নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ব্লগার বন্ধুটি তার কাজ বদলানোর পর আর ব্লগিং করেন না। ফেইসবুকেও খুব একটা দেখা যায় না। অনেক সহপাঠি তাকে খুঁজেন অনলাইনে। বেশ ভালোই লেখতেন। আমি একটু বিস্মিতই হলাম, কারণ তার একটি পাঠকবলয় গড়ে ওঠেছিল, যা হয়তো অনেকে ঈর্ষা করবে।
একদিন মুখোমুখি আড্ডায় অনেক কারণ জানালেন তিনি। তার বর্তমান কাজটি এরকম যে, কম্পুতে বসে অন্যকিছু করার সুযোগ হয় না; ব্লগিংয়ের প্রশ্নই আসে না। কম্পুতে বসলেও নির্দিষ্ট কিছু কাজ থাকে তার সামনে। তাছাড়া অফিসের নৈমিত্তিক ব্যস্ততায়, ব্যক্তিগতভাবে কম্পুতে কিছু করা অস্বস্তিকর। তবে তিনি আত্মস্বীকার করে জানালেন যে, শারীরিকভাবে তিনি অনেক সুস্থ এবং হালকা অনুভব করেন আজকাল। তার পূর্বের কাজে বেশি বসে থাকার কারণে ‘মোটিয়ে’ গিয়েছিলেন এবং বেশকিছু রোগ-ব্যামারও বাধিয়ে ফেলেছিলেন। এসব নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে বচসা লেগেই থাকতো। এবার তার সাংসারিক জীবনও আগের চেয়ে ভালো। সম্প্রতি তিনি জানালেন যে, ব্লগিং ভুলে যান নি, ভোলার নয়। বরং প্রাত্যাহিক জীবনে ব্লগিংয়ের সামাজিকতাকে প্রয়োগ করছেন এবং অনিয়মিতভাবে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন, যা হয়তো বই আকারে বের হতে পারে।
এবার একজন প্রাক্তন সহকর্মীকে নিয়ে একটি বেদনাদায়ক ঘটনা বলছি। আমরা একসাথে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে গেলে, তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমে গিয়ে যোগদান করেন। তার মুখেই বলা এই কাহিনি। আমি ছাড়া হয়তো আর কেউ জানে না। তাদের অফিসে এক সময় সকলেই ফেইসবুক টুইটার ইত্যাদি ব্যবহার করতো এবং ‘লাইক-শেয়ারিং’ ইত্যাদি নিয়ে অনেক মজাও হতো চা’য়ের আড্ডায়। তাদের সিনিয়র কর্মকর্তাও এসবের বাইরে ছিলেন না। একটি সংবাদ মাধ্যম হিসেবে কাজের ফাঁকে একটু আড্ডার প্রয়োজন থাকতেই পারে। কিন্তু অবাধে ফেইসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টি অধিকতর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তারা দেখলেন অথবা ধারণা করলেন যে, এতে অফিসের স্বাভাবিক পরিবেশ এবং গতিশীলতা ভিন্নদিকে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তাদের সিনিয়র ব্যবস্থাপক ঘোষণা দিয়েই অফিসে ফেইসবুক বা এরকম মাধ্যমগুলোর ব্যবহার নিষেধ করে দেন। নিষেধাজ্ঞা জারির কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সতর্ক করতে হলো, কারণ পুরোনো অভ্যাস অনেকেই হঠাৎ ছাড়তে পারে নি! মাসখানেক পর শাস্তিসহ পুনঃসতর্কবার্তা জারি হলো! এরই মধ্যে সেই সিনিয়রের একটি পোস্টে ‘লাইক’ দিয়ে আমার সহকর্মী বন্ধুটি অফিস কর্তৃপক্ষকে বিশাল অস্বস্তিতে ফেলে দেন। ‘লাইক’ দেবার সময়টি ছিল অফিস টাইমের মধ্যে! যা হোক, ঘোষিত শাস্তি মোতাবেক, তাকে শোকজসহ বরখাস্ত করতে হয়। কিন্তু তার মতো একজন কর্মীকে তারা হারাতেও চাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষ একটি ফ্রেন্ডলি মিটিংয়ে তাকে প্রশ্ন করে, তিনি এখন কী করতে চান। হয়তো তারা চেয়েছিলেন ক্ষমা করে দিতে! আমার সহকর্মী বন্ধুটি একটু নাকউঁচু টাইপের: ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না! তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। বিষয়টি আক্ষেপজনক হলেও ওখানেই শেষ হয়। কিন্তু চরম একটি শিক্ষা হলো সংশ্লিষ্টদের। ব্যাপারটি এরকম দাঁড়ালো যে, ফেইসবুক ব্যবহার করার কারণে তার চাকরিটিই থাকলো না।
আরেকজন সেলিব্রেটি ফেইসবুকারের গল্প বলছি, যার অগণিত বন্ধু এবং চার হাজারের ওপরে অনুসারি আছে ফেইসবুকে। তিনি মূলত ব্লগ থেকেই ‘সেলিব্রেটি নবুয়ত’ পেয়েছেন, যদিও তখনও তিনি এইচএসসিও পাশ করেন নি। সিরিয়াস লেখক বা কবি বা গল্পকার নন। ফান পোস্ট আর চলমান বিষয় নিয়ে রসাত্মক লেখায় পাঠককে জমিয়ে রাখতেন। এসবের পাঠক বেশি! ক্রমান্বয়ে বিশাল একটি ভক্ত সম্প্রদায় গড়ে ওঠে তার। টিনেজ পেরোনো ছেলেমেয়েদের জন্য এটি কিন্তু বিশাল প্রাপ্তি! স্বপ্নের মতো বিশাল! বলা যায়, তিনি রীতিমতো খ্যাতির মগডালে ওঠেছিলেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, এটি শুধুই ভার্চুয়াল স্পেইস। একে বাস্তব জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সাথে না মেশাতে পারলে অর্থহীন সময় ক্ষেপন মাত্র। বাস্তবিক সমাজে টিকে থাকার মতো যদি কিছু না থাকে, তবে শুধুই আকাশে বসত করে একে টিকিয়ে রাখা কঠিন। বাস্তব জীবনের বন্ধুরাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যদিকে ভার্চুয়াল বন্ধুরা শুধু মাত্র ‘রেস্ট ইন পিস’ অথবা একটি ‘লাইক’ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে। অসম্ভব রকমের প্রচার ও সুখ্যাতি থাকলে এবং বাস্তবের সাথে তার যোগসূত্র থাকলে, এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম আসতে পারে।
পরবর্তি ঘটনা যা হোক, সেই সেলিব্রেটিকে আর দেখা যাচ্ছে না! এই প্রস্থান হঠাৎ হয় নি। গত ৩/৪ বছরকে তার ‘উইথড্রয়াল পিরিয়ড’ বলা যায়। মানে হলো, পরিবারের চাপে আর পরীক্ষার নৈকট্যে, যেভাবেই হোক তার চেতনা হয় এবং ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বাস্তবিক জগতে ফিরে যান। হয়তো উচ্চতর পড়াশোনা করছেন, নয়তো চাকরিতে প্রবেশ করেছেন। আমার বন্ধু তালিকা থেকেও উধাও; বোধ হয় ফেইসবুক পরিচয়টিকেও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন! অথবা, কে জানে, হয়তো ভিন্ন নামে আছেন!
