নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লজিক মানুষকে সত্যের সন্ধান দেয়-- I assign to logic the task of discovering the laws of truth, not of assertion or thought.-- Gottlob Frege (1848-1925).

লালূ

The weak can never forgive. Forgiveness is the attribute of the strong-Mahatma Gandhi

লালূ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিডিআর বিদ্রোহ : কিছু অজানা প্রশ্ন কিছু বিশ্লেষন

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২২




২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহ সংগঠিত হয় ! এ ঘটনায়
সেনাবাহিনীর ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয় ! স্বজাতি স্বধর্ম স্বগোত্র স্বভাষীর উপর স্বজাতি স্বধর্ম স্বগোত্র স্বভাষীর এমন নারকীয় হত্যাকানড পৃথিবীতে নজির নেই ! পাকিসতানীরা যেভাবে বাংগালীদের উপর নারকী্য অত্যাচার চালিয়েছিল একাওরে ঠিক তারই একটি খনডিত চিত্র আমরা দেখতে পেয়েছি পিলখানায় ! দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন হত্যাযজ্ঞ চলে এক পৈশাচিক উন্মাদনায়। মেজর জেনারেল থেকে নিম্নে ক্যাপ্টেন পর্যন্ত সব র‌্যাংকের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় পিলখানার বধ্যভূমিতে ! প্রথমে ধারনা দেয়া হল সুবিধা বনচিত বিডিআরদের অসন্তোষের ব হি: প্রকাশ এই বিডিআর বিদ্রোহ ! পরে আওয়ামি লীগের তরফ থেকে সরাসরি দায়ি করা হল এ বিদ্রোহীর পিছনে বিএনপি ও আএসএআই জড়িত ! ! বিডিআররা তাদের দাবি নিয়ে ঘটনার আগেই যাদের সাথে যোগাযোগ করেছন তারা হলেন এডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ সেলিম , ফজলে নুর তাপস , জাহাংগীর কবির , নানক মির্জা আযম ! এ রা সবাই আওয়ামি লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ! বলা হয় এ রা কোননা কোনভাবে বিডিআরদের সাথে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে মিটিংএ বসেছেন কথা বলেছেন!
আওয়ামি লীগ থেকে বলা হয় ; ঘটনার দিন কালো কাচের গাড়ীতে চড়ে খালেদা জিয়া ক্যনটনমেট থেকে সরে যান । আওয়ামি লীগ থেকে বলা হয় সালাউদদীন কাদের চৌধুরীকে দিয়ে আইএস শত কোটি টাকা দি্যে এই বিডিআর বিদ্রোহটি ঘটিয়েছে উদ্দ্যেশ্য হাসীান সরকারকে উৎখাত করা
২০১৪ এ র ২৫ শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বিডিআর বিদ্রোহের পনচম বার্ষীকিতে স্মরণ সভায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত লে. কর্নেল লুৎফর রহমানের মেয়ে ফাবলিহা বুশরা বলেন " বিচার হলো, কিন্তু জানতে পারলাম না কারা আমার বাবাকে খুন করেছে। আমার মতো সবার বাবাকে কীভাবে মারা হয়েছে, আমরা তা জানতে চাই।’
এ দাবি র। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিহতদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তাঁর কথায় সুর মেলালেন আরও কয়েকজন নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী ও পুত্র-কন্যারা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও একই দাবি জানান। সবাই চান, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পেছনের লোকদের খুঁজে বের করার জন্য নতুন করে তদন্ত করা হোক।দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির একটি ধারা পড়ে বলেন, তদন্ত কমিটি নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে পারেনি। কিন্তু কমিটি বিশ্বাস করেছিল শুধু বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে এ ঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিল না। বিডিআর জওয়ানদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, ওই কমিটি মনে করেছিল প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, প্রকৃত অপরাধী পর্দার অন্তরালে রয়েছে।

যা আজও অজানা :

১) ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল আটটায়। কিন্তু কেন দরবার এক ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল নয়টায় করা হল, কেন ?

২ ) ঘটনার সময় দরবারে থাকা একটি ভিডিও ক্যামেরার কথা সাংবাদিকদের বলেছিলেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়নিকেন ?

৩) বিদ্রোহের সময় প্রথম যে অস্ত্রটি নিয়ে সিপাহি মঈন দরবারে এসেছিল, সেটি শনাক্ত করা হয়নি?

৪) বিদ্রোহের সময় সেনা সদস্যরা পিলখানায় এসে গুলি ছুড়েছিলেন বলে সেনাবাহিনীর তদন্তে বলা হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্তে সেটি বলা হয় নি কেন?

৫) তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদের সাক্ষ্য নেয়া হয় নি কেন ?

৬ ) অনেক সেনা কর্মকর্তা ঘটনার পর গণমাধ্যমের সামনে নানা বিষয়ে কথা বললেও তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি কেন ?

৭) বিদ্রোহী বিডিআর জোয়ানরা " জয় বাংলা" স্লোগান দিয়েছিল ! কোন পক্ষের পুর্ব আশ্বাস এ স্লোগান দিতে উৎসাহিত করেছিল কিনা ?

৮) এ রশাদের আপন ভাগিনা কর্ণেল এলাহী পিলখানা ঘটনায় নিহত হন । ঘটনার দিন এ রশাদ পিলখানার অদুরে উপসথিত থেকে ঘটনাটি অবলোকন করার চেষটা করেন ! সাংবাদিকরা তাকে প্রশন করেন " ঘটনাটি সমপর্কে আপনার মতামত কি ? ! এ রশাদ জাবাবে বলেন " যে সব দেশ বাংলাদেশের ভাল চায় না তারাই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে "
অদৃশ্য মহলের চাপে পরে এ রশাদ তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন " !
এই অদৃশ্য মহলটি কে ?

