নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিসঙ্ঘের ডিপার্টমেন্ট অভ্ পাবলিক ইনফরমেশন (UN DPI/NGO Conference) এর এনজিও বিষয়ক সম্মেলনটি প্রথমবারের মতো কোন এশিয়ান দেশে হলো। মূলত ৬৬টি সম্মেলনের ৬০টিই হয়েছে নিউইয়র্কে, ৫টি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এবং ১টি সম্প্রতি হয়ে গেলো দক্ষিণ কোরিয়ার পর্যটন নগরি গিয়ংজুতে। গিয়ংজু সউল থেকে ৪/৫ ঘণ্টার দূরত্বে, দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে। কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শনে পূর্ণ। সম্মেলনের উদ্দেশ্য এবং আয়োজন সম্পর্কে ধারণা দেবার জন্য এই লেখা।
অফিসের বিগ বস যখন সেদিন আচমকা ডেকে নিয়ে বললেন, 'আপনাকেই যেতে হবে, সব কাজ গুছিয়ে ফেলুন' তখন আমি একই সাথে খুশি এবং চিন্তিত। চিন্তিত ছিলাম কারণ ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত ব্যস্ততাটুকু কীভাবে কাটিয়ে ওঠবো ভাবছিলাম। অন্যদিকে খুশি ছিলাম, কারণ এটি কোন প্রাতিষ্ঠানিক সেমিনার নয়, জাতিসঙ্ঘের এনজিও বিষয়ক সম্মেলন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, এনজিও প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদরা একত্রিত হয় এই সম্মেলনে। জাতিসঙ্ঘের কোন সম্মেলনে যোগ দিতে পারা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। ফলে আমি হ্যাঁ অথবা না, কিছুই বলতে পারলাম না। বলার সুযোগও ছিল না।
'মানসম্মত শিক্ষা', সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়। বিশ্ব নাগরিকের জন্য মানসম্মত শিক্ষা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিক্ষার বিস্তার ও পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারি সংস্থার অবদান সুবিদিত। তাই জাতিসঙ্ঘ চায়, এমডিজি পর্যায়ে যেমনভাবে এনজিওগুলো সহায়তা দিয়েছে, সেটি এসডিজিতেও অব্যাহত থাকুক।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন বললেন, কোন বড় কর্মসূচি এনজিও'র সহযোগিতা ছাড়া অকল্পনীয়। একই সাথে যুবসমাজকে তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। 'আমি কোরিয়ার মানুষ। কোরিয়া আজকের মতো ছিল না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের। এক সময়ে খোলা আকাশের নিচে বিদ্যা লাভ করেছে যে ছেলেটি, সে আজ জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।' উদ্বোধনী পর্বের এ মুহূর্তটি ছিল আবেগপূর্ণ। হাজার প্রতিনিধির বিশাল সম্মেলন কক্ষটিতে পিনপতন নিরবতা।
আবেগ (প্যাশন) থাকতে হবে নিজেদের কাজে। সেই সাথে থাকতে হবে মমত্ববোধও (কমপ্যাশন)। বান কি মুনের এই কথাগুলো আমাকে স্পর্শ করলো।
তারপর বক্তৃতায় এলেন মি. ইল হা ই, গুড নেইবারস ইন্টারন্যাশলের প্রতিষ্ঠাতা প্রেজিডেন্ট। তিনি সম্মলেনের সহ-সভাপতি। শিশুর অধিকার ও মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে গুড নেইবারস-এর দু'টি কর্মশালা ছিল। ছিল প্রদর্শনী স্টল। প্রদর্শনীতে সেইভ দি চিলড্রেন ও ওয়ার্ল্ড ভিশনসহ সকল বড় এনজিওদের মাঝে বাংলাদেশের কোন সংস্থাকে দেখা গেলো না। জানি না কেন।