আড্ডাবাজিতে আমার একটু দুর্বলতা থাকায়, এর কুফলটুকু আমি বুঝার চেষ্টা করছি। ব্লগিং যখন ‘আড্ডাফায়িং’ পর্যায়ে চলে যায়, তখন কীভাবে যে সময় চলে যায় বুঝা যায় না। সেটি নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের উভয়ের ক্ষতি। প্রতিটি চাকরিজীবি মানুষের দিবাকালীন আটটি ঘণ্টা আর্থিক মানদণ্ডে সুনির্দিষ্ট করা আছে। এর প্রতিটি ঘণ্টার আছে আর্থিক মূল্য। কাজ থাকুক অথবা না থাকুক, সময়টি প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে-বলা মানুষ খুবই কম, তাই গায়েপড়ে কেউ সতর্ক নাও করতে পারে। এখানে বিবেকই একমাত্র নির্দেশিকা। তাই অফিসে বসে সামাজিক যোগাযোগে কতটা সময় দেওয়া যায়, কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং কতটুকু দিলে সেটি উপেক্ষা করার মতো, সেটি নিজের বিবেক দ্বারাই বিচার করা যায়।
ব্যক্তিগত সময়কেও (যেমন ছুটির দিন অথবা দিনের বাকি সময়) উদারভাবে ভার্চুয়াল সমাজে না দিয়ে কিছু সময় পরিবার, বন্ধু ও নিকাটাত্মীয়কে দেওয়া উচিত। এখন সময় এসেছে হাল টেনে ধরার। বিষয়টি নেশার পর্যায়ে চলে গেছে এবং কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে।
ব্লগার/ফেইসবুকারদেরকে আলোচনার স্বার্থে কয়েকটি ভাগে যদি ভাগ করি, তবে নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবো।
▲ভার্চুয়াল মানব ১:
ব্লগ, ফেইসবুক, টুইটার, স্কাইপ, ফ্লিকার... প্রায় সব জায়গায় তার বিচরণ। একটি থেকে আরেকটি মাধ্যমে তিনি প্রায় ১৮ ঘণ্টা এপার-ওপার করেন। তাদের মধ্যে কারও কারও প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তিবিদ্যা থাকার কারণে, ইন্টারনেটে থাকাটা মোটামুটি ‘ছোয়াবের বিষয়’ বলে ধরে নিয়েছেন। কারও আছে নিজস্ব ব্লগ, ওয়েবপোর্টাল বা সংবাদমাধ্যম। কেউ আবার অনলাইন সংবাদমাধ্যমে চাকরি করেন। তাদের মধ্যে একদল আছেন যারা চাকুরিসূত্রে অনলাইনে লটকে থাকেন, আরেকদল নেশা ও অপরিণামদর্শীতার কারণে।
▲ভার্চুয়াল মানব ২:
এদের অধিকাংশই একটি উদ্দেশ্য নিয়ে অনলাইনে সময় দেন। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুম আসা পর্যন্ত তারা অনলাইনেই থাকতে চান, তবে কাজের চাপে সেটি পারেন না। ফলে সেটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং প্রাত্যাহিক জীবন ও সুস্বাস্থ্যের পরিপন্থী।
▲ভার্চুয়াল মানব ৩:
এই দলটি পেশাজীবী। সময় পেলে সর্বান্তকরণে অনলাইনে থাকেন। ব্লগে অথবা সামাজিক মাধ্যমে। সহপাঠিদের সাথে আড্ডা দেন, নিজেদের জীবনের ঘটনাগুলোকে শেয়ার করেন। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি নয়। কারণ তাছাড়াও তাদের অনেক আগ্রহের বিষয় আছে, যা ভার্চুয়াল সমাজ দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।
▲ভার্চুয়াল মানব ৪:
সকল বয়সেই একটি কাজহীন দল আছে। কেউ কাজ পাচ্ছে না, কেউ অবসরপ্রাপ্ত, কারওবা কাজের বয়সই হয় নি। তারা বিনোদন করতে অথবা স্মৃতি জমা করার জন্য অনলাইনে আসেন। কিন্তু নিজেরা কোন আর্থিক পেশায় যুক্ত না থাকায়, ততটা সময় অনলাইনে থাকতে পারেন না। এদের মধ্যে যারা বয়স্ক বা অবসরপ্রাপ্ত, তাদের অনেক সামাজিক কাজও থাকে।
যা হোক, এভাবে হয়তো ভার্চুয়াল মানব ৫... ১০, ১৫ অথবা ২০ পর্যন্ত যাওয়া যায়। কিন্তু শ্রেণীভেদের একটি সীমা থাকা উচিত। আমাদের অনলাইন জীবনেরও একটি সীমা থাকা উচিত, কারণ বাস্তবতাকে কিছু সময়ের জন্য ভুলে গেলেও এটি আমাদের পেছন ছাড়বে না। ভার্চুয়াল বিষয়গুলো খুব বেশি হলে অনুঘটক হতে পারে, অথচ বাস্তবতা দিয়েই জীবন গড়ে ওঠে।
বাসা হোক কিংবা কর্মস্থল, আমরা যেন আশেপাশের মানুষগুলোকে খেয়াল করি! কম্পিউটার বা স্মার্টফোনটি খোলা থাকতেই পারে, কিন্তু সে সাথে আমরাও খোলা থাকি বাস্তবতার দিকে!
“....তবে বাসার কম্পুটার ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে আর আমি থাকি তার আশেপাশেই।”
------------
শিরোনাম এবং লেখার শেষ বাক্যটি লেখকের একটি লেখায় ব্লগার শায়মা’র মন্তব্য থেকে উদ্ধৃত।
Image courtesy: baroneenglish.blogspot.com
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অভিনন্দন!!!
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
কল্লোল পথিক বলেছেন: চিন্তায় ফেলে দিলেন ভাই।
আমিও তো অফিসের কাজের ফাকে ব্লগিং করি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেকেই ব্লগিংয়ের ফাঁকে অফিস করেন....
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
শায়মা বলেছেন: ------------
শিরোনাম এবং লেখার শেষ বাক্যটি লেখকের একটি লেখায় ব্লগার শায়মা’র মন্তব্য থেকে উদ্ধৃত।
যাক বাবা আমি তো ভাবলাম শেষ বাক্যটি আজকের মন্তব্য থেকেই উদ্ধৃত!