৯) বিডিআররা " জয় বাংলা " স্লোগানে দিয়েছিল। একটি রাজনৈতিক দলের স্লোগান দিয়ে বিদ্রোহ করার মনসতাও্বিক সাহস তারা পেল কি ভাবে ?

১০) ঘটনা তদনতের সময় জাহাংগীরে কবির নানক সীংগাপুরে যাওয়ার প্রসতুতি নিয়েছিলেন কেন ?

১১) সামরিক তদন্তের রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয় নি ?

বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয় সকাল সাড়ে নয়টায় ! ২০ মিনিটের মধ্যেই পিলখানায় পৌছে র‌্যাব ! অত:পর পর ১০টা ২০ মিনিটে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ৬৮৫ জনের ৪৬ ব্রিগেড পিলখানার দিকে রওনা দেয়। সেনা বাহিনি পিলখানায় পৌছে ১১:৫০ মিনিটে ! ! তাদের এ্যাকশনে যেতে অনুমতি না দেয়া হল না ! সরকার থেকে বলা হল আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার করা হবে !
সেনা বাহিনি পিলখানার বাইরে দাড়িয়ে থাকল ! তদনতে দেখা গেছে ১২ টার পর বিদ্রোহী বিডিআররা সেনা অফিসার হত্যা শুরু করে !
এর আগেই ঘোষনা দেয়া হয়েছে সেনা অপারেশন হবে না !



সেনা অপারেশন হলে কি অফিসারদের জীবন বাচান যেত ?

লে: জে: (অব: ) মীর শওকত আলি সহ সামারিক বিশেষজ্ঞ সবাই তখন তাই মনে করেছিলেন ! তাদের মতে ষেহেতু বিডিআর বিদ্রোহটি কোন চেইন অব কমানড বা নেতৃও্বের মাধ্যমে হয় নাই তাই সেনা এ্যাকশন হলে বিডিআররা বিছছিনন হয়ে পড়ত ! আত্নরক্ষার্থে তারা ব্যাসত হয়ে পড়ত !


সেনা অভিযান হয়নি যে কারণে

তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান শাহ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও নৌবাহিনীর প্রধান জহির উদ্দিন আহমেদ বিডিআর বিদ্রোহের দিন পিলখানার ভেতরের অবস্থা বোঝা না যাওয়ায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের বৈঠকে সমঝোতার পক্ষে মত দেন তিন বাহিনীর প্রধানেরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সমঝোতা না হলে কঠোর হাতে বিদ্রোহ দমন করা হবে।
ওই সময়ের সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের ধারণা ছিল, সেনাবাহিনীর প্রথম দলটি পৌঁছানোর আগেই অর্থাত্ ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের আগেই বিদ্রোহীরা বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে। বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সিআইডিকে ১৬১ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানেরা এ কথা বলেছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রয়ারি পিলখানায় বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধে করা মামলায় তিন বাহিনীর প্রধানেরাও জবানবন্দি দেন। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের কৌঁসুলিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সেনাপ্রধানের জবানবন্দি
জবানবন্দিতে তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ বলেছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটা ৫৫ মিনিটে বিডিআরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাকিল আহমেদের সঙ্গে তাঁর মর্টার নিয়ে কথা হয়। সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিস কর্নেল) তাঁকে জানান, বিডিআর দরবার হলে গন্ডগোল হচ্ছে। কিন্তু বিডিআরের গোয়েন্দা বা অন্য কোনো বিভাগ তাঁকে কিছু জানায়নি। সকাল নয়টা ৩৫ মিনিটে তিনি ৪৬ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডকে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতির সংকেত (ওয়ার্নিং অর্ডার) দেন। নয়টা ৪৭ মিনিটে ডিজি বিডিআরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। ডিজি বিডিআর তাঁকে বলেন, ‘দরবার হলে বিডিআর সদস্যরা গন্ডগোল করছে। সব বিডিআর সদস্য হল থেকে বের হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করার জন্য। আমি দরবার হলে আছি।’ ডিজি বিডিআরকে বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ১০টার কিছু পরে আবারও ডিজির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পায়নি সেনাসদর।
নয়টা ৫১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, ৪৬ ব্রিগেডকে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘কতক্ষণ সময় লাগবে তাদের পৌঁছাতে।’ সেনাপ্রধান বলেন, দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে মুভ করান।’ ফোনে কথা শেষ করেই তিনি ৪৬ ব্রিগেডকে অভিযানের নির্দেশ দেন।

সকাল ১০টার দিকে তত্কালীন সেনাপ্রধান সারা দেশের সেনা স্থাপনাগুলোকে (ফরমেশন) বিডিআরের ব্যাটালিয়ন এলাকাগুলোতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ৬৮৫ জনের ৪৬ ব্রিগেড পিলখানার দিকে রওনা দেয়। তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল, তারা পিলখানার চারদিকে অবস্থান করবে। কিন্তু পিলখানার ভেতরে বিডিআর সদস্যরা মর্টার, রিকোয়েললেস রাইফেলের (আরআর) মতো ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেওয়ায় সেখানে সাঁজোয়া যান (আর্মার্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার-এপিসি) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এপিসির গান (বন্দুক) কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগারে (সিওডি) এবং গোলাবারুদ রাজেন্দ্রপুরে থাকায় একটু দেরি হচ্ছিল।

বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেড বহরের সম্মুখভাগ পিলখানার প্রধান ফটকে পৌঁছালে বিডিআর সদস্যরা ভেতর থেকে গুলি করেন। এতে বাইরে অবস্থানরত দুই সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হন। একজন পরে মারা যান।

