নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Sometimes the strength of motherhood is greater than natural laws.”

মেহেরুন

"কষ্ট সহজ, বুকের ভেতর কষ্ট পোষা, সহজ না ... স্পর্শ সহজ, হৃদয় দিয়ে হৃদয় ছোঁয়া, সহজ না ... দুঃখ সহজ, হত্যা সহজ, জীবন সহজ ... শুদ্ধতম জীবনযাপন, সহজ না ..."

মেহেরুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ল্যান্ড ফোনের দিনগুলো

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯


রাত বাজে দুইটা। চোখে নাই ঘুম। মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে পুরনো দিনের সব খুচরো স্মৃতি। আহ!! কি মধুর সেই দিনগুলো।
আমার জন্ম আশির দশকে হলেও বেড়ে উঠেছি নব্বই দশক জুড়ে। সেই সময়টাতে ল্যান্ড ফোন কারো বাসায় থাকাটা একটা বিশাল ব্যাপার ছিলো। সেই আমলে প্রথম দিকে ছিলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডায়াল করার ফোন। শতবার ডায়াল করেও আমরা ক্লান্ত হতাম না। তখন বাসায় ফোনের লাইন আনাও ছিলো এলাহি কারবার। হুট করেই ফোন আনা যেত না। সে সময়গুলোতে ক্রস কানেকশন, রং নাম্বার এগুলো ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। কত মানুষের যে এই রং নাম্বারে প্রেম হয়ে যেতো তখন। আবার অনেকে তো প্রেম করতে গিয়ে ধরা পরলে রং নাম্বার এ চলে যেতো।

সেই সময়গুলোতে প্রতিদিন নিয়ম করে লোডশেডিং চলতো। এখনকার বাচ্চাদের কাছে লোডশেডিং খুব একটা পরিচিত না। তখন তো নিয়ম মাফিক লোডশেডিং চলতো এবং ওই সময়টা গল্প আর আড্ডাতেই চলে যেতো। আইপিএস আাসার আগে তো মোমবাতি জ্বালিয়ে হাতে হাত পাখা ঘুরাইত ঘুরাইতে কব্জি ব্যাথা হয়ে যেতো।

সেই দিনগুলোতে টিভি দেখাটা একটা উৎসব এর মতন ছিলো। একটা মাত্র বিটিভি ছিলো বাংলা চ্যানেল। প্রতিটা অনুষ্ঠান তো ছিলোই সাথে কুরআন তেলাওয়াত, বাইবেল, গীতা ও ত্রিপিটক এর জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক পর্যন্ত সবার মুখস্থ ছিলো। বিজ্ঞাপনের প্রতিও ভালোবাসা ছিলো অগাধ। নাটকের চরিত্রগুলোও ছিলো বড্ড বেশি আপন। মিস্টার বিনের গাড়ি ভেঙে গেলে নিজের চোখে পানি আসতো। আলিফ লায়লার জন্য কতযে অপেক্ষা ছিলো। রবিনহুড, সিন্দাবাদের জন্য মন কেমন করতো।

সেই সময়গুলোতে মোবাইল ফোন তো ছিলোনা। তাই অবসর কাটাবার সঙ্গী ছিলো বই। সেই যে চাচা চৌধুরী, বিল্লু,পিংকি, নন্টে-ফন্টে, ফ্যান্টম,টিনটিনের কমিকস গুলোর প্রতি ভালোবাসা, তা তো এখন লাখ টাকায়ও পাইনা। একটু বড় হবার পর হুমায়ুন আহমেদের বাচ্চাদের বই, জাফর ইকবাল এর বই, তিন গোয়েন্দাদের সাথে কত যে স্মৃতি তা কি বলে শেষ করা যাবে। আহারে কি আনন্দ ছিলো!!

