নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার খারাপ মা

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০২

আমার বেঁচে থাকার রসদ কুৎসা নয় । নিতান্তই এক সাধারণ ভেতো বাঙালি আমি । এক বাটি ভাত পেলেই আমার পেট দিব্যি ভরে যায় । ভাল তরকারী হলে সেই খাওয়ার পরিমান অবশ্যি বাড়ে । অনেকের আবার ভাত –তরকারী কোনটিতেই পেট ভরে না । পেটের কিছুটা অংশ ফাঁকা থেকে যায় । অন্যের নামে নিন্দা করে তারা সেটি ভরিয়ে ফেলে ।



তবে এই নিন্দুকদের বিরুদ্ধে আমার যে খুব একটা অভিযোগ , তা নয় । কারন অনেকসময় মনে হয়েছে হয়ত আমারই কোথাও ভুল হয়েছে অথবা নিন্দাকারীর আজ শরীর মন ভাল নেই । হাতে বেশ অবসর । নিন্দা করে সে বাকি সময়টা কাটাতে চায় ।



হলিক্রস কলেজে পড়ার সময় আমি যখন বেশ খারাপ করছিলাম, আমার মা আমাকে দিব্যি দিলেন , বল তুই আর কোনোদিন কবিতা টবিতা লিখবিনা । খুব সাধারণ চাওয়া । মায়ের ইচ্ছে আমি বুয়েটে পড়ে বিরাট প্রকৌশলী হয় । আমার সেকেন্ড কাজিনরা অনেকে সেই দুর্লভ জায়গাটিতে পড়েছে আর তাদের মায়েরা বিরাট বিরাট গল্প দিয়েছে । মায়ের খুব ইচ্ছা আমি ও গল্প করার মত এরকম কিছু করি ।



আমার যে প্রকৌশলী হবার কোন ইচ্ছে ছিল না তা নয় , তবে আমার সপ্ন ছিল লেখক হব । বই টই পড়তেও বেশ ভাল লাগত । ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমাদের এক সেমিস্টার ইকোনমিক্স পড়তে হয়েছিল । ক্লাস টেস্টে আমার হায়েস্ট মার্ক ছিল সেটিতে । কিন্তু গণ্ডগোল বাধল পরীক্ষার আগে । কোত্থেকে আমার হাতে এসে পড়ল , সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লোটা কম্বল ।খণ্ড এক পড়লাম । অসাধারণ বই। একটি রোগা , দুর্বল অনাকর্ষনীয় ছেলে কিভাবে একসময় গল্পের নায়ক হয়ে গেল । নায়ককে আরও জানতে আমি খণ্ড দুই পড়া শুরু করলাম । যখন পড়া শেষ , সকাল নটা বাজে । রুদ্ধশ্বাসে আমি ৩০ মিনিটে পুরো ইকোনমিক্স বই শেষ করে পরীক্ষা দিতে গেলাম । ফলাফল যেটি আসল, সেটি আর বলার মত নয়।



লেখক হবার মত অতখানি প্রতিভা সত্যিই আমার নেই । তাই সেটি হতে পারিনি । তবে লিখতে ভালবাসি যে ; মায়ের দেওয়া দিব্যি আমি রাখতে পারলাম না । তাছাড়া স্বভাবেও ঘরকুনো , বন্ধুবান্ধব খুব একটা নেই । তাই কিছু একটা ছাই পাশ লিখলেও আমার বেশ লাগে , একাকীত্ব দূর হয় । মাঝে মাঝে এরকমও মনে হয় , লিখিনা জীবনের কথা গুলো , কাউকে তো কিছু বলা হল না । লিখে লিখে বলি ।



এ কারনে প্রবাসে নামে একটা সিরিজ লিখছিলাম ফেসবুকে । সিরিজটির প্রথম পর্ব প্রকাশের পর আমার মা ভিশন কান্নাকাটি করলেন । কারন তাকে গিয়ে বলা হল , আমি নাকি তার বিরুদ্ধে লেখালেখি করি । আমাকে বড় করতে তার যত কষ্ট হয়েছে সবকিছুকে অগ্রাহ্য করি । ব্যাপারটি এখানে থেমে থাকলেই ভাল হত । কিন্তু এই কথাটি প্রতিনিয়ত আমার মায়ের কাছে এমনভাবে পেশ করা হল । আমার আর মায়ের সম্পর্কটা কিছুতেই আর স্বাভাবিক হল না ।



তথপ্রদানকারী আমি শেষ যে লাইনটা লিখেছিলাম , “তার চোখে যে জল আমি দেখেছি , তাতে আমার পঁচিশ বছরের অভিমান মুছে গেল “ এইটুকু আর বলল না ।