সাড়ে ১১টার দিকে পিলখানার ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মেজর ইমরানের নেতৃত্বে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ব্রিগেড কমান্ডার আনোয়ারের নেতৃত্বে দুটি ব্যাটারি (উপদল) এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড পাঠানো হয়। সিলেটে অবস্থানরত প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের প্যারা কমান্ডোদেরও প্রস্তুত হতে বলা হয়।

জবানবন্দিতে তত্কালীন সেনাপ্রধান বলেন, ‘এর মধ্যেই সাড়ে ১১টার প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি) থেকে আমাকে জানানো হয় গোলাগুলি না করার জন্য। বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংসদ মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহ দমনের জন্য আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

দুপুর ১২টার দিকে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডের দল দুটি নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছায়। তারা হেলিকপ্টার নিয়ে চক্কর দেওয়ার সময় বিদ্রোহী জওয়ানরা নিচ থেকে গুলি ছুড়লে তা হেলিকপ্টারে লাগে এবং কিছু ক্ষতি হয়। ১২টার দিকে ফরমেশন কমান্ডারদের (ঊর্ধ্বতন অধিনায়ক) সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনাপ্রধানকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় যাওয়ার নির্দেশের কথা জানান। সেই অনুযায়ী বেলা একটা ৫০ মিনিটে যমুনায় যান সেনাপ্রধান। এর পরই বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানেরাও যমুনায় আসেন।

প্রধানমন্ত্রী তিন বাহিনীর প্রধানদের কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমঝোতার চেষ্টা চলছে। এ সময় দুজন সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর প্রধানমন্ত্রীকে জানান সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান কয়েকটি বিষয় বিদ্রোহীদের বলার জন্য অনুরোধ করেন। এগুলো হলো, সব অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে, সব জিম্মি সেনা কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে হবে, তারা কোনো সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে কি না, জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিত থাকতে বলেন। কিন্তু বিদ্রোহীরা শুরুতেই তিন বাহিনীর প্রধানদের সামনে আলোচনা করতে আপত্তি জানান।

জবানবন্দিতে সেনাপ্রধান আরও বলেন, বেলা দুইটার দিকে নবাবগঞ্জ সুয়ারেজ লাইনে দুই কর্মকর্তার লাশ পাওয়া যায়। বেলা তিনটা ৪৮ মিনিটে ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে ১২-১৪ জন যমুনায় আসেন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন অল্পবয়স্ক। তাঁদের আচরণ ছিল রূঢ় এবং উত্তেজিতভাবে কথা বলছিলেন। শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে তাঁদের যে সম্মান দেখানোর কথা ছিল, তাঁরা তা দেখাননি। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ১৫ মিনিট সময় দিয়ে বের হয়ে আসেন।

জবানবন্দিতে মইন উ আহমেদ বলেন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে দিয়ে তিনি ডিএডি তৌহিদকে ডেকে আনেন। তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘আমাকে চেনেন। তৌহিদ বলেন, “আপনি সেনাপ্রধান।” জেনারেল মইন তখন জানতে চান, বিডিআরের ডিজি ও অন্য কর্মকর্তারা কোথায় এবং কী অবস্থায় আছেন? জবাবে তৌহিদ জানান, ‘সকাল নয়টা থেকে আমাকে (তৌহিদ) অফিসে তালা দিয়ে রাখে। এখন বের করে নিয়ে আসে। আমি কিছু জানি না।’ তৌহিদকে অন্যদের কাছ থেকে জেনে আসতে বলেন তিনি। এরপর তৌহিদ বৈঠক কক্ষে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। জেনারেল মইন জবানবন্দিতে এ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ‘পরে আমি জানতে পারি, সে আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেছে।’ জেনারেল মইন আবারও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে দিয়ে তৌহিদকে ডেকে আনেন। তখন তৌহিদ বলেন, ‘বাকিরা সবাই জানে কিন্তু তারা কিছু বলছে না।’ সন্ধ্যা ছয়টা ৩৭ মিনিটে যমুনা থেকে বের হয়ে যান বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা।

রাত সাড়ে ১০টায় সেনাপ্রধান জানতে পারেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের আত্মসমর্পণের জন্য পিলখানার ভেতরে যাবেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিন কর্মকর্তার পরিবার ও পাঁচ ডিএডির পরিবারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

জবানবন্দির প্রায় শেষ অংশে মইন উ আহমেদ বলেন, ‘আমার ধারণা, আমার ট্রুপস পৌঁছার আগেই অর্থাত্ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই বিডিআররা বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে।’

মইন উ আহমেদ জবানবন্দিতে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে বিডিআর সদস্যরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে অল্প কিছু গোলাবারুদ জমা দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্রোহ চালিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ এবং সাভার থেকে ট্যাংক আসার খবর পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। রাতের আঁঁধারে বিডিআর সদস্যরা ৫ নম্বর ফটক দিয়ে ও পাশের অন্যান্য এলাকা দিয়ে পালিয়ে যান। ২৭ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ঢুকে তিনি ‘এক অবর্ণনীয়, বীভত্স হত্যাযজ্ঞ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন প্রকারের নির্যাতনের চিহ্ন’ দেখতে পান।



