নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

© মাঈনউদ্দিন মইনুল। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি, অনুমতি ছাড়া কেউ এব্লগ থেকে লেখা বা লেখার অংশ এখানে বা অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেসব কাজ করে আমাদের শিক্ষকেরা শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করছেন!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৬



তুমি আছো তবু তুমি নেই! পরিস্থিতি ঠিক এরকমই। শিক্ষক উপস্থিত, প্রতিদিন পড়াচ্ছেন, পরীক্ষা নিচ্ছেন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করছেন -তবুও যেন তিনি নেই। ঘাটতি কাটছে না। এই ঘাটতি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছে। শিশুদের বিকাশকে করছে বাধাগ্রস্ত। কয়েকটি বিষয় নিয়ে বর্তমান লেখাটি।



আমাদের দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের হার মাত্র ৫৭.৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৪২ শতাংশ শিক্ষক কোন প্রায়োগিক ধারণা ছাড়াই আমাদের শিশুদের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা চাকরির আগেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, নাকি পরে নিয়েছেন, সেটি অবশ্য স্পষ্ট নয়।

তবে বাস্তব চিত্রটি আরও বিপদজনক, কারণ ব্যক্তিগতভাবে বেড়ে ওঠা বিদ্যালয়গুলো এই প্রতিবেদনে নেই। পৌর এলাকায় ছত্রাকের মতো বেড়ে ওঠা ইংরেজি মাধ্যম এবং কেজি স্কুলগুলোও এখানে নেই। কিছু সুপরিচিত বিদ্যালয় বিষয়ভিত্তিক পাঠদানের ওপর তাদের শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিলেও, শিশু মনস্তত্ত্ব বা শিশুর অন্যন্য চাহিদাকে কেন্দ্র করে কোন প্রশিক্ষণ প্রায় নেই। এটি কেবল প্রাতিষ্ঠানিক (বিএড অথবা এমএড পর্যায়ে) শিক্ষায়ই থাকে।

শিশুর বয়স অনুপাতে পাঠদান এবং পাঠ মূল্যায়ন করতে পারা একটি বিশেষায়িত জ্ঞান। প্রশিক্ষণ অথবা বাস্তব অভিজ্ঞতা কোন কিছুই নেই, এমন শিক্ষকই বেশি থাকায় শিশুর চাহিদার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকছে।

শিশুর মনমানসিকতা এবং তাদের বৈচিত্রময় চাহিদাকে না বুঝে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষক প্রায় জোর করেই পাঠ্যপুস্তককে গলাধকরণ করাচ্ছেন। ফলে শিশুরা তাদের উপযুক্ত পাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিদ্যালয় হয়ে যাচ্ছে পরীক্ষা পাশ করানোর এজেন্সি।



এমন একটি পরিস্থিতি যে, এসব ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ে তাত্ত্বিকভাবে অনেক কিছুই বলার সুযোগ আছে। অনেক প্রায়োগিক ত্রুটি হচ্ছে, যা স্থায়ি প্রভাব ফেলছে শিশুদের প্রতিভা বিকাশে। এবিষয়ে বিস্তারিত বললে পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটবে।

কিন্তু কিছু মৌলিক বিষয়ে আমাদের মতো আমজনতার সচেতনতার প্রয়োজন। তা না হলে পারস্পরিক জবাবদিহিতা গড়ে ওঠবে না। তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠতে পারে। তাই শুধু মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে বর্তমান লেখাটি।



শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে প্রায়োগিক জ্ঞান না থাকায় অনেক শিক্ষক ‘ঠিক এভাবে’ শিশুদের প্রতিভার বিনাশ করছেন:





১) অপ্রয়োজনীয় শব্দ/বিষয়/পরিভাষাকে পাঠের মূল বিষয় হিসেবে পরিচিত করিয়ে

বাঁশের তেল মাখার পর এটি কেন অথবা কীভাবে পিচ্ছিল হয় শিশুকে এসব বুঝার আগেই, তৈলাক্ত বাঁশ দিয়ে বানরের ওঠানামাকে পাটিগণিতের মূল বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

নীলনদ মিশরের আশির্বাদ, পক্ষান্তরে হুয়াংহু চিনের দুঃখ; অথবা হাওয়াই রাজ্যের রাজধানী হনুলুলু এসব বিষয় মুখস্থ করানোর জন্য এদেশে শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছে। অথচ নিজের দেশের তিনটি প্রধান নদীর অবস্থানকে সেভাবে শেখানো হয় নি। নিজের গ্রামের পাশের শাখা নদীটি কোথা থেকে এলো, অথবা এটি আদৌ নদী নাকি নদ, সেটিও সেভাবে বুঝানো হয় নি।

‘ডাক্তার আসিবার আগেই রোগী মারা গেলো’ এর ইংরেজি অনুবাদ করতে পারাকে ইংরেজির জ্ঞান বলে তুলে ধরা হয়েছে। কথা বলা নয়, অনুবাদ আর শব্দার্থ শিখতে পারাকেই ভাষাজ্ঞান বলে বিশ্বাস করানো হয়েছে। ফলে তারা অনুবাদ শিখলেও ভাষাগত জ্ঞান থেকেছে অধরা।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটিই এমন। যখন যা প্রয়োজন, তখন সেটি শেখানো হয় নি। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় পরিভাষা, বয়সের অনুপযুক্ত ইতিহাস ও ভূগোল শেখানোর জন্য শিশুর মনস্তত্ত্বে স্থায়িভাবে আঘাত হানা হয়েছে।





২) অনুপযুক্ত বিষয় চাপিয়ে দিয়ে

পাঠদানকে সহজ করা অথবা বোধগম্য অংশে ভাগ করা শিক্ষকের প্রাথমিক দায়িত্ব। প্রশিক্ষণের অভাবে হোক, অথবা প্রতিশ্রুতিশীলতার অভাবে, অধিকাংশ শিক্ষক সেটি করেন না।

উপরন্তু, শিশুদের জন্য যা উপযুক্ত নয়, সেসব বিষয় চাপিয়ে দেন: যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন, সেটি দেওয়া হয় মুখস্ত করার জন্য। যে বিষয় দেওয়া হয় শুধুই প্রাথমিক ধারণা দেবার জন্য, সেটি প্রয়োগ করতে বাধ্য করা হয়।

লেখা থেকে শোনা, তারপর পড়া, তারপর শেখা। তারপর হয় প্রয়োগ। শব্দ রচনা থেকে বাক্য রচনা। বাক্য থেকে অনুচ্ছেদ। তারপর রচনা বা চিঠি। এসব পারম্পরিক প্রক্রিয়া আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে অনুপস্থিত।

রচনা, চিঠি, ভাবসম্প্রসারণ, অনুচ্ছেদ – এসব বিষয় শিশুদের স্বাভাবিক চিন্তা থেকে আসা উচিত। এখানে শুদ্ধতা নয়, চর্চাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি শুদ্ধ রচনা পরীক্ষার খাতায় লেখার জন্য শিশুদেরকে মুখস্ত করতে বাধ্য করা হয়।

রোট লানিং বা বোধহীন মুখস্ত করার প্রবণতা শিশুদের স্বাভাবিক বিচার শক্তিকে নষ্ট করে দেয়।

আমাদের শিশুরা সৃজনশীল কোনকিছু লেখতে পারে না। ইংরেজি কী লেখবে, বাংলাই তো লেখতে শিখে নি! (প্রতিটি শিশুকে ব্লগার বানিয়ে দেওয়া যায় কিনা, ভাবছি!)





৩) নিজেই সবকিছু করে দিয়ে

পাঠ্যবইয়ে লেখাই থাকে ‘নিজে করো’। কিন্তু দয়ার্দ্র্য শিক্ষক সেটি শিশুকে দিয়ে করাতে চান না!

পাঠ্যবইয়ের অনেক বিষয়ই শিশুরা হয় ‘একা অথবা দল’ হিসেবে করে ফেলতে পারে। তাতে শিক্ষকেরও শ্রম কমে যায়। কিন্তু শিক্ষক সেটি না বুঝার কারণে, অথবা নিজের প্রয়োজনীয়তা অটুট রাখার জন্য, শিক্ষার্থীদেরকে নিজে থেকে কিছু করাতে চান না।

শিশুরা চ্যালেন্জ নিতে এবং নিজেই কিছু করে দেখাতে পছন্দ করে। কিন্তু অনেক শিক্ষক শিশুদের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ফলে শিশুরা পরনির্ভশীলতা থেকে ওঠে আসতে পারে না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে তারা কিছুই করতে বা লেখতে বা সৃষ্টি করতে পারে না।

বড় ক্ষতি হলো, তারা নিজে থেকে কিছুই করার সাহস পায় না, কারণ শিক্ষাজীবনে এই অভ্যাসটি তাদের গঠিত হয় নি।





৪) নিজের দায়িত্ব পালন না করে

পাঠপরিকল্পনা না করা। এই অভ্যাসটি প্রায় নেই বললেই চলে। আমাদের শিক্ষকেরা ক্লাসের আগে পাঠপরিকল্পনা (লেসন প্লান) তৈরি করাকে অতিরিক্ত কাজ বলে মনে করেন। অথচ এটি তাদেরই পেশাগত দক্ষতাকে শানিত করে। পরিকল্পনা ছাড়া কার্যকর এবং অংশগ্রহণমূলক পাঠদান অসম্ভব।

