নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিখাউজ টাইপের

কাজের কথা

কি আর বলব, কথার কথাই এখন আসল কথা

কাজের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারণে আসামি হচ্ছেন না আল্লামা শফী

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

তিনটি কারণে সহিংসতার মামলায় আসামি হননি অবরোধ আহ্বানকারী হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফী। কওমি মাদ্‌রাসার লাখ লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণ, আন্দোলন-কর্মসূচি স্থগিত এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নেতাদের আন্তঃকোন্দল তৈরির কৌশল মাথায় রেখেই তাকে মামলার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছিল, মতিঝিলের নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত হেফাজতে ইসলামসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছিলেন।

তার বক্তব্যের একদিন পর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ১৮টি মামলা হয়। এসব মামলায় হেফাজতে ইসলাম ও বিরোধীদলীয় জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত লক্ষাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ৬ই মে দলটির মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেপ্তার করে ৯ দিনের রিমান্ডে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর বাইরে আরও ৪৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেবল হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে। এর নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, আল্লামা শফীর গ্রেপ্তার সরকারের জন্য বিপজ্জনক ছিল বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক হেফাজত কর্মী মতিঝিল চত্বর থেকে হটে গেলেও এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করেই সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তথ্য ছিল একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। তাদের আশঙ্কা ছিল, শফীর গ্রেপ্তার ইস্যুতে নতুন করে সংঘর্ষ, তাণ্ডব ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জেলা শহরে নাজুক পরিস্থিতি তৈরি করতো বিশেষ মহল। একদিকে হেফাজত কর্মীদের হাজার হাজার লাশ গুমের অভিযোগ, অন্যদিকে আহমদ শফীর গ্রেপ্তার ঘটনায় নতুন করে আন্দোলন গড়ে তোলার পথ তৈরি হতো- যা কোনভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না। এ কারণে আল্লামা শফীকে গ্রেপ্তার না করে সম্মানজনকভাবে চট্টগামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, শাপলা চত্বরে সফল অভিযানের পরপরই হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার নির্দেশনা আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ওই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দেয়া হয়। পরে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আহমদ শফীকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে পুলিশ। সূত্র জানায়, আরও একাধিক কারণে শফীর ওপর নাখোশ হননি পুলিশ। সরকার নির্দেশিত ছকের মধ্যেই তার বিচরণ ছিল। পুলিশ ও গোয়েন্দা হেফাজতে থাকার কারণে ১৮ দলীয় জোটের নির্দেশনা পাননি। উল্টো সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মতিঝিলের সমাবেশে যাননি। তবে এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন মতিঝিল শাপলা চত্বরে অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-এর ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান। তিনি বলেন, যে ব্যক্তির হিতাহিত জ্ঞান নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই নিজের দলের ওপর, কখন কি বলেন তা-ও মনে রাখতে পারেন না- তাকে গ্রেপ্তার করে কি হবে। এছাড়া তিনি স্বীকার করেছেন, ওই দিনের তাণ্ডবে তার কোন সম্মতি ছিল না কিংবা কেউ তার নির্দেশনা নেয়নি। সূত্রমতে, ৫-৬ই মে লালবাগ শাহী মসজিদের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান ছিল আল্লামা শফীর। তার অবস্থানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই মসজিদ ঘিরে রেখেছিল। ভেতরে অবস্থান করছিল সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। এমনকি আল্লামা শফীর কক্ষে সার্বক্ষণিক বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন। তারা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তার কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেছেন। বন্ধ করেছিলেন বাইরের লোকজনের আনা-গোনা। একপর্যায়ে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়ার আগে পুলিশ তার কাছ বিশেষ সম্মতি নেন। ঢাকা ছাড়ার আগে আল্লামা শফীর পক্ষে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছিলেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক। ওই বক্তব্য লেখার সময় আল্লামা শফী যে কক্ষে ছিলেন সেখানে পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম যাওয়ার পরেও হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয় সেখানেও আল্লামা শফী উপস্থিত হননি।

এদিকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে অব্যাহত জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকায় অবরোধ কর্মসূচির আসল উদ্দেশ্য, অর্থের উৎস ও মতিঝিলে টানা অবস্থান পরিকল্পনার বিষয়ে একাধিক টিম জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত ওইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদকারী তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, জুনায়েদ বাবুনগরী ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চিকিৎসক দিয়ে চেকআপ করানো হয়েছে। চেকআপে তার গ্যাংগ্রিন ধরা পড়েছে। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তার চিকিৎসাও চলছে

সুত্র: মানবজিমন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সবচেয়ে বড় কারণ হল, ওনার বয়স। উনাকে মামলার আসামী করে রিমান্ডে নেয়া মাত্রই মারা যাবেন। তখন হবে আরেক ঝামেলা।
মূল ব্যাপারটা যতটুকু জানি, হেফাজতে ইসলামের আমির হলেও দলের উপর উনার কোন প্রভাব ছিল না। বরং উনার নাম ভাঙ্গিয়ে যে যার মতো ফায়েদা লুটে নিয়েছে।

১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২

কাজের কথা বলেছেন: "হেফাজতে ইসলামের আমির হলেও দলের উপর উনার কোন প্রভাব ছিল না। বরং উনার নাম ভাঙ্গিয়ে যে যার মতো ফায়েদা লুটে নিয়েছে। "

বিষয়টা লক্ষনীয় এবং অবশ্যই দুশ্চিন্তারও বটে।

২| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

বিজ্ঞ মানুষ বলেছেন: মূল ব্যাপারটা যতটুকু জানি, হেফাজতে ইসলামের আমির হলেও দলের উপর উনার কোন প্রভাব ছিল না। বরং উনার নাম ভাঙ্গিয়ে যে যার মতো ফায়েদা লুটে নিয়েছে।




সহমত।

১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২

কাজের কথা বলেছেন: লক্ষনীয় এবং অবশ্যই দুশ্চিন্তারও বটে।

৩| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সবচেয়ে বড় কারণ হল, ওনার বয়স। উনাকে মামলার আসামী করে রিমান্ডে নেয়া মাত্রই মারা যাবেন। তখন হবে আরেক ঝামেলা।
মূল ব্যাপারটা যতটুকু জানি, হেফাজতে ইসলামের আমির হলেও দলের উপর উনার কোন প্রভাব ছিল না। বরং উনার নাম ভাঙ্গিয়ে যে যার মতো ফায়েদা লুটে নিয়েছে।


১০০০০% সহমত। উনাকে মোল্লা ওমর বানিয়ে তালেবান শাসন কায়েমের চেস্টা চলছিল।


১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

কাজের কথা বলেছেন: আমারও সেইরকমই মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.