নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মম বিকশিত করো/ অন্তরতর হে/ নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,/ সুন্দর কর হে

মহান অতন্দ্র

কবিতার মত মেয়ে

মহান অতন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

কামালের গল্প

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২১

পর্ব ১



কামালদের বাড়ি শিউলিতলা গ্রামে। সদর থেকে বেশি দূরে নয়। সাইকেলে পঁয়তাল্লিশ মিনিট লাগে। মাঝখানে নদী পেরোতে হয়। নদীতে গুণটানা নৌকা চলে। প্রতিবারে আটআনা লাগে। কামালকে প্রায়ই সদরে আসতে হয়। মা ই পাঠায় তাকে ছোট খালুর কাছে। কামালদের জমিজমা নিয়ে খুব ঝামেলা চলছে। ঝামেলা যাতে না হয় এজন্য ছোট খালু খুব চেষ্টা করছে। ছোট খালু সদরেই থাকে। একটা চাকরি করে সেখানে।



আজো কামাল সদর থেকেই ফিরছিল। নৌকোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে সে। বর্ষা এসে গেছে। নদী এখন বেশ প্রশস্ত। পার হতে সময় লাগে। নৌকোর মাঝি আলিম আর তার দুই ছেলে মিলে গুণ টানছে। তবে গুণ আর বেশি দিন টানা যাবে না। পানি প্রায় বড় রাস্তার কাছে পৌঁছে গেছে। ভরা বর্ষায় নদীর পানি রাস্তা অনেকটা ডুবিয়ে দেয়। তখন বৈঠাই ভরসা।



এদিকটায় নাকি ব্রিজ হবে সে অনেকদিন ধরে শুনছে। তবে ব্রিজ হলে ভালই হবে। নৌকোর জন্য দাঁড়াতে হবে না। আর খুব বর্ষায় কামালের মাঝে মাঝে ভয় করে। আলিম মাঝি নৌকা ভর্তি করে লোক তোলে। মালপত্রও তোলে। হাটের দিনে সদরে নিয়ে বেচা হয়। আজ হাটবার। কামালের একটু ভয় ভয় লাগছে। যদিও এই নৌকোটা মাত্র একবারই ডুবেছে বলে সে শুনেছে।



নৌকা ভিড়তে বেশ দেরী। ছোট খালু মাকে কি বলতে বলেছে , সে মনে করার চেষ্টা করল। মাকে একলা পেলে একফাঁকে সবটা বলতে হবে। কথাটা কিছুতেই মামাদের কান হতে দেওয়া যাবে না। নৌকো এসে গেছে। কামাল সাইকেল নিয়ে নৌকোয় উঠে গেল। সাইকেলে একটা ব্যাগ আছে। ছোট খালা কিছু পুরনো কাপড় দিয়েছে মার জন্য। মা ই বলেছিল পুরনো কিছু থাকলে আনতে। মার সায়া ছিঁড়ে একাকার। ছোট খালা দুটো পুরনো ব্লাউজও দিয়েছে। হাতার দিকটা একটু ফেসে গেছে। মা সেলাই করে পরতে পারবে।



নৌকো ঘাটে ভিড়ে গেছে। কামাল সাইকেল নিয়ে নেমে পড়ল। এখন আর বেশি সময় লাগবে না। দশ মিনিটেই গায়ে পৌঁছে যাবে। তবে একটু সাবধানে চালাতে হবে। রাস্তায় কাদা জমেছে। মেঘও হয়েছে বেশ। বৃষ্টি নামতে পারে। কামাল জোরে প্যাডেল চাপল। শিউলিতলা গ্রামের মণ্ডল বাড়ি কামালদের। বাড়ি পৌঁছে বৈঠকখানার কাছে সে থামল। তার মামাতো ভাইরা ওখানে কেরাম খেলে। আজও খেলছে। কামাল কিছুক্ষন বসল বৈঠকখানায়। কেরাম সে এত ভাল পারে না। তবে খেলা দেখতে বেশ লাগে।



