![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুবই সাধারণ তবে বড় বেশি প্রত্যয়ীএর চেয়ে নিজের ব্যপারে বলার কিছু নেই।
মিরপুরে মা শিশুকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ শোনেই আমরা প্রথমেই মাকে বিশেষ কথা নারীকে ধিক্কার জানালাম। আমাদের ক্ষোভগুলো নারীর উপর ঝেড়ে দিলাম। সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে চিন্তা,বিবেকের মানদন্ড,বেঁচে থাকার প্রেরণার উৎস এবং আত্মবিচারে সফলতার চূড়ান্ত সুখ। যদি ধরে নেই হত্যাটি মা করেছে বা মা-ই প্ররোচিত করেছে,তবে সমস্যা এবং সমাধান এক জায়গায়। আর যদি অন্য কেউ করে থাকেন তবে সমস্যা আরেক জায়গায়। আমাদের সমাজ এবং দেশ সচেতন মানুষমাত্রই দুটি ব্যাপার নিয়েই ভাবতে যদি আমরা একটি অন্যরকম বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি। অন্যরকম অবশ্যই ইতিবাচক বাংলাদেশ।
মা যদি হত্যা করে থাকে, ভাবতে হবে গভীরের কিছু সত্য নিয়ে,সেখানে কে বা কারা দায়ী সেকথা নয়, দায় নিতে হবে সবার। পৃথিবীতে সন্তানের আপনজন হল মা। কেন সেই মা ঘাতক? কী এমন ঘটতে পারে। অনেকেই তীরবিদ্ধ করেছেন পরকীয়ার দিকে। মা পরকীয়া করলেই শিশুকে কেন হত্যা করতে যাবেন? সন্তান জেনে গেছে তাই? যুক্তিটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত? মা পরকিয়া করে সন্তান সেটা জানে এমন ব্যাপার দেশে নেহায়েত কম নয়। তবে তো সেখানে মাকে সবক্ষেত্রে ঘাতকের ভূমিকায় দেখা যায় না। মা তার অবৈধ সন্তানকে হত্যা করেন এমন নজীর অনেক। তখন কি মা মা ছিলেন না? মেয়ে শিশু গর্ভে ছিল মা তাকে হত্যা করেন, তখনও কি মা মা ছিল ? সামাজিক বৈধতা নিয়ে সন্তান পৃথিবীতে এল তখন সন্তান মায়ের সকল আদর পেল, কিন্তু বৈধতা না পেলে পেল না। যদি মানুষকে একটি জৈবিক রক্ত-মাংসের মানুষ মনে করি তবে কতটুকু মাতৃত্বকে টিকাতে পারি? প্রশ্নটি নিজেকে করে দেখেছি কখনো ? আবার অন্য সমাজে মা গর্ভধারণ করেছে মানেই মাতৃত্ব আছে, সে কিভাবে গর্ভধারণ করলো সে প্রশ্ন কেউ করছে না। ধর্মীয় দৃষ্টিতে কিন্তু এই গর্ভধারণকে মেনে নিতে পারি না। তবে হত্যা না করাকে এবং সন্তানকে ভালোবাসাকে ধর্মীয়ভাবেই মেনে নিতে পারি। অপরদিকে আমাদের সমাজে বিবাহবর্হিভূত গর্ভধারণকে মেনে নেই না। ধর্মমতে এটি মেনে নেয়। কিন্তু আমরা যে সমাজ থেকে বাঁচতে ঠাণ্ডা মাথায় শিশু সন্তানকে হত্যা করি এটি তো ধর্ম কোনভাবেই মানে না। তবে আমরা তাদের তুলনায় কি সত্যিই ভালো? ব্যাপারটি কি তাই মনে হয়। আমরা অনেক বেশি বর্বর কোন সন্দেহ নেই। হত্যার রহস্য এখানেই উদ্ঘাটিত হয় না।
এই সময়কাল হল ব্যাক্তি স্বাতন্ত্রের যুগ। এখানে একপেশে ব্যাক্তি-স্বাতন্ত্রও বিদ্যমান। মানুষকে পেতে হবে সর্বোচ্চ ভোগের উপযোগ। সে হোক পুরুষ-হোক নারী। মানুষের কাছে সামাজিক মূল্যবোধ বিবেচনায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তান বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মাকে দেখছে না। মায়ের ভবিষ্যৎ আশাবাদের মূল্য তাহলে অনেকক্ষত্রে অর্থহীন। পুরুষ স্ত্রীর বাইরেও তার জৈবিকতার নানা উপকরণ বাইরে থেকে সংগ্রহ করে জীবনবিলাস ধরে রেখেছে। কিন্তু নারী সেখানে অসহায়। তাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকায় নারী তার ব্যাক্তি স্বাধীনতা এবং ব্যাক্তি রুচিবোধের প্রকাশ করতে পারছে না। জন্ম নিচ্ছে ব্যাপক ক্ষোভ,হতাশা,হীনমন্মতাবোধ। এগুলো অবদমনের মাধ্যমে নারীর ভেতর আত্মঘাতী বৃত্তি জেগে উঠে। এগুলো নানা ধরণের অপরাধমূলক অবস্থায় প্ররোচিত করে। বেঁচে থাকার মূল্য কমিয়ে দেয়। স্বামীর স্ত্রীর প্রতি অমনোযোগ এবং সন্তানের প্রতি উদাসীনতা নারীকে ক্ষুদ্ধ করে। পাশাপাশি সংসারিক টানাপোড়েনের ভেতর যখন পুরুষ তার বিলাসাচার বজায় রাখতে সীমাবদ্ধ অর্থের ভেতর অপ্রয়োজনীয় জৈবিক ব্যয় করে, নারী তখন বড় বেশি অসহায়। তখন নারী মানসিক বৈকল্যে ভোগে। সে আত্মঘাতী হয়। (চলবে)
১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৩
মহেড়া বলেছেন: জ্বী ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৪
বিজন রয় বলেছেন: সত্য কথা।