি ঐতিহাসিক দিন। দেশের দুই প্রধান নেতাকে সাধারণ মানুষ বিচার করার অভাবনীয় সুযোগ পেলো। টকশো বিশারদরা বললেন, তাদের সংলাপ ওখানেই হয়ে গেছে। কোন কথা তো আর বাকি রইলো না। ওখান থেকেই সমাধান বের করতে হবে সমাধান। ভালো কথা।
আমি ভাবছিলাম অন্য কথা। বিষয়টি কি ঠিক হলো? ফোনালাপ প্রকাশ করা কি নৈতিক, জাতীয় এবং কৌশলগতভাবে ঠিক হয়েছে? আজ পেলাম এর ইংরেজি অনুবাদ। একদম কিংস ইংলিশে অনূদিত। সবাই জানে ডেইলি স্টার ইংরেজিতে ভুল করতে পারে না! একদম অবিকল নকল। কিন্তু কাজটি যে-ই করুক, সেটি কি সকল বিচারে সঠিক বলা যায়? কিন্তু অন্যদিকে বলা যায়, ঠিকই হয়েছে। মনের বিক্ষিপ্ত কথাগুলো প্রকাশ না করে পারলাম না!
আমার প্রথম সত্ত্বা বললো, ওটি ঠিক হয় নি, কারণ রাষ্ট্রপ্রধানদের টেলিফোন কথোপকথন দেশের সর্বোচ্চ গোপনীয় বিষয়। অনেকটা শরীরের আচ্ছাদনের মতো।
দ্বিতীয় সত্ত্বা বললো, দেশের নির্বাচন নিয়ে ওই কথোপকথন জনগণের সম্পদ এবং তাদের জনগণের হক আছে। তথ্যমন্ত্রীর সাথে একমত।
প্র/স: জনগণের সম্পদ মানেই যখন-তখন খাবলে খাওয়া নয়। ওই তথ্য জনগণের জানার অধিকার থাকতে পারে, প্রয়োজন নেই।
দ্বি/স: অধিকার থাকলে প্রয়োজনও থাকতে পারে।
প্র/স: রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধান নেতৃবৃন্দের কথোপকথন প্রকাশ পেলে দেশের অনেক গোপনীয় তথ্যের প্রমাণ বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি মঙ্গলজনক না-ও হতে পারে।
দ্বি/স: আমাদের নেতৃবৃন্দের মুখে জনসেবা কথা, অন্তরে ক্ষমতার স্বপ্ন্। এদের মনের গহীণ কথাগুলো বের হওয়াই উচিত।
প্র/স: সব উচিত সব জায়গায় ‘উচিত’ নয়। এভাবে প্রকাশ পাবে জানলে তারা এতো খোলামেলা কথা হয়তো বলতেন না।
দ্বি/স: এতো খোলামেলা না বললে নির্বাচনের আগে তাদের মনের কথা জাতি জানতো কীভাবে? সকল তথ্যই জানার অধিকার জনগণের আছে।
প্র/স: তথ্যের অধিকার আছে, মানে এই নয় যে, সকল তথ্যই জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। এটি তথ্য অধিকার আইনের অতিরঞ্জন এবং অনাবশ্যক ব্যবহার।
দ্বি/স: অতিরঞ্জন হলে মানুষ এতো খুশি হতো না। দেশের গণমাধ্যম বিষয়টিকে লুফে নিয়েছে। তাতে দেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রচিত হলো।
প্র/স: প্রকাশিত ফোনালাপ কোনভাবেই দেশের প্রধান দুই নেতা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেয় না। বহির্বিশ্বে এমনিতেই আমরা আন্ডারডগ হয়ে থাকি, তার মধ্যে নেতৃবৃন্দের একান্ত ফোনালাপ আমাদেরকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় করে দেবে। নিঃসন্দেহে তারা অনেক লজ্জা পেয়েছেন। তারা আমাদের নেতা - তাদের লজ্জা মানে দেশের লজ্জা! ফোনালাপ প্রকাশ করা কোন বিচারেই ঠিক হয় নি। যারা করেছে, তারা জাতির প্রতি বেঈমানি করেছে।