যাইহোক আমারও ------------‘উইথড্রয়াল পিরিয়ড’ চালাতে হবে মনে হচ্ছে।
আমিও অনেক ব্যাস্ত তো!!!!!!!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরে.... শায়মামণি যে!!!!
ব্যস্ত থাকুন... ভালো থাকুন!!!
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২
দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: আমার ইচ্ছা করে সব সময় ব্লগ বন্ধুদের সাথে আলোচনা সমালোচনা করি, আড্ডা দিই, মত বিনিময় করি। কিন্তু পেশাগত বেশ কিছুটা দ্বায়বদ্ধতার কারণে সেটা আর হয়ে ওঠে না। ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম যখন কম্পিউটার ব্যবহার করা শিখি তখন ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকতাম, একটুও বিরক্ত বা ক্লান্ত লাগতো না। তবে এখন কেন জানি একটুকুতেই ভীষণ বিরক্ত হয়ে যাই।
একসময় ফেসবুকেরও পোকা ছিলাম, তবে ব্লগিং করা শেখার পর থেকে ফেসবুক হয়ে গেছে ঠেলা মেরে ঢোকার মত। বর্তমানে আমার কিছু বন্ধুরা অভিযোগ করে-
'কিরে আমরা যখন ফেসবুক ব্যবহার করা শুরু করলাম তখন তোকে আর পাওয়া যায় না কেন?'
বরাবরের মত আপনার বর্তমান পোস্টটিও অনেক সুন্দর! জানলাম আপনার সেলিব্রেটি বন্ধুসহ ভার্চুয়াল মানবদের সম্পর্কে! আমিও সুযোগ বুঝে নিজের ঢোলটা একটু নিজে পিটাইলাম! আফটার অল, বয়স যাই হোক, আপনিও তো আমার একজন ব্লগ বন্ধু!
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পেশাগত দায়বদ্ধতার কথা শুনে ভালো লেগেছে.... এটি অনেকেরই কমে যাচ্ছে...
সহব্লগাররা তো বন্ধুই!
ভালো থাকবেন
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
শায়মা বলেছেন: ▲ভার্চুয়াল মানব ১:
ব্লগ, ফেইসবুক, টুইটার, স্কাইপ, ফ্লিকার... প্রায় সব জায়গায় তার বিচরণ। একটি থেকে আরেকটি মাধ্যমে তিনি প্রায় ১৮ ঘণ্টা এপার-ওপার করেন। তাদের মধ্যে কারও কারও প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তিবিদ্যা থাকার কারণে, ইন্টারনেটে থাকাটা মোটামুটি ‘ছোয়াবের বিষয়’ বলে ধরে নিয়েছেন। কারও আছে নিজস্ব ব্লগ, ওয়েবপোর্টাল বা সংবাদমাধ্যম। কেউ আবার অনলাইন সংবাদমাধ্যমে চাকরি করেন। তাদের মধ্যে একদল আছেন যারা চাকুরিসূত্রে অনলাইনে লটকে থাকেন, আরেকদল নেশা ও অপরিণামদর্শীতার কারণে।<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<ইনারা আমার চাচাত, মামাতো, খালাতো, কলিগতো সম্প্রদায়ে পড়ে।
▲ভার্চুয়াল মানব ২:
এদের অধিকাংশই একটি উদ্দেশ্য নিয়ে অনলাইনে সময় দেন। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুম আসা পর্যন্ত তারা অনলাইনেই থাকতে চান, তবে কাজের চাপে সেটি পারেন না। ফলে সেটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং প্রাত্যাহিক জীবন ও সুস্বাস্থ্যের পরিপন্থী। <<<<<<<<<<<<<<<<<ইহারা আমার খালাতো মামাতো চাচাতো মহিলা সম্প্রদায় যাহারা বিবাহ করিবার পরে চাকুরি আর সংসার নিয়ে হিমসিম খাওয়ায় আর সময় দিতে পারে না।
▲ভার্চুয়াল মানব ৩:
এই দলটি পেশাজীবী। সময় পেলে সর্বান্তকরণে অনলাইনে থাকেন। ব্লগে অথবা সামাজিক মাধ্যমে। সহপাঠিদের সাথে আড্ডা দেন, নিজেদের জীবনের ঘটনাগুলোকে শেয়ার করেন। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি নয়। কারণ তাছাড়াও তাদের অনেক আগ্রহের বিষয় আছে, যা ভার্চুয়াল সমাজ দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়।
▲ভার্চুয়াল মানব ৪:
সকল বয়সেই একটি কাজহীন দল আছে। কেউ কাজ পাচ্ছে না, কেউ অবসরপ্রাপ্ত, কারওবা কাজের বয়সই হয় নি। তারা বিনোদন করতে অথবা স্মৃতি জমা করার জন্য অনলাইনে আসেন। কিন্তু নিজেরা কোন আর্থিক পেশায় যুক্ত না থাকায়, ততটা সময় অনলাইনে থাকতে পারেন না। এদের মধ্যে যারা বয়স্ক বা অবসরপ্রাপ্ত, তাদের অনেক সামাজিক কাজও থাকে।<<<<<<<<ইহারা আমার মামা, খালা, চাচা, চাচী দলভুক্ত।
যা হোক, এভাবে হয়তো ভার্চুয়াল মানব ৫... ১০, ১৫ অথবা ২০ পর্যন্ত যাওয়া যায়। কিন্তু শ্রেণীভেদের একটি সীমা থাকা উচিত। আমাদের অনলাইন জীবনেরও একটি সীমা থাকা উচিত, কারণ বাস্তবতাকে কিছু সময়ের জন্য ভুলে গেলেও এটি আমাদের পেছন ছাড়বে না। ভার্চুয়াল বিষয়গুলো খুব বেশি হলে অনুঘটক হতে পারে, অথচ বাস্তবতা দিয়েই জীবন গড়ে ওঠে।
বাসা হোক কিংবা কর্মস্থল, আমরা যেন আশেপাশের মানুষগুলোকে খেয়াল করি! কম্পিউটার বা স্মার্টফোনটি খোলা থাকতেই পারে, কিন্তু সে সাথে আমরাও খোলা থাকি বাস্তবতার দিকে!
আহা তাহাই যদি হত তো
ডাকে পাখি খোলো আঁখি দেখো সোনালী আকাশ গান গাইতো সবাই।
তা না করে ভারচুয়াল লাঠি সোটা, বন্দুক পিস্তল, ঢাল তলোয়ার!!!!!!!!!!
