নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইনের চেয়ে মানবাধিকার বড়।

আমি আইনের কথা ই শুধু বলবো।

বাংগাল গাজী

বাংগাল গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুব সাধারন ভুল ২) কাবিনের টাকার অধিকার ?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২৬

আমাদের মাঝের অনেকের খুব সাধারন ধারনা যে কাবিনের টাকা দিলে ও চলে না দিলে ও কিছু যায় আসেনা। অনেকে ভাবেন বিয়েতে কাবিনের টাকা না দিলেও কিছু যায় আসে না।



আমাদের অনেক মা-বোনের ও ধারনা যে কাবিনের টাকা তার অধিকার এ নেই। এমনকি অনেকে কাবিন কি তাও জানেনা।



কাবিনের টাকা প্রধান বা ধার্জ করা হচ্ছে প্রতিটা মুসলিম বিয়ের প্রধান উপাধানের একটি। এটা ছাড়া বিয়ে হয় না। এই কাবিনে বর কনেকে বিয়ে করার জন্য তার যোগ্যতা অনুযায়ী একটা পরিমান টাকা প্রধান করতে বাধ্য শারিয়াত মতে। সকলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই এই টাঁকার পরিমান সর্বনিন্ম ২৫,০০০ টাকা।



যদি স্বামী বিয়ের সময় সম্পূর্ণ টাঁকা প্রধান না করে তবে জীবনের যে কোন সময় এই টাকা পাওয়ার দাবিদার।

এমন কি যদি স্ত্রীও যদি স্বামী কে তালাক ও দেয় তবু এই টাকা পাওয়া তার আইনগত অধিকার। স্বামী যে কোন এই টাকা দিতে আইনগত বাধ্য।:)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৪৬

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: ভালো। কিন্তু এই টাকার পরিমাণ সর্বনিম্ন ২৫০০০/= তা কিভাবে নির্ণয় করলেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:০৯

বাংগাল গাজী বলেছেন: এটা বাংলাদেশের আইন, যা muslim family law অনুযায়ী কার্যকর। বিস্তারিত জানতে চাইলে জানাবো ইনশাআল্লাহ।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

মো: আসাদুজ্জামান মিলন বলেছেন: মেয়ে পক্ষ যদি নিজ ইচ্ছায় তালাক দেয় তবে কাবিন এর টাকা পেতে পারে কি না?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:০৫

বাংগাল গাজী বলেছেন: মোঃ আসাদুজ্জামান মিলন ভাই @ বেপার হচ্ছে টাকা আপনার স্ত্রীর পাওনা একটা বেপার, আপনি তাকে তালাক দেন অথবা তিনি, টাকা দিতে ই হবে, যদি না স্ত্রী ক্ষমা না করে দেন। মজার বেপার হচ্ছে, আপনি মারা গেলে ও উনি এই টাকার দাবীদার। আপানার মারা যাবার পড়ে স্ত্রী আপনার সম্পত্তি থেকে টাকা তা বুঝে নিবেন।

কিছু মনে করবেন না আপনাকে দিয়ে উদাহরন দিলাম বলে।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৯

ক্ষ্যাপা বালক বলেছেন: ভাই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

তবে এই পোস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা উল্লেখ করা হয়নি তা হল:
ইসলামী আইনানুযায়ী বিবাহের পর পরই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে হয়।

যতক্ষণ পর্যন্ত দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, এমনকি স্ত্রীর হাতে একগ্লাস পানি পর্যন্ত হারাম।তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় মাফ করে দেন তাহলে কোন সমস্যা নেই (এক্ষেত্রে কোন কৌশল অবলম্বন বা স্ত্রীকে বাধ্য করা যাবে না)

সুতরাং অস্বাভাবিক পরিমান দেনমোহর ধার্য করা থেকে বিরত থাকুন এবং বিবাহের সাথে সাথে দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করুন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১৪

বাংগাল গাজী বলেছেন: ভাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। কিন্তু বাংলাদেশ এ আমরা হানাফি স্কুল টা ই অনুসরণ করি, যার দরুন অনেক ক্ষেত্রে আমরা তৎক্ষণাৎ যে কাবিন নামার টাকা পরিশোধ করার যে বেপারে তাতে মনোযোগী নই। কিন্তু ফতোয়া দিয়ে দেই অন্যান্য বিষয়ে। আমি ফতোয়ার বিরোধী এই কারনে নই যে এটা ইসলামের অনিবার্য ভাবে নিরধারিত একটি বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের আইন এ একটি অপরাধ।

