নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

© মাঈনউদ্দিন মইনুল। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি, অনুমতি ছাড়া কেউ এব্লগ থেকে লেখা বা লেখার অংশ এখানে বা অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার ক্লাসে কেন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগের বহুমাত্রিকতার ফলশ্রুতিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, শিক্ষাদান, শিক্ষকতা, শ্রেণীকক্ষ, পাঠ্যপুস্তকগুলো কি ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে? আমাদের শ্রেণীকক্ষগুলো কি প্রজন্মের চাহিদাকে ধারণ করতে পেরেছে? অথবা আমাদের শিক্ষকেরা? শিক্ষার্থীরা কেন বিশেষ কোন শিক্ষকের ভক্ত, অথবা কিছু বিশেষ ক্লাসে কেন তাদের উপস্থিতি বেশি, তা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? কিছু শিক্ষার্থী কেন একটি ক্লাসে আন্তরিকভাবেই অংশ নেয়, তা নিয়ে কখনও কি আলাদাভাবে চিন্তা করেছেন? নিজের পাঠদানের মান, কৌশল অথবা এর কার্যকারিতা নিয়ে কখনও ভেবেছেন কি? কঠিন বিষয়ের পাঠদানও উপভোগ্য হয় এবং শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে উপকৃত হয়। সবই শিক্ষকের সৃজনশীল পাঠ ব্যবস্থাপনার কারণে। শিক্ষককে বলা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ পাঠ্য উপকরণ।
অন্যদিকে শিক্ষককে আমরা একটি রাজ্যের সম্রাট বলতে পারি। সেই রাজ্যটি হলো তার শ্রেণীকক্ষ, যেখানে সবকিছু তার ইচ্ছায় হয়। তিনিই সর্বময় কর্তা – সবা্ই তার অনুসারী অথবা অনুগামী। একটি নির্দিষ্ট সময়ে তিনি কীভাবে শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনা করে সর্বাধিক সুফল নিশ্চিত করবেন, এটি একান্তই শিক্ষকের দায়।

ক্লাসরুমকে শিক্ষকের আঁতুরঘরও বলা যায়, কারণ একমাত্র এখানেই তিনি নিজেকে ষোলকলায় প্রকাশ করতে পারেন। পাঠদান অথবা বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতার এই শিল্পকে তিনি এখানে চর্চা করতে পারেন। এখানে আছে নির্লোভ নির্মোহ শিক্ষার্থীরা, যারা তার পাঠদান শিল্পের বিচারক, মূল্যায়ক এবং ভোক্তা তো বটেই।



ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট/ শ্রেণীকক্ষ ব্যবস্থাপনায় সৃজনশীলতাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য কয়েকটি প্র্যাকটিকেল টিপস:



>বছর/ সিজন/ টার্মের শুরুটা আনুষ্ঠানিকভাবে করুন। উদ্বোধনী ক্লাস নিন। তাতে জানিয়ে দিন কী করা যাবে, কী করা যাবে না। কোন্ কোন্ ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য, কোন্ সময়ে নয়। আপনার প্রত্যাশাগুলো জানিয়ে দিন। গত টার্মে কোন ব্যতিক্রম/নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হলো স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিন এবার কেন সেটি আর করা যাচ্ছে না। জানিয়ে দিন পরীক্ষা/ ক্লাস টেস্ট/মূল্যায়ন কেমন হবে।

>শিক্ষার্থীর মনে আশা জাগিয়ে তুলুন। কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মনে অনেক হতাশা আর ভয় থাকে। যদি তারা গণিতের শিক্ষার্থী হয়, বলুন গণিতের দফারফা হবে এবার। আর কোন ভয় নেই, কারণ আপনি আছেন তাদের সঙ্গে।

>নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বে প্রস্তুত/সতর্ক করুন, জানিয়ে দিন। তবে একটু নরম করে। “বাচ্চারা তোমাদের আর মাত্র ৫মিনিট সময় আছে! গো ফাস্ট!” সবসময় এরকম কঠোর না হলে ভালো। একটু কৌশল করে বলতে পারেন, “বাচ্চারা, তোমরা যদি এখনও শেষ না করতে পারো, ঠিক আছে। চালিয়ে যাও। আর ৫মিনিট পর দিলেই হবে।”