এসব তথপ্রদানকারীদের আর একটু পরিচয় দেয়া যেতে পারে । আমি যখন প্রথম আমেরিকাতে আসলাম , তারা আমার মাকে গিয়ে বলল , আমার কাজগপত্রে নাকি বিরাট ঝামেলা আছে । আমাকে প্রতিমাসে বাসা থেকে টাকা পাঠাতে হবে ।



এত খরচ খরচা করে আমার মা আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন , এম্নিতেই আমার এখানে একা পাঠাতে তিনি কখনই রাজী ছিলেন না । ভীষণ দুশ্চিন্তা হল তার । তারপর আমি যখন বাসা থেকে কোন টাকা নেই না কিন্তু একটি প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংগ্রামের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি । তখন তারা আবার মাকে যেয়ে বলল , আমি আমেরিকাতে ফুর্তি করছি , বেশ আছি ,পার্টি করে বেড়াচ্ছি ।



প্রতিটা পরীক্ষার আগে মাকে আমি সবসময় ফোন করি । উদ্দেশ্য লেখাপড়ায় এতটা ভাল নই । মা দোয়া করে দিলে নিশ্চিত পার হয়ে যাব । গত কয়েকটি পরীক্ষা আমার বেশ খারাপ গেছে । আমি প্রতিদিন মাকে ফোন করি দোয়া নেবার জন্য ।কিন্তু দোয়ার কথা আর বলতে পারি না । আমার মা কথা শুরু করে কান্না দিয়ে আর শেষ করে কান্না দিয়ে ।



তাঁর একটিই কারন তাঁর এত আদরে বড় করা সন্তানটি এত অকৃতজ্ঞ । আমার মা কাঁদে । আমি কান্নার শব্দ শুনতে শুনতে একসময় ফোন রেখে দেই । আমার মা হয়ত সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।ফোনের ওপারে ব্যক্তিটির কথা সে ভুলে যায় ।



কান্নাকাটিতে আমি বরাবর অসাধারন । ক্লান্তিহীন একটানা কাঁদতে পারি আমি । মায়ের কাছ থেকেই হয়ত গুনটি পাওয়া । তবে আমার মা অনেকটাই বাচ্চা মেয়েদের মত । সামনা সামনি কেদে ফেলে , আমার সংগোপনে কান্নার খবর সে জানে না ।



কারোরই জানার কথা না ।এখন আমার স্বামী বেচারা অবশ্য দেখে । আমার কান্না কাটিতে বলা যায় রীতিমত বিরক্ত সে । একদিন আমার মায়ের সাথে আমার এরকম একটি অভিমানের ব্যাপার ঘটলো । আমি সন্ধ্যে থেকে সকাল পর্যন্ত কেঁদে একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । আমার ফোন কখন বন্ধ জানিও না, আমার স্বামী বেচারাও আমার কান্নাকাটিতে আপসেট হয়ে কখন ফোন বন্ধ রেখেছে মনে নেই ।



আমাদের তখন গাড়ি কেনা হয়নি । একটি ভাইয়ার গাড়িতে রোজ ক্লাসে যাই। সেদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি, ভাইয়াটি আমাদের সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করে , আমার দেরি দেখে ক্লাসে চলে গেছে । ক্লাসটি ছিল আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । আর এখানে বাংলাদেশের মত ক্লাস মিস দেওয়া যায় না । দিলে সেটি গ্রেডে খুব প্রভাব ফেলে । আমার ক্লাস হয় মেইন ক্যাম্পাস থেকে বেশ দূরে । সেখানে ঐসময় যাবার আর কোন ব্যবস্থাও নেই ।



যাই হোক এরকম বিষয় আমার সাথে ইদানিং খুব বেশি ঘটছে । এর জন্য আমার মাকে আমি দায়ী করছি না । আমার মা আমার লেখাপড়া নিয়ে কতটা সচেতন সে প্রসঙ্গে একটু বলি । আমার একমাত্র ভাই যেটি ক্যাডেট কলেজে পড়ছে , সে একবার ১১ কেভি’র ইলেকট্রিক শক খেল । তার একটি পায়ের অনেকটাই ঝলসে গেল । তার হয়ত বেঁচে থাকার কথায় ছিল না । অনেকটা অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেল । কিন্তু এত বড় খবর আমার মা আমাকে জানালেন না । এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করে যদি আমার পরীক্ষা খারাপ হয় এই ভেবে ।



ঘটনাটি জানলাম এক মাস পর বাড়িতে এসে । যখন আমার ভাইয়ের পা থেকে মাংস পচে খসে পড়ছিল ।



এই আমার মা । মা আজকে আমাকে বললেন , তুই আমাকে নিয়ে এত খারাপ খারাপ কথা লিখিস । কই অমুকে তো লেখে না , তমুকে তো লেখে না । আমি কি তাদের চেয়েও খারাপ মা ?