আর কি কি চাই ভাইয়া?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সবাই তো দেখছি আপনারই আত্মীয়
//আহা তাহাই যদি হত তো
ডাকে পাখি খোলো আঁখি দেখো সোনালী আকাশ গান গাইতো সবাই।
তা না করে ভারচুয়াল লাঠি সোটা, বন্দুক পিস্তল, ঢাল তলোয়ার!!!!!!//
ব্লগে ব্লগার চাই.... ঝগড়াটে অবাঞ্ছিত! বিতর্ক ঠিকাছে... ক্যাচালও ওকে।
কিন্তু নোংরামি ঘৃণ্য!
অনেক থেংকু.... ব্লগের রানি
আজ হঠাৎ দেখলাম যে, ফেব্রুয়ারি মাসটিতে কোন লেখা পোস্ট হয় নি।
অতএব একটি ড্রাফট লেখাকে দাঁড় করিয়ে দিলাম আপনাদের উদ্দেশ্যে
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
লুতপাইন বলেছেন: আমি ১ নং দলে
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে ঠিক আছে। তবু নিয়ন্ত্রণ দরকার!
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেশ বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট । অনলাইনে আড্ডা যত সহজ বাস্তবে ততটা নয় । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকেও খুব সহজে ব্লগে আড্ডা দেয়া যায় । বাস্তবে তা অনেক সময় অকল্পনিয় । শখের বশে বা নেশার বশে অনেকে অনলাইনে পরে থাকেন । ব্লগের অনেকের সঙ্গে আমার বাস্তবে দেখা হয়েছে এবং কথাও হয়েছে । এখন অনলাইনে থাকি কিন্তু জটিল বিষয়বস্তু খোঁজতে থাকি ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনলাইনের আড্ডা সুবিধাজনক.... হুম!
কিন্তু কাজের মানুষের ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় হলে নিয়ন্ত্রণ জরুরি...
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপক গবেষণা করেছেন ভাই! +++
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নারে ভাই... গবেষণা আর হলো কই! একটি কাঠামোতে নিজের চিন্তাগুলো শেয়ার করলাম।
অনেক ধন্যবাদ
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭
অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: "বাসা হোক কিংবা কর্মস্থল। আমরা যেন আশেপাশের মানুষ গুলোকে খেয়াল করি! কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনটি খোলা থাকতেই পারে,কিন্তু আমরাও খোলা থাকি বাস্তবতার দিকে! "
সুন্দর লিখেছেন।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮
শায়মা বলেছেন: যাক তবুও আমার নাম করে একটা লেখা দিলে।
আর ঝগড়াটে/ বিতর্ক/ কেচাল/ পেচাল ইহা নিয়া এখন ব্যাপক গোবেষনা চলিতেছে। গোবেষান শেষ হোক তারপর গবেষনালদ্ধ ফলাফল জানানো হইবেক।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার নাম নিয়ে নয়.... লেখতে গিয়ে আপনার নাম এসে গেলো
গবেষণার ফলাফল জানার অপেক্ষায় রইলুম
১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
বিজন রয় বলেছেন: আমিও ভাল এক্সপার্ট নই।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আসেন হাত মিলাই
১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১
আরজু পনি বলেছেন: আমি নেট ব্যবহারে আগের চেয়ে অনেক সতর্ক...তবে এই সতর্কতা কতোদিন চলবে সেটাই বিষয় !
আর অফিস টাইমে আগে অনেক বকা খেয়েছি নেটে ব্যস্ত থাকার জন্যে...এখন অতিশয় ভদ্র হয়ে গেছি।
বাস্তবজীবনে আমি অতিশয় সামাজিক একজন মানুষ
...
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি অতিশয় সামাজিক একজন মানুষ। তার কিছু বহিঃপ্রকাশ আমি দেখেছি।
ধন্যবাদ... প্রিয় সহব্লগার আরজু পনি
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
ইন ভার্চুয়াল জগৎ ... লগ আউট মানে লাইফ আউট !!
এই জগত মানুষকে নিঃসঙ্গ করার মোক্ষম হাতিয়ার ।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
তা না হোক....
হুম... 'মানুষকে নিঃসঙ্গ করার মোক্ষম হাতিয়ার'...
ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার পেশা ওয়েব বেজড। (যদিও অফলাইন বেজড বিলিং + বিজনেস কন্ট্রাক্ট & কমিউনিকেশন।)
তাই আসলে গড়ে ১০-১৪ ঘন্টাই থাকা হয় অনলাইনে। এর মধ্যে ভার্চুয়াল লাইফে ৩-৪ ঘন্টাও চলে যায়। এটা আসলেই মাত্রাতিরিক্ত। আরো কমানো উচিত।
যদিও ই-বুক পড়ি সময় পেলেই। আর ফেসবুক/ব্লগের একটা ট্যাব খোলাই থাকে প্রায় সময়। এই হলো অবস্থা।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অবস্থা তো ভালা না!
এসব পরিস্থিতিতে দেহের প্রতি খেয়াল রাখুন... (অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)
১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একটা সময় ছিলো যখন রাতে একটা বই পড়ে শেষ না করলে ঘুম আসত না। অফিসের কাজের ফাঁকে কলিগদের সাথে আড্ডা দিতাম। এখন বই পড়লে মাথা ধরে কিন্তুক কম্পিউটারের সামনে না বসতে পারলে অস্থির লাগে। তবে ফেসবুক ডিএক্টিভ করে দিয়েছি অনেক আগেই। আর কাজের ব্যাস্ততার কারণে ব্লগেও অনিয়মিত। তবে অবসর সময়ের জন্য এইটা একটা ভাল মাধ্যম।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ওটাই ছিল সোনালী সময়....
অবসর সময়েই ব্লগে আসুন... ব্যস্ত সময়ে আসার কী দরকার!
ধন্যবাদ.... কবি কাণ্ডারি অথর্ব
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
আবু শাকিল বলেছেন: ভার্চুয়ালের শ্রেণীবিন্যাস ভাল লাগছে
কোন অফিসই ব্লগ/ফেসবুক ব্যাবহারের বৈধতা দেয় না।অফিসে কাজ না থাকলেও ব্লগে/ফেসবুকের আসার নিয়ম নাই। চাকরীজিবী সকলকেই দেখি একটু আধটু ফাঁকি দিয়েই ব্লগ/ফেসবুকে আসেন ।
আমার মনে হয় যার সময় বেশি মানে যে যতবড় ভাদাইম্মা সে তত বড় ভার্চুয়াল মানব
মইনুল ভাই -
ভার্চুয়াল মানবের আপনার অবস্থান কত নাম্বারে জাতি জানতে চায়
লেখাটা খুব ভাল্লাগছে -
কথাটাও দারুন-
বাস্তব জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সাথে না মেশাতে পারলে অর্থহীন সময় ক্ষেপন মাত্র। বাস্তবিক সমাজে টিকে থাকার মতো যদি কিছু না থাকে, তবে শুধুই আকাশে বসত করে একে টিকিয়ে রাখা কঠিন। বাস্তব জীবনের বন্ধুরাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যদিকে ভার্চুয়াল বন্ধুরা শুধু মাত্র ‘রেস্ট ইন পিস’
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//যে যতবড় ভাদাইম্মা সে তত বড় ভার্চুয়াল মানব//...হাহাহাহা!