>বিশেষ সময়গুলো বিশেষভাবে বলুন এবং বিশেষভাবে শুরু করুন। সাইলেন্ট মোমেন্ট/ ডু নাউ/ নিজে করো সেশন ইত্যাদি। এসবের উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষার্থীকে বিশেষভাবে মনোযোগী রাখা। তারা সাধারণত বিশেষ কোন কারণ ছাড়া কিছু করতে ভালোবাসে না।

>শিক্ষার্থীদের বয়সানুপাতিক আচরণগুলো বুঝার চেষ্টা করুন। শিক্ষার্থীরা মাঝেমাঝে খুশগল্পে মেতে ওঠতে পারে/ নিজেদের মধ্যে হুসহাস আলোচনায় ডুবে যেতেই পারে। আপনি যা করবেন, তা হলো প্রথমতো মেনে নেওয়া। তারপর একটি পদ্ধতি বের করুন, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আবার ক্লাসে ফিরে আসতে পারে: হাততালি/ ওয়ান-টু-থ্রি ইত্যাদি।

>নেতিবাচক শিক্ষার্থীকে সাবধানে হ্যান্ডল করুন! সব শিক্ষার্থী সব শিক্ষককে পছন্দ নাও করতে পারে। এরকম অপছন্দের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কোন দায় নাও থাকতে পারে। এমনও হতে পারে, কোন শিক্ষার্থী এমনিতেই উদাসীন। কিন্তু শিক্ষকের চাই একসঙ্গে সবার মনযোগ। আপনার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে বলুন, “বাচ্চারা, দেখো! আমাকে বা আমার কথায় তোমরা সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে এমন কথা নেই। আমি এমনটা আশাও করি না। কিন্তু শ্রেণীকক্ষে এর ব্যতিক্রম করা যায় না। সেটি তোমাদেরই কল্যাণে। অতএব এখন থেকে আমাকে পছন্দ না হলেও, অন্তত পছন্দ করার/ মনযোগ দেবার ভাণ করো। দেখো চেষ্টা করে।”

>শিক্ষার্থীদের ক্লাসওয়ার্ক টাইমে শ্রেণীকক্ষে হাঁটুন। দেখুন তাদেরকে। বুঝুন তাদের দক্ষতার নমুনা। দেখুন তাদের ব্যক্তিত্ব। দেখান আপনারও ব্যক্তিত্ব। দেখিয়ে দিন আপনিই শ্রেণীকক্ষের শাসক। কিন্তু ঘটঘট করে শব্দ করে হাঁটবেন না। তাদের ডিসটার্ব হয়!

>প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আপনার মনযোগটুকু (teacher’s attention) দিন। প্রত্যেককে। কেউ যেন বাদ না যায়। এটিই শিক্ষকের প্রধান কাজ, যা বইয়ে নেই কিন্তু আপনি দিতে পারেন। দুর্বলকে শক্তি দিন, লাজুককে সুযোগ দিন। তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলুন।

>স্পষ্ট ভাষায় এবং উচ্চস্বরে কথা বলুন। স্পষ্টস্বরে প্রতিটি শব্দ নিক্ষেপ করুন। এটি পবিত্র শ্রেণীকক্ষ, জ্ঞানগৃহ। অধিকাংশ বিষয়ে আপনিই প্রথম তাদেরকে ধারণা দিচ্ছেন। এখানে মানুষ তৈরি হয়। শিক্ষকের বক্তব্য পবিত্রগ্রন্থ থেকে ‘মাত্র সামান্য একটু’ পিছিয়ে আছে। (অবশ্য কেউ কেউ সমানই বলে থাকেন।) তাই কণ্ঠে রাখুন পবিত্র আত্মবিশ্বাস। কথা জোরে বলুন। তবে রুক্ষস্বরে নয়, তাদের কানের ক্ষতি হয়!

