![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথার মধ্যে যা আসে তা দমিয়ে রাখতে না পারার নামই আবর্জনা। আমি লিখি- কখনোই তা লেখা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনি। তবু লিখছি- স্বপ্ন ভাঙা এক আগন্তুক আমি।
নারী
সেদিন প্রথম চিৎকার করে বলেছিলাম মা।
মা! মা! মা!
এরপর ডাংগুলি খেলা, বউছি খেলেছি,
একান্নবর্তী পরিবার, কত আনন্দ আরো কত খুনশুটি,
চাদা দিলাম চড়ুইভাতির জন্য-
সাক্ষাৎ সেবার ষড়যন্ত্র ছিলো,
ষড়যন্ত্র না এ এক কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার গল্প।
ও হ্যাঁ - সে চড়ুইভাতির কথা ভুলে গেছি,
ভুলে গেছি সেদিনটির কথাও, অনেক কেঁদে ছিলাম।
চোখের সামনে কাকলি-কে চলে যেতে দেখে।
অবশ্য সে লালপরীটি পিঠাপিঠি আমার খেলার সাথীও ছিলো,
নারী বলতে তখন বুঝতাম ঐ ছোট্ট বোনটিকে।
এখন অবশ্য ওর সংসার হয়েছে।
ওর কোলে কৌশিক এলো,
রোজই কথা হয়, মামা-বাগনের ফোনালাপ-
মামু! ঐ মামু! মামু ডাকতে আআমিই শিখিয়েছিলাম।ওর মুখের ভাঙা ভাঙা গলার মামু ডাক বড় মধুর শুনায়!
ও অবশ্য শহরে বড় হচ্ছে, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে,
দিন যাচ্ছে আর ওর কথায় বিদেশি শব্দ যোগও হচ্ছে।
পেছন থেকে কেউ হাসছে, লুকিয়ে লুকিয়ে মামা-বাগনের কথা শুনছে-
আমি কাকলির কথা বলছি, ও নারী। আমার বোন!
এরপর বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরুলাম,
এখানে জীবনের গল্প যেমন কঠিন তেমনি ছলনাময়ীর নাম নারী।
আমি যার প্রেমে পড়েছিলাম সেও নারী,
এখনো রোজ যার প্রেমে পড়ি সেও নারী।
আমি যে ঝিনুক মালার গল্প লিখি-
বহুমাত্রিক জীবনের গল্পে যে রমণীর বুকে মানচিত্রের ছবি আঁকি
যে রমণীকে ফুলশয্যায় এনে রোজ খাবলে খেয়েছি কিংবা খাবলে খাই,
যে রমণীর গায়ে বেশ্যার কালি মেখেছি, কেনো বলছি না- নষ্টা আমার বোন, মা অথবা যাকে নারী বলছি!
এত অপবাদ তবুও ও নারী-
জগৎসংসারে এত গঞ্জনা-বঞ্চনা যার সে নারীই আমার মা।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
বিজন রয় বলেছেন: নারী
সেদিন প্রথম চিৎকার করে বলেছিলাম মা।
মা! মা! মা!
আর কিছু বলার দরকার নেই।
++++
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৪
আগন্তুক কবি বলেছেন: আমী আপনার মন্তব্য বুঝতে পারি নি
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৯
আগন্তুক কবি বলেছেন: জানি না তো
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১০
আগন্তুক কবি বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
স্বাধীনতাকামী বলেছেন: কোন সূত্রে আপনি মিসবাহ?