আপনার সাথে গলা মিলিয়ে বলতে চাই নিকাহের কাবিনের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের ইসলামের আইন মেনে চলতেই হবে।
সময় করে এই বিষয়ে লেখব একদিন ইনশাআল্লাহ।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫২

কাজিম কামাল বলেছেন: মুল্যবান পোস্ট

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭

ভুলো মন বলেছেন: মোহরানার টাকা পৃথিবীর কেউই মাফ করে দিতে পারবেনা। সাধারণতঃ বলা হয়ে থাকে যে, বিয়ের রাতে স্ত্রী দেনমোহর মাফ করে দিতে পারেন বা মাফ করে দেন। এই মাফের আইনগত/শরীয়তগত কোনই ভিত্তি নাই। এই মাফে কিছুই যায়-আসেনা। স্ত্রী অবশ্য অবশ্য এবং অবশ্যই জীবনের যেকোন সময় (দাম্পত্যকালীন সময়, তালাকের পরে অথবা স্বামীর মৃত্যুর পরে) দেনমোহরের টাকা দাবী করতে পারবেন এবং শরীয়ত মোতাবেক তিনি অবশ্যই এর হকদার। জেনে রাখেন, স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধপূর্বকই শুধুমাত্র অবশিষ্ট সম্পত্তি শরীকদের মধ্যে বণ্টিত হয়।
সুতরাং, বিবাহিত এবং অবিবাহিত (যারা ভবিষ্যতে বিবাহ করবেন) সকলেই দেনমোহরের টাকা সংগ্রহ করে রাখবেন আশাকরি।

১৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪০

বাংগাল গাজী বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত নেই। কিন্তু যদি আপনি জীবদ্দশায় কাউকে কিছুর দায় থেকে ক্ষমা করে দেন, তবে কি আইন আপনাকে সেই ক্ষমা করা থেকে বিরত রাখতে পারে???

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩০

ভুলো মন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত নেই। কিন্তু যদি আপনি জীবদ্দশায় কাউকে কিছুর দায় থেকে ক্ষমা করে দেন, তবে কি আইন আপনাকে সেই ক্ষমা করা থেকে বিরত রাখতে পারে???

আপনার কথা অনুযায়ী ধরে নিলাম স্ত্রী তার স্বামীকে দেনমোহরের টাকা ক্ষমা করে দিলেন। আইন সেই স্বামী/স্ত্রীকে কিছুই বলবেনা। পরবর্তীকালে স্ত্রী যদি পারিপাশ্বিকতা বা পরিস্থিতি বা বাবা-মা-আত্মীয়-স্বজনের চাপে পড়ে দেনমোহরের দাবী করে বসে, তাহলে স্বামী স্বাক্ষী-প্রমাণ, আইন কোন কিছুর সাহায্যে দেনমোহর থেকে রক্ষা পেতে পারবেনা।
স্ত্রী যদি কক্ষণো, কোনদিন (স্বামীর মৃত্যুর পূর্বেই হোক বা পরেই হোক) দেনমোহর দাবী না করে, তাহলেই শুধুমাত্র স্বামী রেহাই পেতে পারবেন। এটা কি একটা অনিশ্চয়তা নয়? কারণ, তালাক বা সম্পত্তির শরিকানার ক্ষেত্রে সেই স্ত্রী বা বিধবার নিকট আত্মীয়রা (বাবা-মা, ভাই-বোন) জোরপূর্বক সম্মতি আদায় করে আইনের আশ্রয় নিলে তো দেনমোহর না দিয়ে পার পাবেননা!!

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৯

বাংগাল গাজী বলেছেন: আপনার কথা এই বার ও ঠিক আছে। কিন্তু আপনি ক্ষমা করার ব্যাপারে সাক্ষী কেন নিবেন না এইটাই আমার বুঝে আসে না!!! সব রকম কাজে সাক্ষী রাখার বিধান শরিয়াত সম্মত।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪০

রাইসুল জুহালা বলেছেন: সকলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই এই টাঁকার পরিমান সর্বনিন্ম ২৫,০০০ টাকা।

এটা কিভাবে নির্ধারন করা হয়? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই। ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১০

বাংগাল গাজী বলেছেন: রেজিস্ট্রেশান আইন অনুযায়ী আপনাকে বিবাহ নিবন্ধন করতে হলে তা কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকার পরিমানের হইতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.