নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লজিক মানুষকে সত্যের সন্ধান দেয়-- I assign to logic the task of discovering the laws of truth, not of assertion or thought.-- Gottlob Frege (1848-1925).

লালূ

The weak can never forgive. Forgiveness is the attribute of the strong-Mahatma Gandhi

লালূ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর : ভারতের দৃষটি ভংগী ও প্রতিক্রিয়া

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯





-------------------------------------------------------------------------

সামহোয়্যার ব্লগ নেট কর্তৃক

*********************আমি প্রথম পাতায় ব্যান্ড****************
***************আমি কারো পোস্টে কমেন্ট করতে ব্যান্ড*********

-------------------------------------------------------------------------------


ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার আত্মজীবনী দ্য ড্রামাটিক ডিকেড: দ্য ইন্দিরা গান্ধী ইয়ার্স গ্রন্থে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ঘটনা এ ভাবে বর্ননা করেছেন
" ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর গোধূলিলগ্নে পাকিস্তান আগবাড়িয়ে ভারতের ওপর অতর্কিতে বিমান হামলা চালায়, যার চরিত্র ছিল নিবৃত্তিমূলক। বিবিসির খবর অনুসারে: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে লড়াই চলছিল, তা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের জেট বিমান ভারতের অন্তত চারটি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। এই মর্মে আরও খবর আসতে শুরু করেছে যে আটটি বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রাথমিক প্রতিবেদন বেশ অস্পষ্ট ছিল। কিন্তু দুই দেশের রাজধানীই এটা নিশ্চিত করেছে যে ভারতের অমৃতসর, পাঠানকোট, অবন্তিপুর ও শ্রীনগর বিমানবন্দরে হামলা হয়েছে...ভারত সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
এভাবেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ১৩ দিনের এক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, । এরপর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে, সেদিন ইন্দিরা গান্ধী লোকসভায় ঘোষণা দেন:
মাননীয় স্পিকার, আমাকে একটি ঘোষণা দিতে হবে, যার জন্য হাউস কিছুদিন ধরে অপেক্ষা করে আছে বলে আমি মনে করি। পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ঢাকায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে। আজ ভারতীয় মান সময় ১৬টা ৩১ মিনিটে লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছেন।"


১৯৭১ সলের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধোদের বিজয় সমপর্কে সেদিন ভারতের গনমাধ্যম আর রাজনীতিবিদদের কনঠ ছিল অসপষট ! বাংদেশের মুকতিযুদধকে অনুচচারিত রেখে পাকিসতানের বিরুদ্ধে তাদের বিজয়ে বেশি উললসিত হয়ে পড়ে ! লোকসভায় দেয়া ইন্দিরা গান্ধীর বিবৃতিতে সে মনােভংগীই প্রতিধ্বনীত হয় ! সেদিন ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুযুদ্ধের বিজয় সমপর্কে নিয়ে লোকসভায় কোন কথাই বলেন নি !
১৬ই ডিসেম্বরকে ভারত এখনও তাদের বিজয় দিবস হিসাবে চিহ্নিত করে - আবার ভারতের অনেক ইতিহাসবিদ এও বলেন " ভারত পাকিসতান যুদ্ধে ভারতের বিজয়ের মাধ্যমে অভ্যুদয় হয় স্বাধীন বাংলাদেশের ! ১৬ই ডিসেমবর আমাদের বিজয় দিবসকে ভারত পাকিসতানের সাথে যুদধে তাদের বিজয় দিবস বলে । পাকিসতানের সাথে ভারতের যুদধ হয় পুর্ব ও পশচিম রণাংগনে । পশচিম রণাংগনে ভারতীয় বা হিনী ছিল মুল বা হিনী সেখানে পাকিসতানের বিরুদধে ভারত জয়ী হয় নি । পুর্ব রণাংগনে মুল বা হিনী ছিল বাংলাদেশের মুকতি বাহিনী আর ভারত ছিল তাদের সাহা্য্যকারি মিত্র বা হিনী । পুর্ব রণাংগনে নে যে বিজয় হয়েছে ঐ বিজয় মুলত: মুল বাহিনীর মিত্রবাহিনির নয় !
নাসীর উদদীন ইউসুফ সহ বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের এ দৃষটিভংগীর প্রতিবাদ করেছেন ! কিছুই হয় নি ! ভারত অনঢ় তার অবস্থানে !
এভাবেই -
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অপমানিত হয় বিজয়ের প্রথম দিনেই ! জে: ওসমানীর বহন কারি হেলিকপটারে গুলি করে ভারত মুকতিযুদধের সর্বাধিনায়ক জে: ওসমানীকে ঢাকায় আসতে দেয়নি ! আত্মসমর্পণ অনুষঠানে মুক্তিযুদ্ধের আর এক নেতা এ কে খনদকারকে দাড়িয়ে রাখা হয়েছিল পিছনের সারীতে -! এ কে খনদকার সেদিন আত্মসমর্পণের দলিলে নিয়াজি আর অরােরার স্বাক্ষর অবলোকন করেন দাড়িয়ে দাড়িয়ে ! নিয়াজি ও অরোরার এ স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশের মানুষকে জানিয়ে দিল " মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ি হয়েছি বিনিময়ে তোমরা ভুখনড পেলে ! "