নৌবাহিনীর প্রধানের জবানবন্দি

নৌবাহিনীর প্রধান জহির উদ্দিন আহমেদ জবানবন্দিতে বলেন, সকাল ১০টায় পরিচালক ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তিনি বিডিআরে গন্ডগোলের খবর পান। বেলা একটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় যেতে বলা হয়। তিনি তখনই সেখানে যান। ঘণ্টা খানেক পর প্রধানমন্ত্রী নিচে এসে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের মতামত জানতে চান। তিনি আমাদের বলেন, দুটি পথ খোলা আছে, সমঝোতা না হয় সামরিক অভিযান। কিন্তু ভেতরের অবস্থা বোঝা না যাওয়ায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব ছিল না। পরে আমরা সমঝোতা করা ঠিক হবে বলে মত দিই। কিন্তু একই সঙ্গে সমঝোতা না হলে সামরিক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কঠোর হস্তে বিদ্রোহ দমনের মতামত দিই। পরে প্রধানমন্ত্রী বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে তিনি বলেন, বিডিআর সদস্যরা সমঝোতার জন্য আসবে।’

কিছুক্ষণ পর ১২-১৪ জন বিডিআর সদস্য আসেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ স্বরে এবং উত্তেজিত অবস্থায় কথা বলছিলেন। এ সময় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা তাঁদের দাবিদাওয়ার মধ্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে দিতে এবং সংসদে পাস করে দিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁদের কাছে বিডিআরের কর্মকর্তাদের কথা জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, সবাই ভালো আছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করার এবং কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারদের তক্ষুনি ছেড়ে দিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘এখনই পিলখানায় ফোন করে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দাও।’ এরপর তিনি তিন বাহিনীর প্রধানদের দেখিয়ে বলেন, তোমরা আত্মসমর্পণ না করলে তাঁরা কঠিন অ্যাকশনে যাবেন। আলোচনার সময় বিদ্রোহীরা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার বিষয় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।



বিমানবাহিনী প্রধানের জবানবন্দি

বিমানবাহিনীর প্রধান শাহ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জবানবন্দিতে বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক তাঁকে ফোন করে বলেন, বিডিআরে কিছু সমস্যা হয়েছে। তারেক জানতে চান, হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে কি না। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে। পাইলটরা গাছের ফাঁকে অসংখ্য বিডিআর সদস্যকে দেখা যাচ্ছে বলে খবর দেন।

বেলা সাড়ে ১১টা-১২টার দিকে সরকার থেকে নির্দেশনা আসে, পিলখানার ভেতরে বিডিআর সদস্যদের আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে লিফলেট ছড়ানোর জন্য। সোয়া ১২টার দিকে আরেকটি হেলিকপ্টার লিফলেট ছড়াতে যায়। এ সময় বিডিআর সদস্যরা গুলি করলে হেলিকপ্টারের জ্বালানি ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিমানবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ আমরা মিটিংয়ে বসি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেন। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করি, ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহিনী কাজ করতে প্রস্তুত আছে। এ সময় মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ আরও কয়েকজন নেতা বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন।



কেন এ ঘটনা ঘটল :

এ ব্যাপারে বিভিনন বিশ্লেষন এসেছে বিভিনন দিক থেকে

অনেকে বিশলেষন করার চেষটা করেছেন : এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য হতে পারে বাংলাদেশের বীরোচিত সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিডিআরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে মুছে দেওয়া। আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে দুর্বল করা। সীমান্তকে বিপজ্জনকভাবে অরক্ষিত করা, জাতিকে অস্থিতিশীল করা।মানুষ আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বিডিআর হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। বিডিআর সদস্যদের সাধারণ অসন্তোষ ও অভিযোগের ফল, কিংবা নিছক ডাল-ভাত কর্মসূচির হিসাবের গরমিলের বিস্ফোরণও নয়। অনেকেই বিশ্বাস করে এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। দেশের ও বাইরের অপশক্তির যোগসাজশের কথাও বলেছে অনেকে।

যে সব অফিসারদের হত্যা করা হয় তারা বিএনপি আমলে পদোননতি পাওয়া অফিসার এবং শুনা যায় অনেকেই বিএনপির প্রতি দূর্বেবল ছিল ! হাসীনা ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই এ দের সবাইকে কেন বিডিআরে বদলি করা হল ? কাউকে কাউকে ঘটনার দুই এক দিন আগেই বদলি করা হয়েছিল কেন ?
তাহলে কি হাসীনা তার পথের কাটা দূর করার প্রচেষটার প্রথম উদ্যোগটি সেনা বাহিনীতেই নিয়েছিলেন
আবার অনেকে বলার চেষটা করেছেন: ২০০১- ২০০৬ এ বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশের মাটিতে উলফার চলাচল ছিল অনেকটা নির্বীঘনে ! উলফার সাথে তৎকালীন সকারেরর প্রভাবশালী মহল বিডিআর সেনা বা হিনীর কারাে কারাে সাথে যোগাযোগ ছিল এবং উলফা সেকাহন থেকে সাহা্য্যও পেয়েছে এমন তথ্য ভারতের কাছে আছে ! ভারত চেয়েছে বিডিআর সেনাবা হিনী দুটোকেই পংগু করে নতুন বিডিআর সেনা বা হিনী পুনর্বিণ্যাস করে উলফার প্রভাব বাংলাদেশের এ দুটো সংসথায় নি:শেষ করা !
অনেকে বিশ্লেষন করেছেন : সিলেটের পাদুয়া আর রংপুরের রৌমারী সিমানতে বাংলাদেশ সেনা অফিসারের নেতৃও্বে অপারেশনে বিডিআরদের হাতে বিএসএফ চরমভাবে পরাজিত ও তাদের ৫০ জন থেকে ১৫০ জনের প্রানহানী ঘটনার এটা ছিল ভারতের প্রতিশােধ !