যা হোক, ব্ক্তৃতায় এলেন, রাশেদা কে চৌধুরি। তিনি গণশিক্ষার বিশ্ব ফোরামের ভাইস-প্রেজিডেন্ট। একই সাথে বাংলাদেশের গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান। শাড়ি-পড়া রাশেদা আপাকে দেখে গর্বিত বোধ করলাম। শেষ দিকে তার সাথে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় আমি যেতে চাই নি। অন্যদেশকে সুযোগ দিলাম। তবে দেখা করেছি, কথা বলেছি।
তিন দিনের সম্মেলনে মোট পাঁচটি রাউন্ড টেবিল আলোচনা ছিল। সবগুলোতেই অংশ নিয়েছি। একটিতে প্যানেলিস্ট হিসেবে আবার রাশেদা কে চৌধুরীকে পেলাম। মানসম্মত শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিমতটি তিনিই রাখলেন। তিনি বললেন, সবার আগে রাষ্ট্রগুলো তাদের জাতীয় নীতিতে শিক্ষাকে সেভাবে গ্রহণ করতে হবে। মুহুরমুহু করতালির মাঝে আমার হাতগুলোও ছিলো। শিক্ষার মান ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার নিয়ে অনেক আলোচনাই হলো, যা এই লেখায় তুলে ধরা সম্ভব নয়।
ইউথ ককাস। যুব সম্মেলন। প্রতিদিন সকালে আয়োজিত হয়েছে তরুণ-তরুণীদের নিয়ে যুব সম্মেলন। প্রথমটিতে স্বয়ং জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন।
দেখা হলো ঢাকা আহসানীয়া মিশন এবং আহসানীয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেজিডেন্ট জনাব কাজী রফিকুল আলমের সাথে। বয়স্ক ভদ্রলোক একাই সম্মেলনের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। আমাকে দেখে বিস্মিত। কীভাবে এলাম! যা হোক, তার সাথে দ্বিতীয়বার দেখা হলো সম্মেলন কক্ষে।
অধিকার নিয়ে, রাষ্ট্রীয় অপব্যবস্থা নিয়ে, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা নিয়ে এবং মুক্তমতের জন্য মানুষের জীবন দেওয়া... ইত্যাদি বিষয়ে এতো সাহসী এবং শানিত বক্তব্য আমি কখনও শুনি নি, দেখি নি। দর্শক সকলে স্তব্ধ, তারপর বজ্রপাতের মতো করতালি। অবশেষে বক্তার সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তার বক্তৃতা অগণিত মানুষকে শক্তি দেয়, এটি তিনি জানেন কি না। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। ছবি তোললাম এবং পরিচয় বিনিময় করলাম। তিনি জাতিসঙ্ঘের এনজিও বিষয়ক এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন, ব্রুস নট।
সম্মেলনে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। পুরো গিয়ংজুতে গিয়ংজুর মানুষ ক'জন জানতে পারলাম না, কারণ রাস্তাঘাট সব ফাঁকা। হয়তো মানুষ আসলেই কম। শুধুই সম্মেলনের অংশগ্রহণকারী। অংশগ্রহণকারীদেরকে সম্মেলনের অনেক পূর্বেই প্রাথমিক নিরাপত্তার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। নিরাপত্তা সনদ নিজ দেশ থেকেই পাওয়া গেছে, ইমেলে। তারপর সেই সনদ নিয়ে যেতে হয়েছে নিবন্ধন বিভাগে। সেখানে পাসপোর্ট তথ্য যাচাই করে, একই সাথে ফটো তুলে তৈরি করা হয় পরিচয়পত্র। পরিচয়পত্র নিয়ে নিরাপত্তার সর্বশেষ আনুষ্ঠানিকতা শেষে সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশ।
সুপরিকল্পিত আয়োজন। দৈনিক খাবারের জন্য আলাদাভাবে ত্রিপল টানিয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইংরেজিতে নির্দেশ, লোকেশন ম্যাপ, ইংরেজিভাষী পুলিশ। আবর্জনা ব্যবস্থাপনা। সবকিছু গুছানো। সবশেষে সীমাহীন খাবারের আয়োজন নিয়ে গণ বুফে। আন্তর্জাতিক খাবারের বিশাল মেলা। সবার জন্য। কয়েকটি কক্ষ নিয়ে আয়োজিত হয় এই খাবারের মেলা। খেলাম এবং ঘুরে ঘুরে তদন্ত করলাম, কোথাও কোন ঘাটতি আছে কিনা। পেলাম না। হাজার মানুষ একসাথে খেলেন, কোনকিছুর অভাব ছিল না। আমার মতে এটি ছিলো সম্মলনের বড় আকর্ষণ। কোরিয়ান আয়োজকরা দেখিয়ে দিলো যে, তারা যতই হিসেবি হোক না কেন খাবারের বেলায় ততটা হিসেব করে না।
