নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

© মাঈনউদ্দিন মইনুল। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি, অনুমতি ছাড়া কেউ এব্লগ থেকে লেখা বা লেখার অংশ এখানে বা অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসডিজি কেন? কী বিশেষত্ব এতে আছে? এমডিজি’র সাথে এর কী সম্পর্ক/পার্থক্য?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫



এমডিজি ছিলো বিশ্বনেতাদের প্রণীত সার্বজনীন উন্নয়ন পরিকল্পনা। এমডিজি’র মাধ্যমে বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা উন্নয়নের ৮টি বিষয়ে একমত হয়ে স্ব স্ব দেশের উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন বিগত ১৫ বছরে। কিছু লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, কিছু বাকি থেকেছে। এমডিজি’র মাধ্যমে উন্নয়ন সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলেও, এতে দারিদ্রের মূল কারণে (root cause) দৃষ্টিপাত করা যায় নি। জেন্ডার বৈষম্যে গুরুত্ব দেওয়া যায় নি এবং সার্বিক উন্নয়নের বিষয়গুলো থেকেছে অবহেলিত। এমডিজি’র মেয়াদ শেষ হলেও ১০০ কোটি মানুষ এখনও দরিদ্র সীমার নিচে, অর্থাৎ তাদের দৈনিক আয় ১.২৫ ডলারের নিচে।

এমডিজিতে মানবাধিকার বিষয়ে কোন উল্লেখ ছিল না এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টিও ছিল অস্পষ্ট। তাত্ত্বিকভাবে সকল দেশে প্রযোজ্য হলেও শুধুমাত্র দরিদ্র দেশগুলোতে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্থ দিয়েছে তথাকথিত ধনী দেশগুলো।

এভাবেই ২০১৫ সালে এমডিজি’র নির্ধারিত ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এসডিজি হলো গত ১৫ বছরে প্রচলিত এমডিজি’র সম্প্রসারিত ও হালনাগাদ রূপ। এতে টেকসই উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ধনী এবং গরীব সকল দেশকেই যথাযথভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংক্ষেপে এসডিজি: ১. দারিদ্র্য বিমোচন; ২. ক্ষুধামুক্তি; ৩. সুস্বাস্থ্য; ৪. মানসম্মত শিক্ষা; ৫. জেন্ডার সমতা; ৬. বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন; ৭. ব্যয়সাধ্য ও টেকসই জ্বালানি; ৮. সবার জন্য ভালো কর্মসংস্থান; ৯. উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো; ১০. বৈষম্য হ্রাসকরণ; ১১. টেকসই শহর ও সম্প্রদায়; ১২. (সম্পদের) দায়িত্বশীল ব্যবহার; ১৩. জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ; ১৪. সমুদ্রের সুরক্ষা; ১৫. ভূমির সুরক্ষা; ১৬. শান্তি ও ন্যায়বিচার; ১৭. লক্ষ্য অর্জনের জন্য অংশিদারিত্ব। ১৭টি লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য বিশ্বের প্রায় সকল দেশ একমত হয়েছে জাতিসক্সেঘর অতিসাম্প্রতিক এক সাধারণ সভায়। আমাদের সরকার প্রধানও সেখানে ছিলেন।



এসডিজি’র বিশেষ দিকগুলো:

১) সম্পূর্ণতা/ Zero – Total Achievement: ২০১৫ সাল পর্যন্ত এমডিজি’র উদ্দেশ্য ছিল ক্ষুধা ও অভাবমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে অন্তত 'অর্ধেক পথ' আগানো। এসডিজি’র লক্ষ্য হলো কাজটি সম্পূর্ণ শেষ করা, অর্থাৎ ২০৩০ নাগাদ কোন ক্ষুধা বা খাদ্যাভাব থাকবে না - জেরো হাংগার ও zero poverty। সম্পূর্ণ অর্জনের জন্য শতভাগ মনযোগ, শতভাগ অংশগ্রহণ এবং শতভাগ ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

২) সার্বজনীনতা/ Universal: ধনী দেশগুলো গরীব দেশগুলোকে সাহায্য করবে, এই ছিল এমডিজি’র বাস্তবতা। এরপর অনেক পরিবর্তন এসেছে বিশ্ব সমাজে। ODA-র পরিমাণ নামতে নামতে শূন্যে চলে এসেছে। সমস্যাটি দেশ বা জাতিভিত্তিক নয়। সমস্যা হলো, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং ধনী গরীবের পার্থক্য, যা সকল দেশেই আছে। ইউরোপের মতো ধনী মহাদেশে তিনকোটি বস্তিবাসী আছে। তাই এসডিজিতে সকল দেশকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

৩) সর্বব্যাপী/ Comprehensive: এমডিজিতে ৮টি লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এসডিজি’র জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি প্রথমে ১২টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু দারিদ্রতার মূলোৎপাটন, মানবাধিকার, বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা, এবং সুশাসনকে বিবেচনায় এনে ওপেন ওয়ার্কিং গ্রæপ মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরে। এটিই চূড়ান্ত। টেকসই উন্নয়নের জটিল বিষয়গুলো এমডিজিতে সেভাবে স্থান পায় নি, যা এসডিজিতে গুরুত্ব পেয়েছে।