ঘটনার পর এফবিআই এ র একটি তদনত দল এসেছিল ঘটনা তদনত করতে ; ঘটনা শুনেই তারা মনতব্য করল অসমভব ! শুধু মাএ দাবি দাওয়ার জন্যে এ ঘটনা ঘটেনি ।
বিডিআর ঘটনা সমপর্কে আওয়ামি লীগের পক্ষ থেকে বলা হয় এ র পিছনে তার পেছনে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআইয়ের হাত রয়েছে। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় রাজনীতিক সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মাধ্যমে গোয়েন্দা দপ্তরটি ৪০ কোটি টাকা বিতরণ করে। মূল লক্ষ্য ছিল, এই টাকা ব্যবহার করে বিডিআরের সদস্যদের মধ্যে সদ্য নির্বাচিত হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দেওয়া এবং সেই সরকারের পতন ঘটানো !

অনেকে আবার বিশ্লেষন করার চেষটা করেছেন১/১১ এ র সময় সেনা বাহিনীর হাতে নিগৃহীত আওয়ামি লীগের নেতারা বিডিআর এ র ক্ষোভকে পুজি করে সেনা বা হিনীর উপর প্রতিশোধ নিয়েছেন শেখ হাসিনাকে অনধকারে রেখেই !



তৎকালিন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের মতে
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী, বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক ফজলুর রহমানসহ আরও কয়েকজন। পাকিস্তানভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এ ঘটনার পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছিল।
সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, সরকার এ হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এরাই যে মূল হোতা, এ ব্যাপারে কীভাবে জানলেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, এসব মূল হোতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনের ওয়েসবাইটে খবর প্রকাশ হয়েছে। সেখান থেকে তারা এটা জানতে পেয়েছে। এ বিষয়টি সরকার খতিয়ে দেখছে।

বিডিার বিদ্রোহ সমপর্কে শেখ হাসিনার মন্তব্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের দিন লন্ডন থেকে তারেক রহমান ফোন করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন। বিদ্রোহ শুরুর আগেই খালেদা জিয়া সকালে বাড়ি ছাড়েন। আর তারেক রহমান লন্ডন সময় রাত একটায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ সাতটা) ৪৫ বার ফোন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওই দিনের ঘটনা দেখে প্রতীয়মান হয়, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা জিয়ার যোগসূত্র ছিল।




এশিয়া টাইমসে শ্রীরাম চাওলা ঘটনাটির বিশ্লেষন করেছেন এ ভাবে

Power play behind Bangladesh's mutiny

As the body count from the bloody mutiny by the Bangladesh Rifles (BDR) crosses 140 amid the exhuming of fresh graves, questions arise whether this pre-planned event could have been motivated by simple economic grievances.

The standard line being disseminated in public about the two-day running battle between the BDR and the Bangladesh army in urban centers of Dhaka, and in Teknaf, Cox's Bazaar, Naikhongchari and Sylhet, is that the rebels were demanding better pay, clearance to participate in lucrative United Nations peacekeeping missions and a change in the command and control structure of the force.

Though these are by no means petty concerns, the scale of the



mutiny and the brutality of its perpetrators were far more vicious than rationally required to press mere economic demands. If pay scales were the principal bone of contention, BDR cadres could easily have resorted to the standard trade union tactic of going missing without leave or refusing to take orders from their superiors. That they could take senior army officers hostage in the BDR headquarters in Dhaka and massacre so many of them suggests strongly that the forces behind the upheaval had their eyes set on a much bigger prize - political power.

The first indication that the BDR revolt was politically driven comes from its timing. Prime Minister Sheikh Hasina had barely settled into her post, taking oath of office on January 6 after her Awami League party swept the general elections which had been long delayed due to military intervention.

For nearly two years before her victory, the Bangladeshi military had taken virtual control of the country in the name of a civilian caretaker government. If the BDR had pent up frustrations owing to economic reasons, why did they not attempt a mutiny when the Bangladesh army was in charge? That they chose to attack just after civilian rule under a secular and liberal leader was restored is one sign of the elaborate plot behind their actions.

Already, hints are emerging that the BDR mutiny enjoyed the secret backing of some Bangladesh army officers who had been sidelined by Army Chief Moeen Ahmed. Ahmed is widely seen as a secular officer who clamped down on the fundamentalist outfits that had been close to the previous civilian regime of Begum Khaleda Zia, the leader of the Bangladesh National Party (BNP).

Ahmed made a commitment to roll back the "Talibanization" of Bangladesh, which was going on for several years of Begum Zia's rule. The latitude and state legitimacy that Begum Zia showered on the Jamaat-e-Islami (JI) and Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh (JMB) had given Islamists free rein to terrorize Bangladesh's Hindu minorities and enforce strict moral restrictions on the country's majority Muslims and secular intellectuals.

Since the 1975 military coup d'etat that overthrew Sheikh Mujibur Rahman's civilian rule in Bangladesh, pro-Islamic forces have gone from strength to strength within the army ranks.

The dictatorships of General Ziaur Rahman (1976-1981) and of General Muhammad Ershad (1982-1986) took Bangladesh down the path of Islamic theocracy and boosted the pelf and power of Islamist officers.

During Begum Zia's second term in office (2001-2006), a large swathe of the Bangladesh army was infiltrated by JI and JMB elements to strengthen the permanent Islamist constituency in the country's most powerful institution. Many rank-and-file and non-commissioned officers of the Bangladesh military today have Islamist educational backgrounds because madrassa (Islamic school) graduates joined in large numbers and brought with them a fundamentalist fervor that coexisted uneasily with the more secular top echelons of the army led by Ahmed.

There is every possibility that the BDR mutiny in Dhaka was backed by "pro-Islam" army officers. This is why it is being rumored that Ahmed will have to carry out yet another purge within the army after the failed uprising.