সাহারা বেগম সকাল থেকেই পথ চেয়ে আছেন। ছেলেটাকে সকালে সদরে পাঠিয়েছেন। ভাইদেরকে তিনি অবশ্য বলেননি। বললে এতখনে নিশ্চয়ই কুরুক্ষেত্র বেঁধে যেত। তার ছোট ভাই তৌহিদ সকালে খুব জেরা করছিল। সন্দেহ করেছে কিনা কে জানে। করলে করবে, এত রেখে ঢেকে আর কিই বা হবে। বাড়িটা তার দরকার। বাড়িটা না পেলে দুই ছেলেকে নিয়ে সে কোথায় যাবে।



এ বাড়িটা সাহারার নিজের নয়। কামালের মা যখন পুরোপুরি ফিরে আসল তার আব্বা গাফফার মণ্ডল তাকে বাড়িটা দিয়েছিলেন। তখন তার কত বয়স ১৯/২০ হবে। ছোট ছেলেটি পেটে আর সাথে দু’বছরের কামাল। গাফফার মণ্ডল তখন বেশ অসুস্থ। তার স্ত্রীরও যায় যায় অবস্থা। তার মূল বাড়িটি তখন ভাগ হল, বড় তিন ছেলে পেল। ছোট দুই ছেলেকে দিলেন বৈঠকখানা। আর সাহারাকে করে দিলেন এই বাড়ি। বাইরে থেকে দেখতে বেশ ভাল, পাকাই মনে হয়। তবে মেঝেটা এখনও মাটির।



গাফফফার মণ্ডলের ১০ ছেলে মেয়ে। সবারই বিয়ে দিয়েছেন , ছোট ছেলেদুটি ছাড়া। ছোট ছেলেদুটির ভাত রান্নার কেউ নেই। গাফফফার মণ্ডলে আর তার স্ত্রী কতদিনই বা আর আছেন। তার স্ত্রী তখন ক্যান্সারে ভুগছেন। তাই ছোট ছেলেদুটি আর সাহারাকে নিয়ে তিনি সংসার পেতে দিলেন। অনেকেই বলেছিল সাহারা স্বামীর সংসারে ফিরে যাক। গাফফার সাহেব রাজী হলেন না। এ গ্রামে তো তার প্রতিপত্তির অভাব নেই। একটি মেয়ের ভরণপোষণ তিনি দিব্যি চালাতে পারবেন। তাই ঐ মাতালটার সংসার না করায় ভাল ।



চলে আসার পর সাহারার খুব আফসোস হত। ভুল করল নাকি। স্বামী তো মারধর করবেই। ভাবীরাও অবশ্য তাই বলেছিল। কিন্তু সতীনের ঘর সে কি করে করে। সাহারা বেগম দেখতে কোনদিনই ভাল ছিল না। দাঁতখানা তার বেশ উঁচু। গায়ের রংখানাও বেশ চাপা। তবে লোকজনের হাবেভাবে বুঝেছে গড়ন খানা তার ভালই। বিয়ের পর সুখও হয়েছিল খুব। ভাবীরা বলেছিল , ছেলে শহরে চাকরি করে। সুখেই থাকবি। তবে শহরে সে কোনদিন থাকেনি। গ্রামেই রেখেছিল লোকটা তাকে। তবুও কি ভীষণ সুখের সংসার ছিল তার। ছোট ছেলেটা পেটে আসার পর লোকটা বদলে গেল। প্রায় রাতেই মদ খেয়ে ফিরত আর মারধোর। তারপর একদিন পরীর মত একটা মেয়ে নিয়ে ফিরলও। চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে বলল , “আমি মতিউর রহমান , ঘোষণা দিচ্ছি , সাহারা বেগমকে বান্দিটাকে আমি তালাক দিলাম”।



সেই রাতে খুব মার খেল সাহারা। নতুন বউ এসে বাঁচাল তাকে। নতুন বউ এর নাম জেসমিন। মেয়েটি ভারী সুন্দর। মেয়েটি স্বভাবেও বেশ ভাল। তাকে বুবু বলে ডাকত। মেয়েটির পাশে দাঁড়ালে তার নিজেরই লজ্জা করত। সেতো সত্যি দেখতে ভাল নয়, লোকটা কেনই বা তাকে ভালবাসবে। বাড়ি ফিরে লোকটা নতুন বউয়ের ঘরে ঢুকে শিকল তুলত। কামাল তখন আব্বা বলে চিৎকার করে কাঁদত। খেপত লোকটা। ছেলে সামলাতে না পারায় অফিস যাওয়ার ছাতা দিয়ে বসিয়ে দিত দু ঘা সাহারার গায়। একদিন লোকটা ছেলেটাকেও মারল। তার পেটেও লাগল বেশ।