দ্বি/স: আগে দেশ, তারপর পরদেশ। যারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না, জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দেয় না, নিজেদের ক্ষমতালিপ্সাকে জনগণের রায় বলে প্রকাশ করে, তাদের লজ্জা প্রকাশ হওয়াই ভালো। যারা জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে, জাতীয় স্বার্থে মীমাংসায় আসতে চায় না, তাদের আসল চেহারা বের হবার প্রয়োজন আছে। তাদের প্রতি কোন অনুকম্পার সৃষ্টি হয় না। গত বিশ বছরে, তারা কেউ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন নি। এর বড় প্রমাণ হলো, ক্ষমতাসীন অবস্থায় বিশাল ব্যবধানে পরাজয়। ফোনালাপ প্রকাশ করা বহুত ঠিক আছে। যারা প্রকাশ করেছে তাদেরকে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত।
*ছবি: দ্য ডেইলি স্টার।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কথা ঠিক।
গণমাধ্যমের সামনে কেবল একজনের কথাই কিছুক্ষণ ধারণ করতে দেওয়া হয়েছিলো। অন্যজনের বেলায় কোন গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় মামুন রশিদ
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মশিকুর বলেছেন:
পোস্ট পড়ার আগেই আমার মতামত দেই "ফোনালাপ প্রকাশ করা ঠিক হয় নি"
এইবার পোস্ট পড়ি, আবার মন্তব্য করবো। ইনশাল্লাহ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ। আরও মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার দৃষ্টিতে, বিষয়টির দু’টি মুখ আছে
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
আলাপচারী বলেছেন: আমার প্রিয় ষ্টাইল। যে কোন বিষয়ে দুটি বিপরীত মুখে বিচার করা। ভালো লিখেছেন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আলাপচারীকে এব্লগে স্বাগতম!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
মশিকুর বলেছেন:
পরিবারে বাবা-মার মধ্যে কোন বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব হলে, তাকি বাচ্চাদের বলে বেড়াবে?? নাকি নিজেরা আলোচনা করে অথবা তাদের চেয়ে বড়দের সাথে আলোচনা করে সমাধান করবে?? অর্থাৎ যাদের কাছে সমাধান আছে তারা জানলে ক্ষতি নেই। ছেলেমেয়ে যদি বড় হয় তখন বাবা মায়ের সমস্যা হয়তো সমাধান করতে পারে।
এখন কথা হল, এই ফোনালাপটাতে তো এমন কোন মধুর কথাও নেই, এমন কোন সম্ভাবনার কথাওতো নেই, যে প্রকাশ করতে হবে?? জনগন ভালভাবেই জানে সংলাপ হলে কি কথা হবে, এর জন্য ফোনালাপ এর কোন প্রয়োজন নেই।
এখন জনগনের হাতে কিছুই(সমাধান) নেই, যা সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। তারা এখন একটা একটা ইস্যু জনগনের সামনে তুলে ধরবে, এবং দেখবে জনগন কি প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটা আসলে আসলে অসুস্থ রাজনৈতিক দরকষাকষির প্রদর্শন ছাড়া কিছু না।
আপনার পোস্টের দ্বি/স কে আরও একটু শক্তিশালী করা যেত। দ্বি/স এতোই দুর্বল/অযৌক্তিক যে, পোস্ট যেন প্র/স কে জিতিয়ে দেয়ার জন্য তৈরি। দেখুন জনগনের কাছে তাদের চরিত্র উন্মোচনের কিছু নেই(দ্বি/স কমপক্ষে ৩টা জবাবে তাদের চরিত্র উন্মচিত হল- এধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে), তাদের চরিত্র অলরেডি উন্মোচিত।
ধন্যবাদ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হুম, মশিকুর ভাই...দারুণ মূল্যায়ন। কৃতজ্ঞতা
আসলে তাৎক্ষণিকভাবে একটি প্রতিক্রিয়া প্রকাশের বেদনা রোধ করতে পারি নি। প্রকাশের মাত্র এক ঘণ্টা আগে থেকে লেখাটি শুরু করেছিলাম!