The geopolitical dimension of internal feuds within the Bangladesh army has to do with the India-Pakistan rivalry in South Asia. From the very beginning, the "pro-Islam" segments of Bangladeshi society and the army had sympathies for Pakistan and opposed the independence of Bangladesh in 1971. The JI leadership was at the forefront of mass atrocities on behalf of the Pakistan army on the eve of Bangladeshi independence. When the secular Hasina returned to power in January, she implemented a bold initiative to seek war crimes prosecutions with UN assistance of the JI figures who spearheaded the killings in 1971.

Just a few days prior to the BDR mutiny, trials had begun against the JI chief, Matiur Rahman Nizami, and nine others for "carrying [out a] massacre during the war of independence in 1971". Hasina's steps against the fundamentalists were based on detailed investigations and a collection of documents over a long period by non-governmental organizations and associations of former freedom fighters. That the JI and JMB would hit back in the form of terrorist attacks or serial bomb blasts in the country was expected, but few thought that they could attempt a mutiny through sympathizers in the army and the BDR.

The BDR itself is staffed entirely by Bangladesh army officers, many of whom have distinctly anti-India and pro-Islamic leanings. In 2005, BDR's chief Jehangir Alam Chowdhary alleged that "some criminal elements from India had colluded with the Bangladeshi groups" to carry out the sensational 500-bomb serial attacks all over the country.

Although all evidence suggested that the attacks were the handiwork of the JI and the JMB, the BDR insisted that the blasts had a sinister foreign hand. The BDR's forces were also been involved in a major security incident along the border with India in 2001, when 16 Indian soldiers were killed. The shared perception of Indian intelligence agencies is that the BDR's lower rung cadres, who executed the massacres in last week's failed mutiny, were completely under the JI and the JMB's ideological sway.

General Ahmed himself was not present in the BDR headquarters when the mutiny broke out, but he was a likely target of the plotters because of his perceived secular and pro-India character. In March 2008, he visited India and met the top civilian and military leadership, generating newfound confidence in New Delhi that they could do business with him. The assessment in India for the past two years has been that the caretaker government under Ahmed's supervision was cracking down on the "pro-Islam" juggernaut that had gone on the rampage during Begum Zia's rule.
The master plan of "Talibanizing" Bangladesh with state power and the backing of religious sections of the army and the BDR fell flat when Ahmed shepherded the transition to democracy in December 2008 and installed the secular Sheikh Hasina in power. The election of Hasina was a severe blow to jihadi sections in Bangladeshi society, the army and the paramilitaries who were intent on Islamizing the country along the model of Taliban-ruled Afghanistan. If there was a combine which badly wanted to stage yet another coup d'etat, it was this coalition of "Islam-pasand" ("Fond of Islam" in Bengali) elements desirous of a counter-revolution against Hasina's government.

Hasina's government and Ahmed's army are obviously going to try to get to the root of the matter in the following days, and they will probe Indian "leaks" of a Pakistani hand in the affair. What is certain is that the BDR putsch had grand religious and geopolitical causes which are far more profound than the relative trifle of a salary raise.

( Sreeram Chaulia is a researcher on international affairs at the Maxwell School of Citizenship and Public Affairs in Syracuse, New York.)




চমকে উঠার মত -

ডেইলি স্টার সহ বেশ কিছু সংবাদপএ জানায় " আত্নমর্পনের পর জবদকৃত দুইটি বাইনকুলার কিছু মেশিন গান গ্রেনেড ও অন্যান্য কিছু অস্ত্র সস্ত্র পরিক্ষা করে দেখে গেছে বিডিআর ও বাংলাদেশ সেনা বা হিনী এ গুলো ব্যব হার করে না !

"Particularly the two binoculars, and mechinegun holding belts seized along with the grenades, firearms and ammunitions recovered from the scene, are not used by BDR or army," a security official said, adding "other parties" imported them inside the BDR headquarters to be used during the mutiny.

ঘটনার তদনত

সামরিক তদনত

কোর্টার মাষটার লেফটেন্যানট জেনারেল মোহামমদ জাহাংগীর আলম চৌধুরীর নেতৃও্বে ৭ সদস্যের সামরিক তদনত টিম
( সামরিক তদন্ত রিপোরর্টের এক কপি মঈন ইউ আহমেদ আর এক কপি প্রধামনএীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে ! সামরিক তদন্তের পুরো রিপোর্টটি প্রকাশিত হয় নি।তদন্ত রিপোর্টের কিছু অংশ ও সুপারিশ কেবল প্রকাশ করা হয়েছে !


অবসরপ্রাপত সচীব জনাব আনিসুজজামান খানের নেতৃও্বে ১২ সদস্যের তদন্ত


সামরিক আর বেসামরিক দুটো তদন্তেতেই বলা হয়েছে ঘটনার নেপথ্য সনাক্ত হয় নি

The home ministry’s probe committee led by retired secretary Anis-uz Zaman Khan could not ascertain the real cause and motive for the rebellion and killings at the headquarters of the then Bangladesh Rifles and suggested further investigation to identify the plotters.

(See more at: Click This Link)

সরকারি তদন্ত রিপোর্টের ১৯ নমবরে বলা হয়েছে

What is the cause of the mutiny?
The real cause and motive behind the barbaric incident could not be established beyond doubt. The committee feels that further investigation is required to unearth the real cause behind the incident. The negative attitude among the general BDR members towards the army officers, and their discontent over unfulfilled demands may be identified as the primary cause of the mutiny. Analysis of these demands give the impression that such small demands can not be the main cause of such a heinous incident. These points have been used to influence the general BDR soldiers. The main conspirators may have used these causes to instigate this incident, they themselves working from behind curtains to destabilise the nation.