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


একজন ভারতীয় পাকিস্তান ও ভারতের যুদ্ধের কথা লিখবে, এটা সাধারণ।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

লালূ বলেছেন: তা করুক ! তাই বলে আমাদের মুকতিযুদধের বিজয়কে হাইজ্যাক করে ? ১৬ই ডিসেমবর আমাদের মুকতিযুদধের বিজয়কেও পাশাপাশি স্বীকৃতি দিতে পারত ভারত ! কিনতু সেটা ভারত করে নি !
ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল । বাংলাদেশেরর মুকতিযুদধের বিজয়কে ভারত স্বীকৃতি দিলনা ! দু:খটা এখানেই ! তারপরও বলা হয় ভারত আমাদের মুকতিযুদধের পরিক্ষিত বনধু ! বনধু বনধুকে টাকা পয়সা কামাই করতে সাহায্য করে শেষ মেষ যদি বলে তোমার ঐ অর্জিত টাকার মালিকানা আমার ব্যাপারটি কেমন দাড়ায় !

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

লালূ বলেছেন: পাকিসতানের সাথে ১৯৭১ এ ভারত যুদধ করে পশচিম ও পুর্ব রণাংগনে ।পশচিম রণাংগনে পাকিসতানের বিরুদধে ভারতীয় বাহিনী ছিল মুলবাহিনী ! কিনতু পুর্ব রণাংগনে পাকিসতানের বিরুদধে মুলবাহিনী ছিল বাংলাদেশের মুকতিবাহিনী ! ।ভারত ছিল মিত্রবাহিনী! বিজয় হলে বিজয়টা মুলত: কার হবে ? মুল বাহিনীর না মিত্রবাহিনীর?কিনতু দিন দেখা গেল বিজয়ের দিন মিত্র বাহিনী হয়ে গেল মুল বাহিনী আর মুলবাহিনী হয়ে গেল মিত্র বাহিনী! মনে রাখা দরকার পশচিম রণাংগনে ভারত পাকিসতানের বিরুদধে যুদধে বিজয়ি হয়নি ! পুর্ব রণাংগনে বিজয় হয়েছে ! সে বিজয়টা মুলত: কার ? মুল বাহিনীর না মিত্রবাহিনীর ?
পুর্ব রণাংগনে বিজয়ের কারনে ভারত যদি ১৬ই ডিসেমবরকে তার বিজয় দিবস পালন করে সেটা কি আমাদের মুকতিযুদধের বিজয়কে কটাক্ষ নয় ?

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

লালূ বলেছেন: ড: সলিমুললাহ খানের মতে ভারতীয় সেনা বাহিনী পশচিম রণাংগনে পাকিসতানের বিরুদধে ১ আনা বিজয়ও অর্জন করতে পারে নি কিনতু ১০ দিনেই পুর্ব রণাংগনে তার যে শত ভাগ বিজয়ি হয় তার কারন বাংলাদেশের জ ন গনের সমর্থন সাহায্য !অথচ ভারতের কোন সমরবিদ কোন লেখকের কথায় বাংলাদেশের জনগনের সে ভুমিকার কোন প্রশংসা করা হয় নি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.