পরীক্ষা এবং শ্রেণীকক্ষ ভিত্তিক পাঠদানের জন্য উপযুক্ত প্রস্ততি না নেওয়া। যেহেতু দৈনন্দিন পাঠদানের জন্য কোন পূর্বপ্রস্তুতি নেই, একই কারণে পরীক্ষা বা গুরুত্বপূর্ণ কোন মূল্যায়নের জন্য শিশুরা কার্যকর দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হয়।

কোন্ বিষয়টি শিশুদের বৈচিত্রময় সামর্থ্যের সাথে সাংঘর্ষিক, শিক্ষক এসব বিষয়ে ধারণা রাখেন না। ফলে কঠিন বিষয়টি তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে আরও কঠিন হয়ে আবির্ভূত হয় শিশুদের মাঝে।

নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে না থাকা। কিছু বিশেষ সময় শিশুদের দরকার হয় শিক্ষকের সঙ্গ – মাবাবার কার্যকারিতা কম। শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে থেকেও শিশুদের থেকে অনেক দূরে থাকেন। সেটি মনস্তাত্ত্বিক অথবা ভৌগলিক উভয়ই হতে পারে।

একটি কঠিন বিষয়ের সমাধানের সময়, শিক্ষকের সাহচর্য্য প্রয়োজন। শিক্ষক তার ব্যক্তিত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দিয়ে নিজেকে শিশুদের মধ্যে ‘এভেইলেবল’ রাখবেন, এটিই প্রত্যাশিত। এই প্রত্যাশিত আচরণটি শিক্ষকদের মধ্যে পাওয়া যায় না।

অভিভাবকদেরকে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত না করা। শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বিদ্যালয় এবং অভিভাবকের সমন্বিত প্রচেষ্টা। অভিভাবককে যথাসময়ে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা অনেক শিক্ষক পালন করেন না, অথবা এর গুরুত্ব মূল্যায়ন করেন না।





৫) শুধুই পাঠ্যপুস্তকের অনুশীলনী মোতাবেক পাঠদান করে

পাঠ্যপুস্তকে দেওয়া অনুশীলনী মোতাবেক পাঠদান করা সহজ, তার প্রধান কারণ সেটি বাজারের নোটে সমাধান করা আছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, এতটুকুতেই শিক্ষক অভ্যস্ত।

পাঠ্যপুস্তকের বাইরে যাওয়া কঠিন, কারণ তাতে শিক্ষকের অতিরিক্ত চিন্তা করতে হয়। ভালোমতো ভাবতে না পারলে শিক্ষার্থীদের কাছে বিব্রত হবার সম্ভাবনা। বিব্রত হবার ভয় আছে, কারণ আমাদের শিক্ষকেরা ‘সবজান্তা’ হিসেবেই নিজেকে প্রদর্শন করতে চান।

কিছু বিষয়ে ঘাটতি থাকতে পারে, কিছু বিষয় শিক্ষার্থীদের সমবেত চেষ্টা থেকে বের হয়ে আসতে পারে। এটি আমাদের অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বাস করতে নারাজ।

পাঠ্যবইয়ের বিষয় নিয়েই অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র সৃষ্টি করা যায় এবং তাতে শিশুদের মধ্যে আগ্রহ ও কৌতূহল বৃদ্ধি পায়। নতুন বিষয়কে সমাধান করে তারা আনন্দ পায়। বড় সুফল হলো, তাদের দক্ষতার বিস্তৃতি ঘটে।

পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ থাকার এই প্রবণতার ভয়ংকর দিকটি হলো, শিশুরা পাঠ্যবিষয়কে জীবনের সাথে মেলাতে পারে না। পাঠ্যবইয়ে গুরুজনকে সালাম জানাবার বিষয়টি শিখে পরীক্ষার খাতায় লেখে আসলেও, সামনে কোন বয়স্ক ব্যক্তিকে পেলে তারা সম্মান জানাতে ভুলে যায়।

জীবন আটকে যায় পাঠ্যপুস্তকের পাতায়।





৬) পরীক্ষা/গাইডবুকমুখী পাঠদান করে

প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিটি আবশ্যিক বিষয়ে ‘শিক্ষক সহায়িকা’ আছে। প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক সেটি অনুসরণ করেন না।

অপ্রত্যাশিত হলেও, এটি প্রচলিত সত্য যে, পরীক্ষার লক্ষ্যেই তারা পাঠদান করেন। আমাদের সমাজে শিক্ষক এবং অভিভাবকের যৌথ প্রয়াসটি হলো: বিদ্যাদান নয়, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি প্রদান করা।

যেহেতু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই হবে, সেহেতু গাইড বই পড়ো। গাইড পরীক্ষায় পাশ করালেও, এটি সবসময়ই জীবনের দিকনির্দেশনায় ‘মিসগাইড’ করে।

ফলে শিশুরা বিদ্যার জন্য পড়ার সুযোগ বা স্বাধীনতা কিছুই পায় না। এমনকি নিজের চেষ্টায় ‘স্বাভাবিক সামর্থ্য দিয়ে পাশ’ করার সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত। কৃত্রিম উপায়ে জিপিএ ফাইভ পাওয়াতে পারলেই আমাদের শিক্ষকগণ খুশি।

অধিকাংশ শিশুদের তাদের ঐকান্তিক চাওয়া ও স্বপ্নের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে যুক্ত করতে পারে না।





৭) পাঠ্যপুস্তকই জীবনের সবকিছু, বাকি সব অপাঠ্য - এমন ধারণা দিয়ে

“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, স্বশিক্ষাই একমাত্র শিক্ষা।” বলেছেন আইজাক আসিমভ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়তো পরীক্ষায় পাশ করায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত সত্য হলো, কর্মসংস্থানের পরীক্ষায় এসে সকলেই একবার করে হাবুডুবু খেতে হয়।

পরিতাপের বিষয় হলো, আমাদের শিক্ষক (এবং অভিভাবকেরা) পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানকেই বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় মনে করেন। তাদের এই অপবিশ্বাস তারা শিশু এবং সন্তানদের মধ্যেও ইনজেক্ট করেন। অবুঝ শিশুরা তখন কিছুই বুঝতে পারে না, যে পর্যন্ত না জীবনের প্রধান পরীক্ষা অর্থাৎ কর্মসংস্থানের মুখোমুখি হচ্ছে।

পরিণতি হলো ঘরকুনো হয়ে শুধুই পাঠ্যপুস্তকের বিষয় গলাধকরণ করা। পরীক্ষা, শিক্ষক আর অভিভাবকের সমবেত চাপের কারণে নিজেদের পছন্দের বইটিও তারা পড়তে পারে না। বরং ‘আউট বই’ পড়াকে তারা অপরাধ হিসেবেই বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছে।

নজরুলের মতো উড়নচণ্ডেরাই প্রতিভাবান হয়। মাটির সাথে যুক্ত না থাকলে যেমন তরু বাঁচে না, প্রকৃতি থেকে বিযুক্ত শিক্ষা কখনও ফলদায়ক হতে পারে না।

এরকম একমুখী চাপের কারণে শিশুরা তাদের স্বাভাবিক জ্ঞানার্জন ও প্রাকৃতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।



আমাদের শিক্ষানীতিতে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু শ্রেণীকক্ষের পাঠদানকে উন্নয়ন করার জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা আজও নেওয়া হয় নি। শিক্ষাদান সম্পর্কে মৌলিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই এদেশে চাকরি পাওয়া যায়।

আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘিরে বিস্তর গবেষণা হচ্ছে। অনেক উন্নয়নও হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে যখন শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করা হয়, তখন ধরেই নেওয়া যায় যে, প্রাথমিক শিক্ষার কোন ভবিষ্যত নেই। (প্রথম খসড়া, ৮/এপ্রিল/২০১৬)



সামুতে প্রকাশিত কয়েকটি প্রাসঙ্গিক পোস্ট:
বিদ্যালয় আমারে শিক্ষিত হতে দিলো না
স্বশিক্ষিত ক্ষণজীবীরা - বলছিলাম সাউথ পোলারদের কথা




------------------------------------------------------
টীকা:

১) ব্যতিক্রম কি নেই: ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু বিষয়কে সরলিকরণ করা হয়েছে, যেন প্রচলিত শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা যায়। আমার জানামতেই অনেক শিক্ষক এবং অভিভাবক আছেন, যারা শিশুদের সৃজনশীলতাকে প্রেরণা দেবার জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াকে বিসর্জন দিয়েছেন। এমন রত্নগর্ভা মাতা আমাদের মধ্যে আছে। দুঃখের বিষয় হলো, তাদের সংখ্যাটি খুবই নগণ্য।

২) শিক্ষানীতিও কি দায়ি নয়: প্রজাতন্ত্র হোক কিংবা রাজতন্ত্র, রাষ্ট্রই সবকিছু নির্ধারণ করে দেয়। যার ক্ষমতা, তারই দায় থাকে। শিক্ষানীতিই সবকিছুর জন্য দায়ি। এবিষয়ে আলাদাভাবে লেখার খায়েশ আছে।

৩) দৃষ্টান্তগুলো কি পর্যাপ্ত: দৃষ্টান্তগুলো কেবলই একেকটি প্রতীক। এগুলোর যথার্থতার চেয়ে প্রাসঙ্গিকতাকে বেশি বিবেচনা করা হয়েছে।

৪) সৃষ্টিহীন শিক্ষা কি স্রষ্টাহীন দেশের জন্য দায়ি: পশ্চিমারা শিক্ষায় আবিষ্কারে অভিযানে এগিয়ে থাকে, এটিই যেন স্বাভাবিক। গুটি কয়েক জগদীশ, রবীন্দ্রনাথ আর ফজলুর রহমান ছাড়া এদেশে আর কোন প্রতিভাবান নেই বা ছিল না। কেন নেই, কেন ছিল না সেটি নিয়ে মাঝে মাঝে ভাবিত হই। দেশের সৃষ্টিহীন শিক্ষা ব্যবস্থা কি এর জন্য দায়ি?