আমি চুপ করে শুনি ।আমার মা যখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে এসব বলে আমার মাকে বলতে পারি না , তোমাকে নিয়ে তো অনেক ভাল কিছুও লিখেছি মা । আমি যে আব্বুর মত হতে চেয়েছিলাম ,আব্বুর যুদ্ধে যাবার গল্প সেগুলোও তো লিখেছি ।



আমি আমার মাকে এ কথাগুলো কখনও বলতে পারিনি । তাঁর কাছে সেগুলো অজানা রয়ে যায় ।



এসব নানা কারনে , আমি ফেসবুকে লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছি । ব্লগে লিখি , ছদ্ম নামে লিখি ।



যাতে নিন্দুকরা আর কিছু খুঁজে না পায়। মা যেন আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে না বলে আমি কি তোর খুব খারাপ মা ?



মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

যুধিষ্ঠির বলেছেন: মা এর পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। সেই বেহেশতকে সন্তুষ্ট রাখুন যদি না সে শিরক করে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: নিশ্চয়ই। অনেক ধন্যবাদ , ভাল থাকবেন । শুভ কামনা ।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হুম ! জীবনে আর পরিবারে অনেক তিক্ত কথাই থাকে । কিন্তু অ্যাট দ্যা এন্ড অফ দ্যা ডে , আমরা কেউই পরিবার ছাড়া বাঁচতে পারি না । আর যদিও পারি তা হয় খুব কষ্টের ।

ভালো থাকবেন আপনারা । শুভকামনা ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ । আপনিও ভাল থাকুন আপনার পরিবারের সাথে । অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনার কষ্টের কথা শুনে নিজেরই অনেক খারাপ লাগছে।খুব কাছের বা প্রিয় মানুষের সাথে ভুল বোঝাবুঝিজনিত সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত পীড়াদায়ক।আপনি আপনার সমস্ত অনুভূতির কথা একসাথে লিখে মা’কে জানাতে পারেন;কারণ অনেক সময় সরাসরি কথা বলে নিজ অনুভূতিগুলো সঠিকভাবে ব্যক্ত করা সম্ভব হয় না।দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে হৃদয়ের এ ক্রমাগত রক্তক্ষরণ থেকে মুক্তি দেন।

শুভকামনা রইলো অনেক।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ । আপনিও ভাল থাকুন , দোয়া রইল অনেক ।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৯

খেলাঘর বলেছেন:


মা অন্যদের অনেক কথা শোনে, কিছুই বিশ্বাস করে না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমারও তাই মনে হয় । হয়ত অভিমানে অভিযোগ করে কিন্তু মন থেকে সেটি বিশ্বাস করে না

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: মা রা সাধারণত সন্তানকে মঙ্গলের জন্যই উপদেশ বা বকা বকি করেন ।
হয়তবা প্রকাশভঙ্গির কারনে সন্তান ভুল বু্ঝে । সময়ের সাথে একদিন ঠিকই সন্তান বুঝতে পারে । একমাত্র মা-ই সব সময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন এটা ৯৯% ঠিক । সুন্দর সোনালী সকাল আপনার দুঃখ,জ্বালা, যন্ত্রণা মুছে দিক । শুভ কামনা রইল ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: "হয়তবা প্রকাশভঙ্গির কারনে সন্তান ভুল বু্ঝে " আমার ও তাই মনে হয়। এক সময় ঠিক হয়ে যায় হয়ত । তবে এই মাঝের সময়টা বেশ কষ্টের ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ , ভাল থাকুন ।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

ভরকেন্দ্র বলেছেন: ভালো লাগলো..। ক্লান্তিহীন একটানা কাঁদতে পারেন জেনে...। সবাই তো পারেনা..... তবে কাঁদলে মানুষ বোকা হয়..... হালকা হয়....