আমার অবস্থা দুই এবং তিনের কোন একটা হবেই
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ব্লগের এনসাইক্লোপিডিয়া অফ আমার ইয়ে সব জানে মইনুল ভাইয়ের কাছ থেকে আর একটা জাক্কাস পোষ্ট পাইলাম। এখন বলেন ভার্চুয়াল শ্রেনীবিন্যাসে আমাকে কত নম্বরে ফেলবেন? আমি ছয়মাস অনলাইন থাকি আর ছয় মাস অফলাইন !!
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মানে... সময়/সুযোগ পেলেই আসেন।
আপনার জন্য তিন। দেখুন ভালো জায়গায় রেখেছি
১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সম অনলাইনে থাকি। রাতের বেলায় ব্লগ এবং ফেসবুকে থাকি। ছুটির সময় দিনের বেলাও থাকি।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এটা তো ভালো অভ্যাস.... এমনটাই কাম্য!
ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক ভাইয়া
১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ব্যক্তিগত সময়কেও (যেমন ছুটির দিন অথবা দিনের বাকি সময়) উদারভাবে ভার্চুয়াল সমাজে না দিয়ে কিছু সময় পরিবার, বন্ধু ও নিকাটাত্মীয়কে দেওয়া উচিত। হুম তাই হওয়া উচিত।
অনেক গবেষণা কইরা দেখলাম আমি আপাতত ভার্চুয়াল মানবী ৩ নম্বরে আছি মনে হয়
যেকোন সময় ক্যাটাগরি পরিবর্তন হইতে পারে
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
৩ নম্বর তো ভালো নম্বর
বালা থাকবেন... ভান্দবি
২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভার্চুয়াল জগতে সীমাহীন বিচরণ আমি পছন্দ করি না। এটা মাদকের মতো এক ধরণের আসক্তি। যারা খুব বেশি এখানে বিচরণ করে, তারা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আপনার পুরো লেখাটা পড়ে আমার মনোভাবের প্রতিফলন খুঁজে পেলাম। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সেটাই বলতে চাইলাম.... হেনা ভাই! কোন আসক্তিই ভালো নয়।
কিন্তু আপনার মতো দেড়বছরের বিরতিও কাম্য নয়
ভালো থাকবেন।
২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪
উল্টা দূরবীন বলেছেন: ১ নাম্বার দলে আছি।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুভ কামনা আপনার জন্য.... উল্টা দূরবীন
২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৬
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: এইচএসসি পরিক্ষার সময় আমি মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক আসক্ত ছিলাম কিন্তু যখন পরিক্ষা শেষ হলো আসক্ত টুস করে চলে গেলো।এখন মাঝে মাঝে ফেসবুকে মুভি গ্রুপ গুলোতে বিচরণ করি এছাড়া ফেসবুক বিরক্তি কর লাগে !
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ফেইসবুক বিরক্তিকর লাগা তো ভালো লক্ষণ। তবে ব্লগে লেগে থাকা ভালো। এখান থেকে কিছু শেখার ও করার আছে।
ভালো থাকবেন.... শাহাদত হোসেন
২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
সুমন কর বলেছেন: আরে ভাইজান দেখি, কঠিন সত্য তুলে ধরেছেন।
বাস্তবিক সমাজে টিকে থাকার মতো যদি কিছু না থাকে, তবে শুধুই আকাশে বসত করে একে টিকিয়ে রাখা কঠিন। বাস্তব জীবনের বন্ধুরাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্যদিকে ভার্চুয়াল বন্ধুরা শুধু মাত্র ‘রেস্ট ইন পিস’ অথবা একটি ‘লাইক’ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে। অসম্ভব রকমের প্রচার ও সুখ্যাতি থাকলে এবং বাস্তবের সাথে তার যোগসূত্র থাকলে, এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম আসতে পারে।
ভার্চুয়াল মানবসমূহ নিয়ে আপনার চিন্তার অনেকটাই সত্য। কাজের ফাঁকে যতটুকু পারি, ব্লগেই থাকি। অন্য কোন ভার্চুয়াল মাধ্যমে নয়।
১০ম +।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ব্লগেই থাকুন....
১০ম প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ
২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমি আপনার ভার্চুয়াল মানবের একটা ধরণের মধ্যে পড়ে গেছি, কিন্তু কোনটা কমু না।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগছে
২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২
প্রামানিক বলেছেন: ভার্চুয়াল জগতে সীমাহীন বিচরণ আমি পছন্দ করি না। এটা মাদকের মতো এক ধরণের আসক্তি। যারা খুব বেশি এখানে বিচরণ করে, তারা পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আবুহেনা ভাইয়ের এই কথায় আমিও একমত। আমি নিজেও এই নেশায় পড়ে গেছি।
মইনুল ভাইয়ের এই পোষ্টে ভার্চুয়াল জগতের বাস্তবতার চিত্র সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ.... প্রামানিক ভাই
২৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ব্যক্তিগত সময়কেও (যেমন ছুটির দিন অথবা দিনের বাকি সময়) উদারভাবে ভার্চুয়াল সমাজে না দিয়ে কিছু সময় পরিবার, বন্ধু ও নিকাটাত্মীয়কে দেওয়া উচিত।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাল রাতেই মোবাইল থেকে পড়েছিলাম আপনার এই লেখাটা। ভাবলাম ধীরে সুস্থেই উত্তর দেই।
আমি ফেবু এডিকেটেড কোনো কালেই ছিলাম না তবে ব্লগ এডিকটেড ছিলাম। তাই হয়তো বাসায় এসে ফ্রেশ হবার আগেই ল্যাপটপ অন করে, নেটের কানেকশন দিয়ে তারপর ফ্রেশ, খাওয়া দাওয়া, বাচ্চাকে সময় দেয়া, সেই ফাঁকে টিভি দেখা চলতো । কি পরিমাণ অসুস্থ কাজকর্ম । শুধু তাই না অফিসেও কাজের ফাঁকে ব্লগিং !!! এটা আসলেই ঠিক না কারণ আসলেই ঠিক বলেছেন --
প্রতিটি চাকরিজীবি মানুষের দিবাকালীন আটটি ঘণ্টা আর্থিক মানদণ্ডে সুনির্দিষ্ট করা আছে। এর প্রতিটি ঘণ্টার আছে আর্থিক মূল্য। কাজ থাকুক অথবা না থাকুক, সময়টি প্রতিষ্ঠানের।
এমনিতে আমার সিজন বেইজড কাজ বলে মোটামুটি মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় অক্টোবর পর্যন্ত কাজের পিক টাইম চলে। সে হিসেবে ব্যস্ততাও খুব থাকে। এরপর থেকে আবার রিল্যাক্সড টাইম শুরু হয়।