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, ব্রাউজারের কারণে সমস্যা হয়েছিল; পড়ছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... বুঝতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ :)

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চাঁদগাজী'র সাথে সহমত নই। একটা ব্যাপার নিয়ে সুবিস্তারিত লিখতে না পারলে বক্তব্য পরিস্কার করা সম্ভব না হতে পারে।

(@মইনুল ভাই, সময় নিয়ে আসছি।)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ। আসুন :)

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রিয় পাঠক! আগাম ধন্যবাদ নিন!

দেখুন, এটি পাবলিক প্লেইস। লেখকের লেখা এবং পাঠকের মন্তব্য উভয়ই সমানভাবে সকলের কাছে প্রকাশিত।

অতএব, পড়ুন। পড়ে শেষ করুন। তারপর ইচ্ছেমতো আলোচনা/সমালোচনা করুন।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৬

কালনী নদী বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই এত রাগান্বিত কেন?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ইনি পড়ার সুযোগ পান নি। আপনাকে ধন্যবাদ :)

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একটি কঠিন বিষয়ের সমাধানের সময়, শিক্ষকের সাহচর্য্য প্রয়োজন। শিক্ষক তার ব্যক্তিত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দিয়ে নিজেকে শিশুদের মধ্যে ‘এভেইলেবল’ রাখবেন, এটিই প্রত্যাশিত।[/sb - এটা হলে কোচিং সেন্টারগুলোতে পড়াবে কে?? এর বিকাশই তো এটা প্রকাশ করে।। তারপরে এগুলিতেও আছে ভানমতির খেল।।
অভিভাবকরা তো সন্তানদের স্কুলে দিতে পারলেই (এই মঙ্গার দিনে) বুকটান করে থাকে।। কিন্তু খোজ নিয়েও দেখছে না বাচ্চারা কতটুকু সত্যিকার জ্ঞ্যানার্জন করছে?? আর সময়ই বা কোথায়?? স্কুল থেকে ফিরে কোচিং, প্রাইভেট টিউটোরিয়াল শেষ করতে করতে তো আরেকটি দিনের প্রস্তুতি।। আরেকটি কথা না বললেই নয়, হাই নয় প্রাইমারীর শিশুদের বই-খাতার ব্যাগটির ভারে তো বেচারারা নূয়েই পড়ে।। এটাই হয়ে যায় জীবনে সম্বল।।
অসম্ভব ভাল লাগা একটি পোষ্ট।।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

দেহের চেয়ে ভারি স্কুল ব্যাগ!
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যোগ করেছেন :)

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ ক্রমে অরাজকতার মাঝে ডুবে যাচ্ছে; ঘুষ দিয়ে যারা শিক্ষকতার চাকুরী নিচ্ছেন, তারা তো শিক্ষক হতে চাননি; শিক্ষকতা এদের জন্য শাস্তির মতো; এরা বাচ্ছাদের ভালোবাসে না; এরা পড়ালেখাকে ভালোবাসে না; এরা অন্য কিছু করতে না পেরে, শিক্ষকতার চাকুরী নিচ্ছে।

বাচ্ছাদের মেধাকে বুঝার, সেটাকে কাজে লাগানোর, সেটার উৎকর্ষ সাধনের জন্য দরকার শিক্ষক; শিক্ষামন্ত্রীকে সেইদিক দেখতে হবে; এটা জুটমিলের চাকুরী নয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এরা বাচ্চাদের ভালোবাসে না, এরা পড়ালেখাকে ভালোবাসে না... এই হলো মূল কথা।
একারণেই সকল সমস্যা।

ধন্যবাদ, চাঁদগাজী ভাই।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

সুমন কর বলেছেন: এপিক পোস্ট।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

সোহানী বলেছেন: খুব জরুরী এবং সমপোযোগী বিষয় নিয়ে লিখেছেন মইনুল ভাই। দেশ এতো সমস্যার মধ্যে আছে শিশুদের নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কারো নেই, খোদ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নেই........ টেন্ডার, ঘুষ, বদলী, নিয়োগ বিয়ে সবাই এতোটাই বিজি যে এদিকে তাকানোর সময় কোথায়!!!! একাট দেশে শিক্ষা নীতি নেই, শিক্ষক সন্মান নেই, কারিকুলাম নেই, স্কুল প্রতিষ্ঠার নীতিমালা নেই, যোগ্যতার মাপকাঠি নেই.... এতো নেই এর মাঝে শিশুরা কি শিখবে।

খুব খারাপ লাগে বিদেশে স্কুলের শিক্ষার নীতিমালা দেখে। নাহ্, মানুষ আমরা কবে হবো....!!!!!!!!!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


খারাপ তো লাগবেই।

অন্যান্য দেশে শিশুরাই সরকারের মনযোগের কেন্দ্রস্থল। শিক্ষাই তাদের প্রধান কর্মসূচি। শিক্ষাকে তারা কত সহজ করে দিয়েছে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের জন্য। ভাবলে অবাক হই, হতাশও হই।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সোহানী!
ভালো থাকবেন!

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার ব্যাঙের ছাতার মতো স্কুল হচ্ছে। আমার বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে, না না, ৪০-৫০ মিটারের মধ্যে দুইটা প্রাইভেট স্কুল! খেলার কোন মাঠ নেই, বাচ্চারা স্কুলে ডুকে আর স্কুল শেষে বেড়িয়ে যায়। টিফিনের সময় ক্লাসের ভিতরেই থাকে!
সেখান থেকে কী আশা করা যায়?
আমি কিছুদিন আগে, ক্লাস ফোরে পড়ুয়া একজনের সিলেবাস দেখে রীতিমত বিস্মিত, হতবাক আর কী বলা যায়, কিংকর্তব্য বুঝতে পারিনি- এমন একটা অবস্থায় পড়েছিলাম। তাদের সিলেবাসে কাল আছে বাংলায়, টেন্স ইংরেজিতে। মুখস্ত করানো হচ্ছে তাদের প্রকার ভেদ! ফোরে পড়ুয়াকে একটা বাক্য বলে জিজ্ঞেস করলাম, "বলতো, এটা কোন কাল?"। সে জবাব দিল, "এইটা পড়ায় নাই। শুধু ডেফিনেশান!"
মনে মনে বললাম, "সব বিদ্যাসাগর পয়দা হচ্ছে দেশে!"
আমি যে স্কুলে পড়েছি, সেখানেও কয়েক বছর আগে খেলার জায়গা ছিল, আমি খেলেছি, এখন কিছু জায়গা বিক্রি করে দিয়ে দোকান, একটা অংশে মাধ্যমিক, অন্য অংশে কলেজ শাখা খোলা হয়েছে!
একবার একটা জায়গায় (গল্পে) লিখেছিলাম, নলিনের মা রাঁধা অতন্ত কড়া মহিলা। সারাক্ষণ ছেলেকে ডানার ভেতর মুরগি যেমন বাচ্চাকে আগলে রাখে, তিনিও তেমনি আগলে রাখেন। ছেলেকে হাঁফ ছাড়ার সময় দেন না। সকালে নিজেই বসে থেকে ছেলেকে হোমওয়ার্ক করিয়ে নিজ হাতে খাইয়ে, কিন্টার গার্ডেনে দিয়ে আসেন। বসে থাকেন ছুটি না হওয়া পর্যন্ত। ছুটি হলেই আবার ঢুকিয়ে ফেলেন ডানার নিচে। দুপুরে নলিনকে চিত্রাংকন শেখাতে চারুকলার এক ছাত্র আসে। চিত্রাংকন শেখা হতে না হতেই গান শেখানোর জন্য চলে আসেন গানের টিচার। “সা রে গা মা পা ধা নি” দেড় ঘণ্টা চেঁচিয়ে সে যখন ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন হরলিক্স খাইয়ে ছেলেকে চাঙা করেন। তারপর তারই স্কুলের এক শিক্ষক এসে তাকে গণিত শিখিয়ে যান। বিকেল বেলাতেও মা পিছু ছাড়ে না নলিনের। বাড়ির বাইরে যাওয়া মানা। যত ইচ্ছা কুম্পুতে খেল। বাইরের ছেলেদের সাথে মিশে ছেলেকে নষ্ট হতে তিনি কিছুতেই দেবেন না। গেম ভাল না লাগলে নলিন কার্টুন দেখে। কার্টুন দেখতে দেখতে যতই তার পেট ফুলে আর গাব্লু হয়, ততই তার মায়ের কলজে আনন্দে ভরে ওঠে। বুক স্ফীত হয় গর্বে।
বালাদেশে প্রত্যেক মা/ বাবা নলিনের মা/বাবা আর প্রত্যেক স্টুডেন্ট নলিন! বাবা/মায়ের দোষটাও সমান এই অবস্থার জন্য