সেদিন থেকে সে বাপের বাড়ির সংসারে। তার শাশুড়ী তাকে গরুর গাড়ি ভাড়া করে দিল। সেই থেকে বাপের বাড়ি ছেলেদুটোকে নিয়ে টিকে আছে। মাঝে মাঝে মতিউর রহমানের কথা খুব মনে পড়ে তার। বিয়ের প্রথমদিকে রোজ রাতে শাশুড়িকে লুকিয়ে লোকটা বাতাসা আনত। শরীর খারাপের ছুঁতোই অফিস কামাই করত। কামালের জন্মের পর কেমন বদলে গেল লোকটা। তার মা অবশ্য বলেছিল এ নাকি তার শাশুড়ীর ষড়যন্ত্র। শাশুড়ীই তাবিজ কবজ করেছে।



সাহারা বেগমকে নীরা ডাকছে। বলল, মিয়া ভাই এসেছে। সদর থেকে ফিরেছে। বৈঠকখানায় কেরাম খেলছে। রাগে গা জ্বলে গেল সাহারার। সে সেই সকাল অবধি খবরটা জানার অপেক্ষায় আর তার ছেলে বাড়ি না ফিরে কেরাম খেলছে। সে নীরাকে বলল , যা মিয়া ভাইকে ডেকে নিয়ে আয় , বল মা ডাকছে।



নীরা তার নিজের মেয়ে নয়। তার সেজ ভাইয়ের মেয়ে। তার ছোট ছেলে জামালের জন্মের দু বছরের মাথায় মীরা –নীরার জন্ম। দুই জমজ মেয়েকে সামলাতে সেজ ভাবি বিরক্ত। সেজ ভাবির আগের সন্তানটিও মেয়ে। অনেকটা অবজ্ঞা ভরে নীরাকে তিনি দিয়ে দিলেন সাহারাকে। নীরা সাহারাকে মা ডাকে। আর তার মাকে ডাকে ফুপু। খুব অদ্ভুত ডাক। কে শিখিয়েছে সে ঠিক জানে না। অদল বদল ডাক। তবে তার আব্বাকে সে আব্বা বলে। রাতে সে ঘুমায়ও মিরার সাথে। কিন্তু সারাদিন থাকে সাহারার কাছে। সাহারার সংসারের কাজে সাহায্য করে সে।



কামাল ফিরেছে। তার নোয়া মামা অহিদ সম্প্রতি বিয়ে করেছে। নিজে থেকেই বিয়ে। বউয়ের লম্বা ঠ্যাংঠ্যাঙে গড়ন। মুখে লাবণ্যটার শ্রী , বালাই নেই। কথাও বলে, কোন মিষ্টতা নেই। কাজে কর্মেও মন নেই। যে কদিন এসেছে বাপের বাড়ির গল্প করে কাটিয়েছে। তবে ন’মামী তাকে বেশ ভালবাসে। মা বকলে মামী তাকে অনেক সময় আগলায়। আজো সাহারা বকল , সকাল থেকে কই ছিলি , নাওয়া – খাওয়া নেই। খুব রাগ হল কামালের, যেন মা জানে না সে কই ছিল। আর সেতো ছোট খালার বাড়ি খেয়েই এসেছে। একটা চকলেটও খেয়েছে। যাবার সময় ছোট খালার মেয়ে বিন্তির জন্য চকোলেট নিয়েছিল সে। বিন্তিকে ভারী ভাল লাগে তার। এখন পুরো কথা শেখেনি বিন্তি। তবে কামালকে দেখলেই কোলে আসতে চায়।



