নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিখাউজ টাইপের

কাজের কথা

কি আর বলব, কথার কথাই এখন আসল কথা

কাজের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইবার না! এইবারের হিসেবটা একটু অন্যরকম।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

সেমিফাইনালের দিন সারাদিনই মনে হয়েছিল, এবার বুঝি নেদারল্যান্ডস এর পালা, ১৯৭৮ এর শোধ নিতে হবে না! আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেই পরাজয়ের এমন সুযোগ কি আর আসবে?

হঠাৎ-ই রাত্রিবেলা মনে পড়ল যদি আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডস এর কাছে পরাজিত হয়, তাহলে ৩য় স্থান নির্ধারনী খেলতে হবে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল এর মধ্যে। নাহ এটা সম্ভব নয়! ফুটবল বিশ্বের এইরকম দুই মহাশক্তি, যারা না খেললে হয়তবা ফুটবল বিশ্বকাপকে "Greatest Show on Earth" বলা হত না, তারা মুখোমুখি হবে এইভাবে? হতেই পারে না। তারমানে যেভাবেই হোক নেদারল্যান্ডস আজকে ঘুটি মাত্র। বিধাতার সবকিছু পরিমাপ করা থাকে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই পরিমাপ করা। কে জানে, বিধাতা হয়ত অন্য কোন প্ল্যান করে রেখেছেন।



আরেকটু আগে থেকে আলোচনা করি। ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল থেকে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ফাইনালে এবং জার্মানিকে ৩-২ এ পরাজিত করে আর্জেন্টিনা দলকে এবং নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান ম্যারাডোনা। পৃথিবী খুজে পায় তাদের নতুন ফুটবল দেবতাকে। পরের বিশ্বকাপে ১৯৯০ আবারও সেই জার্মানি এবং আর্জেন্টিনা। কিন্তু এইবার মনে হয় ইশ্বরের প্ল্যান ভেস্তে দিল কিছু অসাধু মানুষ। সেবার ম্যারাডোনার সাথে পুরো বিশ্ব কেঁদেছিল, লক্ষ-কোটি ভক্তের চোখের জ্বলে সেই ফুটফুটে দেবতুল্য খেলোয়ারের চোখের জ্বল একাকার হয়ে গিয়ছিল সেদিন। এরপর থেকে যেন শুধুই পতনের খেলা চলেছে। ১৯৯০ সালে যখন পুরো ফুটবল বিশ্ব কাতর তখন বিধাতা সম্ভবত এরই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আরও একজন জাদুকর তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আর্জেন্টিনার একটি খুবই দরিদ্র পরিবার, সেখানে বাবা একটি স্টিলমিল ফ্যক্টরিতে শ্রমিক এবং পার্ট-টাইম ক্লিনার এর কাজ করেন, সন্তানটির বয়স মাত্র তিন বছর। সম্ভবত তখনই সেই শিশুটির কানে কানে ইশ্বর জানিয়েছিলেন, তাকে কি করতে হবে। নইলে কেনইবা সেই শিশুটি মাত্র ৫বছর বয়সে তার বাবার কোচে ফুটবল অনুশিলন শুরু করেন। কেনই বা তার বাবা এই শিশুটির হাত ধরে স্পেনে পাড়ি জমান। তার পরের ইতহাস সবারই জানা।



একদিকে যেমন টিম আর্জেন্টিনা ধুকছিল আর দিন গুনছিল কবে তাদের রাজপুত্র এসে এই ফুটবল রাজত্বের শাসনভার বুঝে নেবে, অন্যদিকে তখন সেই ছোট্ট শিশুটি ধিরে ধিরে বেড়ে উঠছিল, সে খুব সর্মপনে সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করছিল, কারন তাকে তো একদিন লিউনেল মেসি হতে হবে। প্রতিশোধ নিতে হবে তাদের কাছ থেকে যারা টিম আর্জেন্টিনার বরপুত্রকে কাঁদিয়েছিল, সাথে কেঁদেছিল পুরো ফুটবল বিশ্ব।



