নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লজিক মানুষকে সত্যের সন্ধান দেয়-- I assign to logic the task of discovering the laws of truth, not of assertion or thought.-- Gottlob Frege (1848-1925).

লালূ

The weak can never forgive. Forgiveness is the attribute of the strong-Mahatma Gandhi

লালূ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিডিআর বিদ্রোহের চুমবক অংশ

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৯


--------------------------------------------------------------
সামহোয়্যার ইন ব্লগ নেট কর্তৃক

*******************আমি প্রথম পাতায় ব্যান্ড****************
***************আমি কারো পোস্টে কমেন্ট করতে ব্যান্ড*********

-------------------------------------------------------------------------------
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহ সংগঠিত হয় ! এ ঘটনায়
সেনাবাহিনীর ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয় ! স্বজাতি স্বধর্ম স্বগোত্র স্বভাষীর উপর স্বজাতি স্বধর্ম স্বগোত্র স্বভাষীর এমন নারকীয় হত্যাকানড পৃথিবীতে নজির নেই ! দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন হত্যাযজ্ঞ চলে এক পৈশাচিক উন্মাদনায়। বিডিআররা তাদের দাবি নিয়ে ঘটনার আগেই যাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন তারা হলেন এডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ সেলিম , ফজলে নুর তাপস , জাহাংগীর কবির , নানক মির্জা আযম ! এ রা সবাই আওয়ামি লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত !

২০১৪ এ র ২৫ শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বিডিআর বিদ্রোহের পনচম বার্ষীকিতে স্মরণ সভায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত লে. কর্নেল লুৎফর রহমানের মেয়ে ফাবলিহা বুশরা বলেন " বিচার হলো, কিন্তু জানতে পারলাম না কারা আমার বাবাকে খুন করেছে।"
তাঁর কথায় সুর মেলালেন আরও কয়েকজন নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী ও পুত্র-কন্যারা।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও একই দাবি জানান। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তদন্ত কমিটির একটি ধারা পড়ে বলেন," তদন্ত কমিটি নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে পারেনি। কিন্তু কমিটি বিশ্বাস করেছিল শুধু বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে এ ঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিল না। বিডিআর জওয়ানদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, ওই কমিটি মনে করেছিল প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, প্রকৃত অপরাধী পর্দার অন্তরালে রয়েছে।"

যা প্রশনের উওর আজও অজানা :

১) ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দরবার শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল আটটায়। কিন্তু কেন দরবার এক ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল নয়টায় করা হল ?

২ ) ঘটনার সময় দরবারে থাকা একটি ভিডিও ক্যামেরার কথা সাংবাদিকদের বলেছিলেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু ক্যামেরাটি উদ্ধার করা কেন হয়নি ?

৩) বিদ্রোহের সময় প্রথম যে অস্ত্রটি নিয়ে সিপাহি মঈন দরবারে এসেছিল, সেটি শনাক্ত করা কেন হয়নি ?

৪) বিদ্রোহের সময় সেনা সদস্যরা পিলখানায় এসে গুলি ছুড়েছিলেন বলে সেনাবাহিনীর তদন্তে বলা হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্তে সেটি বলা হয় নি কেন?

৫) তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদের সাক্ষ্য নেয়া হয় নি কেন?

৬ ) অনেক সেনা কর্মকর্তা ঘটনার পর গণমাধ্যমের সামনে নানা বিষয়ে কথা বললেও তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি কেন ?

৭) বিদ্রোহী বিডিআর জোয়ানরা " জয় বাংলা" স্লোগান দিয়েছিল ! কোন পক্ষের পুর্ব আশ্বাস এ স্লোগান দিতে তাদের উৎসাহিত করেছিল ?

৮) বিডিআররা " জয় বাংলা " স্লোগানে দিয়েছিল। একটি রাজনৈতিক দলের স্লোগান দিয়ে বিদ্রোহ করার মনসতাও্বিক সাহস তারা পেল কি ভাবে ?কে তাদের ইনধন দিল ?