৪) ক্ষুধামুক্তির শর্তাবলী/ Hunger Issues: 'ক্ষুধামুক্তির তিনটি স্তম্ভকে' (নারীর ক্ষমতায়ন, সকলকে সম্পৃক্তকরণ এবং স্থানীয় সরকারের সাথে অংশিদারিত্ব) এমডিজিতে তেমন গুরুত্ব দেওয়া যায় নি। জেন্ডার, ক্ষমতায়ন, এবং সকল পর্যায়ে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ইত্যাদি জটিল বিষয়গুলোকে এসডিজিতে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

৫) অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা/ Inclusive Goal-setting: এমডিজি নির্ধারিত হয়েছিল টপ-ডাউন প্রক্রিয়ায়, অর্থাৎ উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে। কিন্তু এসডিজি নির্ধারণে সকল পর্যায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে, যা বিশ্বে এর আগে কখনও হয় নি। প্রায় ১০০ দেশের সাথে মুখোমুখি সভা হয়েছে এবং কোটি মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে।

৬) দারিদ্রতা থেকে ক্ষুধাকে আলাদাকরণ/ Distinguishing Hunger and Poverty: এমডিজিতে ক্ষুধা ও দারিদ্রকে একসাথে MDG1-এ রাখা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল একটি সমাধান হলেই আরেকটির সুরাহা হয়ে যাবে। কিন্তু এসডিজিতে খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তাকে 'দারিদ্রতা' থেকে আলাদাভাবে দেখা হয়েছে।

৭) অর্থায়ন/ Funding: এমডিজিতে মনে করা হয়েছিল যে, ধনী দেশগুলো থেকে সহায়তা নিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটি সফলতা পায় নি। এসডিজিতে টেকসই এবং সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রধান কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাতে সংশ্লিষ্ট দেশের রাজস্ব বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

৮) শান্তি প্রতিষ্ঠা/ Peace Building: বিগত ১৫ বছরে দেখা গেছে যে শান্তিপূর্ণ এবং সুশাসনভুক্ত দেশগুলো অগ্রগতি লাভ করেছে। ১৫ বছর পর এখন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধুমাত্র বিরোধপূর্ণ দেশগুলোতেই 'তীব্র দারিদ্রতা' থেকে যাবে। ক্ষুধা ও দারিদ্রতাকে দূর করার জন্য তাই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। কিন্তু এটি এমডিজিতে গুরুত্ব পায় নি, এসডিজিতে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

৯) মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতা/ M&E and Accountability: পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে এমডিজিতে কিছুই বলা নেই। এসডিজিতে ২০২০ সালের মধ্যে তথ্য বিপ্লব ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে জাতীয় পর্যায়ে মানুষের আয়, বয়স, জেন্ডার, নৃতাত্বিক তথ্য, অভিবাসন পরিস্থিতি, ভৌগলিক অবস্থান এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে মানসম্মত, সময়নিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য বিবরণ তৈরি করা হবে।

১০) মানসম্মত শিক্ষা/ Quality Education: এমডিজিতে কেবল সংখ্যার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেমন: ভর্তির সর্বোচ্চ হার, পাশের হার ইত্যাদি। তাতে সংখ্যা বাড়লেও গুণগত মান গিয়ে তলায় ঠেকেছে। কিন্তু এসডিজিতে মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে একটি 'মানবিক বিশ্ব' গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।





