![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র - সুনির্মল বসু
স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখতে যাওয়ার ফেরি বন্ধ। লিঙ্কনের মূর্তি দেখানোর সরকারি গাইড গরহাজির। নাসায় ছুটিতে। ১৪০টি ন্যাশনাল পার্কের মতো বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানে তালা। দরজা বন্ধ বিভিন্ন সরকারি দফতরে। অবেতন ছুটি ১০ লক্ষ কর্মীর।
অবশেষে সমঝোতাসূত্র খুঁজে পেয়েছে আমেরিকার দুই দল—ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা।লাগাতার আলোচনা আর চূড়ান্ত দর কষাকষির পর কাজ চালানোর মতো ঐকমত্যের সন্ধান পয়েছে তারা। যার সুবাদে শেষ পর্যন্ত কাজে ফিরতে চলেছে দেয়ালে পীঠ ঠেকে দাঁড়ানো আমেরিকা। সময়সীমা পেরোনোর আগে পেতে যাচ্ছে নতুন করে ধার করার ‘অনুমোদন’ও। যা না-পেলে বৃহস্পতিবার থেকে অনেক খরচই চালাতে পারত না ওবামার দেশ। মেটাতে পারত না পুরনো ধারও। সে ক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথম বার সময়মতো বকেয়া না-মেটানোর ‘লজ্জা’য় পড়ত তারা। পৃথিবী জুড়ে ফের তৈরি হত মন্দার সম্ভাবনা।
আপাতত উদ্বেগের অবসান। অন্তত এখনকার মতো দমবন্ধ উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের তিক্ত লড়াইয়ের জেরে সেখানে নতুন আর্থিক বছর শুরুর আগে (১ অক্টোবর) বাজেট পাশ করা যায়নি। তাই মার্কিন প্রশাসনে তালা পড়েছে সে দিন থেকে। গত দু’সপ্তাহে বহু আলোচনাতেও তা খোলেনি। কিন্তু তামাম দুনিয়ার কাছে তার থেকেও বড় চিন্তার কারণ হয়েছিল ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো। যা না-বাড়লে, পুরনো ধার মেটানোও সমস্যা হত আমেরিকার পক্ষে। পঙ্গু হয়ে পড়ত অর্থনীতি।
এই পরিস্থিতি এড়াতে পেরে তাই স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তির শ্বাস মার্কিন মুলুকে। বলা ভাল, চীন,ভারত-সহ সারা পৃথিবীতেই।
তখন তোড়জোড়। সমাধান খুঁজতে রাতভর বৈঠকের প্রস্তুতি
এমাসের গোড়ার দিকে অনেকেই মনে করেছিলেন, এই রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি বেশি দিন চলবে না। আপোসে আসবেই দুই দল। কিন্তু তার বদলে গত দু’সপ্তাহ নাটকীয় স্নায়ুর লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে সারা দুনিয়া। বহু বার মনে হয়েছে, এই বুঝি সমস্যা মিটল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঠিক ভেস্তে গিয়েছে সেই সম্ভাবনা। কারণ, নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও পিছু হঠতে রাজি হয়নি কোনও পক্ষ। তাই এ ভাবে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর সময়সীমা (১৭ অক্টোবর) যত এগিয়ে এসেছে, তত গাঢ় হয়েছে আতঙ্ক। ফের এক বার মন্দার অশনি সংকেত দেখতে শুরু করেছে মানুষ। শেষে সে আশঙ্কায় দাঁড়ি টেনে বুধবার দু’দলের প্রতিনিধি জানান, শেষ পর্যন্ত রফাসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
এর পর এ দিনই তড়িঘড়ি এই নয়া বিল পাশ করাতে হবে মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সেনেটে। তার পর তাতে সই করবেন ওবামা। এবং এই সব কিছুই হবে ১৭ তারিখের সময় পেরোনোর আগে। তবে আগামী বছরের গোড়ায় ফের বাজেট নিয়ে কথা হবে। ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর জন্যও ফেব্রুয়ারিতে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে ওবামাকে।গত ১৭ বছরে এই প্রথম। বিল ক্লিন্টনের পর ফের বারাক ওবামার জমানায়।
উল্লেখ্য, মার্কিন সরকারের আর্থিক বছর শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু তার আগে মূলত ওবামা-কেয়ার (কম খরচে প্রায় সবার জন্য চিকিৎসা বিমা) নিয়ে দুই দলের মতানৈক্যে বাজেট পাশ না-হওয়ায় দু’সপ্তাহ আমেরিকায় বন্ধ অনেক প্রশাসনিক কাজকর্ম।