১০) ঘটনা তদনতের সময় জাহাংগীরে কবির নানক সীংগাপুরে যাওয়ার প্রসতুতি নিচছিলেন কেন ?

১১) সামরিক তদন্তের রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয় নি ?
১২) কেন সামরিক তদনত রিপোর্টের ১১ হাজার পৃষঠার মধ্যে মাএ ৮ শত পৃষঠা সরকার আমলে নিয়ে রিপোর্টের বাকি অংশ বাতিল করে দিল সরকার ?

বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয় সকাল সাড়ে নয়টায় ! ২০ মিনিটের মধ্যেই পিলখানায় পৌছে র‌্যাব ! অত:পর পর ১০টা ২০ মিনিটে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ৬৮৫ জনের ৪৬ ব্রিগেড পিলখানার দিকে রওনা দেয়। সেনা বাহিনি পিলখানায় পৌছে ১১:৫০ মিনিটে ! ! তাদের এ্যাকশনে যেতে অনুমতি দেয়া হল না কেন ? সরকার থেকে বলা হল আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার করা হবে !
তদনতে বলা হয়েছে গেছে ১২ টার পর বিদ্রোহীরা সেনা অফিসার হত্যা শুরু করে !
কিনতু এর আগেই বিডিআে বিদ্র্বাহীরা মেসেজ পায় সেনা অপারেশন হবে না !



সেনা অপারেশন হলে অফিসারদের জীবন বাচান যেত ?

লে: জে: (অব: ) মীর শওকত আলি সহ সামারিক বিশেষজ্ঞ সবাই তাই মনে করেছিলেন ! তাদের মতে ষেহেতু বিডিআর বিদ্রোহটি কোন চেইন অব কমানড বা নেতৃও্বের মাধ্যমে হয় নাই তাই সেনা এ্যাকশন হলে বিডিআররা বিছছিনন হয়ে পড়ত ! সেনা অফিসার হত্যা কর্মকানড থেকে সরে গিয়ে আত্নরক্ষার্থে তারা তখন ব্যাসত হয়ে পড়ত


সেনা অভিযান হয়নি যে কারণে

তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান শাহ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও নৌবাহিনীর প্রধান জহির উদ্দিন আহমেদের মতে বিডিআর বিদ্রোহের দিন পিলখানার ভেতরের অবস্থা বোঝা না যাওয়ায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

কেন এ ঘটনা ঘটল :

এ ব্যাপারে বিভিনন বিশ্লেষন এসেছে বিভিনন দিক থেকে

অনেকে বিশলেষন করার চেষটা করেছেন : এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য হতে পারে বাংলাদেশের বীরোচিত সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা, কিনতু কেন ? অনেকেই বিশ্বাস করে এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। দেশের ও বাইরের অপশক্তির যৌথ যোগসাজগে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে ।

যে সব অফিসারদের হত্যা করা হয় তারা বিএনপি আমলে পদোননতি পাওয়া অফিসার এবং শুনা যায় অনেকেই বিএনপির প্রতি দূর্বল ছিলেন ! হাসীনা ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই এদের সবাইকে বিডিআরে বদলি করা হয়েছিল ! কাউকে কাউকে ঘটনার দুই এক দিন আগেই বিডিআরেবদলি করা হয়েছিল !
তাহলে কি হাসীনা ক্ষমতায় এসে তার পথের কাটা দূর করার প্রচেষটার উদ্যোগ সেনা বাহিনী দিয়েই শুরু করেছিলেন?