>শিক্ষার্থীদেরকে তাদের অগ্রগতি দেখান। গত পরীক্ষার চেয়ে এবারের পরীক্ষায় তারা কীভাবে ভালো করেছে, সেটি নিজেও দেখুন, তাদেরকেও দেখতে দিন। তাদেরকে বুঝিয়ে দিন যে, আপনিই পারেন তাদেরকে দুর্বলতা থেকে ওঠিয়ে নিয়ে আসতে। তাতে তাদের বিশ্বাস বেড়ে যাবে, নিজেদের প্রতি এবং আপনার প্রতিও।

>শ্রদ্ধা দেখান শিক্ষার্থীদের প্রতি। গুরুজনদের যেভাবে দেখায় সেভাবে নয়। তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, তাদের প্রচেষ্টা, তাদের আত্মসম্মানকে শ্রদ্ধা করুন। সবসময়। নির্ভুল না হলেও তাদেরকে উত্তর দেবার চেষ্টাকে স্বীকৃতি দিন।

>স্বভাব একটু পাগলাটে হলে তাতে অপরাধবোধ নেবেন না। শিক্ষার্থীরা কেতাদুরস্ত শিক্ষক চায় হয়তো, কিন্তু ভালোবাসে না। ভালোবাসে তাদেরকেই যারা একটু তাদের মতো দুরন্ত, অবোঝ, পাগলাটে এবং যাদের কিছু-না-কিছু ঘাটতি আছে। উইয়ার্ড এর বাংলা কি ‘কিম্ভুতকিমাকার’? সেটি হলেও মন্দ নয়।










----------------------------
পুনশ্চ: আপনারা যারা শিক্ষকতা করছেন, তারা হয়তো সবাই ভেবেচিন্তে এপথে আসেন নি। ব্যাপার না। সব পেশাতেই এরকম উল্টোপথে-চলা মানুষ আছে। এপেশায় একটু বেশি, এই যা! কেউ কেউ আবার দারুণ মানিয়ে নিতে পারেন। তারা জিনিয়াস! অনেকেই পারেন না। ভালো শিক্ষক হতে চাইলেও চলমান দৃষ্টান্তগুলো প্রেরণাদায়ক ততটা প্রেরণাদায়ক নয় বলে আবার পিছিয়ে আসেন। ফলে আরলি ড্রপআউট, অর্থাৎ চাকরি বদল অথবা প্রতিষ্ঠান বদল। অথবা দেখা গেলো যে, প্রতিষ্ঠানই আপনাকে বদল করে দিলো! চাকরি গ্রহণের শুরুর কয়েক বছর এরকম চলে। সবাই তো আঁকাবাঁকা পথকে সোজা করতে পারেন না। পরিস্থিতিও ভালো থাকে না। যেমন ধরুন, শিক্ষার্থীদের অবাধ্যতা। পাঠে অমনোযোগ। অনুপস্থিতি। দেরিতে আসা। বারবার বলে দেবার পরও ভুলে যাওয়া, বা বুঝতে না পারা। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা। এসব পরিস্থিতিতে মেজাজ খিটখিটে থাকে, যা বাসায় ফিরলেও ঠাণ্ডা হয় না। তারপরও শিক্ষকতাকে যারা মনেপ্রাণে মেনে নিয়েছেন, শিক্ষাদানে তারা অপার আনন্দ লাভ করেন। তারা সৃজনশীল। তারা সৃজনকারীও।

শিক্ষাদানের সময়টি এখনও আমি অনুভব করি। কিন্তু এই ভিডিওটি আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: তারা সাধারণত বিশেষ কোন কারণ ছাড়া কিছু করতে ভালোবাসে না। - এটুকু বুঝতে হলে যে মন থাকা প্রয়োজন, সেটা না থাকলে কারো শিক্ষক হওয়াই উচিত না।
দুর্বলকে শক্তি দিন, লাজুককে সুযোগ দিন। তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলুন। - আমি শিক্ষক নই, কখনো শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলাম না। তবে আপনার এ বাক্যটি পড়ে আমার শিক্ষক হতে ইচ্ছে করছে, নইলে নিদেনপক্ষে আবার লাজুক ছাত্র, যা আমি সব সময়েই ছিলাম।
তাই কণ্ঠে রাখুন পবিত্র আত্মবিশ্বাস। কথা জোরে বলুন। তবে রুক্ষস্বরে নয়, তাদের কানের ক্ষতি হয়! - চমৎকার বলেছেন এ কথাটা।
তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, তাদের প্রচেষ্টা, তাদের আত্মসম্মানকে শ্রদ্ধা করুন। সবসময়। নির্ভুল না হলেও তাদেরকে উত্তর দেবার চেষ্টাকে স্বীকৃতি দিন। - নিঃসন্দেহে এটা একজন আদর্শ শিক্ষকের অপরিহার্য গুণ।
আমার প্রাক্তন পেশায় থাকাকালীন আমাকে মাঝে মাঝে কিছু ক্লাশ নিতে হতো, কোমলমতি ছাত্রদের নয়, পরিণত বয়সের খটমটে মানুষদের। ক্লাশ চলাকালীন তাদের একাগ্রতা দেখে মাঝে মাঝে মনে হতো, শিক্ষক হলেও হয়তো পারফর্ম্যান্সটা নেহায়েৎ মন্দ হতো না!!! :) :) :)
ভিডিও চিত্রটা দেখে পুনরায় ফিরে আসার ইচ্ছে রেখে গেলাম। তবে তার আগে একটা সুখপাঠ্য, উপভোগ্য এবং প্রয়োজনীয় পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতেই হয়, মাঈনউদ্দিন মইনুল!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... আপনার অভিজ্ঞতায় লেখাটিকে দেখেছেন বলে অতিরিক্ত কিছু পেলাম :)
অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন!