সেই সময়গুলোতে মানুষের প্রতি মানুষের মায়া ছিলো, শ্রদ্ধা ছিলো। শুধু মানুষ না, সব কিছুর মাঝে মায়া ছিলো। হয়তো তখন আমাদের কাছে বেছে নেবার অপশন কম ছিলো। তাই যেটুকু পেতাম সেটাতে মন প্রাণ ঢেলে দিতাম। অন্তর দিয়ে উপভোগ করতাম। সব কিছুর হাজারো অপশন। তাই হয়তো মায়া জন্মাবার আগেই আমরা নতুন কিছু খুঁজে নেই। তাই আমার ল্যান্ড ফোনের দিনগুলোর জন্য এখনো অনেক মায়া লাগে। কত সুন্দর ছিলো সেই দিনগুলো।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

আকন বিডি বলেছেন: স্মৃতি বড় অদ্ভুত! কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়, কখনো রোমন্থন এ অদ্ভুত আবেশে জড়িয়ে হাহাকার জাগায়।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৭

মেহেরুন বলেছেন: স্মৃতি আছে বলেই তো বেঁচে থাকাটা সহজ লাগে

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

অধীতি বলেছেন: ল্যান্ডফোনের সেই দিনগুলোতে নাটকটা সুন্দর। একই বাসায় দুটো ফোন থাকলে আঁড়ি পাতা যেত কিন্তু ভুলে রেখে দিলেই লাইন কেটে যেত।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৭

মেহেরুন বলেছেন: নাটকটা এখনো দেখা হয়নি।দেখতে হবে

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

স্থিতধী বলেছেন: অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। ক্রস কানেকশন নিয়ে অনেক বিরক্তিকর আবার মজার মজার ঘটনাও ঘটতো সেসময়। ছোট থাকতে একবার ক্রস কানেকশনে এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির গোপন শলা পরামর্শ চুপচাপ শুনে ফেলে কিছুক্ষণ পর তাঁদেরকে আওয়াজ করে ভড়কে দিয়েছিলাম, তাঁরা ধরেই নিয়েছিলো যে বাসার বড় কেউ বোধ হয় তাদের সব পরিকল্পনা শুনে ফেলেছে! লোড শেডিঙের সময়ের আড্ডায় আলাদা এক আমেজ থাকতো। ভালোই ছিলো নব্বুই দশকের সে দিনগুলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৮

মেহেরুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি সুন্দর একটা লেখা!

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৮

মেহেরুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ল্যান্ড ফোন আমার কাছে বড় মজার একটা বিষয় ছিলো। কাউকে ফোন করার মতো কোনো নম্বর ছিলো না। তাই আমি এলোমেলো ভাবে নাম্বার টিপে কথা বলতাম। খুব ভালো লাগতো।

এখনও বাসায় ল্যান্ড ফোন আছে। মনে হয় না গত দুই বছরে ল্যান্ড ফোণ ছুঁয়ে দেখেছি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

মেহেরুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। এই কাজটা অনেক করেছি। অপরিচিত নাম্বারে কল করে করে উল্টাপাল্টা একটা নাম বলে রেখে দিতাম

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ইদানীং আপনাকে খুব কম দেখা যায়; কেন?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

মেহেরুন বলেছেন: কাজের চাপে সময় পাইনা ভাই। ইচ্ছা তো করে অনেক।কিন্তু নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন। ভালো থাকবেন

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তখন মানুষের জন্য ছিল মানুষ এখন যন্ত্রের জন্য মানুষ, যন্ত্র মানুষ!

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

মেহেরুন বলেছেন: সহমত

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ল্যান্ড ফোন < আহা কি যে মজার ছিলো,
ফোন করে যেকোনো বাটন এ টিপ দেওয়া (বিপ শব্দ- মানে- আমি কল দিছি)
ও পাশ থেকে বিপ - মানে আমি ফোন ধরছি (গার্ল ফ্রেন্ড)