ঘটনার পর এফবিআই এর একটি তদনত দল এসেছিল; ঘটনা শুনেই তারা মনতব্য করে শুধু মাএ দাবি দাওয়ার জন্যে এ ঘটনা ঘটেনি । এফবিআই দলকে সহযোগিতা না করায় তারা চলে যায় তদনত না করেই


অনেকে আবার বিশ্লেষন করার চেষটা করেছেন ১/১১ এর সময় সেনা বাহিনীর হাতে নিগৃহীত আওয়ামি লীগের নেতারা বিডিআরের ক্ষোভকে পুজি করে সেনা বাহিনীর উপর প্রতিশোধ নিয়েছে !

বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা জিয়াকে অভিযুকত করেন হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের দিন লন্ডন থেকে তারেক রহমান ফোন করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন। বিদ্রোহ শুরুর আগেই খালেদা জিয়া সকালে বাড়ি ছাড়েন। আর তারেক রহমান লন্ডন সময় রাত একটায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭ সাতটা) ৪৫ বার ফোন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ওই দিনের ঘটনা দেখে প্রতীয়মান হয়, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে খালেদা জিয়ার যোগসূত্র ছিল।


চমকে উঠার মত -

ডেইলি স্টার সহ বেশ কিছু সংবাদপএ জানায় " আত্নমর্পনের পর জবদকৃত দুইটি বাইনকুলার কিছু মেশিন গান গ্রেনেড ও অন্যান্য কিছু অস্ত্র সস্ত্র পরিক্ষা করে দেখে গেছে বিডিআর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ গুলো ব্যবহার করে না !




সামরিক তদনত

কোর্টার মাষটার লেফটেন্যানট জেনারেল মোহামমদ জাহাংগীর আলম চৌধুরীর নেতৃও্বে ৭ সদস্যের সামরিক তদনত টিম
( সামরিক তদন্ত টীম ১১ হাজার পৃষঠার রিপোর্ট তৈরি করে ! এক কপি মঈন ইউ আহমেদ আর এক কপি প্রধামনএীর কাছে জমা দেয়া হয় ! সামরিক তদন্তের ১১ হাজার পৃষঠার রিপোর্টের মধ্যে মাএ ৮০০ পৃষঠা সরকার গ্র হন করে বাকি পুরো অংশটাই সরকার নাকচ করে দেয় ! )


অবসরপ্রাপত সচীব জনাব আনিসুজজামান খানের নেতৃও্বে ১২ সদস্যের তদন্ত


সামরিক আর বেসামরিক দুটো তদন্তেতেই বলা হয়েছে ঘটনার নেপথ্য সনাক্ত হয়নি

সরকারি তদন্ত রিপোর্টের ১৯ নমবরে বলা হয়েছে

What is the cause of the mutiny?
The real cause and motive behind the barbaric incident could not be established beyond doubt. The committee feels that further investigation is required to unearth the real cause behind the incident. The negative attitude among the general BDR members towards the army officers, and their discontent over unfulfilled demands may be identified as the primary cause of the mutiny. Analysis of these demands give the impression that such small demands can not be the main cause of such a heinous incident. These points have been used to influence the general BDR soldiers. The main conspirators may have used these causes to instigate this incident, they themselves working from behind curtains to destabilise the nation.

" তদন্ত কমিটি নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে পারেনি। কিন্তু কমিটি বিশ্বাস করে শুধু বিডিআর জওয়ানদের পক্ষে এঘটনা ঘটানো সম্ভব ছিলনা।বিডিআর জওয়ানদের ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র।কমিটি মনে করে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, প্রকৃত অপরাধী পর্দার অন্তরালে রয়েছে ! "

উকিলিকসের ফাসকৃত তথ্য থেকে


B. DHAKA 222
C. DHAKA 218
D. DHAKA 213
E. DHAKA 210
F. DHAKA 207
G. DHAKA 204



NO CONCLUSIONS YET FROM THREE INVESTIGATIONS
--------------------------------------------
Twelve days after the border guard mutiny that left
as many as 74 dead, three separate ongoing
investigations/inquiries have yet to offer any conclusions.
The government-appointed commission headed by retired civil
servant Anissuzzaman Khan asked March 8 for an additional two
weeks to report (it was originally tasked to present its
findings March 9), while the separate police and army
investigations continue.