২০১০ সালের বিশ্বকাপে টিম আর্জেন্টিনা পরজিত হয় জার্মানির কাছে। সেটাও মনে মনে ইশ্বরের সরাসরি ইশারায় হয়েছে। কেননা সেটা ফাইনাল ছিল না। সেই খেলার জয়-পরাজয় এর জন্য শিশুটি মেসি হয়নি।



কিন্তু এইবার, সবকিছুই যেন প্ল্যান মাফিক চলছে। বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই বিশ্বের নামি-দামি সব পরাশক্তিরা প্লেনে চড়ে বসেছেন, কারন এই বিশ্বকাপ তাদের নয়। এ যেন ২৪ বছরের পুরোনো গল্পের অসমাপ্ত অংশ। এখানে তারা শুধু মাঠ গরম করতে এসেছিলেন। এই ফিকচারটি এমনভাবে মিলে গেছিল, যাতে করে ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানির দেখা না হয় এবং আর্জেন্টিনার সাথে এমন কিছু টিমের খেলা পড়েছিল যেগুলি খেলার আগেই বলা যেত যে কে জিতবে। কিন্তু তারপরও টিম আর্জেন্টিনা অনেক কষ্টে জিতেছে, কেননা ইশ্বর মনে হয় চেয়েছিলেন, গায়ে হাওয়া লাগিওনা বাছাধনেরা, সামনে অনেক সাবধানে খেলতে হবে, তোমাদের শেষ দেখা জার্মানির সাথেই হবে, এখনও অনেক হিসেব বাকি। পথের বাধা হয়ে দাড়াল হেক্সার নেসার বুঁদ হয়ে থাকা ব্রাজিল। চমৎকার একটা কম্বিনেশন নিয়ে তারা প্রস্তুত ছিল তারা, কিন্তু বিধির বিধান কে খন্ডাবে। হলুদ কার্ডের পিছে সিলভা এবং আচমকা আঘাতে নেইমারের খেলা থেকে বাহির হওয়াটাও যেন নিয়তিই করেছে। নইলে অমন জয় ছাড়া জার্মানদের আত্মবিশ্বাসকে তুঙ্গে তোলা যেত না।

অন্যদিকে সেমিতে নেদারল্যান্ড, টিম তো নয় যেন এগারটা লেপর্ড। এ সবই যেন টিম আর্জেন্টিনাকে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য। না হলে বরাবরই ডিফেন্স এ দুর্বল আর্জেন্টিনার জালে কেন বল ঢুকলনা, কেন ব্যথর্ হলেন রোবেন স্নাইডার বা পার্সিরা। আর টাইব্রেকারে স্নাইডার এর মত খেলেয়ার এর বল আটকে যায়? তার উপর আর্জেন্টিনার শেষ বলটি হাত দিয়ে প্রায় আটকে দিলেও কোনা করে বাড়িখেয়ে বল আবার জালে গিয়ে বসে রইল!



হিসেব করলে কষ্ট হয়, ব্রাজিলের মত দল আসলেই বিশ্বকাপের অধিকারী ছিল। নেদারল্যান্ডস অসম্ভব ক্ষিপ্রতা এবং দক্ষতায় পারদর্শী দল, তারাও বিশ্বকাপের ভাগিদার ছিল।



কিন্তু এইবার না! এইবারের হিসেবটা একটু অন্যরকম। অনেকটাই অন্যরকম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লেখা ডাবল পোষ্ট হইছে বুঝি

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

কাজের কথা বলেছেন: দুঃখিত, ঠিক করে দিলাম।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

নিয়েল হিমু বলেছেন: সব দেখি স্রস্টার উপর ছেড়ে দিলেন :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

কাজের কথা বলেছেন: আজকে আর সাহস হইতাছে না! তাই শেষ ভরসা ইশ্বর . . .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.