একনজরে এসডিজি বা বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা

১. দারিদ্র্য বিমোচন [No Poverty]: সর্বত্র এবং সবধরণের দারিদ্র্যতা দূর করা;
২. ক্ষুধামুক্তি [Zero Hunger]: ক্ষুধা দূর করা, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টি অর্জন, এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থা চালু করা;
৩. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ [Good Health & Well being]: স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করা এবং সব বয়সের সকলের জন্য কল্যাণ বৃদ্ধি;
৪. মানসম্মত শিক্ষা [Quality Education]: অন্তর্ভূক্তিমূলক, সমতাপূর্ণ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষা সুযোগ সৃষ্টি;
৫. জেন্ডার সমতা [Gender Equality]: জেন্ডার সমতা অর্জন করা এবং সব নারী ও তরুণীর ক্ষমতায়ন;
৬. বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন [Clean Water & Sanitation]: সবার জন্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুযোগ এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনা;
৭. ব্যয়সাধ্য ও টেকসই জ্বালানি [Affordable & Sustainable Energy]: সবার জন্য ব্যয়সাধ্য, নির্ভরযোগ্য, টেকসই এবং আধুনিক জ্বালানির সুযোগ নিশ্চিতকরণ;
৮. সবার জন্য ভালো কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি [Decent Work & Economic Growth]: সবার জন্য টেকসই, অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণকালীন ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং ভালো কাজ নিশ্চিতকরণ;
৯. শিল্প, উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো [Industry, Innovation & Infrastructure]: দীর্ঘস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা, অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং টেকসই শিল্পায়ন এবং উদ্ভাবনকে প্রেরণা দেওয়া;
১০. বৈষম্য হ্রাসকরণ [Reduced Inequalities]: দেশের ভেতরে এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যকার বৈষম্য দূর করা;
১১. টেকসই শহর ও সম্প্রদায় [Sustainable Cities and Communities]: শহর এবং মানুষের বাসস্থানকে অন্তর্ভূক্তিমূলক, নিরাপদ, দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই করে তোলা;
১২. (সম্পদের) দায়িত্বশীল ব্যবহার [Responsible Consumption & Production]: টেকসই ভোগ ও উৎপাদন রীতি নিশ্চিত করা;
১৩. জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ [Climate Action]: জলবায়ূর পরিবর্তন ও প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ;
১৪. সমুদ্রের সুরক্ষা [Life below Water]: টেকসই উন্নয়নের জন্য মহাসাগর, সাগর এবং সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার;
১৫. ভূমির সুরক্ষা [Life on Land]: ভূমির উপরিস্থ পরিবেশ-ব্যবস্থার সুরক্ষা, পুনঃস্থাপন এবং টেকসই ব্যবহার; টেকসই বন ব্যবস্থাপনা; মরুকরণ রোধ ও বন্ধ করা; ভূমিক্ষয় রোধ করা এবং জীববৈচিত্রের ক্ষতি বন্ধ করা;
১৬. শান্তি ও ন্যায়বিচার [Peace, Justice & Strong Institutions]: টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা; সকলের জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ সৃষ্টি; এবং সর্বস্তরে কার্যকর, জবাবদিহি এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা;
১৭. লক্ষ্য অর্জনের জন্য অংশিদারিত্ব [Partnerships for the Goals]: বাস্তবায়নের উপায়গুলো শক্তিশালী করা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশিদারিত্ব পুনর্জীবিত করা।



যেভাবে নির্ধারণ করা হয় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা:


এমডিজি’র মতো জাতিসঙ্ঘের চারদেয়ালের ভেতরে বসে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় নি। ২০১৫ সাল পরবর্তি সময়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ২০১২ সালের রিয়ো প্লাস টুয়েন্টি (রিয়ো ডি জেনিরো, ব্রাজিল) শীর্ষ সম্মেলনে। সম্মেলনের ফলশ্রুতিতে 'দ্য ফিউচার উই ওঅন্ট' শীর্ষক ঐতিহাসিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যাকে বলা যায় এসডিজি’র রূপরেখা। তারা (১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র) একটি ওপেন ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে খসড়া লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার জন্য তাদেরকে ক্ষমতায়ন করেন।

ওপেন ওয়ার্কিং গ্রুপ ৭০টি দেশের প্রতিনিধি নিয়ে এবং ১০০ দেশের সাথে মুখোমুখি সভার মধ্য দিয়ে (ওপরে বলা হয়েছে) চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করে (২০১৫/অগাস্ট)। তাছাড়াও জাতিসঙ্ঘ 'বৈশ্বিক কথোপকথন', পরিবার জরিপ এবং 'মাই ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক জরিপের আয়োজন করে। সব তথ্য ও উপাত্ত ওপেন ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিবেদনে যুক্ত হয়।



১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান:

সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্র এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রাগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট (এমডিজি’র ক্ষেত্রে এটি ছিল না)। তবে ইংল্যান্ড ও জাপানসহ হাতেগুণা কয়েকটি রাষ্ট্র মৃদু দ্বিমত প্রদর্শন করেছে। কোন কোন দেশ ১৭টি লক্ষ্যমাত্রাকে খুব বেশি এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মত দিয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জনসমক্ষেই বলেছেন যে, তিনি ১২টিতে একমত, ১০টি হলে ভালো। তবে কোন্ লক্ষ্যমাত্রাগুলোতে তারা 'একমত' তা তিনি স্পষ্ট করেন নি।

জাতিসঙ্ঘের বিশেষ উপদেষ্টা (আমিনা মোহাম্মেদ) বলেছেন যে, লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে ১৭ পর্যন্ত নামিয়ে আনতে তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। আরও কমানো হলে তা প্রবল বিরোধীতার মুখে পড়বে এবং নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন, শান্তি ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়গুলো বাদ পড়তে পারে।



শেষকথা: আরেক ফর্দ লক্ষ্যমাত্রার কী দরকার ছিল?

