![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উদাম গায়ে উপুড় হয়ে শুয়ে আছো তুমি, চোখ বন্ধ। কিছুক্ষন আগেও প্যান্টটা নাভীর উপরে ছিল, এখন অনেকটাই নিচে। ঘাড়ের উপর ভারী গরম নিঃশ্বাস পড়ছে, লাইলির নিঃশ্বাস। কলির নিঃশ্বাস অত ভারী না, আরো হালকা। কলি, মালিকের মেয়ে। অনেক আদুরে মেয়ে তো, প্রথম প্রথম কোন রকম পাত্তাই দিতে চাইতো না। এখন অবশ্য খেলার সাথী হিসেবে প্রথম পছন্দ তুমি। তুমিও কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই এটা ওটা বাহানায় তার কাছে চলে আসো। র্ধু , লাইলী আবারো ঘাড়ের উপর এসে হাজির, সুড়সুড়ি লাগছে ভীষন। গাভী যেমন তার নবাগত বাছুরের সারা শরীর চেটে দেয়, ঠিক তেমনি করে লাইলী তোমার ঘাড় থেকে অল্প নিচে দিকে চাটতে থাকে, লাইলী এমনি, যখন সময় হবে সে এরকম করবেই। এখন তোমার ভীষন বিরক্ত লাগছে, হাত দিয়ে মুখটি সরিয়ে দিয়ে ওপাশ ফিরে শুয়ে থাকলে। হ্যা, আবারো কলি। সময় আসুক, কলিকে নিয়ে তুমি একদিন পালাবেই। গত রাতে দেখা সিনেমার সাথে জীবনের কেন যে কোন মিল নেই, সেটা ভেবে আফসোস করতে চাওনা তুমি।
বাজারের কোনার ঘরটাতে প্রতি রাতে সিনেমা দেখানো হয়, বড়রা দরজা বন্ধ করে দেখে। তুমি আর হাক্কানী গতরাতে বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখছিলে, রহমত চাচা দেখে দাবরানি দেয়াতে তার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্দার করতে করতে বাড়ী চলে এসেছিলে। যাক সে কথা, লাইলীর চাটাচাটির কারনে আড়মোরা ভেঙ্গে উঠতে গিয়েই বুঝতে পারলে প্যান্টটা নিচে পড়ে যাচ্ছে। নিশ্চিত হাক্কানীর কাজ সেটা, ঘুমের মধ্যে হাক্কানী সম্ভবত বিড়ির আগুন দিয়ে প্যান্ট বাধার সুতলিটা আলাদা করে ফেলেছে। প্যান্টের চেইন নষ্ট হয়ে যাওয়াতে মালিকে বড় ছেলে তোমাকে পড়তে দিয়েছিল, তুমি এটা সুতলি দিয়ে কোমরের সাথে বেধে রাখো সব সময়। সন্ধা ঘনিয়ে আসছে, দুর থেকে হাক্কানী হাকালো- “ কিরে আক্কাইচ্ছা, কত ঘুমাইবি, বাড়ীত যাইবিনা?” তুমি আক্কাস কথা না বাড়িয়ে মাতলাখানি নিয়ে তোমার প্রিয় গরু লাইলী কে নিয়ে বাড়ী রওনা দিলে।
তোমার বয়স ১২, ১৯৮৭ সালের কথা।
(রিপোস্ট)
©somewhere in net ltd.