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুব সুন্দর চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী একটা পোস্ট! কিন্তু কথা হল, পোস্টটা কি ভাই কেবল যারা শিক্ষক তারাই পড়বে (?) নাকি আমরা আমজনতারাও একটু-আধটু পড়তে পারবো? তবে অনুমতির আগেই যখন পড়ে ফেলছি, তখন তো দু'পাঁচ কথা রাখতেই হয়! ;)

শিক্ষকদের ব্যাপারে আপনার লেখাটা পড়ে আমার নিজের কিছু স্মৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে! বিশেষ করে পরীক্ষা শেষে শিক্ষকরা যখন পরীক্ষার খাতা নিয়ে ক্লাসে ঢুকতেন, সেই সময় যেভাবে হাটু কাঁপা-কাঁপি শুরু হইয়া যাইতো; সেইটা কি কখনো ভোলা যায়? :(

বর্তমান সময়ের শিক্ষকরা তো অনেকটাই বন্ধুবাৎসল্য! তারা ছাত্রদের সাথে খুব সহজভাবে মিশতেও পারেন! কিন্তু আমার একজন শিক্ষক ছিলেন, ছাত্রদের ব্যাপারে যার কেবল একটাই কথা ছিল- 'নো কন্সিডার!' এখন বলেন, একে তো পিচ্চি তার উপরে যদি ক্লাসে এমন হুমকি-ধামকি শুরু হইয়া যায়; তখন লেখা-পড়ার ব্যাপারে কি আর কোন টান থাকে? :(

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সাহসী সন্তানকে অনেক ধন্যবাদ :)

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি শিক্ষক নই। তবে কথা গুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে ।+

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আরেহ... কবি যে!!! :)
ভালো আছেন নিশ্চয়?

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!

বুঝাই যায় তুমি একজন হাসিখুশী আদর্শ টিচার!!!!!!!!

আর তাই এত কিছু জানো আর জানালে!!! :)

আমিও কিন্তু হাসিখুশী টিচার একটুও ভয় দেখাই না বাচ্চাদেরকে।


অনেক অনেক সুন্দর একটা লেখা ভাইয়ামনি!!!!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাসিখুশী টিচারকে শ্রদ্ধাসহ ধন্যবাদ :)

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

সুমন কর বলেছেন: আরো একটি বিষয় যুক্ত করতে পারেন, শিক্ষার্থীদের বিষয় বা লেকচার সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে দিন। তাদের মনের অজানাগুলোকে জানাতে সাহায্য করুন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, প্রশ্ন যেন বিষয় ছাড়া না হয়। এতে ক্লাসের নির্ধারিত সময় নষ্ট হয়।

প্রতিটি কথার সাথে সহমত। পোস্টে +।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি শিক্ষক না, তাই মনে হয় বেচেই গেলাম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সাদামন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ :)