এমডিজি’র লক্ষ্য ও অর্জন নিয়ে যত সমালোচনাই হোক না কেন, এর মধ্য দিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে উন্নয়ন বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়ন ইস্যুতে একতাবদ্ধ থাকার কারণে স্নায়ুযুদ্ধ (রাশা বনাম যুক্তরাষ্ট্র) স্নায়ুতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। অর্থাৎ ২০০০ সালে এমডিজি’র পাশাপাশি শুরু হয়েছে উন্নয়নের বিশ্ব রাজনীতি। আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা। তাতে যতই রাজনীতি থাকুক না কেন দরিদ্র দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি, বরং নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক সংস্থা গড়ে ওঠেছে যেন এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অপেক্ষাকৃত পিছিয়েপড়া দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়া যায়। ফলে শিক্ষা, চিকিৎসা এবং পুষ্টির মতো মৌলিক ইস্যুতে বিগত দেড় দশকে গরিব দেশগুলো পেয়েছে প্রচুর সহযোগিতা। এর অধিকাংশই সম্ভব হয়েছে এমডিজি নামক একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উন্নয়ন এজেন্ডা থাকার কারণে।

২০১৫ সালে শেষ হয়ে গেলো এমডিজি’র যুগ। এবার কেমন হবে? কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন, আর্থিক মন্দা, কর্মসংস্থান, মুক্তবাজার বাণিজ্য, খাদ্যাভাব, মারাত্মক রোগ ইত্যাদি ইস্যুতে বিশ্ববাসীকে আবার এক করা যায়? কীভাবে চালিয়ে যাওয়া যায় উন্নয়নের রাজনীতি? এ নিয়ে গত তিন বছর ধরে (২০১২ থেকে) হয়েছে নানা পর্যায়ের গবেষণা। বলা যায়, এমডিজি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকেই জন্ম নিয়েছে এর সর্বাধুনিক ও সময়োপযোগী রূপ, এসডিজি। 'এস' মানে সাসটেইনেবল, টেকসই, স্বয়ংসম্পূর্ণ। এসডিজিকে বলা যায় বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতিমালা, যা প্রণীত হয়েছে সকলের অংশগ্রহণে। বিগত কয়েক দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন কিছু হয়েছে - এবার দরকার উন্নয়নকে স্থায়ীকরণ, প্রবৃদ্ধিতে ধরে রাখা। সর্বোপরি, উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তি দেওয়া এবং বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যাকে (নারী) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা। দেখা যাক আগামি ১৫ বছর (২০১৬-২০৩০) কেমন যায়!





ক. পরিশিষ্ট:

*ODA: Official Development Assistance উন্নত দেশগুলো থেকে 'সরকারি সাহায্য', যা DACএর মাধ্যমে বিতরণ হয়। DAC/ Development Assistance Committee হলো জাতিসঙ্ঘের OECD-এর অধীন একটি সংস্থা (OECD= Organization for Economic Cooperation and Development)। ODA সহায়তা বিতরণের নির্দেশক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।

*MDG/এমডিজি: Millennium Development Goal বা সহস্রাব্দি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (২০০০-২০১৫)। চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ; সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা; জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়ন; শিশুমৃত্যুর হার কমানো; মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন; এইডস ও ম্যালেরিয়াসহ মারাত্মক রোগগুলোর প্রতিরোধ; পরিবেশের ভারসাম্যতা নিশ্চিতকরণ এবং উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশিদারিত্ব – এই ৮টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এমডিজি প্রণীত হয়েছিল।

*উন্নয়নকর্মী হিসেবে এমডিজি/এসডিজি নিয়ে কিছু-না-কিছু নাড়াচাড়া করতে হয় প্রতিনিয়তই। সেখান থেকে কিছু 'মৌলিক বিশ্লেষণ' সহব্লগারদের পাঠের উপযোগী করে এবং পারিভাষিক শব্দ যথাসম্ভব পরিহার করে উপস্থাপন করা হলো। বাকি বিষয় খবরের কাগজে পাওয়া যাবে।




--------------------------------------------------------------------------

খ. তথ্যসূত্র:

a. sustainabledevelopment.un.org [accessed on 3/Oct/2015]
b. theguardian.com/global-development [accessed on 28/Sep/2015]
c. United Nations, The Future We Want, 2012

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্ট তথ্যে ভরপুর। প্রথম হওয়ার মজাই আলাদা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... তাইতো দেখছি। অভিনন্দন :)

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভালো করেছেন মইনুল ভাই। এমডিজির সফলতা নিয়ে বেশি কিছু বলাটা বেখাপ্পাই দেখায়। তবে রাশিয়া আমেরিকার স্নায়ুযুদ্ধের রাজনীতি নিয়ে শংকায় আছি এসডিজির সফলতা নিয়ে। কখন কি করে বসে বলা যায় না। মধ্যপ্রাচ্যে যে অস্থিরতা তার মুলে ইউএসএ এটা সবাই জানে। মুখ চেপে হাসে কেউ কেউ। যাহোক, এই খেলাখেলির মাঝেও যদি নিম্নআয়ের দেশসমুহ উপকৃত হয় তবে ভাল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য, গেম চেন্জার, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ :)

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: Millennium Development Goal এর লক্ষ্যমাত্রা মেয়াদ এ বছর শেষ হচ্ছে , এর লক্ষ্যমাত্রা আসলেই কি অর্জিত হয়েছে ?
নাকি এই আটটি বিষয়ের উন্নয়ন কাগজে কলমেই রয়ে গেছে ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

থ্যাংকস :)

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তথ্যসূত্র গিসাবে অবশ্যই শোকেসে!

