নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। আমাদের বড় হতে হবে, বড় হতে হবে দেশ নিয়ে।

মহেড়া

খুবই সাধারণ তবে বড় বেশি প্রত্যয়ীএর চেয়ে নিজের ব্যপারে বলার কিছু নেই।

মহেড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

[বাংলাদেশের হাতেও একটা "বড় কার্ড" আছে] বেরনার-অঁরি লেভি

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৪




"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
গতকাল রাতে বাংলাদেশের দুজন বুদ্ধিদ্বীপ্ত তরুণের সঙ্গে কথা হল। আমি যখন প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলাম,তখন আমার যে বয়স ছিল,তাদের বয়সটা তেমন।
মনে হল তারা খুবই হতাশ। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করলো, দিন শেষে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থানটা কোথায়? আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমাদের তুরুপের তাস কোনটা?? আমাদের বৈদেশিক নীতিমালা কি হওয়া উচিত??? বিশ্বে আমাদের তথাকথিত মিত্র যারা, এমনকি যারা আমাদের স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিলো,তারাও আমাদের স্রেফ এই উপমহাদেশের অংশ ভাবে। আমরা কেন সেটা মেনে নেই???

প্রথম আলোর ‪#‎স্বপ্ন_নিয়ে‬ ফরাসি বুদ্ধিজীবীর আলোচনায় যে আলোচনা হয়েছে আমি সেটির কিছু অংশ তুলে দিলাম উপরে, প্রথম আলোতে যারা পড়েছেন তারা বুঝবেন ভালো, যারা পড়েননি তাড়াও বুঝবেন আশা করি।

এখানে পাকিস্তানের কার্ড বলতে তিনি দেখেছেন অশুভ এবং নোংরা কার্ড। সেটি হলো তাদের পারমানবিক অস্ত্রের কার্ড। বিশ্বকে এরা ভয় দেখায় বলে সহযোগিতা করো না হলে হয়তো জঙ্গীদের হাতে পারমানবিক অস্ত্র চলে যেতে পারে। বিশ্ব এদের সব কথা শোনে।

আগে একটু বলে নেই পৃথিবীতে দিন শেষে কার কি কার্ড আছে। ১। যুক্তরাষ্ট্র- অস্ত্রের ক্ষমতা এবং ইসরাইলের মাথা, ২।ফ্রান্স-সংস্কৃতি ৩। ব্রিটেন-অর্থনৈতিক তত্ব এবং ভাষিক বাণিজ্য ৪। জাপান- প্রযুক্তি এবং পরিশ্রম, ৫। ইরান- সংস্কৃতি এবং ভ্যাকসিন উৎপাদন ক্ষমতা ৬। জার্মানি- উদ্ভাবনী ক্ষমতা, ৭। ভারত- ধর্মীয় বৈধ উগ্রপন্থা(যা পৃথিবীর কোথাও তেমন বির্তকিত হয় না অথচ অমানবিক)

এবার আশা যাক বাংলাদেশের "বড় কার্ডের" ব্যাপারে কী বলেছেন তিনি?
তিনি বলেছেন, স্পষ্ট করে যদি বলি এই কার্ড হলো শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা। এই কার্ড হলো মুক্তিবাহিনীর কার্ড। সহনশীলতার শক্তি, যেটা এই অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে।

এবার প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই যারা এত সুন্দর প্রশ্ন করেছেন এবং পাশাপাশি তিরষ্কার করি যে তারা হতাশা দেখিয়েছেন। এবং আমাদের মূল দূর্বলতা যে হতাশা এটা তাঁর বুঝার সুযোগ হয়েছে।

লেভি-র গুরু হচ্ছে লুই অলথুসার। তাঁর বড় তত্ব হল, আপনি যদি কোন কিছুর উপর প্রভাব বিস্তার করতে চান তবে আপনার সেই লক্ষ্যের বলয়ের বাইরে যেতে হবে। এটা অবশ্যই মানুষের ক্ষেত্রে তত্ব। যেমন যারা গ্রাম থেকে ঢাকায় পড়তে আসেন তারা কিন্তু ঢাকায় বসে আপনার এলাকার সব কিছু ভালো বুঝেন এবং দেখেন। আর সে অনুযায়ী কাজ করে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

এবার আসি তাঁর বাংলাদেশ সম্পর্কে কথার ঐতিহাসিক এবং বাস্তব ভিত্তি কতটুকু? এবং একজন ব্যাক্তি সত্যি কিভাবে প্রভাব বলয়ে থেকে কথা বলে এবং বাইরে থেকে কথা বলে। ‪#‎আর‬ সত্যিকার অর্থেই আমাদের ‪#‎বড়_কার্ড‬ কী ??? তিনি আওয়ামীলীগের সরকারের আমন্ত্রিত। তিনি প্রথম এসেছেন আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের আন্দোলনের সময়। দুইটাই দেশের অস্বাভাবিক অবস্থা। প্রথমটি পাকিস্তানীদের দ্বারা দ্বিতীয়টি আওয়ামীলীগের সরকারের দ্বারাই। আবার তিনি তাদের ডাকা অতিথি। কিন্তু ব্যাক্তি হিসেবে তিনি সম্মানের এবং তিনি বুদ্ধিমান বটে।