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম এই গুণটি( !) আমার আছে ।ভাল থাকুন ভ্রাতা ।শুভ কামনা ।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

ডি মুন বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।


অটঃ আজ দুপুরে লোটাকম্বল শেষ করলাম। আমি তো রীতিমত মুকুর প্রেমে পড়ে গেছি। সঞ্জীবের লেখার প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল 'ফিরে ফিরে আসি' পড়ার পর থেকে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: 'ফিরে ফিরে আসি ' পড়া হয়নি । সংগ্রহে পেলে পড়ে নিব । আমিও মুকুর প্রেমে পড়েছিলাম । সত্যি অসাধারন বই । ভাল থাকবেন । শুভ কামনা রইল ।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখা একটানে পড়লাম ----- আসলে মা মা-ই -------- মার কোন তুলনা হয় না ----- এই যে বকাটা !! এটার অন্তরালেও এক ধরণের দোয়া লুকিয়ে আছে -- যা শুধুই বুঝে নিতে হয় ----

তারপরও বলবো আপনার সুন্দর ভাবনা লিখে মাকে শেয়ার করুন ---মার সাথে ফ্রি হওয়ার চেষ্টা করুন -- যে কোন এক পক্ষ থেকেই এর উদ্যোগটা নিতে হবে ---
শুভকামনা রইল

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: "এই যে বকাটা !! এটার অন্তরালেও এক ধরণের দোয়া লুকিয়ে আছে -- যা শুধুই বুঝে নিতে হয়"

একমত আপু তোমার সাথে । যে যাকে বেশী ভালবাসে , তাকে বকেও বেশি । কারন শেখানে আশা থাকে বেশি।

ভাল থেকো । অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা ।

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম । মা মেয়েই তো ব্যাপার না । এইসব হয়েই থাকে । যত যাই হোক মায়ের কাছে সন্তানের প্রতি ভালবাসা সবসময় সমানই থাকে । :)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম , নিশ্চয়ই থাকে । ভাল থাকুন ভ্রাতা , শুভ কামনা রইল ।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

আমি ইহতিব বলেছেন: মাকে সুন্দর করে একটা চিঠি লিখুন। আপনার না বলা অব্যক্ত কথাগুলো জানান তাকে। দুরত্ব বাড়তে দেবেন না প্লীজ। মা যে সন্তানদের জন্য কত বড় রহমত আর আশ্রয়ের স্থান তা আমরা মায়ের কাছ থেকে দূরে গেলে বুঝি।

মা মেয়ে অনেক ভালো থাকুন এই দোয়া করি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । তোমার মেয়ে আর তোমার জন্যও অনেক দোয়া ভাল থেকো ।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: এককেবারে আমার মনের কথা গুলো বোলে দিলেন, বিষেশ কোরে University তে পড়ার সময়, হায়রে গলপের বই!! আমার লাইফ টা এলো মেলো হোয়ে গেলো এই বই পড়ার নেশায়। আপনার স্বামি বেশি বিরকতো হোলে বাংলাদেশে চোলে আসেন, আমি আছি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হা হা হা , ভালো থাকুন ভাই , শুভ কামনা ।

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৪

তাশমিন নূর বলেছেন: জীবনে চলার পথে কিছু ছাই এসে হঠাত পথটা নোংরা করে দিতে পারে বড় জোর, কিন্তু পথটা তাতে হাঁটার অযোগ্য হয়ে যায় না। তাই চলার পথের ছাই যেমন আছে, তেমন থাকুক। ওগুলো ফুঁ দিয়ে উড়াতে যাওয়ার দরকার নেই, তাতে করে আরও বেশি বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। আপনি হাঁটুন আপনার মতো।

আপনি দারুন লিখেন। লেখালেখিটাও চালিয়ে যান। শুভকামনা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম আপনার কথাগুলো সত্যি অনেক অনুপ্রেরণার ও বটে । ভাল থাকুন । ধন্যবাদ ।

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: আমি ইহতিব বলেছেন: মাকে সুন্দর করে একটা চিঠি লিখুন, "
আমিও সেটা বলি,চিঠি লিখুন, দেখবেন যেই মা আজ অভিমান কিংবা অনুযোগ থেকে কাঁদছে তিনি চিঠি পড়েও কাঁদবেন,কিন্তু কারণটা থাকবে ভিন্ন :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম ভাল পরামর্শ । তবে অভিমান মিটে গেছে এখন ।

১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আমারো প্রকাশ ভঙ্গিাটা অনেক বেশি খারাপ,অনুভুতির সাথে আমার প্রকাশের সখ্যতা গড়ে উঠেনি আজ অব্দি,এসব কারণেই আমার সাথে সম্পর্ক নামের এই আজিব কিসিম বিষয়টার একটা বিরোধ সব সময়ই থেকেই যায়,