আর কি বলব? সবই কথার খেলা শব্দের মারপ‌্যাচে হিসাব উল্টে দেয়া সুশিল উদ্যোগ! অনেকটা বেশি খাবার খেয়ে হজমি খাবার মতো মনে হয়! তায় আবার সেখানেও সেকি বিশাল বিশাল সুশীল লুটপাট! ৫০০০ টাকা দান - দেয়ায় ৫০০০০ টাকার মিডিয়া ব্যায় তো পুরানা গল্প ;)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুশীল উদ্যোগ.... সুশীল লুটপাট =p~

এসবের কিছু ভালো প্রতিষ্ঠান আছে যারা কথামতো কাজও করে। এসব নিয়ে অন্য কোনদিন লেখার ইচ্ছে আছে।

ভালো থাকবেন, জনাব বিদ্রোহী ভৃগু... :)

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব,
আমাদের জন্য এই মৌলিক বিশ্লেষণটি অত্যন্ত মূল্যবান।কৃতজ্ঞতা নিন। (পুনরায় মুখস্থ করে নিলেম, এখানে-সেখানে বলতে হয় তো :#) ) আপনার কাছে আমার একটি ছোট্ট প্রশ্ন- আমাদের বাংলাদেশ এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কতখানি সফল হয়েছে বলে আপনি মনে করেন ?

বিদ্রোহী ভৃগু, বলছিলেন হিসাব উল্টে দেয়া সুশীল উদ্যোগের কথা। বাস্তবতা অনেকটা তাই। কলমে আছে কিন্তু হাতে নাই। ২০১৬-২০৩০ হয়তো আরও নানা সুশীল উদ্যোগ আসবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন তাদের নাস্তানাবুদ করতে প্রস্তুত হচ্ছে।

আপনাকে ধন্যবাদ, মূল্যবান সময় ব্যয় করে অভাজনের একটি কথা শুনলেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সামর্থ্যের বিচারে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে অনেক উন্নয়ন করেছে। বিশেষত, নারীশিক্ষায় অংশগ্রহণ এবং মাতৃস্বাস্থ্য ইস্যুতে বাংলাদেশের অর্জন প্রতিবেশী দেশেরও ঈর্ষার বিষয়। অমর্ত্যসেনের সাম্প্রতিক বক্তৃতায় বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।

অন্ধবিন্দু, সবকিছুকে বাঁকাচোখে দেখা ভালো, তাতে সত্য বের হয়ে আছে। কিন্তু আবদ্ধ ঝিনুকেও মুক্তা থাকে, সেটাকে ওভারলুক করা উচিত নয়। উন্নয়ন নিয়ে বিশ্বব্যাপী রাজনীতি ছিল আছে থাকবে। (এবিষয়ে এই অভাজন লেখকের অভিমত সুযোগ পেলে দাখিল করবো কোন দিন।) কিন্তু একটি লক্ষ্য ঠিক করা না থাকলে অর্জন বা ব্যর্থতা কিছুই বুঝা যায় না। আসল কথা আপনি-আমি সকলেই জানি। তা হলো, এমডিজি/এসডিজি দিয়ে পৃথিবীর উন্নয়ন করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ নিজে তার ভাগ্যোন্নয়নে সচেষ্ট না হয়।

এখন যে এসডিজিতে 'টেকসই' বা স্থায়ীত্ব বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, একেও বলতে হবে এমডিজি'র অর্জন। এমডিজিতে ডিভেলপমেন্ট কনসেপ্টটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ (অথবা অসম্পূর্ণ), যদিও উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না। এবার বটন-আপ পরিকল্পনায় পৃথিবীর সার্বিক উন্নয়নের স্কোপগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে এসেছে। এবার হয়তো আরও নিবিড়ভাবে মানুষ চেষ্টা করতে পারবে। কিন্তু ১৫ বছর পড় হয়তো দেখা যাবে, এটিও পারফেক্ট ছিল না। তবু একটি লক্ষ্যকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে এগোতে হয়। পৃথিবীতো ক্ষয়িষ্ণু, তা যে কারণেই হোক। মানুষের চেষ্টা দিয়েই একে কেবল বাসউপযোগী করা সম্ভব।


আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যে সবসময় ঋদ্ধ হয়েছি। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না।

অনেক কৃতজ্ঞতা.... :)

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পরিকল্পনাগুলো কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। অন্তত আশি ভাগ যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে হয়ত অনেক কিছুই বদলে যেত। ধন্যবাদ মাইনুল ভাই চমৎকার একটি লেখার জন্য।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
একই কথা পৃথিবীর প্রায় ৭শ' কোটি মানুষের।

অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় প্রবাসী পাঠক....

ভালো আছেন? :)

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

হামিদ আহসান বলেছেন: এসডিজি ভার্সাস এমডিজি ........কমপ্রিহেনসিভ অালোচনা৷ ভাল পোস্ট মইনুল ভাই৷ ধন্যবাদ .......

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//কমপ্রিহেনসিভ আলোচনা//

থ্যাংকস... হামিদ আহসান ভাই...
ভালো থাকুন.... :)

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন! অনেক ভাল লাগলো!