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শুধু ডেফিনিশন নিয়েই আমাদের শিক্ষকতা।

ধন্যবাদ, আরণ্যক রাখাল।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভীষন প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ন একটি পোস্ট! এই পোস্টটি দ্রুত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো প্রয়োজন। ঔষুধ শিল্পের পর পর সম্ভবত শিক্ষা 'শিল্প' নিয়েই সবচেয়ে বেশি 'এক্সপেরিমেন্ট' এর বলী হতে হয়েছে আমাদের দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষাকে 'শিল্প' বলেছি, এই দেশে শৈল্পিক উপায়ে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা হয়ে থাকে। যেখানে অর্থই মুল সফলতার মাপ কাঠি।


তত্বীয় কথা বলার চাইতে 'ব্যবহারিক' দিকেই যাই। আমার এক কাছের আত্মীয়ের পরিবারেই দেখেছি শিক্ষা অব্যস্থপনার কুফল নিয়ে। পরিবারের বাচ্চাটি সকালে স্কুলে যাচ্ছে, দুপুরে ফিরে আসছে। এসেই গোসল করে খাচ্ছে। খেতে খেতে টিভি দেখা। তারপর চোখ লেগে আসতেই, ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাস এবং বিকেল হতেই আবার 'ম্যাডামের' বাসায় পড়তে যাওয়ার শিডিউল।

সন্ধ্যায় যখন বাচ্চাটা ফিরে আসল, তার মধ্যে আর কোন শক্তি নেই। তার আর পড়াশোনার প্রতি কোন আগ্রহ নেই। সকালে স্কুলে যেতে বাচ্চাটা ইদানিং কাঁদে। ভেবে দেখেছেন কি, আমরা কি ভয়াবহ, নির্মম, নিষ্ঠুর একটা শৈশব আমাদের বাচ্চাদের উপহার দিচ্ছি।

এই দেশে শুধু শিক্ষানীতিতে সমস্যা নয়, সমস্যা আমাদের গার্জিয়ানদের মধ্যেও আছে। তারা শুধু চায়, তাদের ছেলেমেয়েরা ক্লাসে ফাস্ট হোক। এই ফাস্ট হবার নেশায়, অনেক ছেলেমেয়ে একটা পর্যায় গিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে, তাদের পাশে কেউ থাকে না, ফলে অপার সম্ভবনাময় একজন ছেলে বা মেয়ের ভবিষ্যত হয় অন্ধকার।

আমাদের স্কুলগুলোতে যে গতানুগতিক ধারার শিক্ষা দেয়া হয়, সেখানেও আমার আপত্তি আছে। এখন এমন একটা ধারা প্রচলিত হয়েছে যে - যে স্কুলে ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাকে ক্লাস টেনের জ্ঞান দেয়া হয়, সেইটা তত ভালো স্কুল।

যাইহোক, আমার মন্তব্যটি হয়ত কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকও হয়ে গেলো। আপনার পোস্টে সমস্যাগুলো আপনি হাতে কলমে দেখিয়েছেন, কিছু ব্যতিক্রমী উদহারনও দেখিয়েছেন। আশা করি, এর আলোকে অনেকেই হয়ত অনুপ্রাণিত হবেন এবং কর্তৃপক্ষ নতুন প্রজন্মের শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সত্যিকার ভাবে কাজ করবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



মন্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক হয়েছে।

ব্যবহারিক দিকে তাকালেই হতাশ হবেন। এদিকটি পুরেপুরি অবহেলিত থেকেছে।

অভিভাবকদের কথা তো বললামই। আজ শুধু শিক্ষকদের বলার পালা ছিল ;)

//এমন একটা ধারা প্রচলিত হয়েছে যে - যে স্কুলে ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাকে ক্লাস টেনের জ্ঞান দেয়া হয়, সেইটা তত ভালো স্কুল।// :P

আপনাকে অনেক থেংকু........... কাল্পনিক ভালোবাসা!

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আয় হায় কন কী! এখন নাকি সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হয়? এই বিষয়টা নিয়ে আমার সঠিক ধারণা নেই, কী এই সৃজনশীল পদ্ধতি, এর মেরিটস/ডিমেরিটস কী কী। এগুলো জানা দরকার। লিখবেন?
আমার একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। পুরো স্কুলজীবন কেটে গেছে গরুর রচনা আর বাবার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র পড়তে পড়তে। সিলেবাসের বাইরে কিছু লিখতে বললে একটা শব্দও বের হতো না। কলেজের প্রথম দিনে আমাদের ক্লাশ টিচার "বাংলাদেশের কৃষি" নিয়ে রচনা লিখতে বলেছিলেন। আমি একটা অক্ষরও লিখতে পারি নাই। যেহেতু কমন পড়ে নাই, কীভাবে লিখবো!

এই পরিস্থিতি পরে পাল্টেছে। নিজের থেকেও যে কিছু লেখা সম্ভব শিক্ষক এবং নোটবইয়ের সাহায্য ছাড়া, এই বিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। আগেকার আমার মত এমন বেড়াজালে আটকে আছে আরো অনেক শিক্ষার্থী, তাদের ভালো গাইড হবে কে? অভিভাবক? শিক্ষক? আমাদের সবাইকেই নিজ নিজ স্থান থেকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন... (অনেকটা এরকম): আমাদের নেতানেত্রীরা এতই মেধাবী যে দিনভর বক্তৃতা দিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু একটি গরু রচনা লেখতে পারবেন কিনা সন্দেহ হয়। (আমারও সন্দেহ হয়)

সৃজনশীল প্রশ্নমালা নিয়ে লেখলে আরব্য রজনী পার হয়ে যাবে। কেঠা পড়বে শুনি? বিশেষায়িত বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা লেখুক।

//আমাদের সবাইকেই নিজ নিজ স্থান থেকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।// .... দশ কথার এক কথা।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, হাসান মাহবুব :)

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

পুলহ বলেছেন: আমরা এক অদ্ভূত জাতি মইনুল ভাই! চোখের সামনে, তাতক্ষণিক কোন সমস্যা আসার আগ পর্যন্ত সেটাকে সমস্যা বলে স্বীকৃতি দেই না। আমার ধারণা- দেশে শিক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অরাজক পরিস্থিতির জন্য এ ধরণের মাইন্ড সেটও অনেকাংশে দায়ী। কুশিক্ষার লং টার্ম ইফেক্ট যে কত ভয়াবহ হতে পারে- সেটা রাষ্ট্র কিংবা সমাজ সাথে সাথে টের পাচ্ছে না দেখে বোধহয় গুরুত্ব দিয়ে উপলব্ধিও করছে না। তাতক্ষণিকভাবে পিএসসি/ জেএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে গেলেই যেনো হোল!

শিক্ষা ব্যবস্থার অসংখ্য দুর্বলতার মধ্য একটা অংশ- শিক্ষক সমাজের দুর্বলতা এবং তাদের নিয়ে রাষ্ট্রের সুপরিকল্পিত চিন্তাধারার অভাব( কিংবা চিন্তা থাকলেও বিনিয়োগ করার ইচ্ছা নেই)। সে শিক্ষকদের দুর্বলতার কিছু দিক খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।

একটা জিনিস দেখে অবাক হলাম- 'ভালোমতো ভাবতে না পারলে শিক্ষার্থীদের কাছে বিব্রত হবার সম্ভাবনা। বিব্রত হবার ভয় আছে, কারণ আমাদের শিক্ষকেরা ‘সবজান্তা’ হিসেবেই নিজেকে প্রদর্শন করতে চান।'- এরকম মেন্টালিটি তো আমাদের সময়ে- আজ থেকে প্রায় বছর দশ- পনেরো আগে ছিলো; এখনো তাহলে কি সেটার কিছুমাত্র পরিবর্তন হয় নি?!
মাটির সাথে যুক্ত না থাকলে যেমন তরু বাঁচে না, প্রকৃতি থেকে বিযুক্ত শিক্ষা কখনও ফলদায়ক হতে পারে না।-- পুরোপুরি সহমত।
পোস্টে ভালো লাগা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

'ওই রকম মেন্টালিটি' এখনও আছে। ওটাই তো আমাদের টিপিকেল মেন্টালিটি, নিজে যা নয় সেটি দেখানো। শুধু শিক্ষকরা এ থেকে বাদ যাবে কেন?

এসব তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে সহজবোধ্যভাবে সচেতনতা সৃষ্টির দরকার, যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে দায়টুকু বিভক্ত হয়। শুধু রাষ্ট্র আর পারছে না। (অথবা করছে না!)