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কালীদাস বলেছেন: আমার স্টুডেন্ট তো সব কয়টা আধাবুড়া দামড়া, আমার জন্যও কি এগুলো প্রযোজ্য? ;) দামড়াদের মেইনটেইন করার ঝামেলা নেই। আপনার উল্লেখ করা পয়েন্টগুলো আমি কিভাবে সামাল দেই দেখেন (এই জিনিষ কলেজ বা স্কুল লেভেলে কোনভাবেই এপ্লিকেবল না, করলে সেটার জন্য আমি দায়ি না);

প্রথম ক্লাসে ভালভাবে বলে দেই, আমার টপিকটা খুবই পেইনফুল, সিলেবাস ডাইনোসরের পাছার চেয়ে বড়, সারা বছর না পড়ে পরীক্ষার আগের দিন নিয়ে বসলে রেজাল্ট সারা জীবনের সংগী হবে। (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি ৬০ভাগ স্টুডেন্ট কথাটা মনে রাখে)। পাগলাটে স্টুডেন্ট সামলানো সমস্যা না, আমি নিজেই কিঞ্চিৎ তারছিড়া টাইপের টিচার। জিনিষটা ইফেক্টিভ, রেসপন্স ভাল পাই, যেটা আমার খুবই দরকার, বেশিরভাগ কোর্সেই টপিকগুলো সিরিজ আকারে কানেক্টেড থাকে। নাম মনে রাখতে পারিনা সবার, এটা প্রথম ক্লাসেই স্বীকার করে অগ্রীম ক্ষমা চেয়ে রাখি। আর কোর্সের মাঝে ঈদ বা অন্য কোন বন্ধ আছে জানা থাকলে সব স্টুডেন্টকে উৎসাহিত করি অটো ভেকেশন নেয়ার জন্য :D পাবলিকের স্টুডেন্টদের কোয়ালিটি আগের চেয়ে ফল করলেও আমি যতদিন এক্টিভ টিচিং-এ ছিলাম, খুব খারাপ পাইনি দুয়েকটা ব্যাচ ছাড়া। যেহেতু আমার সাবজেক্ট প্রায় পুরোই ম্যাথমেটিকাল, কাজেই চেষ্টা করি ফর্মুলাগুলো ক্লাসের স্টুডেন্টদের দিয়ে ক্লাসেই ডেরাইভ করাতে। এটা আখেরে কাজে দেয়, স্টুডেন্টদের কনফিডেন্স লেভেল গ্রো আপেও কাজ করত জিনিষটা।

এই কাজগুলো করার আরেকটা বিশাল উপকার ছিল যেটা- আমি এক্সট্রা ক্লাস কখনও চাইলে স্টুডেন্টরা যেভাবেই হোক ম্যানেজ করে দিত :) ওরা লক্ষ্মী :>



পোস্ট সাবলীল, চমৎকার হয়েছে যথারীতি :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার মন্তব্য পড়ে কতক্ষণ হাসলাম। অবশ্য আপনার লেখা ও মন্তব্য দেখে আগেই ধারণা ছিল কাদেরকে আপনি পড়ান।

তবে আপনি যে এপরোচ অবলম্বন করছেন সেটা অসাধারণ। মূলত শিক্ষকই ট্রেন্ডসেটার, তিনিই নির্ধারণ করবেন স্ট্যান্ডার্ড - শিক্ষার্থীরা নন। আমার লেখার সারকথা সেটিই।

কালীদাসের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা....

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্লাসরুমকে শিক্ষকের আঁতুরঘরও বলা যায়, কারণ একমাত্র এখানেই তিনি নিজেকে ষোলকলায় প্রকাশ করতে পারেন। পাঠদান অথবা বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতার এই শিল্পকে তিনি এখানে চর্চা করতে পারেন। এখানে আছে নির্লোভ নির্মোহ শিক্ষার্থীরা, যারা তার পাঠদান শিল্পের বিচারক, মূল্যায়ক এবং ভোক্তা তো বটেই।

সব মিলিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক দের জন্য একটি চমৎকার পোস্ট।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইকে অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা :)

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: পোস্টটি প্রকৃতই ভাল হয়েছে। শিক্ষক হতে মন চাইছে। মনে হচ্ছে এই পোস্ট পড়ে এখন আমি খুব ভাল শিক্ষক হতে পারব।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অলওয়েজ ড্রিম... আপনার কথায় অামিও অনুপ্রাণিত হলাম!