মোবাইলে তোলা কিছু এলোমেলো ছবি:
দেশের বাইরে এসেও সামু'র প্রত্যাখ্যান একবার পেতে হলো। পাসওয়ার্ড রিসেট করতে গেলাম। বলে কি, তোমার ইমেইল আমরা চিনি না! এত ব্যস্ত ছিলাম যে, হতাশ হবার সময়টুকুও পেলাম না।
এক সপ্তাহ গেলো। আজ আবার অন্য একটি কম্পিউটার থেকে চেষ্টা করলাম। দ্বিমুখী নিরাপত্তার কারণে নিজের ইমেলেও প্রবেশ করতে পারছিলাম না। ভাগ্যিস জিমেল কোডগুলো ইমিজ আকারে তুলে নিয়ে এসেছিলাম। অবশেষে সামু আমাকে রিসেট করার লিংক পাঠালো। অন্তত এক মাইল দীর্ঘ একটি পাসওয়ার্ড নির্মাণ করলাম! আমার পাসওয়ার্ড রিসেট হলো। অবশেষে 'তাহাকে' আমি পাইলাম!
জানি না দেশে ফেরার পর তাকে পাবো কি না। এই অধিকারহীনতার স্বদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম?
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরেব্বাহ!!!! কী বিশাল প্রশংসা!!!!
কবি বিজন রয়কে অনেক কৃতজ্ঞতা...
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
আপনার মানসম্মত শিক্ষার এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একখানা লেখা আশা করছি দেশে ফেরার পরে পরেই। কারন এখানে এই মূহুর্তে আলোচিত বিষয় এটাই - শিক্ষার মান ।
বলেছেন, রাশেদা কে চৌধুরি মানসম্মত শিক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিমতটি রাখলেন। এই অভিমত আর প্রান্তিক মানুষজনদের কাছে তার অধিকারের জায়গাটুকু কি করে তুলে দেয়ার কথা ভাবছেন UN DPI/NGO Conference এ যোগ দেয়া মানুষগুলো বিশেষ করে আমাদের যে সকল প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছেন সেখানে ; তার খানিকটা তুলে ধরলে হয়তো পরিষ্কার হতো শিক্ষা নামের অশিক্ষার কোথায় আমাদের অবস্থানটি ।
অবশেষে আমরাও তাহাকে পাইলাম যিনি এই অবস্থানটি দেখিয়ে দিতে পারবেন ।
সুস্থ্য ভাবে ফিরে আসুন । ঘরের ছেলেটির ঘরে ফেরার অপেক্ষায় .....
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় আহমেদ জী এস ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। শুধুই সম্মেলনের আয়োজন নিয়ে বর্তমান লেখাটি।
সময় পেলে অবশ্যই লেখবো।
দোয়া করবেন, যেন সুস্থভাবে ফিরে আসতে পারি এবং সামুতেও প্রবেশ করতে পারি...
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অবশেষে সামু আমাকে রিসেট করার লিংক পাঠালো। অন্তত এক মাইল দীর্ঘ একটি পাসওয়ার্ড নির্মাণ করলাম! আমার পাসওয়ার্ড রিসেট হলো। অবশেষে 'তাহাকে' আমি পাইলাম!
জানি না দেশে ফেরার পর তাকে পাবো কি না। এই অধিকারহীনতার স্বদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম
আমাকেও পাসওয়ার্ড রিসেট করতে হয়েছে ।
কনফারেন্সের সাফল্য কামনা করছি ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কবি সেলিম আনোয়ারকে অনেক ধন্যবাদ....
নতুন জীবনের জন্য অনেক শুভ কামনা
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: দারুণ সফলতা!! আপনি আরো এগিয়ে যান! সেই শুভকামনায়!!!!!