শত ভাগ একমত! লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫
বোকামন বলেছেন:
হূম ....
আপনে কইলেন, আমি হূনলাম
আমি কইলাম, আপনে হূনলেন
আমজনতার কথা আমজনতা পৌর্যন্তই শেষ
যাহারা শুনিলে কাজ হইবো, তাহার তো শুনিতেছেন না !!
শিশুকাল গেলো, যৌবনকাল গেলো, বুড়া আছি ...
মরার আগ পর্যন্ত আশারাখি - আশায় বাঁচি ....
তাহাদের বোধোদয় হোক ....
[আপনার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লুম ভাইজান, প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার ইচ্ছে হলো না । আসলে লিখার ভাষা শেষ হয়ে গ্যাছে ...]
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা, তবু যতটুকু বলেছেন আমার জন্য তা যথেষ্ট হয়েছে।
লেখাটি পড়েছেন এজন্যই তো কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইনু সাহেব গতকাল বলেছেন ভাল হয়েছে, আজ নাকি বলেছেন, যারা ফাঁস করছে তাদের বের করবেন! তাহলে আমরা আর কি বলবো?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: সত্যিই কিছু বলার নেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, জনাব শাহাদাত
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৫২
স্বাধীকার বলেছেন:
মইনুল ভাই,,
আপনি তথ্যমন্ত্রীর সাথে একমত হলেও তিনি আজ বলছেন যারা এটা করেছে তাদের খুজেঁ বের করবেন, আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
টেলিফোনে দাওয়াত-আলোচনার যাওয়ার জন্য, নট টেলিআলোচনা-খেয়াল করুন তাদের টেলিফোনটি দাওয়াতের, সেটা জনগনের স্বার্থে কিংবা কোনো প্রকাশ হওয়ার মতো ছিলোনা কোনোভাবেই। বরং খালেদা জিয়া দাওয়াতে আসার পর যে আলোচনা হতো-সেটাতে জনস্বার্থ ছিলো, সেটা প্রচার হতে পারতো। তারপরও দুই পক্ষের একমত হলেই কেবল তা প্রকাশ করার সমুচিত, অন্যথায় শিষ্টাচারের লংগন-যা এই সরকার করেছে।
লোক দেখানো পরিকল্পিত টেলিফোন এর প্রকৃত উদ্দেশ্য যে হরতাল প্রত্যাহারের কৌশল ছিলো, সেটা প্রমানিত হয়েছে। আলোচনার জন্য টেলিফোন করা হলে প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রত্যাহার করতে পারবেন না জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জনগনের উপর এটা ছেড়ে দিতেন, মানুষ তাদের মতামত জানাতো। কিন্তু বারবার প্রধান মন্ত্রীর এই পীড়াপিড়িতে প্রমান হয়, তার আসল উদ্দেশ্য ছিলো হরতালটি প্রত্যাহার করানো, জোটের মধ্যে অবিশ্বাস ধরানো।। এটার প্রমান পাবেন, যখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার আপনি, একবার আমি-তাহলে আমরাই সিদ্ধান্ত নিই(!)-এটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক কথা, এদেশে বহুদল আছে, বহুমত আছে, সুধীজন আছে, বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ আছেন-দেশের রাজনীতি কিংবা ক্ষমতা বা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত কেবল আম্লীগ বিএনপির উপর নির্ভর করতে পারেনা, এটা কাম্যও নয়।
ইতিমধ্যেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে তথ্যমন্ত্রী তদন্ত করার কথা বলেছেন, হাওয়া ঘুরে গিয়েছে। চালাকিতে সাময়িক জেতা যায়, আখেরে তার জন্য বেশী মূল্য দিতে হয়, অপদস্তও হতে হয়। আমরা সময়ের উপর ছেড়ে দিলাম। আগামীর জন্য স্বাক্ষী হলাম।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। দ্বিমত করার কিছুই নেই।
তাদের সবকিছুতেই ভেজাল। কারও মনেই যা বলছে তা নেই।
তথ্যমন্ত্রী যে সমালোচনার মুখে পড়বেন, তা তো বলাই বাহুল্য।
হুম, সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমাদের আর আছে কী!