পুলহ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্য দেবার জন্য। ভালো লেগেছে :)

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ৩) নিজেই সবকিছু করে দিয়ে

পাঠ্যবইয়ে লেখাই থাকে ‘নিজে করো’। কিন্তু দয়ার্দ্র্য শিক্ষক সেটি শিশুকে দিয়ে করাতে চান না!
পাঠ্যবইয়ের অনেক বিষয়ই শিশুরা হয় ‘একা অথবা দল’ হিসেবে করে ফেলতে পারে। তাতে শিক্ষকেরও শ্রম কমে যায়। কিন্তু শিক্ষক সেটি না বুঝার কারণে, অথবা নিজের প্রয়োজনীয়তা অটুট রাখার জন্য, শিক্ষার্থীদেরকে নিজে থেকে কিছু করাতে চান না।

শিশুরা চ্যালেন্জ নিতে এবং নিজেই কিছু করে দেখাতে পছন্দ করে। কিন্তু অনেক শিক্ষক শিশুদের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে শিক্ষাদানের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ফলে শিশুরা পরনির্ভশীলতা থেকে ওঠে আসতে পারে না। পাঠ্যবইয়ের বাইরে তারা কিছুই করতে বা লেখতে বা সৃষ্টি করতে পারে না।

বড় ক্ষতি হলো, তারা নিজে থেকে কিছুই করার সাহস পায় না, কারণ শিক্ষাজীবনে এই অভ্যাসটি তাদের গঠিত হয় নি।
---------- খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে প্রশংসনীয় একটি লেখা!!!

শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ না হলে, আমাদের শিশুদের সুন্দর শৈশব আমরা দিতে পারব না কখোনোই!!

আমার এক আত্মীয়র ছোট বাচ্চা, অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাশ টু পর্যন্ত পড়েছে, বাবা পিএইচডি করাকালীন।
দেশে ফিরে স্কুলের ব্যাগ,বই আর পড়ার জ্বালায় সে বাচ্চার কান্না, "আমি এখানে পড়ব না, অস্ট্রেলিয়া চলো!"

হায়রে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবসা!!!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই, এই ব্যবস্থার অবসান চাই আমরা!!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


কামরুন্নাহার আপা, আপনি হয়তো জানেনই, আমাদের কাছের বন্ধু প্রবাস থেকে তার পুত্র সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন। এদেশে এক বছর পড়ানোর পর আবার প্রবাসে ফিরে গেছেন। নিশ্চয়ই তার অভিজ্ঞতা সে দেশ থেকে এখানে ভালো ছিলো না।

এসব অবস্থার অবসান হবে যখন সাধারণ মানুষ সচেতন হবে। আমরা এভাবে নিগৃহীত হতেই থাকবো, এটা হতে পারে না।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ.... শুভেচ্ছা জানবেন :)

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, স্বশিক্ষাই একমাত্র শিক্ষা।” বলেছেন আইজাক আসিমভ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়তো পরীক্ষায় পাশ করায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত সত্য হলো, কর্মসংস্থানের পরীক্ষায় এসে সকলেই একবার করে হাবুডুবু খেতে হয়।

পরিতাপের বিষয় হলো, আমাদের শিক্ষক (এবং অভিভাবকেরা) পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানকেই বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় মনে করেন। তাদের এই অপবিশ্বাস তারা শিশু এবং সন্তানদের মধ্যেও ইনজেক্ট করেন। অবুঝ শিশুরা তখন কিছুই বুঝতে পারে না, যে পর্যন্ত না জীবনের প্রধান পরীক্ষা অর্থাৎ কর্মসংস্থানের মুখোমুখি হচ্ছে।

পরিণতি হলো ঘরকুনো হয়ে শুধুই পাঠ্যপুস্তকের বিষয় গলাধকরণ করা। পরীক্ষা, শিক্ষক আর অভিভাবকের সমবেত চাপের কারণে নিজেদের পছন্দের বইটিও তারা পড়তে পারে না। বরং ‘আউট বই’ পড়াকে তারা অপরাধ হিসেবেই বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছে।

নজরুলের মতো উড়নচণ্ডেরাই প্রতিভাবান হয়। মাটির সাথে যুক্ত না থাকলে যেমন তরু বাঁচে না, প্রকৃতি থেকে বিযুক্ত শিক্ষা কখনও ফলদায়ক হতে পারে না।

এরকম একমুখী চাপের কারণে শিশুরা তাদের স্বাভাবিক জ্ঞানার্জন ও প্রাকৃতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।
/---- অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কামরুন্নাহার আপা... অনেক ধন্যবাদ :)

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
কোন্ বিষয়টি শিশুদের বৈচিত্রময় সামর্থ্যের সাথে সাংঘর্ষিক, শিক্ষক এসব বিষয়ে ধারণা রাখেন না। ফলে কঠিন বিষয়টি তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে আরও কঠিন হয়ে আবির্ভূত হয় শিশুদের মাঝে।

নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে না থাকা। কিছু বিশেষ সময় শিশুদের দরকার হয় শিক্ষকের সঙ্গ – মাবাবার কার্যকারিতা কম। শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে থেকেও শিশুদের থেকে অনেক দূরে থাকেন। সেটি মনস্তাত্ত্বিক অথবা ভৌগলিক উভয়ই হতে পারে।

একটি কঠিন বিষয়ের সমাধানের সময়, শিক্ষকের সাহচর্য্য প্রয়োজন। শিক্ষক তার ব্যক্তিত্ব ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দিয়ে নিজেকে শিশুদের মধ্যে ‘এভেইলেবল’ রাখবেন, এটিই প্রত্যাশিত। এই প্রত্যাশিত আচরণটি শিক্ষকদের মধ্যে পাওয়া যায় না।

অভিভাবকদেরকে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত না করা। শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বিদ্যালয় এবং অভিভাবকের সমন্বিত প্রচেষ্টা। অভিভাবককে যথাসময়ে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা অনেক শিক্ষক করেন না, অথবা এর গুরুত্ব মূল্যায়ন করেন না।
------------ সত্যিই তাই, অনেক ধন্যবাদ ভাই!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আমাদের শিক্ষকেরা অভিভাবকদের সাথে কথাই বলতে জানেন না। এটি তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব মনে করেন। সবাই নয়, তবে অনেকেই।

আবারও ধন্যবাদ......... একাধিক মন্তব্য দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য :)

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: এখন শিক্ষক হয় কারা, প্রাইমারী ও মাধ্যমিক লেভেলে? ক্লাসের ব্যাক বেঞ্চার রা, কারন ফ্রন্ট বেঞ্চার রা ওপথ মাড়ায় না। তাদের কাছ থেকে এর বেশি আর কি আশা করা যায়। আমাদের গ্রামের স্কুলে ৫ জন শিক্ষক আছে, স্কুলের সভাপতি সম্পর্কে আমার দুলাভাই, তার মতে ঐ শিক্ষকদের ক্লাস ৫ এর প্রশ্নে পরীক্ষা নিলে পাস করতে পারবে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্য বহুলাংশেই ঠিক।

ভালো থাকবেন, গোধুলী রঙ :)

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

বেলের শরবত বলেছেন: ভগ্নিসারথি নামে এক মহাকাঙাল আছে এই ব্লগে। কেমনে জানি জায়গা পাইছে বুবস.কমে সেরা ব্লগে। বাস, দুনিয়াটা ভাইঙা পরছে ফকিন্নিটার মাথায়, বুটের জন্য এমনে কাঙালিপনা কোথাও দেখি নাই্ জাতীয় ইলেকশন বাদে। মাল্টি খুইল্ল্যা সেইটা দিয়াও জায়গায় জায়গায় ল্যাদাইতে ল্যাদাইতে ভরায়া ফালাইতাছে বুটের জন্য। পাত্তা না পায়া এখন শুরু করছে জার্মানপ্রবাসের নামে কুৎসা গাওয়া।

হালা ফকিন্নি।

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: পোস্টটি অবশ্যই খুবই সুন্দর। তবে ভাই একটা হতাশার কথা বলি। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই কোনো না কোনো মাধ্যমে এই কথাগুলো শুনে আসছি এবং সব সময় প্রশংসা করে গেছি, 'খুউব সুন্দর'। জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়ে গেল। কিছু তো হচ্ছে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হয়তো কিছু হচ্ছে... হয়তো আমরা তেমন টের পাচ্ছি না। অথবা তেমন উল্লেখযোগ্যভাবে হচ্ছে না।

আমনজতার সচেতনতা ও দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সোজোন বাদিয়া :)

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থার গোড়াতে গলদ আছে। অসংখ্যবার বলা কথাটি আবারও বলতে হলো। শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে ধংস করার জন্য সব রকম অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও অযোগ্যতা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আমাদের পরের জেনারেশনের জন্য সত্যিই আফসোস হয়।
আপনার মহামূল্যবান এই প্রবন্ধটি আমার কাছে একটি মাইল স্টোনের মতো মনে হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সম্ভবত আরও দশটি মাইল স্টোনের মতো এটিকেও হয়তো সংশ্লিষ্টরা পড়তে হয় তাই পড়া এই মনোভাব নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেবেন। এভাবে আমাদের দেশে কত প্রয়োজনীয় ও দিক নির্দেশক লেখার অপমৃত্যু হয়েছে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। তবুও লিখে যেতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। থেমে গেলে তো চলবে না।

ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ, হেনা ভাই। অনেক প্রেরণা পেলাম :)

শিক্ষার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত ছিলাম প্রায় এক দশক। এসব নিয়ে অনেক কথা, অনেক ক্ষোভ ও বেদনা জমা হয়ে আছে। কীভাবে সহজবোধ্যভাবে প্রকাশ করা যায়, সেটা নিয়ে মহাচিন্তিত। লেখলেই সেটি দুর্বোধ্য হয়ে যায় :(

সহজ করে বলতে না পারা একান্তই ব্যক্তিগত অক্ষমতা আমার।

জানি না পাঠক কতটুকু পড়ে মন্তব্য দিচ্ছেন /:)


আপনাকে আবারও ধন্যবাদ, প্রিয় গল্পকার!