"বড় কার্ড" সম্পর্কে তাঁর দুটি কথা শেখ মুজিবরের শিক্ষা, এটি বলেই তিনি বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা। আগের কথাটুকু তিনি বলেছেন মুজিব কন্যার অতিথি বলে, শেষেরটুকুই তাঁর কথার মূল শক্তিবিচার। মানে আমাদের "বড় কার্ড" তিনি দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অনেকেই খুব কষ্ট পেতে পারেন কিরে লোকটা কী মুজিবকে চেতনা থেকে বাদ দিল??? মানে আমাকে বলবেন। প্রথমেই সোজা কথায় বলে দেই, যারা দার্শনিক চিন্তা করে তারা কথা ঘুড়িয়ে পেঁচিয়ে হয়তো বলে কিন্তু মূল সত্যিটি ঠিক বলে দেয়, এটি এক ধরণের চিন্তার দায়। আর যারা একচোখা তারা দার্শনিক চিন্তার ধারক নয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীই তেমন। সর্বশেষ উদাহরণ দিলে নির্মলেন্দ গুণের নাম আসবে, বান্ধবী স্বাধীনতা পদক দেয়নি বলে খুব মন খারাপ। যাই হোক আলোচনায় থাকি।

ইতিহাস বলে আমাদের শক্তি হল ভালোবাসা(কিছু ক্ষেত্রে আবেগী ব্যাপার বলা যায় আবার কিছু ক্ষেত্রে তা ভালোবাসা) এবং জ্ঞানশক্তি। এই দেশ ভালোবেসে গোপালকে এনে পাল বংশের প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দেশ সিরাজ-দৌলাকে ভালোবেসেছে এবং এক সময় দূরেও সরিয়েছে। এই দেশ মুজিবকে ভালোবেসেছে, লালনকেও ভালোবেসেছে, ইসলামকে ভালোবেসেছে, এরকম অনেককেই ভালোবেসেছে। বিভিন্ন সময় এই দেশ মাথা দিয়ে অন্য দেশের শাষন চালানোর অংশ হয়েছে। এই দেশ বারবার জীবনকে ভালোবেসে, দেশকে ভালোবেসে, প্রিয়তমাকে ভালোবেসে, সন্তানকে ভালোবেসে......
যেমন সুকান্তের ভাষায়
......এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি,
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ঝাঁপিয়ে পড়েছে অসত্যের এবং অনিশ্চয়তার বিরোদ্ধে।

নীরবে-নিভৃতে এই দেশের বড় কার্ড ভাষানীরা,তাজ-উদ্দিনেরা। তাদের কোন স্বার্থ চিন্তা ছিল না বলেই আজকের বাংলাদেশ। নিষ্ঠার সাথে জিয়ারা কাজ করেছিলো বলেই আজ বাংলাদেশ। মুজিবের চেতনার যারা ফসল তারা সব দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। কেউ কেউ বলতে পারেন তাজ তো মুজিব ফসল। শুধু তাদের বলতে চাই তাহলে তাজ-উদ্দিন বাকশালের সদস্য হতেন। আবার অনেকেই বলবেন জিয়া তো সদস্য ছিল, তাকে বলি, তিনি একজন সরকারী আমলা থেকে দেশকে দিয়েছেন। যদি কারো ঐ সময়কার জন্যে সহানুভূতি থাকে সে সহানুভুতি যেন সবাই পায়। আর ব্যাক্তি মুজিব কিসের চেতনার ধারক ছিলেন তিনি তাঁর প্রামাণ ক্ষমতায় গিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

এবার আসি আমাদের "বড় কার্ড" এর দিকে। বড় কার্ড একদিনের বিষয় না, এটি জহির রায়হানের হাজার বছরের বাঙ্গালীর চেতনা। মুজিব তাঁর একটি ফসল মাত্র। তাও একাত্তর পূর্বের মুজিব। একাত্তরের পরের মুজিব একজন শুধুই মুস্তাকদের মতো শাষক। তিনি কোন নেতা নন। তিনি যত বড় হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী তা একাত্তর পূর্ব।

এই মাটি একটি সুধা এই সুধা জন্ম দিয়ে যাবে "বড় কার্ড" সে কার্ড মুজিব চেতনা না, সে কার্ড হাজার বছরের বাঙ্গালীর উৎস। আর একদিন জন্ম দিবে একজন অবিসংবাদিত নেতা। সে নেতা এখনো জনায়নি, যাদের জন্মের জন্যে ভাষাণী,তাজেরা পথ ছেড়ে দিয়ে গেছেন। আহমদ ছফারা সে পথের ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। সেই ডাক একদিন আসবেই। সেদিন বিশ্ব ধারণার জন্মে আসবে বাংলাদেশে এবং গর্ব করে বিশ্বকে জানাবে ভালোবাসার পূণ্যভূমি বাংলাদেশ থেকে এলাম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪২

আকদেনিজ বলেছেন:
ভাই আমি জিয়ার চেতনাও চাই না, মুজিবের চেতনাও চাই না। আমি চাই দেশ কে ভালবাসার চেতনা।

উভয় চেতনায় দেশ শাসন হতে দেখেছি। কোনটা কে মানুষের চেতনা বলে মনে হয়নি। জানোয়ারের চেতনা মনে হয়েছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

মহেড়া বলেছেন: আপনি আমার লেখার মূল বিষয়টাই ধরতে পারেননি। আর না হলে পড়েননি, আমি এখানে জিয়ার চামচামি করিনি, শুধু পৃথিবীতে দিন শেষে আমাদের কোন শক্তিটা সত্যিই আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি ঐ মন নিয়ে পড়বেন।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

মহেড়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.