SECOND-GUESSING THE PRIME MINISTER'S RESPONSE TO THE MUTINY
--------------------------------------------- ----
Leading figures in Bangladesh continue to
second-guess the Prime Minister's actions in the early hours
of the mutiny. Former Chief of Army Staff and President H.M.
Ershad told the Ambassador March 9 that if the Prime Minister
had called in the Army the morning of February 25, shortly
after the mutiny started, the mutineers would have dropped
their arms and far fewer people would have died.
Ershad also offered the only concrete evidence we
have seen thus far that at least some Army officers knew of
the potential for unrest within the BDR. Ershad read to the
Ambassador a text message written by Ershad's nephew, an Army
colonel serving as BDR sector commander in Dinajpur, who
perished in the mutiny. Ershad's nephew sent the text

DHAKA 00000254 002 OF 003


message to the four battalion commanders in his sector on
February 21, almost a week before the mutiny. In his
message, Ershad's nephew urged the battalion commanders to
"be vigilant," as "subversive activities" were taking place
in the BDR that could result in trouble during BDR Week.
(NOTE: The mutiny occurred during BDR Week, when almost all
BDR commanding officers seconded from the Army were gathered
in Dhaka. END NOTE.)
One dog, however, did not bark during Ershad's
conversation with the Ambassador. The former President
studiously avoided pointing the finger of blame at any
external forces. This was in marked contrast to his phone
conversation with the Ambassador on February 28, when Ershad
strongly implied that India had somehow been behind the
mutiny.

COMMENT
-------

12. (C) Tempers have cooled somewhat. Ershad is extremely
plugged-in with the serving military. His backing away from
his earlier suggestions that the GOI was behind the mutiny
might reflect a growing recognition among some officers that
perhaps there was no external hand behind the mutiny. Still,
tension remains. The Awami League government continues to
put loyalists in key positions, and all hopes of politicians
rising above partisanship in the wake of this national
tragedy have vanished. We continue to urge transparency and
moderation in the GOB response to the mutiny; expert
technical assistance like that the FBI, or other USG
representatives, can provide will help reinforce this message.
-MORIARTY


তাহলে নেপথ্যে প্রকৃত অপরাধী কে ?

কেন বেসামরিক সামরিক সকল তদন্ত টিম নেপথ্য কুশিলবকে বের করতে অপারগতা জানাল ?
কেন সে সময় আসামের জোরাট বিমান ঘাটিতে বড় ও মাঝারি ধরনের এয়ারফোর্স বিমান সহ প্রায় ৩০ হাজার ভারতীয় সেনাকে প্রস্তুত রাখতে বলেছিলেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রণব মুখার্জী ।
প্রশন-
বিডি আর জোয়ানরা সেনা অফিসারের চোখের উপর তাকিয়ে কথা বলার সাহস পায়না তারা সেনা অফিসার হত্যা করার এত বড় সাহস নিজ থেকে পেয়েছে না তদেরকে কেউ সাহস দিয়েছে ?কি মনে হয় ?
নানক সাহরা খাতুন বিডিার ক্যামপের ভীতরে গেলেন নির্ভয়ে ! ভিতরে কি হচছে সেটা না জেনে নির্ভয়ে তারা ভিতরে গেলেন ! কিভাবে নিশচিত হলেন বিডিআররা তাদের কোন ক্ষতি করবে না !


বিডিআররা যেসব রাজনীতিবিদের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়েছে তারা সবাই আওয়ামি লিগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ র বাইরে কোন সংগঠনের ব্যাক্তির সাথে তারা মিটিং করেছে কোন তদন্তেই তা আসে নি ! বিএনপি নেতা পিনটু বিডিআরদের পালিয়ে যেতে স হ যোগিতা করেছে এমন অভিযোগ করে তাকে গ্রেপতার করা হয় ! কিনতু পিনটুর সাথে বিডিআররা আগে থেকে মিটিং করেছে এমন তথ্য কোন তদন্ত আসে নি !