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা জানবেন!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সাহসী সন্তান, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা :)

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

রিকি বলেছেন: ভাইয়া এত জটিল একটা বিষয়কে সহজভাবে, ধৈর্য নিয়ে উপস্থাপনের জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা রইল। :) :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, রিকি :)

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যতটুকু জানি আমাদেরও এমডিজির কিছু লক্ষ্যমাত্রা ছিল ।সেটুকুর কত % বাস্তবায়ন হয়েছে কে জানে?
তথ্যবহুল পোস্ট +

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এমুহূর্তে ২০১২ সালের একটি প্রোগ্রেস রিপোট আমি শেয়ার করতে পারি:



এরপর আরও তিনটি বছর কেটেছে শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা দিয়ে...

ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আরেকটি নিন (২০১৩)..... :)

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,



তথ্যধর্মী পোষ্ট । সে জন্যে প্রাপ্য ধন্যবাদ আগেই জানিয়ে রাখলুম ।

কিন্তু কথা হলো - বৃক্ষ তোমার পরিচয় কি ? উত্তর - "ফলে" ।
২০১৫ তে শেষ হওয়া এমডিজির উন্নয়ন পরিকল্পনার কোন আদরের ক্রীমটি আমাদের গালে মাখা হয়েছে যে অমরা গালে হাত বুলিয়ে মোলায়েম আমেজ পাচ্ছি ?
ঐ যে দেখা গেল , শান্তি ও ন্যায়বিচার এর কথা । আগের ১৫ টি চার্টার ডিঙিয়ে লক্ষ্য অর্জনের জন্য অংশিদারিত্ব পেতে (শেষ লক্ষ্যমাত্রা ) যা করার তাই করতে হবে । এবং তা-ই এতোকাল হয়ে এসেছে, যে কোনও মূল্যে । শান্তি রক্ষার কথা বলে অনুপ্রবেশ এবং অংশিদারিত্বের কথা বলে অন্যদেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে নাক গলানোর এরচেয়ে "জিরো এরর" ফর্মূলার মূলো আর একটাও নেই । নইলে এমডিজির বদলে এসডিজির কোন প্রয়োজনই পড়তনা । এমডিজি যদি আসলেই একটিও ডিম পাড়তো তা থেকে শ'খানেক মুরগী পাওয়া যেত আজ ।
১৭টি লক্ষ্যমাত্রার একটিরও প্রয়োজন নেই শুধু প্রথমটি "দারিদ্র্য বিমোচন" করে দিতে বলুন - বড়া বড়া বাৎ করনেওয়ালা লোগোকো । বাকীগুলো কান টানলে মাথা আসার মতোই চলে আসবে ।

আপনার মাধ্যমে আমরা না হয় 'মৌলিক বিশ্লেষণ' গুলো জানলুম । এবার আপনার মাধ্যমেই তেনাদের কে জানাতে চাই -
"ভাত দে হারামজাদা .....।"

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, শুরুতেই ধন্যবাদ দিই আপনার সুলিখিত মন্তব্যের জন্য। ঠিক আপনার নিকট থেকে যা প্রত্যাশিত, তাই পেয়েছি।


আপনার মন্তব্যের পরিপূর্ণ উত্তর দিতে চাইলে, পরিপূর্ণ আরেকটি পোস্টের প্রয়োজন। ওপরে অন্ধবিন্দুর মন্তব্যের উত্তরে কিছু বলেছি। অনেকটা একই ধাঁচে এসেছে আপনার অভিমতটি।

প্রথমত, 'উন্নয়ন' একটি আগাগোরা রাজনৈতিক বিষয়, ইতিবাচক অর্থেই। একে 'রাজনৈতিক' বললে সেটি প্রশংসাই হয়। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। দারিদ্র্যতা একটি রাজনেতিক সমস্যা, কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্ধারণ করে মানুষের আয় বাড়বে নাকি কমবে। মানুষের একক প্রচেষ্টাকে প্রেরণা দেবে রাষ্ট্রই। তাই সমাধান আসতে হবে রাষ্ট্রপ্রধানদের মাধ্যমেই। হারামজাদা বলুন, আর নবাবজাদা বলুন... তাদের হাতেই নিজের ভাগ্যকে বেঁধে রেখেছেন ;)

দ্বিতীয় কথা হলো, মানুষ এখনও অন্তর্জামী বা ভবিষ্যৎদর্শী হতে পারে নি। 'উন্নয়নের' মতো একটি বহুমাত্রিক সমস্যাকে মানুষ এক টেবিলে বসে মোবাবেলা করতে পারে না। এবিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্তের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিতিক তথ্য/উপাত্ত। ফলে তাকে ভুল এবং সংশোধনের মধ্য দিয়েই যেতে হয়। বিশাল অর্জন কখনও এককেন্দ্রীক নয়। (আজকের কম্পিউটার একদিনের/একজনের শ্রমের ফসল নয়)।