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
গেমু ভাইয়া... থেংকু
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাললাগছে আপনার পোস্টটা পড়ে।
গর্বে বুকটা ভরে ওঠছে।
//আবেগ (প্যাশন) থাকতে হবে নিজেদের কাজে। সেই সাথে থাকতে হবে মমত্ববোধও (কমপ্যাশন)। বান কি মুনের এই কথাগুলো আমাকে স্পর্শ করলো।// -- আমাকেও স্পর্শ করলো।
ভাল থাকুন প্রবাসে। সবসময়।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রবাস থেকে চলে আসছি খুব শিঘ্রই....
কিন্তু তখন তো সামুতে দেখা করা যাবে না...
বিষয়টি খুবই পীড়াদায়ক
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ.... ভালো থাকবেন
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২
কল্লোল পথিক বলেছেন:
অনেক শুভ কামনা জানবেন।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: অফিসিয়াল ট্যূর সম্পর্কিত আপনার ব্যক্তিগত আলোচনা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ছবি গুলো খুব ভাল লাগলো মইনুল ভাই! কিছু ছবি সম্ভাবত ফেবুতেও দেখেছিলাম বলে মনে হচ্ছে! তবে আবারও দেখে বেশ লাগলো! আমি আসলে দুইটা ছবি বুঝিনাই ভাই!
যে দুইটাতে দুইজন বক্তৃতা দিচ্ছেন ঐটা কি প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে? নাকি সরাসরি দেখানো হচ্ছে? আমার মনে হচ্ছে প্রজেক্টরে দেখানো হচ্ছে!
তবে অবশেষে আপনি যে ফিরে আসতে পেরেছেন সেইটাতেই অনেক খুশি হয়েছি! আশা করি দেশে ফেরার পরে সামুতে লগইন হওয়ার ব্যাপারে আর কোন সমস্যা হবে না! আর যদি হয়, তাইলে প্রয়োজন হইলে আপনার জন্য আমরা আন্দোলনে নামবো!
অফটপিকে একটা প্রশ্ন করি, রাইগেন না কিন্তু! অধিকাংশ মানুষ গ্যাড়াকলে পড়লে কিংবা গ্যাড়াকল থেকে উদ্ধার পাইলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রবী বাবু কিংবা উনার লেখার কথা স্মরণ করে কেন?
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভালোমতো দেখুন... বুঝতে না পারার কথা নয়।
অফটপিকের কথাগুলো বুঝতে পারি নি। রবীন্দ্রনাথের কথা কেন আসলো?
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
সামুর সমস্যা কেটে গেলে আবারও কথা হবে....
৮| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কর্তা, আমি ভেবেছিলাম আপনাকে এই বিষয়ে একটা পোস্ট দিতে বলব। দেখলাম, কর্তা বিলক্ষন আমাদের সাধারন প্রজাদের মনের ভাষা বুঝেন। তাই স্বউদ্যোগেই পোস্ট দিয়েছেন।
যাইহোক, আগে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। প্রাউড অব ইউ!
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ....
লেখাটিকে নির্বাচিত করায় সম্মানীত বোধ করছি
৯| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
সোহানী বলেছেন: ওয়াও মইনুল ভাই.... সব বাদ... কি নিয়ে আসলেন আমাদের জন্য ... মানে নগদ আর কি.... লিখা আর ছবি ছাড়া !!!!!!!!
খুব ভালো লাগলো এমন প্রোগ্রােমে অংশ নিয়েছেন জেনে...... দু:খিত দেশে থাকলে আপনার সাথে দেখা হয়ে যেত সিউলে !!!!!!!!!
ভালো থাকেন ........
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//দেশে থাকলে আপনার সাথে দেখা হয়ে যেত সিউলে//
ও মাই গড... এত কঠিন করে বলেন... কেন!
নগদ কিছু অবশ্যই পেতেন যদি সাক্ষাতের ব্যবস্থা থাকতো....
অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
১০| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: আরে ভাই, অফটপিকে যেটা বলেছি সেটা আপনার শিরোণামকে মিন করেই বলেছি! শিরোণাম অনেকটা রবী বাবুর 'হৈমন্তি' গল্পের একটা ডায়ালোগের মত! ঐ যে অপু যখন হৈমন্তিকে বিয়ে করে প্রথম তার দর্শন লাভ করে তখন বলে না-
'আমি পাইলাম, ইহাকে পাইলাম!'