তবে এটাও ঠিক অফিসে কাজের ব্যস্ততা সারাক্ষণ থাকে না। সাথে থাকে লাঞ্চ আওয়ার আর বিকেল ৫ টার পর থেকে আবার কিছুটা ফ্রী টাইম। সে হিসেব করেই আজকাল চেষ্টা করি ব্লগিং করতে।
আমার মতে যে কোনো কিছুতে বা ব্যক্তিতে পুরোপুরি এডিকটেড হয়ে যাওয়াটা কখনই কারো জন্য ভালো না। আর ভার্চুয়াল জগতে আসলেই খুব সাবধানে বিচরণ করা উচিত। মানুষ গুলো দুরের যেহেতু তাই স্বার্থে আঘাত লাগলে তাদের হিংস্র হতে সময় লাগে না। আমার রেজিস্টার্ড বন্ধুটি তো সবসময়ই বলে " সবাইকে নিজের মত মনে করো কেন ( নিজের সুনাম নিজেই গেয়ে নিলাম ) । কেউ যে তোমাকে বিপদে ফেলবে না তার কি নিশ্চয়তা! " আমি লেখি সেটা ব্লগ, বই বা ম্যাগ বা পত্রিকা হোক না কেন সেটা আমার পরিবারের মানুষরা জানে কিন্তু কোথায় কি লিখছি বা কতটুকু বুঝে লিখছি তার দায়ভার বা স্বাধীনতা পুরোটাই আমার যেখানে আমার সদস্যরা ইন্টারফেয়ার করছে না। কিন্তু এখন প্রতি পদে পদে ফিল করি নিজের পরিবারের মানুষদের কতটা প্রয়োজন " কোয়ালিটি সময় " দেয়াটা। সবকিছুর শেষে তারাই আমার কাছে থাকবে। তাই আপনার এই কথার সাথেও সহমত --
আমাদের অনলাইন জীবনেরও একটি সীমা থাকা উচিত, কারণ বাস্তবতাকে কিছু সময়ের জন্য ভুলে গেলেও এটি আমাদের পেছন ছাড়বে না। ভার্চুয়াল বিষয়গুলো খুব বেশি হলে অনুঘটক হতে পারে, অথচ বাস্তবতা দিয়েই জীবন গড়ে ওঠে।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার মইনুল ভাই।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এডিকশন নিয়েই আপত্তি।
পরিবারে 'কোয়ালিটি টাইম' দিতে পারা সৌভাগ্যের বিষয় বলে মনে করি, কারণ এই একটি অভ্যাস জীবনকে হতাশামুক্ত ও অর্থপূর্ণ করে। বিয়ের পর পরিবার প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আপনি তো একজন সৃজনশীল ব্লগার। আপনার মতো লেখকেরা কেন ফেইসবুকে পড়ে থাকবেন।
তবে ইদানিং লেখা কমিয়ে দিয়েছেন, নাকি ব্লগে লেখা দিতে ইতস্তত করছেন... জানি না
২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: যে বক্তব্য আছে পোস্টে তার সাথে সহমত । ++++++++++
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
'পাখির চোখে বিলেত দেখা' কেমন চলছে...
দুঃখিত মেলায় যাবার সময় হলো না এবার
সহব্লগারদের বই কীভাবে সংগ্রহ করবো ভাবছি।
২৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চিন্তায় আছি কোন্দলে পরলাম
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কোন্দলে পড়েন নি....
আপনি তো তিনে পড়ার কথা।
৩০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেদিন একটা ফেসবুক গ্রুপে(মূলত ১৮-২৫ বছর বয়েসী ছেলেমেয়েদের গ্রুপ) জিজ্ঞেস করেছিলাম এক কোটি টাকা যদি এই শর্তসাপেক্ষে যে বাকি জীবনে আর কখনও ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে না, তাহলে কী করবে? অর্ধেকের বেশি বলেছিলো তারা ফেসবুকই বেছে নিবে।
এই নেশা ধরানো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর পরিমিত ব্যবহারে জীবন আরো সহজ এবং সুন্দর হয় বলে মনে করি। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//এই নেশা ধরানো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর পরিমিত ব্যবহারে জীবন আরো সহজ এবং সুন্দর হয় বলে মনে করি।// ... যারা মনে করে, তাদের জন্য সেটি হবেই।
আমার ধারণা, আসক্তির একটি পর্যায়ে চেতনা হয় এবং কেউ কেউ ফিরে আসে। সেটা হবার জন্য অবশ্য চরম আসক্তির প্রয়োজন
৩১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: অবস্থাটা এমন যে ভার্চুয়াল জীবন যাপন করি। মাঝে-মধ্যে দায়ে পড়ে রিয়েল লাইফে লগ ইন করতে হয়।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহাহা... দারুণ বলেছেন
৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ভার্চুয়াল মানব ৫.
যারা একই সাথে অনলাইনে কাজও করেন আবার তার কুফলও উপলব্ধি করতে পারেন!
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সেটি হলে খুবই ভালো
৩৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন সময় এসেছে হাল টেনে ধরার। বিষয়টি নেশার পর্যায়ে চলে গেছে এবং কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে।
আসলেই...
দারুন একটা পোষ্টে অনেক ++++++++++++++++++++
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ...
ব্যস্ত সময়ে পড়ে গেছি... সময়মতো আপনাদেরকে ধন্যবাদ দিতে না পারায় দুঃখিত
৩৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এক কোটি টাকা যদি এই শর্তসাপেক্ষে যে বাকি জীবনে আর কখনও ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে না, তাহলে কী করবে?
আহা ! হামা ভাইয়ের এই কথাটা যদি আমারে কেউ কইত , অফার দিত!
আপ্নার লেখার সাথে ১০০% একমত ।
পরিমিত ব্যবহারই সবচেয়ে কাম্য।
ভাল থাকবেন প্রিয় মইনুল ভাই । (পরিমিত মন্তব্য )
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... আমিও এমন একটি অফারের অপেক্ষা করছি...
ধন্যবাদ.... মাহমুদ০০৭
আপনিও ভালো থাকুন........
৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নাজরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেছেন: আসলে ভারচ্যুয়াল জগত অনেক সময় নষ্ট করে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম!
সময় এসেছে হাল টেনে ধরার
৩৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নীলসাধু বলেছেন: পোষ্টটি আমাকে ভাবিয়েছে। এর কারণ আছে।
ব্লগ ফেসবুক নেট এই সেই করে দিনের অনেক সময় এখানেই ব্যয় করি তবে এখানে আমি শুধু লেখালেখি বা আড্ডা দেইনা কিছু কাজেও থাকতে চেষ্টা করি তাই হয়তো দিনশেষে নিজেকে স্বান্তনা দিতে পারি
তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। নিয়মের মধ্যে থেকে অনিয়মে সমস্যা নেই
ভালো থাকবেন ভ্রাতা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কেমন আছেন... কবি!
