নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিখাউজ টাইপের

কাজের কথা

কি আর বলব, কথার কথাই এখন আসল কথা

কাজের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক পতিতার প্রেমে ২৩ বছর

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

এক পতিতার প্রেমে ২৩ বছর। সময়টা নেহাতই কম নয়। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আমি ২৩টা বছর ধরে তার জন্য অপেক্ষা করেছি। সে তখনও আমার যেমন বন্ধু ছিল, এখনও আমার বন্ধু আছে। কিন্তু যে ভালবাসা বা ভাল লাগা অনুভূতি সব সময় তার জন্য আমি অনুভব করি, সেটা সে করে না। কারন তার সেই সুযোগ নেই। সেই শুরু থেকেই দেখে আসছি, সব সময় শত শত বন্ধুদের নিয়ে হৈ চৈ করে বেড়াতে। ভাল খেলোয়াড় ছিল বিধায় সব জায়গায় আলাদা কদর ছিল ওর, ভাল নেতৃত্ব গুনের কারনে সব ঝামেলায় মাথা হত সেই শালা। আমার কাছে শাহরুখ খান ও সেই ছিল আবার শালমান শাহ ও সেই ছিল। আমাকে সাইলে চালানো সেই শিখিয়েছে, তার অনেক প্রিয় সাইকেলটা আমি ভেঙ্গিছিলাম, শালা আমাকে কিছুই বলে নাই। বল দিয়ে মারামারির খেলার সময় ওর হাতে বল থাকলে আমি ছাড় পেতাম। কিন্তুু তার পরেও ওই শালার কেন জানি বার-ভাতারী স্বভাব আমার পছন্দ হত না। তবে ওর সাথে নিউমার্কেট বেড়ানো, বা নদীর তীরে লুকিয়ে লুকিয়ে বিড়ি খাওয়া বা নদীর পাড়ে বসে নিষিদ্ধ বই পড়া, বা ওর সাইকেলের পিছনে বসে পিএন স্কুলের মেয়েদের রিক্সার পিছনে পিছনে ঘোরা, সব কিছুই খুব মজার ছিল। ও হয়ত কখনও খেয়ালই করেনি, স্কুলের বন্ধুদের মাঝে সব সময় এক জোড়া চোখ সম সময় তার দিকে থাকত, ওরেই ফলো করে বেশী মজা পেতাম। কখনও কখনও মনে হয় ও ছিল বলেই মনে হয় স্কুল লাইফটা অনেক মজার ছিল। কলেজ লাইফেও ওর অনেক সাপোর্ট পেয়েছি, সেটা টাকা পয়সার জন্য হোক বা কেউ যেন আমার ক্ষতি করতে না পারে সেই ব্যাকআপ হোক। সব সময় সাহস দিত আমাকে, ওর ড্যাম কেয়ার ভাবটাকে ফলো করার চেষ্টা করতাম আমি। স্কুলের প্রচন্ড একটা নিরীহ ছেলে কলেজে গিয়ে দু:সাহসীক হওয়ার মূল কারীগরও সেই ছিল। তারপর ঢাকায়ও ওর সাথে অনেক দিন যোগাযোগ ছিল, কিন্তু সেখানেও ওর সেই বার-ভাতারী স্বভাব। আমি সিরিয়ালই পাইতাম না। সে নিয়ে কয়েকবার ঝগড়াও করেছি, কিন্তু লাভ হয় নাই। ও পারবে না আমার মত হতে। আমাকে যদি কেউ বলে আমার সারা জীবনের ৫ জন শ্রেষ্ঠ বন্ধু নির্বাচন করতে, আমি খুব সহজেই ওকে এক নম্বর করে বাকি ৫জনের নাম বের করতে পারব। কিন্তু ওকে যদি বলা হয়, আমার ধারনা ও কম পক্ষে ৫০০ জনের মধ্যে কনফিউসড হয়ে যাবে এবং তার মধ্যে আমার নাম না থাকার সম্ভাবনা বেশী।
জীবনে কখনও কোন মেয়ের জন্য জীবন দিব বা মেয়ের প্রেমে লাইফটা অতিষ্ট হচ্ছে বলে মনে হয় নাই, কিন্তু ওর জন্য অনেকবার কেদেছি, শুধু মনে হয়েছে একজন পতিতার জন্য কষ্ট পেয়ে লাভ নাই। ওই শালা এমনই, আমাকে আমার জীবনে অনেকদুর এগুতে হবে এবং সেটা ও সমর্থন ছাড়াই। ও থাক ওর মত। কৈশর থেকে যৌবন জীবনে অনেক কিছু শিখেছি ওর কাছে, এখন হয়ত আমার একা চলার পালা।
আমি জানি না, ওই শালার এই ধরনের বন্ধুত্ব বোঝার অনুভূতি আছে কি না। তবে আমি সারাজীবনই ওকে আমার মত করেই ভালবেসে যাব। ওর মত বার-ভাতারী পতিতা আমি হতে পারব না। এরপর ভার্সিটির একজন বন্ধু আমার সেই কষ্ট অনেকখানী লাঘব করেছিল, কিন্তুু আমার কপাল, সে এখন আমার কাছে নেই। মনের পাশে আছে কিন্তু চায়ের দোকানে নেই। আমার একান্ত চিন্তায় আছে কিন্তু আমার একান্ত আড্ডায় নেই।
দোয়া করি, তোরা দুইজন ভাল থাক। আমার কাছে না হোক বা অন্য শত শত বন্ধুদের মধ্যমনি হয়ে। আমি তোদের আমার মতই ভালবাসব, আমার মত করেই মিস করব। মনে মনে হয়ত গাইব, "বন্ধু তোমায় মিস করছি ভীষন"।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.