স্থানীয় আওয়ামি লীগ নেতা অবসরপ্রাপত বিডিআর সুবেদার তোরাব আলি ও আওয়ামি লীগ নেতা মহিউদদীন খান আলমগীরের কল লিষটে তদন্ত টিম দেখতে পেয়েছে তারা দুজনেই ঘটনার দিন ঘন ঘন পিলখানায় টেলিফোন করেছেন ! তোরাব আলির কল লিষটে আরও দেখা গেছে ঘটনার তিনি বার বার টেলিফোন করেছিলেন বিদেশে ! তদন্ত টিম অনেক ক্লু পাওয়ার পরও সে ক্লু ধরে আর সামনে না এগিয়ে তদন্তের ইতি টানলেন কেন ?

তাহলে নেপথ্য কুশিলব কারা ?


যাদের উপর বিডিআরদের আস্থা ছিল শতভাগ ! যাদের ক্ষমতা আর আশ্বাস সামর্থক মনে করেছে ! ঘটনার পর যারা তাদের বাচাতে পারবে বলে মনে করেছে তারা !
একান্ত সাক্ষাত্কারে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে : রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না :
তারা কারা?
মেজর (অব:) আশফাক যিনি পীলখানা ঘটনায় সেনা বা হিনীর তদনতে সাথে সংশলিষট ছিলেন তিনি জানান সেনা তদনতের এগার হাজার পৃষঠার মধ্যে সরকার মাএ ৮০০ শত পৃষঠা আমলে নেয়! মেজর( অব:)শাহ আলমের মতে ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা করে এ সরকার সেনাবাহিনীকেএকটা ম্যাসেজ দিয়েছে ! সেটি হল আগামীতে রাষট্র রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে এস না ! দেশ যে ভাবেই আমরা চালাই না কেন দেশের রাজনৈতক সংকট যাই থাকুক তোমরা এ নিয়ে আর মাথা ঘামাবে না - এই মেসেজটাই দিতে চেয়েছে রাজনৈতিক সরকার !"
তার এ বকতব্য খুবই প্রনিধান যোগ্য ! কারন আওয়ামিলীগ সুদুর প্রসারি পরিকলপনা নিয়েই ২০০৮এ ক্ষমতায় এসেছে। আগামিতে তারা কি করবে তার ছক তারা তৈরি করেই ক্ষমতায় আসে ! তও্বাবধায়ক সরকার বাতিল যুদধাপরাধির বিচার দরকার হলে এক দলীয় ইলেকশন ইত্যাদির চিনতা আওয়ামি লীগের মাথায় ছিল এবং তখন দেশের রাজনীতিতে কি রিয়্যাকশন হবে সেটাও তারা উপলবধি করছিল ! আইন শৃংখলার মারাত্নক অবণতি হলে যাতে সেনা বাহিনী হসতক্ষেপ না করে সে জন্যেই সেনাবাহিনীকে একটা ম্যাসেজ দেয়ার প্রয়ােজনী্যতা আওয়ামি লীগ উপলবধি করছিল ! এ লক্ষ্যেই সেনা অভ্যুথানের জন্যে মৃত্যু দনডের বিধানও শাসনতনএে সননিবেশিত করে আওয়ামি লীগ ! তারা মনে করে তাদের কাজে বাধা যদি সেনা বা হিনী না দেয় তাহলে বাকী শকতিদের ম্যানেজ করা খুব একটা অসুবিধা হবে নাতাদের !

আদ্যোপান্ত দেখে সনদেহেরতীর কোন দিকে যায় ?