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আজকাল মনে হয় গেস্ট স্পিকার হয়ে বিভিন্ন সেমিনারে যাচ্ছেন :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা! অনেক ধন্যবাদ.... এডওয়ার্ড মায়া!

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

সোহানী বলেছেন: সবার প্রথমেই দরকার কি জানেন মইনুল ভাই ? শিক্ষকদেরকে তাদের প্রাপ্য সন্মান দেয়া ও তাদের বেতন সর্বোচ্চ করা। যখন খাওয়া পড়ার চিন্তা থাকবে না তখনই তারা পারবে মনে প্রানে নিজেরা সৃজনশীল হতে ও ছাত্রদের সৃজনশীল বানাতে। মনোযোগ তারা কিভাবে শ্রেণী কক্ষে দিবে সারাক্ষনই তারা অভাবের সাথে যুদ্ধ করে।

তারপর দরকার সরকারী সম্পূর্ণ একই সিলেবাস। একই সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র তৈরী বন্ধ করা। কেউ বৃটেন সিলেবাস কেউ বাংলা বা কেউ মাদ্রাসা। যার দরুন চাকরীর বাজারে মারাত্বক বৈসম্য তৈরী হয়। আকাশ পাতাল ফারাক.....

তারপর দরকার সকল মুখস্থ বিদ্যার বই বন্ধ করা। আমার ছেলে বা মেয়েকে দেখিনি কোন কবিতা মুখস্ত করে পরীক্ষায় দশ লাইন লিখতে। তারা গান বা কবিতা পড়ে ক্লাসে তবে কবিতার মর্মার্থ বোঝার জন্য....... হাই থটের বিষ্লেষন। লজ্জালাগে যখন মনে পড়ে কবিতা বা রচনা মুখস্ত করেই জীবন পার করেছি। বাস্তবে কি কাজে লেগেছে?

আর এখানে গ্রেড ৬ এ আমার ছেলে রোবট বানায়..... ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার নিয়ে কাজ করে, পলিউশান নিয়ে চিন্তা করে, ওয়াটার কিভাবে সেইভ করবে তা নিয়ে দিনের পর দিন গভেষনা করতে........

দু:খ হয়... এরা সৃজনশীল হবেনাতো আমাদের ছেলেপেলেরা কবিতা বা রচনা মুখস্ত করে সৃজনশীল হবে। শুধু শিক্ষকদেরকে দিকে তাকালেই চলবেনা অনেক কিছুর দিকেই তাকাতে হবে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

যথারীতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য দিয়েছেন... সোহানী!
আমার লেখার বিষয় এটি না হলেও প্রতিটি লাইনে আমি একমত। শিক্ষা খাতে এদেশের বাজেট সবচেয়ে নিচে। এজন্য এটি হয়েছে দুর্নীতির আখড়া।

আমাদের কর্তা ব্যক্তিদেরকে ওসব স্কুলে পড়িয়ে নিয়ে আসলে ভালো হতো। :(

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন :)

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। কিছু পয়েন্ট অ্যাড করতে পারতাম, কিন্তু হাতে সময় নেই।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কৌতূহলী মন ভাবছে কী কী পয়েন্ট সোনাবীজ ভাই অ্যাড করতে পারতেন?... কেন সময় হলো না তার? ইত্যাদি ইত্যাদি... ;)


ধন্যবাদ... প্রিয় ব্লগার :)

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নির্ধারিত সময় শেষ হবার পূর্বে প্রস্তুত/সতর্ক করুন, জানিয়ে দিন। তবে একটু নরম করে। “বাচ্চারা তোমাদের আর মাত্র ৫মিনিট সময় আছে! গো ফাস্ট!” সবসময় এরকম কঠোর না হলে ভালো। একটু কৌশল করে বলতে পারেন, “বাচ্চারা, তোমরা যদি এখনও শেষ না করতে পারো, ঠিক আছে। চালিয়ে যাও। আর ৫মিনিট পর দিলেই হবে।” আমার বাচ্চাগুলো বিগ সাইজ, ভর্তির যোগ্যতা ন্যুনতম এইচ,এস,সি। স্নাতক উত্তর থাকে অনেকেই। অনেকেই থাকে বাচ্চা-কাচ্চার মা। এ ক্ষেত্রে বাচ্চারা বল্লে কেমন হয়? তবে আপনার পোষ্ট পড়ে মন কানায় কানায় ভরে গেল। টইটুম্বর বলতে পারেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


হাহাহা... অনেক মজা পেলাম। ওটা তো কেবলই দৃষ্টান্ত। তাছাড়া শিক্ষার্থী আর সন্তান তো একই - সন্তানেরা যেমন চিরদিনই বাচ্চা থাকে শিক্ষার্থীদেরকেও সেরূপ ভাবতে ক্ষতি কী!