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ।

২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় এ+ বেড়েছে কিন্তু মেধা কমে যাচ্ছে। এ+ পাওয়া ছেলেদের বাংলায় দরখাস্ত লিখতে বললে পারে না। এমন অবস্থা বর্তমানে। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


প্রামানিক ভাই, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমাদের মনোযোগ যেদিন জিপিএ থেকে সরে গিয়ে সত্যিকার বিদ্যালাভের ওপর এসে পড়বে, সেদিন সরকারও দায়িত্বশীল। আমি এটুকুই মনে করি।

২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫০

আরজু পনি বলেছেন:

প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরাও অনেকেই পরবর্তীতে পেশাগত কাজে প্রশিক্ষণের ছিটে ফোটাও প্রদর্শন করেন না। এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে হঠাৎ পরিদর্শনে গেলে কঠিন বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে ।

বেশিরভাগ শিক্ষকরাই ক্লাসে নিজের সীমাবদ্ধ দায়িত্ব পালন করেই খালাস।
কোন শিশু বাড়তি আগ্রহ দেখালেই তাকে বকা দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়।

শিক্ষকদের কোন এসেসম্যান্টের ব্যবস্থা বেশিরভাগ শিক্ষা পতিষ্ঠানেই নেই।

অনেক ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন প্রিয় ব্লগরত্ন।
প্রিয়তে নিলাম।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণের ছিটেফোটাও প্রদর্শন করে না? শিশুদেরকে বকা দিয়ে প্রশ্ন থামিয়ে দেয়? শিক্ষকদেরকে মূল্যায়নের ব্যবস্থা নেই? .... এসবে যেন আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।

আপনার মন্তব্য সবসময়ই বাড়তি কিছু যুক্ত করে :)
প্রিয়তে যুক্ত হওয়ায় গর্বিত।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় সহব্লগার আরজুপনি :)

২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
দরকারী বিষয় নিয়ে চমৎকার ১টা পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে ||

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আপনাকেও ধন্যবাদ, ইমরাজ কবির মুন :)

২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,



একদম প্রাঞ্জল ভাষায়, সহজ বোধগম্য করে, পাঠশালার বোর্ডে লেখার মতো লিখে লিখে দেখিয়েছেন বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভয়ঙ্কর একটি জাতীয় সমস্যার কার্য্যকরন ।
আমি বিস্তারিত কথায় যাচ্ছিনে, শুধু আপনার লেখা থেকে সবিশেষ সমস্যাগুলো মোটাদাগে তুলে ধরছি ।
শিশু মনস্তত্ত্ব বিষয়ে প্রায়োগিক জ্ঞান না থাকা - অনেক শিক্ষকই নয়, আমার মনে হয় পাঠশালা থেকে মহাবিদ্যালয়
পর্য্যন্ত কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কি প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকই ছাত্র মনস্তত্ত্ব বিষয়ে তেমন কোনও জ্ঞান রাখেন না ।

নিজেই সবকিছু করে দিয়ে, বাজারের নোটে সমাধান করা পাঠ্যপুস্তকের অনুশীলনী মোতাবেক পাঠদান করে ছাত্রছাত্রীদের সৃজনী শক্তিকে অংকুরেই বিনষ্ট করে দিয়েছেন ।

রচনা, চিঠি, ভাবসম্প্রসারণ, অনুচ্ছেদ – এসব বিষয় শিশুদের স্বাভাবিক চিন্তা থেকে আসা উচিত। এটা কখনোই করানো হয়না । পরীক্ষায় সহজ পাশের জন্যে সবগুলোর একটা/দুইটা লিখে দিয়ে সেটাই মুখস্ত করানো হয় । এর বাইরে ছাত্রছাত্রীরা এক কলম লেখার যোগ্যতা রাখেনা ।

বোধহীন মুখস্ত করার প্রবণতা শিশুদের স্বাভাবিক বিচার শক্তিকে নষ্ট করে দেয়। এটা প্রতিটি ছাত্রছাত্রীরা বেলায় প্রযোজ্য । এর কারনেই এখনকার প্রজন্ম কমপ্লিটলি মেধাশূন্য (ব্যতিক্রম বাদে )

এর কোনও সমাধান নেই । আমরা আলোচনাই করতে পারবো শুধু যে আলোচনার ফলাফল অশ্বডিম্ব । তবুও আপনার এই ধরনের প্রচেষ্টা আমাদের সামগ্রিক জাতীয় দৈন্যতাকে মাঝেমাঝে তুলে ধরে খানিকটা ঝাঁকুনি দিয়ে যায় । এটুকুই প্রাপ্তি ।
+++++++++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার স্বভাবজাত ব্যবচ্ছেদ পেয়ে এই লেখক গর্বিত, জী এস ভাই! এটাই ব্লগে লেখার প্রাপ্তি।


সমাধান আছে। আলোচনারও ফলাফল আসবে। শুধু বিলম্ব হচ্ছে। হয়তো আমরা দেখে যেতে পারবো না।

দরকার আমজনতার সচেতনতা। 'খানিকটা ঝাঁকুনি' দিতে পারলেই লেখক ধন্য।

অনেক কৃতজ্ঞতা, প্রিয় সহব্লগার :)

২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: যেসব কাজ করে আমাদের শিক্ষকেরা শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করছেন!

উপস্থাপন ভীষণ গোছানো, যুক্তিপূর্ণ, প্রাসঙ্গিক।

দ্বিমত পোষণের কোন সুযোগ নেই। তবে সুযোগ আছে সম্ভবত মত সংযুক্ত করার!!!

মত সংযুক্ত করার সুযোগ গ্রহণ করেই বলছি, যে কোন ধরনের শিক্ষার অন্যতম ভিত্তি সম্ভবত নৈতিক শিক্ষা!!!

পারিবারিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক- যে কোন পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিক শিক্ষা বিবর্জিত হলে মেধা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে না কোনভাবেই সম্ভবত!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


//পারিবারিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক - যে কোন পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিক শিক্ষা বিবর্জিত হলে মেধা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে না কোনভাবেই// 'সম্ভবত' কথাটি বের করে দিলাম ;)


অনেক ধন্যবাদ, কবি (এবং গল্পকার)!

২৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২

কয়েস সামী বলেছেন: ++++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ, কয়েস সামী... অনেকদিন পর :)

২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কীভাবে সহজবোধ্যভাবে প্রকাশ করা যায়, সেটা নিয়ে মহাচিন্তিত। লেখলেই সেটি দুর্বোধ্য হয়ে যায় :(

সহজ করে বলতে না পারা একান্তই ব্যক্তিগত অক্ষমতা আমার।


আপনার এই পোস্টে দুর্বোধ্য কিছুই নাই। মনোযোগ দিয়ে না পড়লে সব লেখাই দুর্বোধ্য মনে হয়। আপনি যথেষ্ট সহজ সরল ভাবে লিখেছেন। লেখার গভীরতা থেকে আমি আগেই অনুমান করেছিলাম যে আপনি শিক্ষার সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত ছিলেন বা আছেন। আপনার প্রতিমন্তব্য থেকে নিশ্চিত হলাম।
ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


সহজ হয়ে থাকলে, সেটি পাঠকের কৃতীত্ব। সহজ করা বড়ই কঠিন কাজ, হেনা ভাই। আমি এর ছাত্র, বলতে পারেন। আপনার দরাজ দিলের প্রশংসা আমাদের জন্য সত্য হোক। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা :)

২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সহজ কথায় লিখতে আমায় কহ যে / সহজ কথা যায় না লেখা সহজে ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এই কথাডাই মনের মধ্যে ভাসতেছিল! কবি দেখুন কত বছর আগেই এটি আবিষ্কার করে রেখে গেছেন :)

ধন্যবাদ, হেনা ভাই :)

৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বড় হবার/শেখার রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সৃজনশীল নাম দিয়ে জটিল একটি ব্যবস্থা আরোপ করে। পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে দুনিয়ার হাবিজাবি বিদ্যা দিয়ে বাচ্চাদের নিকট পড়াশোনা ব্যাপারটাই পানসে ও জঞ্জাল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
দেখুন, সৃজনশীল প্রশ্ন আসার পর প্রশ্নপত্র ফাঁস আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। এত বেশি এটা হবার কারণ কী?