আপনার মতো সকলেই যদি অনলাইনকে ব্যবহার করতে পারতো
ভালো থাকুন..
৩৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
ঈশশশশশ...আপনার কর্মক্ষেত্রের মানুষগুলো কি বোকা !
জানেনা যে মইনুল সাহেব কম্পিয়্যুটারের পোঁকা !!!!!
তার বাসার কম্পিয়্যুটার ২৪ ঘন্টাই থাকে খোলা
সে কারনেই টান দিয়েছে ভার্চুয়াল মানবদের ঝোলা ।
তবে আপনার এই বক্তব্যের সাথে একমত ----
ব্যক্তিগত সময়কেও (যেমন ছুটির দিন অথবা দিনের বাকি সময়) উদারভাবে ভার্চুয়াল সমাজে না দিয়ে কিছু সময় পরিবার, বন্ধু ও নিকাটাত্মীয়কে দেওয়া উচিত। এখন সময় এসেছে হাল টেনে ধরার। বিষয়টি নেশার পর্যায়ে চলে গেছে......।
এ নেশা বিধ্বংশী, হেরোইন-ফেন্সির চেয়েও প্রয়োজনীয় সময় আর পারিবারিক জীবনঘাতী ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... ছড়া দিয়ে সকল রস ছড়িয়ে দিলেন.... জীএস ভাই
‘পারিবারিক জীবনঘাতী’...... একদম খাঁটি কথা বলেছেন।
আমাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবন যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে... এজন্য প্রয়োজন আত্মনিয়ন্ত্রণ।
মন্তব্যের অনেক ধন্যবাদ জনাব
৩৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমাদের অনলাইন জীবনেরও একটি সীমা থাকা উচিত
এইটা হলো মাস্টার লাইন এই পোস্টের।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ......
৩৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: খেয়াল রাখতে হবে যে, এটি শুধুই ভার্চুয়াল স্পেইস। একে বাস্তব জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সাথে না মেশাতে পারলে অর্থহীন সময় ক্ষেপন মাত্র। বাস্তবিক সমাজে টিকে থাকার মতো যদি কিছু না থাকে, তবে শুধুই আকাশে বসত করে একে টিকিয়ে রাখা কঠিন। ------------
এমন একটি লেখা সত্যিই অনুসরণীয়!!!!!!
বাস্তবিক জীবনটা নিঠুর বাস্তব, স্বপ্নপুরী নয়!!!
অনেক অনেক শুভকামনা ---------
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় কামরুন নাহার আপা... আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বিলম্বিত উত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত
৪০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ব্লগ বা অন্যান্য ভার্চুয়াল সামাজিক মাধ্যমগুলো আমাদের জন্য নতুন বিধায় বাস্তব জীবন এবং ভার্চুয়াল জীবনের মধ্যে সমন্বয় করতে অনেকটা সময় লাগছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই একটা অংশ। তাই যত দ্রুত সমন্বয় করা যায় আরকি
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সমন্বয় দরকার! যত দ্রুত সম্ভব ততই ভালো।
অনেক ধন্যবাদ... কুনো ভাইয়া
৪১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জীবন, জীবিকা নিয়ে ব্যস্ততা।
ফেসবুকে মোবাইল থেকে লগিন করাই থাকে। ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকি এটা ভুল।
লিখতে আলসেমি লাগে,প্লট পাই তো স্টার্ট করতে পারি না, হয়ত লেখালেখি ভুলে যাচ্ছি। আর যা লিখি ব্লগে দিয়ে ফেলি। ইতস্ততা থাকবে কেন!
আপনার ব্যস্ততাও মনে হয় বেড়েছে!
ভালো থাকুন মইনুল ভাই
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমার ব্যস্ততাও বেড়েছে... হুম
কাউকে দোষারোপ করি নি। আমি বোঝাতে চেয়েছি যে, সৃজনশীল লেখকেরা ফেইসবুকে পড়ে থাকতে পারেন না।
আপনিও ভালো থাকবেন
৪২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০১
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: কি যেন একটা গান আছে না ,
" আমি তো প্রেমে পড়িনি,প্রেম আমার উপরে পড়েছে ,আমাকে ভেঙেচুরে
,ছুঁড়ে ফেলে ,গুড়ো গুড়ো.।। "------ এই গুড়া গুড়ায় কত জীবন মানুষ কে যে স্বেচ্ছায় ভেসে যেতে দেখলাম গঙ্গাজলে !!!
ব্লগ বলুন আর যেকোন মাধ্যম , সব কিছু আমাদের ব্যবহারের জন্যই তৈরি । । কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেগুলোই আমাদের ব্যবহার করছে , হচ্ছি ।বিভিন্ন ঘটন অঘটনে আবার দায় চাপাচ্ছি একে অন্যের উপর !!!!
প্রতিটা বিষয়ের ই অপকারিতা উপকারিতা আছে , আমরা নিজেরা যদি তার সীমানা , ব্যবহারবিধি না জানি তবে গ্রাস হতে বাধ্য । ব্যলান্স করতে জানলে কাচের টুকরার উপর দিয়েই নির্বিঘ্নে হেঁটে আসা যায় , করা যায় আগুনে বসবাস
আগুনের ব্যবহার জানতে হবে (প্রযুক্তি) , কাজে লাগাতে হবে , পূজা নয় ।
আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য , সবার জানা বিষয় হলেও মাঝেমধ্যে মনে করিয়ে দেবার প্রয়োজন পরে
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার মন্তব্য পড়ে হাসলাম... এবং আপনার মন্তব্য সবসময়ই মজাদার এবং উইটি হয়।
‘ব্যবহারবিধি না জানলে গ্রাস হতে বাধ্য’..... শতভাগ একমত।
বেশি বলে আপনার মন্তব্য থেকে পাঠকের দৃষ্টি সরাতে চাচ্ছি না।
অনেক ধন্যবাদ, সায়েদা সোহেলী
৪৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৩
জেন রসি বলেছেন: ভারসাম্য বলে একটা ব্যাপার আছে। মানব জাতির সাথে প্রকৃতির সম্পর্কটাই এমন যে, ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষও ভেঙে পড়ে। মানুষ যখন কোন কিছুতে আসক্ত হয়ে যায় তখন নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। আর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলা মানেই বিপর্যয়ের শুরু।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//মানুষ যখন কোন কিছুতে আসক্ত হয়ে যায় তখন নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে।// মূল্যবান একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে, জেন রসি
৪৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
তার আর পর নেই… বলেছেন: ফেসবুকের লাইক নিয়ে কত যে হাসির কান্ড হয়েছে। আমরা দু বোন পোস্ট দিয়ে বলতাম, কেউ লাইক দেয় না কেন! তখন নিজের পোস্টে নিজেই লাইক দিয়ে দিতাম।
এখন ফেসবুক আসক্তি তেমন নেই, ব্লগ আসক্তি আছে। কিন্তু ব্লগের নোংরা ক্যাচাল এর জন্য মাঝেমধ্যে বিচ্ছিরি লাগে।
আমি ভার্চুয়াল তিনের মধ্যে পড়ি মনে হয়।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
‘তিনের মধ্যে পড়লে’ আপনি শতভাগ নিরাপদ। তাড়াতাড়ি মিষ্টি কিনে খান
৪৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেড় বছরের বিরতি? আরে ওটা তো আমার অসুখ বিসুখ, ছেলের বিয়ে আর কম্পিউটারের ভীমরতির জন্য হয়েছে। পটল না তুললে আছি মইনুল ভাই।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//পটল না তুললে আছি// ..............