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ :)

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখাটা আমি পড়িনি কেন? কিছু শিখতে হলে তো মইনুল ভাইয়ের পোস্ট পড়তে হয়। নিশ্চয় আমি পোস্টটি প্রকাশের সময় অনলাইনে ছিলাম না। আমার স্বভাব হলো মাঝে মাঝে অনলাইন থেকে হুট হাট গায়েব হয়ে যাওয়া।

যাই হোক, লা-জবাব পোস্ট। তবে সাদা মনের মতো আমিও বেঁচে গেলাম শিক্ষক না হওয়ার কারণে। হাঃ হাঃ হাঃ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... আবুহেনা ভাই!!!
লেখতে লেখতে একটি ব্লগ পোস্ট হয়ে গেলো... অতএব এটি লেখা হিসেবে এটি কারও দৃষ্টিতে পড়ার যোগ্যতা রাখে না...

তারপরও আন্তরিক প্রশংসায় কৃতজ্ঞ হলাম, জনাব :)

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অতএব এটি লেখা হিসেবে এটি কারও দৃষ্টিতে পড়ার যোগ্যতা রাখে না...


বিনয় ভালো, তবে অতি বিনয় ভালো না। এই পোস্টের উপর লেখা চোরদের নজর পড়ে নাই, এ জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন মইনুল ভাই।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... কি যে বলেন, আবুহেনা ভাই! আমার লেখা কেবলই একেকটি ব্লগ পোস্ট...

ভালো থাকবেন, প্রিয় গল্পকার :)

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার শিক্ষণীয় পোষ্ট !

আমি টিচিং এন্ড লাইনিং নামক একটা কোর্স করছিলাম এখানে, শিখানোর ৪টা প্রকার এবং কিভাবে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসে একটিভ করা যায় ক্লাসে সেই বিষয়ে টানা ৫ দিনের কোর্সটা ( সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ) । টিচিং এর যে এতগুলো পদ্ধতি আছে জানা ছিল না । এই কোর্স সব পি এইচ ডি শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক এখানে !

এমনকি সব প্রফেসরদেরও প্রতি বছরে একবার এই কোর্সটা করতে হবে , মাফ নাই ! এতেই বুঝা যায় এরা শিক্ষকতাকে কিভাবে নেয় !

বরাবরের মতই অসাধারণ বিষয় এবং বিশ্লেষণ মূলক পোষ্ট লিখেছেন ।

পোষ্টে প্লাস

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কাছের-মানুষ! :)

শিক্ষকতাকে ভালোভাবে নেবার মতো পরিবেশ এদেশে নেই। দেশের কর্তৃপক্ষেরও দায় আছে।

আপনার শিক্ষা/কর্মজীবনের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি...

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি শিক্ষকতা করেছেন?

আমাদের ৮০% শিক্ষক শিক্ষকতার জন্য অনুপযুক্ত

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ। আমি শিক্ষকতা করছি না।

আপনার মনোভাবটিতে আমার সহমর্মীতা আছে। তবে আশি শতাংশ শিক্ষক শিক্ষকতার জন্য অনুপযুক্ত - এভাবে ঢালাওভাবে বলা যায় না। নম্বর উল্লেখ করলে তার ভিত্তি থাকতে হয়।

এখানে শিক্ষকের দায় যতটুকু রাষ্ট্রসহ কর্তৃপক্ষের দায় আরও বেশি। শিক্ষায় নেই বাজেট, শিক্ষকদের জন্য নেই কোন প্রণোদনা। আছে জোর করে পরীক্ষায় পাশ করানোর চাপ। দুর্নীতি এখানে যোগ্যতার মাপকাঠি। শিক্ষক কীভাবে একা উপযুক্ত হয়ে ওঠবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.