আপনার শিরোনামটাও আমার কাছে ঠিক এমনই লেগেছে তাই বলেছি! মনে হয় এবার বুঝতে পেরেছেন?
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এবার দেখুন কে রবি বাবুর নাম বেশি বলছে....
১১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো। আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে যান। শুভকামনা।
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, গল্পকার.... অনেক দিন পর!
১২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
পুলহ বলেছেন: "প্রদর্শনীতে সেইভ দি চিলড্রেন ও ওয়ার্ল্ড ভিশনসহ সকল বড় এনজিওদের মাঝে বাংলাদেশের কোন সংস্থাকে দেখা গেলো না।"-- অথচ শিশু অধিকার/ মেয়েদের শিক্ষা এরকম ক্ষেত্রগুলোতেই তো মাশাল্লাহ বাংলাদেশের বেশ কিছু অর্জন আছে!
"'আমি কোরিয়ার মানুষ। কোরিয়া আজকের মতো ছিল না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের। এক সময়ের গরিব অধিকারবিহীন ছেলেটি আজকে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।'"-- টাচি
অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। আহমেদ জী এস ভাইয়ের সাথে অনেকাংশেই একমত, আশা করি- সুযোগ মত সফরের প্রাপ্তিগুলো নিয়ে আরো লিখবেন।
শেষের প্যারাটা পড়ে খুব মজা পেয়েছি ভাই।
"জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বাস কি মুন বললেন, কোন বড় কর্মসূচি এনজিও'র সহযোগিতা ছাড়া অকল্পনীয়।"-- বাস-< বান
শুভকামনা!
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ... লেখাটিতে অনেক টাইপো রয়ে গেলো
পরে ঠিক করতে হবে....
আপনার কথা ঠিক....বাংলাদেশেই রয়েছে বিশ্বমানে এনজিও.... অংশগ্রহণ করুক অথবা না করুক।
১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
কালনী নদী বলেছেন: গর্বিত বোধ করছি।
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ...
আমিও অনুপ্রাণিত বোধ করছি
১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১৩
সিকদার বাড়ীর পোলা বলেছেন: ভালো লাগা
+++++++++++++++++
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: শুভকামনা।
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ!
১৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
অদৃশ্য বলেছেন:
মইনুল ভাই আশাকরি ভালো আছেন... আপনার চমৎকার লিখাটি পড়লাম... খুব ভালো লাগলো আপনার ফিলিংস আর বাংলাদেশের আরও অনেকেই এতে অংশ নিয়েছে বলে... তারচেয়েও বেশি ভালো লাগলো আপনাকে অনেকদিনবাদে আবার দেখে...
দেশে আসুন আমাদের জন্য সামুতে আপনার মজার অমজার অভিজ্ঞতা সব শেয়ার করুন... অপেক্ষায় থাকলাম...
শুভকামনা...
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরেহ!!! কবি অদৃশ্য যে! আপনি তো আপনার নামের মতোই অদৃশ্য হয়ে থাকেন....
আমিও আপনাকে 'অনেক দিন বাদে' দেখতে পেয়ে আনন্দিত
দেশে ফেরার পর আজই সামুতে ঢুকতে পারলাম।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা.......
১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বর্ণনা শুনে ঈর্ষাবোধ করছি ভীষণ! ধন্যবাদ মইনুল, এই সম্মেলনের ব্যাপারে লেখার জন্যে।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রফেসর সাহেব.... কেমন আছেন?
আজ সামুতে ঢুকতে পারলাম... ভীষণ আনন্দিত...
কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা জানবেন
১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১১
জেন রসি বলেছেন: অভিনন্দন মাইনউদ্দিন মইনুল ভাই।
মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে কি আলোচনা হলো তা জানিয়ে অবশ্যই আমাদের আলোকিত করবেন। তার সাথে অধিকার নিয়ে, রাষ্ট্রীয় অপব্যবস্থা নিয়ে, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা নিয়ে এবং মুক্তমতের জন্য মানুষের জীবন দেওয়া... ইত্যাদি বিষয়ে এতো সাহসী এবং শানিত বক্তব্য সম্পর্কে জানার জন্যও আগ্রহ প্রকাশ করছি।
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... আচ্ছা! লেখাটি শুধুই সম্মলন সম্পর্কে এবং এর উদ্দেশ্য ও আয়োজন সম্পর্কিত।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, জেন রসি
১৯| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব, আপনার বিশাল প্রাপ্তিতে আমরাও ভাগীদার হইতে পারলুম। সুযোগটি প্রদানে বিনীত ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশকরছি আপনার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও তথ্যগুলো নিয়ে আমাদের সাথে আরও বিস্তারিতভাবে আলাপ করবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনায়, অন্ধবিন্দু।
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অন্দবিন্ধুকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
২০| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অভিনন্দন ভাইয়া,ফিরে এসে লম্বা পোস্ট দিয়েন।
শুভ কামনা
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মনিরা সুলতানা
২১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৯
সায়েম মুন বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে দেখি মহাসমারোহ। দেশকে প্রেজেন্ট করার জন্য গিয়েছিলেন- দারুন সৌভাগ্য! আশা করি, ভালভাবেই দেশে পৌঁছেছেন।
পাসওয়ার্ডের ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটেছে। আমাদের নিরাপত্তা/ অধিকার এখন সিম বায়োমেট্রিক আর সামুর পাসওয়ার্ডে বন্দী।
১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দেশে ফিরে আজই প্রথম ঢুকতে পারলাম। অনেক ভালো লাগছে....
প্রিয় সায়েম মুন! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
২২| ১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
*******************************************
ব্লগে আজ হঠাৎ ঢুকতে পেরে খুবই আনন্দিত। ধারণা করছি সব প্রতিবন্ধতা দূর হয়েছে।
ব্লগের কর্তৃপক্ষসহ সকলকে অভিনন্দন!
*******************************************
২৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক সময়ে খোলা আকাশের নিচে বিদ্যা লাভ করেছে যে ছেলেটি, সে আজ জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।' - সে দেশে সঠিক নেতৃত্বের কারণে সেটা সম্ভব হয়েছে।
মুহুরমুহু করতালির মাঝে আমার হাতগুলোও ছিলো - আপনার প্রাঞ্জল, প্রশগসাসূচক বর্ণনা পড়ে আমার করতল ও তো তালি দেবার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে।
এত ব্যস্ত ছিলাম যে, হতাশ হবার সময়টুকুও পেলাম না। -
আপনার বস একজন যোগ্য ব্যক্তিকেই পাঠিয়েছিলেন সউলে। অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে আপনার প্রাঞ্জল লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, যখন কোরিয়া আমাদের সমকক্ষ বা এমনকি পেছনে ছিলো। আর আজ তারা কোথায়!
অফ টপিকঃ ১৯৯০ সালে আমি বাংলাদেশ দূতাবাস, মাস্কাটে প্রথম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলাম। তখন সেখানকার কোরীয় দূতাবাসের প্রথম সচিব কিম সুক লী আর তার স্ত্রী কিয়ং সুক লী আমার এবং আমার স্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হতো, উভয়ে উভয়ের বাসায় বেশ নিয়মিতভাবেই আসা যাওয়া করতাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন তার বাল্যকালে কোরিয়ার অবস্থার কত্থা। খুবই দরিদ্র ছিলো তারা। আমাদের সমাজে যেসব পারিবারিক ভ্যালুজ দেখে আমরা বড় হয়েছিলাম, তারাও ঠিক তেমনি। ঐ সময়ই সিদ্ধান্ত হয় কোরিয়া অলিম্পিকের স্বাগতিক দেশ হবে। এ নিয়ে তার এবং মান্যবর কোরীয় রাষ্ট্রদূত এর গর্বের সীমা ছিল না।
সবশেষে, আপনার ছবি কোথায়?