তৃতীয়ত, উন্নয়ন একটি বহুমুখী সমস্যা - এক পথে এর সমাধান সম্ভব নয়। জলবায়ুর উন্নয়ন আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনও একটি লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে অর্জন সম্ভব নয়। দারিদ্র্য বিমোচন আর জলবায়ুর পরিবর্তন কখনও অভিন্ন সমস্যা হতে পারে না। অন্তত এখন আর সেটি একসূত্রে বাঁধা নেই। উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবী ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, একথা দু'শো বছর আগে ইউরোপিয়ানরা জানলে হয়তো শিল্প বিপ্লব হতোই না।

'অনুপ্রবেশ/অংশিদারিত্ব' একটি ভিন্ন সমস্যা... এসব বিষয় ২০০০ এর বহু আগেও ছিল। এর সাথে এমডিজি/এসডিজি'র কোনই সম্পর্ক নেই।


শুনুন... আপাতত শেষ করি: পুঁজিবাদের কারণে যে সমস্যার শুরু, তার সমাধানও আসবে পুঁজিবাদ দিয়েই। অতএব, আপনার নিচের স্লোগানে আমার কোন দ্বিমত নেই।

শুভেচ্ছা জানবেন.... :)

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার, তথ্যবহুল পোস্ট।

মিডিয়ার কল্যাণে এমডিজি, এসডিজি সম্বন্ধে ভাসা ভাসা জানা ছিল।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারলাম।

এমডিজির সাফল্য সম্বন্ধে বলেছেনঃ
//তাতে যতই রাজনীতি থাকুক না কেন দরিদ্র দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি, বরং নানাভাবে উপকৃত হয়েছে।//

আশা করি এসডিজি দরিদ্র দেশগুলোকে আরও এগিয়ে নেবে।
//অনাগত ২০৩০ হোক,
আমাদের (দরিদ্রের) দশক !!//


ভাল থাকুন। সবসময়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শামছুল ইসলাম....
শুভেচ্ছা জানবেন :)

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট --- এমডিজি নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল -- কিছু কাজ হয়েছে বেকি--- প্রজেক্টগুলো যখন ডিজাইন হতো তখন ডিজাইন হতো এমডিজিকে সামনে রেখেই করা হতো --- এখন দেখার পালা এসডিজি আমাদের জন্য কতটুকু সফলতা নিয়ে আসে --------
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ----

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আগামি ১৫ বছরও সেরকমভাবেই হবে.... লাইলী আরজুমান খানম লায়লা আপা :)

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা....

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব,
আপনার উত্তরটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বলেছেন- সবকিছুকে বাঁকাচোখে দেখা ভালো। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞান অতীতে কোথাও লিখেছিলো- চোখ যতই বাঁকা দেখুক, মস্তিস্ককে কিছু সেকেন্ড এগিয়ে দেখতে হয়। বিজ্ঞানও তাই বলে(আপনি নিশ্চয়ই জানেন)
সাধরণ মানুষ অতো হিসেব বুঝে না। তারা বর্তমান দেখে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের রিস্ক নিতে হয়; টু ফরকাস্ট ইট বেটার।

ভালো থাকবেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//রাজনীতিবিদদের রিস্ক নিতে হয়...// জী জনাব :)

আবার এসে মন্তব্যে দিয়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, অন্ধবিন্দু!

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার তথ্যভিত্তিক আলোচনা । বেশ কিছু জানলাম ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কথাকথিকেথিকথন :)

১৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: তথ্য মুলক কাজের পোস্ট। আমি একটু অকাজের, অর্থনীতি কম বুঝি, তাই পুরোটা পড়িনি। শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মহান অতন্দ্র.... আপনাকে অনেক ধন্যবাদ :)

১৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। আমি ভালো আছি মাইনুল ভাই। আপনি কেমন আছেন? কিছুদিন অনিয়মিত ছিলাম ব্লগে। এখন থেকে আবার নিয়মিত থাকার চেষ্টা করছি

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আমিও অনিয়মিত... এটিই তো ব্লগারদের স্বভাব হওয়া উচিত। সবারই তো অন্য একটি সত্ত্বা আছে :)

ভালো থাকবেন, প্রবাসী পাঠক!

১৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক পোষ্ট। অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রামানিক ভাই... থ্যাংকস :)

১৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

আবু শাকিল বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট
ভাই ।
অনেক কিছু জানলাম ।
ধন্যবাদ ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ...
ভালো থাকবেন.... :)

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পড়বার চেস্টা করলাম, এই ব্যাপারে আগ্রহ কম দেখে কিছুদুর পড়বার পর মাথায় কিছু ঢুকলোনা, চোখ বুলিয়ে গেলাম বাকীটা। যাইহোক, আপনার নিজের কি মনে হয় এই ধরনের পরিকল্পনায় কোন সুফল আদৌ আসে? আমারতো মনে হয় উন্নত বিশ্ব নিজেরাই চায়না বিশ্বের সব অংশ একই কাতারে আসুক। সামগ্রিক উন্নয়ন যদি চায়ও সেটাও আগের মত বিভেদ কিংবা পার্থক্যটা বজায় রেখেই।

