![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র - সুনির্মল বসু
ফ্রান্সে ফোনে বিপুল মার্কিন নজরদারির তথ্য প্রকাশ করেছিল সে দেশের একটি সংবাদপত্র। বিষয়টি নিয়ে কড়া বার্তা দিতে প্যারিসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিল ফরাসি সরকার। সেইসঙ্গে ব্রাসেলসের শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি তোলার সিদ্ধান্ত নেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
ফ্রান্সের পরে এ বার মার্কিন চরবৃত্তি নিয়ে সরব হল জার্মানি। খোদ চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের মোবাইল ফোনে মার্কিন আড়ি পাতার প্রমাণ তাদের হাতে আছে বলে জানিয়েছে জার্মান সরকার।
ব্রাসেলসে শুরু হচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলির শীর্ষ বৈঠক। নানা সামাজিক ও আর্থিক কারণ নিয়ে আলোচনার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, এখন মূলত মার্কিন নজরদারি নিয়েই কথা হবে বলে আশঙ্কা অনেকের।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের ফোনে আড়ি পেতেছে এমন মারাত্মক অভিযোগের পর জার্মানিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ ওবামার আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে জার্মানি৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ বিষয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে টেলিফোন করেছেন৷ হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী ওবামা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ম্যার্কেলের ফোনে আড়ি পাতার মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না, ভবিষ্যতেও হবে না৷ তবে অতীতে এমনটা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয় নি৷
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জার্মানিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ ওবামার সঙ্গে ম্যার্কেলের টেলিফোন সংলাপ ও পরে ওবামার বিবৃতিতে সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার বার্লিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন বি এমারসনকে তলব করেছেন বিদায়ী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷
কূটনীতিকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নয়া আইন পাশে জোর দিতে পারে জার্মানি ও ফ্রান্স। তাতে ইউরোপে ব্যবসা করার খরচ বাড়বে গুগল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের মতো মার্কিন সংস্থার। অনলাইন লেনদেনে নজরদারির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার মধ্যে ‘সুইফট’ চুক্তি রয়েছে। তার মাধ্যমে জঙ্গিদের সম্ভাব্য লেনদেন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু স্নোডেনের তথ্য অনুযায়ী, চুক্তি ভেঙে ইউরোপের ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বেশি তথ্য সংগ্রহ করেছে আমেরিকা। ফলে, গত কাল ‘সুইফট’ চুক্তি মেনে তথ্য বিনিময় সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
এনএসএ-র কার্যকলাপ সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক আঙিনায় তোলপাড় কাণ্ড সৃষ্টি করেছেন এডওয়ার্ড স্নোডেন৷ নাইন ইলেভেন-এর পর সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায় নি৷ কিন্তু বন্ধু বা সহযোগী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের উপর গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক প্রতিষ্ঠান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে আড়ি পেতে চলেছে এনএসএ – এমন অভিযোগের পর অ্যামেরিকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীর সন্দেহ দেখা যাচ্ছে৷ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে ক্ষোভ দেখাতে ওয়াশিংটনে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করেছেন৷
কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও আত্মপক্ষ সমর্থনে ওয়াশিংটন নানা যুক্তি খাড়া করছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, গোয়েন্দাগিরি ও আড়ি পাতার কাজ সব দেশই কমবেশি করে থাকে৷ খোদ ওবামা জার্মানিতে এসে মনে করিয়ে দিয়েছেন, নাইন ইলেভেন-এর ষড়যন্ত্র হামবুর্গ থেকেই শুরু হয়েছিল৷
©somewhere in net ltd.