১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ! আপনার আন্তরিক মন্তব্য সবসময় হৃদয়কে স্পর্শ করে।
অফটপিকের কথাগুলোকে আমি অপ্রাসঙ্গিক মনে করছি না। আপনার 'প্রথম সচিবের' সময়টুকুতে নিশ্চয়ই অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। এজন্যই আপনার লেখায় ও কথায় অনেক অভিজ্ঞতায় ছায়া দেখতে পাই।
আপনি তো জানেনই। বান কি মুনের বেড়ে ওঠার সময়ে কোরিয়ার অবস্থা এমনই ছিল। তারা জাপানের শোষণের অধীনে ছিল, যেমন বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের। অধিকারবিহীন। অনুন্নত। এমনকি আশি এবং নব্বইয়ের দশকেও তাদের অবস্থা এতোটা ভালো ছিলো না।
তীব্র আত্মসম্মান বোধ, গভীর স্বদেশ প্রেম (আমাদেরগুলো অনেক সময় সারবত্তাহীন মনে হয়), কঠিন অধ্যবসায় এবং জাতীয় নীতিমালায় জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। কোরিয়ান মায়েরা নিজেদের অলংকার দিয়ে জাতীয় ঋণ পরিশোধ করেছে। কোরিয়ান মানুষ যেমন পরিশ্রমী, তেমনি তাদের সরকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি যোগান দিয়ে পরিশ্রমকে আর্থিক মূল্য দিয়েছে।
উপরোক্ত শর্তগুলো বাংলাদেশের নেতা এবং জনগণ পালন করলে আজ মালয়েশিয়ার মতো দেশে ধর্ণা দিতে হতো না। মালয়েশিয়ানরা এদেশে শ্রম বিক্রি করেছে। এমন সময় ছিল।
২০০৭ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল আমাকে কাজাখস্তানে পাঠায় আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দেবার জন্য। রাজধানী আলমাতি আমাদেরই সময়রেখায় অবস্থান করছে। সোভিয়েত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত কাজাখস্তানের উন্নয়ন দেখেছি। দেখেছি সিঙ্গাপুরের, ফিলিপাইনের, ভিয়েতনমের উন্নয়ন।
উপলব্ধি পাবার পর থেকে অপেক্ষা করছি কবে এদেশে কবে মানুষ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে, বাধামুক্ত যাতায়াত করতে পারবে... সকল পেশার মানুষ নিজেদের কাজটুকু করার সুযোগ পাবে। কারণ এদেশের মানুষও সংগ্রামী এবং উন্নয়নাঙ্ক্ষী!
২৪| ২০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ চমৎকার প্রতিমন্তব্যটাও আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে গেলো। আমি যা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু শেষে অব্যক্ত রয়ে যায়, সেকথাগুলোই মূর্ত হয়েছে আপনার এ প্রতিমন্তব্যে। কিম এর বয়স আমার চেয়েও ৩/৪ বছর বেশী ছিলো। যে সময়টার কথা বলেছি, তখন অলরেডী কোরিয়া উন্নয়নের সোপানে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। কিন্তু কিম যখন তার দেশের কথা, এক সময়ের সীমাহীন দারিদ্র্যের কথা, অনুন্নত সমাজ ব্যাবস্থার কথা নিয়ে আমার সাথে আলাপ করতো, আমি তার কথায় আমার দেশ, আমাদের পারিবাবারিক মূল্যবোধ, আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি দেখতে পেতাম।
তীব্র আত্মসম্মান বোধ, গভীর স্বদেশ প্রেম (আমাদেরগুলো অনেক সময় সারবত্তাহীন মনে হয়), কঠিন অধ্যবসায় এবং জাতীয় নীতিমালায় জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। কোরিয়ান মায়েরা নিজেদের অলংকার দিয়ে জাতীয় ঋণ পরিশোধ করেছে। কোরিয়ান মানুষ যেমন পরিশ্রমী, তেমনি তাদের সরকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি যোগান দিয়ে পরিশ্রমকে আর্থিক মূল্য দিয়েছে। উপরোক্ত শর্তগুলো বাংলাদেশের নেতা এবং জনগণ পালন করলে আজ মালয়েশিয়ার মতো দেশে ধর্ণা দিতে হতো না। মালয়েশিয়ানরা এদেশে শ্রম বিক্রি করেছে। এমন সময় ছিল। - একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন।