বিশ্লেষনটি সরলিকরন হয়ে গেল কি ? -
তাহলে আরও সরলিকরন করে যদি বলা যায় : ঘটনার সাথে পাকিসতান খালেদা আর তারেক জড়িত তাহলে সেটা তো আওয়ামি লীগের জন্যে শাপে বর - খালেদা ও বিএনপি কে ঘায়েল করতে বিডিআর বিদ্রোহর সংশলিষটাতাই তো মোক্ষম অস্ত্র আওয়ামি লীগের ! খালেদা আর বিএনপিকে ঘায়েল করতে আওয়ামি লীগ কেন নেপথ্য কুশিলব হিসাবে এদের সমপৃকততা বের না করে এমন মোক্ষম অস্ত্র হাতছাড়া করল ?


একুশে আগষটের নেপথ্য কুশিলব সরকারি তদন্তে বের হতে পারে- বৃটেনের দূত আনোয়ার চৌধরীির উপর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যদের বের করা যায় কোটালি পাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা পাতার নেপথ্যদের বের করা যায় - ৪৫ বছরের বাংলাদেশের ছোট বড় সব ঘটনারই নেপথ্যদের যদি তদন্তে বের হতে পারে তাহলে সাগর রুণী আর পিলখানা হত্যাকানডের নেপথ্যদের কেন বের কার যায় না ? নেপথ্য শক্তি কি তাহলে ভয়ংকর ভাবে প্রভাবশালি !


এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোন ঘটনার পিছন দুটি নেপথ্য শক্তি থাকলে তাদের বের করা অসমভব সরকারের জন্যে

কোন সেই শক্তি ?
ভারত - আওয়ামি লীগ
বিএনপি জড়িত থাকলে ?
বের করা কি অসমভব আওয়ামি সরকারের জন্যে ?

তথ্য সুএ :-

ডেইলি স্টার
নিউ এজ
প্রথম আলো
এশিয়া টাইমস
উই কিলিকস
https://www.youtube.com/watch?v=y3qa1IFAyJo


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ালাম।

আপনি ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসাকে ইমেইল করে দেখতে পারেন।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

লালূ বলেছেন: অনুরোধ উপরোধ করে ব্যানড তুলে নিতে হবে ?
- কিনতু কেন ?
কোন কিছু ব্যাখ্যা না দিয়েই আমার উপর ব্যানড আরোপ করেছে সামু এ ফোরামে আসার এক মাসের মধ্যেই । সামুর কোন কর্তার সাথে আমার ব্যাকতিগত বিরোধও নেই -আমি ঠিক বুঝএ উঠতে পারছি না কোন লিখাটির কারনে আমার উপর সামুর এ জেল জরিমানা -
আমার আমার সব লিখা গুলো পড়ে দেখুন ! বলুন কোন লিখাটির কারনে আমি ব্যানড খেতে পারি এবং কেন ?আমার কোন লিখা ডেলিট করে নি সামু ।সব লিখাই এখানে রয়েছে
আমি কোন অশালীন শবদ বাক্য আমার কোন লিখায় প্রকাশ করিনি ! আমার অপরাধ সামু আমাকে জানালে না হয় আমার ঐ অপরাধের জন্যে কালপনিক ভালবাসার ক্ষমা সুনদর দৃষটি আকর্ষন করতাম !!

৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বরং আরেকটা একাউন্ট খোলেন।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

লালূ বলেছেন: সেটা কি স্বেচছাচারের কাছে পরাজয় মেনে দুই নমবরি করে টিকে থাকা নয় ? দুই নমবরি করে টিকে থাকার চেয়ে সামুতে নিজকে হারিয়ে ফেলে হলেও স্বীয় নৈতিকতাকে সমুননত রাখাই কি মহৎ লক্ষ্য হওয়া উচিত নয় ? নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, আপোষ করে , অসৎ ভাবে টিকে থাকার চেয়ে নৈতিকতার সাথে নিজেকে টিকে রাখার যুদধে যে অপরিসীম আননদ সেই আননদ কোন অসৎ ব্যাকতির পক্ষে কোটি টাকাতেও অর্জন কি সমভব ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.