শুভকামনা রইলো। :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার প্রশ্ন নিয়েই ওপরের লেখা।

ভালো থাকবেন.... :)

২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

জেন রসি বলেছেন: উন্নত দেশগুলো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে ততটুকোই উন্নত করতে চায় যা তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধি করবে। যেমন এইসব প্রকল্পের অনেক ব্যাপারই আমার কাছে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ এর নেওয়া প্রকল্পের মত এক ধরনের আই ওয়াশ টাইপ প্রকল্প মনে হয়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

নেক্সাস বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। কাজে আশবে জানা থাকলে

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাই... কবি!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কাবিল বলেছেন: তথ্যমূলক পোষ্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কাবিল :)

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: এমডিজি এসডিজি এলএমজি এসএমজি টার্মগুলো খুব খটমটে, দুষ্টচক্রের একেকটা লাইসেন্সধারী পাণ্ডা! উন্নয়ন কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনের হাওয়া ফুটো করে দিয়ে চলে কেবলই যুদ্ধের ব্যবসা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//এমডিজি এসডিজি এলএমজি এসএমজি//.. ... আহা কি ছন্দ B-)

তা গল্পকার সাহেব... লেখি দিন না একটি গল্প। আমরা সেটি নিয়ে মেতে থাকি :)

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

সুমন কর বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

এমডিজির উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবরূপ দেখতে প্রত্যাশী... !:#P

ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমিও প্রত্যাশী... :)


ধন্যবাদ, কবি সুমন কর :)

২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: তথ্যবহুল ব্যতিক্রমী পোষ্ট । অনেক ধন্যবাদ যদিও অনেক কিছু মাথার উপরে দিয়ে চলে গেছে। :P তবুও জানার তো কোন শেষ নেই এক জীবনে। ভালো থাকবেন। :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

মাথার ওপর দিয়ে গেছে? :(
অনেক চেষ্টা করলাম - আমারই ব্যর্থতা।

তবু চেষ্টা করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা... প্রিয় রেজওয়ানা আল তনিমা :)

২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১০

প্রামানিক বলেছেন: মইনুল ভাই নতুন লেখা কই?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ছড়াকার ভাই... কেমন আছেন?
লেখার সময় পাইনা.... :(

তাছাড়া আপনাদের লেখাগুলো পড়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় আমার কাছে।

ভালো থাকবেন :)

২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

জুন বলেছেন: মাইনুদ্দিন মইনুল , পড়লে হয়তো অবশ্যই বুঝতা্‌ম, এত্ত মাথা মোটাতো নই, কিন্ত :(
শুধু সিন্ডিকেটের সদস্য বলে একটি মন্তব্য করে মন্তব্যের পরিমান বৃদ্ধি করে গেলাম :P
ওহ সাথে একটা ভালোলাগাও B-)
+

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... হাসতে হাসতে পরান যায়। যাহোক, আপনি আমাকে জানেন, অহেতুক মন্তব্য আমি কখনও কামনা করি নি।

তবু আপনার উপস্থিতি আমার কাছে সম্মানের বিষয়। :)

২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আজ ভ্রমণ সংকলনের কাজে পুরানো পোস্ট দেখতে দেখতে চোখ আটকে গেল, আরে এমন পোস্ট এখনও সামুতে দেখা যায়!!! তো পোস্ট করছেন কে? তাকিয়ে দেখি ভাইজানের নাম। অবাক হই না, আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা এমনই। আমাদের আটপৌরে লেখার মাঝে আপনার পোস্টগুলো হয় একেকটা হীরকখণ্ড, এই পোস্ট তার উপর এককাঁঠি সরস। কেননা, এমন টার্ম নিয়ে সহজ সাবলীল লেখা মেলা ভার।

পোস্ট ভাললাগার সহিত প্রিয়তে তুলে রাখা হল। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অনেক বড় প্রেরণার কথা বললেন, বোকা মানুষ :)
ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করবেন।

৩০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৯

ইয়াসির আরাফাত অরণ্য বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম তথ্য সমৃদ্ধ একটি ব্লগ লেখার জন্য।
আমরা বাংলাদেশে SDGs নিয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন ধরে। আমাদের সংস্থার নাম Youth Platform for Sustainable Development - YPSD. আপনাকে আমরা আমাদের সাথে পেতে চাই। নিচে আমাদের সংস্থার সব ধরনের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। আমাদের সাথে যুক্ত হতে আপনার কাছে অনুরোধ রইলো।
Facebook Page:
https://facebook.com/ypsd2030

Facebook Group:
https://facebook.com/groups/386251948...

Instagram:
https://instagram.com/ypsdun

Twitter:
https://twitter.com/YPSDUN

Drop us a mail:
[email protected]

Website:
http://ypsdun.org

Cell: +8801860088088

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক সুন্দর একটি উদ্যোগ! ভালো লেগেছে, ভাই! হোমপেইজ দেখে এলাম। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ৯টি জেলায় ৬০০ ভলানটিয়ার নিয়ে কাজ করছে। ইমেইলে তথ্য পাঠালাম। অনেক শুভেচ্ছা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.