দীর্ঘ মন্তব্য দিয়ে লেখাটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রিয় স্বাধীকার
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
অদৃশ্য বলেছেন:
মইনুল ভাই
পড়ে গেলাম লিখাটি... কোন কথা নেই
শুভকামনা...
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ওকে...কিছু বলতে হবে না
আপনি পড়েছেন এবং যেটুকু বলেছেন, তাতেই আমি সব পেয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় অদৃশ্য
৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ, যা কিছু হয় তার সবই ঠিক আছে।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: গতকাল নিউজিল্যান্ডের সাথে যে বিজয় আসলো অথবা অস্ট্রেলিয়ার সাথে অথবা ভারতের সাথে ক্রিকেট সম্পর্কে ‘সব সম্ভব’ হলে - আমরা সেখানে রাজি আছি। কী বলেন?
ধন্যবাদ প্রিয় *কুনোব্যাঙ*
শুভেচ্ছা জানবেন
১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
এম ই জাভেদ বলেছেন: দারুন লিখসেন মইনুল ভাই। একটা গানের কলির কথা মনে করিয়ে দিলেন-
বাহির বলে দূরে থাকুক
ভেতর বলে আসুকনা ........
রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে নিজেও মাঝে মধ্যে অন্তরদ্বন্ধে পড়ে যাই।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
“বাহির বলে দূরে থাকুক
ভেতর বলে আসুকনা...”
তাদের জন্য এর চেয়ে ভালো গান আর হতে পারে না। গ্যাঁড়াকলের কথা বললেন?... ওনারা আমাদের সকলকে রাজনীতি শিখিয়ে ছেড়েছেন, তয় নিজেরা এর তামেল করেন না!
জাভেদ ভাইকে শুভেচ্ছা
১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ডাক্তার বিষয়টা নির্বাচন করেছেন ভালো। কিন্তু এরই মাঝে এ বিষয়টি নিয়ে কম করে হলেও ১০/১২ কোটি মানুষ মতামত দিয়ে ফেলেছেন। আমার মতামতে কিছু যায় আসে না। তবে আমার বলতে ইচ্ছে হয় যে, রাষ্ট্রের প্রধান যিনি বা বিরোধী দলের প্রধান যিনি দুজনই এমন কিছু করা উচিত নয় যা জনগণের বিপক্ষে যায়। এমন কি রাষ্ট্র সম্পর্কিত তাদের যাবতীয় ভাবনা-চিন্তায় কোনো গোপনীয়তা থাকাও উচিত নয়। তাদের ভাবনা-চিন্তা প্রকাশ্য হলে জনগণ নিজের পরিণতিগুলো আগাম জানতে পারতেন।
এই যেমন বিরোধী দলীয় নেত্রি কোন দেশে যান কাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, কী কী বিষয়ে আলাপ করেন তার বিন্দু-বিসর্গ আমাদের দেশের মানুষ জানেন না। এমন কি প্রধান মন্ত্রীও কী কী বিষয়ে আলাপ করেন কী কী সিদ্ধান্ত নেবার পরিকল্পনা করেন, কোনো কোনো সময় নিজের দলের মানুষদের নানা অপকর্ম দেখেও কেন শাস্তির ব্যবস্থা না করে চুপ থাকেন, জনগণ তা জানে না।
এই যে অত অত বিষয় জনগণের অজ্ঞাতে থেকে যায় সে কারণেই তাদের প্রতি সিংহভাগ মানুষের ধারণাগুলো অস্পষ্ট থাকে। ফলে, স্থানীয় প্রতিনিধিরা জনগণকে যাকে ভোট দিতে বলেন, তারা তাই করেন। নিজেরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
এই টেলিফোন আলাপ প্রকাশের ফলে দুজনকে নিয়েই মানুষ ভাববেন। এবং এ দুই প্রধানের ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “আমার মতামতে কিছু যায় আসে না। তবে আমার বলতে ইচ্ছে হয় যে, রাষ্ট্রের প্রধান যিনি বা বিরোধী দলের প্রধান যিনি দুজনই এমন কিছু করা উচিত নয় যা জনগণের বিপক্ষে যায়।”