সাহারা বেগম কামালকে পড়তে বসতে বললেন। তার ম্যাট্রিক এগিয়ে আসছে। পড়াশুনো তার ভাল লাগে না। সব জায়গাতেই বাবার নাম লিখতে হয়। বাবা লোকটাকে সে কোনদিন দেখেনি। মায়ের কাছে ছবিও নেই। গল্পও করে না কোনদিন। বাবা লোকটার প্রতি মায়ের অনেক ঘৃণা। তারও অনেক ঘৃণা। বাবার মুখ সে দেখতে চায় না। তবে মাঝে মাঝে তার কল্পনায় বাবার ছবি ভাসে। কামালের মা বেশি লম্বা নয়। তবে কামাল বেশ লম্বা হয়েছে। বাবা লোকটা নিশ্চয়ই লম্বা ছিল। আর বেশি দূর ভাবা হয় না তার। সাহারা বেগম পানির গেলাস দেওয়ার ছুঁতোয় ঘরে আসে। বলে , সাখাওয়াত কি বলল , জমি খারিজ হবে ?



ছোট খালুর কথা সবটা বলল কামাল । খালার দেওয়া শাড়ি, ব্লাউজ ও দেখাল। মা বেশ খুশি। মাকে সে কোনদিন নতুন শাড়ি পরতে দেখিনি। ছোট খালা একটা ভাল শাড়ি দিয়েছিল একবার। কোথাও গেলে সেটিই সে বারবার পরে।



অহিদের মেজাজ সকাল থেকে বেশ খারাপ। পানের বরজে সে উনিশজন মুনিশ লাগিয়েছে। সাহারা বাড়িতে রুটি বানিয়েছে আর করেছে কাঁঠালের এঁচোড়। কামালের খাবার নিয়ে বরজে আসার কথা। এখনও আসছেনা। বাড়ি থেকে বরজ বেশি দূরে নয়। তাই বলে এসব কাজ তো আর তাকে মানায় না যে সে গিয়ে নিয়ে আসবে। মাঝে মাঝে তার মনে হয় মেরে বাড়ি থেকে সব কটাকে বিদেয় করে। দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষছে। তার বউ ইসরাত গত রাতে তাকে বলেছে আলাদা হওয়ার কথা। তারও মনে হল , ভালই হবে। এসব অনাথ এতিমদের ঝামেলা সইতে হবে না। তাছাড়া ঘর তো তার আছেই। একটা হেসেল তুললেই হবে। ইসরাত অবশ্য বলেছে পাকা হেসেল তুলতে হবে। । হাতিপোতার জোয়ারদার বাড়ির মেয়ে সে। পাকা হেসেল না হলে নাকি তার মান থাকে না।



অহিদ ঘড়ি দেখল। বেলা চড়ে গেছে । মুনিশগুলোকেও ছাড়তে হবে। হাটের দিন। কাজ শেষে ওরা হাট ধরবে। অহিদ বিরক্ত হয়ে রেডিওর নব ঘোরালো। সেখানে সাহানাজ রহমতুল্লার গান বাজছে।



অহিদ বরজে সোনাকে দেখল। সোনা জিজ্ঞেস করল , আব্বা পাঠিয়েছে তার মুনিশ লাগবে কিনা জানতে। সোনা তাদের এক আশ্রিতের ছেলে। তার আব্বা তার দূরসম্পর্কের এক এতিমকে বাড়ির পাশে ঘর বেধে দিয়েছিলেন। সোনার আব্বা কাশেম তাদের মুনিশ খাটে। কাশেমের প্রথম বউটা মারা যাওয়াই দ্বিতীয় বিয়ে। সোনা দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। বেশ লায়েক হয়েছে ছেলেটা। তের –চৌদ্দ বয়স হবে। তবে গতরে জোর আছে। এখনি মুনিশ খাটতে চায়।



অহিদ বলল, হুম মুনিশ লাগবে। তবে তুই পোলাপান মানুষ , অর্ধেক দাম পাবি, কাসেম ভাইরে গিয়ে বলিস। কামালকে দেখেছে কিনা জিজ্ঞেশ করে সে। সোনা জানায় কামাল কে সে কেরাম খেলতে দেখেছে।