তার উপর ১৭ অক্টোবরের মধ্যে পাশ করতেই হত ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব। বর্তমানে ১৬.৭ লক্ষ কোটি ডলার পর্যন্ত ধার করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু যা পরিস্থিতি, তাতে এ মাসে তা ফের না-বাড়ালে, অনেক খরচই চালাতে পারত না ওবামার দেশ। মেটাতে পারত না পুরনো ধারও। আতঙ্ক তৈরি হত পৃথিবী জুড়ে।
এই কারণেই এই ক’দিন একরাশ উদ্বেগ নিয়ে হোয়াইট হাউস আর মার্কিন কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে থেকেছে আমেরিকা। ক্ষোভে ফুঁসেছেন সেখানকার মানুষ। সবে মন্দা থেকে মাথা তুলতে শুরু করা মার্কিন অর্থনীতিকে নিয়ে এমন ‘ছিনিমিনি খেলা’য় তাঁরা বিরক্ত। আর এই রাগ যে আগামী দিনে ভোট-বাক্সে পড়তে পারে, তা বিলক্ষণ আঁচ করতে পারছিলেন রিপাবলিকানরা। কারণ, বেশিরভাগ মার্কিনই মনে করছিলেন, দেশের অর্থনীতিকে কার্যত পণবন্দি করছেন তাঁরা। যে কারণে এ দিন দু’পক্ষই সমঝোতা করেছে ঠিকই। কিন্তু সম্ভবত একটু বেশি পিছু হাঁটতে হয়েছে রিপাবলিকানদেরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাটরা সম্ভবত ওবামা-কেয়ার পাচ্ছেন। বদলে দীর্ঘ মেয়াদে বিপুল খরচ ছাঁটাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে তাদের।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
রেজা রাজকুমার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়ার জন্য ভাই।
আসলে দুনিয়া জুড়ে মানুষ যত না বিরক্ত আমেরিকার সরকারের কর্মকান্ডের উপরে, তারচেয়ে বড্ড বেশী বিরক্ত এখানকার জনগন তাদের দেশের রাজ্নীতিবিদ দের উপর। গত সপ্তাহ দুই ধরে আমি অনেক সরকারী লোকের সংগে কথা বলে দেখেছি,
আর আমরা খেলতে দেবোনা আমাদের ভাগ্য নিয়ে আমাদের রাজ্নীতিবিদদের" - এমন ভাষা ছিলো তাদের।
আর স্থানীয় সরকারগুলো অনেকটাই হতাশাগ্রস্ত ফেডারেল সরকারের কীর্তি নিয়ে।
ও ইয়েস, প্লাস দেবার জন্য আবারো ধন্যবাদ। শুভ কামনা র'লো।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
পুকুরপাড় বলেছেন: কোন লাভ নাই ।
কাগজে কলমে ঠেকাইলে তো হইবেনা । টাকা তো থাকা লাগবে। এদের টাকা কই ? কে দিবে ? যত ঋন এদের আছে তা শোধ করতে পুরা আমেরিকা বিক্রি করলেও হইবেনা।
ইহা মানুষকে বোকা বানানোর ধান্দা ।
এরা ফকির হয়ে গেছে । আর ফকিরের ঠেকাইলেও কি না ঠেকাইলেও কি ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
রেজা রাজকুমার বলেছেন: ভাই অন্তত অচলাবস্থা তো কাট্লো।
আমাদের দেশে হরতাল দেখেছি আবং আমরা ঐটা দেখে বিরক্ত।
বিশ্বাস করেন গত পনর দিন ধরে সব গুলা সরকারী প্রতিষ্ঠান একরকম হরতাল চালাচ্ছিল। ফেডারেল সরকারের সংে সম্পর্কিত সব প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র জরুরী বিভাগ ছাড়া।
আমার জানা মতে বিশ্বের নানা দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ভিসা সেবাও হেল্ডা আপ ছিলো।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
তারিন রহমান বলেছেন: আমেরিকার ্অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সাময়িক সমাধান কোন সমাধান নয়।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
রেজা রাজকুমার বলেছেন: আপাতত সাময়িক অবস্থাতেই এখানকার নাগরিকরা খুশি। তবে এটা ওবামা সরকার কোন দিকে যায় তা দেখ্তে হলে আগামী জানুয়ারীর ৩য় সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
Birds Lover বলেছেন: তারিন রহমান বলেছেন: আমেরিকার ্অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সাময়িক সমাধান কোন সমাধান নয়।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
রেজা রাজকুমার বলেছেন: খালি তারিনের কথাই কইবেন, আপনার কথা কইবেন না ?