হেনা ভাই... আপনি শতায়ু হোন
এবং আপনার ফেইসবুকের ছবিটি ব্লগের প্রোফাইলে দিন।
৪৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১
বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভাই, ঝুলির দিকে দৃষ্টি দিয়ে লজ্জা দেবেন না। ওখানে কিছুই নাই।
৪৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমিও এক সময় "ভার্চুয়াল মানব ১" ছিলাম এবং পুরোপুরি এডিক্টেড ছিলাম, ফেসবুকে চার হাজর ++ ফ্রেন্ড ছিল..
কয়েক মাস পর পর ছাটাই করে ১৫০০ তে আনতাম.. আবার ৪ হাজার হয়ে যেত আর ফেক আইডি ছিল কমপক্ষে ২৫ টা তয় ওগুলা দিয়ে আমি করো সাথে মরামারি করতাম না। কিছু কাজের জন্য লাগত আর কি।
আর আমি নিজের ছবিতে কোনদিন নিজেই লাইক দিতাম না ওইরকম পাগল ছিলাম না কোন দিন।কত কহিনীই না হইছে ওই ফেসুক ঘিরে।
গত এক বছরে আমি অনেক কিছু চেঞ্জ করছি করতে বাধ্য হয়েছি । আর এটা আমার জন্য ভাল হইছে। ফেসবুক আইডি চিরতরে ডিজেবল করছি। ফেসবুক এখন আর আমার তেমন ভাল লাগে না ।
অনলাইন থেকে যেমন অনেক কিছু শেখার আছে অফলাইনেও অনেককিছু শেখার আছে আসলে শেখার শেষ বলতে কিছু নাই।
আসলে এই দনিয়াডা মস্ত বড়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... বুঝা গেলো। ফেইক আইডি থাকলেও আপনি নীতিবান ব্লগার
দুনিয়াটা মস্ত বড়। ঠিক বলেছেন।
৪৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। যারা ইতোমধ্যে আসক্ত হয়ে গেছেন, আশাকরি তারা এই পোস্টটা পড়ার পর ভারসাম্য রক্ষায় সচেষ্ট হবেন।
পোস্টে 'লাইক'।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নিয়মিত আসতে না পারায় মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়। আশা করছি, কিছু মনে করবেন না।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে... বিদগ্ধ পাঠক
৪৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: আমি প্রধানত অফিস টাইম ব্লগার।
একটি গণ সচেতনতামূলক পোষ্ট Click This Link
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে শেয়ার করুন স্যার।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি তো দায়িত্বশীল মানুষ। ইন্টারনেট আপনার ক্ষতি করতে পারবে না।
লেখাটি অবশ্যই পড়ার চেষ্টা করবো। লিংক দেবার জন্য ধন্যবাদ
৫০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার... আপনার মূল্যবান একটি লেখার লিংক দেবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন
৫১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
কালীদাস বলেছেন: আমার পিসি সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টানা খোলা থাকে, এবং পুরাটাইম নেটব্রাউজার ওপেন থাকে যেখানে মেইলের দুইটা উইন্ডো সবসময় খোলা থাকে। কিন্তু ব্লগে আসার টাইম সত্যিই করতে পারিনা, আর উৎসাহও তেমন একটা পাইনা আগের মত। ওয়েল, ব্লগই আমার সামাজিক মিডিয়ার (!) একমাত্র স্হান।
কেমন আছেন?
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ব্লগই সামাজিক মিডিয়া... সেটাই তো ভালো।
আমি সময় ও মেজাজ মেলাতে পারি না। তবে ব্লগেই অবসর সময়কে উপভোগ করি।
৫২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এবারে একটা কবিতা লেখো।
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কোবতে! ওরেবাপ, দড়িয়ায় ঝাপ দেবার পরামর্শ দিচ্ছেন!
গল্প কবিতার পাঠক আমি। বাঁচতে দিন, শায়মাজী!
৫৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমি পরিবার ছাড়া দূরে থাকি। শুধু পরিবার নয় বাংলাভাষাভাষী মানুষদের সাথে সাক্ষাতের বিরতিকাল বেশিরভাগ সময় ৬ মাস ১ বছরের হয়ে থাকে। বছরের পুরোটা সময় কাটাতে ভিনদেশীদের সাথে। এমনকি উপমাহাদেশের লোকেদের দেখা পাওয়াও দুষ্কর। পরিচিত উপমহাদেশের কারও সাথে দেখা হলেও অনেক সময় দাড়িয়ে দুচার মিনিট কথা বলি, কুশলাদি বিনিময়, দেশের পরিবারের খোঁজ খবর পর্যন্ত নেওয়া হয়। এদেরকেই যেন আপনজন মনে হয়।
তাই সুযোগ পেলেই বেশির ভাগ সময় অনলাইনে পত্রিকা, ব্লগ, নাটক দেখা নিয়ে সময় ব্যয় করি। অনেকেই হয়ত নেশার অথবা কারণে কিন্তু আমি শুধু বাংলা ভাষা ও দেশের সাথে কানেক্ট থাকার প্রয়াসে করে থাকি। অনলাইনে এই অতিরিক্ত সময় ব্যয় আমার কাছেও বিরক্তিকর মনে হলেও কোন কারণে কয়েকদিন অনলাইনে না থাকলে বেশি অস্বস্তিক্র মনে হয়।
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রবাসীদের জন্য ব্লগ আর সামাজিক মাধ্যম সত্যিই ভিন্ন প্রয়োজনীয়তা। একে শুধু বিনোদন বলা যায় না। ভালো থাকুন প্রবাসে!
৫৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪
আহসানের ব্লগ বলেছেন: “....তবে বাসার কম্পুটার ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে আর আমি থাকি তার আশেপাশেই।”
আমিও ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, জনাব আহসান
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: ভার্চুয়াল মানব ৫.
যারা একই সাথে অনলাইনে কাজও করেন আবার তার কুফলও উপলব্ধি করতে পারেন!