রাগে গা জলতে থাকে অহিদের। রেডিওটা বন্ধ করে। মুনিশগুলো তার দিকে ঘুরে তাকায়। অহিদ সিগারেট ধরায়। মুনিশরা ধরায় বিড়ি। জামাল খাবার এনেছে। এতজনের খাবার আনতে ঘেমে একসা সে। সাইকেলেও একগাদা কাদা লাগিয়েছে। ইদানীং বৃষ্টি হচ্ছে খুব। আকাশের অবস্থাও ভাল না। অহিদ মুনিশদের তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে বলল। খাওয়ার পর তাদের ছুটি। আজকে তারা হাফ বেলার দাম পাবে। পানের ঝুড়ি গোছানোই আছে। বৃষ্টি আসার আগেই সদরে রওনা দিতে হবে। আজকাল পানের ভাল দাম উঠেছে বাজারে। বৃষ্টিতে পানও বেশ লকলকিয়ে উঠেছে।



অহিদ সদরে যেয়ে পান বেচল। তার স্ত্রী ইসরাতের জন্য এক জোড়া দুল কিনল সে। আসার সময় ছোট বোনটার বাসা হয়ে আসল, শাখাওয়াতের হাবভাব বুঝতে। তার ধারনা শাখাওয়াত সাহারাকে জমিজমার ব্যাপারে সাহায্য করছে। শাখাওয়াতই সকল নষ্টের গোঁড়া। নয়ত কি। আব্বা মরার সময় তো তাদেরকেই সবটা লিখে দিচ্ছিল। তারা তো বলেছিল সাহারার ভরন পোষণ দিবে। বাড়িতে থাকতে দিবে। আবার কি। ছেলে হিসেবে তাদেরই তো সব অধিকার। কোত্থেকে শাখাওয়াত সব জেনে গেল। বলল এ অন্যায়। মেয়েদের আবার ভাগ নাকি আলাদা ভাগ আছে। তবে শাখাওয়াত ছেলে ভাল। তোহরা তো মনে হল সুখেই আছে।



অহিদ সদর থেকে বাড়ি ফিরেছে। সাথে কাদা ভর্তি সাইকেল। অহিদ সাইকেলটা জামালকে পরিস্কার করতে দিয়ে গোসলে যায়।



এ গায়ের সবাই গোসল করে নদীতে। নদীর নাম মাথাভাঙ্গা। তাদের বাড়ির পর বিশাল আমবাগান। তারপর নদী। পুরা গায়ের লোক এই বাগান পার হয়ে নদীতে আসে। আগে বাগানটায় ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকত। তার বাবা মারা যাবার পর তারা পাঁচ ভাই সবাই কয়েকটা করে গাছ বেচেছে। এখন বাগানটায় বেশ আলো। তবে এই বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। সাবধান না হলে পিছলে যাওয়ার ভয়।



অহিদ ছেলেদের ঘাটে গেল। আসল ঘাট এখন কয়েক বিঘত পানির নিচে। তবে ঘাট বরাবর পাড়টায় তারা গোসল করে। ছেলে মেয়েরা আলাদা আলাদা জায়গায়। পানি প্রায় বাগানে এসে গেছে। সপ্তাহখানিকের মধ্যে ধরে ফেলবে। তখন পানি বাগান পেরিয়ে তাদের বাড়ি অব্দি পৌঁছোয়। উঠোন ভিজিয়ে ফেলে। অনেকদিন সে গু ভাসতে দেখেছে। তার ধারনা এটা ইরার গু। ইরা তার সেজ ভাইয়ের মেয়ে। এখনও পায়খানায় বসতে শেখেনি।

(চলবে)



নির্ঘণ্টঃ

মুনিশঃ যারা মাঠে কাজ করে, কামলা।



***উপন্যাসের এই পর্বটি আমার স্বামীকে পড়ালাম। বললাম, তোমার অনুভূতি কি? সে বলল, অনুভূতি খুব খারাপ। তুমি এত চরিত্র এনেছো যে আমার মাথা ঘুরছে ।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

যোগী বলেছেন:
লম্বা লেখা দেখে আমারও মাথা ঘুরছে। সময় নিয়ে পড়ব। তবে কিছুটা পড়ে লেখার ধরন টা ধরতে পারছি।