মূলত শিক্ষকেরা নিজেরাই এ সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর প্রদানে অক্ষম। নিজেই নির্দিষ্ট গাইড বই দেখে দেখে তাদের শেখান। তাছাড়া উপায়ই বা কী আছে?
ঐসকল পুস্তকসহায়িকা থেকেই তো প্রশ্ন তৈরি হবে। খামাকা তাঁরা সময় নষ্ট করে মাথা নষ্ট করে বাচ্চাদের ভিন্ন কোনকিছু দিতে যাবেন কেন?
আর ক্লাসে বাচ্চারা তো আসে শুধু নিয়মরক্ষার জন্য, মূল পড়াশোনা তো হবে প্রাইভেট টিউশনে/কোচিংয়ে।


(গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//ক্লাসে বাচ্চারা তো আসে শুধু নিয়মরক্ষার জন্য, মূল পড়াশোনা তো হবে প্রাইভেট টিউশনে/কোচিংয়ে।//
-ক্লাসিক মন্তব্য, গেইম চেইন্জার... এটিই আপনার মন্তব্যের পান্চলাইন!!

৩২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: খুবই প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী লেখা। শিশুদের সৃজনশীলতা বা মেধা ধ্বংসের আর একটা হাতিয়ার ইদানীং যোগ হয়েছে পিএসসি নামক পরীক্ষা। আমার মতে ক্লাশ ফাইভ পর্যন্ত ক্লাসরুমেই শিশুদের পড়ালেখা করানো উচিত। সেইভাবে শিক্ষকদের প্রস্তুত করা উচিত। ক্লাসরুমের বাইরে বাচ্চারা বাকীটা সময় খেলাধূলা বা মন বিকশিত করার মত অন্য কোন বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। আমি শুনেছি জাপানে নাকি ক্লাশ ফোর পর্যন্ত কোন পরীক্ষা পদ্ধতিই নেই। আমাদের দেশে পরীক্ষা দিতে দিতে বাচ্চারা বড্ড ক্লান্ত।

পাটিগণিতে বানরের বাঁশ বেয়ে উঠানামার বিষয়, তারপর চৌবাচ্চার ফুটো, পরস্পর দুটো ট্রেনের গতি এই সব আউল বাউল অংক, তারপর টেন্স, মেন্স, কাল এই সব বিষয় আমাদেরও পড়তে হয়েছে। যখন বাস্তবতার মুখোমুখি হই তখন দুই লাইন ইংরেজী কইতে পারি না। সেই গ্যাপ পূরণ করতে লাইফ ত্যানাত্যানা। আর কোথায় লাগে সেই সব বান্দ্রামী আর চৌবাচ্চার ফুটো অংক বুঝিনা। এসব বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। কিন্তু সেই ভাবনার প্রতিফলন যারা ঘটাবেন তারাতো অন্য কাজে ব্যস্ত!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যুক্ত করলেন। প্রতিটি লাইনে একমত।


//পাটিগণিতে বানরের বাঁশ বেয়ে উঠানামার বিষয়, তারপর চৌবাচ্চার ফুটো, পরস্পর দুটো ট্রেনের গতি এই সব আউল বাউল অংক, তারপর টেন্স, মেন্স, কাল এই সব বিষয় আমাদেরও পড়তে হয়েছে। যখন বাস্তবতার মুখোমুখি হই তখন দুই লাইন ইংরেজী কইতে পারি না। সেই গ্যাপ পূরণ করতে লাইফ ত্যানাত্যানা। // :)

-আমার মনে হয় প্রতিটি বাঙালি ছাত্রছাত্রীর এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। যারা ভালো, তারা নিজেদের চেষ্টাতেই কেবল তা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অবদান কেবল সার্টিফিকেট প্রদান।

৩৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

শায়মা বলেছেন: একেবারেই যোগ্য টিচার এবং টিচিং পোস্ট ভাইয়া!

মানতেই হলো তুমি আসলেই গুড টিচার!:)

বানরের বাঁশ বেয়ে ওঠা আর ফুটা চৌবাচ্চা!!!!! কি অসহ্য!!!!!!!!!! সেদিন নাভিদ মাহমুদ এক সেমিনারে বলছিলো সারাজীবন বানরের আর চৌবাচ্চার অংকে করে ১০০ এ ১০০ পেয়েও, বৃত্তি ট্যালেন্ট পুলে পেয়ে আর বুয়েটে মেধাবী রেজাল্ট করেও উনি নাকি যখন বিদেশে উচ্চতর পড়ালেখা করতে গেলেন তখন সবার সামনে তাকে প্রেজেন্টেশন দিতে বলাতে তার মরণ দশা।


সেইদিনই তিনি বুঝছিলেন সৃজনশীল পড়ালেখা কতটা প্রয়োজন!!! তবে আশার ও সুখের কথা এখন আমাদের দেশেরও কিছু স্কুল কলেজের পড়ালেখা এমন সৃজনশীল পদ্ধতিতেই শুরু হয়েছে এবং আমি নিশ্চিৎ এই সব বাচ্চারা জীবনের সবক্ষেত্রেই সফল হবে।

ওকে আমিও তোমার মত একটা লেখা আনবো ভাবছি যেটা সৃজনশীল পড়ালেখা শিখাতে বাবামাকেও হেল্প করবে বলে আমি মনে করি। :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

‘অসহ্য’ দিনগুলো কীভাবে পার করে এলাম... ভাবতেই অবাক লাগে। আর... কেন পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েও দিশেহারা লাগে, ভাবতে স্পষ্ট লাগে! /:)

আপনার লেখাটি তাড়াতাড়ি ছাড়ুন... আপনি তো ৩৩দিন অথবা ৩৯দিন পার না হলো পোস্ট দেন না। নম্বরগুলো কি ঠিক আছে? B:-/

ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা... শায়মামনি :)

৩৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

মাসূদ রানা বলেছেন: "৩) নিজেই সবকিছু করে দিয়ে" সমস্যাটিকে বেশ গুরুতর মনে হয়েছে। এরকম হলে তো ছেলেপুলেরা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগবে ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সমস্যাটি সত্যিই গুরুতর।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মাসূদ রানা :)

৩৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

মির্জা বাড়ির মেজো বউ বলেছেন: ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতেও কি একই অবস্হা?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আরও বেশি ;)

৩৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: দিন কয়েক আগেই আপনার শিশু শিক্ষার উপর প্রাসংগিক পোস্টটা পড়েছিলাম।
প্রতিটি পয়েন্টই খুব যৌক্তিক মনে হয়েছে, মন্তব্য করার মত কিছু মনে পড়ছিল না।

প্রিয় লেখাগুলো আমি একাধিকবার পড়ি, বিশেষ করে বিভিন্ন জনের মন্তব্য ও তার উত্তর আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়।
গতকাল আবার পড়তে এসে ২৩ নং মন্তব্যে দীপংকর দার মন্তব্যটা দেখে মনে হলে, "সত্যি তো, নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা, তা যত ভালই হোক, তার মূল্য কত টুকু?"

ভাল থাকুন। সবসময়।


১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

২৩ নম্বর মন্তব্যটি সত্যিই চিন্তার বিষয়।

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন, শামছুল ইসলাম।
আপনাকে অনেক দিন পর পেয়ে ভালো লাগলো :)

৩৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষক এবং অভিভাবকগণ একেই ঘাটে জল খান । শুধু প্রতিযোগীতা আর প্রতিযোগীতা ।

I am not trying to turn you into me, I am trying to turn you into you. - Master shifu, Kung fu panda 3

আমাদের শিক্ষক মহোদয়গণ এভাবেই চিন্তা করেলেই হতো ।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমন ভাবে গড়ে তোলা উচিত যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্টুডেন্টদের সুষ্ঠ মানসিক বিকাশ ঘটে । আর একজন ছাত্রকে সকল দিকে দক্ষ না করার চেষ্টা করে শুধু সে যেদিকে মনোযোগী তাকে ওইদিকেই দেয়ায়ই উত্তম ।

শিক্ষা শুধু ভালো রুটি রুজির জন্য নয়, সঠিক মানুষ হওয়ার জন্যও ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ যুক্ত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, কথাকথিকেথিকথন :)

৩৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

শায়মা বলেছেন: ৩৩ ......৩৯ এসব আবার কি ধাঁধা দিলে ভাইয়া!!!!!!


মাথায় তো গড়বড় লেগে গেলো!!!!!!!!!!


তবে আমার তো পহেলা বৈশাখ এখনও শেষ হয়নি। ৩৩, ৩৯, ৫৫ গুনেও কিচ্ছু হবেনা। :(


নাম্বারগুলো ঠিক বেঠিক জানিনা! বুঝিনিইনিতো কি বলছো!!!!!!:(

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নম্বর বুঝতে না পারলে, কোনই সমস্যা নেই। এটা পরীক্ষায় আসবে না B-)

পহেলা বৈশাখ এখনও শেষ হয় নি???? পহেলা দিনটি কয়দিন মিলে হয়, এবার তো আমিও ধাঁধাঁয় পড়ে গেলাম :(
ওকে... শেষ হলে তবেই লেখা দিন।

৩৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১০

শায়মা বলেছেন: আমার তো এভরিথিংই পহেলা পহেলা ........মানে একটু বাড়াবাড়ি থেকে যায়।

আর সত্যিই কিন্তু পহেলা বৈশাখ মানে বাংলা বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানগুলো এখনও শেষ হয়নি। সারা বৈশাখ ধরেই চলবে। আবার সামনে আসছে ২৫শে বৈশাখ!!!!!!!