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পৃথিবীকে পুরোপুরি আমেরিকার উপর নির্ভশিল অর্থনিতি কমাতি হবে। এখন যদি আমেরিকা একটা সমস্যায় পরে তবে কি পুরো বিশ্ব তার জন্য সাফার করবে। তাই চিন, রাশিয় সহ অন্য পরাশক্তিগুলোর উচিত আমেরিকার উপর অর্থনৈতিক নির্ভরাত কমানো।
আর একটা ব্যপার হল সিরিয়ায় যুদ্ধটা করতে পারলে তাদের এই সমস্যায় পরতে হত না। কারন অস্ত্র বিক্রির উপর তাদের একটা বিশাল আর্থিক সুবিধা জরিত। এছারা সিরিয়ার তেল এবং অন্যান্য সম্পদ লুটার একটা হিসাব তাদের ছিল। সেটা হতে না পারার কারনে তাদের সকল হিসাবনিকাশ এখন উল্টা দিকে দৌর দিছে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
রেজা রাজকুমার বলেছেন: এতোক্ষনে একটা আসল কথা শুনলাম।
আসল কথা হলো সিরিয়ার সংগে যুদ্ধ না লাগাইতে পাইরা আমেরিকার ব্যবসাটা হাত ছাড়া হৈয়া গেলো; এই জন্যই এত্তো নাটক ।
অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে আসার জন্য।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: এই অচলবস্থা নিয়া আমাদের দেশের বা সংবাদমাধ্যমগুলোর যতোটা উৎসাহ.........যতো বাঙ্গালী এই শাটডাউনের খবর নিয়া চিন্তা করে বা খুশিতে লাফায়........তার ১০% পরিমানের আম্রিকার নাগরিকরা এর খবর রাখেনা বা রাখার প্রয়োজন মনে করেনা........। এটা শুধু মাত্র রিপাবলিকান-ডোমোক্রাটদের যুদ্ধ।
বাংলাদেশে ফকরুদ্দিন-মঈন আমলে ব্যাবসায়ীরা যেভাবে চক্রান্ত করে মজুদ করে আর তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেশের অর্থনীতির ১৪টা বাজিয়ে দিয়েছিলো..........এখানে সেভাবেই রিপাবলিকান সব সিনেট সদস্যরা ওবামার টুটি চেপে ধরতে চেয়েছিলো........ তবে শেষ হিসেবে ওবামাই জয়ী.............
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ভাল লেখা ++++
যাক বাঁচা গেল !!! শিয়াল ক্ষুধার্ত থাকলে গৃহস্থের মুরগী কিন্তু নিরাপদ না !!!
তবে আপনার লেখার সাথে >>>>
" যা না-পেলে বৃহস্পতিবার থেকে অনেক খরচই চালাতে পারত না ওবামার দেশ। মেটাতে পারত না পুরনো ধারও। সে ক্ষেত্রে ইতিহাসে প্রথম বার সময়মতো বকেয়া না-মেটানোর ‘লজ্জা’য় পড়ত তারা।" - এটা কি আসলেই ঠিক ? ওদের লজ্জা আছে?
তবে "পৃথিবী জুড়ে ফের তৈরি হত মন্দার সম্ভাবনা।" - এটা সঠিক!!!
পোষ্ট ভাল লেগেছে !!! ধন্যবাদ !!!