আপনার রিসার্চ ফিল্ড কী?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভ্রাতা এখানে তো রিসার্চ ফিল্ডের কথা লিখিনি :( যাই হোক মাস্টার্সে ছিল ইমেজ প্রসেসিং আর এখন ন্যানো।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

যোগী বলেছেন:
না এমনি জানতে চেয়েছি। :( ধারনা করেছিলাম ফিল্ডটা এই রকম কিছু একটা হবে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হুম। ভাল থাকুন। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

আরমিন বলেছেন: লেখাটা আসলেই অনেক লম্বা হয়ে গেছে, আপনার প্রবাসে সিরিজটা এনজয় করছি। :)
শুভকামনা! :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :) ভাল থাকবেন।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++

চরিত্র এই পর্বের জন্য কিছুটা বেশী হয়েছে। এটা তিনি ঠিক বলেছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, শুরুর দিকে তো তাই, পরিচিতির জন্য হয়তো চরিত্রগুলো বেশী চলে এসেছে। পরে আরও শান্ত হয়ে যাবে।


আপনার পর্যবেক্ষণ ভালো। গ্রাম বাংলার জমিজমা, হাজার সাহারা, কামাল, অহিদ, একান্নবর্তী পরিবার ও প্রকৃতির বর্ণনা খুব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।


আপনার প্রবাসে সিরিজ মিস করবো।

এনিওয়ে, অনেক শুভকামনা রইল :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপূর্ণ। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন ।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

এহসান সাবির বলেছেন: আমি এটা পড়িনি।

ওটা শেষ করে এটা ধরব :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

তাশমিন নূর বলেছেন: ভালো লাগছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন ।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

পারভেজ রানা বলেছেন: স্বাগতম, উপন্যাসের জগতে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পারভেজ ভাই। অনুপ্রাণিত হলাম।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো কিন্তু সব কেমন একটু যেন ছাড়া ছাড়া.... গভীরে ঢুকেও ঢুকছে না... হয়তো সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে............

সাথে আছি.......

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হূম , গভীরে ঢুকতে হবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ভালো লাগা তবে একটু অগোছালো মনে হচ্ছে। হয়ত শুরু বলে আশা করি ভালো আরো একটা সিরিজ পাবো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: চেষ্টা থাকবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে বেশ ভালো লাগলো । চলবে....

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: নতুন সিরিজ কেন? প্রবাসের সিরিজ কই? :(



এখনো পড়িনি, পড়ে এসে বাকিটা বলছি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: প্রবাসের বাকি সিরিজগুলো সব লিখে শেষ করেছি। এখন বই আকারে রুপ দেওয়ার চেষ্টায় আছি।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৬

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: উপন্যাসের এই পর্বটি আমার স্বামীকে পড়ালাম। বললাম, তোমার অনুভূতি কি? সে বলল, অনুভূতি খুব খারাপ। তুমি এত চরিত্র এনেছো যে আমার মাথা ঘুরছে ।


কিঞ্চিৎ সহমত। অনেক বেশি চরিত্র। আসলেই মাথা ঘুরছে। তবে, চলুক। ধীরে ধীরে বুঝতে পারবো হয়তো সব সামনের পর্বগুলোতে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সাথে থাকার জন্য। ভাল থাকবেন।

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪২

জাফরুল মবীন বলেছেন: আগ্রহ নিয়েই পড়লাম।মনে হলো পাঠকদের সাথে প্রথমেই চরিত্রগুলোকে পরিচিত করাতে অনেকগুলো চরিত্রের সমাবেশ ঘটানো হয়েছে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরুল ভাই। ভাল থাকবেন।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: লেখার ভংগিটা ভাল্লাগেনি। মনে হচ্ছে অন্যের মুখে শুনছি, নিজে পড়ছি অথবা বলছিনা। তবে ফলো কিরবো কতদুর আগাচ্ছে দেখার জন্য। ভালোলাগা খারাপলাগার কথাগুল্ও শেষ হলেই বলব। শুভকামনা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার গঠনমূলক সমালোচনা। ভাল থাকবেন ভ্রাতা ।

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চলুক। শুভেচ্ছা আছে সাথে। :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ভাল থাকবেন।

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন:
ভাল কিছু হবে আশা করছি।

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.