নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিখাউজ টাইপের

কাজের কথা

কি আর বলব, কথার কথাই এখন আসল কথা

কাজের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা দিবস কার? সন্তানের না বাবার

২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

বাবা দিবস, আমার বেশ একটু সন্দেহ আছে এটার উৎযাপন নিয়ে। দিবসটা আসলে কি? বাবাদের জন্য সন্তানরা পালন করবে নাকি সন্তানদের জন্য বাবারা পালন করবে?
সব সময় দেখে এসেছি এই দিনে সব সন্তানরা বেশ শক্ত শক্ত বাংলা রপ্ত করে নিজের বাবাকে উদ্দেশ্য করে লম্বা লম্বা রচনা লিখে ফেলে। সেগুলি পড়লে মনে হবে এই পৃথিবী যেন স্বর্গপুরী। এখানে সবাই মহামানব, সবাই ফেরেস্তা। অবশ্য সন্তানদের দোষই বা কি, তারা তাদের হিরোকে অন্য সব হিরোদের চেয়ে বেশী হিরো প্রমান করার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে লিখার চেস্টা করে। এই বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নাই কেননা আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের সেই কথাটাই চরম সত্য " এই দুনিয়ার খারাপ মানুষ অনেক আছে কিন্তু খারাপ বাবা একটাও নাই"। তাই বাবারা সব সময়ই বাবা।

যাই হোক সন্তানেরা তাদের বাবাদের জন্য মহাকাব্য লিখবে, সেটাই হয়তবা স্বাভাবিক, প্রশ্ন হচ্ছে কেন? সন্তান হিসাবে আপনি চিন্তা করুন আপনি আপনার বাবার জন্য এতটা অনুভূতি পুষছেন কেন। একটু মনে করে দ্যাখেন, কারও হয়ত কঠিন অসুখে বাবা সারারাত জেগে বসে ছিল, কারও সাইকেল চালাতে বাবার হাত ধরার অনুভূতি, কারও শুধু বাবার চেহারাটাই অপার্থিব সুন্দর লাগে, কারও কাছে বাবার গাম্ভির্যটাই ভালবাসা। কারও কাছে বাবার ছোট্ট একটা চুমু, কারও কাছে একটু মাথায় হাত বোলানো আদর, কেউ শুধু বাবাকে দুর থেকে দেখেই ভালবাসায় হৃদয় সিক্ত করে কলম হাতে নিয়ে নিয়েছেন। কারও কাছে বাবার গায়ের অদ্ভুত সুন্দর সোঁদা গন্ধ, তারও কাছে বাবার কাধে মাথা রাখার স্তৃতি, কারও কাছে আবার শুধু বাবার হাত ধরে সামনের বাগানে বা ক্ষেতে হেটে বেড়ানোই অন্যরকম আনন্দের উৎস।

এইবার একটু বাবা হিসাবে চিন্তা করে দেখি আসেন। আমার সন্তান যখন জন্ম গ্রহন করে বা প্রথম যখন তাকে কোলে নেই, সেই অনুভূতির কোন তূলনা বা বর্ননা দেওয়া সম্ভব কি? সন্তানের সাথে প্রথম যখন শরীর স্পর্শ করে, সেটা এই দুনিয়ার যে কোন প্রযুক্তির যোগাযোগ থেকে বেশী নান্দনিক যোগাযোগ, যা শুধু বাবারাই ফিল করতে পারে। তারমানে আমার সন্তান আমাকে শান্তিটা দিয়েছে, আমি তাকে দেই নাই। সন্তান যখন যে কোন ছোটখাট বিষয়ে ছোট্ট একটা হাসি দেয়, সেই হাসির প্রতিটা বিট বাবার হৃদয়ের প্রতিটা তারে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ রিদমের মত বাজতে থাকে, সেই রিদমের বর্ননা কোন কলম/কি-বোর্ড করতে পারবে না, কেউ শুনতেও পারবে না, শুধু বাবারাই পারেন শুনতে এবং মজা পেতে। আমার হাসি বাবার বুকে যে প্রশান্তির ঝড় তুলেছে তার বিনিময় পন্য এই দুনিয়ায় নাই। সন্তানের হাততালি দেওয়া, তার মুচকি হাসি, অট্টহাসি, কান্না, খেলা, হাটা, দৌড়ানো, টিভি দেখা, শুধু শুধু বসে থাকা, প্রতিটা কাজ, বাবার প্রতিটা লোমে লোমে যে আন্দনের শিহরণ তোলে, হৃদয়ের সমুদ্রে সু:খের ঢেউয়ের যে বিচলিত তোলপাড় সৃষ্টি হয়, তা শুধু মাত্র বাবারাই বুঝতে পারে। বাবার সন্তানের প্রতি যে ভালবাসা এবং সেই ভালবাসার কারনে যে পরিমান মজা এবং আনন্দ তিনি উপভোগ করেন, তা দুনিয়ার আর কোন কিছুকে ভালবেসে হয় না। নিজের রক্তে গড়া, নিজেরই আবয়ব, নিজের চোখের সামনে তিলে তিলে বড় হচ্ছে, এর চেয়ে বড় আনন্দের জীবন হতে পারে কি? একমাত্র বাবারাই পারে আয়না ছাড়াই নিজেদের দেখতে, নিজের সারাজীবনের পুনরাবৃত্তি, আরও মধুর আঙ্গিকে, নিজের সন্তানের চোখের মধ্যে। একজন বাবা যখন সন্তানের চোখের মধ্যে তাকায়, বিশ্বাস করুন বা নাই করুন থ্রিডি/ফোরডি, অ্যানিমেশন দুনিয়া, কোন কিছুইর পাত্তা থাকে না।

যাই হোক লিখতে লিখতে কি বোর্ড ভেঙ্গে যাবে তবু শেষ হবে না। মোদ্দাকথা হচ্ছে, বাবা হিসাবে সন্তানকে যা দেয়, সব কিছুর কারণ হচ্ছে বাবার অপার সুখ। তিনি সব কিছু করেন, সন্তানকে খুশি করার জন্য আর সন্তান যদি খুশি হয় তবে সে খুশি চক্রবৃদ্ধহারে ফেরৎ যায় বাবার কাছে। বাবা এই ধরনের স্বর্গীয় সুঃখ আর কোন কাজেই পান না।
আর তাই বাবা দিবসে সকল বাবাদের উচিৎ সন্তানদের জন্য প্রবন্ধ লিখা কারন সন্তানেরা একজীবনে বাবাদের যে পরিমান সুঃখ দেয়, তার পরিবর্তে কয়দিন কাধে নিয়ে ঘোরা, কিছু পয়সা খরচ করা বা হাসপাতালে সারারাত বসে থাকা বা কষ্ট করে পয়সা জমিয়ে সন্তানকে সাইকেল কিনে দেওয়া . . . . . . সব মিলিয়েও লস প্রজেক্ট ফর অল সন্তানস।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: যার পালন করতে ইচ্ছে করবে, সবার জন্যই বাবা দিবস, কেবল একজন ছাড়া - আমাদের বর্ডার গার্ডের মহাপরিচালক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.