নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লজিক মানুষকে সত্যের সন্ধান দেয়-- I assign to logic the task of discovering the laws of truth, not of assertion or thought.-- Gottlob Frege (1848-1925).

লালূ

The weak can never forgive. Forgiveness is the attribute of the strong-Mahatma Gandhi

লালূ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবিক চেতনা : অসাম্প্রদায়িক চেতনা : একাত্তরের চেতনা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩০



-------------------------------------------------------------------------

সামহোয়্যার ইন ব্লগ নেট কর্তৃক

*******************আমি প্রথম পাতায় ব্যান্ড****************
***************আমি কারো পোস্টে কমেন্ট করতে ব্যান্ড*********

-------------------------------------------------------------------------------


যে সরকার প্রধানের ' বিয়াই-মন্ত্রী ' হিন্দু বাড়ি দখল করে সে সরকার সাম্প্রদায়িক সরকার। আওয়ামি অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত গবেষনায় দেখিয়েছেন সংখ্যালঘুদের সমপওি সবচেয়ে বেশি দখল করে আছে আওয়ামি লীগের নেতা কর্মী ! পাকিসতান আমলে পুর্ব পাকিসতানে হিন্দু জনসংখা ছিল ২০% । স্বাধীনতার পর এ সংখ্যা কমতে কমতে হাসিনার আমলে ঠেকেছে ৫% এ ! পাকিসতান আমলে হিন্দুরা তুলনামুলভাবে এখনকার চেয়ে বেশি নিরাপদে ছিল ! মিথ্যা বললাম কি ?
সশস্ত্র যুদধ আর রাজাকার ফাসীর মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাষট্র কায়েম হয় না। অসাম্প্রদায়িক রাষট্র কায়েম হয় মানবিক চেতনার মাধ্যমে ! মানুষকে হীংসায় তাড়িত করা সহজ কাজ - মানবিক চেতনায় তাড়িত করা সবচেয়ে কঠিন কাজ।আমাদের রাজনীতিবিদরা সহজ কাজটি বেছে নিয়েছে ! তাই দেখা যায় একাত্তরের চেতনার নামে হীংসা - রাজনীতির নামে হিংসা - ক্ষমতায় টিকে থাকার মাধ্যম হিসাবে হিংসা - এমনিভাবে হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে আমাদের রাজনীতি রাজনীতিবিদ - চারপাশ !
হীংসার skeleton এর উপর উন্নয়নের আবরনে মানুষের সমাজ গড়ে উঠে না !

পাকিসতান আমলে হিনদু জনগোেষঠি ছিল ২০% । স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে হিনদু জনসংখ্যা কমতে কমতে হাসিনার আমলে এসে ঠেকেছে ৫% ! আওয়ামি লীগ বিএনপির আমল সমতালে চালিয়েছে সংখালঘুদের উপর নির্যাতন ! সংখা লঘুদের উপর অত্যাচারে মাঠ আওয়য়ামি লীগ বিএনপি ও ধর্মান্ধ গােষঠি এক হয়ে তারা যৌথ বাহিনী তৈরি করে ঝাপিয়ে পড়েছে সংখ্যালগুর উপর - সমপদ লুট করেছে বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে মেয়েদের ধর্ষন করেছে !
দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত রাষট্র পাকিসতানে হিন্দুরা যত নিরাপদে ছিল অসামপ্রদায়িক তত্ত্বের উপর গঠিত রাষট্রে হিনদুরা তত নিরাপদ নয় । কারন কি? মানবিক চরিত্রের উপর জাতি ধর্মের পরিচয় গ্রোথিত না হলে ফলাফল ভয়ংকর ! এই মানবিক চরিত্র স্বাধীনতার পর এ জাতির নি:শেষিত হয়ে এখন শুণ্যের উপর রাজনৈতিক নেতারা একাত্তরের চেতনা অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষঠা করছে আর ধর্মগুরুরা প্রতিষঠা করছে ধর্মীয় চেতনা । ফলাফল চেতনাগুলো মানবিক পিলার না পেয়ে হীংসাশ্রয়ী হয়ে মানুষের উপর আছড়ে পড়ছে ! !

পুনশচ:
স্বাধীনতার পর পর ড: নিলীমা ইব্রাহীম শেখ সাহেবের সাথে দেখা করে জানতে চেয়েছিলেন " আমাদের যুদধ শিশুর মর্যাদা কি হবে " ! শেখ সাহেব বলেছিলেন " এসব দুষিত রক্ত বাংলার মাটিতে আমি দেখতে চাইনা ! সবাইকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দাও " ! পড়ুন ড: নিলীমা ইব্রাহীমের বই " আমি বীরংগনা বলছি " !
হল্যানড ক্যানাডা ও মাদার তেরেসার চ্যারিটি অর্গানাইজেশন একাত্তরের যুদধ শিশুদের সবাইকে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দিল । স্বাধীন জাতির কোন এক ব্যক্তি কোন একটি সংগঠন যুদধ শিশুদের পাশে এসে দাড়াল না !
জাতির মানবিকতার ধ্বস নামা শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই আর সেটা এখন তলানীতে এসে ঠেকেছে ! তলানীতে ঠেকে যাওয়া চেতনার উপর কোন চেতনা কায়েম করবেন - একাত্তরের চেতনা : অসাম্প্রদায়িক চেতনা : ধর্মীয় চেতনা ! সব চেতনাই ছোবল মারবে আশ পাশ - যাকেই সে অপছন্দ করবে !

সবশেষে প্রশন : হজজ্ব নিয়ে ইসলামের অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার কারনে লতিফ সিদদীকির মন্ত্রীও্ব চলে গেলে " মালাউন " বলে হিন্দুদের অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার কারনে ছায়েদুল হকের মন্ত্রীও্ব যাবে না ?
একদিকে অনুভুতিতে আঘাতের এ্যাকশন নিবেন আর এক দিকে চুপ করে থাকবেন আর ভাববেন দেশ মানবিক রাষট্রে পরিণত হবে উননয়নের যাদুতে - এ আশা দুরাশা !

শেষ বক্তব্য : হীংসা আর লোভকে লালন করে আপনি যে চেতনার কথাই বলুন না কেন - মানবিক চেতনা : অসাম্প্রদায়িক চেতনা : একাত্তরের চেতনা: ধর্মীয় চেতনা চেতনার আবেগ আপনাকে হিংস্রায়ী মানুষ রুপি হায়েনা বানাবে ! আর হায়নাটি চেতনার নামে প্রতিপক্ষকে খুন করে ফাসী দিয়ে আগুনে পুড়ে নি:শেষ করে শান্ত হবে এবং তাই হচছে বাংলাদেশে একাওরের নামে ধর্মের নামে রাজনীতির নামে !

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৫

নুসরাত ইরা ৯৫ বলেছেন: যৌক্তিক লেখা।। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.