আম্মু যখন কোন কারণে অসুস্থ হয় আমি ওনার থেকে দুরে দুরে থাকি,কোনভাবে যদি সমানে এসেই যাই সমবেদনা কিংবা সেবার বিপরিতে উল্টো রেগে যাই বলি আপনার এত অসুখ হয় কেন, আমার এসব অসুখ ভালো লাগেনা,সহ্য হয়না, দুর থেকে কেউ শুনলে আমাকে দয়ামায়া হীন একজন সন্তান হিসেবেই চিহ্নিত করবে।মা হয়েও মাঝে মাঝে ভুল করে বসে আমার এই রুক্ষ আচরণ। আমি আড়ালে বিড় বিড় করে বলি কেন আমার আম্মুটার অসুখ হবে, এই অসুখটা হবার মত কি লোকের অভাব আছে দুনিয়াতে,আমার মায়ের কেন হবে এমন সব ভাবতে ভাবতে আমার চোখ ভেজা কিংবা মন খারাপের ইতি ঘটেনা যতদিন আম্মু সুস্থ্য হয়ে না উঠে।

যেখানে থাকা হয় সেখান থেকে দেশের সময় বিপরিত বলে মায়ের ঘুম কিংবা নামাজ রোজায় ব্যঘৎ ঘটার ভয়ে কল করা হয় কম সেটার জন্য আম্মুর অনেক দুঃখ আমি কেন প্রতিদিন কল দেইনা,তার জবাবে আমার একটা কথা আমি ব্যস্ত সময় পাইনা,মায়ের রাগ আরো বেড়ে যায়।আমি রাগ ভাঙ্গাতে যাইনা।ইচ্ছে করেনা আমার, কেন বিধতা মায়ের সন্তানের অনুভুতি যন্ত্র এক করে দিলোনা,কেন বলতে হবে মা তোমাকে ভালোবাসি মা তোমাকে মিস করি খাওয়ার প্রতি লোকমায় চলার কদমে দেখার প্রতি পলকে। কেন এসব বলতে হবে আমাকে।

ভালোবাসাটাই এক আজিব জিনিস, বলতে হয়।না বললে মানুষ বুঝেনা,মনের মানুষটাও বুঝেনা।কেন মানুষ গুলো চোখ পড়তে পারেনা।মুখের হাজার কথার চেয়ে কেন চোখের তাকানোর মুল্য নেই মানুষের কাছে জানিনা,মানুষ গুলো কেমন যেন অন্ধ হয়ে আছে দুনিয়াতে।চোখের ব্যবহার কমে গিয়ে এখন কথার ব্যবহার বেড়ে গেছে।

প্রকাশের অভাবে যদি মানুষ গুলো আমাকে ছেড়ে চলে যায় যদি আমি একা হয়ে যাই দুনিয়াতে একদম একা তবুও আমি এমনি থাকবো,আমাকে তোমরা বুঝলে বুঝো না বুঝলে হাজার মাইল দুরে থাকো,আমি এমনি থাকবো ।

আপনার জীবন থেকে নেয়া সব গুলো পর্ব পড়লাম,সহজ ভাবে খুব গভীর কথা গুলো পড়তে ভালো লাগলো,এই পর্বটা মাকে নিয়ে বলেছেন তাই একটু আবেগে আপ্লুত হয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করলো।আমি ইচ্ছে বিরুদ্ধে কিছু করতে পারিনা,শরীর বিদ্রোহ করে।


ভালো থাকবেন

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: "ভালোবাসাটাই এক আজিব জিনিস, বলতে হয়।না বললে মানুষ বুঝেনা,মনের মানুষটাও বুঝেনা "

অনেক গভীর একটা সত্যি বলেছেন । আপনার ও আপনার মায়ের ভালবাসার বন্ধন আরও মজবুত হোক ।

ভাল থাকুন, শুভ কামনা ।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭

শাদা-অন্ধকার বলেছেন: এসব নানা কারনে , আমি ফেসবুকে লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছি । মা কে বোঝানোর দায়িত্ব আপনার। তবে লেখালেখি ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি।। টাইম হিলস এভরিথিং...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম টাইম হিলস এভরিথিং...

আর ছাড়তে পারলাম কই ! এইতো আপনাদের মাঝে এসে পড়েছি ।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: আমি শুধু চাই আমার মা অনেক অনেক দিন বেচে থাকুক। আমার মেয়ের বিয়ে দিক। আমার মেয়ের স্বামীকে মজা করে রান্না করে খাওয়াক। আল্লাহ মাদের যেন অনেকদিন সুস্থ্য মতন বাচিয়ে রাখেন এই দোয়াই করি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: আল্লাহ্‌ আপনার দোয়া পূরণ করুন । ভাল রাখুন আপনাদের ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.