ইন্দোনেশীয়, মালয়েশীয়, থাইরা একসময় এদেশে দলে দলে আসতো চিকিৎসা বিজ্ঞান আর কৃ্ষিবিদ্যা পড়তে, এ তো নিজ চোখেই দেখা। এমনকি আমাদের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেও মালয়েশিয়া আমাদের দেশ থেকে ডাক্তারদের একটি বিরাট দলকে নিয়ে গিয়েছিলো তাদের দেশের চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন মেটাতে। দরিদ্র চীনারা আসতো শ্রম বিকোতে আর স্বল্প পুঁজির ব্যাবসা করতে (যেমন ড্রাই ক্লিনীং, টেইলরিং ইত্যাদি। পরে আসে চায়নীজ রেস্তোরাঁ আর বিউটি পারলারের ব্যবসায়ীরা। কিছু কিছু চীনা দাঁতের ডাক্তারকেও দেখা যেত।)
শুধুমাত্র যোগ্য নেতৃত্ব আর সুশাসন বাংলাদেশের চিত্র বদলে দিতে পারে আলাদীনের চেরাগের আকস্মিকতায়। সংগ্রামী বাঙালীরা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে সরকারের মুখাপেক্ষী আগেও কখনো ছিলনা, এখনো নেই। শুধু প্রয়জন সঠিক নীতিমালার আর তার সঠিক প্রয়োগের।
এই সুন্দর আলোচনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দিন মইনুল। ভালো লেগেছে খুব।
২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার অভিজ্ঞতার সাগর থেকে আরও কিছু মুক্তা পাওয়া গেলো।
এবং স্বদেশকে নিয়ে গর্ব করার মতো আরও কিছু কারণ পাওয়া গেলো। আপনার সাথে কথা চালিয়ে যাবার এই হলো অতিরিক্ত পাওয়া। ঠিক এজন্যই আমি এত ব্যস্ততার মাঝে ব্লগে সময় দেবার চেষ্টা করি। অনেক বিচক্ষণ মানুষের দেখা পাই, যা হয়তো স্বাভাবিকভাবে অসম্ভব হতো। অনেক ধন্যবাদ, জনাব খায়রুল আহসান
অবকাঠামো, সুশাসন এদেশের উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম, এবং একই প্রধান অন্তরায়।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো...... আমিও আনন্দ পেয়েছি!
২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৮
কালীদাস বলেছেন: কনফারেন্স কেমন হয়েছিল? এদের সাথে কি এমডিজি বা এসডিজি যারা বানায় তাদের কোন কানেকশন আছে? এমডিজির সার্বজনীন প্রাইমারি এডুকেশন সাব-সাহারান আফ্রিকায় বেশ কিছু আনস্টেবল এডুকেশন স্টেটের সৃষ্টি করেছে বলে শুনেছিলাম, সেই ব্যাপারে কোন আপডেট দিতে পারেন?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এমডিজি প্রণয়নের সময়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন পেশায় যোগ দেই নি। পড়াই তো শেষ হয় নি। তবে এমডিজি'র সুবিধা গরীব দেশগুলো পেয়েছে। কতটুকু কথা ছিল, কতটুকু পেয়েছে এসব হিসাব আলাদা।
যা হোক,এসডিজি'র সময়ে একদম প্রাসঙ্গিক পেশায় যুক্ত আছি। ফলে বিষয়টিতে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উভয় দিকেই আগ্রহ আছে। এসডিজি প্রণীত হয়েছে সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক উপায়ে। বটম-আপ এট্রোচ! আলাদা পোস্টে এর কিছু লেখেছি। যাদের জন্য বানানো হয়েছে, তাদের সাথে কানেকশন আছে। এখানে কোন স্ট্যান্ডার্ড বলা কঠিন।
সব কথার ওপরের কথা হলো এসবই বিশ্ব রাজনীতির অংশ। নেসেসারিলি উন্নয়নের জন্য নয়। ক্ষমতা প্রয়োগের অস্ত্র। তবু লক্ষ্য স্থির করা হলে, যাদের জন্য নির্দিষ্ট, তারা কিছু পায়। আমার প্রতিষ্ঠানে মাত্র ১০% খরচ প্রশাসনিক খাতে করা যায়, বাকি সব উদ্দীষ্ট জনগণকে দিতে হয়। না হলো চাকরি নট তো নটই, প্রতিষ্টানও নট!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: অভিনন্দন।
আপনি দেশের এবং ব্লগের গর্ব।
শুভকামনা।