" তদন্ত কমিটি নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে পারেনি। কিন্তু কমিটি বিশ্বাস করে শুধু বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে এঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিলনা।বিডিআর জওয়ানদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র।কমিটি মনে করে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, প্রকৃত অপরাধী পর্দার অন্তরালে রয়েছে ! "

উকিলিকসের ফাসকৃত তথ্য থেকে


B. DHAKA 222
C. DHAKA 218
D. DHAKA 213
E. DHAKA 210
F. DHAKA 207
G. DHAKA 204

Classified By: Ambassador James F. Moriarty, reasons 1.4 (b&d)

Investigations into the February 25-26 mutiny in the
Bangladesh Rifles (BDR) continue, A two-person FBI team from Embassy New Delhi
arrived to consult with Government of Bangladesh (GOB)
investigators amid intense media scrutiny. Former Chief of
Army Staff and President H.M. Ershad told the Ambassador that
the Army was aware of unrest within the BDR in the days
before the mutiny and that lives could have been saved if
Prime Minister Sheikh Hasina had called in the Army as soon
as the mutiny started. Ershad, however, backed off earlier
suggestions that the Government of India (GOI) might have
been behind the mutiny.

NO CONCLUSIONS YET FROM THREE INVESTIGATIONS
--------------------------------------------
Twelve days after the border guard mutiny that left
as many as 74 dead, three separate ongoing
investigations/inquiries have yet to offer any conclusions.
The government-appointed commission headed by retired civil
servant Anissuzzaman Khan asked March 8 for an additional two
weeks to report (it was originally tasked to present its
findings March 9), while the separate police and army
investigations continue.


SECOND-GUESSING THE PRIME MINISTER'S RESPONSE TO THE MUTINY
--------------------------------------------- ----
Leading figures in Bangladesh continue to
second-guess the Prime Minister's actions in the early hours
of the mutiny. Former Chief of Army Staff and President H.M.
Ershad told the Ambassador March 9 that if the Prime Minister
had called in the Army the morning of February 25, shortly
after the mutiny started, the mutineers would have dropped
their arms and far fewer people would have died.
Ershad also offered the only concrete evidence we
have seen thus far that at least some Army officers knew of
the potential for unrest within the BDR. Ershad read to the
Ambassador a text message written by Ershad's nephew, an Army
colonel serving as BDR sector commander in Dinajpur, who
perished in the mutiny. Ershad's nephew sent the text

DHAKA 00000254 002 OF 003


message to the four battalion commanders in his sector on
February 21, almost a week before the mutiny. In his
message, Ershad's nephew urged the battalion commanders to
"be vigilant," as "subversive activities" were taking place
in the BDR that could result in trouble during BDR Week.
(NOTE: The mutiny occurred during BDR Week, when almost all
BDR commanding officers seconded from the Army were gathered
in Dhaka. END NOTE.)
One dog, however, did not bark during Ershad's
conversation with the Ambassador. The former President
studiously avoided pointing the finger of blame at any
external forces. This was in marked contrast to his phone
conversation with the Ambassador on February 28, when Ershad
strongly implied that India had somehow been behind the
mutiny.

COMMENT
-------

12. (C) Tempers have cooled somewhat. Ershad is extremely
plugged-in with the serving military. His backing away from
his earlier suggestions that the GOI was behind the mutiny
might reflect a growing recognition among some officers that
perhaps there was no external hand behind the mutiny. Still,
tension remains. The Awami League government continues to
put loyalists in key positions, and all hopes of politicians
rising above partisanship in the wake of this national
tragedy have vanished. We continue to urge transparency and
moderation in the GOB response to the mutiny; expert
technical assistance like that the FBI, or other USG
representatives, can provide will help reinforce this message.

MORIARTY


তাহলে নেপথ্যে প্রকৃত অপরাধী কে ?

কেন সব তদন্ত টিম নেপথ্য অপরাধিকে বের করতে অপারগতা জানাল ?


বিডি আর জোয়ানরা যে সেনা অফিসারের্ চোখের উপর তাকিয়ে কথা বলার সাহস পায় ! সেনা অফিসার হত্যা করার এত বড় সাহস নিজ থেকে পেয়েছে না তদেরকে কেউ সাহস দিয়েছে ? কি মনে হয় !
নানক সাহরা খাতুন বিডিার ক্যামপের ভীতরে গেলেন নির্ভয়ে ! ভিতরে কি হচছে সেটা না জেনে নির্ভয়ে তারা ভিতরে গেলেন ! কিভাবে নিশচিত হলেন বিডিআররা তাদের কোন ক্ষতি করবে না !


বিডিআররা যেসব রাজনীতিবিদের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়েছে তারা সবাই আওয়ামি লিগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ র বাইরে কোন সংগঠনের ব্যাক্তির সাথে তারা মিটিং করেছে কোন তদন্তেই তা আসে নি ! বিএনপি নেতা পিনটু বিডিআরদের পালিয়ে যেতে স হ যোগিতা করেছে এমন অভিযোগ করে তাকে গ্রেপতার করা হয় ! কিনতু পিনটুর সাথে বিডিআররা আগে থেকে মিটিং করেছে এমন তথ্য কোন তদন্ত আসে নি !

স্থানীয় আওয়ামি লীগ নেতা অবসরপ্রাপত বিডিআর সুবেদার তোরাব আলি ও আওয়ামি লীগ নেতা মহিউদদীন খান আলমগীরের কল লিষটে তদন্ত টিম দেখতে পেয়েছে তারা দুজনেই ঘটনার দিন ঘন ঘন পিলখানায় টেলিফোন করেছেন ! তোরাব আলির কল লিষটে আরও দেখা গেছে ঘটনার তিনি বার বার টেলিফোন করেছিলেন বিদেশে ! তদন্ত টিম অনেক ক্লু পাওয়ার পরও সে ক্লু ধরে আর সামনে না এগিয়ে তদন্তের ইতি টানলেন কেন ?