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

মেহেরুন বলেছেন: আসলেই সেগুলো অনেক মধুর ছিলো

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে মনে হলো পুরোনো দিনে ফিরে গিয়েছি। কি যে মধুর ছিলো দিনগুলো! আমিও আশির দশকের প্রথমার্ধে জন্মেছি, খুব সম্ভবত সে জন্যেই আপনার কথাগুলোর সাথে অনেক কিছু আমি মেলাতে পারছি। স্মৃতির রোমন্থন করতে গেলে হয়তো আপনার লিখার চেয়েও বড় মন্তব্য হয়ে যাবে। অসাধারণ একটা শৈশব কেটেছে আমাদের যা আগামী প্রজন্ম আর কখনোই সেটা অনুভব করতে পারবে না। ধীরে ধীরে আমাদের এই প্রজন্মটা চলে গেলে সেই দিনগুলো মনে করারও আর কেউ থাকবে। লিখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মেহেরুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আর এ দিকে ল্যান্ড ফোনের ছোয়া না পাওয়া আমি। আমি পেয়েছি স্মার্ট ফোন। রং নম্বারে আমি অনেক মানুষ কে জ্বালিয়েছি। এমন ভাবে কথা বলতাম যেন আমি তাহার পরিচিত। ভালো লাগা রইলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

মেহেরুন বলেছেন: স্মার্ট ফোনে রং নাম্বারে জ্বালাতে মজা আছে নাকি!!!

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। এই কাজটা অনেক করেছি। অপরিচিত নাম্বারে কল করে করে উল্টাপাল্টা একটা নাম বলে রেখে দিতাম


আমি রেখে দিতাম না। অনেকক্ষন কথা বলতাম।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মেহেরুন বলেছেন:

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা খুব পছন্দ হয়েছে। অনেক পুরাতন দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

মেহেরুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় তখন কিভাবে মোবাইল ফোন ছাড়া থাকতাম। ঢাকা থেকে অন্য জেলায় কয়েক দিনের জন্য গেলে বাসার লোক নিশ্চিত হতে পারতো না ভালোভাবে পৌঁছেছি কি না। টেলিফোন এক্সচেঞ্জে ফোন করে বিদেশে কল বুক করতে হতো। ওরা লাইন লাগিয়ে দিয়ে আবার কল করে বলতো কথা বলেন। তখন একটাই চ্যানেল ছিল তাই মানুষ অনুষ্ঠানগুলি মনোযোগ দিয়ে দেখত। এখন এত চ্যানেল কিন্তু কোনটাই মানুষ ভালো করে দেখে না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

মেহেরুন বলেছেন: অপশন যত বেশি আগ্রহ ততই কম

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়....

আহা নষ্টালজিক করা স্মৃতি

তাইতো ভাল লাগে সেই গজল
ইয়ে দৌলত ভি লেলো, ইয়ে সোহরত ভি লেলো
ভালে ছিনলো মুজছে মেরে জাওয়ানী
মাগার মুজকো লটাদো বাচপান কা শ্রাবন
ও কাগজকি কাস্তি ও বারিষ কা পানি. . . . .

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

মেহেরুন বলেছেন: কি সুন্দর মন্তব্য!!

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
নস্টালজিক লেখা , অনেক ভালো লাগলো পড়ে ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

মেহেরুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬

জুন বলেছেন: কালো রঙের মনে হয় লোহা দিয়ে তৈরি একটা ফোন। ছোট হাতে তুলতেই জান বের হয়ে যেত :)
আমার মনে পড়ে আমার কাজিন তখন ঢাবিতে ইংরেজিতে অনার্সের সাথে সাথে ফরাসী ভাষা শিখতো আলিয়াস ফ্রাসে। তার ফরাসী ভাষা চর্চার টার্গেট ছিল রঙ নম্বরে আসা কল B-)
পোস্টে প্লাস রইলো। অনেক দিন পরে আসলেন মনে হলো।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

মেহেরুন বলেছেন: জি আপু। এখন তো ব্লগে খুব একটা আসতে পারিনা। তারপরও যখনই সময় পাই ঢু মেরে যাই। এই ব্লগ আমাকে শান্তি দেয়। আমি ফেসবুকে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনা কেন যেন। কিন্তু ব্লগে যে কোন কিছু লিখতে খুব ভালো লাগে। ভালো থাকবেন আপু

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৩২

রাইসুল সাগর বলেছেন: সময় বদলায়। অদল বদল চিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.