![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই সাধারণ তবে বড় বেশি প্রত্যয়ীএর চেয়ে নিজের ব্যপারে বলার কিছু নেই।
কি?
এটি একটি মানসিক রোগ।
লক্ষণঃ
১।নিজের বা অন্য মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করা
২।নিজের আত্ম-বিশ্বাসের প্রতি অনিহা, নিজের প্রতি অনাস্থা
৩।আবেগের অসাড়বোধ(অর্থাৎ নিজের অনুভূতিকে মূল্যহীন মনে করা)
৪।কোন চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হওয়ার অনিচ্ছা,সোজা কথায় আগ্রহহীনতা
৫।ভবিষ্যতের ব্যাপারে উদাসীনতা। নিজের জীবনকে মূল্যহীন মনে করা।
৬।আত্মঘাতী চিন্তা করা, অর্থাৎ নিজেকে হত্যা করার ইচ্ছা জাগা( এটি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হতে পারে)
৭।অতীতের স্মৃতি ভুলে যেতে ইচ্ছা করা, অতীতের মর্মান্তিক স্মৃতি বারবার মনে আসা, অতীতের স্বাভাবিক স্মৃতিগুলো ভুলে যাওয়া।
৮।কারো সাথে ঘনিষ্ঠ হতে অনিচ্ছা(জৈবিক এবং মানসিক),অনিচ্ছায় সম্পর্ক ধরে রাখা বা বাধ্য হওয়া।
পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তনঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""
১। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিরক্ত,ক্রদ্ধ হওয়া, আক্রমনাত্মক আচরণ করা।
২।সর্বদা বিপদ আসছে বিপদ আসছে এমন মনোভাব পোষণ করা এবং উদিগ্ন থাকা।
৩।অপ্রতিরোধ্য অপরাধবোধ জাগা এবং অপমানবোধ মনে করা। (না চাইলেও নিজে অপমানিত হচ্ছি বা অপরাধী মনে করা নিজেকে)
৪। অত্যাধিক নেশাগ্রস্ত হওয়া বা স্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক কোন কাজ করে নিজেকে ধ্বংসের চেষ্টা করা(জোরে ড্রাইবিং,অসাবধানতাবশত চলা,রাস্তা পারাপার,ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা)
৫। মনোযোগ দিতে অতিমাত্রায় কষ্ট হওয়া, নিজের ভেতর কষ্টবোধ জাগা।
৬।ঘুম কম হওয়া, ঘুম বেশি বেশি ভেঙে যাওয়া।
৭। সহজেই চমকে উঠা বা ভীত হওয়া।
কাদের বেশি হয়ঃ
"""""""""""""""""""""""
১।স্বাভাবিক কারণঃ
"""""""""""""""""""'''""
বিভিন্ন ঝুঁকির ব্যক্তিগুলো অন্তর্ভুক্ত, উদাহরণস্বরূপ, যুদ্ধ সামরিক ব্যক্তিদের, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক বন্দিশিবির বেঁচে শিকার, ও সহিংস অপরাধের শিকার. ঘন ঘন ঝুঁকিপূর্ণ সংগ্রাম করা, নিজেকে দূর্যোগপূর্ণ বা বৈরি জীবনের সাথে মানিয়ে চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হওয়া।
২।জেনেটক কারনঃ
""""""""""""""""""""""
বংশগত কারণেও এটি হয়ে থাকে।
৩।বড় ধরণের মানসিক আঘাতঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
পারিবারিক সহিংসতা, সামাজিক সহিংসতা, যৌন নির্যাতন,শারীরিক নির্যাতন, ব্যাপক মানসিক নির্যাতন, ব্যাক্তি জীবনে নানা দিকে অসহোযোগিতামূলক আচরণ,
শিশুর ক্ষেত্রে পারিবারিক এবং পরিবেশের অসহযোগিতা, বয়োঃসন্ধিতে অসহযোগিতা,পরিবেশের অসামঞ্জস্য ইত্যাদি কারণে আঘাত এটি বয়ে থাকা,
ব্যাক্তির উপর অস্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ।
৪।গার্হস্থ্য সহিংসতাঃ
""""""""""""""""""""""""
পারিবারিক নানা বিষয়ে বাধ্য করা, আবদ্ধ রাখা,বিনোদনের সুযোগ না থাকা, আবদ্ধ পরিবেশে রাখা,পারিবারিক নানা কাজে নির্যাতন এবং অনিচ্ছাকৃত একই কাজ বারবার করানো বা করতে বাধ্য করা।
৫।সামরিক কারণ;
""""""""""""""""""""""
সামরিক নানা ধ্বংসাত্মক কারণ করে ফিরে আসা,ঝুঁকি নেয়া,সামরিক সহিংসতা, সামরিক অনিচ্ছাকৃত যৌন নির্যাতন।
৬।মাদকের অপব্যবহারঃ
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
অতিমাত্রায় মাদক সেবন এই রোগের সূচনা করে।
৭।লালন-পালনে অবহেলাঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""
এটি মুলত বৃদ্ধদের উপর পালনের অবহেলায় মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি করে।
উপসর্গের তীব্রতাঃ
""""""""""""""""""""
অনেক সময় পূর্ব খারাপ অভিজ্ঞতার স্মৃতি মনে করে আঁতকে উঠা, যৌন নির্যাতনের ভয় পেয়ে বসা, শরীর কাঁপা, অস্বাভাবিকমাত্রায় আচরণ করা, ভয় পাওয়া। ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ
''''''''''''''''''''''
১। বিনোদন, খেলা-ধুলা,শারীরিক কসরতের ব্যাবস্থা করা।
২।ধ্যান করা বা মেডিটেশন করা
৩।আপনজন বা আত্মীয় স্বজনের কাছাকাছি ঘনিষ্ঠভাবে থাকা।
৪।আক্রান্ত লোকের সাথে খুবই সহোযোগিতাপূর্ণ আচরণ করা
৫।দ্রুত মানসিক ডাক্তার দেখানো।
এই ধরণের রোগীদের প্রয়োজন নিবিড় পরিচর্যার। আমাদের দেশে নানা কারণেই নারীরা বেশি আক্রান্ত এই রোগে। আমাদের নিজেদের মানুষ হিসেবে, দেশের মানুষ হিসেবে, আমাদের অংশ হিসেবে অবশ্যই নারীর প্রতি খুবই সহযোগিতাপূর্ণ হবো এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। নারী সঠিকভাবে গড়ে উঠলে গড়ে উঠবে দেশ। পাশাপাশি পুরুষদেরও কেউ এমন হলে অবশ্যই সহোযোগীতাপূর্ণ আচরণ করবো।
মনে রাখবেন আপনার সুন্দর ব্যবহার গড়ে তুলতে পারে ভালো সমাজ। আসুন সবাইকে নিজের অংশ মনে করি।
#বাংলাদেশে #নারীদের #আক্রান্তের হার দেয়া হল
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:১২
চাঙ্কু বলেছেন: ভালো একটা ইস্যু নিয়ে লেখছেন। অনেক ধন্যবাদ।