তাহলে নেপথ্য কুশিলব কারা ?


বিডিআররা যাদের উপর আস্থাভাজন ছিল শতভাগ ! যাদের ক্ষমতা আর আশ্বাস সামর্থক মনে করেছে ! একান্ত সাক্ষাত্কারে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে : রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না :
তারা কারা?
মেজর(অব:) শাহ আলম যিনি পীলখানা ঘটনায় সেনা বা হিনীর তদনতে সাথে সংশলিষট ছিলেন তিনি জানান সেনা তদনতের প্রায় ৪০০ শত পৃষঠা সরকার আমলে নেয় নি ! তার মতে ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা করে সরকার সেনাবাহিনীকেএকটা ম্যাসেজ দিয়েছে আে সেটি হল আগামীতে রাষট্র রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে এস না ! তার এ বকতব্য খুবই প্রনিধান যোগ্য ! কারন আওয়ামিলীগ সুদুর প্রসারি পরিকলপনা নিয়েই ২০০৮এ ক্ষমতায় এসেছে। আগামিতে তারা কি করবে তার ছক তারা তৈরি করেই ক্ষমতায় আসে ! তও্বাবধায়ক সরকার বাতিল যুদধাপরাধির বিচার দরকার হলে এক দলীয় ইলেকশন ইত্যাদির চিনতা আওয়ামি লীগের মাথায় ছিল এবং তখন দেশের রাজনীতিতে কি রিয়্যাকশন হবে সেটাও তারা উপলবধি করছিল ! আইন শৃংখলার মারাত্নক অবণতি হলে তখন যাতে সেনা বাহিনী হসতক্ষেপ না করে সে জন্যেই সেনা বাহিনীকে একটা ম্যাসেজ দেয়ার প্রয়ােজনী্যতা আওয়ামি লীগ উপলবধি করছিল ! এ লক্ষ্যেই পরবর্তিতে সেনা অভ্যুথানের জন্যে মৃত্যু দনডের বিধানও শাসনতনএে সননিবেশিত করে আওয়ামি লীগ সরকার ! তারা মনে করে তাদের কাজে বাধা যদি সেনা বা হিনী না দেয় তাহলে বাকী শকতিদের ম্যানেজ করা খুব একটা অসুবিধা হবে না !

আদ্যোপান্ত দেখে সনদেহের তীর কোন দিকে যায় ?

বিশ্লেষনটি কি অনেক সরলিকরন হয়ে গেল ?
তাহলে আরও সরলিকরন করে যদি বলা যায় : ঘটনার সাথে পাকিসতান খালেদা আর তারেক জড়িত তাহলে সেটা তো আওয়ামি লীগের জন্যে শাপে বর - খালেদা আর বিএনপি কে ঘায়েল করতে বিডিআর বিদ্রোহর সংশলিষটাতাই তো যথেষট ! খালেদা আর বিএনপিকে ঘায়েল করতে আওয়ামি লীগ কি ইচছা করেই এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করেছে ?

সবচেয়ে সহজ সরিকরন মনে হয় এটিই
একুশে আগষটের নেপথ্য কুশিলব সরকারি তদন্তে বের হতে পারে- বৃটেনের দূত আনোয়ার চৌধরীির উপর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যদের যদি তদন্ত বের করতে পারে আহসানউললাহ মাষটারের হত্যার নেপথ্যদের যদি তদন্ত বের করতে পারে শাহ এ এম এস কিবরিয়ার হত্যার নেপথ্যদের যদি তদন্ত বের করতে পারে কোটালি পাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা পাতার নেপথ্যদের যদি তদন্ত বের করতে পারে উদিচী রমনা বটমুলে হামলার নেপথ্যদের যদি তদন্ত বের করতে পারে - ৪৫ বছরের বাংলাদেশের ছোট বড় সব ঘটনারই নেপথ্যদের যদি তদন্ত বের করতে পারে তাহলে সাগর রুণী আর পিলখানা হত্যাকানডের নেপথ্যদের কেন বের কার যায় না ? তার মানে নেপথ্য শক্তি ভয়ংকর ভাবে প্রভাবশালি ! নেপথ্য শক্তিকে বের করা সমভব না হওয়াটা তদনত কমিটির সক্ষমতার অভাব না সাহসের অভাব ? কি মনে হয় -


এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোন ঘটনার পিছন দুটি নেপথ্য শক্তি থাকলে তাদের বের করে এনে জনসমমুখে তাদের প্রকাশ করা অসমভব তা যত শকতিশালী টিমই হোক না কেন !

কোন সেই শক্তি ?

১ নং ভারত - ২ নং হাসিনা সরকার

আর বিএনপি জড়িত থাকলে ?

কি মনে হয় ?



এনি কমেন্টস :--:



তথ্য সুএ :-
ডেইলি স্টার
নিউ এজ
প্রথম আলো
এশিয়া টাইমস
উই কিলিসস

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেশ বড় পোস্ট। পুরোটা পড়া শেষ করতে পারলাম না।এরকম বিস্তারিত পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু কমিটি বিশ্বাস করেছিল শুধু বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে এ ঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিল না। বিডিআর জওয়ানদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, ওই কমিটি মনে করেছিল প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, প্রকৃত অপরাধী পর্দার অন্তরালে রয়েছে।

কথাগুলোর প্রতি সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.