না !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! পোস্ট লেখা আর হবেনা!:(

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

লেখবো লেখবো করলে কখনও লেখা হবে না। পার্বন একটা থাকবেই সবসময়।

আমার মতো এক বসায় যা মাথায় আসে লেখে ছেড়ে দিন... যা হবার হবে!
মাস তো খালি গেলো না ;)

৪০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪২

শায়মা বলেছেন: মাথায় কত পোস্টো আসে
হচ্ছে না তো লেখাই আর...
মরো মরো ব্লগে বসে
ঝিম ধরে দিন হচ্ছে পার.......

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অন্তত দু’বার যমুনা পাড় হলাম... গত কয়েকদিনে ;)

ব্লগে যদি বসেই থাকা
তবে কেন লেখাজোখা
জীবন দেখুন জীবন লেখুন
ব্লগে দেখান সেই লেখা.... /:)

৪১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

জেন রসি বলেছেন: এখানে দৃষ্টিভঙ্গির একটা ব্যাপার আছে। যেমন আমাদের দেশে মুখস্থ করে ফেলাকে খুব পারদর্শিতা ভাবা হয়। শিশু কিছু বুঝতে পারুক আর নাই পারুক তাকে পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পড়তে বাধ্য করা হয়। এখন কেউ যা শিখছে তা যদি সে কাজে লাগাতে না পারে তবে সৃজনশীল মানসিকতার বিকাশ স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আমি মনে করি আমাদের দেশে এ সমস্যার সাথে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট অনেকভাবেই জড়িত। যেমন ধরুন উদাহরন হিসাবে মাদ্রাসায় পড়া শিশুদের কথাই ধরা যাক। এই সংখ্যাটা কিন্তু আমাদের দেশে অনেক বেশী। এবং অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিশুদেরকেই সাধারণত মাদ্রাসায় পড়তে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে সৃজনশীলতার বিকাশ কিভাবে সম্ভব?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

দৃষ্টিভঙ্গির একটা ব্যাপার আছে। সত্যিই তাই।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

৪২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

বিজন রয় বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
তবে পরিবর্তন একদিনে সম্ভব নয়।

কিন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো কেউ পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে না।

অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনাকেও ধন্যবাদ :)

৪৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক পাঠক পাঠিকাও এখানে মূল্যবান মন্তব্য রেখেছেন, তাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে আপনার এই লেখাটা পাঠিয়ে দেয়া উচিত তাদের পর্যালোচনার জন্য। আমরা পিতামাতা আর অভিভাবকেরাও যদি বাড়ীতে বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি মাঝে মাঝে হলেও (অন্ততঃ সপ্তাহে একবার) একটু নজর দিই, তবে অবস্থার উন্নতি হবে। জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিদেরকে ব্যক্তি উদ্যোগে হলেও শিক্ষার এই প্রাথমিক স্তরটার প্রতি মনযোগী হওয়া উচিত। আর নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারে ছেলেমেয়েদেরকে কনভিন্সিং ওয়েতে কিছু বলাটাও দিনদিন কঠিন হয়ে উঠছে, কারণ তারা চারিদিকে যা দেখছে, তারপরেও নৈতিকতার কথা বলতে গেলে তারা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে। তবুও হাল ছাড়া যাবেনা। জাতির উন্নতি চাইলে শিক্ষার মানের প্রতি আর সঠিক শিক্ষা প্রণালীর প্রতিই নজর দিতে হবে সর্বাগ্রে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আপনার শেষ কথাটিই এই লেখার ভেতরের উদ্দেশ্য। দেশগুলো যত উন্নত হচ্ছে, শিক্ষার প্রতি তাদের গুরুত্ব ও বাজেট বরাদ্দ ততই বাড়ছে। শিক্ষার মানও উন্নত হচ্ছে। আমাদের দেশও গুরুত্ব বাড়িয়েছে, কিন্তু মান বাড়ছে না। শিক্ষা গবেষকরা কোথায়?

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, জনাব খায়রুল আহসান। আপনার বিদগ্ধ মন্তব্যে সবসময় সমৃদ্ধ হয়েছি।

৪৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পাঠ্যবইয়ে গুরুজনকে সালাম জানাবার বিষয়টি শিখে পরীক্ষার খাতায় লেখে আসলেও, সামনে কোন বয়স্ক ব্যক্তিকে পেলে তারা সম্মান জানাতে ভুলে যায়।

ঠিক এখনই কিছু যোগ করার মত মাথায় আসছে না। কেনো জানি চোখ ঘোলা হয়ে আসছে। দু’জনকে বলতে শুনলুম লিখাটিকে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো প্রয়োজন। পাঠিয়ে না হয় দিলুম। তবুও অবগতির জন্য জানিয়ে রা্খছি, ওসব পদে বহু মাথাওয়ালা বিজ্ঞরা বসে আছেন যাদের হাত-পা বাধা। যাহা বছরের পর বছরের শিখে এতদূর এলেন, কর্মক্ষেত্রে তাহার প্রতিফলন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না; কারণ সবারই জানা ! ব্যবস্থার অবস্থানে ক্রুটি !!!!

আপনাদের দায়িত্বশীল লেখনি, এবং ভবিষৎ কে নিয়ে এমন চিন্তা, আমাদের আশার আলো দেখিয়ে যায়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনাকে অনেক দিন পর পেলাম। যথারীতি বিদগ্ধ মন্তব্য :)

মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে এখনই কিছু হবে না। আপনার অভিমত একদম ঠিক। তবে আমাদের মধ্যেও সচেতনতা/ দায়িত্ববোধ এগুলো দরকার। খালি রাষ্ট্র সব করে না, জনগণ ছাড়া রাষ্ট্র কিছুই না।

অনেক ভালো থাকবেন....

৪৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: সহমত। এবং দারুণ ভাবে প্রয়োজনীয় এই সব নিয়ম বদলে ফেলার। কোচিং ক্লাস আর প্রাইভেট পড়ার এবং মুখস্ত করার চেয়ে নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেয়া হোক শিশুদের।
অনেক আগে কিছু লেখা লিখেছিলাম বাচ্চাদের নিয়ে। বাচ্চাদের স্কুলে পড়ালেখা করানো নিজের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত খারাপ।
নিয়ম বদলানো দরকার।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাই.... অনেক দিন পর! ধন্যবাদ।

নিয়ম বদলানো দরকার ছিল কয়েক দশক আগেই। দেখুন আজও বদলায় নি :(

৪৬| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নিয়মের বাইড়ে ও তো কেউ যেতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না ।
এইসব নিয়ে কত কথা যে বলার থাকে ঠেলে ঠুলে সব একসাথে বের হতে চায় এরপর হাল ছেড়ে দেই ।

ধন্যবাদ ভাই পোষ্ট এর জন্য ।

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক দিন পর!

আপনাকেও ধন্যবাদ, মনিরা সুলতানা :)

৪৭| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১২:২৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সময় পরিবর্তন হয়েছে , সাবজেক্ট বেড়েছে...পঠন পাঠনের নিয়মও চেঞ্জ হয়েছে

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

পরিবর্তন এসেছে, তবে উন্নয়ন আসে নি। অবনতির আশঙ্কাকে দমাতে পারে নি।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪৮| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: বাস্তব ধর্মী লিখা, আপনার প্রতিটি পয়েন্টের সাথে একমত।

প্রথম শ্রেনীর ছোট মাসুম বাচ্চা কে পাঠ দান করা হচ্ছে একটি নয়, দুটি নয় ১৩ টি বই পড়ানো হয়, চিন্তা করতে পারছেন ১৩টি বই। যেখানে একাডেমী র বই ১০ ১০ টি ভাবা যায়। আর শ্রেণী কক্ষে প্রতিটি বই পড়ানো সম্ভব নয় তাই প্রাইভেট পড়ানো জন্য অভিভাবক দের বলা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন কার কাছে পড়াবেন প্রাইভেট?

উত্তরঃ শ্রেণী শিক্ষকের কাছে।

আমরা কোথায় আছি ভাবুন, শুধুই ভাবুন।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শিশুদের শৈশবকে বুঝার সুযোগই আমরা দিচ্ছি না। আমরা নিজেরা হেসেখেলে বড় হয়েছি। অথচ সেই অধিকার আমাদের সন্তানদেরকে দিচ্ছি না। আপনার দৃষ্টান্তটি এই পরিস্থিতিকে আরও স্পষ্ট করে দিলো।

ভালো থাকবেন, আনারুল ইসলাম ভাই... :)

৪৯| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে প্রিয়তে নিলাম । অনেক কিছু বলার ছিল । সময়াভাবে পারিনি ।
শুভ কামনা জানবেন ।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা জানবেন, গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই :)

৫০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩

কামরুল হাসান জনি বলেছেন: চমৎকার শিক্ষনীয় পোষ্ট। ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.