![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাই এই গোলাপ ফুলডা কয় টেহা?
একশো টাকা ভাই।
কি কন এত টেহা?এক্টু কম রাহেন ভাই।একশো টেহা দিয়া একদিনের খাওন খাওয়া যায়।
না ভাই।ফুল আর কাফন একদামে কিনতে হয়।এসবে কোন দামাদামি চলে না।
মজিদ মিয়া কোন কথা কয় না।দোকান থেকে বেড়িয়ে পড়ে।এই একডা ফুলের দাম নাকি একশো টেহা।দুদিন পর যে ফুল নষ্ট হয়ে যাইবো সে ফুল এত টেহা দিয়া কিনার কোন মানে আছে?দোকানদারের আর দোষ কি?বড় বড় মাইনষেরা যদি এত দাম দিয়া ফুল কিনে তাইলে দাম বাড়াইতে বেডাগো কি সমস্যা?এক দল মানুষ আছে হেরা দাম দিয়া ফুল কিনে রাস্তায় ফালাইবো আর,আরেক দল মানুষ পা দিয়া রাস্তায় ফুল পারাইবো।ফুলের জীবন তো মাইনেষের জীবন থেইক্যাও খারাফ।
আমেনা ঝি এর কাজ শেষ করে বাসায় এসে গোসল করে।গোসলের পর আয়নার সামনে বসে নিজেকে একটু দেখে।বড় ভাল লাগে তার।বড় মেডামের কাছ থেইক্যা চাইতেই আয়নাডা দিয়া দিছে।আয়নাডার কোনায় একটু ভাংগা,তাতেই ফালাইয়া দিব।কপালডা ভালা আমি সামনে আছিলাম।মেডামরে কইতেই একটা হাসি দিয়া কইলো;ভাংগাডা নিবি ক্যান আমেনা?আমি একটা কিনে দেই তোরে!না মেডাম,কিইন্যা দেওন লাগবো না,এইডাই চলবো।আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যায়।তোর স্বামীরে পাঠাইয়া দিস।এত বড় আয়না তুই একা নিতে পারবি না।তারে কইস লোক নিয়ে এসে নিয়ে যাইতে।
উনারে কইতেই সে লোক নিয়ে আয়না নিয়ে আসছে।লোকটা ঘরে থাকলে আমেনা আয়নার সামেন বসে না।বলে,আয়নার এতবার নিজেরে দেহনের কি আছে?পুরুষ মানুষ বুঝে কি আয়নার মর্ম।ইদানীং কি খিটখিটে হইছে?হুদাহুদি চিল্লায় লোকটা।আমেনার মেজাজ খারাফ হয়।কিন্তু লোকটারে কিছু কয় না,লোকটার মন অনেক ভালা।
আয়নাডা অনেক বড়।পুরো শরীরডা দেখা যায়।ব্লাউজ ছাড়া আমেনা আয়নার সামনে বসে গুন গুন গান করে গায়।এক সময় আমেনার শরীর কেপে উঠে,আমেনা লজ্জা পায়।
বাড়ি ফিরতেই মজিদের সাথে হাবুর চোখে চোখ পড়ে।হাবু হাক দিয়ে উঠে;আরে ওই মজিদ্যা আজ কামে যাও নাই?হাবুরে মজিদ দেখতে পারে না,মেয়ে ছেলের দিকে কু নজরে তাকায়,আজেবাজে কথা কয়।আমেনাও তারে কয়েকবার হাবুর কথা কইছিল।মজিদ কিছু কইতে পারে না,হাবু অনেক বড় বড় লোকের সাথে উঠা বসা,তারে সবাই ভয় পায়।তারে কেওই কিছু কওনের সাহস পায় না।
কি মিয়া খাড়াইয়া আছো ক্যা?তোমার হাতে ওইডা কি?মজিদ কোন কথা বলার প্রয়োজন মনে করে না।হাতের জিনিসটা আড়াল করে সে তড়িগড়ি করে চলে যায়।
পানের পিক ফেলতে ফেলতে হাবু বিড়বিড় করে বলে;শালা হাবাইত্তা!
বাড়িতে ডুকেই মজিদ দেখে আমেনা পিঠ খোলা শরীরে আয়নার সামনে বসে বিড়বিড় করে কি যেন কয়?এই আয়না আসার পর নতুন ডং শুরু হইছে।মজিদের মেজাজ খারাফ হয়।
কিরে মাগী!দুয়ার খোলা রাইখ্যা কাপড় সব খুইল্যা তোর ভ্রাতারের লাইগ্যা বইস্যা আসোস নাকি?আমেনা ভয় পেয়ে যায়।কোন রকম শরীরে কাপড় প্যাচাইয়া চুপ থাকে।কোন কথা কয় না।
খাম্বার মত দাড়াইয়া আসোস ক্যা ,যা ভাত দে?খিদা লাগছে।
খাওন চাওনে ,আমেনা সস্তি ফিরে পায়।এক দৌড়ে পাকের ঘরের চলে যায়,যেন এখান থেকে চলে যেতে পারলেই এখন বাচে।একটা ভয়,লজ্জা আমেনার মনের ভিতর কাজ করে।
তুই খাইসিস?
হ খাইসি,মেডামের বাসায়।আমেনা মিথ্যা কথা কয়।লোকটার খাওন দেইখ্যা আমেনার খুব মায়া লাগে।লোকটা কি সুন্দর শিশুগো মত খাইতাছে।কে কইবো,এই লোকটা রেগে গেলে কত খারাফ হয়?লোকটার অনেক ক্ষিদা লাগছে।কেমনে গ্রোগ্রাসে খাওন গিলতাছে।মাঝে মাঝে মিথ্যা কওনের একটা সুখ আছে।আমেনা এইডা এখন খুব ভাল বুঝে।
আবার কি কামে যাইবেন?
হ যামু আসরের ওয়য়াক্তে।তাইলে একটু জিরান।আমি আপনেরে বাতাস করি।
ওই পলিথিনে তোর জন্য একটা গিপট আনছি।খুলে দেখ।আমেনা কোন কথা কয় না।আয়নার পাশে তাকাইতেই দেখে সত্যিই একটা পলিথিন।আমেনা তাড়াতাড়ি করে পলিথিন খুলে অবাক হয়ে যায়।লোকটার আজ হইছে কি?লোকটা দেখি ফুল নিয়ে আইছে,বেলী ফু্লের মালা।মালাডা বাসি হয়ে গেছে ,তাতে কি?আমেনা মাথায় মালাডা গুজে আয়নায় নিজেকে দেখে।আমেনার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ে,হাউমাউ করে উঠে।
মজিদ ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ে।আমার বঊডা অনেক সুন্দর।আমি এত গালি গালাজ করি,তাও আমারে কোন রাগ দেখায় না।মনডা ভালা।শুধু একটু মাথায় দোষ আছে।আয়নার সামনে একা একা বিড়বিড় কইরা কি জানি কয়?মাথায় ফুল গুজানে আমেনারে ফুলপরীর মত, না না ফুলপরী না।ফুলবউ এর মত লাগছে।মজিদের দু’চোখ চোখ জলে ভিজে আসে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০০
অতি মানব বলেছেন: হা উপন্যাসটি পড়েছি।ভাল লেগে ছিল।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চরম বাস্তবতার দারুণ প্রকাশ
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০০
অতি মানব বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।আমি চেষ্টা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প খুব সুন্দর। বাস্তব ।
অনেকদিন আগে পড়েছিলাম, লেখক আবুল বাশার- ফুল বউ।