-জনাব জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই, আমাদের কারও মতামতেই এদের কিছু আসে যায় না। তাদের একজন নিজের কৃতীত্বে নিজেই মুগ্ধ - বাজাচ্ছেন নিজের ঢোল, আরেকজন শিশুদের পরীক্ষার সময় ডেকেছেন হরতাল।
-সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। দ্বিমত করার কিছু নেই। জনগণ সুশাসন পেলে নেতারা কোন্ দেশে গিয়ে কী করেন, তা হয়তো গুরুত্ব পেতো না। দুঃশাসনই সকল অবিশ্বাস এনে দিয়েছে। তাই নিজের ঢোল নিজেকে পেটাতে হয়
১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: একজন ক্ষিপ্ত, আরেকজন বিক্ষিপ্ত- এই গভীর লাইনটা কেমন করে লিখলেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: রাজনীতির ভেতর যখন ‘পলিটিক্স’ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তখন খেটে-খাওয়া মানুষটিও ভয়ানক রাজনীতি বিশ্লেষক হয়ে যায়। সবই তেনাদের কৃতীত্ব
প্লাসের দৈর্ঘে আনন্দিত হলাম!
আন্তরিক প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা, খেয়াঘাট ভাই
১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফোনালাপটা জানা জরুরী ছিলো।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ফোলালাপ প্রকাশের বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই কারণ এটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র হতে পারে যেমন তেমনি ফোনালাপ স্বচ্ছ নিরেপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানেরও হয়নি ! তবে এর মাধ্যমে যে বিনোদন আমরা পেলাম তা অতুলনীয় , অবর্ণনীয় ও অনুকরণীয় ।
কেমন আছেন ভাইয়া ?? শুভেচ্ছা জানবেন ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা, তাদের কোন্ কথায় বিনোদন নেই বলুন!
ভালো আছি, প্রিয় আদনান শাহরিয়ার।
আপনি ভালো তো?
অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে খুশি
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০
খাটাস বলেছেন: হাহাহা ব্রিলিয়ানটো .।.।.।.।.।.।.।.।.।.।|| সহমত.।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা জানবেন!
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১
শাহেদ খান বলেছেন: একজন ক্ষিপ্ত, আরেকজন বিক্ষিপ্ত!
ভাল বলেছেন !
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ, শাহেদ খান
১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
নীলসাধু বলেছেন: আমি মুখ্য সুখ্য মানুষ তাই এসবে নিয়ে কুন ভাবনা নেই
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা....সেটাই ভালো।
ধন্যবাদ নীলসাধু ভাই
শুভেচ্ছা জানবেন!
১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১
নাম বলবো না বলেছেন: যেভাবে এক পক্ষ রেকর্ড করে ফোনালাপটি বাজারে ছেড়েছে, তা না হয়ে যদি তৃতীয় কোন পক্ষ গোপনে রেকর্ড করে বাজারে প্রচার করতো তাহলে সত্যিকারের চিত্রটা দেখার সুযোগ হত, এখন বিষয়টা একপেশে হয়ে গিয়েছে, সাজানো নাটক মনে হচ্ছে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনার কথায় আমি একমত।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: উনারা দুজনই পাবলিক প্রপার্টি, যা কিছু করেন সবই পাবলিক ইন্টারেস্টে । তাছাড়া দুই পক্ষই আমাত্য-সভাসদ সমভ্যিহারে সাংবাদিক-টিভি ক্যামেরার সামনেই কথা বলেছেন । তাই এখানে ফাঁস বা প্রকাশ হওয়ার ব্যাপার কেন আসছে বুঝতে পারছি না ।